নয়াদিল্লি, ১২ ডিসেম্বর- নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেও গত বৃহস্পতিবার গাড়ি চাপা দেওয়ার মামলায় সালমান খানের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন বম্বে হাইকোর্ট। ‘বন্ধু’ সালমানের এই মুক্তির আনন্দে উচ্ছ্বসিত শাহরুখ খান। এ প্রসঙ্গে শাহরুখ খান বলেছেন, ‘সে আমার বন্ধু, সহকর্মী। তাঁর সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তাঁর বিরুদ্ধে আনা এই অভিযোগ থেকে আদালত তাঁকে মুক্তি দেওয়ায় আমি অনেক আনন্দিত।’ উচ্চ আদালতের এই রায়ের আগে এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে সালমান খানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন মুম্বাইয়ের দায়রা আদালত। সে রায়ের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সালমান। উচ্চ আদালত দায়রা আদালতের রায়ের দিনই সালমানের সাজা স্থগিত রেখে এ অভিনেতার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। বোম্বে হাইকোর্টের বিচারক তাঁর রায় লেখার সময় মন্তব্য করেছিলেন, এই রায়ে নিঃসন্দেহে সালমানের কাছে একটি বড় সুখবর। উচ্চ আদালতের বিচারক আরও বলেছিলেন, সালমানই যে গাড়ি চালাচ্ছিলেন কিংবা সেসময় তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন; এর কোনো প্রমাণ মেলেনি। আদালত আরও জানান বিভিন্ন সাক্ষী ও পুলিশ যে তথ্য প্রমাণ হিসেবে আদালতে জমা দিয়েছে, তা থেকে স্পষ্ট নয় যে, সালমানই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন। এই বলিউড তারকার দেহরক্ষী হিসেবে যে পুলিশ কর্মী ছিলেন, সেই রবীন্দ্র পাতিলের বক্তব্যকেও ‘পুরোপুরি বিশ্বাসযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেন দেশটির হাইকোর্ট। ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে বেন বার থেকে মুম্বাইতে নিজের ফ্ল্যাটের কাছে আমেরিকান এক্সপ্রেস বেকারির সামনের ফুটপাথে উঠে গিয়েছিল সালমান খানের গাড়ি। সেই গাড়ি চাপায় একজনের মৃত্যু হয়, জখম হয়েছিলেন আরও ৪ জন। এ মামলায় বেন বারের ম্যানেজার বয়ান দিয়েছেন যে, সালমান, কামাল খান ও সোহেল খান যে টেবিলে বসেছিলেন, সেই টেবিলে মদ পরিবেশন করা হয়েছিল। সালমানের হাতে ছিল সাদা রঙের পানীয়ের গ্লাস। পুলিশ প্রমাণ হিসেবে ওই টেবিলের বিলও জমা দিয়েছে। কিন্তু বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, শুধু বিল আর এই বয়ানে প্রমাণিত হয় না যে, সালমান খান মাতাল ছিলেন। এই প্রমাণ যথেষ্ট নয়। প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)