সবুজ সংকেত পেলেই ফেসবুক খোলা হবে বলে জানিয়েছেন - পলক

সবুজ সংকেত পেলেই ফেসবুক খোলা হবে বলে জানিয়েছেন - পলক
সবুজ সংকেত পেলেই ফেসবুক খোলা হবে: পলক
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবুজ সংকেত পেলেই ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যম খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার দুপুরে সিলেটের এমসি কলেজে ওয়াইফাই জোনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অপব্যবহার রোধেই সাময়িকভাবে এগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
সাইবার অপরাধ দমনে শিগগিরই আইন হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ রোধে শিগগির আইন প্রণয়ন করা হবে। এ সংক্রান্ত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের খসড়া তৈরির কাজ চলছে। শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উঠবে এ বিষয়টি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ছয় বছর আগে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেখানে ১২ লাখ ছিল, বর্তমানে তা সাড়ে পাঁচ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বর্তমানে বিশ্বে ঝুঁকি বাড়ছে।
সাইবার সিকিউরিটি এখন একটি বিরাট ইস্যু উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধরোধ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ, ইন্টারনেট ব্যবহার করে দেশ ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে আমরা সক্ষমতা তৈরি করছি।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বেসরকারি মুঠোফোন কোম্পানি রবির উদ্যোগে এমসি কলেজে ফ্রি ওয়াইফাই জোনের উদ্বোধন করেন। এমসি কলেজের ৫০০ শিক্ষার্থী একসঙ্গে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার (সিসিপিও) মতিউল ইসলাম নওশাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজের উপাধ্যক্ষ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি বক্তব্য দেন।

ফেসবুককে আগামীকাল চিঠি পাঠাবে সরকার

ফেসবুককে আগামীকাল চিঠি পাঠাবে সরকার

ফেসবুককে আগামীকাল চিঠি পাঠাবে সরকার
বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের সাথে একটি চুক্তি করার জন্য আগামীকাল সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এর মাধ্যমে এদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে সরকার।  
বাংলাদেশের ইংরেজি সংবাদপত্র ‘ডেইলি স্টার’ সেন্টারে সংবাদকর্মীদের কাছে সরকারের এই পরিকল্পনার বিষয়টি উল্লেখ করে তারানা বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেসবুকের সাথে চুক্তি করার জন্য আমি চিঠিটি লিখবো।
সাইবার আক্রমণে বিশেষত ফেসবুকের মাধ্যমে এই অপতৎপরতায় দেশ অরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। চলতি মাসের ১৭ তারিখে বর্তমান সরকার ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করছে বলে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছিলেন তারানা।  
ব্যবহারকারীদের পোস্টের দায়ভার নেটওয়ার্কিং সাইটটি বহন করবে না শর্তে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে এমন একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলো ফেসবুক।
চলতি মাসে
 প্রকাশিত ফেসবুকের গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছরের শুরু থেকে জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসে ব্যবহারকারীদের ব্যাপারে তথ্য জানতে চেয়ে বাংলাদেশ 
সরকারের করা সকল আবেদন ফেসবুক প্রত্যাখান করেছে। 
২০১৩ সাল থেকে অর্ধবার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি ফেসবুক। এই সময়ে ৩৭ জন ব্যবহারকারি সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে ১৬ বার অনুরোধ জানিয়েছিলো সরকার।
বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য কতগুলো কন্টেন্টে প্রবেশ সীমাবদ্ধতা রয়েছে বা সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানায়নি ফেসবুক। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের এই বিশাল মাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৈশ্বিকভাবে ২০ হাজার ৫৬৮ টি পোস্ট এবং স্থানীয় আইন ভঙ্গকারী অন্যান্য কিছু কন্টেন্ট এ বছরের প্রথম অর্ধে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

আজ জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নোয়াখালীর 'ইত্যাদি'

আজ জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নোয়াখালীর 'ইত্যাদি'
ittadi program
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীতে। বরাবরের মতো শেকড় সন্ধানী ইত্যাদির এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয়ছোঁয়া প্রতিবেদন।
দ্বীপজেলা ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুর রশিদের ওপর রয়েছে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এবারের বিদেশি প্রতিবেদনে রয়েছে অবৈধভাবে অমানুষ দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রলোভন ও প্রতারণার শিকার হয়ে যারা পাচার হয়ে যায় তাদের দুর্দশার করুণ চিত্রের ওপর বাংলাদেশ, তুরস্ক ও গ্রিসের সীমান্ত এলাকায় ধারণকৃত একটি তথ্যবহুল অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
ফেরিতে যানবাহন এবং যাত্রী পারাপার প্রায় সবার কাছেই একটি পরিচিত দৃশ্য হলেও এবারের ইত্যাদিতে দেখা যাবে ফেরিতে করে রেল পারাপারের দৃশ্য। কোলাহলমুক্ত, বনভূমি পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দ্বীপ ‘নিঝুম দ্বীপ’-এর ওপর রয়েছে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন। রয়েছে বগুড়ার একটি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম ইকবালের প্রকৃতি ও পাখিপ্রেমের ওপর সচেতনতামূলক প্রতিবেদন।
এবারের ইত্যাদিতে মূল গান রয়েছে একটি। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় নোয়াখালীকে নিয়ে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী। গানটিতে তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় একদল শিল্পী। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন বিনোদ রায়।
নোয়াখালীর অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনটি গানের অংশবিশেষের সমন্বয়ে তৈরি একটি গানের সঙ্গে স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর অংশগ্রহণে রয়েছে জমজমাট নৃত্য। গানগুলোর কথা লিখেছেন বিমলেন্দু মজুমদার ও মোহাম্মদ হাশেম, সুর করেছেন মোহাম্মদ হাশেম ও রমানাথ সেন, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী, নৃত্য পরিচালনা করেছেন বানী সাহা ও সজল মজুমদার। নোয়াখালীকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকের মাঝখান থেকে ৬ জনকে নির্বাচন করা হয় এবারের দর্শক পর্বের জন্য।
নির্বাচিত এ দর্শকদের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিয়েছেন বৃহত্তর নোয়াখালীর গুণী শিল্পী জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা মাহফুজ আহমেদ এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন। নিয়মিত পর্ব হিসেবে এবারও রয়েছে যথারীতি মামা-ভাগ্নে, নানি-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ। রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ।
সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির আগামী পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আজ রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর এবং পুনঃপ্রচার করা হবে আগামী ৬ই ডিসেম্বর, রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর। ‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কস্‌মেটিকস্‌ লিমিটেড।

জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে বা ভুল থাকলে অথবা নতুন করতে গেলে কি করবেন?(তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখুন)

 জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে বা ভুল থাকলে অথবা নতুন করতে গেলে কি করবেন?(তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখুন)
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন? এছাড়াও অনেককেই জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার যারা নতুন পরিচয়পত্র করতে চান তারাও এ বিষয়ে অনেকে অজ্ঞ। কিভাবে করব, কোথায় করব, কি কি লাগবে ইত্যাদি বিষয় জানেন না। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে আশা করি সবাই উপকার পাবেন।
পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী ও অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ এবং ঠিকানা সংশোধন কিংবা বদল করতে হতে পারে। এ জন্য প্রার্থীকে সাদা কাগজে ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’- এর পরিচালকেরকাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্প কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও করা যায়।
ফরম পূরণ করে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর সেখান থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত) দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের সাত দিনের মধ্যে কাউন্টার থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র নিতে হবে।
নাম সংশোধনঃ কেউ পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা, স্বামী কিংবা মাতার নাম সংশোধন করতে চাইলে তাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে-
১। এসএসসি বা সমমান সনদ
২। নাগরিকত্ব সনদ
৩। জন্মনিবন্ধন সনদ
৪। চাকরির প্রমাণপত্র
৫। পাসপোর্ট
৬। নিকাহনামা
৭। পিতা, স্বামী কিংবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির যার যেটি আছে, শুধু সেটি দিলেই চলবে। যেমন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির কম, তাকে এসএসসি বা সমমানের সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ যদি চাকরি না করেন, তাকে চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হবে না। আবার পাসপোর্ট না থাকলে তা দেয়ার দরকার নেই।
নাম পরিবর্তনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর নিচে হলে দেয়ার দরকার নেই), বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট এবং জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন প্রকল্পের কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ হাজির হতে হবে।
স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়াঃ
বিয়ের পর কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম যুক্ত করতে চাইলে তাকে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর বিবাহবিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তনঃ
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা মাতার পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা বা মাতা বা উভয়ে মৃত হলে দিতে হবে ভাই বা বোনের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।
জন্মতারিখ সংশোধনঃ
যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের, তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়। অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শন কিংবা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হতে পারে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের কম, তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের তারিখে পাওয়া সার্ভিস বুক বা এমপিওর কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের কপি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রকল্প পরিচালক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দরকার হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।
ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়, একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
বিবিধ সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না। পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।
হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
যারা এখনো পরিচয়পত্র ওঠাননিঃ
ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব বাসিন্দা (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর থানা ছাড়া) ২০০৭-০৮ সালে পরিচয়পত্রের জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু সেটি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে আর আনেননি, তারা প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে মূল প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে সেই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ডিসিসির বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য উপজেলা বা থানার বাসিন্দা কিংবা দেশের অন্য কোনো জেলার বাসিন্দারা পরিচয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ে না উঠিয়ে থাকলে, তাঁদের প্রাপ্তি রসিদ সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মন্তব্যসহ প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। তাঁদের মূল প্রাপ্তি রসিদ প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র গ্রহণ করতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
অভিবাসীরা যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেনঃ
অভিবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ আছে। এ জন্য তাঁদের অবশ্যই দেশে আসতে হবে। তাঁদের থাকতে হবে পাসপোর্ট। আর তাতে বাংলাদেশে আসার সিল (অ্যারাইভাল সিল) থাকতে হবে। কারও যদি পাসপোর্ট না থাকে, তবে তাঁকে এমন কোনো কাগজ দেখাতে হবে, যেটা প্রমাণ করে যে তিনি বিদেশে ছিলেন। পাসপোর্ট বা সেই প্রমাণপত্র নিয়ে তাঁকে যেতে হবে তাঁর থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া এবং ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে ফরম ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেই দপ্তর থেকে সব কাগজপত্র ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে থাকা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের দপ্তরে। তবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কাগজপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আবেদনকারী সেগুলো হাতে হাতে নিয়ে আসতে পারেন প্রকল্পের কার্যালয়ে। এখানে আবেদনকারীর ছবি তোলা হবে, নেওয়া হবে হাতের ছাপ ও চোখের (আইরিশ) স্ক্যান। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীকে প্রাপ্তি রসিদ দেওয়া হবে। তাতে আবেদনকারীকে ১৫ দিন পর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্পের দপ্তর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হবে। তখন অবশ্যই প্রাপ্তি রসিদ আবেদনকারীর সঙ্গে থাকতে হবে।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলেঃ
বাংলাদেশে কারও বয়স ১৮ বছর হলেই কেবল তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এসব স্টেশনে ভোটার তালিকা তৈরি ও বিতরণের কাজ করা হবে। এগুলোয় কার্যক্রম শুরু হলে যখন যার বয়স ১৮ বছর হবে, তখন তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। এখন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া মাত্রই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সুযোগ থাকছে তাদেরই, যাদের চিকিৎসা, পড়াশোনা বা কাজের জন্য বিদেশে যেতে হবে। এ জাতীয় কোনো প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ দেখাতে হবে।
যোগাযোগঃ
ভোটার তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলার কার্যালয়ে।