দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ-
রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে সরকারের ডাটাকেন্দ্রিক টেকসই নীতি গ্রহণ করা
উচিৎ বলে মনে করছেন তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ-রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে সরকারের ডাটাকেন্দ্রিক টেকসই নীতি গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করছেন তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, দেশের মানুষ এখন উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবার জন্য অপেক্ষা করছে। এ রকম সময়ে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) প্রযুক্তির উপর কোনো ধরণের অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করলে ইন্টারনেট সেবার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবার প্রকৃত গতি পাচ্ছে না, এ জন্য ব্যবহারকারীদের সঠিক চাহিদা পূরণ করতে সরকারের উচিত সম্ভাব্য সব উপায়েই চেষ্টা করা। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেটের অবস্থা খুবই হতাশাজনক। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডরদের (আইএসপি) সময়মতো আপারেশনাল ডকুমেন্টস (এনওসি, প্রযুক্তিগত অনুমোদন ইত্যাদি) দিয়ে সহযোগিতা করা দরকার। সেখানে এটি না করে উল্টো ফোরজি বা লং টার্ম এভ্যুলেশন (এলটিই) ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করলে দেশের ইন্টারনেট সেবাখাতের অগ্রগতির সম্ভাবনা কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে কোনো রকম অতিরিক্ত চার্জ আরোপ না করেই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যেমন এলটিই বা ফোরজি’র মতো সেবা চালু করতে হবে, যা থেকে ২০০৯ সালে সরকারের শুরু করা ক্যাম্পেইন ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলতা পাবে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির উচিৎ হবে দেশে নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তনে সামনে থেকে কাজ করা, তা না হলে জনগণ এটা থেকে কোনো সুফলই পাবে না।’
২০১৩ সালে ২১০০ ব্যান্ডের বেতার তরঙ্গের উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশ থ্রিজির যুগে প্রবেশ করে। সে সময় সব জিএসএম ভিত্তিক মোবাইল ফোন অপারেটরই তার গ্রাহকদের জন্য এই সেবা কিনেছিল। কিন্তু এই থ্রিজি সেবার নিম্নগতির কারণে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি থেকে গেছে। ইতিমধ্যে ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি বৈশ্বিকভাবে বিলুপ্ত হওয়ার কারণে সরকার বিডব্লিউএ (ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস) আপারেটরদের গ্রাহকদের জন্য এলটিই (লং টার্ম ইভ্যুলেশন) সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
সারা বিশ্বে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার অতিরিক্ত চার্জ প্রদান ছাড়াই ওয়াইম্যাক্স থেকে এলটিই প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করছে। কিন্তু সম্প্রতি সেলুলার ফোন অপারেটর এবং রেগুলেটরের মধ্যে এক সভায় এলটিই প্রযুক্তি ব্যবহারে অতিরিক্ত চার্জ প্রদানের বিষয়টি আসলে সেটি বিডব্লিউএ অপারেটররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সেলুলার ফোন অপারেটরদের প্রাথমিক পর্যায়ে যে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল সেটি যদি বিডব্লিউএ অপারেটররা পায়, তাহলে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার আরো গতিশীল হবে বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)’ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট আখতারুজ্জামান মঞ্জু।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন অপারেটরদের সরবরাহ করা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সঠিক সেবা গ্রাহকরা পাচ্ছে না। উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে এলটিই বা ফোরজির প্রতি নজর দিতে হবে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার। তবে বিটিআরসি’র সম্প্রতি করা এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের নিম্নমানের গতির জন্য অসন্তুষ্ট। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিডব্লিউএ অপারেটরদের অনেক কর্মকর্তাই বলেছেন, বর্তমান চার্জ বৃদ্ধি করা হলে সেই অতিরিক্ত চার্জ মূলত গ্রাহকদেরই প্রদান করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপারেটররা অতিরিক্ত চার্জ প্রদানের জন্য প্রস্তুত নয় এবং বিটিআরসি’র উচিৎ হবে প্রথমে ইন্টানেট সেবার বাজারকে বাড়তে দেওয়া এবং তারপর এ ধরনের আলোচনা করা। বিটিআরসি’র উচিত কোনো একটি অপারেটরকে বিশেষ সুবিধা না দিয়ে সব অপারেটরদের জন্য একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করা। তাদের মতে নতুন চেয়ারম্যানের জন্য এখনও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাংলাদেশের সব অঞ্চলে অপারেটরদের সেবা সরবরাহে সাহায্য করতে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ-রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে সরকারের ডাটাকেন্দ্রিক টেকসই নীতি গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করছেন তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, দেশের মানুষ এখন উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবার জন্য অপেক্ষা করছে। এ রকম সময়ে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) প্রযুক্তির উপর কোনো ধরণের অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করলে ইন্টারনেট সেবার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবার প্রকৃত গতি পাচ্ছে না, এ জন্য ব্যবহারকারীদের সঠিক চাহিদা পূরণ করতে সরকারের উচিত সম্ভাব্য সব উপায়েই চেষ্টা করা। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেটের অবস্থা খুবই হতাশাজনক। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডরদের (আইএসপি) সময়মতো আপারেশনাল ডকুমেন্টস (এনওসি, প্রযুক্তিগত অনুমোদন ইত্যাদি) দিয়ে সহযোগিতা করা দরকার। সেখানে এটি না করে উল্টো ফোরজি বা লং টার্ম এভ্যুলেশন (এলটিই) ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করলে দেশের ইন্টারনেট সেবাখাতের অগ্রগতির সম্ভাবনা কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে কোনো রকম অতিরিক্ত চার্জ আরোপ না করেই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যেমন এলটিই বা ফোরজি’র মতো সেবা চালু করতে হবে, যা থেকে ২০০৯ সালে সরকারের শুরু করা ক্যাম্পেইন ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলতা পাবে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির উচিৎ হবে দেশে নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তনে সামনে থেকে কাজ করা, তা না হলে জনগণ এটা থেকে কোনো সুফলই পাবে না।’
২০১৩ সালে ২১০০ ব্যান্ডের বেতার তরঙ্গের উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশ থ্রিজির যুগে প্রবেশ করে। সে সময় সব জিএসএম ভিত্তিক মোবাইল ফোন অপারেটরই তার গ্রাহকদের জন্য এই সেবা কিনেছিল। কিন্তু এই থ্রিজি সেবার নিম্নগতির কারণে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি থেকে গেছে। ইতিমধ্যে ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি বৈশ্বিকভাবে বিলুপ্ত হওয়ার কারণে সরকার বিডব্লিউএ (ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস) আপারেটরদের গ্রাহকদের জন্য এলটিই (লং টার্ম ইভ্যুলেশন) সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
সারা বিশ্বে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার অতিরিক্ত চার্জ প্রদান ছাড়াই ওয়াইম্যাক্স থেকে এলটিই প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করছে। কিন্তু সম্প্রতি সেলুলার ফোন অপারেটর এবং রেগুলেটরের মধ্যে এক সভায় এলটিই প্রযুক্তি ব্যবহারে অতিরিক্ত চার্জ প্রদানের বিষয়টি আসলে সেটি বিডব্লিউএ অপারেটররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সেলুলার ফোন অপারেটরদের প্রাথমিক পর্যায়ে যে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল সেটি যদি বিডব্লিউএ অপারেটররা পায়, তাহলে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার আরো গতিশীল হবে বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)’ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট আখতারুজ্জামান মঞ্জু।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন অপারেটরদের সরবরাহ করা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সঠিক সেবা গ্রাহকরা পাচ্ছে না। উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে এলটিই বা ফোরজির প্রতি নজর দিতে হবে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার। তবে বিটিআরসি’র সম্প্রতি করা এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের নিম্নমানের গতির জন্য অসন্তুষ্ট। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিডব্লিউএ অপারেটরদের অনেক কর্মকর্তাই বলেছেন, বর্তমান চার্জ বৃদ্ধি করা হলে সেই অতিরিক্ত চার্জ মূলত গ্রাহকদেরই প্রদান করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপারেটররা অতিরিক্ত চার্জ প্রদানের জন্য প্রস্তুত নয় এবং বিটিআরসি’র উচিৎ হবে প্রথমে ইন্টানেট সেবার বাজারকে বাড়তে দেওয়া এবং তারপর এ ধরনের আলোচনা করা। বিটিআরসি’র উচিত কোনো একটি অপারেটরকে বিশেষ সুবিধা না দিয়ে সব অপারেটরদের জন্য একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করা। তাদের মতে নতুন চেয়ারম্যানের জন্য এখনও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাংলাদেশের সব অঞ্চলে অপারেটরদের সেবা সরবরাহে সাহায্য করতে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।