Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts

১০টি সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন সম্পর্কে জানুন এবং সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশনের কালেকশন।

১০টি সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন সম্পর্কে জানুন এবং সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশনের কালেকশন।


ইন্টারনেট চালনার জন্য যত গুলি ওয়েবব্রাউজার আছে তার মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত বা জনপ্রিয় হল গুগল ক্রোম (Google Chrome) ইন্টারনেট ব্রাউজার। এই ব্রাউজারের মাধ্যমে ইন্টারনেটের সুবিধা ভোগ করার জন্য আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন এক্সটেনশন ব্যবহার করতে হয়। তার মধ্যে আজকে ১০টি এক্সটেনশন সম্পর্কে বলব যেগুলো ব্যবহারে আপনি অনেক সুবিধা নিতে পারেন।

ইন্টারনেট এক্সটেনশন কি?

ইন্টারনেট এক্সটেনশন হলো আপনি যে ব্রাউজারের মাধ্যমে নেট ব্যবহার করছেন তারই মাধ্যমে কোন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যারের মাধ্যমে সুবিধা নেওয়া। এই ইন্টারনেট এক্সটেনশনকে প্লাগইনও বলা যেতে পারে। আরেকটু বুঝিয়ে বলতে- আপনি যদি মোবাইল ব্যবহার করে থাকেন তাহলে দেখবেন গুগল প্লে স্টোর থেকে যেসব এপস ডাউনলোড করে যেসব সুবিধা নিয়ে থাকেন বা কম্পিউটারে যেসব সফটওয়্যারের সাহায্যে যেসব সুবিধা নিয়ে থাকেন তারই মত করে ইন্টারনেট ব্রাউজারের মধ্যে এক্সটেনশন বা প্লাগইন এর সাহায্যে কোন প্রোগ্রাম যুক্ত করে কোন কাজে বা দরকারে ব্যবহার করাকে বুঝায়। এই প্রোগ্রাম যুক্ত করে আপনার ইন্টারনেটের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে নিতে পারবেন। মূলত কথা হলো এক্সটেশনের মাধ্যমে ইন্টারনেটের বিশেষ বিশেষ কাজের সুবিধা নেওয়া।

তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে ১০টি সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন (Google chrome extension) সম্পর্কে নেইঃ

১. Grammarly -বেস্ট গুগল ক্রোম এক্সটেনশন

প্রথমেই জানবো Grammarly এক্সটেনশন সম্পর্কে। গ্রামারলি এক্সটেনশন হল অনলাইনে লেখালেখি করার সময় ভুল সংশোধন করে দেওয়ার মত সুবিধা। যে ডিজিটাল রাইটিং এসিস্টেন্ট টুল অথবা ল্যাংগোয়েজ স্পেলিং চেকিং এক্সটেনশন। আপনি যদি ইংলিশে কোন কিছু লিখেন অনলাইনে তখন আপনার ইংলিশ বানানটি ভুল কিনা তা ধরিয়ে দিবে লাল চিহ্নের মাধ্যমে। আমরা যারা বাঙ্গালী আছি আমাদের মাতৃভাষা হল বাংলা। আমরা যখন ইংলিশ লিখি তখন আমাদের বানান বা লেখার লাইনটি অনেক সময় সঠিক হয়ে থাকে না, তখন আমরা এই এক্সটেনশনটির মাধ্যমে আমাদের ইংলিশের লেখাটি সঠিক করে নিতে পারি।

২. Poper Blocker -দরকারী গুগল ক্রোম এক্সটেনশন

দ্বিতীয়তে জানবো Poper Blocker এক্সটেনশন সম্পর্কে। আমরা যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করি তখন ওই সাইটের কোন লিংকে বা অপশনে ক্লিক করলে দেখতে পাবেন ওই পেইজটি ওপেন না হয়ে অন্য একটি পেজে গিয়ে ট্যাব আকারে পেইজটি ওপেন হচ্ছে যেটাকে আমরা পপ আপ বলে থাকি। এই সমস্ত পপআপ ওপেন হলে প্রায় সময় আমাদের ডিভাইসে ক্ষতিকারক ভাইরাসও ওপেন হয়ে প্রবেশ করে যেতে পারে। Poper Blocker এক্সটেনশনটি আমাদের সেই জামেলা থেকে মুক্তি দিয়ে থাকে। কোন ভাইরাস বা অবাঞ্চিত পপআপ যাতে না হয় সেদিকে এই এক্সটেনশন খেয়াল রাখে।

৩. Touch VPN -প্রয়োজনীয় গুগল ক্রোম এক্সটেনশন

তৃতীয়ত জানবো Touch VPN এক্সটেনশন সম্পর্কে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভিপিএন এর সাথে প্রায় কমবেশি সবাই পরিচিত হয়ে আছি, অল্প কথায় বুঝাতে ভিপিএন হলো আপনি যেখান থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন সেই জায়গাটির নাম ইন্টারনেট চিনে থাকে বা তার কাছে তথ্য থাকে। আপনি যখন ভিপিএন ব্যবহার করবেন তখন চাইলে আপনার জায়গাটি বা লোকেশনটি পরিবর্তন করে নিতে পারেন। ভিপিএন এর পুরো নাম হল ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক বা Virtual private network।

আপনি গুগল ক্রোম এক্সটেনশন Touch VPN ব্যবহার করে আপনার আইপি এড্রেস পরিবর্তন করে নিতে পারেন যা ফ্রিতে এই সুবিধা নিতে পারেন।

৪. LastPass -ফ্রি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এক্সটেনশন

চথুর্ততে জানবো LastPass (Free Password Manager) এক্সটেনশন সম্পর্কে। আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করার সময় পাসওয়ার্ড দিয়ে থাকি যা অনেকের ক্ষেত্রে অনেক অনেক একাউন্ট হয়ে থাকে। আর সবগুলো একাউন্টের পাসওয়ার্ড মনে রাখার মত হয়ে উঠে না। LastPass হল ফ্রি পাসওয়ার্ড ম্যানেজার যা আপনার সমস্ত অনলাইন একাউন্ট পাসওয়ার্ড স্টোর বা সেভ করে রাখতে সাহায্য করবে। এটি জিরো নলেজ পলিসি থাকার কারণে আপনার পাসওয়ার্ড ও প্রয়োজনীয় ডাটা গুলি অনেক সিকিউর বা সিকিউরিটি দিয়ে থাকে যা লাস্ট পাস নিজেও তা দেখতে পারেনা।

৫. Click & clean -ব্রাউজিং হিস্টোরি ডিলেট এক্সটেনশন

চথুর্ততে জানবো Click & clean এক্সটেনশন সম্পর্কে। Click and clean খুবই দরকারী একটি এক্সটেশন। এটি দিয়ে আপনি একটি ক্লিকেই ব্রাউজার থেকে সমস্ত কুকি, ইউআরএল, ডাউনলোড বা ব্রাউজিং হিস্টোরি ডিলেট করে দিতে পারবেন। আপনি যখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করেন তখন আপনার এই ব্রাউজারে বিভিন্ন কুকি জমে থাকে এই হিস্টোরি গুলি আপনি খুব সহজে এই এক্সটেনশনের মাধ্যমে ডিলিট করে দিতে পারবেন। এটির মাধ্যমে আরো অনেক ধরনের সুবিধা নিতে পারবেন।

৬. Google Input Tool -গুগল ল্যাংগুয়েজ টুল এক্সটেনশন

চথুর্ততে জানবো Google Input Tool এক্সটেনশন সম্পর্কে। গুগল ইনপুট টুল হল গুগলের নিজস্ব টাইপিং টুল। এটির মাধ্যমে আপনি অনেক ভাষায় লিখতে পারবেন। যারা অনলাইনে বিভিন্ন ভাষায় লিখতে চান বা আপনার যদি বাংলা লেখার মত সফটওয়্যার না থাকে তাহলেও এই Google Input Tool এক্সটেনশনটি কাজে দিবে। আপনি খুব সহজে এটি মাধ্যমে অনলাইনে লিখতে পারবেন।

৭. Volume Master -সাউন্ড ভলিউম এক্সটেনশন

চথুর্ততে জানবো Volume Master এক্সটেনশন সম্পর্কে। Volume Master নামটি শুনেই কিছুটা বুঝতে পেরেছেন এটির কাজ কি হতে পারে। এই এক্সটেনশন দিয়ে ফেসবুক, ইউটিউব বা যেকোন সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই হোক না কেন আপনি যদি কোন মিউজিক শুনে থাকেন বা অডিও শুনে থাকেন, এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি সাউন্ডগত প্রবলেম সমাধান করতে পারবেন। যেমন কোন সাউন্ডকে যদি বাড়াতে চান তাহলে বাড়াতে পারবেন কমাতে চাইলেও কমাতে পারবেন। অনেক সময় দেখা যায় কারো লেপটপে সাউন্ড কম হয় সেক্ষেত্রে এই এক্সটেনশনের মাধ্যমে সমাধান করে নিতে পারবেন।

৮. Honey -কোপন কোড সংগ্রহ এক্সটেনশন

চথুর্ততে জানবো Honey এক্সটেনশন সম্পর্কে। Honey এক্সটেনশনটি হলো কুপন কোড ফাইন্ডার। আপনি যদি অনলাইনে কেনাকাটা করে থাকেন, দেখবেন অনেক বড় বড় অনলাইন প্রতিষ্ঠান কুপন কোড এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্টের টাকা ডিসকাউন্ট করে দেয়। আপনি এই কোপন কোড গুলো সংগ্রহ করা অনেক সময় দূরহ হয়ে থাকে। আপনার কোপন কোড গুলো Honey এক্সটেনশনটি অটোমেটিক খুঁজে তা প্রোডাক্টের সাথে যুক্ত করে দেয় আর আপনি বিভিন্ন ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক ইত্যাদি পেয়ে যাবেন। Honey গুগল ক্রোম এক্সটেনশন প্রায় সমস্ত জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট বা অনলাইন স্টোর গুলিতে সাপোর্ট করে থাকে।

৯. Loom for Chrome -স্ক্রিন রেকর্ডিং এক্সটেনশন

চথুর্ততে জানবো Loom for Chrome এক্সটেনশন সম্পর্কে। এই Loom for Chrome এক্সটেনশনের মাধ্যমে স্ক্রিন রেকর্ডিং করতে পারবেন। আপনার কম্পিউটারের  স্ক্রিন রেকর্ডিং করতে পারবেন। এটি একটি ফ্রি এক্সটেনশন যা দিয়ে স্ক্রিন রেকর্ড ও সাথে ওয়েবক্যামও ক্যাপচার করা যায়। আপনি যদি কোন টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করতে চান বা কোন কিছু আরোকে ভিডিও আকারে স্টেপ বাই স্টেপ হিসেবে ভিডিও তৈরি করে দেখাতে চান তাহলে এই ফ্রি এক্সটেনশনটি আপনার অনেক উপকারে লাগবে।

১০. Checker Plus for Gmail -জিমেইল টুল এক্সটেনশন

চথুর্ততে জানবো Checker Plus for Gmail এক্সটেনশন সম্পর্কে। এটি জিমেইল নোটিফিকেশন টুল এক্সটেনশন। আমরা সবাই জিমেইল ব্যবহার করে থাকি। এর মধ্যে যদি কারো কারো জিমেইল ব্যবহার বেশি বেশি হয়ে থাকে বা কারো যদি বেশি বেশি মেইল এসে থাকে তাহলে আপনি এই এক্সটেনশনটি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটির মাধ্যমে আপনাকে বার বার জিমেইল ওপেন করতে হবে না। এই এক্সটেনশনটির মাধ্যমে সহজেই মেইল পড়তে বা মেইল ডিলেট করতে পারবেন জিমেইল ওপেন করা ছাড়াই। আরো সুবিধা হল জিমেইলে আসা মেইলগুলোর নোটিফিকেশনও পেয়ে যাবেন যা আপনাকে খুব সহজেই পড়তে বা জানতে সহজতর হবে।

আশা করি গুগল ক্রোমের ১০টি সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন সম্পর্কে জানতে পারলেন। 

 সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশনের কালেকশন। 

Adblock Plus | সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন


Adblock Plus: ইন্টারনেটে ব্রাউজিং করার সময়, ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময়, ফেসবুক চালানোর
 সময় হটাত করে বিজ্ঞাপন চলে আসলে খুব বিরক্ত লাগে আমাদের। এই বিরক্তিকর 
বিজ্ঞাপন থেকে মুক্তি পেতে হলে এখনি গুগল ক্রোমের Adblock Plus এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশন ইন্সটল করে নিলেই ঝামেলা শেষ। আপনার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আর 
বিজ্ঞাপন নিয়ে টেনশন করতে হবে না । (যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমি অ্যাড ব্লক গুগল ক্রোম এক্সটেনশন ব্যবহারের বিপক্ষে, কারণ বিজ্ঞাপন না থাকলে ওয়েবসাইট থেকে আয় কমে আসবে)

Alexa Traffic Rank | গুগল ক্রোম এক্সটেনশন



Alexa Traffic Rank: এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটির মাধ্যমে আমরা যেকোন ওয়েব সাইটের গ্লোবাল র‍্যাংকি কত বা
 উক্ত ওয়েবসাইটের র‍্যাংকিং আমাদের দেশে কত নম্বরে আছে বা ওয়েব সাইটে 
ভিজিটর কি পরিমাণ আসে ইত্যাদিসহ আরো অনেক খুঁটিনাটি বিষয় জানা যাবে।

Bookmarks Menu | জনপ্রিয় গুগল ক্রোম এক্সটেনশন



Bookmarks Menu: বাই ডিফল্ট ভাবেই এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটি ক্রোম ব্রাউজারে দিয়ে দেওয়া থাকে 
কিন্তু এই এক্সটেনশনে অনেকগুলো অপশন থাকে যা আমারা অনেকেই জানি না। আপনি 
চাইলে Bookmark করা জিনিস গুলো ক্যাটাগরি ভাবে সাজিয়ে রাখতে পারবেন।এছাড়াও 
কোন ফোল্ডার লুকিয়ে রাখতে পারবেন।
আপনি প্রতিনিয়ত যেসব সাইট বেশি ভিজিট করেন, চাইলে সেগুলোকে উপরের চিত্রের 
মত করে সাজিয়ে রাখতে পারবেন এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটি দিয়ে। এতে করে প্রয়োজনীয় 
ওয়েবসাইটে খুব দ্রুত এক্সেস নিতে পারবেন।

Checker Plus for Gmail™ | ক্রোম এক্সটেনশন


Checker Plus for Gmail™:  এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটির মাধ্যমে আপনি Gmail এ গিয়ে ইনবক্স খোলা ছাড়াই, ব্রাউজারে যে কোন 
ওয়েবসাইটে থাকা অবস্থায় ইমেল করতে, পড়তে বা মুছে ফেলতে এবং চেঞ্জ করতে 
পারবেন। নতুন কোন মেইল আসলে ও নটিফিকেশন সংকেত শো করবে । এছাড়াও একাধিক 
ইমেইল অ্যাকাউন্ট সহজেই পরিচালনা করুন খুব সহজে এই Checker Plus for Gmail 
এক্সটেনশন টি ব্যবহারের মাধ্যমে।

Email Tracking for Gmail | সেরা ক্রোম এক্সটেনশন


Email Tracking for Gmail: ধরুন আপনি একটা গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল কাউকে পাঠিয়েছেন, উক্ত ইমেইলটি সে 
আসলেই দেখেছে কি না সেটা জানতে চাচ্ছেন এবং এটাও জানতে চাচ্ছেন যে, সে আসলে
 কখন ইমেইলটি দেখেছে। তাহলে এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটি আপনার জন্য। কারণ আপনার সেন্ড 
করা ইমেইল কেউ যখনই ওপেন করে দেখবে তখন আপনাকে এই এক্সটেনশনটি সঙ্গে সঙ্গে 
মেইল করে জানিয়ে দিবে। বিষয়টি নিচের চিত্রে দেখানো হল।

Facebook Screen Sharing  | সেরা গুগল এক্সটেনশন


Facebook Screen Sharing: এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটির মাধ্যমে আপনি আপনার স্ক্রিন অন্য কোন বন্ধু বা বান্ধবীর সঙ্গে শেয়ার করতে পারবেন খুব সহজেই ।

Full Page Screen Capture | জনপ্রিয় গুগল ক্রোম এক্সটেনশন


 একটি স্ক্রিনশট নেওয়ার জন্য কতই না সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এখন
 মাত্র এক ক্লিকে  নির্ভরযোগ্যভাবে কোন ঝামেলা ছাড়াই ক্যাপচার করুন Full 
page Screenshot.

Hotspot Shield VPN Free | জনপ্রিয় ক্রোম এক্সটেনশন


Hotspot Shield VPN Free: এটা নিয়ে তো বিস্তারিত বলার কিছু নেই। কারণ আপনারা সবাই জানেন যে VPN কি
 বা এর কাজ কি। আপনাদের অনেকেরই তো আবার অনেক পছন্দের ভিপিএন আছে। তো Hotspot Shield হল আমার পছন্দের সেরা ভিপিএন। চাইলে আপনিও ব্যবহার করতে পারেন ক্রোম এক্সটেনশন হিসেবে।

Printliminator | সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন


Printliminator: আমাদের প্রতিদিন ব্রাউজিং এর সময় হঠাৎ করে কোন গুরুত্বপূর্ণ লেখা এবং 
পিকচার প্রিন্টআউট বা স্ক্রিনশট দেয়ার প্রয়োজন পড়ে। তখন দেখা যায় যতটুকু 
আমাদের দরকার তার আশে পাশে অপ্রয়োজনীয় অনেক লেখা, সোশ্যাল মিডিয়া আইকন, 
তারিখ, বাটন ইত্যাদি থাকে যা আমাদের দরকার না, এই সকল  অপ্রয়োজনীয় 
জিনিসগুলোকে বাদ দেয়ার জন্য আপনি Printliminator গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটি ব্যবহার করতে 
পারেন।

Fontface Ninja | প্রয়োজনীয় গুগল ক্রোম এক্সটেনশন


Fontface Ninja: বিভিন্ন ধরণের ওয়েবসাইট ব্যবহারের সময় প্রায়ই আমারা বলে থাকি যে, এই 
ফন্টটি তো অনেক সুন্দর, এই ফন্টটি আমার লাগবে। কিন্ত নাম না জানা থাকার 
কারণে আমরা ডাউনলোড দিতে পারি না। এই সমসার জন্য একমাত্র সমাধান দিতে পারে 
Fontface Ninja. এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটির মাধ্যমে আপনি যেকোন লেখার উপর মাউস 
পয়েন্টার রাখলেই বলে দিবে এটি কি ফন্ট ব্যবহার করেছে। এছাড়াও জানতে পারবেন 
ফন্টের সাইজ ,কালার ও ডাউনলোড লিঙ্ক ইত্যাদি।

Wolfram Alpha | সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন


Wolfram Alpha: মূলত এটি একটি ক্যালকুলেটর যার মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ম্যাথম্যাটিকাল 
ক্যালকুলেশন করতে পারি। এছাড়াও আমরা কেমিস্ট্রি, মিউজিক ,ফিজিক্স, 
জিওগ্রাফি, স্পোর্টস , কম্পিউটার সাইন্স, হিস্টোরি ইত্যাদি যেকোন বিষয়ের 
তথ্য পেতে পারি এই Wolfram Alpha এক্সটেনশন ব্যবহারের মাধ্যমে। যেমন ধরুন 
আপনি আপেল এর নিউট্রেশন সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন জাস্ট এক্সটেনশনের সার্চ 
বারে  Apple Nutrition লিখে Enter বাটনে চাপুন আর আপেল সম্পর্কে যা কিছু জানতে চাচ্ছেন সব কিছু 
পেয়ে যাবেন এক ক্লিক এ । বিষয়টা মজার না, তো এখনি এক্সটেশনটি Add করে 
ফেলুন।

New Tab Draft | ক্রোম এক্সটেনশন


New Tab Draft: ব্রাউজ করার করার সময় অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু না কিছু নোট করার বা 
রাফ করার প্রয়োজন পড়ে, ব্রাউজার মিনিমাইজ করে বার বার নোটপ্যাড ওপেন করতে 
বিরক্ত লাগে অনেক সময় । কিন্ত New Tab Draft গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটি অ্যাড থাকলে কোন 
ঝামেলা ছাড়াই New Tab ওপেন করেই নোটপ্যাড এর কাজ সারতে পারেন খুব দ্রুত।

Password Alert | সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন


Password Alert: আপনার Google অ্যাকাউন্টকে সুরক্ষিত রাখার জন্য গুগল এই Password Alert 
ক্রোম এক্সটেনশনটি চালু করেছে। আপনি এটি অ্যাড করার পরে, যদি আপনি কোনও 
Google সাইন-ইন পেইজ না এমন কোন সাইটে আপনার Google পাসওয়ার্ড টাইপ করেন 
তবে Password Alert আপনাকে এ রকম একটি সতর্ক বার্তা দেখাবে যেটি আপনাকে 
ফিশিং আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এবং আপনাকে ভিন্ন ভিন্ন সাইটগুলির জন্য 
বিভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে সাহায্য করবে ।

Show Password | গুগল ক্রোম এক্সটেনশন


Show Password: এই ক্রোম এক্সটেনশনটি আপনার পাসওয়ার্ড দেওয়ার সময় অটো সাজেস্ট করবে যে 
কোনটি দিলে ভাল হয়, এছাড়াও এই এক্সটেনশনটি পাসওয়ার্ড লেখার ভুল দূর করবে 
কারণ যাই লিখি না কেন দেখতে পাওয়া যাবে।

WhatRuns | সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন


WhatRuns: প্রত্যেকটা ওয়েবসাইটেরই পিছনে অনেক কাজ করা থাকে তা আমরা কেউই জানতে 
পারি না কিন্ত WhatRuns এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশন অ্যাড করে খুব সহজেই জানতে পারবেন 
যেকোন ওয়েব সাইট কোন সফটওয়্যার, কোন ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে তৈরি, এছাড়াও ওয়েব 
সাইট সম্পর্কে নানা বিষয়ে জানতে পারবেন ।

Clipboard History | জনপ্রিয় ক্রোম এক্সটেনশন


Clipboard History: পূর্বে যতগুলো লেখা আমরা Copy করেছি সবগুলো লেখাকে মনে করে রাখবে 
সিরিয়াল অনুযায়ী এই Clipboard History গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটি। আপনি ভুলে গেলেও এটি 
ভুলবে না । তাই পরবর্তীতে চাইলে আগে থেকে কপি করে রাখা লেখাগুলো পেস্ট করে 
ব্যবহার করতে পারবেন।

VisualPing | সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন


VisualPing: এই গুগল ক্রোম এক্সটেনশনটির মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ কোন পরিবর্তন হলেই আপনার
 কাছে Email বার্তা  চলে যাবে সঙ্গে সঙ্গেই। যার ফলে আপনি আপনার সাইটকে ২৪ 
ঘন্টাই চোখে চোখে রাখতে পারবেন ।

Rescroller | সেরা ক্রোম এক্সটেনশন


Rescroller: স্ক্রলবার তো আমরা সবাই চিনি সেই স্ক্রলবারকে সুন্দর ভাবে সাজানো 
গোছানোর জন্য আমরা Rescroller ব্যবহার করতে পারি । Rescroller এর 
মাধ্যমে স্ক্রলবার সাইজ ছোট বড়, কালার পরিবর্তন, কর্নার পরিবর্তন এবং 
বিভিন্ন মনিটর এর সাইজ অনুযায়ী স্ক্রলবার স্বনির্ধারণ করা যায়।


আশা করি গুগল ক্রোমের ১০টি সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশন সম্পর্কে জানতে পারলেন ও গুগল ক্রোম এক্সটেনশন গুলো ভাল লাগবে এছাড়াও গুগল ক্রোমে আরো অনেক 
অনেক এক্সটেনশন রয়েছে যেগুলি আপনার প্রতিদিনের ওয়েব ব্রাউজিংকে আরো সাবলীল 
করে তুলবে। একদিনে তো আর সবগুলো এক্সটেনশন দেয়া সম্ভব না, ইনশাল্লাহ পরের 
পোস্টেই আরো নতুন নতুন কিছু গুগল ক্রোম এক্সটেনশন নিয়ে হাজির হব। পোস্টটি কেমন লাগলো 
তা অবশ্যই জানাবেন ।


এক ক্লিকেই সম্পত্তির হিসাব।

এক ক্লিকেই সম্পত্তির হিসাব।

মৃত ব্যক্তির সম্পদ জটিলতা নিরসনকল্পে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রাম ‘উত্তরাধিকার ডট বাংলা’ সিস্টেম চালু করেছে।

এই সাইট ও অ্যাপের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির সম্পদ (জমি, স্বর্ণ, রৌপ্য, টাকা) তার উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টনের হিসাব নির্ণয় সহজেই করা সম্ভব। এছাড়াও উত্তরাধিকীর সাইট ও অ্যাপে উত্তরাধিকারদের মধ্যে সম্পদ বন্টনের নিয়মকানুন ও প্রয়োজনীয় প্রশ্নের উত্তর দেওয়া রয়েছে।
এই সাইট ও অ্যাপটি সাধারণ জনগণ, আইনজীবী, বিচারক, ভূমি প্রশাসন, আইনের শিক্ষক, জমির ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সকলের জন্যে অতি প্রয়োজনীয়।

আরো জানতে ক্লিক করুন: uttoradhikar.gov.bd। অথবা অ্যাপটি ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন: https://goo.gl/qu39Zo 

VIP-দের ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে ফেসবুক : তারানা

VIP-দের ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে ফেসবুক : তারানা


ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) নামে খোলা ভুয়া পেজের পাশাপাশি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

বাংলাদেশের অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারী গতকাল (শনিবার) সকালে হঠাৎ অ্যাকাউন্ট বন্ধ পান এবং তা সচল করতে গিয়ে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার মধ্যে যেতে হয় বলে গণমাধ্যমের খবর।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার দুপুরে সচিবালয়ে তারানা হালিম জানান, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়েই বাংলাদেশের ভুয়া পেজ ও অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ফেসবুক।
দেশের ভিআইপি ও সংসদ সদস্যদের নামে খোলা ভুয়া ‘ফেসবুক পেজগুলো’ শিগগিরই বন্ধ করে দেয়া হবে বলে গত ১০ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
সংসদ সদস্য ও ভিআইপিদের পেজগুলো ‘ভেরিফায়েড’ হয়ে গেলে তাদের নামে থাকা অন্য পেজগুলো ‘ভুয়া হিসেবে’ চিহ্নিত হবে বলে সে সময় জানান তিনি।
আরএম/জেএইচ/আরআইপি

‘ডট বাংলা’ আসছে ৩১ ডিসেম্বর।

‘ডট বাংলা’ আসছে ৩১ ডিসেম্বর।


আগামী ৩১ ডিসেম্বর শনিবারই সবার হাতের নাগালে চলে আসছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘ডট বাংলা’ ডোমেইন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডট বাংলা ডোমেইন উদ্বোধন করবেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফাইজুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উন্মুক্ত করে দেয়ার পর এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য বিতরণ করা হবে। ডোমেইনটি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত ৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জন্য ডোমেইনটি বরাদ্দ লাভের পর এটি ব্যবহারকারীদের মাঝে বিতরণের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিটিসিএল সূত্রে জানা যায়, এ পযর্ন্ত সাড়ে ৩৬ হাজার বিডি গ্রাহক নিবন্ধিত হয়েছে। ২০০৩ সালে এএসসিআইআই ক্যারেক্টর সাপোর্ট দিতে ‘বিএসএসনিউজ.নেট’- এর মতো ডোমেইন নামে ডোমেইন ব্যবহার শুরু হয়। সকল আধুনিক ব্রাউজার এবং ই-মেইল প্রোগ্রামে তাদের নিজ নিজ ভাষায় জনগণ লিংক ব্যবহার করতে পারবে। ইন্টারনেট ব্রাউজের ক্ষেত্রে জনগণ বাংলা ফন্টে বিটিসিএল ডট বাংলা টাইপ করে বিটিসিএল ওয়েবসাইটে (ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট বিটিসিএল ডট কম ডট বিডি) তে যেতে পারবে।
সরকারি সূত্র জানায়, বিটিসিএল ডোমেইনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করবে। আগ্রহীদের অন লাইনে ডট বাংলার জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল কোম্পানি টেলিটক এর রেজিস্ট্রেশন ফি গ্রহণ করবে। জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন অব অ্যাসাইনড নেম অ্যান্ড নাম্বার (আইসিএএএন) বাংলাদেশকে সরকারিভাবে ডট বাংলা (বাংলা) ইন্টারনেট ডোমেইন বরাদ্দ দিয়েছে। আইসিএএএন গত ৪ অক্টোবর এ সিদ্ধান্তের কথা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জানায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং সিয়েরা লিওন ল্যাবেল-ডট বাংলা নামে এ ডোমেইনের জন্য আবেদন করে। এর আগে আইসিএএএন ডট বিডি নামে বাংলাদেশের জন্য আরো একটি ডোমেইনের অনুমোদন দেয়। বাংলা ওয়েবসাইটের জন্য টপ লেভেল ডোমেইন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয়।

অন্যের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কর্মকাণ্ড অসুখী করে তোলে।

অন্যের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কর্মকাণ্ড অসুখী করে তোলে।

সময়কে আনন্দঘন করতে ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু ফেসবুক সময়কে আনন্দময় করে না, অধিকন্তু অসুখী করে তোলে। অনেক ব্যবহারকারী আবার ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন অন্যান্যদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কর্মকাণ্ডে। তবে সবাই হন না, যারা হীনমন্যতায় ভোগেন তাদের মধ্যেই অসুখী বা ঈর্ষান্বিত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
ইউনির্ভাসিটি অফ কোপেনহেগেনের পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ১ হাজার ৯৫ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীর উপর ওই সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষার ফলাফল বলছে, সপ্তাহ খানেক বিরতি নিয়ে যে সব ব্যবহারকারী ফেসবুকে ফেরেন তারা অবশ্য জীবনকে সন্তোষজনক মনে করেন।
তবে যারা 'ফেসবুক ঈর্ষা'য় ভোগেন তারা স্বীকার করেছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের কর্মকাণ্ড দেখে ঈর্ষান্বিত হওয়ার প্রবণতা প্রবল তাদের।
ওই সমীক্ষার প্রতিবেদন লেখক মর্টেন ট্রোমহল্ট জানিয়েছেন, প্রতি দিন হাজার হাজার ঘণ্টা ফেসবুকে ব্যয় করেন ব্যবহারকারীরা। এটা নিশ্চিত যে, আমরা আগের চেয়ে এখন বেশি সংযুক্ত। কিন্তু এই সংযুক্তি কি ভালোটা বয়ে আনছে জীবনে?'

মার্ক জাকারবার্গ রাজনীতিতে আসছেন!

মার্ক জাকারবার্গ রাজনীতিতে আসছেন!

কীভাবে রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে অভিবাসন নীতিমালা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে, তা জানতে চেয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা উপদেষ্টার কাছে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ই-মেইল করেছিলেন। মঙ্গলবার সে ই-মেইল প্রকাশ করেছে উইকিলিকস।

ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ গত বছরের আগস্ট মাসে হিলারি ক্লিনটনের প্রচারণা উপদেষ্টা জন পোডেস্টাকে ই-মেইলে জানতে চেয়েছিলেন, মার্ক জাকারবার্গের সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছুক কি না তিনি। ই-মেইলে জাকারবার্গের রাজনীতির প্রতি আগ্রহকে ‘জানার ক্ষুধা’ বলে উল্লেখ করেন স্যান্ডবার্গ। স্যান্ডবার্গ আরও লেখেন, ‘সামাজিক পরিবর্তনের উদ্দেশ্যে জনগণের আগাম লক্ষ্য বুঝতে রাজনীতির কার্যকর দিকগুলো সম্পর্কে জানতে জাকারবার্গ এমন ধারণা পোষণকারী অভিজ্ঞদের সঙ্গে দেখা করতে চান।’
মার্ক জাকারবার্গ ইতিমধ্যেই অভিবাসন সংস্কার, শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণার কাজ শুরু করতে তহবিল গঠনের কাজ শুরু করেছেন। স্যান্ডবার্গের সে ই-মেইলের উত্তরে পোডেস্টা জানান, ‘হলে খুব খুশিই হব। দেখা করতে আমি অত্যন্ত উৎসাহী।’

নতুন ম্যাকবুক প্রো আনছে অ্যাপল।

নতুন ম্যাকবুক প্রো আনছে অ্যাপল।


চলতি মাসেই ম্যাক লাইনআপের নতুন সংস্করণের ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল অ্যাপলের; এখনো সে ধরনের কোনো ঘোষণা আসেনি। বিভিন্ন দেশে আইফোন ৭ ও ৭ প্লাস স্মার্টফোন বিক্রি নিয়েই অ্যাপল বেশি ব্যস্ত। তবে প্রযুক্তি-বিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাকোতাকারার তথ্য অনুযায়ী, শিগগিরই ম্যাকবুকের নতুন সংস্করণের ঘোষণা দিতে পারে অ্যাপল। নতুন সংস্করণে বেশ কিছু প্রযুক্তি যুক্ত করতে পারে অ্যাপল। নতুন ম্যাকবুকের পাশাপাশি ম্যাকবুক এয়ারের ১৩ ইঞ্চি মডেলটিও নতুন করে আনবে অ্যাপল। 
নতুন ম্যাকবুক প্রোতে থাকবে ইউএসবি টাইপ-সি ও থান্ডারবোল্ট ৩ পোর্ট। তবে বাদ পড়বে ম্যাগসেফ কানেকটর, ইউএসবি ও থান্ডারবোল্ট ২ পোর্ট। এ ছাড়া ম্যাকবুক প্রোতে কি-বোর্ডের ফাংশন কি-এর পরিবর্তে ওএলইডি প্যানেল যুক্ত হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত থাকবে টাচ আইডি। এতে ল্যাপটপটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে সুরক্ষিত রাখা যাবে। অ্যাপল অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ম্যাকবুক সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। 

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি।

বাঁকানো ডিসপ্লের ফোনের জগতে শিয়াওমি।

বাঁকানো ডিসপ্লের ফোনের জগতে শিয়াওমি।
শিয়াওমির বাঁকানো ডিসপ্লের ফোন

বাঁকানো ডিসপ্লের মোবাইল ফোন তৈরিতে সফল হয়েছে চীনের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শিয়াওমি। সম্প্রতি শিয়াওমির নতুন এই নমনীয় ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোন নিয়ে ভিডিও ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া ভিডিওর তথ্য অনুযায়ী, শিয়াওমির ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে এমআইইউআই স্ক্রিন, যাতে বিভিন্ন কাজ খুব সহজেই সম্পাদন করা যায়। প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা বলেন, নমনীয় ডিসপ্লে প্রযুক্তি বেশ কিছুদিন ধরেই প্রযুক্তি বিশ্বে আলোচনায় রয়েছে। ২০০৮ সালে ‘নকিয়া মরফ’ নামের কনসেপ্ট ফোন দিয়ে নমনীয় ফোনপ্রযুক্তি আলোচনায় আসে। এরপর থেকে সনি ও স্যামসাং এ ধরনের ডিসপ্লে তৈরি করে বিভিন্ন প্রযুক্তি মেলার প্রদর্শন করে। স্যামসাং কিছুটা বাঁকানো ডিসপ্লেযুক্ত স্মার্টফোন বাজারে আনলেও নমনীয় ডিসপ্লের ফোন এখনো বাজারে ছাড়েনি। সম্প্রতি এলজি স্মার্টফোনের জন্য নমনীয় ডিসপ্লে তৈরিতে বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। আগামী বছর নাগাদ নমনীয় ডিসপ্লেযুক্ত ফোন বাজারে আনার জন্য চেষ্টা করছে স্যামসাং। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। স্যামসাংয়ের মতো মুখে তালা মেরে রেখেছে শিয়াওমি।  

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ভবিষ্যতের কম্পিউটার গুলো কি অ্যাটোমিক প্রসেসর ব্যবহার করে মিলিয়ন গুন দ্রুত কাজ করবে? কিন্তু কীভাবে?

ভবিষ্যতের কম্পিউটার গুলো কি অ্যাটোমিক প্রসেসর ব্যবহার করে মিলিয়ন গুন দ্রুত কাজ করবে? কিন্তু কীভাবে?

আজকের ক্ষুদে কম্পিউটার গুলো দিনদিন অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ৫০ বছর আগের ঘরের সমান সাইজের কম্পিউটার গুলোর চাইতে আজকের দিনের আপনার পকেটে থাকা সেলফোনের অনেক বেশি কম্পিউটিং দক্ষতা রয়েছে। দিন দিন কম্পিউটার সাইজ কমানোর সাথে সাথে এর কর্মদক্ষতা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়ছে—আর এখানেই এসে দাঁড়িয়ে পড়ে এক বিশাল সমস্যা।
আমি কম্পিউটার প্রসেসর বৃত্তান্ত নিয়ে আলোচনা করা একটি টিউনে বলেছিলাম যে, কম্পিউটারের প্রসেসর কোটি কোটি ট্র্যানজিস্টরের সমন্বয়ে তৈরি করা হয়। এখন উন্নত প্রসেসর তৈরি করার জন্য আমাদের প্রয়োজন পড়ে একই প্রসেসরে আরো বেশি ট্র্যানজিস্টর আঁটানো—আর এর জন্য প্রয়োজন  ট্র্যানজিস্টরের আকার আরো ছোট করা।

তাই আমরা যদি আজকের থেকেও আরো ছোট এবং শক্তিশালী কম্পিউটার বানাতে চাই, তবে আমাদের এক সম্পূর্ণ নতুন পদ্ধতিতে কম্পিউটার বানাতে হবে। কেনোনা ট্র্যানজিস্টরের আকার আরো ছোট করতে করতে একসময় এক একটি ট্র্যানজিস্টর এক একটি অ্যাটমের আকারের হয়ে যাবে—আর তখন কম্পিউটার ঠিক এমন কাজ করতে পারবে না যা এখন করে। কিন্তু এই অ্যাটমিক প্রসেসর জন্ম দেবে এক নতুন কম্পিউটিং প্রযুক্তি, আর একেই বলা হবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, যার প্রসেসর আজকের যেকোনো হাই পাওয়ার কম্পিউটার থেকে মিলিয়ন গুনে বেশি দ্রুত কাজ করবে। শুনতে মজা লাগছে না? হ্যাঁ, আরো মজা পাওয়া যাবে যদি এনিয়ে আরো বিস্তারিত জানা যায়। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কি এবং এটি কীভাবে কাজ করে।

আজকের প্রচলিত কম্পিউটিং কীভাবে কাজ করে?


আপনি আপনার কম্পিউটার সম্পর্কে কি ভাবেন? হয়তো ভাবেন, এটি একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র, যা আপনার টেবিলের উপরে বা বিছানার উপরে পড়ে থাকে—এ দিয়ে আপনি ইমেইল পাঠাতে পারেন, অনলাইন কেনাকাটা করতে পারেন, বন্ধুদের সাথে চ্যাট করতে পারেন, অথবা এতে গেমস প্লে করতে পারেন। কিন্তু ব্যস্তবিকভাবে আপনার কম্পিউটার এথেকেও আরো অনেক বেশি কিছু আবার আপনি যা ভাবেন তা থেকে অনেক কম কিছু। কি, শুনতে পাগলের মতো লাগলো তাইনা? আপনার কম্পিউটার আপনার ভাবনার থেকেও বেশি কিছু, কারন এটি সাধারন যেকোনো কাজের জন্য তৈরি করা একটি মেশিন। অর্থাৎ আপনি ভার্চুয়ালি প্রায় সবকিছুই এর দ্বারা করাতে পারবেন। আবার আপনার কম্পিউটার আপনার ভাবনার থেকে অনেক কম কিছু, কারন এর কাজ করার পদ্ধতি আপনার সাধারন ক্যালকুলেটর থেকে একটু মাত্র উন্নত।
আজকের প্রচলিত কম্পিউটার গুলো দুইটি কাজ সম্পন্ন করে আপনার কম্পিউটিং চাহিদা পূরণ করে থাকে। একটি হলো, এরা কোন নাম্বারকে মেমোরিতে জমা রাখতে পারে এবং এই নাম্বার গুলোর মধ্যে সাধারন প্রসেসিং করাতে পারে (যেমন যোগ করা বা বিয়োগ করা)। আবার এরা যেকোনো নাম্বারকে একে অপরের সাথে এলোমেলো করে গাথিয়ে গাণিতিক সমস্যা পাকিয়ে, তা থেকে সমাধানও করতে পারে—আর একে বলা হয় অ্যালগরিদম। কম্পিউটারের এই দুইটি প্রধান কাজ, নাম্বার জমা রাখা এবং নাম্বার প্রসেসিং করা, এগুলোকে কম্পিউটার সম্পূর্ণ করিয়ে থাকে একটি সুইচের সাহায্যে—যার নামট্র্যানজিস্টর
ট্র্যানজিস্টরকে আপনার ঘরের দেওয়ালে লাগানো সুইচেরই মাইক্রোস্কপিক ভার্সন মনে করতে পারেন—যা আপনার ঘরের ফ্যান না বাল্ব জ্বালাতে বা নেভাতে সাহায্য করে। আপনার কম্পিউটারের প্রসেসরে থাকা ট্র্যানজিস্টর বা মেমোরিতে থাকা ট্র্যানজিস্টরকে অন বা অফ করিয়ে এর মধ্যে কোন সংখ্যাকে সংরক্ষিত করা হয়। কোন ট্র্যানজিস্টরের মধ্যে যদি ইলেক্ট্রিসিটি প্রবাহ করিয়ে একে অন করা হয় তবে এটি (1) কে সংরক্ষিত করে এবং ট্র্যানজিস্টরকে অফ করে রাখলে এটি (0) সংরক্ষিত করে। আর এই ওয়ান বা জিরোর কোন লম্বা সারি ব্যবহার করে যেকোনো নাম্বার বা লেটার বা সিম্বল সংরক্ষিত করা যায়—আর এই পদ্ধতিকে বলা হয় বাইনারি পদ্ধতি (সুতরাং কম্পিউটার বড় হাতের A কে সংরক্ষিত করে 1000001 রূপে এবং ছোট হাতের a কে সংরক্ষিত করে 01100001 রূপে)।
প্রত্যেকটি জিরো বা ওয়ানকে বলা হয় একটি বাইনারি ডিজিট বা একটি বিট—এবং আটটি বিটের একটি সারিতে ২৫৫টি আলাদা অক্ষর সংরক্ষিত রাখা সম্ভব (যেমন A-Z, a-z, 0-9 এবং সাধারন প্রতীক গুলো)। আজকের কম্পিউটার গুলো যে সার্কিট ব্যবহার করে গণনা করে থাকে, একে বলা হয় ল্যজিক গেট—যা অনেক গুলো ট্র্যানজিস্টর একত্রে মিলিত হয়ে তৈরি হয়ে থাকে। আজকের প্রচলিত কম্পিউটার গুলোর সবচাইতে বড় সমস্যা হলো এরা প্রচলিত ট্র্যানজিস্টর গুলোর উপরে নির্ভরশীল। যদি এটি শুনতে কোন সমস্যার কারন মনে হয়না, কিন্তু যখন একটু আলাদা করে দেখা হবে তখনই আসল সমস্যা সামনে ধরা দেবে। বড় আকারের প্রসেসরের সাথে কোন সমস্যা নেই, কিন্তু যখন আপনার হাতের আঙ্গুলের সমান কোন শক্তিশালি প্রসেসর তৈরি করতে চাইবেন, ঠিক তখনই সমস্যাটি সামনে চলে আসবে।
তো চলুন এবার সমস্যার আসল পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করি। একই জায়গায় একসাথে আরো বেশি তথ্য সংরক্ষন করার ইচ্ছা মানে—একসাথে আরো ওয়ান এবং জিরো সংরক্ষিত করা—নামে আরো ট্র্যানজিস্টর বৃদ্ধি করা। আজকের প্রচলিত কম্পিউটার গুলো একটি সময়ে শুধু মাত্র একটি কাজই করতে পারে। আপনি কোন কম্পিউটার দিয়ে যতো জটিল কাজ সমাধান করানোর চেষ্টা করবেন, কম্পিউটার সেই কাজটি করতে ততোবেশি পদক্ষেপ এবং সময় গ্রহন করবে। আগের কম্পিউটার গুলো কোন কাজ করতে আজকের কম্পিউটার থেকে আরো বেশি কম্পিউটিং করতে হতো এবং তারা বেশি পাওয়ার অপচয় করতো। কিন্তু আজকের কম্পিউটার গুলো বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে, এবং আমরা আরোবেশি কাজ করাতে পারছি। এখন সমস্যা হলো, এই ট্র্যানজিস্টর গুলোকে আমরা ইচ্ছা মতো ছোট তো করতে পারছি, কিন্তু এগুলো ছোট করতে করতে একসময় এদের আকার এক একটি পরমাণুর সমান হয়ে দাঁড়াবে। আর ট্র্যানজিস্টর গুলো যখন এক একটি পরমাণুতে পরিণত হবে তখন সেগুলোকে আর একই পদ্ধতি ব্যবহার করিয়ে অন বা অফ করা সম্ভব হয়ে উঠবে না। আর এরই জন্য আমাদের প্রয়োজন পড়বে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর।

কোয়ান্টাম কম্পিউটিং কি?


আপনি যদি আলো নিয়ে পড়াশুনা করে থাকেন, তবে আপনি অবশ্যই পদার্থ বিজ্ঞানের কোয়ান্টাম তত্ত্ব সম্পর্কে একটু হলেও জানেন। কোয়ান্টাম তত্ত্ব হলো পদার্থ বিজ্ঞানের সেই শাখা যেখানে অ্যাটম এবং অ্যাটমের মধ্যে অবস্থিত ক্ষুদ্রতর অনু গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। আপনি অবশ্যই জানেন যে, কোন কোন সময় আলোকরশ্মি এমন আচরন করে যে, যাতে মনে হয় ঐ আলোকরশ্মিটি ক্ষুদ্রক্ষুদ্র কণা দ্বারা গঠিত—আবার অনেক সময় মনে হয় আলোকরশ্মি বাতাসে তরঙ্গের মাদ্ধমে ভেসে আসে। আর একে wave-particle duality বলা হয়—এটি এমন একটি ধারণা যা আমরা আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্ব থেকে খুঁজে পাই।
এটি উপলব্ধি করা সত্যিই মুশকিলের কাজ যে, এমন কোন জিনিষ আছে যা একই সময়ে দুটি রুপ ধারিত হয়ে থাকে (কণা এবং তরঙ্গ)—কেনোনা আমাদের প্রতিদিনের জীবনে ব্যস্তবিকভাবে এমন কোন জিনিষই নেই। একটি কার কখনোই একসাথে একটি বাইসাইকেল এবং একটি বাসের রুপ ধারণ করে থাকে না। কিন্তু কোয়ান্টাম তত্ত্বে ঠিক এমনি পাগলামো ধারণা দেখতে পাওয়া যায়। কোয়ান্টাম তত্ত্বের সবচাইতে বিভ্রান্তিকর উদাহরণ Schrödinger’s cat নামে পরিচিত—সংক্ষেপে এখানে বলা হয়েছে, যে কোয়ান্টাম তত্ত্বের এমন একটি অদ্ভুদ দুনিয়াকে কল্পনা করো যেখানে একটি ক্যাট (Cat) বা বিড়াল একসাথে জীবিত আবার মৃত।
কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো, এই হেঁয়ালি আর আজগুবি ব্যাপার গুলো কম্পিউটারের সাথে কিভাবে সম্পৃক্ত? আচ্ছা এখন ভাবুন, আমরা দিনের পর দিন ধরে ট্র্যানজিস্টরের আকার আরো ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর করেই চলেছি। কিন্তু এভাবে ক্ষুদ্রতর হতে হতে যখন এর আকার একদম একটি পরমাণুর সমান হয়ে দাঁড়াবে তখন একে আর সেইভাবে অন বা অফ করানো যাবে না যেভাবে আজকের প্রচলিত প্রসেসরে করানো যায়। কারন একটি পরমাণুতে বিদ্যুৎ দিয়ে কখনোই ইচ্ছা মতো থেমে রাখা বা প্রবাহ করানো যাবে না। এসময়ে ট্র্যানজিস্টর গুলো এমন এক অবস্থায় থাকবে যেখানে একই সময়ে সেগুলো অনও রয়েছে আবার অফও রয়েছে। কিন্তু এখন সবচাইতে বড় প্রশ্ন হচ্ছে, এটি কি সত্যিই ব্যস্তব করা সম্ভব হবে? যদি সম্ভব হয় তবে আনলক হয়ে যাবে বিশাল উন্নত এক কম্পিউটিং ধারণা—যা আপনি হয়তো আজ পর্যন্ত কল্পনাও করেননি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মে আমাদের অবশ্যই কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর প্রয়োজন পড়বে—কেনোনা আজকের কম্পিউটার গুলো এদের ভেতরে এক একটি বিট সংরক্ষিত করতে বা প্রসেসিং করতেই সবচাইতে বেশি এনার্জি ক্ষয় করে থাকে। আর এই জন্যই কম্পিউটার গুলো এতো গরম হয়ে যায় এবং এতোবেশি এনার্জি ক্ষয় করে। তাই আমাদের অবশ্যই এক নতুন ধারনার কম্পিউটার প্রয়োজন।

কোয়ান্টাম + কম্পিউটিং = কোয়ান্টাম কম্পিউটিং



আজকের যেকোনো সাধারন কম্পিউটার—বিট, ল্যজিক গেট, অ্যালগরিদমের উপর কাজ করে। কোয়ান্টাম কম্পিউটারেও ঠিক অনুরূপ ফিচার গুলোই থাকবে, শুধু সাধারন কম্পিউটারের বিটের জায়গায় কোয়ান্টাম কম্পিউটারে থাকবে কোয়ান্টাম বিট বা কিউবিট—যা বিশেষভাবে এক আলাদা উপায়ে কাজ করবে। যেখানে একটি বিট শুধুমাত্র একটি ওয়ান বা একটি জিরো সংরক্ষিত করতে পারে সেখানে একটি কিউবিট সংরক্ষিত করতে পারবে একটি ওয়ান বা একটি জিরো বা ওয়ান বা জিরো উভয় একসাথে অথবা ওয়ান বা জিরোর মাঝে অসীম নাম্বার—অর্থাৎ এটি একই সময়ে একাধিক ভাল্যু সংরক্ষিত করে রাখতে পারবে।
যদি এই তত্ত্ব আপনার কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হয় তবে ভেবে দেখুন আলো সম্পর্কে, যে কীভাবে এটি একসাথে কণা আবার তরঙ্গ আকারে চলতে পারে। অথবা ভেবে দেখুন Schrödinger’s cat এর কথা, যা একসাথে জীবিত আবার মৃত অথবা ভেবে দেখুন এমন কোন কারের কথা যে একসাথে সাইকেল আবার বাসও ।
কিউবিট কীভাবে একসাথে একাধিক নাম্বার সংরক্ষিত করতে পারবে একথার অনুরুপ উদাহরণ নেওয়ার জন্য আদর্শ উদাহরণ হবে পদার্থবিদ্যার সুপার পজিশন (superposition) নামক ধারনাটি। এই ধারণা অনুসারে, দুইটি তরঙ্গ একত্রিত হয়ে একটি নতুন তরঙ্গের সৃষ্টি করে এবং এই তৃতীয় তরঙ্গটি একই সাথে প্রথম এবং দ্বিতীয় তরঙ্গকে বহন করে।
চলুন আরো সহজ করে বুঝবার জন্য একটি চমৎকার উদাহরণ নেওয়া যাক। আপনি যদি কোন বাঁশি বাজানোর চেষ্টা করেন, তবে ভেবে দেখুন সেই বাঁশির নলের ভেতরে কিন্তু আগে থেকেই একটি স্থায়ী তরঙ্গ অবস্থান করেঃ এই স্থায়ী তরঙ্গে একই সাথে সকল প্রকারের তরঙ্গ সমগ্র থাকে। আপনি যখন বাঁশিতে ফুঁ দিয়ে একটির সাথে আরেকটি তরঙ্গ মিশ্রিত করে দেন তখন বাঁশিতে আগে থেকে থাকা তরঙ্গ একে অন্যের সাথে মিশে গিয়ে নতুন এক তরঙ্গ সৃষ্টি করে। ঠিক অনুরুপ ভাবে কিউবিট গুলো সুপার পজিশন ধারনার মতো করে একই সাথে একাধিক ভাল্যু সংরক্ষিত করে রাখতে পারে।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার যেহেতু একসাথে একই সময়ে একাধিক নাম্বার সংরক্ষন করতে পারে তাই এটি একই সাথে একই সময়ে একাধিক প্রসেসিংও করতে পারবে। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর ফলে কোন প্রসেসকে একের পর এক সম্পূর্ণ করার প্রয়োজন পড়বে না। বরং একই সাথে এটি প্যারালেলে কাজ করতে পারবে। সুতরাং কোয়ান্টাম কম্পিউটার যদি প্যারালেলে কাজ করে তবে এটিকে আজকের প্রচলিত যেকোনো কম্পিউটার থেকে মিলিয়ন গুন বেশি দ্রুত কাজ করানো সম্ভব হবে …যদি আমরা কোয়ান্টাম কম্পিউটার আবিষ্কার করতে পারি তো!

শেষ কথা

হয়তো আমরা ভবিষ্যতে কোয়ান্টাম কম্পিউটার দেখতে পাবো এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং আমাদের বর্তমান কম্পিউটিং অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ রূপে বদলিয়ে দিতে সাহায্য করবে। আমি জানি আজকের টপিকটি অনেক বিভ্রান্তিকর ছিল। আর অনেক জটিল কোন বিষয়কে সহজ করে উপস্থাপন করা সত্যিই অনেক কঠিন কাজ। জানিনা সম্পূর্ণ বিষয়টি আপনার মস্তিষ্কে পরিষ্কারভাবে ঢুকাতে পেরেছি কিনা—তবে আমি আমার সর্বউচ্চ চেষ্টা করেছি। কোয়ান্টাম কম্পিউটিং নিয়ে এখনো কোন বিভ্রান্তি থাকলে আমাকে নিচে টিউমেন্ট করতে পারেন। আমি অবশ্যই রিপ্লাই করবো। আর টিউনটি অবশ্যই বেশি বেশি করে শেয়ার করুন, ধন্যবাদ

কপি To পেস্ট - টেকটিউনস

১৯ অক্টোবর থেকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড।

১৯ অক্টোবর থেকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড।



সরকারি আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তির বড় আয়োজন ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের চতুর্থ আসর শুরু হচ্ছে ১৯ অক্টোবর। এবার এই প্রদর্শনী রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজন চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত। গতকাল রোববার সচিবালয়ের তথ্য অধিদপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড আয়োজন সম্পর্কে তথ্য তুলে ধরেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কোনো স্বপ্ন নয়, বাস্তব। আমি সবাইকে আহ্বান করব এই মিলনমেলায় আপনারা অংশ নিন। এই মেলায় সবাই আসুন, দেখুন, জানুন।’
আয়োজনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন জুনাইদ আহ্মেদ। তিনি বলেন, ‘নন স্টপ বাংলাদেশ’ স্লোগান নিয়ে এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সরকারের ৪০টি মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের পাশাপাশি বেসরকারি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে। নতুন উদ্যোগ বা স্টার্টআপের জন্য ৩৮টি স্টলও থাকছে। সব মিলিয়ে ২৬৩টি স্টল থাকবে এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে। আটটি দেশের মন্ত্রীরা এতে অতিথি হয়ে আসছেন। এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এবারের আয়োজনে সম্ভাব্য বাজেট ধরা হয়েছে নয় কোটি টাকা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আইসিটিসচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, এটুআই প্রকল্পের পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম ও বেসিসের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার।

যা থাকবে

তিন দিনের এ আয়োজনে মাইক্রোসফট, ফেসবুক, একসেন্সার, বিশ্বব্যাংক, জেডটিই, হুয়াওয়েসহ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ৪৩ জন প্রতিনিধি অংশ নেবেন। বিদেশিসহ দুই শতাধিক বক্তা ১৮টি অধিবেশনে অংশ নেবেন। এ ছাড়া সাতটি দেশের সাতজন মন্ত্রী সম্মেলন শুরুর দিন বিকেলে মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নেবেন।
তরুণদের জন্য যা থাকছে
স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আইটি পেশা-বিষয়ক সম্মেলনের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো উন্নয়ন-সহযোগীদের নিয়ে থাকবে ডেভেলপার সম্মেলন। এ ছাড়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের তরুণ শিক্ষার্থী ও প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য প্রদর্শনীতে সফটওয়্যার শোকেসিং জোন, ই-গভর্নেন্স এক্সপোজিশন জোন, মোবাইল ইনোভেশন জোন, ই-কমার্স এক্সপো জোন, স্টার্টআপ জোন, গেমিং জোন ছাড়াও আইসিটি সংশ্লিষ্ট ১২টি সেমিনার, ডেভেলপমেন্ট পার্টনার্স কনফারেন্স, আইসিটি এডুকেশন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আয়োজনে প্রায় ৪৩ জন বিদেশি আইসিটি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও পাঁচ লাখ দর্শনার্থীর সমাগম হবে বলে আশা করছেন আয়োজকেরা।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের আয়োজক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ। সহ–আয়োজক বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস।

ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ে সার্চের শীর্ষে পর্নো সাইট!

ফ্রি ওয়াই-ফাইয়ে সার্চের শীর্ষে পর্নো সাইট!


ভারতের প্রায় ২৩টি রেলস্টেশনে বিনা মূল্যে ওয়াই-ফাই সুবিধা রয়েছে। কিন্তু এই ওয়াই-ফাই কী কাজে লাগাচ্ছে সেখানকার মানুষ?


সোমবার পাটনা রেলস্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে ইন্টারনেট সার্চের দিক থেকে শীর্ষে আছে পাটনা। তবে এখানে সবচেয়ে বেশি সার্চ করা হয় পর্নো সাইট।
পাটনার পরে বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে সার্চের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে জয়পুর। এরপরে আছে বেঙ্গালুরু ও নয়াদিল্লি।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রেইলটেলের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউটিউব ও উইকিপিডিয়া দেখতে বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই ব্যবহৃত হলেও এখানে পর্নো সাইট দেখা ও ডাউনলোড করা হয় সবচেয়ে বেশি। তবে কিছু মানুষ বলিউড-হলিউডের ছবিও ডাউনলোড করেছে।
বিহারের প্রথম রেলস্টেশন হিসেবে বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই সুবিধা পেয়েছে পাটনা রেলস্টেশন। বর্তমানে এখানে এক জিবি ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও তা ১০ জিবি পর্যন্ত বাড়ানোর কথা ভাবছে রেইলটেল।
ভারতের রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু আগামী তিন বছরে দেশটির প্রধান রেলস্টেশনগুলোতে বিনা মূল্যের ওয়াই-ফাই দেওয়ার পরিকল্পনার কথা বলেছেন। ভারতের এই পরিকল্পনায় সহযোগিতা করছে গুগল।

সমুদ্রের ঢেউ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ।

 সমুদ্রের ঢেউ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ।
সমুদ্রের ঢেউ থেকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্র আবিষ্কার করেছে ডেনমার্ক। যন্ত্রটির নাম ওয়েভ স্টার।
ঢেউ থেকে উৎপন্ন শক্তিকে বিদ্যুৎশক্তিতে রূপান্তর করে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ঢেউয়ের উপর থাকা কতকগুলো পাটাতন। এই পাটাতনগুলো ঢেউয়ের সাথে সাথে উপরে নিচে ওঠানামা করে। সমুদ্রের ঢেউ থেকে উৎপন্ন হওয়া গতিশক্তি হাইড্রোলিক পাওয়ার জেনারেটরে স্থানান্তরিত হয়।
যন্ত্রটির আয়তন ৬৬ ফুট। এটি ৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে সক্ষম।

চোখের মধ্যেই ক্যামেরা।

চোখের মধ্যেই ক্যামেরা।
কলমের মধ্যে ক্যামেরা, বোতামের মধ্যে ক্যামেরাসহ আরও ছোট স্পাই ক্যামেরা থাকলেও চোখের মধ্যে ব্যবহারের জনে ক্যামেরা উদ্ভাবন করেছে জাপানের একটি প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।
ক্যামেরাটির নাম ‘স্মার্ট লেন্স’। এটি এখনও বাজারে আসেনি। তবে এরই মধ্যে পেটেন্ট পেয়েছে প্রস্তুতকারী কোম্পানি।
এটি কনট্যাক্ট লেন্সের মতো পরে ফেলা যাবে। চোখের পলক ফেললেই উঠবে ছবি ও ভিডিও। যেদিকে তাকাবেন, যা দেখবেন, সবই রেকর্ড হয়ে যাবে।
বাইরে থেকে দেখে এই জিনিস চেনা অত্যন্ত কঠিন, প্রায় অসম্ভব।

গোপনে ফেসবুকের মেসেজ পড়ার উপায়!

গোপনে ফেসবুকের মেসেজ পড়ার উপায়!
ফেসবুকে আপনি কারো পাঠানো মেসেজ পড়েছেন কি না, তা মেসেজদাতা জেনে যায়। কিন্তু এটি শেষ কথা নয়। ফেসবুকের এ বিষয়টি বাদ দেওয়াও সম্ভব। এ লেখায় থাকছে আপনি মেসেজটি পড়েছেন কি না, তা গোপন করার উপায়। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে বিজনেস ইনসাইডার।
ফেসবুকে আপনাকে কেউ মেসেজ পাঠানোর পর আপনি যদি তা ওপেন করেন তাহলে তা প্রেরক বুঝতে পারে। এমনকি মেসেজটি কোন সময়ে পড়া হয়েছে তাও দেখানো হয়। আর এ পদ্ধতিকে অনেক ব্যবহারকারীই খুবই বিরক্তিকর বলে মনে করে।
আপনি মোবাইল ফোনের ক্ষেত্রে ফেসবুকের এ ‘সুবিধা’ বন্ধ করতে পারবেন না। তবে আপনি যদি ডেস্কটপ কম্পিউটার থেকে লগইন করেন তাহলে এ কাজটি করতে পারবেন।

এজন্য যা করতে হবে তা হলো, আনসিন নামে একটি ফ্রি ফেসবুক অ্যাপ ইনস্টল করে নেওয়া। ‘Unseen ’ অ্যাপটি গোপনে আপনার ফেসবুক মেসেজগুলো পড়ে দেবে। এতে প্রেরক জানতেও পারবে না যে, আপনি তার মেসেজ পড়েছেন।
এ ছাড়াও রয়েছে Facebook Unseen  নামে গুগল ক্রোমের একটি এক্সটেনশন। এতে আপনি মেসেজ পড়েছেন নাকি পড়েননি তা ম্যানুয়ালি মার্ক করে দিতে পারবেন।

ইতালিতে সতীত্ব রক্ষাকারী বেল্ট পরে বিপাকে নারী।

ইতালিতে সতীত্ব রক্ষাকারী বেল্ট পরে বিপাকে নারী।

অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কার্যালয়ে হাজির হলেন এক মধ্যবয়সী নারী। চাবি হারিয়ে ফেলা একটি তালা খুলে বা ভেঙে দেওয়ার অনুরোধ জানালেন তিনি। তালার কথা জানতে চেয়েই অগ্নিনির্বাপককর্মীরা পড়লেন বিপাকে। কারণ এটি সাধারণ কোনো তালা নয়, ওই নারীর পরে থাকা সতীত্ব রক্ষাকারী বেল্টের তালা।
গত বুধবার সকালে ইতালির ভেনেতো অঞ্চলের পাদুয়ার অগ্নিনির্বাপণ কার্যালয়ে উল্লিখিত ঘটনা ঘটে। তবে ইতালির আইন অনুযায়ী ওই নারীর পরিচয় প্রকাশ হয়নি।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, নিজের সতীত্ব রক্ষায় পরিহিত বেল্টের তালার চাবি হারিয়ে ইতালীয় নারী অনন্যোপায় হয়েই তালা খোলায় অভিজ্ঞ অগ্নিনির্বাপককর্মীদের শরণাপন্ন হন। তাঁদের কাছে তালা খোলায় সহায়তা চান ওই নারী।
ইতালির সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নারীর বাড়ির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে নিজের পোশাক সরিয়ে সতীত্ব বেল্টের তালা দেখান তিনি। ঘটনার সময় ওই নারী এবং অগ্নিনির্বাপককর্মীরা উভয়েই অস্বস্তিতে পড়েন।
অগ্নিনির্বাপককর্মীদের সূত্রে জানা গেছে, বেল্টটি লোহার তৈরি এবং এর তালাও লোহার। তাঁরা বেশ দ্রুতই তালা খুলে ফেলেন।
সতীত্ব রক্ষাকারী বেল্ট পরার কারণ জানতে ওই নারীকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন অগ্নিনির্বাপককর্মীরা। জানতে চাওয়া হয় তাঁর বসবাসের স্থান।
পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে দেখা হয় ওই নারীকে জোরপূর্বক সতীত্ব বেল্ট পরানো হয় কি না। তদন্তে নিশ্চিত হওয়া যায় কেউ তাঁর ওপর জোর করেনি। ওই নারী নিশ্চিত করেন, তিনি স্বেচ্ছায় কোনো দৈহিক সম্পর্ক এড়াতেই সতীত্ব বেল্ট পড়েন। তবে হঠাৎ করেই বেল্টটির চাবি হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরে আর ওই চাবি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার বিষয়ে অগ্নিনির্বাপণ কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

নতুন প্রযুক্তির চমক স্মার্টফোন মেলায়।

নতুন প্রযুক্তির চমক স্মার্টফোন মেলায়।

ভার্চ্যুয়াল রিয়ালিটির হেডসেটসহ স্যামসাংয়ের গিয়ার পরার ব্যাপারে দর্শকদের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তিন দিনের স্মার্টফোন ও ট্যাবলেট কম্পিউটারের মেলায়। এ ধরনের নানা চমক নিয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে স্মার্টফোন ও ট্যাব এক্সপো ২০১৬ নামের এ মেলা। বৃহস্পতিবার বিকেলে মেলার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের (টেস্ট) অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম এবং তথ্যপ্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার, স্যামসাং ইলেকট্রনিকস বাংলাদেশের মহাব্যবস্থাপক ইয়াং লি।
মেলায় বিভিন্ন নির্মাতার নতুন নতুন ফোন ও ট্যাব দেখা যাচ্ছে। এলিট মোবাইল প্রথমবারের মতো নিয়ে এসেছে ইভিওই৪০ মডেলের সম্পূর্ণ বাংলায় অ্যান্ড্রয়েড ফোন। স্যামসাংয়ের নতুন গিয়ার ভিআর হেডসেট মাথায় পরে স্মার্টফোন থেকে চলচ্চিত্র দেখা যাবে ও গেম খেলা যাবে। সিম্ফনির স্মার্টফোন কিনলে রয়েছে বিশেষ ছাড় এবং হেলিও স্মার্টফোনের সঙ্গে একটি পাওয়ার ব্যাংক। হুয়াওয়ে নতুন ব্লুটুথ স্পিকার নিয়ে এসেছে। গোল্ডবার্গ স্মার্টফোনের সঙ্গে দিচ্ছে উপহার। গ্যাজেট গ্যাং সেভেন জিয়াওমি রেডমি টু স্মার্টফোনে দিচ্ছে চার হাজার টাকা ছাড়। গ্রামীণফোনের প্যাভিলিয়নে ইনটেক্সের স্মার্ট ঘড়ির সঙ্গে পাওয়া যাবে মেমোরি কার্ড ও জ্যাকেট। বিজয়ের স্টলে পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের জন্য বিভিন্ন শিশু শিক্ষার বই।
মেলা উপলক্ষে ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে (www.facebook.com/stexpo)। এতে ‘এসটিই কুইজ কনটেস্ট ২০১৬’-এর আয়োজন করা হয়েছে।
মেলায় টিকিটের প্রবেশমূল্য ২০ টাকা। তবে প্রতিবন্ধী এবং স্কুলশিক্ষার্থীরা বিনা মূল্যে প্রবেশ করতে পারবে। আজ শেষ দিনেও মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। মেলার আয়োজক এক্সপো মেকার, পৃষ্ঠপোষক গ্রামীণফোন, সহ–পৃষ্ঠপোষক স্যামসাং, এলিট, হুয়াওয়ে ও সিম্ফনি।

প্লে স্টোর থেকে ১৩টি অ্যাপ সরিয়ে নিল গুগল।

প্লে স্টোর থেকে ১৩টি অ্যাপ সরিয়ে নিল গুগল।

গুগলের অ্যানড্রয়েড মার্কেট প্লেস ‘গুগল প্লেস্টোর’ থেকে ১৩টি অ্যাপ্লিকেশন সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে এসব অ্যাপ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অ্যাপগুলোর ব্যাপারে মিথ্যা রেটিং ও রিভিউ প্রকাশ করা হচ্ছিল, এতে ব্যবহারকারীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছিলেন। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ডিজিটাল ট্রেন্ডস।
সরিয়ে নেওয়া ১৩টি অ্যাপ হচ্ছে
১. কেক ব্লাস্ট
২. জাম্প প্ল্যানেট
৩. হানি কম্ব
৪. ক্রেজি ব্লক
৫. ক্রেজি জেলি
৬. টিনি পাজল
৭. নিনজা হুক
৮. পিগি জাম্প
৯. জাস্ট ফায়ার
১০. ইট বাবল
১১. হিট প্ল্যানেট
১২. কেক টাওয়ার
১৩. ড্র্যাগ বক্স
ক্রিস ধেঘানপুর নামের একজন নিরাপত্তা গবেষক এসব ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাপ চিহ্নিত করেন। মোবাইল সিকিউরিটি প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করেন তিনি। ক্রিস বলেন, হানিকম্ব নামের অ্যাপটি দেখা যাচ্ছিল ১০ লাখের বেশিবার অ্যাপস্টোর থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, অ্যাপটি নিয়ে ভালো ভালো রিভিউ দেখা যাচ্ছিল, যা দেখে ব্যবহারকারীরা তা ডাউনলোড করেন। কিন্তু পুরো ব্যাপারটাই ছিল ধাপ্পাবাজি। এগুলো ইচ্ছে করে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে যাতে বাকিরা ফাঁদে পড়ে এসব অ্যাপ ডাউনলোড করে।
ক্রিস আরো বলেন, দু-তিন মাস ধরে ম্যালওয়ারের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা গেমের নামে এই অ্যাপগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এমনকি গুগলের পক্ষ থেকে ফ্যাক্টরি রিসেট করার পরও ম্যালওয়ারগুলো সরানো যাচ্ছিল না।
গত বছরের নভেম্বরেও এ ধরনের কিছু ম্যালওয়ার চিহ্নিত করেছিল গুগল। অ্যাপের ডাউনলোড বাড়াতে প্লেস্টোরে ডাউনলোড সংখ্যায় ইচ্ছে করে পরিবর্তন এনে তা বাড়িয়ে দেখানো হয়। এ ছাড়া ইতিবাচক রিভিউয়ের মাধ্যমে অ্যাপগুলো যেন বেশি ডাউনলোড হয় সে জন্য ছড়িয়ে দেওয়া হয় এসব ম্যালওয়ার।

নতুন বছরের শুভেচ্ছায় গুগল ডুডল।

নতুন বছরের শুভেচ্ছায় গুগল ডুডল।

নতুন বছরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে গুগল ডুডল। ছবি : গুগল
বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে হোমপেজে পরিবর্তন আনে সার্চ ইঞ্জিন গুগল। বিশেষ দিন উপলক্ষে বদলে ফেলা হয় গুগলের লোগো। একে বলা হয় গুগল ডুডল। এবার ইংরেজি নতুন বছর ২০১৬ কে স্বাগত জানাতে নতুন গুগল ডুডল তৈরি করা হয়েছে।
একটি বছরকে বিদায় এবং আরেকটি বছরকে বরণ করে নিতে এই গুগল ডুডলে রয়েছে পাঁচটি রঙিন পাখি এবং একটি রঙিন পাখির ডিম। আর সেই রঙিন ডিমের উপরই ইংরেজিতে লেখা রয়েছে নতুন বছরের আগমনী বার্তা ‘২০১৬’।
নতুন এই গুগল ডুডলে দেখানো হয়েছে পাঁচটি পাখি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কখন ডিমটি ফুটবে। অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে সবার নতুন বছরের প্রতীক্ষাকে প্রতীকি রূপে তুলে ধরা হয়েছে এই গুগল ডুডলের মাধ্যমে।
ডুডলের সবগুলো পাখির মাথাতেই রয়েছে পার্টি হ্যাট। আরেকটি পাখির পকেটে রয়েছে ঘড়ি, পাখিটা নতুন বছরের অপেক্ষায় সময় গুনছে অধীর আগ্রহে।
গুগল ডুডলের নিচেই রয়েছে একটি অপশন যেখানে লেখা আছে ‘ওয়াচ অ্যান্ড রিমেম্বার দ্য মোমেন্টস অফ ২০১৫’। এই লেখাতে ক্লিক করলে পুরোনো বছরের বড় বড় ঘটনাগুলোর এক ঝলক দেখে নিতে পারবেন। বছরের উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে রয়েছে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলা, চেন্নাইয়ের ভয়াবহ বন্যাসহ অন্যান্য আলোচিত সব ঘটনা।

দোকানে চুরি বন্ধে ফেসওয়াচ প্রযুক্তি।

দোকানে চুরি বন্ধে ফেসওয়াচ প্রযুক্তি।
 
ব্রিটেনের বিপণী বিতানগুলিতে ছিঁচকে চুরি রোধ করতে নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। আর সেটা হলো ফেসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজি – সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মানুষের মুখের অবয়ব চিনতে পারে এই প্রযুক্তি।
ফেসওয়াচ নামের এই প্রযুক্তি দিয়ে শপিং সেন্টারগুলোর নিরাপত্তা কর্মীরা এতদিন শুধুমাত্র ছিঁচকে চোরদের ছবি নিজেদের মধ্যে শেয়ার করেছে।
কিন্তু এখন এই প্রযুক্তিতে সম্ভাব্য অপরাধীর ডেটাবেজের সঙ্গে কারো চেহারার মিল ধরা পড়লে দোকানগুলিতে অ্যালার্ট জারি করা হবে।
ফেসওয়াচ পরীক্ষার সময় উপস্থিত বিবিসি সাংবাদিক ক্রিস ভ্যালেন্স জানাচ্ছেন, এই প্রযুক্তিতে দেখা যাচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে দিয়ে মানুষজন হেঁটে যাচ্ছেন, প্রত্যেকের মুখ ফুটে উঠছে ক্যামেরায়। প্রতিটি মুখের ওপর ঝুলছে একটি করে চতুষ্কোণ। ক্যামেরা চিনে রাখছে প্রতিটি লোককে।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্রিটেনের পাবগুলিতে হাতব্যাগ চুরির ঘটনা ঠেকানো হয়েছে। অন্যান্য ছিঁচকে চুরিও কমে এসেছে। কিন্তু শপিং সেন্টারের মালিকরা এই প্রযুক্তির প্রসার কামনা করলেও এর একটি আইনগত জটিলতাও রয়েছে। আর সেটি হলো মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার।
টোনি পোর্টার হলেন ব্রিটেনের সার্ভেইলেন্স ক্যামেরা কমিশনার। তিনি বলছেন, এ নিয়ে বৃহত্তর পরিসরে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
তার প্রশ্ন: আপনি কী চান প্রতি দিন ৬০ লাখ সিসিটিভি ক্যামেরা আপনার দিকে তাক করা থাকুক এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপের ছবি তুলে রাখুক?

বিপদে মোবাইলের বাটন চাপলেই পুলিশ হাজির।

বিপদে মোবাইলের বাটন চাপলেই পুলিশ হাজির।
হঠাৎ করেই বিপদ! দুশ্চিন্তার কারণ নেই। হাতের মোবাইলটির বাটনে চাপ দিলেই হাজির হবে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে বিপদ থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে নারী-পুরুষকে, হোক না ছোট কিংবা বড়।
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকদের জন্য এমনই একটি প্রযুক্তি সেবা নিয়ে আসছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
আগামী তিন মাসের মধ্যেই গ্রাহক পর্যায়ে এ সেবা উন্মুক্ত করার আশা করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
‘মোবাইল হেল্প সাবস্ক্রাইবার’ নামের এ সেবাটি সম্পর্কে তারানা হালিম বলেন, ‘যেকোনো মোবাইলে নির্দিষ্ট একটি বাটনে পরপর তিনবার চাপ দিলেই নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত মানুষটির খবর চলে যাবে’।
‘জিপিআরএস (জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস) প্রযুক্তির মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত ওই ব্যক্তির বিপদে পড়ার স্থানটিও ভেসে উঠবে থানায় সংরক্ষিত মোবাইল ডিভাইসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চলে যাবে সেখানে, ব্যবস্থা নেবে’।
তারবিহীন মোবাইল টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত এ ব্যবস্থায় গ্রাহকের কোনো ধরনের চার্জ কাটা হবে না।
‘দুর্গম এলাকায় হারিয়ে যাওয়া, ছোট শিশুর পথ খুঁজে না পাওয়া কিংবা যেকোনো বিপদে পড়া নারী-পুরুষ এ সেবা গ্রহণ করতে পারবে’- বলেন তারানা হালিম।
সেবাটি চালুর জন্য মোবাইল অপারেটর এবং প্রযুক্তিবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শিগগিরই কথা বলা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ভারতে বিপদে পড়া নারীকে সহায়তা দিতে সব মোবাইলে ‘প্যানিক বাটন’ যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। ওই সেবা পেতে মোবাইল ব্যবহারকারীকে পরিচিত একটি নম্বর তার ফোনে সংরক্ষণ করতে হবে, যেটিতে ফোন করলে তিনি সহায়তা পাবেন। বাটন চাপার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সংরক্ষিত ওই নম্বরের ফোনে ভেসে উঠবে। এতে তিনি বুঝতে পারবেন, কেউ তার সহায়তা চাইছে। নতুন বা পুরনো সব মোবাইলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটি চালু করার সুযোগ থাকবে।
সেখানে শুধু নারীর জন্য প্যানিক বাটন চালু হলেও বাংলাদেশে এ সেবার আওতায় নারী-পুরুষ সবাই আসবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
হেল্প লাইনে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সহায়তায় অপরাজেয় বাংলাদেশে মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ। বাংলাদেশের প্রথম এই চাইল্ড হেল্পলাইন সেবা সম্প্রসারণে অংশীদার হয়েছে গ্রামীণফোন। এজন্য গ্রামীণফোন থেকে বিনা খরচে ১০৯৮ নম্বরে ডায়াল করা যাবে।
এছাড়াও, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সাইবার নিরাপত্তায় একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। ০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮ ও ১০৯২১ নম্বরে সেবা দিচ্ছে আইসিটি বিভাগ।
এদিকে কল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সুস্থ, নিরাপদ ও উন্নত কর্মপরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চে আরও একটি হেল্পলাইন চালু করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। শ্রমিকদের জন্য এই হেল্পলাইন নম্বর ০৮০০৪৪৫৫০০০।