নতুন মীরাক্কেলে বাংলাদেশের ১০ প্রতিযোগী



হৈ-হুল্লোড় আর পাগলামির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গুরুজনরা নাকি তাদের পাড়া ছাড়া করে দিয়েছেন! আর তাইতো এবার নিজেরাই নিজেদের মতো করে আস্ত একটা পাড়া তৈরি করে নিয়েছেন। যে পাড়াতেও আবার নাকি রয়েছেন বিচিত্র সব মানুষজন! যার মধ্যে আছেন খেকুরে জেঠু, রগচটা দিদিমা, ঝিঙ্কু বৌদি, কচি মেয়ে, বখাটে ছোকরারাও। আবার এই পাড়াতেই এসে জুটেছেন তিন ভাড়াটে। যারা নাকি রোজ রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে এসে বসে পড়েন বাড়ির ব্যালকনিতে। আর তারপর খুব মন দিয়ে ওয়াচ করতে থাকেন পাড়ার প্রতিটি ঘটনা। আর মাঝেমধ্যে মন্তব্য ছুঁড়ে দেন। মজার এই পাড়ার ওই তিন ভাড়াটে হলেন, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত আর শ্রীলেখা মিত্র।

আসলে এই পাড়াটাই হলো এবারের ‘মীরাক্কেল’। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে টেলিভিশনের ‘জি বাংলা’ চ্যানেলে শুরু হতে চলেছে দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় টিভি শো ‘মীরাক্কেল’। শো শুরুর আগে এখন থেকেই রীতিমতো সাজ সাজ রব। শোয়ের অন্যতম সঞ্চালক মীর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে এই আজব পাড়ার কিছু আগাম খবর ফাঁস করে দিলেন। বললেন, আসলে এই পাড়ার রোয়াকে ব্যান্ডেজকে নিয়ে আড্ডা মারি আমরা। গলা ছেড়ে গান গাই, মনের সুখে কবিতা বলি, অন্যের পেছনেও লাগি। আর এসব দেখেই খেপে ওঠেন খেকুরে জেঠু। আর তাতে সুযোগ পেলেই রীতিমতো ফোড়ন কাটতে ছাড়েন না ব্যালকনিতে বসা ওই তিন ভাড়াটে। ঠিক এভাবেই মজার চিত্রনাট্যে সেজে উঠতে চলছে মীরাক্কেল। অবশ্য এই পাড়াতে অদ্ভুত মানুষজনের পাশাপাশি থাকবে অদ্ভুতুড়ে সব দোকান পত্তরও। এই পাড়াতেই দেখা যাবে, মেকানিকের দোকান ‘কার-ফু গ্যারেজ’, থাকবে রোলের দোকান ‘রোল ক্যামেরা অ্যাকশন’, থাকবে ডাক্তারের চেম্বার ‘বলো হরি ক্লিনিক’। অবশ্য মীর জানালেন, ওই চেম্বারে নাকি প্রতি শনিবার একজন করে নার্স আসেন। আর নার্স এলেই নাকি ভিড় উপচে পড়ে চেম্বারে। রোগীতে রোগীতে সয়লাব হয়ে যায়।

জনপ্রিয় শোটির পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবার মীরাক্কেল ফরম্যাট পালটে গোটা একটা পাড়ার মধ্যেই মেতে উঠবে সবাই। যেমন ধরুন, পাড়ার একটি রাস্তার ধারে টিউবওয়েলে পানি আনতে গেল পাড়ার কচি মেয়েটি। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির ব্যান্ডেজের সদস্যারা। একটু কথা, একটু গান, তারপর...। ব্যাস, তারপরের ঘটনা ঘটার আগেই খেকুরে জেঠু চিৎকার দিয়ে উঠলেন, তাঁর ভাইঝিকে একা পেয়ে অশ্লীল কাণ্ড! আসলে পুরো নতুনত্বের মোড়কে ঠাসা থাকছে এবারের মীরাক্কেল। শোয়ের সঞ্চালক মীরের মতে, মীরাক্কেলের ননভেজ জোকসগুলো নাকি একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। আবার কেউ কেউ অতি গোপনে বলছেন, ননভেজ জোকসগুলো নাকি মন্দ লাগে না। তাহলে শ্লীল আর অশ্লীলের সীমারেখাটা ঠিক করবে কে? তবে এবারের মীরাক্কেলের মঞ্চে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনতে আদাপানি খেয়ে লেগেছেন মীর। জানিয়েছেন, আমরা খবর পেয়েছি, দিদি নিয়মিত টেলিভিশন দেখেন। তাহলে মীরাক্কেলে আসবেন না কেন? তবে হ্যাঁ, যেই এবার মীরাক্কেলে আসুন না কেন, তাঁকে কিন্তু অবশ্যই এই পাড়ায় ঘর ভাড়া নেওয়ার উসিলাতেই আসতে হবে।

এবার মীরাক্কেল ৯-এ এখন পর্যন্ত রয়েছেন ৩৩ জন প্রতিযোগী। যাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী রয়েছেন ১০ জন। তবে অডিশন চলছে। কাজেই আরো কিছু প্রতিযোগী শেষ দিকে এই শোয়ে অংশ নিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।  

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট