ফেসবুক বন্ধের কারণ জানিয়ে তারানা হালিমের 'খোলা চিঠি'

ফেসবুক বন্ধের কারণ জানিয়ে তারানা হালিমের 'খোলা চিঠি'
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের প্রতিক্রিয়া লিখেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য তার স্বাক্ষরিত ওই লেখায় তিনি শুধুমাত্র মন্ত্রী হিসেবে না, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ওই ব্যবস্থা গ্রহণের প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন।
তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম লিখেছেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর জায়গা থেকে লিখছি না”, লিখছি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে- যে দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই কিন্তু- চাঁদে কারো মুখ দেখার গুজবে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ, আবার একটি পোস্টের কারণে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) বৌদ্ধ বিহারে চলেছে হামলা- আমরা সব ভুলে গেছি।'
ফান্সে সন্ত্রাসী হামলার পরে ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'বহু দেশ আজকের দিন পর্যন্ত সে দেশগুলোর মানুষের নিরাপত্তার জন্য “ইন্টারনেট” পর্যন্তও সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সেদেশের নাগরিকেরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে নিয়েছে, “টু” শব্দটি করেনি। হয়তো তারা ভাবছেন- “সামাজিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দূর্ঘটনা ঘটার আগে “সাময়িক বন্ধ” রাখলে এই মানুষগুলোর জীবন (FRANCE এর) বাঁচানো যেত কি?'
প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমের আরেকটি আলোচিত ঘটনা উল্লেখ করে নৈতিক অবস্থানের উদাহরণ দিয়ে লিখেছেন, 'আরেকটি ঘটনা বলি, পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া এক চিত্রগ্রাহক একটি ছবি তুললেন ক্ষুধার্ত এক শিশু এবং তার মুখোমুখি একটি শকুনের। ছবি হিসাবে অসাধারণ। তার সামনে ২টি বিকল্প ছিল- হয় তিনি ছবিটি তুলবেন, নয়তো শিশুটিকে দ্রুত তুলে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যাবেন। তার কাছে প্রথম বিকল্পটি আকর্ষণীয় মনে হলো। তিনি তুললেন অসাধারণ ছবিটি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শিশুটি মারা গেল। চিত্রগ্রাহক পেলেন “পুলিৎজার পুরস্কার”। কর্মের এক বিরল স্বীকৃতি। কিন্তু বিবেক তাকে তাড়া করলো সর্বক্ষণ- “যদি তখন ছবি না তুলে শিশুটিকে তিনি নিয়ে যেতেন নিকটবর্তী অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে, অন্তত বাঁচাবার চেষ্টা তো করতে পারতেন”! অনুশোচনায় আত্মহত্যা করলেন তিনি। আমরা বড় বেশি কঠিন, কঠোর হয়ে গেছি- তাই মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টাকারীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ধন্যবাদ সকলকে যারা মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টাকে ব্যঙ্গ করেন, তিরস্কার করেন। এ জন্যই হয়ত মানুষের জায়গায় আসছে রোবট। রোবট হবার পথ থেকে খুব দূরে কি আমরা?'
প্রতিমন্ত্রী তারানা গণমাধ্যমকে তার বক্তব্যের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বুঝে লেখার পরামর্শ দিয়ে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। তার বক্তব্য যেনো খন্ডাংশ আকারে গণমাধ্যমে প্রকাশ না পায় তাও অনুরোধ করেন তিনি।  ফেসবুকসহ কিছু সামাজিক যোগাযোগ সাইট বন্ধ করা হয়েছে তার যৌক্তিকতা চারটি পয়েন্টে তিনি যা লিখেছেন, তা নিম্নরুপ-
প্রথমতঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অস্থায়ীভাবে, সাময়িক সময়ের জন্য জননিরাপত্তার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, সরকারের জনজীবনের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বের অংশ হিসাবে (আবারো উল্লেখ করছি) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ লক্ষ্য করবেন এবার শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায়ের আগে বা পরে দেশে বড় ধরণের কোন নাশকতা ঘটেনি। ধর্মযাজকের উপর হামলাকারী গ্রেফতার হয়েছে। বিশিষ্টজনদের প্রাণনাশের হুমকিদাতাও গ্রেফতার হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন নাশকতার জন্য কতজন পরিকল্পনাকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য এবার গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
তৃতীয়তঃ না, “মাথা ব্যথার জন্য আমরা মাথা কেটে ফেলিনি”- কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সঙ্কেত ও সরকারের নির্দেশনা পেলে এসব মাধ্যম খুলে দেয়া হবে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেবার জন্য একটি প্রাণহাণিও ঘটে তখন কিন্তু জনগণ সরকারকেই দোষারোপ করেন, করবেন। তাহলে জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকার সাময়িক সহযোগিতা চাইলে তা দিতে আমরা কুণ্ঠিত হব কেন?
চতুর্থতঃ বিকল্প ব্যবস্থা কি নেয়া যেত না? আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রায় সাড়ে চার মাস। এর মধ্যে সিম/রিম নিবন্ধন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম জোরদার করা, ব্যান্ডউইথের দাম কমানো, টেলিটককে সক্ষম করা, বায়োমেট্রিক্স চালু করা, ডাক বিভাগের জন্য E-Cash transfer সম্প্রসারণ ও ১১৮টি যানবাহন ক্রয় প্রক্রিয়া, এমএনপি চালুর জন্য প্রক্রিয়া শুরুসহ দায়িত্ব পাবার ৩ দিনের মাথায় “প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলা” করার জন্যও কাজ শুরু করেছি।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে তিনি খুব অল্পসময় পেয়েছেন উল্লেখ করে তারানা হালিম লিখেছেন,  প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলার জন্য আমি প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি, যার মাধ্যমে দেশের বাইরের আপত্তিকর কনটেন্ট ফিল্টার্ড হয়ে দেশে প্রবেশ করবে, জনগণের ও নারীদের নিরাপত্তা বাড়বে।  আইএসপি ও ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য যাচাই বাছাই চলছে বলেও জানান তিনি।
তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন হলে সুফল আসবে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'এই কাজগুলো কিন্তু চলছে। ৩ মাসের খুব বেশি সময় নয়, অচিরেই এর ফল পাবেন।'
বর্তমান প্রেক্ষাপটে যারা প্রক্সি বা ভিপিএন দিয়ে বিকল্পপথে ফেসবুক ব্যবহার করছেন, 'তাদের নিরাপত্তা বিষয়ে সাবধান করে তারানা লিখেছেন, যারা ভিন্ন পথে এসব মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের নিজেদের ID হ্যাক হতে পারে- এই সতর্কতাও দেয়া প্রয়োজন।'
সেইসাথে যারা ফেসবুক ব্যবহার করছেন না তাদের ধন্যবাদ দিয়ে তারানা লিখেছেন, 'যারা জনস্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ রেখে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিয়ে নাশকতাকারীদের খুঁজে বের করতে, নাগরিকের জীবন বাঁচাতে সরকারকে সহযোগিতা করছেন তাদের এই দেশপ্রেমের জন্য অকুণ্ঠ সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। '
অনেকেই ফেসবুক বন্ধ হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং প্রতিমন্ত্রীকে গালি দিচ্ছেন, সে বিষয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত না বরং তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'যারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও তিরস্কার করছেন তাদের কাছে আমি জীবন বাঁচাবার চেষ্টা করার জন্য, রাষ্ট্রের একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে জননিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা পালনে গর্বিত হয়েও ক্ষমাপ্রার্থী। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সকলের দায়িত্ব জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই কাজটি সততা ও নিষ্ঠার সাথে করার জন্য যারা আমাকে প্রবল তিরস্কার করেছেন তা আমি নতমস্তকে গ্রহণ করলাম, কারণ হয়তো এ কারণে আজ কোথাও এক মায়ের সন্তান হাসিমুখে তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে- অক্ষত। এ প্রাপ্তিটুকুও আমার জন্য কম নয়। কম নয় কারো জন্যই।'
বিএনপি নেতা সালাউদ্ধিন কাদের চৌধুরী ও জামায়ান নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই সর্তকতা হিসেবে ১৮ নভেম্বর দুপুর থেকে ফেসবুকসহ কিছু সামাজিক গণমাধ্যম বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার।


এই ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রদান

এই ডিসেম্বরেই শুরু হচ্ছে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রদান
high-court
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সাক্ষ্য প্রদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ফলে বিদেশে অবস্থানরত যে কেউ আদালতে সাক্ষ্য দিতে পারবেন। এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতি আয়োজিত বার্ষিক নৈশভোজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি জানান, দেশে ৩১ লাখেরও বেশি মামলা নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। মামলাজট কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।প্রধান বিচারপতি আরো জানান, আদালতের পুরো কার্যক্রমের তথ্য সার্ভারে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মামলা সংশ্লিষ্টরা তাদের প্রয়োজনে এটা ব্যবহার করতে পারবেন।যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে, এ দাবি করে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, ‘বিদেশের সাহায্য না নিয়েই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে। দেশের কিছু মানুষ এ বিচারের সমালোচনা করলেও বিদেশে এ বিচার প্রক্রিয়া প্রশংসিত হচ্ছে।’রাশিয়ার এক বিচারকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই বিচারক আমাদের বিচারিক কার্যক্রম দেখতে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ কে এম সমিউল আলম, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, সিলেট জেলা ও দায়ারা জজ মনির আহমদ পাটওয়ারী, মহানগর দায়রা জজ আকবর হোসেন মৃধা, অ্যাডভোকেট কায়মূল হক চৌধুরী প্রমুখ।

আসছেন ঢাকা মাতাতে মাধুরী R কারিনা

আসছেন ঢাকা মাতাতে মাধুরী R কারিনা

ঢাকা মাতাতে আসছেন মাধুরী-কারিনা  
ঢাকায় বিভিন্ন সময়ে এমনিতেই চলে জমজমাট কনসার্টের আয়োজন। আর শীতের মৌসুম তা আরো বেড়ে যায়। শীতের সময় বিভিন্ন ইভেন্ট দিয়ে যেমন জমে ওঠে পুরো শহর; তেমনি ভিনদেশী অতিথিদেরও আগমন বেড়ে যায় এসময়।
এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসছেন বলিউডের ধাক ধাক গার্ল মাধুরী দিক্ষীত। তবে নাচ বালিয়ে কনসার্টে মাধুরী একা নন; পুরো ঢাকাকে নাচাতে তার দলবল নিয়েই হাজির হবেন সেনসেশনাল এ অভিনেত্রী। ‘ওরে প্রিয়া’ থেকে শুরু করে ‘এক দো তিন’ সবকিছুই নেচে গেয়ে পারফর্ম করবেন তিনি।
মাধুরীর চাপ ঢাকার দর্শকরা সামলাতে না সামলাতেই এসে হাজির হবেন আরেক বলিউডের বেবো কারিনা কাপুর খান। মাধুরীর মতো প্রথমবারের মতো ঢাকায় আসবেন কারিনাও। জানুয়ারিতে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে পারফর্ম করার কথা রয়েছে সাইফ আলি খানের স্ত্রী কারিনাকে।
ওয়ান মোর জিরো কম্যুনিকেশনের কনসার্টটির আয়োজন করছে গান বাংলা চ্যানেল।
এর আগে ২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে আয়োজিত ‘ত্রিদেশীয় বিগ শো’ কনসার্টে কারিনা’র আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসেননি তিনি। কনসার্টে কারিনা’র পাশাপাশি বলিউডের আরেক আবেদনময়ী নায়িকা নারগিস ফাখরী ও কণ্ঠশিল্পী বেনী দয়ালও থাকবেন।

ফেসবুক খুলে দেওয়ার দাবি গড়াল রাস্তায়

ফেসবুক খুলে দেওয়ার দাবি গড়াল রাস্তায়
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এবং ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ খুলে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন এক শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ব্যানার হাতে প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে তাঁকে। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে একই ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিবাদী ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁর গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায়।
মোখলেছুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘২০১৩ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে নিজের বিবেকের তাড়নায় দেশের মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে এককভাবে সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করে আসছি। মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসির দণ্ড পাওয়া সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেছে। কিন্তু এখনো সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াট্সঅ্যাপ খুলে দিচ্ছে না। এগুলো নিয়ে আর কত টালবাহানা করবে? আমি চাই শিগগিরই জনসাধারণের জন্য এগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক।’
এদিকে ফেসবুক ও যোগাযোগের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ভাইভার, ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলছে, অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী বিকল্প পদ্ধতিতে এগুলো ব্যবহার করলেও অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা তা ব্যবহার করতে পারছে না।
এ নিয়ে কথা হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাহাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এভাবে একচেটিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করে রাখা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয়। বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকেই ফেসবুক ব্যবহার করছে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
সমাজকল্যাণ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অনেকেই ভালো কাজে ব্যবহার করে আবার অনেকেই খারাপ কাজে ব্যবহার করে। তবে এভাবে একচেটিয়া বন্ধ রাখা কোনোভাবে ঠিক নয়।’
এর আগে গত সোমবার ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আহ্বান জানান। অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য বলেছিলেন, ‘সব প্রযুক্তির ভালো-মন্দ দুটি দিকই আছে। প্রযুক্তির কুফল চিন্তা করে যদি আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারই বন্ধ করে দিতাম, তাহলে হয়তো মানবসভ্যতার এই অকল্পনীয় উৎকর্ষতা লাভ হতো না। প্রযুক্তির অপব্যবহারে আরো উন্নত প্রযুক্তির উদ্ভাবন এবং ব্যবহার ঘটেছে। কিন্তু সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে যদি ভেবে নেয়, ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ একদম বন্ধ হয়ে গেছে, তা মোটেই সঠিক নয়। অনেকেই নতুন নতুন অ্যাপস ব্যবহার করে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন এবং নাশকতাবাদীরাও চাইলে সেটি করতে পারবেন না-তা আমার বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়।’

তাহজীব আলম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের মাধ্যমে সরকারের যে মূল উদ্দেশ্য-সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার রোধ-তা থেকে সরকার অনেক দূরে। কাজের কিছু না হলেও এই সিদ্ধান্ত জনমনে অযাচিত আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে সরকারের অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অগ্রযাত্রাকে কিছুটা হলেও ব্যাহত করছে। পুরো ব্যাপারটি আরো গভীরভাবে চিন্তা করার দাবি জানান তিনি।
একই দিন সচিবালয়ে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকায় তা সন্ত্রাস ও নাশকতা দমনে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছিলেন ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আর দেশের একজন নাগরিকেরও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধের এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুক, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারসহ বন্ধ রাখা সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিতে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে সরাসরি ও ফ্যাক্সযোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি আইনি নোটিশ পাঠান।

দেশ ছাড়ছেন বলিউডের অভিনেতা আমির খান!!

দেশ ছাড়ছেন বলিউডের অভিনেতা আমির খান!!
ছবি : বিমানবন্দরে আমির খানের এই ছবিটি প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম।

‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা’ ইস্যুতে নানামুখী বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে দেশ ছেড়েছেন বলিউড মেগাস্টার আমির খান। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁকে মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা গেছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতে অনলাইন সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া ডটকম। সংবাদের সপক্ষে একটি ছবিও প্রকাশ করেছে অনলাইন পত্রিকাটি। এতে পুলিশ প্রহরায় আমিরের পাশে তাঁর ছেলে ও মেয়েকে দেখা গেছে। তবে তাঁর স্ত্রী কিরণ রাওকে ছবিতে দেখা যায়নি।
ইন্ডিয়া ডটকম ছাড়াও ওয়ানইন্ডিয়া ডট কম, বলিউড নিউজ ডটকম, বলিউড লাইফ ডটকমসহ আরো কয়েকটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
খবরে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আমিরের নতুন ছবি ‘দঙ্গল’-এর শুটিংয়ে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় অবস্থান অবস্থান করছিলেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁর হোটেলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় শিবসেনার কর্মী-সমর্থকরা। এরপর পাঞ্জাব পুলিশ তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেয়। তবুও ‘নিরাপত্তা শঙ্কায়’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি আজ শুক্রবার শুটিং বন্ধ রাখেন।
এরপর শুক্রবার সন্ধ্যায় আমিরকে পরিবারসহ মুম্বাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। আমির খান সংশ্লিষ্ট একটি বিশেষ সূত্রের খবর দিয়ে ইন্ডিয়া ডটকম জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় একটি ‘অনির্ধারিত’ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে উড়ান দিয়েছেন তাঁরা।
এর আগে গত সোমবার ‘রামনাথ গোয়েঙ্কা এক্সেলেন্স ইন জার্নালিজম’ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমির বলেছিলেন, “গত সাত-আট মাস ধরে ভারতজুড়ে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা চলছে। সমাজের মানুষের মধ্যে ‘নিরাপত্তাহীনতা’ এবং ‘ভয়’ কাজ করছে।”
এ ছাড়া ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে ভারত ছাড়ারও চিন্তা করেছিলেন বলে জানান তিনি। বলিউডের এই সুপারস্টার বলেন, ‘কিরণ এবং আমি প্রথম থেকেই ভারতে বসবাস করছি। কিন্তু এই প্রথম সে আমাকে দেশ ছাড়ার কথা বলেছে। বাড়িতে এই বিষয়টি নিয়ে আমি যখন কিরণের সঙ্গে কথা বলি; সে আমাকে বলছিল, তাহলে কি আমাদের এখন দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত?’
আমিরের এমন বক্তব্যের পর শুরু হয়ে যায় তুমুল বিতর্ক। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দেশের রাজনীতির আঙিনা। তীব্র বিতর্ক শুরু হয় বলিউডের অন্দরেও। আমিরের পাশে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত কেউ কেউ দিলেও, আক্রমণই সহ্য করতে হচ্ছিল বেশি। এরপর ‘ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা’ ইস্যুতে বলিউড মেগাস্টার আমির খানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়। বুধবার ভারতের কানপুর কোর্টে এ মামলা হয়। আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে ১ ডিসেম্বর শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
এছাড়া গুণী এই অভিনেতাকে চড় মারতে পারলে এক লাখ রুপি পুরস্কারের কথা ঘোষণা দিয়েছে শিবসেনা পাঞ্জাব শাখা।
তবে এতকিছুর পরও আমির বলেছিলেন, তিনি দেশ ছেড়ে কোথাও যাবেন না। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জোর গলায় জানান, তিনি বা তাঁর স্ত্রী কিরণের দেশ ছাড়ার কোনো প্রশ্নই নেই। তিনি দাবি করেন, তাঁর বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। আশঙ্কার কথা বললেই দেশত্যাগের কথা বলা হয় না।
আমির বিবৃতিতে বলেন, ‘আমার বা আমার স্ত্রী কিরণের দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছা নেই। কখনো তেমন ভাবনা মনে আসেনি। ভবিষ্যতেও আসবে না। যাঁরা আমার মন্তব্যের উল্টো মানে করছেন, তাঁরা হয় আমার সাক্ষাৎকার দেখেননি, না হয় ইচ্ছা করে আমার বক্তব্যকে বিকৃত করছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘অকারণে আমি যে পরিমাণ আক্রমণের শিকার হলাম, তাতে আমি খুবই দুঃখ পেয়েছি। যাঁরা আমাকে দেশবিরোধী বলছেন, তাঁদের জানিয়ে দিতে চাই, একজন ভারতীয় হিসেবে আমি গর্বিত। তার জন্য আমার কারো কাছ থেকে অনুমতি বা মান্যতার দরকার নেই।’

এবার মোবাইল রিচার্জের লিমিটেও আসছে বাধ্যবাধকতা !

এবার মোবাইল রিচার্জের লিমিটেও আসছে বাধ্যবাধকতা !
 mobilerecharhge
মোবাইল ফোনের দৈনিক রিচার্জ সীমা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার ৷ একটি সিমে দিনে ৫০০ টাকার বেশি রিচার্জ করা যাবে না, এমন বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসির এ প্রস্তাবনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) কল বন্ধেই এমনটি করা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত ২১ অক্টোবর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে জয় অবৈধ কলের লাগাম টেনে ধরতে সিমের রিচার্জ মাত্রার একটা সীমা নির্ধারণের পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অবৈধ পথে বিদেশ থেকে কল যাওয়া-আসার পরিমাণ বেড়ে গেছে।
বিটিআরসির তথ্যমতে, জুনে যেখানে বৈধভাবে গড়ে প্রতিদিন ১২ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক কল এসেছে, এখন তা কমে ৯ কোটির নিচে নেমেছে।
অবশ্য এ কল কমার পেছনে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটরদের একটা ভূমিকা আছে। গত ২৪ জুন থেকে দেশে আন্তর্জাতিক কল প্রবেশ করে সরকার ঘনিষ্ট ৭ আইজিডব্লিউ অপারেটরের সমন্বয়ে গঠিত আইজিডব্লিউ অপারেটর ফোরামের (আইওএফ) কমন ইন্টারন্যাশনাল পয়েন্ট (সিআইপি) দিয়ে।
অন্য ১৬টি আইজিডব্লিউ এদের মাধ্যমে ব্যবসা করে। আইওএফ বিটিআরসিকে না জানিয়ে হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট দেড় সেন্ট থেকে বাড়িয়ে দুই সেন্ট করে। এতেও বৈধ পথে কলের সংখ্যা কমে যায়। রেট বাড়ানো হলেও আইজিডব্লিউ বাদে অন্য অংশীদারদের মধ্যে ( মোবাইল অপারেটর, ইন্টার এক্সচেঞ্জ অপারেটরদের (আইসিএক্স) ও বিটিআরসি) দেড় সেন্ট দরেই রাজস্ব ভাগাভাগি হচ্ছে।
বিটিআরসি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কল রেটের একটা সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয়ার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করেছে। বিটিআরসি চাইছে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেটের সর্বোচ্চ সীমা এক দশমিক দুই সেন্ট হোক।

ফোন হ্যাক করে আপনার গার্লফ্রেন্ডের কল রেকর্ড শুনুন নিজের মোবাইলে।

ফোন হ্যাক করে আপনার গার্লফ্রেন্ডের কল রেকর্ড শুনুন নিজের মোবাইলে।

আসুন অন্যের ফোন হ্যাক করে তার ভয়েস কল রেকোর্ড নিজের মোবাইলে শুনি।আপনার গার্লফ্রেন্ডের কল রেকর্ড ও শুনুন। কি বিশ্বাস হচ্ছে না?

কি অবাক হচ্ছেন তো?? আরে ভাই অবাক হওয়ার কিছুই নাই। বর্তমান সময়ে প্রযুক্তি আমাদের হাতে
এন্ড্রয়েট ফোন দিয়েছে।আর এই এন্ড্রয়েট ফোন দিয়ে এখন অনেক কিছুই সম্ভব।যা আমরা কখনোই কল্পনা করিনি।
টাইটেল টা দেখে অনেকে মনে মনে ধরেই নিয়েছেন যাক এইবার অন্তত গার্ল ফ্রেন্ডের দিন শেষ।আমার দিন শুরু।
আমি তাদের কে বলি।ভাই সত্যিকারের ভালবেসে থাকলে এই কাজটা অন্তত করতে যাইয়েন না।এইটা করলে রিলেশনে যে ফাটল ধরবে তা আমি সিউর (প্রমাণিত)।(এইখানে একটা দুক্কের ইমু হপে)
তো যাইহোক কাজের কথাই আসি।

এই অ্যাপ কিভাবে কাজ করে।

এইটা এমন একটা অ্যাপ যা প্রথমে ভিক্টিমের ফোনে ইন্সটল করে দিতে হবে।আর ভিক্টিম টা এমন হতে হবে যে
নেট ইউজ করে।কারন নেট ছাড়া হ্যাকিং পুরাই ইম্পসিবল।
১। প্রথমে নিচের লিংক থেকে অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
২।অ্যাপে ঢুকুন।এক্সেপ্ট দিয়ে ৩ টা বক্স দেখতে পাবেন।
৩।যে ইমেল দিয়ে রেজিস্টার করবেন সেইটা দিন।তারপর পাসওয়ার্ড দিন। দুইটা বক্সে একই পাসওয়ার্ড দিবেন।
৪।সেটিং থেকে Hide app করে দিন। এবং বের হয়ে আসুন।
এখন ওই ফোনে অ্যাপসটি আর খুজে পাওয়া যাবে না।ওই ফোন দিয়ে যতো রিকোর্ড হবে সব ইমেলে আপলোড হবে নেট কানেক্ট দেয়ার সাথে সাথে।
৫। এই লিংকে ঢুকুন। (http://trackmyphones.com/cgi-bin/SpyCallRecorder/spycallrecorder.cgi) 
৬।ইমেল আর পাসওয়ার্ড দেয়ার যায়গায় অ্যাপে দেয়া ইমেল আর পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করুন।
৭।তারপর Get Records এ ক্লিক করুন।এবং অপেক্ষা করুন ৫/১০ মিনিট।
৮।তারপর ইমেলে থাকা রিকোর্ডগুলো ওখানে আপলোড হবে এবং আপনি ইচ্ছা করলে সেখান থেকে শুনতে বা ডাউনলোড করতে পারবে রেকোর্ড গুলো।
বুঝতে সমস্যা হলে নিচে স্ক্রিন সর্ট দেয়া আছে। আর আপনাদের সুবিধার্তে ভিডিও টিউটোরিয়াল ও দেয়া আছে দেখতে পারেন।




অ্যাপসটি ভয়েস রিকোর্ডে অনেক কম MB খরচ করে।
-:ভিডিও লিংক:-
ডাউনলোডের জন্য ফোনের ডিফল্ট ব্রাউজার বা Uc ব্রাউজার ব্যবহার করবেন।ক্লিক Create Download link।অন্য কোন পেজে গেলে ব্যাক করে আগের পেজে এসে Create Download link ক্লিক করুন।
https://uploadex.com/fxss8jn1hc2q

ভাল থাকুন,সুস্থ থাকুন আর সবসময় প্রযুক্তির সাথেই থাকুন।

আমিরের জন্য আত্মহত্যা!

আমিরের জন্য আত্মহত্যা!
বলিউড অভিনেতা আমির খান। পুরোনো ছবি

ভারতে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে বলিউড অভিনেতা আমির খানের মন্তব্যে শুধু রাজনৈতিক মহলেই আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে না। এ ঝড় আমির-ভক্তদের অন্দরমহলেও হানা দিয়েছে। এ নিয়ে আত্মহননের ঘটনাও ঘটছে।
আমিরের মন্তব্য সঠিক, নাকি ভুল—এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে তর্কের একপর্যায়ে আত্মহত্যা করলেন এক নারী। গত বুধবার ভারতের মধ্যপ্রদেশের জবলপুর শহরের  কোতোয়ালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমির খানের মন্তব্যে ওই দিন স্বামী ময়ঙ্ক পান্ডের সঙ্গে সোনম পান্ডের (২৭) বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তিনি বিষ পান করেন। পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর মৃত্যু হয় সোনমের।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ময়ঙ্ক পুলিশকে জানান, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমিরের মন্তব্য নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
ময়ঙ্কের বাবা আর পি পান্ডে জানান, তাঁর পুত্রবধূ সোনম আমিরের ভক্ত। ময়ঙ্ক যখন আমিরের মন্তব্য নিয়ে বিদ্রূপ করছিল, তখন সে খুব বিরক্ত হচ্ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা ওপি সিং বলেন, ‘এখন আমরা ময়ঙ্কের বক্তব্য নিচ্ছি। বিষের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তাঁর (সোনম) ভাইয়ের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য তাঁর ওপর নির্যাতন করা হতো। এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে।’
গত সোমবার নয়াদিল্লিতে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারতে অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খোলেন আমির খান। তিনি বলেন, ‘আমি আতঙ্কিত। আমার স্ত্রী (কিরণ রাও) ভারতের বাইরে চলে যাওয়ার কথা বলছে।’
আমির আরো বলেন, ‘কিরণ খুবই ভয় পেয়েছে। কী থেকে কী হয়, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছি আমরা সবাই। আমাদের ওপর যদি হামলা হয়?’
ওই বক্তব্যের পর ক্ষমতাসীন দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি), শিবসেনাসহ বিভিন্ন সংগঠন আমিরের সমালোচনায় মুখর হয়ে ওঠে। এমনকি ভারতের কয়েকজন অভিনেতা-অভিনেত্রীও আমিরের সমালোচনা করেন। তাঁদের কেউ কেউ আমিরকে নিজ গন্তব্য ঠিক করারও পরামর্শ দেন।

সবার জেনে রাখা ও শেয়ার করা উচিত– বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করার আসল কারণ

সবার জেনে রাখা ও শেয়ার করা উচিত– বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করার আসল কারণ
Screenshot_12
ফেসবুক বন্ধের ফল অচিরেই পাবে দেশবাসী
নিউজ ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওজামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত আদেশের পর থেকেদেশে ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের প্রতিক্রিয়া লিখেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি।
পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হলো লেখাটি….
লেখাটি আমি “প্রতিমন্ত্রীর জায়গা থেকে লিখছি না”, লিখছি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে- যে দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই কিন্তুু- চাঁদে কারো মুখ দেখার গুজবে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ, আবার একটি পোস্টের কারণে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) বৌদ্ধ্য বিহারে চলেছে হামলা- আমরা সব ভুলে গেছি। ভুলে গেছি বহু দেশ আজকের দিন পর্যন্ত সেদেশগুলোর মানুষের নিরাপত্তার জন্য “ইন্টারনেট” পর্যন্তও সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সেদেশের নাগরিকেরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে নিয়েছে, “টু” শব্দটি করেননি। হয়তো তারা ভাবছেন- “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দুর্ঘটনা ঘটার আগে “ সাময়িক বন্ধ ” রাখলে এই মানুষগুলোর জীবন ( FRANCE এর) বাঁচানো যেত কি?” আরেকটি ঘটনা বলি, পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া এক চিত্রগ্রাহক একটি ছবি তুললেন ক্ষুধার্ত এক শিশু এবং তার মুখোমুখি একটি শকুনের। ছবি হিসাবে অসাধারণ। তার সামনে ২টি বিকল্প ছিল- হয় তিনি ছবিটি তুলবেন, নয়তো শিশুটিকে দ্রুত তুলে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যাবেন। তার কাছে প্রথম বিকল্পটি আকর্ষণীয় মনে হলো। তিনি তুললেন অসাধারণ ছবিটি।
কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শিশুটি মারা গেল। চিত্র গ্রাহক পেলেন “ পুলিৎজার পুরস্কার ”। কর্মের এক বিরল স্বীকৃতি। কিন্তু বিবেক তাকে তাড়া করলো সর্বক্ষণ- “যদি তখন ছবি না তুলে শিশুটিকে তিনি নিয়ে যেতেন নিকটবর্তী অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে, অন্তত বাঁচাবার চেষ্টা তো করতে পারতেন! ” অনুশোচনায় আত্মহত্যা করলেন তিনি।
আমরা বড় বেশি কঠিন, কঠোর হয়ে গেছি- তাই মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ধন্যবাদ সকলকে যারা মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টাকে ব্যঙ্গ করেন, তিরস্কার করেন। এ জন্যই হয়ত মানুষের জায়গায় আসছে রোবট। রোবট হবার পথ থেকে খুব দূরে কি আমরা?
এবার একজন জনপ্রতিনিধির জায়গা থেকে লিখি- যার অনুরোধ পুরো লেখাটি ছাপাবার, খণ্ডিত আকারে নয়। বহুবার এই অনুরোধ করেছি, ফল পাইনি- খণ্ডিত সংবাদ বিভ্রান্তি ছড়ায়- এটুকু যেন ভুলে না যাই।
প্রথমত: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অস্থায়ীভাবে, সাময়িক সময়ের জন্য জননিরাপত্তার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, সরকারের জনজীবনের নিরাপত্তারক্ষার দায়িত্বের অংশ হিসাবে (আবারো উল্লেখ করছি) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, লক্ষ্য করবেন এবার শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের আগে বা পরে দেশে বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটেনি। ধর্মযাজকের উপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিশিষ্টজনদের প্রাণনাশের হুমকিদাতাও গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন নাশকতার জন্য কতজন পরিকল্পনাকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য এবার গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
তৃতীয়ত, না, “মাথাব্যথার জন্য আমরা মাথা কেটে ফেলিনি” – কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত ও সরকারের নির্দেশনা পেলেই এসব মাধ্যম খুলে দেয়া হবে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেবার জন্য একটি প্রাণহানিও ঘটে তখন কিন্তু জনগণ সরকারকেই দোষারোপ করেন, করবেন। তাহলে জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকার সাময়িক সহযোগিতা চাইলে তা দিতে আমরা কুণ্ঠিত হব কেন ?
চতুর্থত, বিকল্প ব্যবস্থা কি নেয়া যেত না? আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রায় সাড়ে চার মাস। এর মধ্যে সিম/রিম নিবন্ধন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম জোরদার করা, ব্যান্ডইউথের দাম কমানো, টেলিটককে সক্ষম করা, বায়োমেট্রিকস চালু করা, ডাক বিভাগের জন্য E-Cash transfer সম্প্রসারণ ও ১১৮টি যানবাহন ক্রয় প্রক্রিয়া, MNP চালুর জন্য প্রক্রিয়া শুরুসহ দায়িত্ব পাবার ৩ দিনের মাথায় “প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলা” করার জন্যও কাজ শুরু করেছি।
প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তি মোকাবেলার জন্য আমি প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর -ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি যার মাধ্যমে দেশের বাইরের আপত্তিকর কনটেন্ট ফিল্টার্ড হয়ে দেশে প্রবেশ করবে,
জনগণের ও নারীদের নিরাপত্তা বাড়বে।
11G দের DPI এর Capacity যাচাই করার এবং ৭দিনের মধ্যে উক্ত 11G দের তা জানিয়ে উপযুক্ত Capacity র DPI ও বসাবার জন্য (লাইসেন্সের শর্ত মোতাবেক)- নির্দেশনা দিয়েছি- ISP দের Database তৈরি, লাইসেন্স প্রাপ্তদের Database তৈরি সহ, যারা যত্রতত্র ইন্টারনেট সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের বৈধভাবে শর্তপূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স নিয়ে সম্পূর্ণ Database তৈরি করা এবং সকল ISP রা কাদের সংযোগ দিচ্ছেন তার তালিকা তৈরি করার জন্য BTRC কে নির্দেশনা দিয়েছি।
এই কাজগুলো কিন্তু চলছে। ৩ মাস খুব বেশি সময় নয়, অচিরেই এর ফল পাবেন।
যারা জনস্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ রেখে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিয়ে নাশকতাকারীদের খুঁজে বের করতে, নাগরিকের জীবন বাঁচাতে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন তাদের এই দেশপ্রেমের জন্য অকুণ্ঠ সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা ভিন্ন পথে এসব মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের নিজেদের ID হ্যাক হতে পারে- এই সতর্কতাও দেয়া প্রয়োজন। যারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও তিরস্কার করেছেন তাদের কাছে ব্যক্তি আমি জীবন বাঁচাবার চেষ্টা করার জন্য, রাষ্ট্রের একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে জননিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা পালনে গর্বিত হয়েও ক্ষমাপ্রার্থী।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সকলের দায়িত্ব জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই কাজটি সততার ও নিষ্ঠার সাথে করার জন্য যারা আমাকে প্রবল তিরস্কার করেছেন তা আমি নতমস্তকে গ্রহণ করলাম কারণ হয়তো এ কারণে আজ কোথাও এক মায়ের সন্তান হাসিমুখে তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে- অক্ষত। এ প্রাপ্তিটুকুও আমার জন্য কম নয়। কম নয় কারও জন্যই।

দেশের মানুষের জীবনরক্ষার চেষ্টা করার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী

দেশের মানুষের জীবনরক্ষার চেষ্টা করার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী


দেশের মানুষের জীবনরক্ষার চেষ্টা করার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী

দেশের মানুষের জীবনরক্ষার চেষ্টা করার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী

লেখাটি আমি “প্রতিমন্ত্রীর জায়গা থেকে লিখছি না”,  লিখছি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে- যে দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই কিন্তুু- চাঁদে কারো মুখ দেখার গুজবে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ, আবার একটি পোস্টের কারণে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) বৌদ্ধ্য বিহারে চলেছে হামলা- আমরা সব ভুলে গেছি। ভুলে গেছি বহু দেশ আজকের দিন পর্যন্ত সেদেশগুলোর মানুষের নিরাপত্তার জন্য “ইন্টারনেট” পর্যন্তও সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সেদেশের নাগরিকেরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে নিয়েছে, “টু” শব্দটি করেননি। হয়তো তারা ভাবছেন- “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দুর্ঘটনা ঘটার আগে  “ সাময়িক বন্ধ ” রাখলে এই  মানুষগুলোর জীবন  ( FRANCE এর) বাঁচানো যেত কি?” আরেকটি ঘটনা বলি, পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া এক চিত্রগ্রাহক  একটি ছবি তুললেন ক্ষুধার্ত এক শিশু এবং তার মুখোমুখি একটি শকুনের। ছবি হিসাবে অসাধারণ। তার সামনে ২টি বিকল্প ছিল- হয় তিনি ছবিটি তুলবেন, নয়তো শিশুটিকে দ্রুত তুলে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যাবেন। তার কাছে প্রথম বিকল্পটি আকর্ষণীয় মনে হলো। তিনি তুললেন অসাধারণ ছবিটি।কিন্তুু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শিশুটি মারা গেল। চিত্র গ্রাহক পেলেন  “ পুলিৎজার পুরস্কার ”। কর্মের এক বিরল স্বীকৃতি। কিন্তুু বিবেক তাকে তাড়া করলো সর্বক্ষণ- “যদি তখন ছবি না তুলে  শিশুটিকে তিনি নিয়ে যেতেন নিকটবর্তী অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে, অন্তত বাঁচাবার চেষ্টা তো করতে পারতেন! ” অনুশোচনায় আত্মহত্যা করলেন তিনি। আমরা বড় বেশি কঠিন, কঠোর হয়ে গেছি- তাই মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ধন্যবাদ সকলকে যারা মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টাকে ব্যঙ্গ করেন, তিরস্কার করেন। এ জন্যই হয়ত মানুষের জায়গায় আসছে রোবট। রোবট হবার পথ থেকে খুব দূরে কি আমরা? এবার একজন জনপ্রতিনিধির জায়গা থেকে লিখি- যার অনুরোধ পুরো লেখাটি ছাপাবার, খণ্ডিত আকারে নয়। বহুবার এই অনুরোধ করেছি, ফল পাইনি- খণ্ডিত সংবাদ বিভ্রান্তি ছড়ায়- এটুকু যেন ভুলে না যাই।
প্রথমত: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অস্থায়ীভাবে, সাময়িক সময়ের জন্য জননিরাপত্তার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, সরকারের জনজীবনের নিরাপত্তারক্ষার দায়িত্বের অংশ  হিসাবে  (আবারো উল্লেখ করছি) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, লক্ষ্য করবেন এবার শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের আগে বা পরে দেশে বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটেনি। ধর্মযাজকের উপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিশিষ্টজনদের প্রাণনাশের হুমকিদাতাও গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন নাশকতার জন্য কতজন পরিকল্পনাকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য এবার গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
তৃতীয়ত, না, “মাথাব্যথার জন্য আমরা মাথা কেটে ফেলিনি” – কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত ও সরকারের নির্দেশনা পেলেই এসব মাধ্যম খুলে দেয়া হবে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেবার জন্য একটি প্রাণহানিও ঘটে তখন কিন্তুু জনগণ সরকারকেই দোষারোপ করেন, করবেন।  তাহলে জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকার সাময়িক সহযোগিতা চাইলে তা দিতে আমরা কুণ্ঠিত হব কেন ?
চতুর্থত, বিকল্প ব্যবস্থা কি নেয়া যেত না? আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রায় সাড়ে চার মাস। এর মধ্যে সিম/রিম নিবন্ধন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম জোরদার করা, ব্যান্ডইউথের দাম কমানো, টেলিটককে সক্ষম করা, বায়োমেট্রিকস চালু করা, ডাক বিভাগের জন্য E-Cash transfer  সম্প্রসারণ ও ১১৮টি যানবাহন ক্রয় প্রক্রিয়া, MNP চালুর জন্য প্রক্রিয়া শুরুসহ দায়িত্ব পাবার ৩ দিনের মাথায়  “প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলা” করার জন্যও কাজ শুরু করেছি।
প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তি মোকাবেলার জন্য আমি প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর -ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি যার মাধ্যমে দেশের বাইরের আপত্তিকর কনটেন্ট ফিল্টার্ড হয়ে দেশে প্রবেশ করবে, জনগণের ও নারীদের নিরাপত্তা বাড়বে।
11G দের DPI এর Capacity যাচাই করার  এবং ৭দিনের মধ্যে উক্ত 11G দের তা জানিয়ে উপযুক্ত Capacity র DPI ও বসাবার জন্য (লাইসেন্সের শর্ত মোতাবেক)- নির্দেশনা দিয়েছি- ISP দের Database তৈরি, লাইসেন্স প্রাপ্তদের Database তৈরি সহ, যারা যত্রতত্র ইন্টারনেট সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের বৈধভাবে শর্তপূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স নিয়ে সম্পূর্ণ Database তৈরি করা এবং সকল ISP রা কাদের সংযোগ দিচ্ছেন তার তালিকা তৈরি করার জন্য BTRC কে নির্দেশনা দিয়েছি।
এই কাজগুলো কিন্তু চলছে। ৩ মাস খুব বেশি সময় নয়, অচিরেই এর ফল পাবেন।
যারা জনস্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ রেখে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিয়ে নাশকতাকারীদের খুঁজে বের করতে, নাগরিকের জীবন বাঁচাতে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন তাদের এই দেশপ্রেমের জন্য অকুণ্ঠ সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা ভিন্ন পথে এসব মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের নিজেদের ID হ্যাক হতে পারে- এই সতর্কতাও দেয়া প্রয়োজন। যারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও তিরস্কার করেছেন তাদের কাছে ব্যক্তি আমি জীবন বাঁচাবার চেষ্টা করার জন্য, রাষ্ট্রের একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে জননিরাপত্তা বিধানে  ভূমিকা পালনে গর্বিত হয়েও ক্ষমাপ্রার্থী।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সকলের দায়িত্ব জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই কাজটি সততার ও নিষ্ঠার সাথে করার জন্য যারা আমাকে প্রবল তিরস্কার করেছেন তা আমি নতমস্তকে গ্রহণ করলাম কারণ হয়তো এ কারণে আজ কোথাও এক মায়ের সন্তান হাসিমুখে তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে- অক্ষত। এ প্রাপ্তিটুকুও আমার জন্য কম নয়। কম নয় কারও জন্যই।
লেখক : তারানা হালিম (এমপি), প্রতিমন্ত্রী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ

ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্যে অনড় আমির

ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্যে অনড় আমির

বাংলাদেশিদের মধ্যে 'ভয়-ভয় পরিবেশ' দেখেছেন মীর

বাংলাদেশিদের মধ্যে 'ভয়-ভয় পরিবেশ' দেখেছেন মীর

নতুন মীরাক্কেলে বাংলাদেশের ১০ প্রতিযোগী

নতুন মীরাক্কেলে বাংলাদেশের ১০ প্রতিযোগী


হৈ-হুল্লোড় আর পাগলামির জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে গুরুজনরা নাকি তাদের পাড়া ছাড়া করে দিয়েছেন! আর তাইতো এবার নিজেরাই নিজেদের মতো করে আস্ত একটা পাড়া তৈরি করে নিয়েছেন। যে পাড়াতেও আবার নাকি রয়েছেন বিচিত্র সব মানুষজন! যার মধ্যে আছেন খেকুরে জেঠু, রগচটা দিদিমা, ঝিঙ্কু বৌদি, কচি মেয়ে, বখাটে ছোকরারাও। আবার এই পাড়াতেই এসে জুটেছেন তিন ভাড়াটে। যারা নাকি রোজ রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে এসে বসে পড়েন বাড়ির ব্যালকনিতে। আর তারপর খুব মন দিয়ে ওয়াচ করতে থাকেন পাড়ার প্রতিটি ঘটনা। আর মাঝেমধ্যে মন্তব্য ছুঁড়ে দেন। মজার এই পাড়ার ওই তিন ভাড়াটে হলেন, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত আর শ্রীলেখা মিত্র।

আসলে এই পাড়াটাই হলো এবারের ‘মীরাক্কেল’। আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে টেলিভিশনের ‘জি বাংলা’ চ্যানেলে শুরু হতে চলেছে দুই বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় টিভি শো ‘মীরাক্কেল’। শো শুরুর আগে এখন থেকেই রীতিমতো সাজ সাজ রব। শোয়ের অন্যতম সঞ্চালক মীর সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের কাছে এই আজব পাড়ার কিছু আগাম খবর ফাঁস করে দিলেন। বললেন, আসলে এই পাড়ার রোয়াকে ব্যান্ডেজকে নিয়ে আড্ডা মারি আমরা। গলা ছেড়ে গান গাই, মনের সুখে কবিতা বলি, অন্যের পেছনেও লাগি। আর এসব দেখেই খেপে ওঠেন খেকুরে জেঠু। আর তাতে সুযোগ পেলেই রীতিমতো ফোড়ন কাটতে ছাড়েন না ব্যালকনিতে বসা ওই তিন ভাড়াটে। ঠিক এভাবেই মজার চিত্রনাট্যে সেজে উঠতে চলছে মীরাক্কেল। অবশ্য এই পাড়াতে অদ্ভুত মানুষজনের পাশাপাশি থাকবে অদ্ভুতুড়ে সব দোকান পত্তরও। এই পাড়াতেই দেখা যাবে, মেকানিকের দোকান ‘কার-ফু গ্যারেজ’, থাকবে রোলের দোকান ‘রোল ক্যামেরা অ্যাকশন’, থাকবে ডাক্তারের চেম্বার ‘বলো হরি ক্লিনিক’। অবশ্য মীর জানালেন, ওই চেম্বারে নাকি প্রতি শনিবার একজন করে নার্স আসেন। আর নার্স এলেই নাকি ভিড় উপচে পড়ে চেম্বারে। রোগীতে রোগীতে সয়লাব হয়ে যায়।

জনপ্রিয় শোটির পরিচালক শুভঙ্কর চট্টোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এবার মীরাক্কেল ফরম্যাট পালটে গোটা একটা পাড়ার মধ্যেই মেতে উঠবে সবাই। যেমন ধরুন, পাড়ার একটি রাস্তার ধারে টিউবওয়েলে পানি আনতে গেল পাড়ার কচি মেয়েটি। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে হাজির ব্যান্ডেজের সদস্যারা। একটু কথা, একটু গান, তারপর...। ব্যাস, তারপরের ঘটনা ঘটার আগেই খেকুরে জেঠু চিৎকার দিয়ে উঠলেন, তাঁর ভাইঝিকে একা পেয়ে অশ্লীল কাণ্ড! আসলে পুরো নতুনত্বের মোড়কে ঠাসা থাকছে এবারের মীরাক্কেল। শোয়ের সঞ্চালক মীরের মতে, মীরাক্কেলের ননভেজ জোকসগুলো নাকি একটু বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন। আবার কেউ কেউ অতি গোপনে বলছেন, ননভেজ জোকসগুলো নাকি মন্দ লাগে না। তাহলে শ্লীল আর অশ্লীলের সীমারেখাটা ঠিক করবে কে? তবে এবারের মীরাক্কেলের মঞ্চে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আনতে আদাপানি খেয়ে লেগেছেন মীর। জানিয়েছেন, আমরা খবর পেয়েছি, দিদি নিয়মিত টেলিভিশন দেখেন। তাহলে মীরাক্কেলে আসবেন না কেন? তবে হ্যাঁ, যেই এবার মীরাক্কেলে আসুন না কেন, তাঁকে কিন্তু অবশ্যই এই পাড়ায় ঘর ভাড়া নেওয়ার উসিলাতেই আসতে হবে।

এবার মীরাক্কেল ৯-এ এখন পর্যন্ত রয়েছেন ৩৩ জন প্রতিযোগী। যাদের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী রয়েছেন ১০ জন। তবে অডিশন চলছে। কাজেই আরো কিছু প্রতিযোগী শেষ দিকে এই শোয়ে অংশ নিতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।