ট্যাটু জানাবে স্বাস্থ্যকথা

শখ করে অনেকেই শরীরের ট্যাটু আঁকেন। কিন্তু শখের এই ট্যাটু যদি কাজের জিনিসে পরিণত হয়? ট্যাটুর মধ্যে ফিটনেস ট্র্যাকার বসিয়ে দিয়ে সেই কাজটাই করেছে ‘ক্যায়োটিক মুন’ নামের একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। তবে প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এখনো তারা এই প্রযুক্তি নিয়ে বিস্তর গবেষণা করছে, যাতে এর ব্যবহার আরো বাড়ানো যায়। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ।
টেকক্রাঞ্চকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী বেন লাম জানিয়েছেন তারা ট্যাটু আঁকার জন্য ইলেকট্রো কনডাক্টিভ কালি ব্যবহার করা হয়েছে। কয়েক মাস আগে ক্যায়োটিক মুন প্রতিষ্ঠান কিনে নিয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান একসেনটিউর।
ফিটনেস ট্র্যাকার এই ট্যাটুর নাম দেওয়া হয়েছে, ‘টেক ট্যাট’। ক্যায়োটিক মুনের প্রধান নির্বাহী বেন লাম বলেন, ‘টেক ট্যাট আসলে এখন পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এটি একটি প্রোটোটাইপ ডিভাইস। এর আরো অনেক উন্নয়নের কাজ বাকি আছে। বিশেষ করে অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলছি আমরা এই ডিভাইসটিকে।’
কবে নাগাদ ব্যবহারকারীরা টেক ট্যাট ব্যবহার করতে পারবেন সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বেন। তিনি জানান, ‘আমাদের লক্ষ্য থাকবে ব্যবহারকারীদের হাতে একটা কার্যকরী প্রযুক্তি তুলে দেওয়া। সেজন্য আমরা বাড়তি কিছু যোগ করার চেষ্টা করছি।’

এর আগে ‘ফ্লাইং টাসের ড্রোন’ নামের একটি ড্রোন তৈরি করেছিল ক্যায়োটিক মুন। বেন লাম বলেন, ‘প্রযুক্তিকে মানুষের কল্যাণে কাজে লাগানোর ইচ্ছে থেকেই ড্রোনটি তৈরি করেছি আমরা। যা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে ভিডিও করতে পারবে। আবার প্রয়োজনে বহুতল ভবন রং করার ক্ষেত্রেও ড্রোনটিকে ব্যবহার করা যাবে।’

Next Post Previous Post