সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম টুইটার, স্কাইপ এবং ইমো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। দুই দিন আগেই ২২ দিই বন্ধ রাখার পর খুলে দেয়া হয় জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। এখনো বন্ধ আছে ভাইবার, ওয়াটস অ্যাপের মতো যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। এরইমধ্যে এই নতুন তিনটি মাধ্যম বন্ধের ঘোষণা এলো।
মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে গেম ‘হিরোজ অব সেভেন্টিওয়ান’।
সারা বিশ্বে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট নিয়ে তৈরি অসংখ্য গেম রয়েছে। এর মধ্যে যুদ্ধবিগ্রহও বাদ যায় না। ইতিহাসের বড় বড় যুদ্ধ নিয়ে তাই গেম তৈরি হয়েছে অসংখ্য। আর এবার গেম তৈরি হলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে।
১৯৭১ সালে বাঙালিদের দুর্ধর্ষ সাহসিকতা এবং বীরত্বগাথা নিয়ে তৈরি ‘হিরোজ অব সেভেন্টিওয়ান’ শিরোনামের গেমটি গুগল প্লে স্টোরে উন্মুক্ত হবে আগামী ১৬ ডিসেম্বর, অর্থাৎ বিজয় দিবসে।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গেমটি তৈরি করেছে ‘পোর্টব্লিস গেম’ নামে একটি দল। দুই বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করা দলের সদস্যরা প্রথম থেকেই চেয়েছিলেন, শুধু বাংলাদেশের মানুষের জন্য কোনো একটি গেম তৈরি করতে। এই অনুপ্রেরণা থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং অস্তিত্বের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ নিয়ে তৈরি করা হলো ‘হিরোজ অব সেভেন্টিওয়ান’ গেমটি।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বরিশালের শনির চর নামক জায়গার ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরা হয়েছে গেমটিতে। সেখানে এক পাকিস্তানি ক্যাম্প দখল করতে পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধার একটি গেরিলা দল আক্রমণ করে। সেই ক্যাম্প দখল করা নিয়েই তৈরি হয়েছে গেমটি। প্রত্যন্ত অঞ্চলের গেরিলা হামলার ঘটনাগুলো নিয়েই থার্ড পারসন শুটিং ক্যাটাগরির গেমটি তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ গেমটি খেলতে হবে একজন গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে।
পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শনির চরে ক্যাম্পটি দখল করতে পারলেই খেলা জেতা যাবে। তবে পাঁচজন গেরিলাকে একসঙ্গে নিয়ে খেলা যাবে না। একসঙ্গে সর্বোচ্চ তিনটি চরিত্র নিয়ে খেলা যাবে, যেখানে তিনজন তিনটি আলাদা জায়গা থেকে যুদ্ধ করবে। হাতে অস্ত্রও থাকবে ভিন্ন ভিন্ন। এভাবেই শত্রু বাহিনীকে ঘায়েল করে মুক্ত করতে হবে শনির চর।
গেমটির ঘটনা বাছাইয়ের গল্প বললেন নির্মাতা দল পোর্টব্লিসের কারিগরি উন্নয়ন প্রধান মাশা মুস্তাকিম। তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গেম তৈরি করার পরিকল্পনায় প্রথমে আমরা বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখের বাস্তব ঘটনাকে বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্য এবং উৎস সংকটের কারণে আমরা শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসি। কারণ, আমরা সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারব কি না, তা নিয়ে ভয় পাচ্ছিলাম। এর পর এগিয়ে আসে বন্ধু ওমর রশিদ চৌধুরী। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসের সঙ্গে কোনোরূপ সংঘর্ষ না রেখে গেমের মৌলিক গল্প তৈরি করা হয়েছে।’
গেমটি আপাতত শুধু অ্যানড্রয়েড ব্যবহারকারীরা খেলতে পারবেন। তবে ধীরে ধীরে আইওএস, ওয়েব ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মেও গেমটি মুক্তি দেওয়ার কথা ভাবছেন পোর্টব্লিসের সদস্যরা। এক জিবি র্যামের যেকোনো অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমেই গেমটি চলবে। স্টোরেজের মাত্র ৫০ মেগাবাইট জায়গা দখল করবে গেমটি।
মাশা মুস্তাকিম ছাড়াও পোর্টব্লিসের এই গেমটি নির্মাণ, ডেভেলপিং ও মার্কেটিংয়ে ছিলেন অপ্রতিম কুমার চৌধুরী, আরিফুর রহমান, অভিক চৌধুরী, আবদুল জাওয়াদ, রাকিবুল আলম সুলভ, রাকিবুল হাসান তুর, পাপন জিৎ দে, রিহাব উদ্দীন শাওন, প্রিওম মজুমদার অভি, হাসান আল রাজি ও তাপস চক্রবর্তী। গেমটির গল্পকার ওমর রশিদ চৌধুরী।
আসুন জানি, HTML5 কি?
আসসালামুআলাইকুম, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আজকে আমরা একটি নতুন বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো, আর সেটি হলো HTML5।
এইচটিএমএলের নতুন সংস্করণ এইচটিএমএল৫। HTML 4.01 এর পূর্ববর্তী সংস্করণ
1999 সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। HTML5 এর
কাজ এখনও চলছে। কিন্তু অনেক ট্যাগ বিভিন্ন ব্রাউজারে এখন কাজ করে।
HTML5 কিভাবে কাজ শুরু করেছে?
HTML5 এর ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব সাথে (W3C) এবং ওয়েব হাইপারটেক্সট অ্যাপ্লিকেশন প্রযুক্তি ওয়ার্কিং গ্রুপ (WHATWG) মধ্যে সহযোগিতা করে তৈরির কাজ চলছে। WHATWG ওয়েব ফর্ম এবং অ্যাপ্লিকেশন তৈরির কাজ করছে এবং W3C এক্সএইচটিএমএল 2.0 নিয়ে কাজ করছিল। 2006 সালে তারা HTML-এর একটি নতুন সংস্করণ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
HTML5 এর জন্য কিছু নিয়ম প্রতিষ্ঠিত হয়:
- নতুন বৈশিষ্ট্য সমূহ এইচটিএমএল, সিএসএস, DOM এবং জাভাস্ক্রিপ্ট উপর ভিত্তি করে তৈরি করা উচিত
- আলাদা প্লাগিনের ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে (যেমন: ফ্ল্যাশ)
- উন্নত ত্রুটি পরিচালনার ব্যবস্থা
- আরও একাধিক স্ক্রিপ্টিং প্রতিস্থাপন করার সুবিধা যুক্ত করা
- HTML5 এর স্বাধীন ডিভাইস হতে হবে
- উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় জনগণের কাছে দৃশ্যমান হবে
HTML5 এর - নতুন বৈশিষ্ট্য
- 2D আঁকার জন্য <canvas> উপাদান
- মিডিয়া প্লেব্যাক জন্য <video> এবং <audio> উপাদান
- স্থানীয় সংগ্রহস্থলের জন্য সমর্থন
- নতুন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর উপাদান যেমন: <article>, <footer>, <header>, <nav>, <section>
- নতুন ফর্ম নিয়ন্ত্রণ। যেমন ক্যালেন্ডার, তারিখ, সময়, ইমেইল, URL, অনুসন্ধান ইত্যাদি
HTML5 এর জন্য ব্রাউজার সাপোর্ট
HTML5 এখনও অফিসিয়ালি প্রকাশ করা হয় নি
এবং কোন ব্রাউজার HTML5 এর পূর্ণ সমর্থন আছে নেই। কিন্তু প্রতিনিয়ত
ব্রাউজার গুলো নতুন নতুন উপাদানগুলো যুক্ত করছে।
এইচটিএমএল 4.01 মধ্যে কিছু উপাদান কখনও
ব্যবহৃত হয় না অথবা কম ব্যবহৃত হয়। এই উপাদান সরিয়ে HTML5-এ পুনরায়
তৈরির কাজ চলছে। পূর্ণরূপে ইন্টারনেটের স্বাদ দেওয়ার লক্ষে HTML5 এর থেকে
ভাল গঠন, ভাল ফর্ম হ্যান্ডলিং, অঙ্কন, এবং মিডিয়া বিষয়বস্তুর জন্য নতুন
উপাদান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নতুন উপাদানসমূহ:
ট্যাগ | বর্ণনা |
<article> | নিবন্ধ সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<aside> | সাধারণত সাইডবারের জন্য ব্যবহৃত হয় |
<bdi> | একটি ভিন্ন দিক ফরম্যাটে লেখা প্রকাশের জন্য ব্যবহৃত হয় |
<command> | কমান্ড বাটন সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<details> | অতিরিক্ত বিশদ ব্যাখ্যা ব্যবহারকারীর প্রদর্শন অথবা আড়াল করতে ব্যবহৃত হয় |
<dialog> | ডায়লগ বক্স অথবা উইন্ডোতে সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<summary> | <details> উপাদানের সারমর্ম প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয় |
<figure> | চিত্রাঙ্কনের, ডায়াগ্রামে, ছবি, কোড তালিকা ইত্যাদির স্বয়ংসম্পূর্ণ বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয় |
<figcaption> | <figure> উপাদান জন্য ক্যাপশন ব্যবহৃত হয় |
<footer> | একটি বিভাগের জন্য পাদচরণ সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<header> | একটি বিভাগের জন্য হেডার সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<hgroup> | যখন একাধিক মাত্রার শিরোনাম থাকে, তখন <h1> থেকে <h6> উপাদানের সমষ্টিকে বুঝায় |
<mark> | চিহ্নিত / হাইলাইট টেক্সট সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<meter> | একটি পরিচিত পরিসীমার মধ্যে স্কেলের পরিমাপ সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<nav> | নেভিগেশন লিঙ্কগুলি সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<progress> | একটি টাস্ক অগ্রগতি প্রতিনিধিত্ব করে |
<ruby> | রুবি টীকা সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<rt> | অক্ষরের একটি ব্যাখ্যা / উচ্চারণ সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<rp> | Ruby টীকা সমর্থন করে না তা ব্রাউজারে দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয় |
<section> | নথিতে একটি অধ্যায় সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<time> | তারিখ / সময় প্রদর্শনের জন্য ব্যবহৃত হয় |
<wbr> | লাইন বিরতির জন্য ব্যবহৃত হয় |
<audio> | শব্দ যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<video> | ভিডিও যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<source> | <video> এবং <audio> জন্য একাধিক মিডিয়া রিসোর্স যুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<embed> | একটি বহিরাগত অ্যাপ্লিকেশন অথবা ইন্টারেক্টিভ বিষয়বস্তুর জন্য একটি ধারক |
<track> | <video> এবং <audio> এর জন্য টেক্সট গানগুলি সংজ্ঞায়িত করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
<canvas> | গ্রাফিক্স আঁকতে ব্যবহৃত হয় |
<datalist> | ইনপুট নিয়ন্ত্রণ জন্য পূর্ব নির্ধারিত অপশনের একটি তালিকা নির্দিষ্ট করে |
<keygen> | key-জুটি জেনারেটরের জন্য ব্যবহৃত হয় |
<output> | হিসাবের ফলাফল ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যবহৃত হয় |
- <acronym>
- <applet>
- <basefont>
- <big>
- <center>
- <dir>
- <font>
- <frame>
- <frameset>
- <noframes>
- <strike>
- <tt>
ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের বিপদ।
লাখো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজার ব্যবহারকারী বিপদে আছেন। দ্রুত
তাদের ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজারটি হালনাগাদ করে নেওয়ার পরামর্শ
দিয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে জানিয়েছে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজারটি হালনাগাদ করে নেওয়ার জন্য আর পাঁচ সপ্তাহ সময় আছে। এ সময়ের মধ্যে ব্রাউজারটি হালনাগাদ করে না নিলে ব্যবহারকারীরা অনিরাপদ হয়ে পড়বেন। তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
মাইক্রোসফট সম্প্রতি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ (আইই ১১) সংস্করণের নিচের সংস্করণ ব্যবহারকারীদের কাছে একটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১২ জানুয়ারির পর থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পুরোনো সংস্করণ ব্যবহারকারীরা আর কোনো নিরাপত্তা প্যাঁচ বা সফটওয়্যার হালনাগাদ পাবেন না।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেট অ্যাপ্লিকেশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২১ দশমিক ৪২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মাইক্রোসফটের পুরোনো ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করছেন। ইউএস ডিজিটাল অ্যানালাইটিকসের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এখনো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজার ব্যবহার করছেন।
অবশ্য এই বিশাল সংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ব্রাউজার হালনাগাদ করে নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। নেট অ্যাপ্লিকেশনসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১১ শতাংশের বেশি পিসিতে এক দশকের বেশি পুরোনো উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে। এক্সপিতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ বা এর ওপরের সংস্করণগুলো সমর্থন করে না। তবে ৫৭ শতাংশ পিসিতে ব্যবহৃত হচ্ছে উইন্ডোজ ৭। উইন্ডোজ ৭ এ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ ব্যবহার করা যায়।
বাজার গবেষকেরা বলছেন, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১০ বা এর চেয়ে নিচের সংস্করণগুলোর সমর্থন ১২ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। এর পর থেকে নিরাপত্তা প্যাঁচ না থাকায় ব্যবহারকারীরা সাইবার দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হতে পারেন। যাঁরা উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করছেন তাঁদের জন্য অবশ্য খুব বেশি বিকল্প থাকছে না। গুগল সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উইন্ডোজ এক্সপি ও ভিসতায় সমর্থন দিয়ে যাবে। এরপর এক্সপির জন্য কোনো সমর্থন দেবে না গুগল। ইতিমধ্যে উইন্ডোজ এক্সপির কিছু সংস্করণ থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে ফায়ারফক্স।
মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে জানিয়েছে, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজারটি হালনাগাদ করে নেওয়ার জন্য আর পাঁচ সপ্তাহ সময় আছে। এ সময়ের মধ্যে ব্রাউজারটি হালনাগাদ করে না নিলে ব্যবহারকারীরা অনিরাপদ হয়ে পড়বেন। তাঁদের ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাবে।
মাইক্রোসফট সম্প্রতি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ (আইই ১১) সংস্করণের নিচের সংস্করণ ব্যবহারকারীদের কাছে একটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১২ জানুয়ারির পর থেকে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পুরোনো সংস্করণ ব্যবহারকারীরা আর কোনো নিরাপত্তা প্যাঁচ বা সফটওয়্যার হালনাগাদ পাবেন না।
বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান নেট অ্যাপ্লিকেশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ২১ দশমিক ৪২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী মাইক্রোসফটের পুরোনো ব্রাউজার ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করছেন। ইউএস ডিজিটাল অ্যানালাইটিকসের তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ এখনো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্রাউজার ব্যবহার করছেন।
অবশ্য এই বিশাল সংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ব্রাউজার হালনাগাদ করে নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। নেট অ্যাপ্লিকেশনসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১১ শতাংশের বেশি পিসিতে এক দশকের বেশি পুরোনো উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হচ্ছে। এক্সপিতে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ বা এর ওপরের সংস্করণগুলো সমর্থন করে না। তবে ৫৭ শতাংশ পিসিতে ব্যবহৃত হচ্ছে উইন্ডোজ ৭। উইন্ডোজ ৭ এ ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১ ব্যবহার করা যায়।
বাজার গবেষকেরা বলছেন, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১০ বা এর চেয়ে নিচের সংস্করণগুলোর সমর্থন ১২ জানুয়ারি শেষ হচ্ছে। এর পর থেকে নিরাপত্তা প্যাঁচ না থাকায় ব্যবহারকারীরা সাইবার দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হতে পারেন। যাঁরা উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করছেন তাঁদের জন্য অবশ্য খুব বেশি বিকল্প থাকছে না। গুগল সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছে ২০১৬ সালের এপ্রিল পর্যন্ত উইন্ডোজ এক্সপি ও ভিসতায় সমর্থন দিয়ে যাবে। এরপর এক্সপির জন্য কোনো সমর্থন দেবে না গুগল। ইতিমধ্যে উইন্ডোজ এক্সপির কিছু সংস্করণ থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে ফায়ারফক্স।
মম-র পিস্তলের আঘাতে আহত মাহফুজ।
অভিনেত্রী জাকিয়া বারী মম-র হাতে থাকা পিস্তলের আঘাতে মাথা ফেটে গেছে
অভিনেতা মাহফুজ আহমেদের। শুক্রবার থাইল্যান্ডে ‘স্যাটারডে নাইট’ নামের একটি
ধারাবাহিক নাটকের শুটিং করতে গিয়ে ঘটেছে এমন ঘটনা। নাটকটির প্রযোজনা
সংস্থা ১৯৫২ এন্টারটেইনমেন্টের পক্ষে সাজু মুনতাসির প্রথম আলোকে মাহফুজ
আহমেদের এই শুটিং দুর্ঘটনার খবরটি জানান।
এ প্রসঙ্গে সাজু মুনতাসির বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার পর পরই মাহফুজ ভাইকে দ্রুত একটি স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।’
এরপর পরই কথা হয় মম-র সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নাটকের দৃশ্যটি ছিল— মাহফুজ ভাইয়ের মাথায় পিস্তল দিয়ে আঘাত করতে হবে। কিন্তু অসাবধানতাবশত সত্যি সত্যি মাথায় আঘাত লেগে যায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখতে পেলাম, মাহফুজ ভাইয়ের কপাল বেয়ে রক্ত পড়তে শুরু করেছে। আমি ঘাবড়ে যাই।’ কথাটি বলেই কাঁদতে শুরু করেন মম।
২০০৬ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জাকিয়া বারী মম। নয় বছরের অভিনয়জীবনে অনেক নাটক, টেলিছবি এবং বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। এই নয় বছরে নাটক কিংবা চলচ্চিত্রের সব শুটিং দেশেই করছেন মম। শুটিংয়ের জন্য কখনো তাঁর দেশের বাইরে যাওয়া হয়নি। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে কোনো নাটকের শুটিং করছেন মম। ‘স্যাটারডে নাইট’ নামের এই নাটকটির পরিচালক রায়হান খান। নাটকটিতে মাহফুজ আহমেদ ও মম ছাড়া আরও অভিনয় করছেন মেহজাবিন, নিশো, নাঈম প্রমুখ।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ‘স্যাটারডে নাইট’ নাটকের শুটিং শেষে ১৮ ডিসেম্বর পুরো ইউনিট ঢাকায় ফিরবেন। অবশ্য মেহজাবিন ফিরবেন আগামীকাল সোমবার।
এ প্রসঙ্গে সাজু মুনতাসির বলেন, ‘এই দুর্ঘটনার পর পরই মাহফুজ ভাইকে দ্রুত একটি স্থানীয় ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রামে থাকতে বলেছেন।’
এরপর পরই কথা হয় মম-র সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘নাটকের দৃশ্যটি ছিল— মাহফুজ ভাইয়ের মাথায় পিস্তল দিয়ে আঘাত করতে হবে। কিন্তু অসাবধানতাবশত সত্যি সত্যি মাথায় আঘাত লেগে যায়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখতে পেলাম, মাহফুজ ভাইয়ের কপাল বেয়ে রক্ত পড়তে শুরু করেছে। আমি ঘাবড়ে যাই।’ কথাটি বলেই কাঁদতে শুরু করেন মম।
২০০৬ সালের লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জাকিয়া বারী মম। নয় বছরের অভিনয়জীবনে অনেক নাটক, টেলিছবি এবং বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। এই নয় বছরে নাটক কিংবা চলচ্চিত্রের সব শুটিং দেশেই করছেন মম। শুটিংয়ের জন্য কখনো তাঁর দেশের বাইরে যাওয়া হয়নি। কিন্তু এবারই প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে কোনো নাটকের শুটিং করছেন মম। ‘স্যাটারডে নাইট’ নামের এই নাটকটির পরিচালক রায়হান খান। নাটকটিতে মাহফুজ আহমেদ ও মম ছাড়া আরও অভিনয় করছেন মেহজাবিন, নিশো, নাঈম প্রমুখ।
প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ‘স্যাটারডে নাইট’ নাটকের শুটিং শেষে ১৮ ডিসেম্বর পুরো ইউনিট ঢাকায় ফিরবেন। অবশ্য মেহজাবিন ফিরবেন আগামীকাল সোমবার।
বিজ্ঞানের নতুন বিস্ময় ! স্থাপনা তৈরিতে সবুজ ইট।
বাড়ি বা স্থাপনা তৈরির জন্য কাদা-মাটির ইট ব্যবহারের কথা অদূর ভবিষ্যতে রূপ কথার গল্পের মতোই শোনাবে। কারণ, বায়োম্যাসোন নামের একটি প্রতিষ্ঠান বালি, ব্যাকটেরিয়া এবং এই ব্যাকটেরিয়াকে দেয়া প্রয়োজনীয় পুষ্টির সাহায্যে পরিবেশবান্ধব অভিনব ইট তৈরি করার এক অনন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। জৈবপ্রযুক্তি বিষয়ক প্রাথমিক পর্যায়ের ব্যবসায় উদ্যোগ বায়োম্যাসোন পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদনকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান। প্রাকৃতিক উপায়ে ভবন ও নির্মাণ শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে এই প্রতিষ্ঠান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অণুজীব এবং রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় জৈব-সিমেন্টভিত্তিক স্থাপত্য নির্মাণ সামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি ২০১২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠিত হয়। বায়োম্যসোন কোটি-কোটি অণুজীবের সাহায্যে ভবন নির্মাণে অসাধারণ এক প্রকার ইট উৎপাদন করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর উত্তর-ক্যারোলিনাভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিঞ্জার দোসিয়ে প্রবাল প্রাচীর নিয়ে গবেষণাকালে ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন প্রক্রিয়ার রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হন। বায়োম্যাসোন প্রক্রিয়ায় ইট উৎপাদনে প্রাথমিক স্তরে বালির প্রয়োজন হয়। প্রথমে এই বালিকে ইট আকৃতির একটি ছাঁচে রাখা হয়। তারপর এই বালিতে বিশেষ উপায়ে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মিশ্রণ ঘটানো হয়। বালিতে থাকা ব্যাকটেরিয়ার জন্য খাবার হিসেবে দেয়া হয় জল-মিশ্রিত ক্যালসিয়াম আয়ন। এই আয়নগুলি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরে আকৃষ্ট হলে ক্যালসিয়াম কার্বোনেট শেল তৈরি হয়। এতে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্রিস্টালে রূপান্তরিত হয়। আর এভাবেই তৈরি হয়ে যায় অসামান্য বায়োম্যাসোন ইট। এই প্রক্রিয়ায় একটি ইট তৈরি হতে সময় লাগে ২ থেকে ৫ দিন। অন্যদিকে সনাতন পদ্ধতিতে ভাঁটায় তৈরি করতে একটি ইটের তিন থেকে পাঁচ দিন সময়ের প্রয়োজন। এই অভিনব পদ্ধতিতে ইট উদ্ভাবনকারী দোসিয়ে বলেন, ‘আমরা এমন ইট তৈরি করতে পারি যা রাতের অন্ধকারে জ্বল-জ্বল করে, পরিবেশের দূষণ শোষণ করে এবং ভেজা অবস্থায় রঙ পরিবর্তন করতে পারে।’ এই প্রক্রিয়ায় ইট উৎপাদন করতে জ্বালানির দরকার হয় না বলেও দোসিয়ে জানান। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পরবর্তী লক্ষ হচ্ছে, ক্রেতাদের এই ইট উৎপাদনে সক্ষম করে তোলা যাতে করে তারা নির্মাণাধীন এলাকাতেই এটি তৈরি করতে পারেন। এ জন্য আমরা এর পাউডার বা সিরাপ সংস্করণের কথা ভাবছি। এতে করে এই ইট তৈরি করতে ক্রেতাদের শুধু জল মিশ্রণ করতে হবে। আর তাতেই তৈরি হয়ে যাবে বায়োম্যাসোন ইট।’
নতুন বছরের শুরু থেকেই সিম কার্ড কিনতে লাগবে মোবাইলের আইএমইআই
২০১৬ নতুন বছরের শুরু থেকেই থেকেই নতুন সিম কিনতে মোবাইল ফোন সেটের স্বতন্ত্র নম্বর (আইএমইআই) লাগবে। মোবাইল গ্রাহকদের ‘পুরোপুরি নিবন্ধনে’র আওতায় আনতে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। আজ রোববার সচিবালয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এরআগে গত মাসে এক সেমিনারে তারানা জানিয়েছিলেন, আগামী বছরের এপ্রিলে সিম নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে। এরপরই ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল স্টেশন ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটির (আইএমইআই) মাধ্যমে তথ্য নিবন্ধনের কাজ শুরু হবে। তারানা হালিম আজ বলেন, ‘মানুষের নিরাপত্তা ও স্বস্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতে সিম নিবন্ধন ও আইএমইআই নম্বর নিবন্ধন জরুরি। সিম নিবন্ধন শেষ হলে মানুষের অর্ধেক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আমরা মানুষকে পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে চাই। এজন্য আইএমইআই নিবন্ধন করতে হবে। না হলে নিরাপত্তার দিকটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘আইএমইআই নিবন্ধন শেষ হলে প্রযুক্তি মাধ্যমের সংগঠিত অপরাধীকে দ্রুত চিহ্নিত করা যাবে। ফোন চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে দ্রুত উদ্ধার করা যাবে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর থেকে আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে (বায়োমেট্রিক) সিম নিবন্ধন শুরু হচ্ছে। আর জানুয়ারি থেকে নতুন সিম কেনার সময় গ্রাহককে তার মোবাইল সেটের আইএমইআই নম্বরও নিবন্ধনভুক্ত করতে হবে। বর্তমানে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ব টেলিটকসহ মোট ছয়টি অপারেটর মোবাইল ফোন সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসির সর্বশেষ তথ্য মতে দেশে মোবাইল সিমের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি।
জেনে নিন আপনার চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি কিভাবে ফিরে পাবেন?
আপনি কি আপনার অ্যান্ড্রয়েড চালিত
স্মার্টফোনটি হারিয়ে ফেলেছেন? বা ফোনটি চুরি হয়ে গিয়েছে? আর হারিয়ে যাওয়া
ফোনটির কথা ভেবে হতাশাগ্রস্থ আপনি? দিনে দিনে স্মার্টফোন হয়ে উঠেছে আমাদের
দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ। আর প্রিয় এই ফোনটি হারিয়ে আপনি হয়তো
আরেকটি ফোন কেনার চিন্তা করছেন। কিন্তু আপনার বেহাত হওয়া ফোনটিই আপনার
জন্য চিন্তার কারন হয়ে দাড়াতে পারে।
অধিকাংশ মানুষের কাছেই ফোন হারানোটা
কেবলই আর্থিক ক্ষতি। কিন্তু এর মাধ্যমে আপনার ব্যাক্তিগত গোপনীয়তা আর
নিরাপত্তাও যে ঝুকির মধ্যে পড়ে তা কি ভেবে দেখেছেন? আপনার ব্যাবহৃত মোবাইল
ফোন বিশেষত স্মার্টফোন আপনার হরেক তথ্য ধারন করে রাখে। আর শুধু আপনার তথ্য
কেন, আপনার কাছের অনেকের তথ্যই এতে জমা থাকে। আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি যার
হাতেই যাক, আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত তথ্যগুলো যেমন আপনার একান্ত
ব্যাক্তিগত কোন ছবি, প্রয়োজনীয় ফোন নাম্বার বা আপনার লেনদেন সংক্রান্ত
যেকোনো তথ্য চলে যাবে আরেকজনের হাতে। যা আপনি কখনই চান না। আবার এমন কিছু
সৃতিও হারাতে পারেন যা আর কখনই ফিরে পাওয়া যাবেনা।
বেশীরভাগ ক্ষেত্রে সবাই নিজের ফোনটি
ফিরে পেতে চায় অক্ষত ভাবে। অন্ততপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলো ফেরত চায়। নাই
যদি পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে সবার চাওয়া অন্তত ফোনটি যেন কেউ ব্যবহার না করতে
পারে বা সংরক্ষিত তথ্যগুলো যেন মুছে ফেলা যায়। এতে আপনার আপনার একান্ত
ব্যাক্তিগত আর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো বেহাত হওয়া থেকে বাঁচে। তবে আনন্দের
ব্যাপার হল, ফোন হারিয়ে দুশ্চিন্তার দিন শেষ। অন্তত নিজেকে নিরুপায় ভেবে
হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে না।
আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোন খুজতে কিছু ত্বরিত টিপসঃ
এই টিউটোরিয়ালটি আপনাকে ধাপে ধাপে আপনার
ফোনটি খুজে পেতে করণীয়গুলো দেখাবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো হল আপনার
ফোনটি যদি প্রয়োজনীয় অ্যাপসমৃদ্ধ থাকে, অর্থাৎ ফোনটির অবস্থান সনাক্তকরার
অ্যাপ ইন্সটল করা থাকে, সেই সাথে দূর থেকে নিয়ন্ত্রন করার মত অ্যাপ থাকে
তাহলে আপনি সহজেই এর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারবেন। সেই সাথে হারানো ফোনটি ফিরে
পেলে সহজেই তথ্য পুনরুদ্ধার সম্ভব। এক্ষেত্রে Android Device Manager বা
Lookout নামের অ্যাপ দুটির সাহায্য নিতে পারেন।
Airdroid নামের অ্যাপটি ব্যাবহার করে
আপনি সহজেই আপনার হারনো তথ্যগুলো ফিরে পেতে পারেন। আর এর আধুনিক ফিচারগুলো
যেমন দূর নিয়ন্ত্রিত ক্যামেরা বা এসএমএস মেসেজিং ব্যাবহার করতে পারেন।
স্মার্ট ওয়াচ ব্যাবহার করতে পারেন। এটি আপনার মোবাইল ফোনটির দূরে সরে না
যাওয়া নিশ্চিত করবে।
আর হ্যাঁ, আমরা এটাও জানানোর চেষ্টা করব
যে আপনার ফোনটি হারালে আপনি কি করতে পারেন যখন আপনি কোনভাবেই প্রস্তুত নন।
উপরের কথাগুলো শুনে কি কিছুটা ভালো লাগছে?? তাহলে দেরি না করে, চলুন শুরু
করা যাক আজকের টিউটোরিয়াল। নিশ্চিত হোন যে আপনি প্রস্তুত পড়ে যেতে না
চাইলে, পা ফেলার আগে দেখে ফেলাটা উত্তম। দাঁতের ক্ষয় না চাইলে নিয়মিত দাঁত
মাজা উচিত এগুলো আমাদের প্রতিদিনের জীবনে শোনা কিছু প্রবাদ। এ বাক্যগুলই
কিন্তু আমাদের মনে করিয়ে দেয়, যে যেকোনো বাজে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেয়ে
এমন কিছু করা ভালো যা আমাদের বাজে পরিস্থিতিরই সম্মুখীন করবেনা। অর্থাৎ
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাটাই শ্রেষ্ঠতর। আপনার স্মার্ট ফোনটি যেন না
হারান, সেজন্যেও একই নীতিবাক্যই প্রযোজ্য।
আসলে আপনার স্মার্টফোনটির হারানো
প্রতিরোধ করতে তেমন কিছু করার নেই। তবে আপনার কমনসেন্স ব্যবহার করুন, এক
জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার আগে নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনটি আপনার সাথেই
আছে। এর বাইরে আপনি যা করতে পারেন টা হল অ্যাপ ব্যাবহার করা, যেটা আপনাকে
কিছুটা সাহাজ্য করতে পারে। স্ক্রিন লক করার প্যাটার্ন চালু করুন CM-2
স্মার্টফোন ব্যাবহারে আপনার প্রথম কাজটি হবে মোবাইলের স্ক্রিন লক করার জন্য
প্যাটার্ন বা পাসওয়ার্ড চালু করা। এটি কোনোভাবেইওয়াপ্নার ফোন হারানো রোধ
করতে পারবেনা। কিন্তু হারিয়েই যদি ফেলেন, এই ভেবে অন্তত স্বস্তি পাবেন যে
আপনার তথ্য গুলো অন্য কার হাতে পড়ছেনা।
কেউ কেউ হয়তবা প্রতিবার ফোন ব্যাবহারের
সময় ফোন আনলক করতে গিয়ে বিরক্ত হতে পারেন। তাদের জন্য কিছু কিছু ডিভাইস এ
নির্দিষ্ট সময় পর পর পাসওয়ার্ড স্বয়ংক্রিয় ভাবে চালু করার ব্যাবস্থা আছে।
তাও যদি ভালো না লাগে, তাহলে আপনার জানতে হবে কিভাবে দূরবর্তী যেকোনো জায়গা
থেকে আপনার মোবাইলে পাসওয়ার্ড চালু করা যায়। আপনার মোবাইলে লক স্ক্রিন
প্যাটার্ন চালু করতে Settings > Security অথবা Settings > Display
> Lock Screen এ দুটি পথ অনুসরন করতে পারেন। নাহলে মোবাইলের ইউজার গাইড
দেখুন। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার চালু ও ব্যাবহার করা আপনার হারিয়ে
যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সনাক্ত করতে প্রথমেই আপনার যেটা করতে হবে তা হল,
আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি সঠিক ভাবে রেজিস্টার করা।
এরপর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারের
মাধ্যমে ফোনটিতে প্রবেশ করতে পারাও নিশ্চিত করতে হবে। অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
ম্যানেজার ছোট্ট একটি টুল যেটা গুগল ২০১৩ সালে মার্কেটে আনে। আর গুগল প্লে
স্টোর ব্যাবহারের মাধ্যমে আধুনিক সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে এটির ব্যাবহার
নিশ্চিত করে। Android-Device-Manager-screenshot-640×397 (1)কিছু কিছু
ডিভাইসে এটি বিল্ট ইন থাকলেও আপনাকে অবশ্যই নিজে দেখে নিশ্চিত হতে হবে যে
আপনার মোবাইলে এটি চালু অবস্থায় আছে। আর অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার
চালু করতে বা চালু আছে কিনা যাচাই করতে আপনার ডিভাইসে Settings >
Security and Screen Lock > Device Administrators অপশনটিতে যান। তবে
ডিভাইসভেদে কিছুটা ভিন্নতা থাকতে পারে। এখানে গিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
ম্যানেজার চালু আছে কিনা নিশ্চিত হোন।
একই সাথে আপনার ফোনের লোকেশন সেটিং টি
কি অবস্থায় আছে তাও দেখুন। আর অবশ্যই নিশ্চিত হোন যে আপনার ফোনের জিপিএস
ব্যাবস্থা সম্পূর্ণ চালু এবং কার্যকর অবস্থায় আছে। যদিও আপনার হারিয়ে যাওয়া
ফোন সনাক্ত করতে জিপিএস জরুরী নয়, তবে এটি আপনার হারিয়ে যাওয়া ফোনের সঠিক
অবস্থান জানাতে আপনাকে সাহায্য করবে। আর হ্যাঁ, জিপিএস চালু করে রাখলে
মোটেই আপনার মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ নষ্ট হবেনা, কারন কার্যকরী না হয়ে
শুধুমাত্র জিপিএস চালু রাখতে অতিরিক্ত চার্জ খরচ হয়না। এরপর, আপনার অ্যাপের
ভিতর “Google Settings” এ যান, এরপর “Android Device Manager” অপশনটি
বাছাই করুন। সেখান থেকে “Remotely locate this device” এবং “Allow remote
lock and factory reset” অপশন দুটি যাচাই করুন। অপশন দুটিতে গেলেই আপনি
বুঝবেন সেখানে কি করতে বলা হয়েছে।
এই লিংকটিতে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
ম্যানেজারের ওয়েবসাইটটি পাবেন (লিংকটি কোনভাবেই ভুলবেন না। প্রয়োজনে
বুকমার্ক করে রাখুন)। এর ড্যাশবোর্ডটি খুব সহেজই ব্যাবহার করা যায়। এখানে
গুগল ম্যাপের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসটির সর্বশেষ অবস্থানটি আপনাকে দেখাবে।
আপনার ফোনটি চালু এবং ইন্টারনেটের সংযোগ থাকা সাপেক্ষে একদম শেষ মুহূর্তের
অবস্থানও এটি আপনাকে দেখাতে সক্ষম। android-device-manager-app-640×400আর
অ্যাপটি দিয়ে আপনি আপনার ফোনে জোরে আওয়াজ করার ব্যাবস্থা করতে পারেন, যদি
আপনি ভাবেন যে আপনার ফোনটি কাছাকাছি কোথাও আছে। আর এই অ্যাপটি দিয়ে দূরে
বসে আপনার ফোনটি লক করা বা যেকোনো তথ্য মুছে ফেলার কাজও করতে পারবেন। তবে
তথ্য মোছার কাজটি করবেন একদম শেষ পর্যায়ে, যখন আপনার ফোনটি ফিরে পাবার আর
কোন আশা থাকবেনা। কারন একবার তথ্য মুছে ফেললে আপনার গুগল অ্যাকাউন্ট এর
সাথে ফোনটির আর কোন সংযোগ থাকবেনা। LOOKOUT ব্যাবহার করা যেকোনো কারণে আপনি
যদি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহারে সক্ষম না হন, তবে lookout
অ্যাপটি ব্যাবহার wpid-Lookoutকরতে পারেন। এটি অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস
ম্যানেজারের খুব চমৎকার বিকল্প। আর এটিতে বেশ সুন্দর কিছু সিকিউরিটি ফিচার
আছে। আর এর ফোন লোকেশন টুল টি অন্য যেকোনোটার থেকে কম যায়না। অ্যালার্ম
দেয়া বা শব্দ করে জানানর সব সাধারন সব ব্যাবস্থাই এতে আছে। এর আরেকটি বড়
বৈশিষ্ট্য হল কেউ যদি পরপর ৫ বার আপনার লক খুলতে গিয়ে ভুল করে, এটি তখন
স্বয়ংক্রিয় ভাবে ওই স্থানের ছবি তুলে আপনাকে মেইল করবে। এ সুবিধাটি
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে নেই। তবে দুরনিয়ন্ত্রনের মাধ্যমে আপনার
ডিভাইসটি লক করতে বা তথ্য মুছে ফেলতে আপনাকে একজন প্রিমিয়াম সাবসক্রাইবার
হতে হবে। আর এই অ্যাপ ব্যাবহারের বাকি সব নিয়ম আগের মতই।
অ্যাপটি এই লিঙ্কে পাওয়া যাবে। আর
LOOKOUT এর ওয়েবসাইটেও যান। এটি ব্যাবহার করেই আপনাকে আপনার ফোনটি খুজতে
হবে। AirDroid ব্যাবহার করা: Airdroid ফোন খুজে পাওয়ার অ্যাপগুলোর মধ্যে
আরেকটি ভালো বিকল্প। এখানেও, দূরনিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে লক করা, স্থান সনাক্ত
করা, তথ্য মোছা, অ্যালার্ম সিস্টেম, ছবি তুলে মেইল করার মত সুবিধাগুলো আছে।
তবে এর বাইরেও আরো কিছু সুবিধা যোগ করা আছে এতে। আপনি যদি আপনার হারিয়ে
যাওয়া ফোনের তথ্য গুলো মোছার আগে নিজের কাছে কপি করে রাখতে চান, সে সুবিধা
পাবেন এখানে। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি সব তথ্য ট্রান্সফার
করতে পারবেন। airdroidbanner-635×310আপনি আপনার মোবাইলের সাম্নের বা পেছনের
যেকোনো ক্যামেরা চালু করে যে এখন মোবাইলটি ব্যাবহার করছে তার ছবি তুলতে
পারবেন। ব্যাবহারকারি তা টেরও পাবেনা। আপনি ফোনের কল লগ গুলো বা মেসেজ গুলো
দেখতে পারবেন। আপনার মোবাইলটি যদি আপনার ল্যাপটপের বা কম্পিউটারের সাথে
একই ল্যান সংযোগে থাকে তবে আপনি অ্যাপটি বিনামুল্যে ব্যাবহার করতে পারবেন।
এর বাইরে হলে আপনাকে মাসে ১.৯৯ ডলার বা বছরে ২০ ডলার ব্যয় করতে হবে অ্যাপটি
ব্যাবহার করতে। তবে বিনামুল্যের অ্যাকাউন্টটি আপনাকে মাসে ১০০ মেগাবাইটের
বেশী ডাটা ট্রান্সফার করতে দিবে না।
আসলে অ্যাপটি সম্পূর্ণ কার্যকরভাবে
ব্যাবহার করতে আপনাকে প্রিমিয়াম সাবস্ক্রাইবারই হতে হবে। কোনটি বেছে
নিবেন?? এতগুলো অপশন দেখে কি গুলিয়ে ফেলছেন যে কোনটা ব্যাবহার করবেন? পারলে
সবগুলোই ব্যাবহার করুন। নাহলে অন্তত দুটি ব্যাবহার করার চেষ্টা করুন।
অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার ব্যাবহার করাটা একটু সহজ কারন এটা আগে থেকেই
আপনার ডিভাইসে ইন্সটল করা থাকে। তাই বলে অন্যগুলো ব্যাবহার করা মোটেই কঠিন
নয়। আর LOOKOUT বা AirDroid এর প্রিমিয়াম ভার্সনের অতিরিক্ত ফিচারগুলো
অবশ্যই আপনাকে কাছে টানবে যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজারে পাওয়া
যায়না। আপনি কোনটি ব্যাবহার করবেন সেটা একান্তই আপনার ইচ্ছা আর প্রয়োজনের
উপর নিরভর করবে। তবে যেকোনো একটি বেছে নিতে হলে আমি AirDroid ই বেছে নিতাম।
তবে হ্যাঁ, আপনার ফোনটি যে হাতিয়ে নিয়েছে সে যদি আপনার ফোনে ফ্যাক্টরি
রিসেট করে ফেলে, তখন কিন্তু উপরের কোন পদ্ধতিই আর কাজে আসবেনা। এতক্ষনতো
গেলো আপনার ফোনটি হারিয়ে গেলে আপনি কি করবেন বা আগে থেকে কি করে রাখতে হবে
তা জানা। কিন্তু ব্যাপারটি যদি আপনার সাথে না হয়ে অন্য কারও সাথে ঘটে। যার
উপরের বিষয়গুলোতে কোন ধারনাই ছিলনা? সেক্ষেত্রে কি করণীয়??
ওই ফোনগুলো ফিরে পেতে বা তথ্য গোপন
সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে নিচে উল্লেখ করা পদ্ধতিতে চেষ্টা করে দেখতে পারেন…
Android Lost: হ্যাঁ নামের সাথে কাজের পুরোপুরিই মিল আছে এই অ্যাপটিতে। এটি
আপনাকে আপনার হারানো অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি ফিরে পেতে সাহায্য করবে। এর
মাধ্যমে আপনি হারিয়ে যাওয়া ফোনে অ্যাপ ইন্সটল করে নিতে পারবেন। তবে
মোবাইলটি চালু থাকতে হবে। এটি দিয়ে আপনি আপনার ফোন সনাক্তের কাজটি করতে
পারবেন। এটি ইন্টারনেট বা এসএমএস এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এটির
মাধ্যমে আপনি যা যা করতে পারবেন তা হোলঃ মোবাইলের মেসেজগুলো পড়তে পারবেন।
ফোনে থাকা তথ্য মিছে ফেলতে পারবেন ফোনটি লক করতে পারবেন জিপিএস এর মাধ্যমে
সনাক্ত করতে পারবেন অ্যালার্ম চালু করতে পারবেন সামনের বা পেছনের ক্যামেরা
দিয়ে ছবি তুলে নিতে পারবেন মাইক্রোফোন থেকে সাউন্ড রেকর্ড করতে পারবেন।
চুরি হওয়া বা হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন খুজে পেতে গুগল এর নিজেস্ব সার্ভিস ।
সফ্ট ওয়ার বা নরম যুদ্ধ কী ও কেন?
নরম যুদ্ধ বাহ্যত একটি অহিংস পন্থা। এখানে
কারো ওপর কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ করা হয় না। এ ক্ষেত্রে কোনো সমাজ ও
রাষ্ট্রকে টার্গেট করে সেখানকার মানুষের চিন্তা-বিশ্বাস ও সংস্কৃতির
ভিত্তিমূলে আঘাত করা হয় এবং কৌশলে সমাজ ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন আনা হয়।
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ, মিডিয়া যুদ্ধ, নরম বিপ্লব, রঙিন বিপ্লব- এসব হচ্ছে
সফ্ট ওয়ার বা নরম যুদ্ধের অংশ।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, শীতল যুদ্ধ শেষ
হওয়ার পর নরম যুদ্ধের সূচনা হয়েছে। সাইবার যুদ্ধও এর বাইরে নয়। নতুন নতুন
প্রযুক্তিকে এ যুদ্ধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। নরম যুদ্ধে
রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাঙ্ক, যুদ্ধজাহাজ ও জঙ্গি বিমানের পরিবর্তে
ব্যবহৃত হয় ইন্টারনেট, মোবাইল, স্যাটেলাইট, পত্র-পত্রিকা, বার্তা সংস্থা,
বইপত্র, রেডিও-টিভি এবং সিনেমা। নরম যুদ্ধকে অনেকেই মনস্তাত্ত্বিক ও শীতল
যুদ্ধের সমার্থক হিসেবে গণ্য করে থাকে। কিন্তু বাস্তবে শীতল যুদ্ধ বা
মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ হচ্ছে নরম যুদ্ধের একটি অংশ। যেমন ধরা যাক- কোনো একটি
পক্ষ ভাইরাসের সাহায্যে হামলা চালিয়ে অপর পক্ষের ইন্টারনেট ব্যবস্থা অচল
করে দিল। এ ধরনের তৎপরতাতো কোনোভাবেই শীতল যুদ্ধ হিসেবে গণ্য হবে না। এ
ধরনের তৎপরতাও এক ধরনের নরম যুদ্ধ।
তবে পাশ্চাত্যের নরম যুদ্ধের একটি
গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হলো মুসলিম সমাজ, সংস্কৃতি ও সভ্যতার মূল
ভিত্তিগুলোতে পরিবর্তন সাধন করা। গণমাধ্যম হচ্ছে নরম যুদ্ধের সবচেয়ে বড়
হাতিয়ার। মুসলমানদের শত্রুরা নরম যুদ্ধের অংশ হিসেবে ইসলামি সংস্কৃতি,
মূল্যবোধ ও পরিচিতিতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে ভার্চুয়াল
মিডিয়াকে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং কৌশলে নিজেদের সংস্কৃতি মুসলমানদের মধ্যে
ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। নরম যুদ্ধের অংশ হিসেবে মুসলমানদের চিন্তা-বিশ্বাসের
ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হয় এবং অমুসলিমদের মাঝে ইসলামভীতি ছড়িয়ে দেয়া হয়। এর
মাধ্যমে তারা তাদের পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী নীতি বিশ্বব্যাপী চাপিয়ে
দেয়ার চেষ্টা করে। এটি একটি অহিংস পন্থা হলেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী এবং
পরোক্ষভাবে সহিংসতা উস্কে দেয়।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে
শত্রুদের চলমান ‘নরম যুদ্ধ’ প্রসঙ্গে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা
খামেনেয়ি বলেছেন, মানুষের বিশ্বাসে পরিবর্তন আনাই হচ্ছে জটিল এ যুদ্ধের
সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য। দেশের জনগণ বিশেষকরে প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা,
শিক্ষাবিদ ও তরুণ সমাজকে এ যুদ্ধের টার্গেটে পরিণত করা হয়। এর মাধ্যমে
মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও পরিবর্তন
আনতে চায় শত্রুরা।
নরম যুদ্ধের শিকার হওয়ার পরও মানুষ তা
উপলব্ধি করতে পারে না। মানুষ ভাবতে থাকে, এটাতো যুক্তিরই পথ। কিন্তু
যুক্তির পথটিই এক সময় নিজের অজান্তে তাকে ভুল পথে নিয়ে যায় এবং
সাম্রাজ্যবাদীদের কর্মীতে পরিণত করে। বর্তমানে শত্রুরা নরম যুদ্ধকে এগিয়ে
নিতে ফেইসবুক, টুইটার ও ভাইবারের মতো সামাজিক যোগাযোগের নানা নেটওয়ার্ক
ব্যবহার করছে।
ব্লগস্পট ব্লগে Title Bar এর মধ্যে যুক্ত করুন ঘড়ি তারিখ সময় সাল !!!
ব্লগস্পট ব্লগে Title Bar এর মধ্যে যুক্ত করুন ঘড়ি তারিখ সময় সাল !!!
<Script Language="JavaScript" Type="Text/JavaScript"> var mytime1=24; function mytime2() { mytime3=mytime1+6; mytime4=mytime1+mytime3; timexx=mytime1+mytime3+mytime4; timexxx=timexx/mytime4*mytime1; twelfth=mytime4*mytime1/12*mytime3; timexxxx=mytime1+mytime3/timexxx-16*timexx; timexxxxx=twelfth*(mytime1-5)/mytime4+timexx; timexxxxxx=timexxxxx/timexxxx+mytime1*mytime4-timexx; mytime5=(timexxxxxx+mytime1/mytime4*timexx+mytime3*timexxx)/twelfth+timexxxxx-timexxxxxx-1; mytime6=Math.floor(mytime5); mytime8=mytime6*mytime3/2+100; mytime7 = window.setTimeout("mytime2()", mytime8); var mytime9 = new Date(); var mytime10= mytime9.toLocaleString(); document.title = mytime10;} function op(){mytime2()} window.onload=op; </script>
'ভুয়া' লিঙ্কডইন অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করার উপায়।
পেশাজীবীদের সবচেয়ে বড় সামাজিক প্লাটফর্ম হিসেবে পরিচিত 'লিঙ্কডইন'। এই প্লাটফর্মের মূল উদ্দেশ্যে পেশাজীবীদের সবাইকে একটি জায়গায় নিয়ে আনা এবং পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। তাই প্রতিটি পেশার মানুষের জন্যই লিঙ্কডইন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তবে এই সাইটও ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মতো 'ভুয়া' অ্যাকাউন্টে সয়লাব হয়ে গেছে। সেজন্য সঠিক বা ভুয়া একাউন্ট চেনার কৌশল জানাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। নিচে লিঙ্কডইন'র ভুয়া একাউন্ট শনাক্তের উপায় নিয়ে আলোচনা করা হলো : ১. এরা সাধারণত 'সেল্ফ ইমপ্লয়েড' নামে পরিচয় তুলে ধরেন। পাশাপাশি চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। ২. এরা সত্যিকার চাকুরে বা ব্যবসায়ীর ছবি তাদের প্রোফাইল ছবিতে দিয়ে রাখেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা আকর্ষণীয় নারী পেশাজীবীর ছবি হয়ে থাকে। ৩. তারা সত্যিকার প্রোফাইল থেকে ছবি ও পোস্ট কপি করে নিজেদের প্রোফাইলে পেস্ট করেন। ৪. তারা 'রিক্রুটার' বা অন্যান্য কিছু কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকেন। চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান হিসাবে তারা বহু মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ পায়। কোনো ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগের পর তারা ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ইমেইল ঠিকানা ও ফোন নম্বর পাওয়ার চেষ্টা করেন। ব্যবহারকারীরা সহজেই এগুলো প্রকাশ করেন। এ নিয়ে তারা কোনো চিন্তাও কর না। তাই কোনো প্রোফাইলের সত্যতা যাচাই করতে হলে একটি সার্চ দিন এই লিঙ্কে : tineye.com offers a browser plugin
সূত্র : ডিএনএ ইন্ডিয়া
উইন্ডোজ ১০-এর 'কর্টানা' আসছে অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে
মাইক্রোসফট 'কর্টানা' এখন শুধু উইন্ডোজ ১০এ আবদ্ধ থাকছে না। জনপ্রিয় এ ফিচারটি এবার যুক্ত হতে যাচ্ছে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপলের আইওএস প্লাটফর্মে। সম্প্রতি মাইক্রোসফট তাদের ব্লগপোস্টে বিষয়টি ঘোষণা করেছে। ব্লগপোস্টটিতে বলা হয়েছে, "আজ আমরা খুবই আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি যে মাইক্রোসফট কর্টানা এখন অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে ব্যবহার করা যাবে। ওই দুই মোবাইল অপারেটিং প্লাটফর্ম থেকে ব্যবহারকারীরা এখন উইন্ডোজ ১০-এর স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন।'' নির্মাতা সংস্থাটি দাবি করেছে, ব্যবহারকারীরা ওই দুই প্ল্যাটফর্মেও পিসির মতো করেই কর্টানা ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো বিষয়ে তথ্য খুঁজে বের করা, ব্যবহারকারীর প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য পিসির কর্টানা নোটবুকে সকল তথ্য যেমন আবহাওয়া, শখ, ট্যুরিজম ইত্যাদি সংরক্ষিত থাকে। সেই ডেটাগুলি এখন থেকে মোবাইলে সিনক্রোনাইজ করা যাবে। ফলে ভ্রমণের সময়ও পাশে থাকবে কথা বলা কর্টানা। যাকে 'হাই কর্টানা' বলেও সম্বোধন করা যাবে। সংস্থাটি আরো দাবি করেছে, কর্টানা এখন উইন্ডোজ ৮.১-এর আপগ্রেড ভার্সনেও যুক্ত হয়েছে মাইক্রোসফটের এই 'পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট'। বালিকা কর্টানা এখনও শুধু ইংরেজিই বুঝতে পারে। তবে তাকে পর্যায়ক্রমে আরো ভাষা শেখানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রস্তুতকারকরা। যাই হোক এখনই প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপল স্টোরে কর্টানাকে খুঁজে লাভ নেই। অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।
মানসিক অশান্তি বাড়াচ্ছে ফেসবুক?
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো মানুষের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করেছে
ব্যাপকভাবে। আর মানুষের এই বদলে যাওয়া জীবনযাপন নিয়ে চলছে নানা রকম গবেষণা।
গত কয়েক বছরে এ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা হয়েছে। এ রকমই কিছু গবেষণার ফলাফল
বিশ্লেষণ করে এবং মনোবিজ্ঞানীদের সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ
করেছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস।
সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একাকিত্ব নিয়ে আমাদের সাধারণ ধারণা হচ্ছে বয়স
হলে মানুষ একা হয়ে যায়। কিন্তু কম বয়সী কিশোর-কিশোরীরাও দিন দিন একা হয়ে
যাচ্ছে ফেসবুকের কারণে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের ঘটনা বেড়েই চলছে।
ফেসবুকে আসক্তির কারণে কিশোর-কিশোরীরা অন্যদের থেকে আলাদা হয়ে একাকী
জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। আর এই একাকিত্ব থেকে বাড়ছে হতাশা। দীর্ঘদিনের
হতাশা থেকে তারা হয়ে পড়ছে আত্মহত্যাপ্রবণ।
দিল্লির ফরটিস হেলথ কেয়ার হাসপাতালের মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড
বিহ্যাভিরিয়াল সায়েন্সেসের পরিচালক ডা. সামির পারিখ জানিয়েছেন, ‘একাকিত্ব
শারীরিক ও মানসিক দুদিক দিয়েই রোগীদের ক্ষতি করে। এরা আস্তে আস্তে সবার
থেকে দূরে সরে যায় এবং তাদের ক্ষেত্রে আত্মহত্যার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।’
একই কথা জানিয়েছেন মুম্বাইয়ের নানাবতি সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের
মনোচিকিৎসক ডা. মাধুরী সিং। তিনি বলেন, ‘সবার কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ায়
অপেক্ষাকৃত তরুণ বয়সীদের মধ্যে হতাশা কাজ করে। এতে আলঝেইমারের ঝুঁকি বেড়ে
যায় এবং আত্মহত্যা বা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকে।’
আর মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ায় একসঙ্গে বসে গল্প
করা বা দেখা করার প্রবণতা কমে যাচ্ছে। ফলে মানুষের মধ্যে আরো বেশি
একাকিত্ব ভর করছে।
নিজের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে নয়াদিল্লির সরোজ সুপার স্পেশালিটি
হসপিটালের কনসালটেন্ট ডা. সন্দীপ গোভিল বলেন, ‘তনয় নামের ১৪ বছর বয়সী এক
ছেলে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। ফেসবুকে সে এতটাই আসক্ত ছিল যে ফোন
বন্ধ করে রাখলে সে অস্থির হয়ে পড়ত। আমরা তার এই ‘স্ক্রিন এডিকশন’-এর
চিকিৎসা শুরু করি। তখন ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এই আসক্তি থেকে সে আরো বড়
কোনো মানসিক রোগে আক্রান্ত হতে পারত।’
ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া-লস
অ্যাঞ্জেলেসের গবেষকরা বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। সেখানে
তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ‘একাকিত্বের ফলে মস্তিষ্কে বিপজ্জনক সিগন্যাল পৌঁছায়।
যার ফলে হোয়াইট ব্লাড সেলের উৎপাদন ব্যাহত করে। তাই একাকিত্ব থেকে শারীরিক
অসুস্থতার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।’
ভারতের ম্যাক্স সুপার স্পেশাল হসপিটালের মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের
পরিচালক ডা. সামির মালহোত্রা বলেন, ‘নিউরোকেমিকেল, হরমোন এবং ইমিউন
সিস্টেমের মাধ্যমে মানুষের মন এবং দেহ একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
মানসিকভাবে চাপে থাকলে সেটার প্রভাব মানুষের শরীরের ওপরও পড়ে। মানসিক
অশান্তি থেকে না খাওয়ার কারণেও মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে।’
আর এসব কারণেই অনলাইনের বদলে সরাসরি যোগাযোগের দিকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
তাঁদের মতে, মুখোমুখি একজন মানুষের সঙ্গে বসে কথা বললে একাকিত্বের কষ্ট
থেকে অনেকাংশেই মুক্তি পাওয়া যায়, মানসিক অশান্তি তৈরির সুযোগ কম থাকে। তখন
মানুষ নতুনভাবে বেঁচে থাকার সাহস পায়। কিন্তু একাকিত্ব ধীরে ধীরে মানুষকে
মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেয়।
আর তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময় কাটানোর চেয়ে বন্ধুবান্ধব এবং
পছন্দের মানুষদের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো, সমস্যার কথা জানানো এবং যোগাযোগ
রাখার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন মনোবিজ্ঞানীরা।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)