প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু
আজ থেকে শুরু হলো, শিশুদের বড় পরীক্ষা। প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এবার অংশ
নিচ্ছে, ৩৫ লাখের বেশি শিক্ষার্থী।
সকালে অভিভাবকদের হাত ধরে ক্ষুদে এই পরীক্ষার্থীরা একে একে ঢোকেন কেন্দ্রে। সারা দেশে একযোগে পরীক্ষা শুরু হয়, বেলা ১১টায়। চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। তবে, আগামীকালের পরীক্ষা হবে, ৩০ নভেম্বর।

জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা। তাই কোমলমতি শিশুদের আগ্রহ আর উত্তেজনা সীমাহীন। দেশের অধিকাংশ কেন্দ্রে  রোববার সকালেই শিক্ষার্থী অভিভাবকদের উপস্থিতি ছিলো পরীক্ষা শুরুর অনেক আগেই।

এবছর ৩২ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে, শিক্ষা সমাপনি পরীক্ষা। ৭ হাজার ৫২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পরীক্ষা। আর দেশের বাইরে রয়েছে ১১টি কেন্দ্র।

সকালে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী। এসময় তিনি জানান, হরতালের কারনে পেছানো হয়েছে ২৩ নভেম্বরের বাংলা পরীক্ষা। পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হবে ৩০ নভেম্বর ।

এদিকে, পরীক্ষার সময় হরতাল ডাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। পাবলিক পরীক্ষার সময়, হরতালের মত রাজণৈতিক কর্মসূচি পরিহার করার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

আজ প্রথম দিন, অনুষ্ঠিত হলো ইংরেজি পরীক্ষা।

স্মার্ট কার্ড তৈরীর প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম

স্মার্ট কার্ড তৈরীর প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম
স্মার্ট কার্ড দেয়ার আগেই প্রকল্পের অর্থ নিয়ে নয়-ছয় শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ২০১৩-১৪ সালের অডিট রিপোর্টে।
প্রায় সোয়া কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি আর ঠিকাদারকে চুক্তি মূল্যের শতভাগ আগাম দেয়ার মতো গুরুতর
আপত্তি তোলা হয়েছে ওই রিপোর্টে। বিশ্ব ব্যাংকের সাহায্যপুষ্ট এই প্রকল্পের আওতায় ৯ কোটি ভোটারকে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের অন্যতম প্রধান কাজ ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি ও তথ্য ভান্ডার সংরক্ষণ।
ভোটার তালিকার তথ্যের ভিত্তিতে নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার কাজও করে সাংবধিানিক প্রতিষ্ঠানটি। এই কর্মযজ্ঞ পরিচালিত হয় আইডিইএ প্রকল্পের মাধ্যমে। যাতে অর্থায়ন করছে বিশ্বব্যাংক। কিন্তু ২০১৩-১৪ সালের অডিট রিপোর্টে এই প্রকল্পে গুরুতর অর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট প্রকল্প অডিট অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সফটওয়্যার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টাইগার আইটিকে কর মওকুফের সুবিধা দেয়ায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। আরেকটি আপত্তিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক গ্যারান্টির বিপরীতে ১০ শতাংশ টাকা অগ্রিম দেয়ার নিয়ম থাকলেও টাইগার আইটিকে চুক্তিমূল্য ২৮ কোটি ১২ লাখ টাকার পুরোটাই অগ্রিম দেয়া হয়েছে। যা মোটেই নিরাপদ নয়।
শুধু তাই নয় নাগরিকের তথ্য ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবস্থানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ ৭ দেশ সফর করেছেন, ১৪ জন উর্দ্ধতন কর্মকর্তা। বিমানের টিকিটবাবদ খরচ হয়েছে ৩৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। টিকিট কিনতে যাচাই করা হয়নি বাজার দর। যা সরকারি ক্রয়নীতি পরিপন্থী। এই দুজনই মনে করেন, স্বচ্ছতা নিশ্চত করতে সব অভিযোগের যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী প্রধান সাইফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, অডিট আপত্তির যথাযথ জাবাব দেয়া হয়েছে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। তার ভাষায়, বিশ্বব্যাংকের টাকা নয়-ছয় করা এত সহজ নয়।