ফেসবুকের পাসওয়ার্ড এখন আপনি চাইলেও আর গোপন করতে পারবেন না !
ফেসবুক
নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম । কারনে -অকারনে
অনেক মানুষই তার অবসরের বেশিরভাগ সময় এখন কাটান ফেসবুকে । এককথায় বলা যেতে
পারে নিত্য জীবনে অসংখ্য মানুষের প্রয়োজনের বড় একটা অংশ এখন ফেসবুক ।
দৈনন্দিন ব্যাবহারের নানা ধরনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে
সমৃদ্ধ আপনার ফেসবুক একাউন্টটির পাসওয়ার্ড যদি কেউ জেনে যায় তবে কি করবেন ?
এই কথা শুনে অনেকটাই আঁতকে উঠেছেন তাই না । তবে হ্যাঁ, সত্যিই এবার আপনি
চাইলেও আর ফেসবুকের পাসওয়ার্ড গোপন রাখতে পারবেন না ! এখন বাংলাদেশ সরকার
চাইলেই সন্দেহভাজন যে কারও ফেসবুকে লগইন করতে পারবে।
সম্প্রতি দেশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি হামলার
ঘটনার পর নাশকতাকারীরা ফেসবুক ব্যবহার করে তাদের আইডিগুলো নিষ্ক্রিয় করে
দেয়। ফলে এ সংক্রান্ত পূর্ণাঙ্গ তথ্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি সরকারের
সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এখন থেকে আইডি নিষ্ক্রিয় করা হলেও সংশ্লিষ্ট ফেসবুকের
যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা যাবে। এজন্য আনা হয়েছে অত্যাধুনিক
প্রযুক্তি।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খান কামাল বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনী ও সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের যে
সক্ষমতা আছে তা আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। আধুনিক
বিশ্ব যেভাবে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সন্ত্রাস দমন করে, তেমনটি বাংলাদেশেও
শুরু হয়েছে। আধুনিক ডাটা সেন্টার স্থাপন, নানা ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার,
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তৈরি করাসহ এ সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম
সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্যই ঢেলে সাজানো হচ্ছে
‘ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি)। তিনি বলেন, ‘সরকার
এখন ইচ্ছা করলেই যে কারও ফেসবুকে প্রবেশ করতে পারবে। আশার কথা হচ্ছে, এখন এ
ধরনের প্রযুক্তি আমাদের হাতে এসেছে। তবে আমাদের টার্গেট তারাই যারা অপরাধ
করবে।’
জানা গেছে, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে
তথ্যপ্রযুক্তির ঝুঁকি মোকাবেলায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সাম্প্রতিক সময়ে
বিভিন্ন হামলা ও নাশকতার ঘটনায় গোয়েন্দারা সাইবার সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য
গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। গোয়েন্দাদের সুপারিশের পর সরকার
তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর সংস্থাগুলোকে আরও নজরদারি করতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা
প্রদান, অবকাঠামো নির্মাণ, মনিটরিং সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার ২৩ কোটি
১৮ লাখ টাকার বরাদ্দও দেয়।
আইনশৃংখলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো
জানায়, গুলশানে ২৮ সেপ্টেম্বর ইতালি নাগরিক সিজারি তাভেল্লা ও এর চারদিন পর
রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হোশি হত্যার পর কয়েকটি বিষয় সামনে চলে আসে। এর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- যারা বিভিন্ন ধরনের হত্যাচেষ্টা, হত্যা বা হুমকি
দিচ্ছে এরা বেশির ভাগ সময় সামাজিক মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছে। অপরাধী চক্রের
সদস্যরা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালায়। নাশকতাকারীরা
সামাজিক মাধ্যম, ব্লগ ও বিভিন্ন ওয়েবপেজে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান
এবং পরামর্শ সভাও করে। এসব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনতে তথ্যপ্রযুক্তির
নজরদারি বাড়ানোর ওপর গোয়েন্দারা সরকারের কাছে সুপারিশ করেন। এরপর জাতীয়
নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং নতুন প্রজন্মের এসব সাইবার সন্ত্রাস মোকাবেলায় সরকার
প্রযুক্তির সক্ষমতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নেয়। এরই অংশ হিসেবে ফেসবুক
নজরদারি করতে প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি সংগ্রহ করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,
জাতীয় স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে
মনিটরিং সুবিধা প্রদান, টেলিযোগাযোগ খাতের উদীয়মান ঝুঁকি মোকাবেলা,
টেলিযোগাযোগ অ্যাপ্লিকেশন/সফটওয়্যারের অপব্যবহার এবং সাইবার ক্রাইম
প্রতিরোধে ২০১৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ন্যাশনাল
টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) গঠন করা হয়।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি)
মন্ত্রণালয়ের একটি সুত্রে জানা যায় , বর্তমানে সাইবার অপরাধীরা মনে করছে
যেহেতু মোবাইলে একে অপরের সাথে কথা বললে বা বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করলে
আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের নাশকতার তথ্য সহজেই জানতে পায়। তাই তারা ফেসবুকসহ
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের সাইট গুলোতে নিজেদের মধ্যে ক্লোজ গ্রুপে কৌশলগত
নানা ধরনের শলাপরামর্শ করে। এ ধরনের সাইবার অপরাধীদের নিষ্ক্রিয় করতে সরকার
কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখন যদি তারা ফেসবুক যাবতীয় তথ্য নিষ্ক্রিয় করে
দেয় এর পরেও তথ্য উদ্ধার করা যাবে। আগেও কিছু তথ্য উদ্ধার করা গেলেও এখন
পুরোপুরি তথ্যই উদ্ধার করা সম্ভব। এর সাথে প্রযুক্তি ব্যবহারের সঙ্গে
মনিটরিং ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। এখন যে কারও ফেসবুকে প্রবেশ করার মতো
সক্ষমতা রয়েছে সরকারের।
স্টেমসেলের সম্ভাবনা ও সঙ্কট।
আমাদের জন্মের পর থেকেই শারীরিক বৃদ্ধির
সময়ে স্টেমসেল একাধিক আলাদা আলাদা কোষে পরিণত হয়। স্টেমসেল অসংখ্য কোষে
বিভক্ত হয়ে আমাদের শরীরের অনেক টিস্যুর অভ্যন্তরীণ মেরামতের কাজে অগ্রণী
ভূমিকা পালন করে। আমাদের মাসলসেল, ব্লাডসেল ও ব্রেনসেলের মতো কার্যক্ষম
সেলে পরিণত হতে পারে স্টেমসেল।
আমাদের শরীরে থাকা বা অন্যের থেকে নেয়া একটি বিশেষ কোষ সন্ধান দিতে পারে
ব্লাড ক্যান্সার নিরাময়ের। স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্টেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে
প্রতিনিয়ত। এখন সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছতে শুরু করেছে এই সেবা।
জীবনের সুরক্ষার কথা ভেবে যদি বীমা করা হয়, বিভিন্ন রোগ রুখতে যদি আগাম টিকা দিতে হয়, তবে ‘স্টেমসেল’ সংরক্ষণ কেন করবেন না? এই ভাবনা থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে স্টেমসেল সংরক্ষণ।
স্টেমসেল আসলে শিশু এবং মায়ের নাড়ি যে কর্ডটির মাধ্যমে যুক্ত থাকে, সেটাই। এর নমুনা ও রক্ত সংরক্ষিত থাকলে ভবিষ্যতে সব ধরনের ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, বিশেষ ধরনের কিছু অ্যালার্জি ছাড়াও যকৃৎ, বৃক্কসহ রক্তের বিভিন্ন অসুখ সারানো সম্ভব হয়। জন্মের সময় ছাড়া পরে আর কখনো তা পাওয়া যায় না। তাই জিনিসটি সংরক্ষণ করে রেখে দিলে অনেক সুবিধা। বর্তমানে এসব নমুনা সংরক্ষণ করা হচ্ছে চেন্নাই ও গুরগাঁওয়ের পরীক্ষাগারে। দুর্যোগে, দুর্ঘটনায় বা পরীক্ষাগারে নমুনা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে দুই জায়গায় আলাদা রাখা হচ্ছে। সদ্যোজাত ও মায়ের নাড়ি এবং রক্ত সংরক্ষণ করতে খরচ পড়ে মাত্র ৪০ হাজার টাকা।
স্টেমসেল সাধারণত দু’টি উৎস থেকে উৎপন্ন হয় বিধায় এরা প্রধানত দুই রকমের হয়। ভ্রুণ বিকাশের সময় তৈরি হয় এমব্রায়োনিক স্টেমসেল আর প্রাপ্তবয়স্ক টিস্যুতে তৈরি হয় অ্যাডাল্ট স্টেমসেল। প্রতিটি স্টেমসেল বিভক্ত হয়ে অসংখ্য কোষে পরিণত হতে পারে।
জীবনের সুরক্ষার কথা ভেবে যদি বীমা করা হয়, বিভিন্ন রোগ রুখতে যদি আগাম টিকা দিতে হয়, তবে ‘স্টেমসেল’ সংরক্ষণ কেন করবেন না? এই ভাবনা থেকেই কলকাতায় শুরু হয়েছে স্টেমসেল সংরক্ষণ।
স্টেমসেল আসলে শিশু এবং মায়ের নাড়ি যে কর্ডটির মাধ্যমে যুক্ত থাকে, সেটাই। এর নমুনা ও রক্ত সংরক্ষিত থাকলে ভবিষ্যতে সব ধরনের ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া, বিশেষ ধরনের কিছু অ্যালার্জি ছাড়াও যকৃৎ, বৃক্কসহ রক্তের বিভিন্ন অসুখ সারানো সম্ভব হয়। জন্মের সময় ছাড়া পরে আর কখনো তা পাওয়া যায় না। তাই জিনিসটি সংরক্ষণ করে রেখে দিলে অনেক সুবিধা। বর্তমানে এসব নমুনা সংরক্ষণ করা হচ্ছে চেন্নাই ও গুরগাঁওয়ের পরীক্ষাগারে। দুর্যোগে, দুর্ঘটনায় বা পরীক্ষাগারে নমুনা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে দুই জায়গায় আলাদা রাখা হচ্ছে। সদ্যোজাত ও মায়ের নাড়ি এবং রক্ত সংরক্ষণ করতে খরচ পড়ে মাত্র ৪০ হাজার টাকা।
স্টেমসেল সাধারণত দু’টি উৎস থেকে উৎপন্ন হয় বিধায় এরা প্রধানত দুই রকমের হয়। ভ্রুণ বিকাশের সময় তৈরি হয় এমব্রায়োনিক স্টেমসেল আর প্রাপ্তবয়স্ক টিস্যুতে তৈরি হয় অ্যাডাল্ট স্টেমসেল। প্রতিটি স্টেমসেল বিভক্ত হয়ে অসংখ্য কোষে পরিণত হতে পারে।
ট্রান্সপ্লান্টেশন
আমাদের শরীরের যেকোনো অংশের টিস্যু ড্যামেজ হলে সেখানে স্টেমসেল কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। স্টেমসেল ছোট ছোট গোলাকৃতির হয়। ক্যান্সারের চিকিৎসায় এটি খুব কাজে লাগে। ক্যামোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি দেয়ার ফলে নিজস্ব স্টেমসেল নষ্ট হয়ে যায় অনেক সময়। ফলে সে জায়গায় নতুন স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ক্ষেত্রে ইনজেকশনের মাধ্যমে স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। এসব স্টেমসেল বোনম্যারোর ভেতরে ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয়। বোনম্যারোর ভেতরে ফ্যাটি টিস্যু রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে গেলে স্পেশালাইজড স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। আগে এই প্রক্রিয়াকে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন বলা হলেও এখন স্টেমসেল প্রতিস্থাপন হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। কারণ বোনম্যারো টিস্যু নয়, এ ক্ষেত্রে রক্তের স্টেমসেলই প্রতিস্থাপন করা হয়। স্টেমসেল প্রতিস্থাপন মূলত দুই ধরনের। অটোলোগাস ও অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্লান্টেশন।
আমাদের শরীরের যেকোনো অংশের টিস্যু ড্যামেজ হলে সেখানে স্টেমসেল কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। স্টেমসেল ছোট ছোট গোলাকৃতির হয়। ক্যান্সারের চিকিৎসায় এটি খুব কাজে লাগে। ক্যামোথেরাপি বা রেডিয়েশন থেরাপি দেয়ার ফলে নিজস্ব স্টেমসেল নষ্ট হয়ে যায় অনেক সময়। ফলে সে জায়গায় নতুন স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ক্ষেত্রে ইনজেকশনের মাধ্যমে স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। এসব স্টেমসেল বোনম্যারোর ভেতরে ধীরে ধীরে জায়গা করে নেয়। বোনম্যারোর ভেতরে ফ্যাটি টিস্যু রেডিয়েশন থেরাপির মাধ্যমে ধ্বংস হয়ে গেলে স্পেশালাইজড স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয়। আগে এই প্রক্রিয়াকে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন বলা হলেও এখন স্টেমসেল প্রতিস্থাপন হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। কারণ বোনম্যারো টিস্যু নয়, এ ক্ষেত্রে রক্তের স্টেমসেলই প্রতিস্থাপন করা হয়। স্টেমসেল প্রতিস্থাপন মূলত দুই ধরনের। অটোলোগাস ও অ্যালোজেনিক ট্রান্সপ্লান্টেশন।
অটোলোগাস ট্রান্সপ্লান্টেশন
এ ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে তার নিজস্ব স্টেমসেলই প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর শরীর থেকে স্টেমসেল সংগ্রহ করে স্পেশাল ফ্রিজে রাখা হয়। বছরের পর বছর এসব স্টেমসেল সংরক্ষণ করা যায়। রেডিয়েশন থেরাপির পরে ফ্রোজেন স্টেমসেল রোগীর শিরায় প্রতিস্থাপন করা হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক কোষকে বিভিন্ন অঙ্গে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলার পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য ২০১২ সালে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন স্টেমসেল গবেষক ব্রিটেনের স্যার জন গার্ডন ও জাপানের শিনিয়া ইয়ামানাকা। তাদের এ গবেষণার উদ্দেশ্যে হচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোষ থেকে এসব স্টেমসেল তৈরি করা, যারা ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশেও কাজ করতে সক্ষম হবে।
এ ক্ষেত্রে রোগীর শরীরে তার নিজস্ব স্টেমসেলই প্রতিস্থাপন করা হয়। এ ক্ষেত্রে রোগীর শরীর থেকে স্টেমসেল সংগ্রহ করে স্পেশাল ফ্রিজে রাখা হয়। বছরের পর বছর এসব স্টেমসেল সংরক্ষণ করা যায়। রেডিয়েশন থেরাপির পরে ফ্রোজেন স্টেমসেল রোগীর শিরায় প্রতিস্থাপন করা হয়।
প্রাপ্তবয়স্ক কোষকে বিভিন্ন অঙ্গে ব্যবহারের উপযোগী করে গড়ে তোলার পদ্ধতি আবিষ্কারের জন্য ২০১২ সালে চিকিৎসায় নোবেল পুরস্কার লাভ করেছেন স্টেমসেল গবেষক ব্রিটেনের স্যার জন গার্ডন ও জাপানের শিনিয়া ইয়ামানাকা। তাদের এ গবেষণার উদ্দেশ্যে হচ্ছে, প্রাপ্তবয়স্ক কোষ থেকে এসব স্টেমসেল তৈরি করা, যারা ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশেও কাজ করতে সক্ষম হবে।
পিছু ছাড়ছে না বিতর্ক
স্টেমসেল এই নামটি ইদানীং আমরা প্রায়ই শুনছি। মানুষের ভ্রুণের মধ্যে অবস্থিত স্টেমসেল নিয়ে চলছে নানা ধরনের গবেষণা। স্টেমসেল থেকে অনেক রকমের সেল বা কোষ পাওয়া যায়। মাতৃজঠরে যখন ভ্রুণের উৎপত্তি শুরু হয় প্রথম দিকে, কিন্তু সেল বা কোষগুলো একই রকম থাকে। এরপর এক পর্যায়ে কোনো সেল লিভারের কোষে পরিণত হয় যা থেকে মানুষের লিভার হয়, কোনো সেল কিডনি সেল, মস্তিষ্কের কোষ এবং চোখের কোষ তৈরি হয়। স্টেমসেলের এমন সম্ভাবনা আছে যে, এ ধরনের কোষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কোষ আমরা পেতে পারি।
কারো ডায়াবেটিস হলে, তার যদি টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হয় তাহলে বেটাসেলগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তার মধ্যে যদি স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয় এবং সেই স্টেমসেলগুলো তার মধ্যে বেটাসেল তৈরি করে তাহলে তার ডায়াবেটিস সেরে যেতে পারে। কারো যদি মস্তিষ্কের অসুখ হয়ে থাকে, মস্তিষ্কের কোনো কোষ নষ্ট হয়ে গেছে কিংবা মারা গেছে তাহলে এই কোষগুলোকেও পুনরায় জাগিয়ে তোলা যেতে পারে যদি ঠিকমতো তার মধ্যে স্টেমসেলগুলো প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়। আর এ কারণেই স্টেমসেলের গবেষণার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
ভবিষ্যতে অনেক রোগের প্রতিষেধক ওষুধ হয়তো এ গবেষণার মাধ্যমে আসতে পারে। যেহেতু এই সেলগুলো আমরা ভ্রুণ থেকে পেয়ে থাকি, তাই এই সেলগুলোর ওপর গবেষণা চালানোর মানে হচ্ছে, মানবশিশুরা এ সেলগুলো থেকে হতে পারতো তা আমরা হতে দিচ্ছি না। এটাকে এক ধরনের হত্যাও বলা হচ্ছে। অনেকে বলছে এমন কোনো অধিকার আমাদের নেই। এ জন্যই বিতর্ক হচ্ছে।
স্টেমসেলের গবেষণার এসব বিষয় নিয়ে গোটা বিশ্বেই এখন চলছে নানা বিতর্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ বিতর্ক সবচেয়ে বেশি। বিজ্ঞানীরা এই গবেষণার পক্ষে অবস্থান নিলেও সেখানকার ধর্মীয় নেতারা এ গবেষণার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার সহায়তা দিয়ে থাকলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ স্টেমসেল নিয়ে গবেষণার ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেন। বিজ্ঞানীদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও এত দিন ধরে এ বিধিনিষেধ অব্যাহত ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি পাল্টেছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি এ ধরনের গবেষণা কর্মের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য নিজেরা আইন করে এ গবেষণাকর্ম নিষিদ্ধ করেছে। অবাক বিষয় হলো এর পরেও চলছে গবেষণা।
স্টেমসেল এই নামটি ইদানীং আমরা প্রায়ই শুনছি। মানুষের ভ্রুণের মধ্যে অবস্থিত স্টেমসেল নিয়ে চলছে নানা ধরনের গবেষণা। স্টেমসেল থেকে অনেক রকমের সেল বা কোষ পাওয়া যায়। মাতৃজঠরে যখন ভ্রুণের উৎপত্তি শুরু হয় প্রথম দিকে, কিন্তু সেল বা কোষগুলো একই রকম থাকে। এরপর এক পর্যায়ে কোনো সেল লিভারের কোষে পরিণত হয় যা থেকে মানুষের লিভার হয়, কোনো সেল কিডনি সেল, মস্তিষ্কের কোষ এবং চোখের কোষ তৈরি হয়। স্টেমসেলের এমন সম্ভাবনা আছে যে, এ ধরনের কোষ থেকে বিভিন্ন ধরনের কোষ আমরা পেতে পারি।
কারো ডায়াবেটিস হলে, তার যদি টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস হয় তাহলে বেটাসেলগুলো নষ্ট হয়ে যাবে। তার মধ্যে যদি স্টেমসেল প্রতিস্থাপন করা হয় এবং সেই স্টেমসেলগুলো তার মধ্যে বেটাসেল তৈরি করে তাহলে তার ডায়াবেটিস সেরে যেতে পারে। কারো যদি মস্তিষ্কের অসুখ হয়ে থাকে, মস্তিষ্কের কোনো কোষ নষ্ট হয়ে গেছে কিংবা মারা গেছে তাহলে এই কোষগুলোকেও পুনরায় জাগিয়ে তোলা যেতে পারে যদি ঠিকমতো তার মধ্যে স্টেমসেলগুলো প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়। আর এ কারণেই স্টেমসেলের গবেষণার বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
ভবিষ্যতে অনেক রোগের প্রতিষেধক ওষুধ হয়তো এ গবেষণার মাধ্যমে আসতে পারে। যেহেতু এই সেলগুলো আমরা ভ্রুণ থেকে পেয়ে থাকি, তাই এই সেলগুলোর ওপর গবেষণা চালানোর মানে হচ্ছে, মানবশিশুরা এ সেলগুলো থেকে হতে পারতো তা আমরা হতে দিচ্ছি না। এটাকে এক ধরনের হত্যাও বলা হচ্ছে। অনেকে বলছে এমন কোনো অধিকার আমাদের নেই। এ জন্যই বিতর্ক হচ্ছে।
স্টেমসেলের গবেষণার এসব বিষয় নিয়ে গোটা বিশ্বেই এখন চলছে নানা বিতর্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ বিতর্ক সবচেয়ে বেশি। বিজ্ঞানীরা এই গবেষণার পক্ষে অবস্থান নিলেও সেখানকার ধর্মীয় নেতারা এ গবেষণার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণার জন্য প্রতি বছর কোটি কোটি ডলার সহায়তা দিয়ে থাকলেও সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ স্টেমসেল নিয়ে গবেষণার ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করেন। বিজ্ঞানীদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও এত দিন ধরে এ বিধিনিষেধ অব্যাহত ছিল। কিন্তু বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দায়িত্ব গ্রহণের পর পরিস্থিতি পাল্টেছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্প্রতি এ ধরনের গবেষণা কর্মের ওপর বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছেন। এরপরও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্য নিজেরা আইন করে এ গবেষণাকর্ম নিষিদ্ধ করেছে। অবাক বিষয় হলো এর পরেও চলছে গবেষণা।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)