সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ
খুলে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন এক শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার বিকেলে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ব্যানার হাতে প্রতিবাদ
করতে দেখা গেছে তাঁকে। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে
একই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিবাদী ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়।
মোখলেছুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে নিজের বিবেকের তাড়নায় দেশের মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এককভাবে সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করে আসছি। মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াট্সঅ্যাপ খুলে দিচ্ছে না। এগুলো নিয়ে আর কত টালবাহানা করবে? আমি চাই শিগগিরই জনসাধারণের জন্য এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।’
এদিকে ফেসবুক ও যোগাযোগের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী বিকল্প পদ্ধতিতে এগুলো ব্যবহার করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা তা ব্যবহার করতে পারছে না।
এ নিয়ে কথা হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এভাবে একচেটিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে রাখা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
সমাজকল্যাণ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অনেকেই ভালো কাজে ব্যবহার করে আবার অনেকেই খারাপ কাজে ব্যবহার করে। তবে এভাবে একচেটিয়া বন্ধ রাখা কোনোভাবে ঠিক নয়।’
এর আগে গত সোমবার ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য বলেছিলেন, ‘সব প্রযুক্তির ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে। প্রযুক্তির কুফল চিন্তা করে যদি আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারই বন্ধ করে দিতাম, তাহলে হয়তো মানবসভ্যতার এই অকল্পনীয় উৎকর্ষতা লাভ হতো না। প্রযুক্তির অপব্যবহারে আরো উন্নত প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং ব্যবহার ঘটেছে। কিন্তু সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে যদি ভেবে নেয়, ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ একদম বন্ধ হয়ে গেছে, তা মোটেই সঠিক নয়। অনেকেই নতুন নতুন অ্যাপস ব্যবহার করে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন এবং নাশকতাবাদীরাও চাইলে সেটি করতে পারবেন না-তা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’
তাহজীব আলম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের মাধ্যমে সরকারের যে মূল উদ্দেশ্য-সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ-তা থেকে সরকার অনেক দূরে। কাজের কিছু না হলেও এই সিদ্ধান্ত জনমনে অযাচিত আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে সরকারের অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রাকে কিছুটা হলেও ব্যাহত করছে। পুরো ব্যাপারটি আরো গভীরভাবে চিন্তা করার দাবি জানান তিনি।
একই দিন সচিবালয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকায় তা সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছিলেন ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আর দেশের একজন নাগরিকেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারসহ বন্ধ রাখা সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিতে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে সরাসরি ও ফ্যাক্সযোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠান।
প্রতিবাদী ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়।
মোখলেছুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে নিজের বিবেকের তাড়নায় দেশের মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এককভাবে সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করে আসছি। মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াট্সঅ্যাপ খুলে দিচ্ছে না। এগুলো নিয়ে আর কত টালবাহানা করবে? আমি চাই শিগগিরই জনসাধারণের জন্য এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।’
এদিকে ফেসবুক ও যোগাযোগের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী বিকল্প পদ্ধতিতে এগুলো ব্যবহার করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা তা ব্যবহার করতে পারছে না।
এ নিয়ে কথা হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এভাবে একচেটিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে রাখা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
সমাজকল্যাণ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অনেকেই ভালো কাজে ব্যবহার করে আবার অনেকেই খারাপ কাজে ব্যবহার করে। তবে এভাবে একচেটিয়া বন্ধ রাখা কোনোভাবে ঠিক নয়।’
এর আগে গত সোমবার ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য বলেছিলেন, ‘সব প্রযুক্তির ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে। প্রযুক্তির কুফল চিন্তা করে যদি আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারই বন্ধ করে দিতাম, তাহলে হয়তো মানবসভ্যতার এই অকল্পনীয় উৎকর্ষতা লাভ হতো না। প্রযুক্তির অপব্যবহারে আরো উন্নত প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং ব্যবহার ঘটেছে। কিন্তু সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে যদি ভেবে নেয়, ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ একদম বন্ধ হয়ে গেছে, তা মোটেই সঠিক নয়। অনেকেই নতুন নতুন অ্যাপস ব্যবহার করে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন এবং নাশকতাবাদীরাও চাইলে সেটি করতে পারবেন না-তা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’
তাহজীব আলম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের মাধ্যমে সরকারের যে মূল উদ্দেশ্য-সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ-তা থেকে সরকার অনেক দূরে। কাজের কিছু না হলেও এই সিদ্ধান্ত জনমনে অযাচিত আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে সরকারের অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রাকে কিছুটা হলেও ব্যাহত করছে। পুরো ব্যাপারটি আরো গভীরভাবে চিন্তা করার দাবি জানান তিনি।
একই দিন সচিবালয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকায় তা সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছিলেন ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আর দেশের একজন নাগরিকেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারসহ বন্ধ রাখা সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিতে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে সরাসরি ও ফ্যাক্সযোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠান।