রোববার (২৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ না করে ফেসবুক শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব কি-না, এটা আপনারাই খোঁজ নেন। আশা করি খোঁজ নিয়ে আপনারাই উত্তরটা দেবেন। পৃথিবীর কোন দেশে, এমনকি যেখানে ফেসবুকের অ্যাডমিনও আছে, হান্ড্রেড পার্সেন্ট (শতভাগ) বন্ধ করা সম্ভব নয়।
উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপনারা কী অ্যাগ্রি করেন, আপনারা তো দীর্ঘদিন আছেন, আমি তো স্বল্পসময়। হান্ড্রেন্ড পার্সেন্ট কী বন্ধ করা সম্ভব?
তারানা হালিম বলেন, ফেসবুক হান্ড্রেড পার্সেন্ট বন্ধ করা সম্ভব নয়। ইন্টারনেট যতক্ষণ না সম্পূর্ণ শাটডাউন করেন। সেটা আমরা করতে চাই না। আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করবো না।
সবারই সীমাবদ্ধতা থাকে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তির মোকাবেলা করছি। কিন্তু কেউ যদি বলেন, একশ’ ভাগ এটি (ফেসবুক ব্যবহার) সম্ভব, আমি অনুরোধ করবো একশ’ ভাগ কীভাবে সম্ভব আমাকে একটু জানিয়ে যান। তাহলে তিনি একজন অত্যন্ত স্বনামধন্য উদ্ভাবক হিসেবে পুরস্কারও পেতে পারেন। পৃথিবীর কোথাও ইন্টারনেট শাটডাউন ছাড়া ফেসবুক বন্ধ রাখা কোনো প্রযুক্তিবিদ বলতে পারেননি।
বিকল্প পথে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি কম হলে ব্যবহার করতে পারবেন না। নাশকতাকারীরা ব্যবহার করলেও দ্রুত ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী।
কবে নাগাদ ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে- প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, এই কথাগুলো আমাকে আহত করে। এখানে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন মনে করবে এখন নিরাপদ, তখন খুলে দেওয়া হবে। যখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনে করবে, তখনই খুলে দেওয়া হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীসহ টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।