বাংলাদেশের
সঙ্গে আলোচনা করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ডাক ও টেলিযোগাযোগ
মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠির জবাবে এ কথা জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
আজ
মঙ্গলবার রাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা
এনায়েত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ফেসবুকের কাছে পাঠানো চিঠির একটি জবাব
আমাদের কাছে এসেছে।’
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইমেইলের মাধ্যমে দেওয়া উত্তরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসে তারা আলোচনায় বসতে চায়।
গতকাল
সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে ফেসবুকের কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়।
দেশের সাইবার নিরাপত্তা, নারীর প্রতি হয়রানি, ধর্মীয় উসকানি, রাজনৈতিক
অস্থিরতা মোকাবিলায় ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তি করার প্রস্তাব দেওয়া হয় ওই
চিঠিতে।
গত
১৮ নভেম্বর দুপুরে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, ভাইবার,
হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপ্লিকেশনগুলো
(অ্যাপস)। সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান,
নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এসব সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
ওই
দিন সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী
ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে
রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায় ঘোষণার পরপরই দেশে সামাজিক
যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রায় সোয়া ঘণ্টা বন্ধ
থাকে সারা দেশের ইন্টারনেট সংযোগও।
কবে
নাগাদ ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়া হবে—জানতে
চাইলে গত ২১ নভেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন,
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম
বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, ‘সাময়িক নিরাপত্তার জন্য, জনস্বার্থ, জননিরাপত্তার
স্বার্থে যতদিন বন্ধ রাখা প্রয়োজন, ঠিক ততদিনই বন্ধ থাকবে। যখন
জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটি নিশ্চিত
করবে, তখনই আমরা এটা খুলে দেব।’
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বিশেষ কারণেই এটা স্থগিত করা হয়েছে, স্বল্প সময়ের জন্য।