সৌদি বা দুবাই নয় এবার বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরেই নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের অন্যতম সেরা ২০১ গম্বুজের মসজিদ ! বাংলাদেশ ও পারে বিশ্বকে চমক দেখাতে! ২০১ টি গম্বুজ ও ৪৫১ ফিট বা ৫২ তলা উচ্চতম মিনারের নির্মান কাজ চলছে যা পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম মিনার। সব মিলিয়ে একটি নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়তে চলেছে এই মসজিদ।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের মসজিদের ইতিহাসে জায়গা করে নিতে যাচ্ছে নির্মাণাধীন ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ মসজিদ, নির্মাণাধীন এ ২০১ গম্বুজ মসজিদে থাকবে বিশ্বের বেশি সংখ্যক গম্বুজ ও ৪৫১ ফুট উচুঁ একটি মিনার। যা একটি বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করে গিনেস রেকর্ড বুকে নাম লেখাতে চলেছে, শুধু তাই আল্লাহর ঘর এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটি বাংলাদেশকে বিশ্বে নতুন করে পরিচিত করে তুলতে সহায়ক হবে এবং প্রচুর বিদেশি পর্যটক, ওলি আউলিয়ার আগমন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে ।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ
ট্রাস্টের উদ্যাগে মসজিদটি নির্মিত হচ্ছে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার
দক্ষিন পাথালিয়া গ্রামে ।
বাংলাদেশের ২০১ গম্বুজ মসজিদের পাশেই ৪৫১ ফুট/১৩৮ মিটার ৫৬ তলা উচ্চ বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম মিনারটি হবে বিশ্বের সবচাইতে উচু ইটের তৈরি মিনার! বিশ্বের সবচাইতে উচু ইটের তৈরি মিনারটি বর্তমানে রয়েছে ভারতের দিল্লির কুতুব মিনার যার উচ্চতা ৭৩ মিটার = ২৪০ ফিট , আর বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনারটি মরক্কোর কাসাব্লাংকায় দ্বিতীয় হাসান মসজিদে অবস্থিত। এর উচ্চতা ২১০ মিটার (৬৮৯ ফুট) তবে এটি ইটের তৈরি নয় ।
২৭১ শতাংশ জায়গায় নির্মাণাধীন মসজিদের কাজ ইতোমধ্যেই ৭৫% শেষ হয়েছে। নির্মাণাধীন অবস্থায়ই মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শুরু হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যাণ
ট্রাস্টের উদ্যাগে নির্মাণাধীন এ মসজিদে থাকবে ২০১টি গম্বুজ। বাংলাদেশ ও
বিশ্বের ইতিহাসে এত বেশি গম্বুজ বিশিষ্ট কোনো মসজিদ এর আগে নির্মাণ করা
হয়নি।
নির্মাণাধীন এ ২০১ গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদে
থাকবে অত্যাধুনিক সব সুবিধা। মসজিদটিতে একসঙ্গে প্রায় ১৫ হাজার মুসল্লি
নামাজ আদায় করতে পারবেন।
২০১ গম্বুজ মসজিদ ভিতরে দেখতে কেমন হবে ?
২০১ গম্বুজ মসজিদে দেয়ালের টাইলসে অংকিত থাকবে পূর্ণ পবিত্র কোরআন শরীফ,
তাই এই মসজিদে প্রবেশ করলে কোন কোরআন শরীফ নিয়ে প্রবেশ করতে হবে না, বসে বা দাড়িয়ে মসজিদের দেয়ালে কোরআন শরীফ পড়া যাবে ।
মসজিদের পশ্চিমের দেয়ালে অংকিত থাকবে সম্পূর্ণ পবিত্র কোরআন। আর মসজিদের প্রধান দরজায় ব্যবহার করা হবে ৫০ মন পিতল।
আজান প্রচারের জন্য মসজিদের পাশে নির্মাণ
করা হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে উচুঁ মিনার। উচ্চতার হিসেবে মিনারটি হবে প্রায়
৫৭ তলার সমপরিমাণ অর্থাৎ ৪৫১ ফুট।
মসজিদের পাশে নির্মাণ করা হবে আলাদা ভবন।
ওই ভবেন থাকবে, দুঃস্থ মহিলাদের জন্য বিনামূল্যের হাসপাতাল, এতিমখানা,
বৃদ্ধাশ্রম, দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা।
মসজিদটির নির্মাণ খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।
ঐতিহাসিক ২০১ গম্বুজ মসজিদের নির্মাণ কাজ
পরিদর্শন করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম কল্যান ট্রাষ্টের চেয়ারম্যান
বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম , স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এম হোসেন আলী সহ
স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ।
নির্মাতাদের প্রত্যাশা, শৈল্পিক স্থাপনা
হিসেবে এ মসজিদটি অনন্য বৈশিষ্ট্যের এক প্রতীক হয়ে দাঁড়াবে । ইতোমধ্যেই
(নির্মাণাধীন অবস্থায়) মসজিদটি দেশি-বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে
সক্ষম হয়েছে। প্রতিদিন অসংখ্য দেশি-বিদেশি পর্যটক নির্মাণ কাজ দেখতে ভিড়
জমাচ্ছেন।
মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৩
সালের জানুয়ারি মাসে। এ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা
রফিকুল ইসলাম কল্যাণ ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের মা রিজিয়া খাতুন।
আশা করা হচ্ছে, ২০১৭ সালের প্রথম দিকে পবিত্র কাবা শরিফের ইমামের উপস্থিতি ও ইমামতির মাধ্যমে মসজিদের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
নির্মাণাধীন এই মসজিদটির প্রতিমুহূর্তের
আপডেট পেতে অথবা যেকোন পরামর্শ ও আপনার অনুভুতি জানাতে সরাসরি যুক্ত হতে
পারেন তাদের নিজস্ব ফেসবুক পেজে এই লিংকে ক্লিক করে
এবার একনজরে দেখে নিন সেই অপার সৌন্দর্যের মসজিদের নির্মাণকাজ