আপনার ছবি দিয়ে অনলাইনে ফটো এ্যালবাম তৈরি করুন ফ্রি। সাথে ফ্রি হোস্টিং আজীবন মেয়োদ

আপনার ছবি দিয়ে অনলাইনে ফটো এ্যালবাম তৈরি করুন ফ্রি। সাথে ফ্রি হোস্টিং আজীবন মেয়োদ
আপনার ছবি দিয়ে অনলাইনে ফটো এ্যালবাম তৈরি করুন ফ্রি। সাথে ফ্রি গুগুল হোস্টিং, এক ডিলে ৩ পাখি মারুন তা আবার আজীব মেয়াদ। বেশি কথা না বলে এবার কাজের কথা আসি।   প্রথমে আপনাকে এই লিংক গিয়ে দেখে আসুন আমার তৈরি করা এ্যালবাম । তবে আপনাকে পিসি ব্যবহার কারি হতে হবে যাই হোক আপনি মোবাইল ব্যবাহর কারি হলে কি করবেন । আপনি মোবাইল ব্যবাহর কারি হলে এই লিংক গিয়ে দেখুন  এই সার্ভার ২ টাই গুগুলে মামার ফ্রি হোস্টি। তাই নো টেনশন আজীবন মেয়াদ বলা চলে। যাই হোক এখন কাজের কথা আসি আপনি চাইলে এই রকম ফ্রি ছবি লোড করে নিতে পারেন। অথবা বির্তান্ত জানতে আমাকে ফ্রি যোগাযোগ করতে পারেন এই লিংক

ফেসবুক প্রোফাইল ছবি চুরি ঠেকানোর উপায়

ফেসবুক প্রোফাইল ছবি চুরি ঠেকানোর উপায়



আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া ছবিটির পূর্ণ সংস্করণ চাইলে যে কেউই দেখতে পারে আর তা ডাউনলোড করে যে কোনো বাজে উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। সম্প্রতি প্রোফাইল ছবি সুরক্ষার কৌশল জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যতই আঁটসাঁট তালা দিয়ে ফেসবুক সুরক্ষিত করেন না কেন আপনি আপনার প্রোফাইলের ছবি ও কভার ছবিটি প্রাইভেট বা শুধু নিজের দেখার জন্য নির্ধারণ করে দিতে পারবেন না। ফেসবুকের এই নীতি করার কারণ যাই হোক না কেন ধারণা করা হয়, এর আসল কারণ হচ্ছে আপনার এই ছবি আপনাকে চেনার জন্য বা আপনার আসল অ্যাকাউন্ট কি না তা বুঝতে সাহায্য করে।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে এখন অংশ হয়ে গেছে প্রোফাইল ছবি। কিন্তু প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুরক্ষার কথা ভেবে আপনার প্রোফাইলের ছবিটিকে আপনি ‘আনক্লিকেবল’ করে দিতে পারেন। এতে ছবিতে ক্লিক করে মূল ছবি পাওয়া যাবে না। এতে আপনার বন্ধুও ছবিতে ক্লিক করে পূর্ণ সংস্করণের ছবি দেখতে পাবে না।
খারাপ খবর হচ্ছে, অনেকের অগোচরেই ফেসবুক সম্প্রতি তাদের প্রাইভেসি সেটিংসে কিছু পরিবর্তন এনেছে। এতে মূল প্রোফাইল ছবিটি যে কারও জন্য সর্বদাই ক্লিক করার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বন্ধু ছাড়াও অপরিচিত অনেকেই খুব সহজেই প্রোফাইলের ছবিটি দেখতে পাবে। এর আগে বন্ধু নন এমন অপরিচিতরা কেবল ১৬০ বাই ১৬০ পিক্সেলে প্রোফাইল ছবি দেখার সুযোগ পেত যাতে ছবির মানুষটি পরিচিত কি না তা বোঝা যেত। কিন্তু ওই মাপের ছবি দিয়ে বাজে কোনো উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো সুবিধা ছিল কম। কিন্তু এখন ফেসবুক সম্পূর্ণ ছবি দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। তবে ফেসবুক কিছু প্রাইভেসি বিষয়ক পূর্ব সতর্কতার সুবিধাও রেখেছে। যেমন ছবি যদি ‘অনলি মি’ করে রাখা যায় তবে অপরিচিত কেউ কেবল ওই প্রোফাইলের ছবিটি দেখতে পাবে কিন্তু ছবির সঙ্গে থাকা লাইক, মন্তব্য বা ছবি সংশ্লিষ্ট তথ্য দেখতে পাবে না। আপনি যদি আপনার প্রোফাইল ছবিটি প্রাইভেট করে রাখতে চান তবে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি চুরি ঠেকাতে ছবিটিকে ছোট করে দেওয়া যায়।
ধাপ ১: প্রোফাইল ছবিটি পরিবর্তন করুন
ফেসবুক সম্প্রতি প্রাইভেসি পূর্বসতর্কতার টুল হিসেবে হালনাগাদ একটি ক্রপিং টুল যুক্ত করেছে। আগে সাইটের ক্রপিং টুলটি আপনার প্রোফাইল ছবিটিকে আসলে ক্রপ না করে শুধু ছবিটির ছোট সংস্করণের তৈরি করে দেখাতো। যখন থাম্বনেইল হিসেবে তাতে ক্লিক করা হয় তখন পুরো ছবিটি দেখা যেত। কিন্তু এখন ক্রপিং টুলটি আপনার ছোট ছবিটি ও বড় ছবি দুই ভাবেই ক্রপ করে। আপনি যদি ফেসবুকের পুরোনো টুল দিয়ে ক্রপ করা ছবি প্রোফাইল ছবি হিসেবে ব্যবহার করেন তবে ওই ছবিতে ক্লিক করলে আপনার পুরো ছবিটি দেখতে পাবে যে কেউ। এ ক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে আগের ছবিটি মুছে দিয়ে আবার নতুন করে আপলোড করা।
ধাপ ২: ছোট ছবি ব্যবহার করুন
আপনি যদি আপনার উচ্চ-রেজুলেশনের ছবি পুরো ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চান, আপলোড করার আগে তা ক্রপ ও রিসাইজ করে দিতে পারেন। ফটোশপ বা মাইক্রোসফট পেইন্টের মতো ইমেজিং টুল ব্যবহার করে ছবি বর্গাকারে ক্রপ করুন এবং এটি ১৮০ বাই ১৮০ মাপে রিসাইজ করুন। প্রোফাইল ছবি হিসেবে এই ছোট মাপের ছবি দিলে অনলাইন দুর্বৃত্তরা তা কাজে লাগাতে পারবে না। আপনি যখন এই মাপের ছবি ফেসবুকে আপলোড করবেন তখন তা আপনার প্রোফাইল ছবির চেয়ে কিঞ্চিৎ বড় হবে। কিন্তু এতে ক্লিক করে অনলাইন দুর্বৃত্তদের হতাশ হতে হবে।
ধাপ ৩: ব্যক্তিগত প্রাইভেসি সেটিংস পরিবর্তন
ডিফল্ট হিসেবে আপনার আপলোড করা সব প্রোফাইল ছবি কিন্তু পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ, আপনি যদি বর্তমান প্রোফাইল ছবিটি পরিবর্তন করেন তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না। আপনার পুরোনো প্রোফাইল ছবিগুলো দুর্বৃত্তরা হাতিয়ে নিতে পারে। প্রোফাইলের ছবিগুলো পরিবর্তন করতে প্রতিটি ছবিতে আলাদা আলাদাভাবে গিয়ে এডিটে যেতে হবে। প্রাইভেসি বাটনে ক্লিক করে কে এই ছবি দেখতে পাবে সেটা ‘অনলি মি’ নির্ধারণ করে দিতে হবে।

কিভাবে ফেসবুক একাউন্ট থেকে আড ফ্রেন্ড বাটন সরানো যায় ।

কিভাবে ফেসবুক একাউন্ট থেকে আড ফ্রেন্ড বাটন সরানো যায় ।

বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ?
আজ কে আমি আপনাদের জন্য একটি ভিডিও টিঊটোরিয়াল তৈরি করলাম । কিভাবে ফেসবুক একাউন্ট থেকে আড ফ্রেন্ড বাটন সরানো যায় । আশা করি ভিডিও টা দেখলেই ‍বুঝতে পারবেন ।

মোবাইল হারালেও হারাবেনা আপনার মোবাইল নম্বর দেখুন কিভাবে।

মোবাইল হারালেও হারাবেনা আপনার মোবাইল নম্বর দেখুন কিভাবে।
মোবাইল নম্বর আমাদের কাছে অনেক গুরুত্বর্পূন বিষয়। মোবাইল হারিয়ে গেলে সেই মোবাইল নম্বর আর পাওয়া যায় না, আবার অনেক সময় মোবাইল পরিবর্তন করার ফলে নম্বর পাওয়া যায় না। তাই আজকে এমন একটি টিউটিরিয়াল নিয়ে হারিজ হলাম যা এই সমস্যার সমাধান করবে।
how_i_tracked_down_a_mobile
যা যা প্রয়োজনঃ
  • প্রথমত আমাদের একটি Google-এর gmail (জিমেইল) একাউন্ট প্রয়োজন।
  • দ্বিতীয়ত্ব একটি এন্ডয়েড মোবাইল প্রয়োজন। (অন্য মোবাইল প্রজোয্য নয়)

আজ দেখাবো মোবাইল থেকে কিভাবে gmail-এ নম্বর Transfer করা হয়।
index
  • প্রথমত্ব মেনু বাটান চাপ দিনঃ
1
  • contacts কিল্কি করেন
8
  • contacts মেনুতে কিল্কি করেন
9
  • তারপড় Import/Export এ কিল্কি করেন
12
  • এখন Export SD card এ কিল্কি করেন
Screenshot_15
  • ok কিল্কি করেন এবং SD card থেকে contacts ফাইলটা আপনার কম্পিউটারে রাখুন
Screenshot_16
  • তারপড় আপনার কম্পিউটারে জিমেইল লগইন করুন এবং উপরের বাম পাশে compose এর উপরের জিমেইলে কিল্কি করে contacts-এ যান
Screenshot_1
  • তারপড় More থেকে import যান
Screenshot_2
  • GO TO OLD CONTACTS যান
Screenshot_5
  • আবার More থেকে import যান

Screenshot_6
  • তারপড় Browse এ contacts ফাইল (SD card থেকে কম্পিউটার নেওয়া হয়েছে) দিয়ে import দিন
Screenshot_3
  • এবার দেখুন আপনার মোবাইলের সব নম্বর চলে এসেছে জিমেইলে
Screenshot_4

ফেইসবুকে বিজ্ঞাপনের জন্য পেমেন্ট পদ্ধতি ও অ্যাড অ্যাকাউন্ট flagged

ফেইসবুকে বিজ্ঞাপনের জন্য পেমেন্ট পদ্ধতি ও অ্যাড অ্যাকাউন্ট flagged
‘সমস্যা’ শব্দটির পরিবর্তে ‘সম্ভাবনা’ শব্দটি বেশি ব্যবহার করুন। বিজ্ঞাপন দিয়ে কি করা হয়? ব্যাবসার প্রচার করা হয়। সেই বিজ্ঞাপনটা ফেইসবুকে দিলে কেমন হয়?
আসলে দিন বাড়ার সাথে সাথে ফেইসবুকের সমস্যাও যেন বাড়ছে । ফেইসবুকে পেমেন্ট মেথডটাও আমাদের সাথে প্রতিকুল ব্যাবহার করছে।
এখন আসল কথায় আসি , ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়ার জন্য পেমেন্ট মেথডটার গুরুত্ব অনেক । পেমেন্ট না করলে ফেইসবুক আপনাকে বিজ্ঞাপন দিতে দিবে না আবার পেমেন্ট করার পরও আপনার অ্যাড অ্যাকাউন্টটি flagged হতে পারে। অ্যাড অ্যাকাউন্ট যাতে flagged না হতে পারে এজন্য কিছু রুলস আছে , এই রুলস গুলো ফলো করলে আপনার অ্যাড অ্যাকাউন্ট flagged নাও হতে পারে।

facebook ads

রুলস গুলো হল :
০১। বিলিং নাম থেকে ভিন্ন ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট নামঃ ফেইসবুক পেইজ এর যে এডমিন তার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে । যদি এডমিনের নামের সাথে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নামের মিল না থাকে আপনার অ্যাকাউন্ট ফ্ল্যাগড হতে পারে অর্থাৎ আপনার পেইজকে আপনার অ্যাকাউন্ট ছাড়া কেউ Boost করতে পারবে না । আবার পারবে যদি সে আপনার পেইজের এডমিন হয় ।
০২। কার্ড : ফেইসবুক বিজ্ঞাপনের জন্য Payoneer Master Card হচ্ছে ভালো তাছাড়া আপনি Neteller Plastic Card ও Paypal use করতে পারেন। Virtual Credit Card (VCC) কোন ভাবেই ব্যাবহার করবেন না ।
০৩। নীতি লঙ্ঘন : ফেইসবুকে বিজ্ঞাপনের নির্দেশিকা ও নীতি আছে । যদি আপনার বিজ্ঞাপন নির্দেশিকা ও নীতির বিরুদ্ধে হয় আপনার অ্যাকাউন্টটি flagged হতে পারে । সুতরাং ভেবেচিন্তে পোস্ট কিংবা পেইজ Boost করতে হবে। যেমন ঃ অশ্লীল ওয়েবসাইট , সামাজিক বা ডেটিং সাইট ইত্যাদি দেয়া যাবে না ।
০৪। Affiliation : আপনি যে প্রোডাক্ট এর উপর promotion চালাবেন সেটিতে যেন affiliation প্রোডাক্ট এর কোন লিংক না থাকে । যদি থাকে তাহলে আপনার অ্যাকাউন্ট টি vanned করতে খুব বেশি সময় লাগবে না ।
কারো বিজ্ঞাপন কপি করে আপনার নামে চালাবেন না । মূলকথা আপনার বিজ্ঞাপনের মাঝে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে ।

যদি আপনার ফেইসবুক অ্যাড অ্যাকাউন্ট কোন কারণে flagged হয় তখন আপনি কি করবেন? 
মনে রাখবেন সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আগে সমাধান সৃষ্টি হয় । যদি একবার আপনার অ্যাড অ্যাকাউন্ট  flagged হয় তাহলে আপনি যে কার্ড টা use করেছেন সেটি দ্বিতীয়বার use করতে পারবেন না । সুতরাং অ্যাড অ্যাকাউন্ট  flagged হলে তাড়াহুড়া করবেন না । নিচে বিস্তারিত গাইড লাইন দেয়া হল -

fb_ads_flagged

ধাপ ১।
যখন আপনি error মেসেজটা দেখবেন সেখানে একটি অপশন থাকবে ” Contacting Facebook ” এই অপশন এ ক্লিক করবেন।
ধাপ ২।
তারপর আপনি একটি পেইজ পাবেন ” Disabled Payments And Add Manager Help ” নামে একটি পেইজ পাবেন। ঐ পেইজে ইনফর্মেশন গুলো সঠিক ভাবে পূরণ করবেন।
প্রশ্নঃ
০১। Have you tried to create an add on facebook?
Answer:No
০২। Have you added/tired to add a payment method to your account?
Answer:Yes
০৩। Are you the owner of the payment method linked to your add account?
Answer:Yes
০৪। Is there a difference between your country and the billing country of your payment method?
Answer: পেমেন্ট মেথড যদি একই দেশে থাকে তাহলে উত্তর হবে NO আর যদি ভিন্ন দেশ হয় তাহলে উত্তর হবে YES

fb_ads_account_confirmation


ধাপ ৩।
এই ধাপে আপনাকে প্রশ্ন করা হবে আপনি কি আপনার অ্যাড অ্যাকাউন্ট পুনরায় অ্যাক্টিভ করতে চান তাহলে আপনার Identity ভেরিফাই করতে হবে।
ভেরিফাই করার জন্য আপনাকে ন্যাশনাল আইডি কার্ড লাগবে যদি ন্যাশনাল আইডি কার্ড না থাকে তাহলে পাসপোর্ট অথবা দ্রাইবিং লাইসেন্সের ফটো লাগবে।
তারপর ফটোটা আপলোড করবেন এবং SEND বাটন এ ক্লিক করবেন।
ধাপ ৪।
সাবমিট হলে সাথে সাথে আপনি একটা নোটিফিকেশান পাবেন।
যদি কোন কারণে নোটিফিকেশান না আসে তাহলে এই লিংকে প্রবেশ করুন https://www.facebook.com/support/
তাহলে আপনি নোটিফিকেশান টা পাবেন।
ধাপ ৫।
আমাদের দেশে একটি কথা আছে “সবুরে মেওয়া ফলে ” । আসলে আপনাকে খানিকটা সময় অপেক্ষা করতে হবে । যদি ভাগ্য আপনার সাথে থাকে এক সপ্তাহের মধ্যে আপনার অ্যাড অ্যাকাউন্ট ফিরে পেতে পারেন । যদি মেসেজে আপনাকে হতাশও করে আপনি সুন্দরভাবে রিপ্লাই দেন । যদি সুন্দর কথায় কাজ না হয় তাহলে একটু কঠোর কথায় রিপ্লাই দিন। আশা করি কাজ হয়ে যাবে ।
আপনি আপনার ফেইসবুক অ্যাড অ্যাকাউন্ট ফিরে পান ।
আমি আছি আপানাদের সাথে
●●ফেইসবুকে 

Prevention Is Better Than Cure- প্রতিকারের চেয়ে তা প্রতিরোধ করা উত্তম। (ল্যাপটপ পরিচর্যা)

Prevention Is Better Than Cure- প্রতিকারের চেয়ে তা প্রতিরোধ করা উত্তম। (ল্যাপটপ পরিচর্যা)
বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে  ল্যাপটপের  চাহিদা এবং জনপ্রিয়তাও ব্যাপক বাংলাদেশেও এর চাহিদা ও জনপ্রিয়তা কম নয়। আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি তাদের প্রায় অর্ধেকের বেশি লোকেরই ল্যাপটপ আছে। কিন্তু ল্যাপটপ ব্যাবহারের সময় আমরা অনেকেই এর সঠিক পরিচর্যা করিনা যার কারনে আমাদের এই অতি প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র টি অভিমান করে অকালে মৃত্যুর কলে ধলে পরে। কিন্তু আসার কথা হল এর মৃত্যু হলেও একে আবার জীবিত করা যায়। কিন্তু এর জন্য যেই চিকিৎসা খরচ বহন করতে হয় তা কিন্তু কম নয়। আর ল্যাপটপ ঠিক হলেও সেটা আগের মত থাকেনা। আমরা যদি কিছু নিয়ম মেনে যত্ন করে আমাদের ল্যাপটপ ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ল্যাপটপটির স্থায়িত্ব বাড়বে, নষ্ট কম হলে মেরামতের খরচও কমে যাবে এবং ল্যাপটপের গতি বাড়াতেও সাহায্য করবে। তাই সামান্য অসাবধানতার জন্য আপনার প্রিয় ল্যাপটপের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেই জন্য অবশ্যই আপনার লাপটপের যত্ন নিতে হবে। নিচে কিভাবে আমরা ল্যাপটপ এর যত্ন নিতে পারি তা উল্লেখ করা হল।
images (5)
১. যে কোনো ধরনের তরল পদার্থ ল্যপটপ থেকে দূরে রাখুন ল্যপটপের আশেপাশে যে কোনো ধরনের তরল পদার্থ যেমন পানি, চা, কফি, সফট ড্রিংস ইত্যাদি রাখবেন না। এসব পানিয় দ্রব্য পানের সময় অসাবধানতার কারনে যদি ল্যপটপে পড়ে যায় তবে তা আপনার ল্যাপটপের অনেক ক্ষতি করতে পারে। এসব পানিয় দ্রব্য ল্যপটপের অভ্যন্তরীণ ইলেক্ট্রনিক সার্কিটগুলোকে অকেজো করে দিতে পারে। যা মেরামত করা অনেক খরচ সাপেক্ষ।
images
২.ল্যাপটপ এর উপর ভারী কিছু রাখবেন না। যেহেতু,ল্যাপটপের পুরুত্ব খুব বেশি নয় এবং এর উপর প্রান্তে ডিসপ্লে (মনিটর) অংশ থেকে থাকে তাই ভারী কোন কিছু রাখা বা কোন চাপ পরার কারণে ল্যাপটপটির ডিসপ্লেতে সমস্যা হতে পারে।
laptop_on_lap
৩. ল্যাপটপ ব্যবহারের আগে হাত পরিষ্কার করে নিন। হাতে জমে থাকা ময়লা আপনার ল্যাপটপের কী-প্যাড ও টাচ প্যাডে ময়লার আবরন তৈরি করতে পারে। এছাড়াও হাত ধুয়ে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ঘাম ও ছোট ছোট ধুলাবালির কারনে কীপ্যাডের রং ক্ষয়ও অনেকটা কমানো যাবে।
laptop-screen-protector-16
৪.স্ক্রিন প্রোটেক্টরের সাথে সাথে কিবোর্ড প্রোটেক্টরও ব্যবহার করুন। এতে করে কিবোর্ডের কীগুলোর ফাঁক দিয়ে ধুলো জমবে না। বাজারে ১৫০ টাকার মধ্যে স্ক্রিন প্রোটেক্টর এবং ৭০ থেকে ৮০ টাকার মাঝে কিবোর্ড প্রোটেক্টর পাওয়া যায়। এছাড়াও আপনি মাঝে মাঝে মিনি ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়েও কিবোর্ড পরিষ্কার করতে পারেন। বাজারে ২৫০ টাকার মাঝে মিনি ইউএসবি ভ্যাকয়াম-ক্লিনার পাবেন।
outdoor-notebook-b300-sunlight-comp_650
৫. সূর্যের আলো থেকে দূরে রাখুন। সরাসরি সূর্যের আলো পরে অথবা স্বাভাবিকের চাইতে গরম- এমন কোন স্থানে ল্যাপটপ রাখবেন না বা ব্যবহার করবেন না। তবে মাঝে মাঝে ব্যাটারির চার্জ অর্ধেক রেখে সূর্যের আলোতে ব্যাটারি খুলে কিছুক্ষণ রেখে দিলে তা ব্যাটারির জন্য ভালো।
images (4)
৬. ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন: যে কোনো ডাউনলোডকৃত ফাইলেই ভাইরাস থাকতে পারে যা অনেক ক্ষেত্রে সার্কিটের সমস্যা ও সফটওয়্যার সমস্যার সৃস্টি করতে পারে। এছাড়া অনেক ভাইরাস আপনার ল্যপটপের স্পিড স্লো করে দিতে পারে। তাই অনেকেই স্পিড কমে যাওয়ার ভয়ে ল্যাপটপে অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করেনা। তারা দ্রুত একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।
NotebookThief
৭. ল্যপটপ তোলার সময় এর কেসিং ধরে তুলুন মনিটর ধরে নয়। যদি আপনি ল্যাপটপ তোলার সময় এর মনিটর ধরে তোলেন তাহলে তা স্ক্রিনে দাগ সৃষ্টি করতে পারে এমনকি ডিসপ্লে নষ্টও হয়ে যেতে পারে।
rom
৮. ল্যাপটপের বিল্ট-ইন সিডি অথবা ডিভিডি রমে ভালো সিডি-ডিভিডি ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন। কেননা, এতে ব্যবহৃত সিডি অথবা ডিভিডি রমের লেন্স ডেস্কটপ এর সিডি – ডিভিডি রম থেকে কিছুটা কম শক্তিশালী হয়ে থাকে। ল্যাপটপের সিডি অথবা ডিভিডি রমও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রহণ করে। তাই সরাসরি সিডি অথবা ডিভিডি রম থেকে মিডিয়া ফাইল প্লে না করে হার্ডডিস্কে কপি করে তারপর প্লে করুন।
hibernet
৯. প্রয়োজন না হলে ব্লুটুথ এবং ওয়াইফাই চালু করে রাখবেন না এবং ‘শাটডাউন’ ও ‘স্লিপের’ পরিবর্তে ‘হাইবারনেট’ অপশন ব্যবহার করুন। ‘হাইবারনেট’ হচ্ছে এমন একটি অবস্থায় চলে যাওয়া যা আপনার সে মুহুর্তের কাজগুলো একটি ফাইলে জমা রেখে আপনাকে এমন একটি স্টেটে (অবস্থায়) নিয়ে যাবে যা প্রায় বিদ্যুৎ ব্যবহার না করারই সমান। পরবর্তী সময়ে সিস্টেম রিজিউম করলে আপনাকে আপনার সকল কাজের প্রোগ্রেস ঠিক সেখানেই ফিরিয়ে দেবে যেখানে আপনি হাইবারনেট করেছিলেন।
laptop-cooling-pad
১০. ল্যাপটপ যেহেতু বেশ গরম হয়ে যায় তাই চেষ্টা করুন কুলার ব্যবহার করতে। বাজারে ৩৫০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০-৩০০০ টাকার মাঝে কুলার পাবেন। তবে আমার মতে মাঝামাঝি দামের গুলো কিনলেই আপনার কাজ চলে যাবে।
food_laptop
১১. খাদ্যদ্রব্য ল্যপটপ থেকে দূরে রাখুন: ল্যপটপ ব্যবহারের সময় খাওয়া দাওয়া করবেন না। খাবারের ছোট ছোট টুকরা বা গুড়া ল্যাপটপের কী-বোর্ডের ফাঁক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এছাড়াও এর মাধ্যমে ল্যাপটপের ওপরের অংশে ময়লার আস্তরন জমতে পারে।

১২. ল্যাপটপের মনিটরটির যত্ন নিন: ল্যপটপটি বন্ধ করার সময় খেয়াল রাখুন যেন কী-বোর্ডের ওপরে কোনো ছোট বস্তু না থাকে। যে কোনো ছোট জিনিস হলেও তা আপনার এলসিডি স্ক্রিনটিতে দাগ সৃষ্টি করতে পারে। এলসিডি মনিটরটি বন্ধ করার সময় মাঝখানে ধরে বন্ধ করবেন। বারবার শুধু সাইডে ধরে বন্ধ করার ফলে তা বেঁকে যেতে পারে।
images (8)
১৩. সঠিক মাপের ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করুন। ল্যপটপের ব্যাগ নির্বাচনের সময় খেয়াল রাখুন যেন আপনার ল্যাপটপটি সহজেই ভ্যাগটিতে তোলা ও নামানো যায় অর্থ্যাৎ ব্যাগটিকে পর্যাপ্ত বড় হতে হবে। ল্যাপটপ নিয়ে কোথাও যাওয়ার সময় ল্যাপটপ ব্যাগ ব্যবহার করবেন। এতে ল্যাপটপটি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
7 white laptop in bed via Angel Barnes
১৪. বিছানায় ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না। সবসময় বিছানাতেই ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে বিছানার ময়লাগুলো ল্যাপটপের ফ্যানের মাধ্যমে ভেতরে ঢুকে যেতে পারে। যা ফ্যানটিকে ব্লক করার পাশাপাশি অভ্যন্তরিন যন্ত্রপাতিরও ক্ষতি করতে পারে।
১৫. ল্যাপটপ ব্যাগে অতিরিক্ত কিছু নেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন। ল্যাপটপ ব্যাগে ল্যাপটপের সাথে ভারি কিছু নেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো ল্যাপটপের কেসিং ভেঙ্গে যাওয়ারও কারন হতে পারে।
images (3)
১৬. পায়ের ওপর রেখে বেশি সময় ধরে ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না।  এতে ল্যাপটপের ভেতরে গরম হয়ে যেতে পারে যা আপনার ল্যাপটপের আয়ু কমিয়ে দেবে।
১৭. হঠাৎ পরিবর্তিত কোনো তাপমাত্রায় ল্যাপটপ ব্যবহার করবেন না।  আপনি যদি বাইরে থেকে কোনো শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে প্রবেশ করেন তাহলে তখনই আপনার ল্যাপটপটি চালু করবেন না। আগে নতুন তাপমাত্রার সাথে এর অভ্যন্তরিন তাপমাত্রা পরিবর্তিত হতে দিন।
১৮. যে কোনো প্রকার ম্যাগনেটিক ফিল্ড থেকে ল্যাপটপটি দূরে রাখুন। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, ফ্রিজ ইত্যাদি হতে সৃষ্ট ম্যাগনেটিক ফিল্ড হতে আপনার ল্যাপটপটি দুরে রাখুন। এসব ম্যাগনেটিক ফিল্ডের আকর্ষনে আপনার ল্যাপটপের অভ্যন্তরিন ক্ষতি হতে পারে।
images (1)
১৯. ল্যাপটপ পরিষ্কার রাখুন। নরম কাপড় দ্বারা ল্যাপটপের মনিটর পরিষ্কার করুন। একইভাবে নরম কাপড় বা পুরোনো টুথব্রাশ দিয়ে কী-বোর্ড ও অন্যান্য অংশ পরিষ্কার করতে পারেন।
935025_0_original
২০. ল্যপটপের কোনো অংশ না জেনে খুলতে যাবেন না।  ল্যাপটপের কোনো সমস্যা দেখা গেলে কোনো কিছু না জেনে নিজেই ঠিক করতে যাবেন না। এতে অন্য কোনো অংশও ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই কোনো সমস্যা দেখা দিলে উপযুক্ত ব্যক্তিকে দিয়ে তা ঠিক করিয়ে নিন।

শাটডাউন অপশন এ অন্যের প্রবেশ বন্ধ করুন

শাটডাউন অপশন এ অন্যের প্রবেশ বন্ধ করুন
এ জন্য প্রথমে আপনাকে win+r চেপে টাইপ করতে হবে regedit এবং enter press করুন। registry এডিটর ওপেন হলে HKEY_CURRENT_USERSoftwareMicrosoftWindowsCurrentVersion PoliciesExplorer এ যান। এবার ডানপাশের খালি যায়গায় মাউসের রাইট ক্লিক করে DWORD ভ্যালু খুলুন এবং তাতে নাম দিন NoClose,এবার ভ্যালু ডাটা 0 এর জায়গায় 1 বসান, ব্যাস কাজ শেষ। এবার দেখুনতো মাউস কিংবা কীবোর্ড দিয়ে পিসি বন্ধ করতে পারেন কিনা। পুনরায় শাটডাউন অপশনে প্রবেশ করতে ভ্যালু ডাটা 1 এর জায়গায় 0 বসান এবং পিসি Restart দিন।
যদি মনে করেন মাউস দিয়ে পিসি Shutdown & Restart করবো কিন্তু অন্য কাউকে করতে দেবনা এর জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং Super Fast Shutdown নামক সফটওয়্যারটা ডাউনলোড করে নিন এবং ওটা দিয়ে গোপনে শুধু আপনি পিসি Shutdown & Restart দিন।
আর একটা কথা বলে রাখি , এরপর থেকে HKEY_CURRENT_USERSoftwareMicrosoftWindowsCurrentVersion PoliciesExplorer এ যেয়ে ভ্যালু ডাটা পরিবর্তন করতে হবে না,শুধু registry এডিটর ওপেন করে Ctrl+F চাপুন এবং লিখুন NoClose প্রেস এন্টার, একইভাবে বার বার ভ্যালু ডাটা পরিবর্তন করতে পারবেন।

ফিরিয়ে আনুন জিপ ফাইল/ফোল্ডার তৈরীর অপশন

ফিরিয়ে আনুন জিপ ফাইল/ফোল্ডার তৈরীর অপশন
উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে বিভিন্ন প্রয়োজনে জিপ ফাইল বা ফোল্ডার তৈরী করতে হয়।কিন্তু অনেক সময় ভাইরাসের কারনে Send to মেনু থেকে Compressed (zipped) Folder  অপশনটি হারিয়ে যায়। এরকম হলে Start/run-G গিয়ে rundll32 zipfldr.dll,RegisterSendto   লিখে ইন্টার চাপুন।এখন কম্পিউটার রির্স্টাট দিন।তাহলেই জিপ ফাইল/ফোল্ডার তৈরী করার Compressed (zipped) Folder  অপশনটি ফিরে আসবে।