প্রতিটি মানুষের রয়েছে স্বকীয়তা,নিজস্বতা।বাহ্যিক দিক থেকে সকলে যেমন আলাদা তেমনই ভেতরের দিক দিয়েও কিন্তু প্রতিটি মানুষ আলাদা। অর্থাৎ প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিত্ব আলাদা ধরণের। প্রত্যেকেরই নিজস্ব চিন্তা ভাবনা,রুচিবোধ, মানসিকতা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে।
কিন্তু আপনি জানেন কি আপনি কোন ধরনের মানুষ এবং আপনার ব্যক্তিত্ব কি ধরণের তা আপনার শারীরিক কিছু বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করতে পারে? হাতের আঙুলের মাধ্যমেও প্রকাশ পায় আপনার ব্যক্তিত্ব। হাতের তর্জনী এবং অনামিকা আঙুলের লম্বার পার্থক্য আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেক তথ্যই প্রকাশ করতে পারে। জানার কৌতূহল হচ্ছে নিশ্চয়- আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন? চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক।
উপরের ছবিটি লক্ষ্য করুন। এই ছবিতে ৩ ধরণের হাতের আঙুলের লম্বার পার্থক্য দেখানো হয়েছে।
A ছবিটিতে তর্জনীর চাইতে অনামিকা আঙুলের দৈর্ঘ্য বেশি, B ছবিটিতে তর্জনীর চাইতে অনামিকা
আঙুলের দৈর্ঘ্য কম এবং C ছবিটিতে অনামিকা ও তর্জনী দুটোর দৈর্ঘ্য সমান।
মূলত এই ৩ ধরণের আঙুলের দৈর্ঘ্যের মানুষ দেখা যায়। নিজের হাত দেখে মিলিয়ে নিন আপনার আঙুলের দৈর্ঘ্য কোনটি
এবং জেনে নিন আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে কি বলে।
A ছবিটির মতো হলে ব্যক্তিত্ব
যাদের অনামিকা আঙুল তর্জনীর চাইতে দৈর্ঘ্যে লম্বা হয় তাদেড় চেহারা অনেক বেশি সুন্দর হয়।
তারা অনেক বেশি রাগি স্বভাবের হয়, দ্রত সঠিক সিদ্ধান্ত— গ্রহণেও পটু এই ধরণের মানুষেরা।
অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন। এই ধরণের মানুষের পেশা হয়, সৈনিক, ইঞ্জিনিয়ার,
দাবা খেলোয়াড় এবং তারা ক্রসওয়ার্ড সমাধান করতে পারেন বেশ সফলতার সাথে।
বিজ্ঞানীরা গবেষণায় আরও দেখতে পান, যাদের তর্জনীর চাইতে অনামিকা লম্বা হয়
তারা ছোট অনামিকার অধিকারী মানুষের চাইতে বেশি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
B ছবিটির ছবির মতো হলে ব্যক্তিত্ব
যে সকল মানুষের অনামিকা তর্জনীর চাইতে ছোট তারা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী মানুষ হয়ে থাকেন।
তারা অনেক বেশি আত্মকেন্দ্রিক এবং একটু অহংকারী ধরণের মানুষ হন। এই ধরণের মানুষেরা নীরবতা,
নির্জনতা পছন্দ করেন, কেউ তাদের একান্ত সময়ে বিঘ্ন ঘটান তা একেবারেই পছন্দ করেন না। সম্পরকের
ব্যাপারে এই ধরনের মানুষেরা কখনোই প্রথমে এগিয়ে আসেন না, কিন্তু তারা নিজের প্রতি অন্যের মনোযোগ
এবং আকর্ষণ অনেক উপভোগ করে থাকেন।
C ছবিটির মতো হলে ব্যক্তিত্ব
যাদের তর্জনী এবং অনামিকা আঙুলের দৈর্ঘ্য সমান তারা অনেক বেশি সাধারণ মানুষ হন এবং অনেক
শান্তিপ্রিয় ধরণের হয়ে থাকেন। কোনো ঝগড়া-ঝাটিতে তারা জড়াতে চান না একেবারেই এবং কোনো
কারণে জড়িয়ে গেলে অনেক অস্বস্তিতে পড়ে যান। তারা নির্ঝঞ্ঝাট জীবন যাপন করেন এবং সকলের
সাথে থাকতে পছন্দ করেন। তারা সম্পর্কে অনেক বেশি বিশ্বস্ত হন এবং সঙ্গীর প্রতি অনেক বেশি
কেয়ারিং থাকেন।
শেয়ার করুন