স্তন ক্যান্সার নামটি ডাক্তার ও ভুক্তভোগী রোগীদের পাশাপাশি সুস্থ মহিলাদের জন্যও এক বড় আতঙ্কের নাম। ক্যান্সারের ফলে মহিলা মৃত্যুহারের বড় একটি অংশের কারণ হলো স্তন ক্যান্সার। ক্যান্সার ধরা পড়ার পর যেসব রোগীদের সুস্থ হবার একটু সুযোগ থাকে, সেসব রোগীদের ভবিষ্যতে এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশী। তাই এর যতো তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হবার সুযোগ ততো বেশী থাকে। রক্ত পরীক্ষা এই সুযোগকে আরো সহজ করে দিতে পারে।
গবেষকরা তাদের এই গবেষণাটির জন্য ৫৫ জন প্রাথমিক স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের টিউমর এবং ব্লাড টেস্ট স্যাম্পল নেন ( যাদের কেমোথেরাপী এবং সার্জারী সম্পন্ন হয়েছে ) । এরপর তাঁরা ব্লাড স্যাম্পল এবং টিউমর স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। এভাবে তাঁরা একটি “ MUTATION TRACKING ” নামের একটি প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন করেন , যা ক্যান্সার আক্রান্ত টিউমর থেকে রক্তে প্রবাহিত ডিএনএ শেড খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এভাবে রক্ত পরীক্ষা ২ বছরে প্রতি ছয় মাস অন্তর চলতে থাকে। এরই মধ্যে ১৫ জন রোগীর ক্যান্সারের পুনরবনতি ঘটে ( ক্যান্সার পুনরায় ফিরে আসে ) । অপর দিকে বিজ্ঞানীদের এর আগেই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের মধ্যে ১২ জনের এই পুনরবনতির কথা অনুধাবন করেন। ক্যান্সারের এই পুনরাবৃত্তি নজরে আসার ঘটার ৮ মাস আগে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিষয়টি বিজ্ঞানীদের নজরে আসে।
Institute of Cancer Research (ICR) এর Dr Nicholas Turner বলেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে দেখিয়েছেন যে একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কিভাবে ক্যান্সার পুনরাবৃত্তির কথা বর্তমানের প্রচলিত নিয়মের তুলনায় আগে ভাগেই জানা যায় । ICR এর চীফ এক্সিকিউটিভ Paul Workman জানান, এসব গবেষণার মাধ্যমেই জানা যায়, কীভাবে ক্যান্সার চিকিৎসা এর ধাপগুলো পরিহার করে। এসব প্রাপ্ত তথ্যের ফলে ভবিষ্যতে ক্যান্সার উপশমের ঔষধগুলো তৈরিতে অনেক সুবিধা হয়।