Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts
Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts

Ramadan 2023, Dieting tips

Ramadan 2023, Dieting tips


Ramadan is the holy month of fasting for Muslims, when they abstain from food and drink from dawn to sunset. During this time, it is important to maintain a healthy and balanced diet to ensure that the body receives adequate nutrition and energy to sustain daily activities. Here are some tips for a healthy Ramadan diet:


Suhoor (pre-dawn meal): This meal should be nutritious and filling to provide energy throughout the day. It should contain complex carbohydrates, proteins and healthy fats. Examples include oatmeal, whole grain bread, eggs, cheese, and nuts.


Hydration: It is important to drink plenty of water during non-fasting hours to prevent dehydration. Aim for at least 8 glasses of water a day and avoid sugary and caffeinated drinks.


Iftar (meal after sunset): Start with dates and water to break the fast, followed by a balanced meal that includes complex carbohydrates, protein, and healthy fats. Examples include grilled chicken or fish, lentil soup, salad and vegetables.


Portion control: Avoid overeating during iftar to avoid digestive problems. Eat slowly and stop when you're full.


Snacks: Choose healthy snacks like fresh fruit, nuts and yogurt to fuel you throughout the day.


Limit fried and processed foods: These foods are high in calories and unhealthy fats. Use healthier cooking methods such as grilling, baking, or steaming.


Stay active: Engage in light to moderate physical activity such as walking or yoga to stay active during Ramadan.


Be sure to consult a healthcare professional before making any significant changes to your diet or exercise, especially if you have any medical conditions.

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস করছিলো ডিএসইউ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস করছিলো ডিএসইউ।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার করে আসছে ডেসপারেটলি সিকিং আনসেনসরড (ডিএসইউ) নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের সদস্যরা। তারা বিশিষ্ট ব্যক্তি ও দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীদের ব্যক্তিগত ভিডিও ফাঁস এবং অন্যের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে পর্নোগ্রাফি প্রচার করতো। এসব অভিযোগে ওই গ্রুপের সক্রিয় তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) আব্দুল বাতেন।
তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি অপব্যবহারের দায়ে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ তাদের গ্রেফতার করে।
গত বুধবার দুপুরে কলাবাগান থানার গ্রিন রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় জুবায়ের আহম্মেদ (২১), তৌহিদুল ইসলাম অর্নব (১৯) ও মো. আসিফ রানা (১৮) নামে ডিএসইউর তিন অ্যাডমিন সদস্যকে। এ সময় তাদের কাছ থেকে কম্পিউটার হার্ডডিস্ক ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এই গ্রুপের সদস্য সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দেশের মেয়েদের প্রতি তথ্য প্রযুক্তির অপব্যবহার করে সাইবার অত্যাচার চালিয়ে আসছিল গ্রুপটি।
আব্দুল বাতেন বলেন, গ্রুপটিতে ১৮/২০ জন রয়েছে শুরু এডমিন দেখার জন্য। মালয়েশিয়া থেকে রাহুল চৌধুরীই মূলত এই ফেসবুক গ্রুপটি পরিচালনা করেন।
তিনি জানান, অবাধে ব্যক্তিগত আক্রমণ, লাইভ পর্নোসহ যৌনতার বিকৃত বহিঃপ্রকাশ চলে। তারা যে কোনো অপরিচিত মানুষের ছবি, গোপনে ধারণকৃত ভিডিও লিংক ফেসবুকে শেয়ার করে তাতে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে। এদের দ্বারা সমাজের প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি, অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ অনলাইনে লাঞ্ছনার শিকার হচ্ছেন।
এই ডিএমপি কর্মকর্তা জানান, এই কাজে তাদের একটি বিশাল ওয়েবসাইট রয়েছে। ইদানিং এই গ্রুপটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ পড়ুয়া এক মেয়ের ব্যক্তিগত ভিডিও অনলাইনে ফাঁস করে দেয়। মেয়েটির পরিচয় ও তার ভিডিওর লিংক এক লাখ বাইশ হাজার সদস্যের এই বিশাল গ্রুপ হতে একের পর এক শেয়ার হয়ে ফেসবুকে মূহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
তিনি বলেন, গ্রুপটির বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে কাউন্টার টেরোরিজম। প্রাপ্ত গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গ্রুপের এডমিনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালিত হয়। গতকাল দুপুর পর্যন্ত ঢাকার কলাবাগান থানাধীন গ্রিন রোডের পান্থপথের ১৫২/৭ নম্বর বাড়ির ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে অভিযান পরিচালনা করে তিন এডমিনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, ফেসবুক পেজটি বন্ধ করার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসইউর মূল ওয়েবসাইট বন্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের জন্য বিশেষ ব্রা তৈরি।

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের জন্য বিশেষ ব্রা তৈরি।

স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের রেডিয়োথেরাপি চলাকালে স্তন সঙ্কুচিত হয়ে যায়। স্তনের গঠনে মারাত্মক প্রভাব পড়ে। এছাড়াও অর্ধনগ্ন না হলে রেডিয়োথেরাপি করাও সম্ভব হয় না।
চিকিত্‍‌সা বিজ্ঞানের উন্নতিতে এবার এই সব অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে না নারীদের। কারণ এসব সমস্যা সমাধানে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ এক ধরণের ব্রা। এই উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন ব্রা একাধারে যেমন নারীদের সম্ভ্রম রক্ষা করবে, একই সঙ্গে রেডিয়োথেরাপির সাফল্যের হারও বাড়িয়ে দেবে অনেকটাই।
ব্রিটেনের শেফিল্ড হেলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিত্‍‌সা বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন এই হাইটেক ব্রা। এই ব্রা ক্যান্সার আক্রান্ত স্তনকে এমন একটি পজিশনে রাখবে, যার জেরে রেডিয়োথেরাপির সাফল্যের হার বেড়ে যাবে। এবং থেরাপির সময় আক্রান্ত নারীকে অর্ধনগ্ন থাকতে হবে না।
বিশ্বে বিপুল সংখ্যক নারী স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত। রয়্যাল কলেজ অফ রেডিয়োলজিস্টস-এর তথ্য বলছে, শুধু ব্রিটেনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার। ক্যান্সারে আক্রান্তদের তিন থেকে চার সপ্তাহ প্রতিদিন বিভিন্ন সেশনে রেডিয়োথেরাপি চলে। রেডিয়োথেরাপি চলাকালীন বর্তমানে নারীদের  কোমর পর্যন্ত উন্মুক্ত রাখতে হয়। তবে এখন থেকে থেরাপি চলাকালীন বিশেষ এই ব্রা পরে থাকা যাবে। রেডিয়েশন বিম শুষে নেবে ব্রা-টিতে ব্যবহৃত ফ্যাবরিক।
ইতোমধ্যেই এই ব্রা-র পরীক্ষামূলক সাফল্য পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আপাতত ব্রিটেনে চালু করা হয়েছে এই ব্রা। খুব শীঘ্রই বিশ্বের অন্যান্য দেশেও মিলবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। ব্রিটেনে ব্রা-টির দাম রাখা হয়েছে ৫০ পাউন্ড।

'ডট বাংলা' ডোমেইন পেল বাংলাদেশ।

'ডট বাংলা' ডোমেইন পেল বাংলাদেশ।

'ডট বাংলা' (.বাংলা) ডোমেইন চালু করার অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশ। ইন্টারনেট অ্যাসাইনড নাম্বারস অথোরিটির (আইএএনএ) ওয়েবসাইটে ইন্টারনেট কান্ট্রি কোড টপ-লেভেল ডোমেইনটি বাংলাদেশের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে ২০১২ সালেও ডোমেইনটি ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সে সময় অনুমতি পাওয়ার পরের তিন বছরেও বাংলাদেশ তা সক্রিয় করতে না পারায় ডোমেইনটি 'নট অ্যাসাইনড' হয়ে পড়ে এবং এতদিন সেই অবস্থাতেই ছিল।

এই ডোমেইনটি পেতে বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত ও সিয়েরা লিওনও আবেদন করেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশকেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ডোমেইনটি।

'ডট বাংলা' বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় ইন্টারনেট কান্ট্রি কোড টপ-লেভেল ডোমেইন। বাংলাদেশের প্রথম ইন্টারনেট কান্ট্রি কোড টপ-লেভেল ডোমেইন হচ্ছে 'ডট বিডি'।

টুথপেস্টের নিচে থাকা রঙের অর্থ কী?

টুথপেস্টের নিচে থাকা রঙের অর্থ কী?
 
প্রত্যেক মানুষই দিনে একবার বা দুবার টুথপেস্ট ব্যবহার করেন। প্রতিদিনই তাই এই পণ্যটি হাতে নিতে হয়। অথচ কখনো কি খেয়াল করেছেন, এর নিচের দিকে কিছু রং দেওয়া থাকে? এই রংগুলো কিন্তু এমনিতেই দেওয়া হয় না। এগুলো দিয়ে বোঝানো হয় কোন কোন উপাদান দিয়ে তৈরি হয়েছে টুথপেস্টটি, যাতে কেনার সময় আপনি নিজের পছন্দ অনুযায়ী কিনতে পারেন পণ্যটি। জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট মেটা গার্লি আমাদের জানিয়েছে এই রঙের অর্থ কী।
সবুজ : সব উপাদান প্রাকৃতিক (এই টুথপেস্ট তৈরি করতে সব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে)
নীল : কিছু উপাদান প্রাকৃতিক ও কিছু মেডিসিন (এই টুথপেস্ট তৈরি করতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ও কিছু মেডিসিন ব্যবহার করা হয়েছে)
লাল : কিছু উপাদান প্রাকৃতিক ও কিছু রাসায়নিক দ্রব্য (এই টুথপেস্ট তৈরি করতে কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ও কিছু রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়েছে)।
কালো : সব উপাদান রাসায়নিক দ্রব্য (এই টুথপেস্ট তৈরি করতে সব রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়েছে)।
মূলত এই রং পণ্যটিকে প্যাকেটজাত করার সময় কাজে লাগে। কারণ স্ক্যানারের মাধ্যমে রং দেখে সেই অনুযায়ী ভাগ করে প্যাকেটে ভরা হয়। তবে এই রং দেখে উপকৃত হতে পারেন ক্রেতারাও। এবার আপনিই সিদ্ধান্ত নিন এখন থেকে কোন রঙের টুথপেস্ট আপনি বেছে নেবেন।

স্টেমসেলের ব্যবহার।

স্টেমসেলের ব্যবহার।
স্টেমসেল গবেষণা মানবদেহের অনেক জটিল রোগ নিরাময়ে সাহায্য করতে পারবে। গবেষকেরা আগামী দিনে এমন একটি প্রাথমিক স্টেমসেল তৈরি করছেন, যার কর্মপ্রক্রিয়া তারা নিজেদের মতো করে নির্ধারণ করবে। এ গবেষণার উদ্দেশ্যে হচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোষ থেকে এসব স্টেমসেল তৈরি করা, যারা ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশেও কাজ করতে সক্ষম হবে।
স্টেমসেলের বিশেষ পরিবর্তন করে মস্তিষ্কের ক্যান্সার ধ্বংসকারী বিষ তৈরি করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক। এটি প্রয়োগ করে ক্যান্সার ধ্বংস করার ক্ষেত্রে সাফল্য পাওয়া গেছে। এতে রোগটির চিকিৎসা গবেষণায় নতুন সম্ভাবনা তৈরি হলো। জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে স্টেমসেলের পরিবর্তন ঘটানোর মাধ্যমে বিশেষ ধরনের বিষ তৈরি করা হয়েছে। স্টেমসেল থেকে নিঃসৃত ওই বিশেষ বিষ স্টেম সেল এবং মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কোষের কোনো ক্ষতি না করে শুধু ক্যান্সার কোষ বা টিউমার ধ্বংস করে। গবেষকেরা মানুষের মস্তিষ্কের ক্যান্সারের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হসপিটাল এবং হার্ভার্ড স্টেমসেল ইনস্টিটিউটের এক দল বিজ্ঞানী গবেষণা চালিয়ে স্টেমসেল থেকে ক্যান্সার ধ্বংসকারী বিষ উৎপাদনের প্রচেষ্টা চালান। গবেষকেরা দীর্ঘ দিন ধরেই স্টেমসেল ভিত্তিক থেরাপি বা চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন, যা অন্য কোষকে অক্ষত রেখে শুধু টিউমারই ধ্বংস করবে। তারা জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে স্টেমসেলকে বিষ উৎপাদনকারী কোষে পরিণত করলেও ওই বিষের প্রভাবে স্টেমসেল নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। একই সাথে বিষটি স্বাভাবিক ও সুস্থ কোষের জন্যও হুমকি নয়।
কোষের সব ধরনের গবেষণা এবং মস্তিষ্কের টিউমারের প্রোটিন গ্রহণপ্রক্রিয়া নিয়ে বিশ্লেষণ থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, স্টেমসেল থেকে নিঃসৃত বিষের কারণে ক্যান্সার কোষ ধ্বংস হয়। আগে বিভিন্ন ধরনের ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসায় ক্যান্সার ধ্বংসকারী বিষ ব্যবহার করে সাফল্য পাওয়া গেছে।
টেকো মাথায় চুল গজানোর সমস্যার সমাধানে আশার কথা শোনাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মানুষের স্টেম সেল ব্যবহার করে নতুন চুল গজানোর পরীক্ষায় সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফোর্ড-বার্নহাম মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (স্টানফোর্ড-বার্নহাম) গবেষণায় যাদের চুল পড়ে গেছে, তাদের জন্য সেলভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন।
গবেষকরা এমন একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন, যেখানে মানুষের স্টেমসেল থেকে নতুন সেল তৈরি হবে এবং তা চুল গজাতে সক্ষম হবে। বর্তমানে প্রচলিত প্রতিস্থাপন পদ্ধতির চেয়ে এটি উন্নততর। প্রতিস্থাপন পদ্ধতিতে বিদ্যমান চুল মাথার এক গ্রন্থি থেকে আরেক গ্রন্থিতে সরিয়ে নেয়া হয়। স্টেমসেল পদ্ধতিতে প্রতিস্থাপনের জন্য অগণিত নতুন সেল পাওয়া যাবে। ফলে বিদ্যমান চুলের গ্রন্থির সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে।
নতুন পদ্ধতিতে মানুষের প্লুরিপোটেন্ট স্টেমসেলগুলো ডার্মাল পাপিলা সেলে পরিণত হবে। এটি একটি অনন্য সেল হিসেবে কাজ করবে, যা গ্রন্থিকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং বৃদ্ধি ঘটাবে।

স্টেমসেলের সম্ভাবনা ও সঙ্কট।

স্টেমসেলের সম্ভাবনা ও সঙ্কট।
আমাদের জন্মের পর থেকেই শারীরিক বৃদ্ধির সময়ে স্টেমসেল একাধিক আলাদা আলাদা কোষে পরিণত হয়। স্টেমসেল অসংখ্য কোষে বিভক্ত হয়ে আমাদের শরীরের অনেক টিস্যুর অভ্যন্তরীণ মেরামতের কাজে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। আমাদের মাসলসেল, ব্লাডসেল ও ব্রেনসেলের মতো কার্যক্ষম সেলে পরিণত হতে পারে স্টেমসেল।
আমাদের শরীরে থাকা বা অন্যের থেকে নেয়া একটি বিশেষ কোষ সন্ধান দিতে পারে ব্লাড ক্যান্সার নিরাময়ের। স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্টেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এখন সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছতে শুরু করেছে এই সেবা।
জীবনের সুরক্ষার কথা ভেবে যদি বীমা করা হয়, বিভিন্ন রোগ রুখতে যদি আগাম টিকা দিতে হয়, তবে ‘স্টেমসেল’ সংরক্ষণ কেন করবেন না? এই ভাবনা থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে স্টেমসেল সংরক্ষণ।
স্টেমসেল আসলে শিশু এবং মায়ের নাড়ি যে কর্ডটির মাধ্যমে যুক্ত থাকে, সেটাই। এর নমুনা ও রক্ত সংরক্ষিত থাকলে ভবিষ্যতে সব ধরনের ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, বিশেষ ধরনের কিছু অ্যালার্জি ছাড়াও যকৃৎ, বৃক্কসহ রক্তের বিভিন্ন অসুখ সারানো সম্ভব হয়। জন্মের সময় ছাড়া পরে আর কখনো তা পাওয়া যায় না। তাই জিনিসটি সংরক্ষণ করে রেখে দিলে অনেক সুবিধা। বর্তমানে এসব নমুনা সংরক্ষণ করা হচ্ছে চেন্নাই ও গুরগাঁওয়ের পরীক্ষাগারে। দুর্যোগে, দুর্ঘটনায় বা পরীক্ষাগারে নমুনা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে দুই জায়গায় আলাদা রাখা হচ্ছে। সদ্যোজাত ও মায়ের নাড়ি এবং রক্ত সংরক্ষণ করতে খরচ পড়ে মাত্র ৪০ হাজার টাকা।
স্টেমসেল সাধারণত দু’টি উৎস থেকে উৎপন্ন হয় বিধায় এরা প্রধানত দুই রকমের হয়। ভ্রুণ বিকাশের সময় তৈরি হয় এমব্রায়োনিক স্টেমসেল আর প্রাপ্তবয়স্ক টিস্যুতে তৈরি হয় অ্যাডাল্ট স্টেমসেল। প্রতিটি স্টেমসেল বিভক্ত হয়ে অসংখ্য কোষে পরিণত হতে পারে।
ট্রান্সপ্লান্টেশন
আমাদের শরীরের যেকোনো অংশের টিস্যু ড্যামেজ হলে সেখানে স্টেমসেল কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। স্টেমসেল ছোট ছোট গোলাকৃতির হয়। ক্যান্সারের চিকিৎসায় এটি খুব কাজে লাগে। ক্যামোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি দেয়ার ফলে নিজস্ব স্টেমসেল নষ্ট হয়ে যায় অনেক সময়। ফলে সে জায়গায় নতুন স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ক্ষেত্রে ইনজেকশনের মাধ্যমে স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। এসব স্টেমসেল বোনম্যারোর ভেতরে ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয়। বোনম্যারোর ভেতরে ফ্যাটি টিস্যু রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে গেলে স্পেশালাইজড স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। আগে এই প্রক্রিয়াকে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন বলা হলেও এখন স্টেমসেল প্রতিস্থাপন হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। কারণ বোনম্যারো টিস্যু নয়, এ ক্ষেত্রে রক্তের স্টেমসেলই প্রতিস্থাপন করা হয়। স্টেমসেল প্রতিস্থাপন মূলত দুই ধরনের। অটোলোগাস ও অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্লান্টেশন।
অটোলোগাস ট্রান্সপ্লান্টেশন
এ ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে তার নিজস্ব স্টেমসেলই প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর শরীর থেকে স্টেমসেল সংগ্রহ করে স্পেশাল ফ্রিজে রাখা হয়। বছরের পর বছর এসব স্টেমসেল সংরক্ষণ করা যায়। রেডিয়েশন থেরাপির পরে ফ্রোজেন স্টেমসেল রোগীর শিরায় প্রতিস্থাপন করা হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক কোষকে বিভিন্ন অঙ্গে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলার পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য ২০১২ সালে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন স্টেমসেল গবেষক ব্রিটেনের স্যার জন গার্ডন ও জাপানের শিনিয়া ইয়ামানাকা। তাদের এ গবেষণার উদ্দেশ্যে হচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোষ থেকে এসব স্টেমসেল তৈরি করা, যারা ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশেও কাজ করতে সক্ষম হবে।
পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক
স্টেমসেল এই নামটি ইদানীং আমরা প্রায়ই শুনছি। মানুষের ভ্রুণের মধ্যে অবস্থিত স্টেমসেল নিয়ে চলছে নানা ধরনের গবেষণা। স্টেমসেল থেকে অনেক রকমের সেল বা কোষ পাওয়া যায়। মাতৃজঠরে যখন ভ্রুণের উৎপত্তি শুরু হয় প্রথম দিকে, কিন্তু সেল বা কোষগুলো একই রকম থাকে। এরপর এক পর্যায়ে কোনো সেল লিভারের কোষে পরিণত হয় যা থেকে মানুষের লিভার হয়, কোনো সেল কিডনি সেল, মস্তিষ্কের কোষ এবং চোখের কোষ তৈরি হয়। স্টেমসেলের এমন সম্ভাবনা আছে যে, এ ধরনের কোষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কোষ আমরা পেতে পারি।
কারো ডায়াবেটিস হলে, তার যদি টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হয় তাহলে বেটাসেলগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তার মধ্যে যদি স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয় এবং সেই স্টেমসেলগুলো তার মধ্যে বেটাসেল তৈরি করে তাহলে তার ডায়াবেটিস সেরে যেতে পারে। কারো যদি মস্তিষ্কের অসুখ হয়ে থাকে, মস্তিষ্কের কোনো কোষ নষ্ট হয়ে গেছে কিংবা মারা গেছে তাহলে এই কোষগুলোকেও পুনরায় জাগিয়ে তোলা যেতে পারে যদি ঠিকমতো তার মধ্যে স্টেমসেলগুলো প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়। আর এ কারণেই স্টেমসেলের গবেষণার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
ভবিষ্যতে অনেক রোগের প্রতিষেধক ওষুধ হয়তো এ গবেষণার মাধ্যমে আসতে পারে। যেহেতু এই সেলগুলো আমরা ভ্রুণ থেকে পেয়ে থাকি, তাই এই সেলগুলোর ওপর গবেষণা চালানোর মানে হচ্ছে, মানবশিশুরা এ সেলগুলো থেকে হতে পারতো তা আমরা হতে দিচ্ছি না। এটাকে এক ধরনের হত্যাও বলা হচ্ছে। অনেকে বলছে এমন কোনো অধিকার আমাদের নেই। এ জন্যই বিতর্ক হচ্ছে।
স্টেমসেলের গবেষণার এসব বিষয় নিয়ে গোটা বিশ্বেই এখন চলছে নানা বিতর্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ বিতর্ক সবচেয়ে বেশি। বিজ্ঞানীরা এই গবেষণার পক্ষে অবস্থান নিলেও সেখানকার ধর্মীয় নেতারা এ গবেষণার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার সহায়তা দিয়ে থাকলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ স্টেমসেল নিয়ে গবেষণার ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেন। বিজ্ঞানীদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও এত দিন ধরে এ বিধিনিষেধ অব্যাহত ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি পাল্টেছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি এ ধরনের গবেষণা কর্মের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য নিজেরা আইন করে এ গবেষণাকর্ম নিষিদ্ধ করেছে। অবাক বিষয় হলো এর পরেও চলছে গবেষণা।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা দূর করুন।

ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা দূর করুন।
নাক ডাকা খুব একটা ভালো লক্ষণ নয়। অনেকেই এটাকে কোনো সমস্যাই মনে করেন না। কিন্তু জেনে রাখুন, হৃদরোগের প্রাথমিক লক্ষণ হলো ঘুমের সময় নাক ডাকা। মজার ব্যাপার হলো যিনি নাক ডাকেন তিনি কখনোই স্বীকার করতে চান না যে তিনি নাক ডাকেন। তবে ঠিকই কিন্তু পাশের জনের অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

তাই নাক ডাকার ব্যাপারটিকে কখনোই হালকাভাবে নেয়া উচিত নয়। সাধারণত শ্বাসনালী সরু হলে ঘুমের সময় নাক ডাকার শব্দ হয়। চাইলে ঘরোয়াভাবে এই নাক ডাকা সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

আপেল ও গাজরের রস নাক ডাকার সমস্যায় দারুণ কার্যকর। কারণ গাজর ও আপেলের রয়েছে শ্বাসনালী চওড়া করার অদ্ভূত ক্ষমতা।

২টি আপেল ও ২টি গাজর ছোটো করে কেটে নিয়ে সাথে পানি মিশিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করতে দিন। এরপর একটি লেবুর এক-চতুর্থাংশ কেটে নিয়ে চিপে ব্লেন্ডারে দিন। সাথে ১ চা চামচা আদা কুচি করে মিশিয়ে আবার ব্লেন্ড করুন। ভালো মতো ব্লেন্ড করার পর ছেঁকে রসটুকু নিয়ে নিন। এই পানীয় প্রতিদিন খেলে আপনার নাক ডাকার সমস্যা দৌঁড়ে পালাবে।

নাক ডাকার সমস্যায় আরেকটি কার্যকরী ওষুধ হলো হলুদের চা। হলুদের চা বানাতে ২ কাপ পানি চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিন। পানি ভালো মতো ফুটলে ১ চামচ কাঁচা হলুদ বাটা পানিতে দিয়ে দিন। কাঁচা হলুদ না থাকলে গুঁড়ো হলুদও দিতে পারেন।

ভালোমতো জ্বাল দেয়ার পর পানি কমে ১ কাপ হলে চুলা থেকে নামিয়ে ছেঁকে নিন। এরপর এর সাথে ১/২ চা চামচ মধু ও ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস মেশান। রাতে ঘুমুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে কাপে নিয়ে খেয়ে ফেলুন।

নাক ডাকার সমস্যা অচিরেই দূর হবে।

Easily download videos from Hotstar.com on Windows 7/8/10 using Hotstar Downloader.

Easily download videos from Hotstar.com on Windows 7/8/10 using Hotstar Downloader.

Hotstar is one of the most premium online Entertainment destinations in India as it hosts lots of online content from various TV channels such as Star Plus, Asia Net, Life OK, Channel V etc and also some unique content of its own. So sometimes we may miss an episode or two or we may simply want to collect all epsiodes of our favorite tv serial so that we can watch it anytime and anywhere , So here’s the most easy method to Download Hotstar videos ,TV shows etc right on your Windows 7/8/10 by using Hotstar Downloader Tutorial / Method to Download hotstar Videos using Hotstar Downloader
  • First of all Download & Install hotstar downloader for Windows from the following links –
    Click here to Download Hotstar downloader for Windows 7/8/10
    Mirror Link # Click here to download Hotstar Video downloader from Mirror
  • Once, you have downloaded and Installed Hotstar Video Downloader , Navigate to Hotstar.com Website on your browser , and click on any TV show / Video you want to stream , it will start playing in your browser – Now here copy the complete URL as shown in the following Image –
    HotStar URL
    After you have copied the URL, return to your desktop and Launch the installed Hotstar downloader app , by double clicking the icon .
  • Now, a pop-up Command window will be shown on your screen, In the command window Paste in the URL of the hotstar Stream as shown below and press the “Enter” key.
  • Now, once you’ve pasted the URL in the Video it will list all the available streams as per the quality available here type in the quality of stream which you want to download (e.g 360p) as shown in the figure below & press “Enter” key.
    Select & Type in Quality from Mentioned Streams
    After you have typed in the quality it will ask you whether to play or to download , here type in “d” and hit enter key.
  • Now, once you have typed in the character “d” your download will begin as shown below –
    HotStar download Started Successfully!
  • The “3s @ 1.8 MB/s” indicate that 3 seconds of the TV show have been downloaded at 1.8 MB/s , That’s it ! Now you can easily download any Hotstar videos and TV shows of your choice at your convenience.
  • The Files are saved in the Folder “c:\hotstardownloader\windows” just make sure you don’t use much off your net bandwidth as the downloader requires some bandwidth to download.

Click here to Download Hotstar downloader for Windows 7/8/10

 

Update !! : HotStar updated their site, we too have updated our HotStar downloader, Please uninstall any previous versions and download & re-install the new updated version for a smooth downloading experience.

মোবাইল ফোন জ্যামার সহ তিন জন গ্রেফতার।

মোবাইল ফোন জ্যামার সহ তিন জন গ্রেফতার।
মোবাইল ফোন জ্যামারসহ ঢাকায় নিষিদ্ধ সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের তিন সন্দেহভাজন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

সংস্থাটির ডেপুটি কমিশনার মুনতাসিরুল ইসলাম বিবিসিকে জানিয়েছেন, আকটকৃতরা নিজেদের মধ্যে বৈঠকের সময় এই জ্যামার ব্যাবহার করতো।

বৈঠকের তথ্য সম্পর্কে পরবর্তীতে ফোন আলাপ গোপন রাখতেও মোবাইল জ্যামার ব্যাবহার করা হতো।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব বিষয় তারা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে কি ধরনের বিষয় নিয়ে তারা আলাপ করতো সেটি নিশ্চিত নয়।
ঢাকার উত্তরা থেকে গতরাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশে কোন সংগঠন কর্তৃক মোবাইল জ্যামার ব্যাবহার সম্পর্কে এর আগে খুব একটা শোনা যায়নি।

জেনে নিন কোকাকোলা দিয়ে চুল ধুলে কী হয়? (ভিডিও)

জেনে নিন কোকাকোলা দিয়ে চুল ধুলে কী হয়? (ভিডিও)

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন :

খাওয়া ছাড়াও অনেক কাজ আছে যা কোকাকোলা দিয়ে করা সম্ভব। গাড়ির ভেতরের ময়লা পরিষ্কার করা থেকে বাথরুম পরিষ্কারের কাজেও কোকাকোলা ব্যবহৃত হয়। মজার বিষয় হলো, চুল ধোয়ার জন্যও আপনি কোকাকোলা ব্যবহার করতে পারবেন! কী অবাক হলেন? ভাবছেন, কোকাকোলা খাবেন না মাথায় দেবেন?
হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌন্দর্যবিষয়ক ব্লগার এলকো তার ব্লগে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা গেছে যে, তিনি কোকাকোলা দিয়ে নিজের চুল ধুয়ে পরিষ্কার করছেন। গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের কসমোপলিটন ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হওয়ার পর ভিডিওটি আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মূলত সুপার মডেল সুকি ওয়াটারহাউসকে দেখে এলকো অনুপ্রাণিত হয়েছেন। সুকি যুক্তরাজ্যের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় বলেছেন, তিনি মাঝে মাঝে নিজের চুল ধোয়ার জন্য কোমল পানীয় ব্যবহার করে থাকেন এবং এর ফলে তার চুলের পুরো লুকই বদলে যায়। এ বিষয়ে সুকি বলেন, ‘চুল এতটাই এলোমোলো হয় যেন মনে হয় আমি আমাজান বা অন্য কোথাও থেকে এসেছি।’
সুকির মতো এলকোও কোকাকোলা দিয়ে চুল ধুয়ে বেশ সন্তুষ্ট। এলকো বলেন, কোকাকোলা তাঁর চুলকে মজবুত করেছে। ‘আমি অবশ্যই এই কাজটি আবারও করব।’ বললেন এলকো।
কিন্তু শুধু সুকি এবং এলকোই এই কাজটি করেননি। সেভেনটিন ম্যাগাজিনে গত এপ্রিল মাসে এমনই একটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছিল। যার ফলাফলে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল।
কেউ কেউ বলেছেন, কোকাকোলা তাঁদের চুলকে বেশ মজবুত করেছে আবার কেউ বা বলেছেন পদ্ধতিটি তাঁদের পছন্দ হয়েছে কিন্তু সব সময় তাঁরা চুলে কোকাকোলা ব্যবহার করবেন না। কারণ শ্যাম্পু আর কোকাকোলার মাঝে তাঁরা খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পাননি।
তবে কোকাকোলা চুলের উপকার করে না অপকার করে সেটা ব্যবহারের পরেই বুঝতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে আজই একবার কোকাকোলা দিয়ে চুল ধুয়ে দেখুন তো কী ঘটে?

নাক দেখে মানুষ চেনার পদ্ধতি।

নাক দেখে মানুষ চেনার পদ্ধতি।
অনেকেই বলেন যে চেহারা দেখেই নাকি একজন মানুষের চরিত্র সম্পর্কে বেশ ধারণা পাওয়া যায়! মানে মানুষটি রাগি, নাকি কোমল স্বভাবের; হাসিখুশি, নাকি গম্ভীর-সবই চেহারা দেখে বুঝে নেন অনেকে। তবে এবার মানুষকে বোঝার আরো সহজ চিহ্ণ নির্ধারণ করেছেন গবেষকরা। তাঁরা বলছেন, যখন কারো সঙ্গে আপনার প্রথম দেখা হবে তখন ভালো করে খেয়াল করবেন তাঁর নাকের গঠন। আর তাতেই নাকি আপনি বুঝতে পারবেন মানুষটি কী রকম!
তো চলুন জেনে নিই, নাক দেখে মানুষ চেনার পদ্ধতি।

১। সোজা নাক

সোজা নাকের অধিকারী ব্যক্তিরা হন ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ী। স্বভাবে এরা গোছানো এবং কাজে দক্ষ। এমনকি সংকটের সময়েও এরা নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারেন।

২। চওড়া নাক

যাঁদের নাক চওড়া হয়, তাঁদের থাকের নেতৃত্বের দারুণ গুণ। সেই সঙ্গে এঁদের ব্যক্তিত্বও হয় কঠিন।

৩। মাংসল নাক

এই ধরনের নাকের গোড়টা সরু হলের পুরো নাকের দৈর্ঘ্য বেশ বড় হয়। এই ধরনের আকৃতির নাক যাঁদের, তাঁরা খুব দ্রুত চিন্তা করতে পারেন এবং জানেন কীভাবে জলদি কাজ করতে হয়। বেশির ভাগ সময়ই এঁরা বেশ চালাক হন।

৪। চ্যাপ্টা নাক

চ্যাপ্টা নাকের অধিকারীরা হন দয়ালু আর আশাবাদী স্বভাবের। এঁরা সেই ধরনের মানুষ, যাঁদের ভালোবাসা দেওয়ার ও নেওয়ার ক্ষমতা প্রচুর। এই ধরনের নাকওয়ালা ব্যক্তিরা পরীক্ষামূলক কাজ করতে ভালোবাসেন। এঁরা উদ্যমী স্বভাবেরও হন।

৫। বাঁকা নাক

নিচের দিকে বাঁকানো নাক থাকে যেসব ব্যক্তিদের, তাঁরা সাধারণত নিজের মতো করে জীবনযাপন করেন। কোনো নেতাকে অনুসরণ করা এদের স্বভাবে নেই। বেশির ভাগ সময় এরা বিদ্রোহী স্বভাবের হন।

যে কারনে ছেলেদের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের বাঁদিকে! জেনে নিন মজার একটি তথ্য।

যে কারনে ছেলেদের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের বাঁদিকে! জেনে নিন মজার একটি তথ্য।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এমন অনেক ব্যাপারই আছে যা শুধুমাত্র পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে দেখে দেখেই আমাদের জীবনযাত্রার সাথে জড়িয়ে ফেলেছি আমরা। মাঝে মধ্যে কৌতুহলী মনে এমন অনেক ব্যাপারই উকি দেয় হয়তো অনেকেরই। এ বিষয়টা এমন কেন? ঐ জিনিসটা ওমন কেন ? এমন না হয়ে একটু অন্যরকম হলেই বা কি এমন ক্ষতি হত, এমন শত কৌতুহল থাকা অবান্তর কিছু নয় ।

দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে সংস্কৃতি, আচার -আচরন লালন ও পালন করছি তা কিন্তু এমনি এমনি চলে আসেনি । প্রত্যেকটা বিষয়ের পেছনেই আছে কিছু না কিছু গল্প । এমন অনেক বিষয়ের মত অনেকের কাছে খুব সাধারন কৌতুহলের একটি বিষয় ‘ ছেলেদের জামার বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের কেন বাঁদিকেই হয়’ ?

তবে এবার এমন কৌতুহলের ক্ষুধা মেটাতেই সেই ‘রহস্যের’ উত্তর দিয়েছে ‘এই সময়’  –
এবার জানুন তাহলে অনুসন্ধানী মনের চোখ-কান খুলে –
ছেলেদের আর মেয়েদের জামার বোতামে ভিন্নতার প্রসঙ্গে সেই নেপোলিয়ান যুগ  থেকে ঘোড়ায় চড়া, তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ থেকে শুরু করে কোলের সন্তানকে দুধ খাওয়ানো পর্যন্ত নানামুখি ব্যাখ্যা আছে ।  এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব শোনা যায়, ভিন্ন ভিন্ন গল্পও প্রচলিত আছে । তবে কোনোটাই খণ্ডন করার নয়।
তবে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য গল্পটা হল, নেপোলিয়ান বোনাপার্টের যেকোনো ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে ঢোকানো এটা তখনই হয়, যদি কোটের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। বলা হয়, মেয়েদের ডানহাতও নাকি সেভাবেই থাকত। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন । তা নেপোলিয়ানের কানেও গিয়েছিল। এর পর তারই নির্দেশে মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেওয়া হয়।
somoyerkonthosor5
পুরুষরা সাধারণত নিজের জামা নিজেই পরে এসেছেন। তা তিনি রাজা-মহারাজাই হোন, বা অতি সাধারণ কেউ। কিন্তু, সম্পন্ন পরিবারের মেয়েদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকতেন। তারাই জামা পরিয়ে দিতেন। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেওয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই মেয়েদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখাই দস্তুর।
রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে হয়েছে তরোয়াল। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই জামার বোতাম বসানো হত ডান দিকে।
আর মহিলাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়।
somoyerkonthosor5
পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তরোয়াল চালাতে সুবিধা হয়। সেই তরোয়াল গোঁজা থাকত বাঁ-কোমরে। বের করার সময় তরোয়াল যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। মেয়েরা যখন ঘোড়ায় চড়ত বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে।
somoyerkonthosor5
আরও একটি তত্ত্ব হল, মেয়েরা যে পুরুষদের থেকে কোনও অংশে কম নন, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরেছেন। তার পরেও বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিত ভাবেই মেয়েরা জামার বাঁদিকে বোতাম বসিয়েছেন।

নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে প্রিয় মানুষের ব্যক্তিত্ব জানার সহজ উপায় !

নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে প্রিয় মানুষের ব্যক্তিত্ব জানার সহজ উপায় !
 আপনার কি জানা আছে, আপনার ব্যক্তিত্বে বিশেষ প্রভাব ফেলে আপনার নামের প্রথম অক্ষর। তাহলে জেনে নিন,আপনার নামের প্রথম অক্ষর কী ভাবে আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে জেনে নিন।



A– যদি কোনও মেয়ে বা ছেলের নাম ইংরেজির A অক্ষর দিয়ে শুরু হয়, তা হলে এমন ব্যক্তি খুবই আকর্ষক হয়ে থাকেন। এই অক্ষরের ব্যক্তিরা ভালোবাসা এবং যে কোনও সম্বন্ধকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু এঁরা খুব বেশি রোম্যান্টিক হন না। সমস্ত কিছুই এঁরা খুব দেরিতে পান। বহু বাধা অতিক্রম করে সেই সমস্ত জিনিস লাভ করেন তাঁরা। কিন্তু সাফল্য পেতে শুরু করলে এঁদের পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। সাফল্যের চূড়ায় থাকেন এঁরা। জীবনে সংঘর্ষ করতে হয়। কিন্তু অবশেষে নিজের লক্ষ্য জয় করেন। এঁদের মনের জোড় খুব একটা না-থাকলেও, দরকারের সময়ে এঁরা অপ্রত্যাশিত কাজ করে ফেলেন। তবে এঁরা রাগী মেজাজের। এঁরা লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পছন্দ করেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

B– এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয়, তাঁরা খুবই সংবেদনশীল। ছোট-ছোট কথাও তাঁদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। আবার ছোট-ছোট কথাতেই এঁরা খুশি হয়ে যান। এরা ভুল থেকে শিক্ষা নেন এবং নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করেন। B অক্ষরের নামের ব্যক্তিরা খুব রোম্যান্টিক। B অক্ষরের লোকেরা সাধারণত প্রেম বিবাহ করে থাকেন। বাহ্যিক সৌন্দর্য এঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। টাকাকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এঁরা। সাধারণত সাহসী। তাই এই অক্ষরের লোকেরা সাধারণত সেনা বা বিপদসঙ্কুল ক্ষেত্রে চাকরি করেন। নিজের পরিশ্রমের ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। সাধারণত এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম, তাঁরা ধনী হয়ে থাকেন। তবে মুডি স্বভাবের কারমে অনেকে তাঁদের অহংকারী মনে করে থাকেন। খুব একটা বন্ধু বান্ধব থাকেন না। তবে কোনও বন্ধু থাকলে তাঁর সঙ্গে খুব গভীর সম্পর্ক রাখেন এঁরা।

C– এঁরা সকলের সঙ্গে ঘোলামেলা করতে পারেন। সব সময় হাসি-খুশি থাকেন। এঁরা ভাবুক স্বভাবের। এঁরা স্পষ্টবক্তা। তবে ইচ্ছা করে কাওকে কষ্ট দেন না। ভালোবাসায় এঁদের অগাধ বিশ্বাস। এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম, তাঁরা ভালো দেখতে হন। যে কেরিয়ারই বাছুন না-কেন, উন্নতি অনিবার্য। অর্থাভাবে থাকেন না।

D– যে কোনও মূল্যে নিজের পছন্দের জিনিস হাসিল করে থাকেন এঁরা। কাজের প্রতি একনিষ্ঠ। আপসহীন হন। লক্ষ্যে না-পৌঁছনো পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান। তাই এঁরা জেদিও হয়ে থাকেন। পরিশ্রমী হন। সরস্বতী এবং লক্ষ্মী– উভয়ের আর্শীবাদ পান এঁরা। এঁরা নতুন কিছু করতে চান। এঁদের কাছ থেকে অবশ্যই কিছু না-কিছু শেখা যায়। জেদি হওয়ায় অনেকে এঁদের অহংকারী মনে করেন।

E– এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয় তাঁরা খুব বেশি কথা বলেন। হাসি-ঠাট্টা করে থাকেন খুব। তবে বেশি কথা বলার কারণে সবসময় সমস্যায় পড়ে যান। এঁরা যেমন ব্যবহার করেন, তেমনই ব্যবহার আশা করে থাকেন। তা না-হলে কড়া কথা শুনিয়ে দেন। এর খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা করেন না। চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা, ব্যবসা এবং অর্থের অধিকারী হন। এঁরা সবসময় হাসিখুশি থাকেন। এঁদের সকলেই খুব পছন্দ করে।

F– এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয়, তাঁদের জীবনে ভালোবাসার স্থান সর্বোপরি। এঁরা প্রয়োজনের বেশি ভাবুক হয়। এই অক্ষরের নামের লোকেরা লেখক হয়ে থাকেন। যেখানে যান, সেখানে সকলকে আপন করে নেন। এঁরা খুব আকর্ষক এবং রোম্যান্টিক। এঁরা সহজেই সকলকে সাহায্য করে থাকেন। খুব আত্মবিশ্বাসী। জীবনে সমস্ত কিছুর মধ্যেই ভারসাম্য বজায় রাখেন এঁরা।

G– এই অক্ষরের নামের ব্যক্তির মন খুব পরিষ্কার। তাই অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হন এঁরা। একই ভুল বার বার করেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নেন। এঁদের বন্ধুর সংখ্যা কম, শান্তিপ্রিয়, আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু রেগে গেলে কারও কথা শোনেন না। কম কথা বলেন।

H– এই অক্ষরের নামের লোকেরা খুব সংবেদনশীল। নিজের মনের কথা কারও সামনে প্রকাশ করেন না। এমনকি দুঃখে বা আনন্দেও কাউকে কিছু বলেন না। এই অক্ষরের নামের ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব খুবই রহস্যময়। নিজের সম্মান নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন। যাঁদের নাম H অক্ষর তাঁরা খুব বুদ্ধিমান হন। এঁরা সাধারণত রাজনীতি এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কারও প্রতি নিজের ভালোবাসা সহজে ব্যক্ত করেন না। কিন্তু কাউকে ভালোবাসলে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন। বৈবাহিক জীবন সুখী হয়। কারও সঙ্গে বন্ধুত্বও করেন না এবং কারও সঙ্গে শত্রুতাও করেন না। খুব অর্থ উপার্জন করেন।

I– এই ব্যক্তিরা শুধুমাত্র ভালোবাসার ভাষা বোঝেন। ভালোবাসা দিয়েই তাঁদের মন জয় করা যায়। এঁরা খুব ভাবুক। এঁরা মাথা দিয়ে কোনও কিছু ভাবেন না। মনের কথা শোনেন। তাই অনেকেই এঁদের সহজে বোকা বানিয়ে দেয়। সবসময় মনের কথা শোনার জন্য অনেক কিছুই হারিয়ে থাকেন এঁরা। জীবনে অনেক কিছু পেয়ে থাকলেও, তার সুখ কমই ভোগ করতে পারেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞান রাখেন। অর্থাভাব হয় না। বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান।

J– সম্বন্ধের প্রতি সত্‍‌ এবং বিশ্বস্ত। শরীরের পাশাপাশি এঁদের মনও খুব সুন্দর হয়। খুব নখরবাজ। বাছবিচার রাখেন। যা চান তাই নিজের জোরে হাসিল করে থাকেন। টাকা, সম্মান এবং ভালোবাসা– সবই এঁদের কাছে থাকে। জীবনে খুব উন্নতি করেন। এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের জীবনসঙ্গীর নাম, তাঁরা খুব ভাগ্যশালী।

K– এঁরা খুব ঠোঁটকাটা। যা মনে থাকে তাই বলে দেন। কোনও কথা বলার আগে কিছু ভাবেন না। নিজের ব্যাপারে ভাবতে পারেন। নিজের লাভের জন্য যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারেন। অনেক অর্থ উপার্জন করেন। কিন্তু মান-সম্মানের তোয়াক্কা করেন না। এঁদের সকলেই ভয় পায়। এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম, তাঁদের বেশির ভাগই ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন। এঁরা দেখতে খুব সুন্দর। অনেকেই এঁদের প্রতি আকর্ষিত হন। বাহ্যিক সৌন্দর্য পছন্দ করেন।

L– ভালোবাসা এবং রোম্যান্সই এঁদের কাছে সব। সব কথাই মন দিয়ে ভাবেন। যে কোনও সম্পর্ককে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কাউকে কষ্ট দেন না। ছোট ছোট জিনিসেই এঁরা খুশি থাকেন। সমাজ এবং পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাফল্য লাভ করেন। সবসময় হাসি-খুশি থাকেন এঁরা। সাহিত্যকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন। অর্থাভাব হয় না।

M- এঁরা খুব ভাবুক স্বভাবের। সব সময় গভীর চিন্তা-ভাবনায় ডুবে থাকেন। এ কারণে এঁরা অন্যের জন্য ঘাতক প্রমাণিত হতে পারেন। তাই এমন ব্যক্তিকে কখনও বিরক্ত করবেন না। কোনও কিছু একবার ধরে নিলে এঁরা সহজে ছাড়তে চান না। ভাগ্য এঁদের সঙ্গে থাকেন। তাই অর্থ এবং সম্মান– দুই-ই এঁদের হাতের মুঠোয় থাকে। এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয়, তাঁরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রকে নিজের কেরিয়ার হিসেবে নির্বাচিত করেন। এঁরা সুবক্তা এবং লেখক।

N- আপনি আবেগপ্রবণ৷ সম্পর্কের গভীরতা বোঝেন৷সবকিছুতেই নিজের হাত পাকাতে পছন্দ করেন৷

O- স্বাভাবের দিক থেকে হাসিখুশি ও মজাদার হলেও সিরিয়াসলি কাজ করে টাকা জমাতে আপনি পছন্দ করেন৷ অতিরিক্ত পজেসিভনেস আপনার সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে৷

P- সামাজিকতা ও স্টেটাস সম্পর্কে আপনি খুব সচেতন৷ আপনার পার্টনার সুন্দরী ও ইন্টেলিজেন্ট হওয়াই কাম্য৷

Q- সবসময় নিজেকে কাজের মধ্যে রাখতে ভালোবাসেন৷অন্যের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকা আপনার পছন্দের৷সাদা ফুল আপনার খুব পছন্দের৷

R- নিজেকে সবসময় সেরা প্রমাণ করার তাগিদ রয়েছে আপনার ভিতর৷

S- আদর্শবাদী, রোমান্টিক এবং একইসাথে আপনি সংবেদনশীল৷কথা দিয়ে কথা রাখতে পছন্দ করেন৷

T- আপনি খুব সংবেদনশীল৷ ব্যক্তিগত স্পেসে কাউকে ঢুকতে দেন না৷প্রেমে পড়লেও খুব একটা অনুভূতি প্রকাশ আপনার পছন্দ নয়৷

U- প্রেম আপনার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ৷ তাই প্রেমহীন জীবনের কল্পনাও আপনি করতে পারেন না৷অন্যকে উপহার দিতে ভালোবাসেন৷

V- অত্যন্ত স্বাধীনচেতা৷ সম্পর্কে স্পেস পছন্দ করেন৷কখনও কখন একটু ছটফটে৷

W- অত্যন্ত অহংকারী৷ প্রেমের ব্যাপারে চট করে মুখ খুলতে চান না৷ইগো আপনার বড় সমস্যা৷ প্রেমিক হিসেবে খুব একটা বিশ্বস্ত নন৷

X- অল্পেতেই বোর হয়ে যান৷একসঙ্গে দুটো কাজ অনায়াসে করতে পারেন আপনি৷

Y- কোনো কিছু আপনার মনের মতো না হলে তক্ষুণি আপনি তা ছেড়ে দেন৷প্রতিযোগিতার দৌড়ে সামিল হওয়া আপনার পছন্দের৷

Z- অত্যন্ত রোমান্টিক৷ প্রেমিকাকে আগলে রাখাই আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য।

দেহ ব্যবসায় ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে সেক্স ডল! (ভিডিও সহ দেখুন)

 দেহ ব্যবসায় ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে সেক্স ডল! (ভিডিও সহ দেখুন)
চীনে নারীদের স্থান দখল করে নিচ্ছে সেক্স ডল।দেখতে অবিকল জীবন্তর মতোই। নরম তুলতুলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।নামেই ডল, কিন্তু শয্যায় একেবারে এক নারীর মতো আচরণ করছে চীনা সেক্স ডল। জীবন্ত নারীর মত অনুভূতি না থাকলেও এই সেক্স ডল চীনের পুরুষদের যৌন চাহিদা মেটাতে নারীর বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। সম্প্রতি এই সেক্স ডলের বিক্রি বেড়ে গেছে।  বেইজিংয়ে বিক্রি হওয়া এরকম সেক্স ডলের মূল্য প্রায় দুই হাজার পাঁচশ’ ডলার। থার্মোপ্লাস্টিক ইলাস্টোমার দিয়ে তৈরি ওই সেক্স ডল সিলিকনের চাইতেও নরম এবং মানুষের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের মতো এরও আছে যৌনাঙ্গ।তবে এই পুতুল এমন কিছু সুবিধা তুলে দিচ্ছে যা সমাজিক কাঠামোর পরিপন্থী নয়।  নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক পুরুষই জানাচ্ছেন, এই পুতুল তাঁদের ইচ্ছে পূরণ করছে তো বটেই। কিন্তু তাতে কোনো অপরাধবোধ থাকছে না। বিবাহিত পুরুষরাও জানাচ্ছেন তাঁরা তাঁদের স্ত্রীকে ঠকাচ্ছেন এমনটাও নয়। অথচ অন্যকোনো উপায়ে এই চাহিদা মেটাতে গেলে হয়তো সেই গ্লানির মধ্যে পড়তে হতো। দেহ ব্যববসার রমরমাও অনেকাংশেই কমিয়ে দিচ্ছে এই সেক্স ডল। এ ছাড়া বেশ কিছু দেশে  একটি সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকা আছে। সে ক্ষেত্রে শাস্তি এড়াতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে ভ্রূণহত্যার ঘটনা। এই যৌনতা মেটানোর বিকল্প ব্যবস্থা কমিয়ে দিচ্ছে সে ঘটনাও।

দেহ ব্যবসায় ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে সেক্স ডল! (ভিডিও)

মোবাইল কিংবা স্কাইপে বিয়ে? জেনে নিন ইসলাম কি বলে...

মোবাইল কিংবা স্কাইপে বিয়ে? জেনে নিন ইসলাম কি বলে...
biye_43045 মোবাইল ফোনে বিয়ে বলতে বোঝানো হয় আক্বদের অনুষ্ঠানে কোনো কারণে বর-কনের মধ্য থেকে কোনো একজনের উপস্থিতি সম্ভব না হলে উপস্থিত পক্ষের কোনো একজন সাক্ষীদের সামনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনুপস্থিত পক্ষকে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া।অনুপস্থিত পক্ষ সাক্ষীদের কাছ থেকে দূরে বহু দূরে অবস্থান করে অপর প্রান্ত থেকে তা কবুল করে নেওয়া।
ইসলামের দৃষ্টিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পাদিত এ ধরনের বিবাহের হুকুম: শরয়ি দৃষ্টিকোণে বিবাহ সহিহ হওয়ার জন্য কিছু মৌলিক শর্ত রয়েছে। যেগুলোর কোনো একটি শর্তের অনুপস্থিতি শরিয়ত মোতাবেক নিকাহ অশুদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মৌলিক শর্ত হচ্ছে-
১.বর-কনের ইজাব কবুল দুজন যোগ্য সাক্ষীর সামনে সম্পাদন হওয়া। ইজাব যেসব সাক্ষীর সামনে হবে কবুল, ঠিক সেই সাক্ষীদের উপস্থিতিতেই হতে হবে।
২.সাক্ষীদ্বয় বর-কনের ইজাব-কবুল সরাসরি শুনতে হবে।
৩.ইজাব ও কবুল একই মজলিসে(বৈঠকে) সম্পাদন হওয়া আবশ্যক।
৪.ইজাব-কবুল উভয় সাক্ষীর একসঙ্গে শুনতে হবে। উপরের শর্ত গুলো যদি মোবাইল কিংবা স্কাকাইপ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।
শরিয়তে আরো কিছু গায়েবায়ানা বিয়ের ব্যাবস্থা রয়েছেঃ
১.বর বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে কনেকে বা কনের নিযুক্ত উকিলকে চিঠি লিখবে। চিঠি কনের বা কনের নিযুক্ত উকিলের হস্তগত হলে শরিয়তসম্মত সাক্ষীদের সামনে ওই চিঠি পাঠ করা হবে। পাঠ শেষে কনে বা নিযুক্ত উকিল ওই মজলিসেই বলবে যে, আমি বা কনের পক্ষে আমি বিবাহ কবুল করলাম। তাহলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
২.কনে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে বরকে বা বরের নিযুক্ত উকিলকে চিঠি লিখবে। চিঠি বরের বা বরের নিযুক্ত উকিলের হস্তগত হলে শরিয়তসম্মত সাক্ষীদের সামনে ওই চিঠি পাঠ করা হবে। পাঠ শেষে বর বা নিযুক্ত উকিল ওই মজলিসেই বলবে যে, আমি বা বরের পক্ষে আমি বিবাহ কবুল করলাম। তাহলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
৩.প্রবাসীরা দেশে অবস্থিত কাউকে নিজের বিবাহের উকিল নিযুক্ত করে তাকে বলে দেবে যে ‘অমুক মেয়ের সঙ্গে তুমি আমার বিবাহ সম্পাদন করে দাও’ এরপর ওই উকিল দুজন শরিয়তসম্মত সাক্ষীর সামনে নিজ মুয়াক্কিলের পক্ষ থেকে সরাসরি কনের সঙ্গে বা কনের পক্ষ থেকে নিযুক্ত উকিলের সঙ্গে ইজাব-কবুল করে নেবে।
৪.অথবা চিঠি বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বর, কনেকে বা কনে, বরকে নিজের বিয়ের উকিল নিযুক্ত করবে। তখন উকিল বর হোক বা কনে শরিয়ত মোতাবেক সাক্ষীদের সামনে বলবে- তোমরা সাক্ষী থাকো আমি আমার মুয়াক্কিল অমুকের বিবাহ আমার সঙ্গে সম্পাদন করলাম। তাহলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
প্রবাসীদের জন্য ওপরে উল্লিখিত চারটি পদ্ধতির যেকোনো একটি অবলম্বন করার অনুমতি রয়েছে। তবে তৃতীয় পদ্ধতিটি আমাদের দেশের সমাজের জন্য মানানসই। সবশেষে বলব যে, মোবাইলে প্রকৃতপক্ষে বিবাহ সহিহ হয় না।
হ্যাঁ, তবে উকিল বানিয়ে এভাবে করা সহিহ। যে তাদের পক্ষ থেকে উকিল হয়ে বিবাহের আকদ করাতে পারে। সর্বোপরি বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন যার মাধ্যমে শুধু স্বামী স্ত্রীই নয় বরং উভয় ফ্যামিলির সেতু বন্ধনের পথ তৈরী হয়,বিয়ের অনুষ্ঠান উভয় পরিবারের মধ্যে একটি আনন্দ ঘন মুহূর্ত থাকে।
উপস্থিত সকলে বর কনের সুখের জন্য দোয়া করে থাকেন, কিন্তু মোবাইল ফোনে বিয়া হলে সেই আনন্দ টা আর থাকেনা এমন কি বিয়ে অনুষ্ঠানে ইমাম সাহেবের খুতবা শোনার সওয়াব থেকেও বঞ্চিত হয়।

জেনে নিন কোন রাশির মেয়েরা কেমন হয়!

জেনে নিন কোন রাশির মেয়েরা কেমন হয়!


কোন রাশির মেয়েরা কেমন হয়! সৃষ্টির শুরু থেকেই নারীর প্রতি পুরুষের কোন এক অজানা কারণে আকর্ষণ রয়েছে। এই আকর্ষণ থেকেই পুরুষ চায় সবসময় নারীর সাথে ঘনিষ্ঠ হতে। কিন্তু যদি দু’জনের স্বভাব-চরিত্র না মেলে তখনই বাঁধে বিপত্তি। তাই আগেই জেনে নেয়া উচিত কোন রাশির জাতিকা কিংবা মেয়ে কেমন।

মেষ রাশির নারী (২১ মার্চ – ২০ এপ্রিল) : জীবনের সব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করে মেষ রাশির নারী। সহজাত নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা থাকে তাদের। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার প্রবণতা দেখা যায় তাদের মাঝে। প্রতিটা দিন কর্মচঞ্চল করে রাখার ব্যাপারে তাদের জুড়ি নেই। কখনও কখনও নিজের ক্ষমতার বেশি কাজের ভার নিয়ে ফেলে তারা। অনেক সময়ে একটা কাজ শেষ না করেই আরেকটা শুরু করে দেয়। জীবনের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে থাকেন মেষ রাশির জাতিকা। একটা ভালো কাজ করার সুযোগ পেলে তারা সেটা করে ফেলবে, এতে তার নিজের কতখানি লাভ হলো সেটা নিয়ে চিন্তা করবে না। নিজের মতামত জানানোর ব্যাপারে একেবারেই ঠোঁটকাটা তারা। কখনও কখনও মেষ নারী এতই সফল হয়ে থাকে যে অন্যরাও তার মতো হতে চায় (যদিও পেরে ওঠে না)। প্রেমের ক্ষেত্রে মেষ নারী কেমন হয়? মেষ রাশির প্রতীক চালিত হয় আগুনের উপাদানে। এ থেকেই বোঝা যায়, মেষ নারীর প্রেমও হয় তেমনই উষ্ণ। প্রেমের ক্ষেত্রে মেষ নারী নিজেই উদ্যগ নিয়ে থাকতে পারে কিন্তু তার সঙ্গীকেও হতে হয় শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সঙ্গী পুরুষের ব্যক্তিত্ব দুর্বল হলে খুব দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন মেষ নারী। মেষ নারীর সাথে তর্ক হলে তেমন বিচলিত হবেন না। এই তর্কের মাধ্যমেও সম্পর্ক পোক্ত হয়ে উঠতে পারে।

বৃষ (২১ এপ্রিল – ২১ মে) : প্রথম দেখায় বৃষ নারীকে মনে হবে খুব শান্তশিষ্ট, মিষ্টি প্রকৃতির। সাধারণত তিনি আপনার সাথে এমন মিষ্টি আচরণই করবেন, কিন্তু রেগে গেলে তবেই তার আসল রূপ দেখতে পাবেন। বৃষ নারীর চরিত্রের “সুগার কোটিং”-এর নিচে রয়েছে আগুনে মেজাজ। এর আওতায় না পড়ার চেষ্টা করুন। তবে ভালোবাসার ছোট্ট ছোট্ট উপহার পেতে পছন্দ করেন বৃষ নারী। তাকে উৎসর্গ করতে পারেন নিজের তৈরি একটি কবিতা অথবা অন্যরকম কিছু ফুল, সাথে অবশ্যই আন্তরিক অনুভুতি। রাগ গলে পানি হয়ে যাবে। বৃষ নারীর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো, তারা হয়ে থাকে খুবই একগুঁয়ে। কোনো কিছু পাওয়ার জন্য কোমর বেঁধে লাগেন তারা। মানসিক শক্তির দিক দিয়েও তারা যথেষ্টই কঠোর। তবে যতই কঠোর হোক না কেন, তারা যথেষ্ট মমতাময়ী হয়ে থাকেন। বৃষ নারী হয়ে থাকেন বিচক্ষণ এবং ধৈর্যশীল। এ কারণে তার সফলতা আসে প্রচুর। বৃষের উপাদান হলো মৃত্তিকা, আর তাই তার মাঝে মাতৃসুলভ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে শান্তিতে থাকতেই পছন্দ করেন বৃষ নারী। জীবনে নিরাপত্তার অনুভুতি পেতেও তিনি পছন্দ করেন। সাধারণত বৃষ নারী একই ভুল বার বার করেন না। ভালোবাসার ক্ষেত্রে ধীরস্থির এবং মিষ্টি ভাব নিয়ে অগ্রসর হোন বৃষ নারীর দিকে। একটু সময় নিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলতে তারা পছন্দ করেন। প্রেমের ক্ষেত্রে তাকে তাড়া না দেওয়াই ভালো। কিছু সীমানা মেনে চলেন তারা। এবং সঙ্গীরও উচিত এই সীমানাকে শ্রদ্ধা করে চলা।

মিথুন (২২ মে – ২১ জুন) : একজন মিথুন নারীকে বুঝে ওঠা বেশ কঠিন। আকাশের মেঘ ধরে রাখা যেমন কঠিন, মিথুনের মন বোঝাও তেমনি কঠিন। কারণ একজন নয়, তার মাঝে দেখতে পাবেন বহু নারীর ছায়া। কেউ কেউ মিথুন নারীর চরিত্রে বিরক্ত হতে পারেন, কিন্তু তারা নিজেদের ব্যক্তিত্বে স্বতন্ত্র। ক্ষণে ক্ষণে তার মাঝে পরিবর্তন আসতে পারে। পৃথিবীর সব কিছু নিয়ে তার মাঝে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেক ক্ষেত্রেই সৃজনশীলতা দেখা যায় তার মাঝে। আশাবাদী মনোভাব থাকার কারণে যে কোনো পরিস্থিতিতে তিনি মানিয়ে নিতে পারেন। মিথুন রাশির প্রতীকে রয়েছে একটি নয়, বরং দুইটি সত্ত্বা। মিথুন রাশির জাতিকার ব্যক্তিত্বে একটি নয়, বরং দুই বা তারও বেশি স্বাতন্ত্র্য দেখা যায়। এর ফলে তার ব্যক্তিত্ব অস্থিতিশীল মনে হতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে একটু খুঁতখুঁতে হতে পারেন মিথুন নারী। তবে তিনি নিজের পছন্দের সেই ভাগ্যবান ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে তখন আর কোনও রকমের সংকোচ করেন না নিজের অনুভূতি প্রকাশে। আর এই সম্পর্ক সাধারণত হয়ে থাকে দীর্ঘস্থায়ী।
কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই) : কর্কট নারীর চরিত্রে চাঁদের প্রভাব প্রবল। চাঁদের কলা বাড়া-কমার মতই ওঠানামা করে কর্কট নারীর মেজাজ। সাধারণত তিনি যথেষ্ট সহজ সরল এবং শান্তিপ্রিয়। তবে তার অনুভুতি হতে পারে অনেক অনেক জটিল। সবগুলো রাশির মাঝে কর্কট নারীর বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা সবচাইতে কঠিন। এরা হয়ে থাকে খুব খুব স্পর্শকাতর। বিশেষ করে কর্কট নারীকে সমালোচনা করার ব্যাপারে খুব সাবধান থাকুন। এই সমালোচনা তারা সারা জীবন মনে রাখবে। বুদ্ধির পাশাপাশি কর্কট নারীর অনুমানশক্তিও হয় খুব প্রখর। কোনও ব্যক্তির ব্যাপারে খুব কম জেনেও সে আসলে ভালো না খারাপ তা ধারনা করে নিতে পারে কর্কট নারী এবং এই ধারনা সাধারণত ঠিক হয়ে থাকে। অন্যদের ব্যাপারে সহানুভূতি দেখাতেও কর্কট নারী সিদ্ধহস্ত। প্রেমের ব্যাপারে কর্কট নারীকে একটু সময় দিতে হবে। হুট করে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়তে নারাজ। সঙ্গীকে তারা বিশ্বাস করতেও সময় নেন। এছাড়া খুব সহজেই কষ্ট পান তারা। এসব কারণে সম্পর্কের প্রাথমিক পর্যায় একটু ঝড়ো হলেও পরবর্তী পর্যায়ে সম্পর্ক অনেক মিষ্টি হয়ে ওঠে।
সিংহ (২৩ জুলাই – ২৩ আগস্ট) : এই রাশির নারীর মাঝে সিংহের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। তারা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন সাধারণত। তাকে না ঘাঁটানোই ভালো। নাখোশ হয়ে গেলে উপহার এবং মিষ্টি মিষ্টি কথা দিয়ে তাকে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে আগে। তারা যেমন বুদ্ধিমতী হয়ে থাকেন, তেমনি শক্তিশালী চরিত্র এবং সৃজনশীলতা দেখা যায় তাদের মাঝে। প্রেমের ক্ষেত্রে এই রাশির নারী কোনও রকমের ছাড় দিতে রাজী হন না। তাকে খুশি করতে পারলে আপনার সম্পর্ক হয়ে উঠতে পারে প্রেমের গল্পের মতই রোমান্টিক এবং একই সাথে ড্রামাটিক। সঙ্গীর জীবনে তিনি হয়ে থাকতে চান সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং একই সাথে সঙ্গীকে তার প্রাপ্য গুরুত্ব দিতেও তিনি পিছ পা হন না।
কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর) : কন্যা রাশির নারী হবে একেবারেই নারীসুলভ এবং চুপচাপ, অবলা প্রকৃতির? এটা ভাবলে বিশাল ভুল করবেন। অন্যান্য রাশির চাইতে একটু চুপচাপ হলেও তারা একেবারে শান্তশিষ্ট নয়। কেউ কেউ খুব গোছালো। কেউ কেউ আবার ভয়াবহ রকমের অগোছালো। কন্যা রাশির নারীর মাঝে নিজেকে “নিখুঁত” করে গড়ে তোলার প্রবণতা দেখা যায়। নিজেকে আরও উন্নত করে তুলতে গিয়ে তারা জীবনকে জটিল করে ফেলেন অনেক সময়ে। কন্যা রাশির প্রতীক হলো কুমারী এবং এই কারণে তার মাঝে দেখা যায় একটু লাজুক বৈশিষ্ট্য। সময়ের কাজ সময়ে করতে ভালোবাসেন তিনি। ভালোবাসেন প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে। প্রেমের ক্ষেত্রে কন্যার মাঝে দেখা যায় প্রচ্ছন্ন সংকল্প এবং শক্তি। সত্যিকারের ভালবাসায় বিশ্বাসী তিনি। ভালোবাসার নামে ভুলেও তার হৃদয় নিয়ে খেলা করতে যাবেন না। তিনি প্রেমে পড়েনও না খুব সহজে। কিন্তু একবার প্রেমে পড়লে তিনি সেই সম্পর্ককে করে তোলেন দীর্ঘস্থায়ী।
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর) : তুলারাশির নারী সৌন্দর্য, ন্যায় এবং ভারসাম্যের প্রতীক। দাঁড়িপাল্লার মতই তার চরিত্রেও দেখা যায় সমতা। এরা অন্যদের সাথে ভালো মিশতে পারে। শুধু তাই নয়, তুলা নারীর প্রতি অন্যদের আকর্ষণ থাকে প্রবল। এ কারণে অন্যদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকতে কোনও সমস্যাই হয় না তার। প্রকৃতির দুই বিপরীত শক্তি (ইন ও ইয়াং) এর মিশ্রন দেখা যায় তুলা রাশির নারীর মাঝে। এ কারণে তার মাঝে দেখা যায় একই সাথে যৌক্তিক বিবেচনা এবং অযৌক্তিক আবেগ। যুক্তি দিয়ে যে কোনও কিছু তাকে বোঝাতে পারবেন আপনি। একই সাথে আপনার আবেগের মুল্য দিতেও তিনি সিদ্ধহস্ত।
বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর) : ১২ টি রাশির মাঝে সবচাইতে “সেক্সি” হলেন বৃশ্চিক নারী। একই সাথে তিনি রহস্যময়ী। চুম্বকের মতো আকর্ষণে আপনাকে জড়িয়ে ফেলতে পারেন তিনি। তখন তাকে মনে হবে এক গভীর সাগর, যে মুহূর্তেই প্রশান্ত আবার মুহূর্তেই উত্তাল। প্রকৃতির সাথে একই সুরে বাধা তার মেজাজ। কখনও হালকাভাবে নেবেন না বৃশ্চিক নারীকে। একদম সোজাসাপটা আচরণ পছন্দ করেন তিনি। আত্মবিশ্বাসী, শক্তিশালী বৃশ্চিক নারী। পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পছন্দ করেন তারা। কখনও কখনও নিজের ক্ষতি করে বসেন। কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে চাপা একটি সৌন্দর্য রয়েছে তাদের ব্যক্তিত্বে। তাদের মনের ভেতরটা অনেক জটিল। এই জটিলতার রহস্য সবাইকে জানাতেও ইচ্ছুক না তারা। তাই কোনও বৃশ্চিক নারীর মন বুঝতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করাই শ্রেয়।
ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) : ধনু রাশির নারীর মাঝে প্রচ্ছন্ন দার্শনিক বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। সব পরিস্থিতিতেই সত্যের খোঁজ করেন তিনি। অনেক বৈচিত্র্য দেখা যায় তার চরিত্রে এবং সব অভিজ্ঞতাকেই তিনি মুল্যবান বলে মনে করেন। নিজের জীবনের সার্থকতা খুঁজে বেড়ান তিনি। খুব স্বতঃস্ফূর্ত এবং স্বাধীনচেতা এই নারীর গভীর ব্যক্তিত্ব অনেকের কাছেই আকর্ষণীয়। কোনও বাঁধাধরা নিয়মের বেড়াজালে আটকাতে যাবেন না বৃশ্চিক নারীকে, সহসাই সেই জাল ছিঁড়ে চলে যাবেন তিনি।
মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি) : উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং নেতৃত্ব দেবার মনোভাব মকর নারীকে নিয়ে যায় সাফল্যের চূড়ায়। এই সাফল্য অর্জন করার পথে কোনও বাধাই সহ্য করেন না তিনি। সুতরাং তার ইচ্ছেপূরণের বিরোধীতা করবেন না কখনোই। আপনাকেও ধুলোয় ফেলে যেতে তিনি দ্বিধা করবেন না। মকর নারী হয়ে থাকেন একগুঁয়ে। খুব সহজে নিজের মেজাজ খারাপ করেন না তিনি। মাথা ঠাণ্ডা রেখেই নিজের প্রতিযোগীকে পিষে ফেলেন পায়ের নিচে।
কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) : হাতের মুঠোয় বাতাস ধরে রাখতে পারবেন আপনি? পারবেন না। কুম্ভ নারীকে কোনও রকম শৃঙ্খলে আটকে রাখাটাও একই রকমের অসম্ভব। তার চরিত্র বোঝার চেষ্টা করাতাও একই রকমের অসম্ভব। কারন আপনার সব ধারনাকে ভুল প্রমাণিত করে তিনি পরিবর্তিত হয়ে যাবেন মুহূর্তের মাঝে। এই বাতাসের মতই তিনি পরিবর্তনশীল, কখনও মৃদুমন্দ আবার কখনও ঝড়ো বিধ্বংসী। কিন্তু এই ঝড়ের কেন্দ্রে রয়েছেন চমৎকার একজন নারী। জীবনের প্রতি ইতিবাচক তাদের মনোভাব। অনেক ক্ষেত্রেই সমাজসেবী হয়ে থাকেন তারা। নিজেরদের বুদ্ধি এবং সৃজনশীলতা দিয়ে চমৎকার সব আইডিয়া তৈরি করে ফেলতে পারেন তারা। কুম্ভ নারী অন্যের অযাচিত উপদেশ শুনতে মোটেই পছন্দ করেন না। কিন্তু আপনার যে কোনও প্রয়োজনে তাদের সাহায্য পাবেন আপনি। তারা নিজেরা বেশ কার্যকরী উপদেশ দিতে পারেন। ভ্রমন করতে পছন্দ করেন তারা। ভালোবাসেন নতুন, কিন্তু একই সাথে পুরনোর প্রতি তাদের অদ্ভুত এক মায়া দেখা যায়।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) : মীন রাশির নারীর ভেতরে লুকিয়ে আছে অনেক অনেক রহস্য। প্রাণবন্ত এবং রোমান্টিক তিনি। বাইরে থেকে দেখে যেমনটা মনে হয়, তার থেকে একেবারেই অন্যরকম ব্যক্তিত্ব লুকিয়ে রাখেন তারা। হয়ে থাকেন স্পর্শকাতর, আবেগী, কিন্তু সেটা সহজে বুঝতে দেন না কাউকে। সত্যিকারের স্বপ্নচারী হয়ে থাকেন মীন নারী। গভীর আধ্যাত্মিক মানসিকতা রয়েছে তার মাঝে। খুব সাধারণ কোনও কিছুর মাঝেও অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজে বের করেন তিনি, যেটা অন্য কারও চোখে পড়বেই না। তারা হয়ে থাকেন বেশ সৃজনশীল। পরিচিত-অপরিচিত সবার প্রতিই দয়ালু হয়ে থাকেন তারা। তার চরিত্রের অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হলো, বাস্তবতা যখন কঠিন হয়ে যায়, তখন মীন নারী নিজের কল্পনার জগতে হারিয়ে যেতে পারেন সহজেই। এর মাধ্যমে নিজের দুঃখকে সবার থেকে আড়াল করে রাখতে পারেন মীন নারী।

স্বপ্নে কেন মৃত ব্যক্তিরা বারবার আসে ?

 স্বপ্নে কেন মৃত ব্যক্তিরা বারবার আসে ?
স্বপ্নে  কেন বারবার আসে মৃত ব্যক্তিরা?

স্বপ্ন দেখা মানুষের মজ্জাগত অভ্যাস। অনেক সময় স্বপ্নে উঁকি মারেন মৃত আত্মীয়-বন্ধুরা। কী কারণে ঘুমের মাঝে তাদের আগমন ঘটে? কী বার্তা দিতে চান তারা? এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেন বিশেষজ্ঞরা। ইহজীবনের মায়া কাটিয়েছেন বেশ কয়েক বছর। আচমকা পর পর তিনদিন সেই প্রিয় বন্ধুকে স্বপ্নে দেখতে পেলে চমকে ওঠা স্বাভাবিক। কিন্তু এমন স্বপ্ন দেখার অর্থ কী? স্বপ্ন বিশেষজ্ঞদের মতে, তাত্‍পর্য খুঁজতে গেলে সাহায্য নিতে হবে মনোবিজ্ঞান ও আধ্যাত্মিক বিশারদদের। আধ্যাত্মবাদীদের মতে, স্বপ্নের মাধ্যমে জীবিতদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে চান পরলোকবাসী। জেগে থাকা অবস্থায় আমাদের পাঁচটি ইন্দ্রিয় সজাগ এবং ব্যস্ত থাকে। ফলে মৃতদের সূক্ষ্ম বার্তা-তরঙ্গ আমরা অনুভব করতে ব্যর্থ হই। ঘুমন্ত মানুষের মগজ অতি সূক্ষ্ণ বার্তাও পড়ে ফেলতে পারে। এ কারণে সেই সময়টিই বেছে নেন যোগাযোগে উত্‍সাহী পরলোকের বাসিন্দারা। মনোবিদরা অবশ্য এ তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, মৃত ঘনিষ্ঠজনের প্রতি যত্নশীল না হওয়ার দরুণ অবচেতন মনে অপরাধবোধ তৈরি হয়। তাদের মৃত্যুর পর সেই অপরাধবোধ এক মানসিক বিপন্নতা সৃষ্টি করে, যার জেরে প্রায়ই মৃতদের স্বপ্ন দেখেন জীবিতরা। আসলে অবচেতনে জমে থাকা অনুশোচনা এ সময় বহির্মনে ফুটে ওঠে। আধ্যাত্মবাদীরা বলেন, প্রধানত দুই কারণে মৃতরা স্বপ্নে আবির্ভূত হন। প্রথমত, জীবিত ঘনিষ্ঠজনের থেকে তারা কোনো সাহায্য প্রার্থনা করেন, যা পরলোকে তাদের যাত্রা সুগম করতে পারে। দ্বিতীয়ত, কোনো জীবিত ব্যক্তির ওপর তার ক্ষোভ থাকলে অথবা কারো ওপর প্রতিহিংসা নিতে চাইলে জীবিত আত্মীয় বা বন্ধুদের সাহায্যে তা চরিতার্থ করতে চান বলেই স্বপ্নে এসে দেখা দেন। তবে দ্বিতীয় কারণটি সচরাচর ঘটে না। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একই মৃত ব্যক্তি যদি অন্তত তিনবার স্বপ্নে উপস্থিত হন, তবেই স্বপ্নটির আধ্যাত্মিক তাত্‍পর্যের সম্ভাবনা থাকে। তাদের মতে, মৃত ব্যক্তির যদি বিশ্বাস থাকে যে, নির্দিষ্ট জীবিত মানুষটি তার উপকার করবেন, তবেই বারবার তার সঙ্গে স্বপ্নে দেখা করার চেষ্টা করেন। সাধারণত দীর্ঘদিন ধরে অসুখে ভুগে মারা গেলে অথবা জরাঘটিত মৃত্যু ঘটলে সেই ব্যক্তির স্বপ্ন ঘন ঘন দেখা যায় না। কিন্তু যাদের অপঘাতে বা আচমকা মৃত্যু হয়, ঘনিষ্ঠরা তাদেরই একাধিকবার স্বপ্নে দেখতে পান। আধ্যাত্মবাদীদের ব্যাখ্যা, বেশ কিছুদিন ধরে রোগে ভুগলে মানসিকভাবে মৃত্যুর জন্য তৈরি হয়ে যায় মানুষ। কিন্তু অপঘাতে বা হঠাত্‍ মৃত্যু হলে মন তার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সারতে পারে না। এ কারণে পরলোকে পৌঁছেও স্বস্তি মেলে না। তাই জীবিত বন্ধু-পরিজনদের স্বপ্নে ঘন ঘন হাজির হয় সেই বিদেহী আত্মা। তাদের সাহায্যে পরলোক থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আকুতি জানান।

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা


সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় জানা যায় যে, যে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীদের প্রাথমিক পর্যায়ের স্তন ক্যান্সারের টিউমরের ডিএনএ শনাক্ত করা যায়, সেই পরীক্ষার মাধ্যমে সেই ক্যান্সারের অবনতি ঘটার সম্ভাবনা আছে কি নেই , তা বুঝা  যায়। গবেষণাটির ফলাফল  Science Translational Medicine এ প্রকাশিত হয়।
স্তন ক্যান্সার নামটি ডাক্তার ও ভুক্তভোগী রোগীদের পাশাপাশি সুস্থ মহিলাদের জন্যও এক বড় আতঙ্কের নাম। ক্যান্সারের ফলে মহিলা মৃত্যুহারের বড় একটি অংশের কারণ হলো স্তন ক্যান্সার। ক্যান্সার ধরা পড়ার পর যেসব রোগীদের সুস্থ হবার একটু সুযোগ থাকে, সেসব রোগীদের ভবিষ্যতে এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশী। তাই এর যতো তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হবার সুযোগ ততো বেশী থাকে। রক্ত পরীক্ষা এই সুযোগকে আরো সহজ করে দিতে পারে।
গবেষকরা তাদের এই গবেষণাটির জন্য ৫৫ জন প্রাথমিক স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের টিউমর এবং ব্লাড টেস্ট স্যাম্পল নেন ( যাদের কেমোথেরাপী এবং সার্জারী সম্পন্ন হয়েছে ) । এরপর তাঁরা ব্লাড স্যাম্পল এবং টিউমর স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। এভাবে তাঁরা একটি “ MUTATION TRACKING ” নামের একটি প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন করেন , যা ক্যান্সার আক্রান্ত টিউমর থেকে রক্তে প্রবাহিত ডিএনএ শেড খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এভাবে রক্ত পরীক্ষা ২ বছরে প্রতি ছয় মাস অন্তর চলতে থাকে। এরই মধ্যে ১৫ জন রোগীর ক্যান্সারের পুনরবনতি ঘটে ( ক্যান্সার পুনরায় ফিরে আসে ) । অপর দিকে বিজ্ঞানীদের এর আগেই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে  তাদের মধ্যে ১২ জনের এই পুনরবনতির কথা অনুধাবন করেন। ক্যান্সারের এই পুনরাবৃত্তি নজরে আসার ঘটার ৮ মাস আগে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিষয়টি বিজ্ঞানীদের নজরে আসে।
Institute of Cancer Research (ICR) এর Dr Nicholas Turner বলেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে দেখিয়েছেন যে একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কিভাবে ক্যান্সার পুনরাবৃত্তির কথা বর্তমানের প্রচলিত নিয়মের তুলনায় আগে ভাগেই জানা যায় । ICR এর চীফ এক্সিকিউটিভ Paul Workman জানান, এসব গবেষণার মাধ্যমেই জানা যায়, কীভাবে ক্যান্সার চিকিৎসা এর ধাপগুলো পরিহার করে। এসব প্রাপ্ত তথ্যের ফলে ভবিষ্যতে ক্যান্সার উপশমের ঔষধগুলো তৈরিতে অনেক সুবিধা হয়।