বিমানবন্দরে যাত্রী সামলাবে রোবট।

বিমানবন্দর মানেই মহা ঝক্কির ব্যাপার। কোন দেশের যাত্রী আসছে বা কোন দেশের যাত্রী যাচ্ছে, তারা ঠিক বিমানে উঠছে কি না। ট্রানজিট হলে কোন বিমান ছেড়ে কোনটাতে উঠতে হবে- এ ধরনের নানা ব্যাপার থাকে বিমানবন্দরে। বড় বড় এয়ারপোর্টে তাই অনেকেই পথ হারিয়ে ফেলেন। আবার প্রথম যাত্রায় অনেকেরই নানা রকম ভীতি থাকে। আর সবসময় যাত্রীদের দিকে ঠিকভাবে খেয়াল রাখতে পারে না এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ।
তবে নেদারল্যান্ডসের রাজধানী অ্যামস্টারডামের শিপোল বিমানবন্দরে এবার যাত্রীদের সহায়তায় নামানো হয়েছে রোবট। আর এসব উপকারী রোবটের নাম রাখা হয়েছে ‘স্পেন্সার’। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ।
গত সোমবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে নামানো হয়েছে এসব রোবট। প্রাথমিকভাবে এক সপ্তাহ কাজ করবে রোবটগুলো। পথ হারিয়ে ফেলা যাত্রীদের জন্য রোবট স্পেন্সারের কাছে থাকবে একটি ম্যাপ। কেউ হারিয়ে গেলে তাকে তার নির্দিষ্ট গেট বা টার্মিনালে পৌঁছে দেবে এই রোবট।
আর পুরো বিমানবন্দরে চলাচলের সময় রোবটটি যেন কারো সাথে ধাক্কা না খায় সেজন্য এতে যোগ করা হয়েছে সেন্সর প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে রোবটটি তার চলার পথে বাধা এলে সেটা এড়িয়ে গিয়ে নিরাপদে চলতে পারবে।
রোবট তৈরির এই প্রজেক্টে কাজ করা কম্পিউটার সায়েন্সের অধ্যাপক আচিম লিলিয়েনথাল বলেন, ‘রোবটগুলোকে দিয়ে ঠিকভাবে কাজ করিয়ে নেওয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে একে বিভিন্ন কাজের সাথে পরিচয় করানো এবং সেগুলো শিখিয়ে দেওয়া। যেমন পথে কোনো লাগেজ পড়ে থাকলে তা সরিয়ে জায়গামতো পৌঁছে দেওয়া।’
পরীক্ষামূলক সংস্করণ থেকে যেসব তথ্য উপাত্ত পাওয়া যাবে সেসব কাজে লাগিয়ে রোবটটির আরো উন্নত সংস্করণ তৈরির জন্য কাজ করবেন বিজ্ঞানীরা। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী মার্চ থেকে শিপোল এয়ারপোর্টে পুরোদমে কাজে লেগে যাবে এসব রোবট।
আর এই প্রোজেক্টে অর্থায়ন করেছে ইউরোপীয়ান কমিশন। তাদের সাথে আছে ইউরোপের আরো পাঁচটি দেশ। বিজ্ঞানীরা সফলভাবে রোবটদের দিয়ে কোনো ঝামেলা ছাড়াই কাজ করিয়ে নিতে পারলে ইউরোপের দেশগুলো তাদের বিমানবন্দরে এই রোবটগুলোকে কাজে লাগাবে।

শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট