হঠাৎ করেই বিপদ! দুশ্চিন্তার কারণ নেই। হাতের মোবাইলটির বাটনে চাপ দিলেই
হাজির হবে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে বিপদ থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে
নারী-পুরুষকে, হোক না ছোট কিংবা বড়।
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকদের জন্য এমনই একটি প্রযুক্তি সেবা নিয়ে আসছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
আগামী তিন মাসের মধ্যেই গ্রাহক পর্যায়ে এ সেবা উন্মুক্ত করার আশা করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
‘মোবাইল হেল্প সাবস্ক্রাইবার’ নামের এ সেবাটি সম্পর্কে তারানা হালিম
বলেন, ‘যেকোনো মোবাইলে নির্দিষ্ট একটি বাটনে পরপর তিনবার চাপ দিলেই নিকটস্থ
পুলিশ স্টেশনে ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত মানুষটির খবর চলে
যাবে’।
‘জিপিআরএস (জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস) প্রযুক্তির মাধ্যমে
বিপদগ্রস্ত ওই ব্যক্তির বিপদে পড়ার স্থানটিও ভেসে উঠবে থানায় সংরক্ষিত
মোবাইল ডিভাইসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চলে যাবে সেখানে, ব্যবস্থা নেবে’।
তারবিহীন মোবাইল টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত এ ব্যবস্থায় গ্রাহকের কোনো ধরনের চার্জ কাটা হবে না।
‘দুর্গম এলাকায় হারিয়ে যাওয়া, ছোট শিশুর পথ খুঁজে না পাওয়া কিংবা যেকোনো
বিপদে পড়া নারী-পুরুষ এ সেবা গ্রহণ করতে পারবে’- বলেন তারানা হালিম।
সেবাটি চালুর জন্য মোবাইল অপারেটর এবং প্রযুক্তিবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শিগগিরই কথা বলা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ভারতে বিপদে পড়া নারীকে সহায়তা দিতে সব মোবাইলে ‘প্যানিক বাটন’ যুক্ত
করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। ওই সেবা পেতে মোবাইল ব্যবহারকারীকে
পরিচিত একটি নম্বর তার ফোনে সংরক্ষণ করতে হবে, যেটিতে ফোন করলে তিনি সহায়তা
পাবেন। বাটন চাপার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সংরক্ষিত ওই নম্বরের ফোনে ভেসে
উঠবে। এতে তিনি বুঝতে পারবেন, কেউ তার সহায়তা চাইছে। নতুন বা পুরনো সব
মোবাইলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটি চালু করার সুযোগ থাকবে।
সেখানে শুধু নারীর জন্য প্যানিক বাটন চালু হলেও বাংলাদেশে এ সেবার আওতায়
নারী-পুরুষ সবাই আসবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
হেল্প লাইনে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সহায়তায় অপরাজেয় বাংলাদেশে মাধ্যমে
সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ। বাংলাদেশের প্রথম এই চাইল্ড হেল্পলাইন সেবা
সম্প্রসারণে অংশীদার হয়েছে গ্রামীণফোন। এজন্য গ্রামীণফোন থেকে বিনা খরচে
১০৯৮ নম্বরে ডায়াল করা যাবে।
এছাড়াও, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সাইবার নিরাপত্তায় একটি
হেল্পলাইন চালু করেছে। ০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮ ও ১০৯২১ নম্বরে সেবা দিচ্ছে আইসিটি
বিভাগ।
এদিকে কল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সুস্থ, নিরাপদ ও উন্নত কর্মপরিবেশ
গড়ার লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চে আরও একটি হেল্পলাইন চালু করেছে শ্রম
মন্ত্রণালয়। শ্রমিকদের জন্য এই হেল্পলাইন নম্বর ০৮০০৪৪৫৫০০০।