আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এমন অনেক ব্যাপারই আছে যা শুধুমাত্র পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে দেখে দেখেই আমাদের জীবনযাত্রার সাথে জড়িয়ে ফেলেছি আমরা। মাঝে মধ্যে কৌতুহলী মনে এমন অনেক ব্যাপারই উকি দেয় হয়তো অনেকেরই। এ বিষয়টা এমন কেন? ঐ জিনিসটা ওমন কেন ? এমন না হয়ে একটু অন্যরকম হলেই বা কি এমন ক্ষতি হত, এমন শত কৌতুহল থাকা অবান্তর কিছু নয় ।
দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে সংস্কৃতি, আচার -আচরন লালন ও পালন করছি তা কিন্তু এমনি এমনি চলে আসেনি । প্রত্যেকটা বিষয়ের পেছনেই আছে কিছু না কিছু গল্প । এমন অনেক বিষয়ের মত অনেকের কাছে খুব সাধারন কৌতুহলের একটি বিষয় ‘ ছেলেদের জামার বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের কেন বাঁদিকেই হয়’ ?
দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে সংস্কৃতি, আচার -আচরন লালন ও পালন করছি তা কিন্তু এমনি এমনি চলে আসেনি । প্রত্যেকটা বিষয়ের পেছনেই আছে কিছু না কিছু গল্প । এমন অনেক বিষয়ের মত অনেকের কাছে খুব সাধারন কৌতুহলের একটি বিষয় ‘ ছেলেদের জামার বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের কেন বাঁদিকেই হয়’ ?
তবে এবার এমন কৌতুহলের ক্ষুধা মেটাতেই সেই ‘রহস্যের’ উত্তর দিয়েছে ‘এই সময়’ –
এবার জানুন তাহলে অনুসন্ধানী মনের চোখ-কান খুলে –
ছেলেদের আর মেয়েদের জামার বোতামে ভিন্নতার
প্রসঙ্গে সেই নেপোলিয়ান যুগ থেকে ঘোড়ায় চড়া, তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ থেকে
শুরু করে কোলের সন্তানকে দুধ খাওয়ানো পর্যন্ত নানামুখি ব্যাখ্যা আছে । এ
নিয়ে অনেক তত্ত্ব শোনা যায়, ভিন্ন ভিন্ন গল্পও প্রচলিত আছে । তবে কোনোটাই
খণ্ডন করার নয়।
তবে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য গল্পটা হল,
নেপোলিয়ান বোনাপার্টের যেকোনো ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে
ঢোকানো এটা তখনই হয়, যদি কোটের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। বলা
হয়, মেয়েদের ডানহাতও নাকি সেভাবেই থাকত। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে
হাসাহাসি করতেন । তা নেপোলিয়ানের কানেও গিয়েছিল। এর পর তারই নির্দেশে
মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেওয়া হয়।
পুরুষরা সাধারণত নিজের জামা নিজেই পরে
এসেছেন। তা তিনি রাজা-মহারাজাই হোন, বা অতি সাধারণ কেউ। কিন্তু, সম্পন্ন
পরিবারের মেয়েদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকতেন। তারাই জামা পরিয়ে দিতেন।
যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেওয়া যায়, তাদের সুবিধার
জন্যই মেয়েদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখাই দস্তুর।
রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে
হয়েছে তরোয়াল। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই
জামার বোতাম বসানো হত ডান দিকে।
আর মহিলাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু
বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান
হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা
মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়।
পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক
ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তরোয়াল চালাতে সুবিধা হয়। সেই তরোয়াল গোঁজা
থাকত বাঁ-কোমরে। বের করার সময় তরোয়াল যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে
আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। মেয়েরা যখন ঘোড়ায় চড়ত
বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে
হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে।
আরও একটি তত্ত্ব হল, মেয়েরা যে পুরুষদের
থেকে কোনও অংশে কম নন, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরেছেন। তার পরেও
বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিত ভাবেই মেয়েরা জামার বাঁদিকে বোতাম
বসিয়েছেন।