4G-তে অতিরিক্ত চার্জ ইন্টারনেট সেবার বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে।

4G-তে অতিরিক্ত চার্জ ইন্টারনেট সেবার বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে।
দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ- রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে সরকারের ডাটাকেন্দ্রিক টেকসই নীতি গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করছেন তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ-রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে সরকারের ডাটাকেন্দ্রিক টেকসই নীতি গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করছেন তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, দেশের মানুষ এখন উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবার জন্য অপেক্ষা করছে। এ রকম সময়ে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) প্রযুক্তির উপর কোনো ধরণের অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করলে ইন্টারনেট সেবার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবার প্রকৃত গতি পাচ্ছে না, এ জন্য ব্যবহারকারীদের সঠিক চাহিদা পূরণ করতে সরকারের উচিত সম্ভাব্য সব উপায়েই চেষ্টা করা। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেটের অবস্থা খুবই হতাশাজনক। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডরদের (আইএসপি) সময়মতো আপারেশনাল ডকুমেন্টস (এনওসি, প্রযুক্তিগত অনুমোদন ইত্যাদি) দিয়ে সহযোগিতা করা দরকার। সেখানে এটি না করে উল্টো ফোরজি বা লং টার্ম এভ্যুলেশন (এলটিই) ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করলে দেশের ইন্টারনেট সেবাখাতের অগ্রগতির সম্ভাবনা কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে কোনো রকম অতিরিক্ত চার্জ আরোপ না করেই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যেমন এলটিই বা ফোরজি’র মতো সেবা চালু করতে হবে, যা থেকে ২০০৯ সালে সরকারের শুরু করা ক্যাম্পেইন ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলতা পাবে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির উচিৎ হবে দেশে নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তনে সামনে থেকে কাজ করা, তা না হলে জনগণ এটা থেকে কোনো সুফলই পাবে না।’
২০১৩ সালে ২১০০ ব্যান্ডের বেতার তরঙ্গের উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশ থ্রিজির যুগে প্রবেশ করে। সে সময় সব জিএসএম ভিত্তিক মোবাইল ফোন অপারেটরই তার গ্রাহকদের জন্য এই সেবা কিনেছিল। কিন্তু এই থ্রিজি সেবার নিম্নগতির কারণে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি থেকে গেছে। ইতিমধ্যে ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি বৈশ্বিকভাবে বিলুপ্ত হওয়ার কারণে সরকার বিডব্লিউএ (ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস) আপারেটরদের গ্রাহকদের জন্য এলটিই (লং টার্ম ইভ্যুলেশন) সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
সারা বিশ্বে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার অতিরিক্ত চার্জ প্রদান ছাড়াই ওয়াইম্যাক্স থেকে এলটিই প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করছে। কিন্তু সম্প্রতি সেলুলার ফোন অপারেটর এবং রেগুলেটরের মধ্যে এক সভায় এলটিই প্রযুক্তি ব্যবহারে অতিরিক্ত চার্জ প্রদানের বিষয়টি আসলে সেটি বিডব্লিউএ অপারেটররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সেলুলার ফোন অপারেটরদের প্রাথমিক পর্যায়ে যে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল সেটি যদি বিডব্লিউএ অপারেটররা পায়, তাহলে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার আরো গতিশীল হবে বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)’ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট আখতারুজ্জামান মঞ্জু।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন অপারেটরদের সরবরাহ করা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সঠিক সেবা গ্রাহকরা পাচ্ছে না। উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে এলটিই বা ফোরজির প্রতি নজর দিতে হবে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার। তবে বিটিআরসি’র সম্প্রতি করা এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের নিম্নমানের গতির জন্য অসন্তুষ্ট। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিডব্লিউএ অপারেটরদের অনেক কর্মকর্তাই বলেছেন, বর্তমান চার্জ বৃদ্ধি করা হলে সেই অতিরিক্ত চার্জ মূলত গ্রাহকদেরই প্রদান করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপারেটররা অতিরিক্ত চার্জ প্রদানের জন্য প্রস্তুত নয় এবং বিটিআরসি’র উচিৎ হবে প্রথমে ইন্টানেট সেবার বাজারকে বাড়তে দেওয়া এবং তারপর এ ধরনের আলোচনা করা। বিটিআরসি’র উচিত কোনো একটি অপারেটরকে বিশেষ সুবিধা না দিয়ে সব অপারেটরদের জন্য একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করা। তাদের মতে নতুন চেয়ারম্যানের জন্য এখনও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাংলাদেশের সব অঞ্চলে অপারেটরদের সেবা সরবরাহে সাহায্য করতে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জার।

জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জার।
শ্রেষ্ঠ অ্যাপের স্থানে এখনও রাজত্ব করছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। তবে ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং স্নাপচ্যাট মার্কিন তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যম ভেঞ্চারবিট এক প্রতিবেদনে জানায়, কলেজ শিক্ষার্থীদের স্থানীয় চাকরির সুযোগ তৈরি করে দেওয়া স্টার্টআপ ওয়েআপ সম্প্রতি ১ হাজার কলেজ শিক্ষার্থীকে তাদের প্রিয় অ্যাপ কী তা নিয়ে জরিপ চালায়।
জরিপে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ফেসবুক মেসেঞ্জার, স্নাপচ্যাট, ফ্রি ডিজিটাল ওয়ালেট ভেনমোর প্রতি সবচেয়ে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। ২০১৫ সাল জুড়ে মোবাইল ট্রেন্ড জানার জন্য বিভিন্ন সময়ে ৫ বার জরিপটি করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, সারা বছর জুড়ে ফেসবুক মেসেঞ্জার, স্নাপচ্যাট এবং ভেনমো নিয়ে কম কথাই বলেছে শিক্ষার্থীরা।
তবে জরিপটির ফলাফলটি কিছুটা ভ্রান্তিকর। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর জুড়ে ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে ভয়াবহ পতন দেখা গেছে। গবেষণায় বলা হয়, পেমেন্ট অ্যাপের মধ্যে ভেনমো এখনও জনপ্রিয়।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেপালের থেকে ৫ গুণ বেশি ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি। ওয়েআপের মতে, সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত স্নাপচ্যাটও অ্যাপ পাড়ায় হিট ছিল। ফেসবুক মেসেঞ্জারের জনপ্রিয়তা ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিছুটা বাড়ে। তবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর অব্দি এর জনপ্রিয়তা ফেসবুক থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে কমে যেতে থাকে।

২০১৫ সালে ইন্টারনেটে যেভাবে মিথ্যাচার হয়েছে।

২০১৫ সালে ইন্টারনেটে যেভাবে মিথ্যাচার হয়েছে।
গত কয়েক বছরের মতো ২০১৫ সালেও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা এবং ভুল বিভিন্ন ছবি খুঁজে বের করা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১৫ সালে অনেক ছবি এবং ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে, আদতে যেগুলো ছিল মিথ্যা এবং ভুল।
ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা ছবি তৈরি করা হয়েছে। কখনো কখনো সদ্য পাওয়া খবরের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে, যেখানে খবরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন ছবিও বহুবার শেয়ার করা হয়েছে ইন্টারনেটের সামাজিক মাধ্যমে।
নেপালে ভূমিকম্পের হৃদয়বিদারক ছবি
গত এপ্রিলে নেপাল ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর একটি এটি।
‘নেপালে চার বছরের ভাই তার দুই বছরের বোনকে আগলে রাখছে’ এই ক্যাপশনের সঙ্গে ছবিটি ফেসবুক এবং টুইটারে শেয়ার হয়েছে অসংখ্যবার। তবে আসলে ছবিটি তোলা হয়েছে ২০০৭ সালে ভিয়েতনামের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে।
নেপালে ভূমিকম্পের সময় সুইমিংপুলের ভিডিও
ভূমিকম্পের সময় ইউটিউব এবং ফেসবুকে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলের সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ উল্লেখ করে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়।
কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ভূমিকম্পের তীব্রতা দেখাতে গিয়ে ভিডিওটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আদতে এই ভিডিওটি বেশ পুরনো। সম্ভবত ২০১০ সালে মেক্সিকোতে ভূমিকম্পের সময় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল।
ইন্সটাগ্রামে ইউরোপে যাওয়ার পথ বর্ণনা করছেন একজন অভিবাসী
গত গ্রীষ্মে ইন্সটাগ্রামে একজন অভিবাসীর সেনেগাল থেকে স্পেনে যাত্রার ছবি আসতে শুরু করে।
ডাকারের বাসিন্দা আবু দিউফের এসব সেলফি ইন্টারনেটে আলোড়ন তোলে এবং হাজার-হাজার মানুষ তাকে ফলো করতে শুরু করে।
তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যে, এই ছবিগুলো ছিল উত্তর স্পেনের একটি ফটোগ্রাফি উৎসবের প্রচারণা।
আইএস যোদ্ধার সাজে শরণার্থী?
ইউরোপে শরণার্থী সঙ্কটের সময় এই ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।
‘এই লোককে মনে পড়ে? গত বছর আইসিসের ছবিতে দেখা গিয়েছিল- এখন সে শরণার্থী’- লেখেন একজন।
পরবর্তীতে ছবির এই ব্যক্তিকে লাইথ আল-সালেহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়, যিনি বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত মধ্যপন্থী সিরীয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির একজন কমান্ডার। সিরিয়া থেকে পালিয়ে তিনি ২০১৫ সালের অাগস্টে সিরিয়া থেকে পালিয়ে মেসেডোনিয়ায় পৌঁছান।
ঈগলস অব ডেথ মেটাল কনসার্টের ছবি
নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর এই খবরকে ঘিরে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
গুরুতর কিছু মিথ্যার মধ্যে রয়েছে এই ছবিটি, যেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার আগে বাটাক্লঁ কনসার্ট হলে ঈগলস অব ডেথ মেটালের কনসার্টের ছবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আসলে ছবিটি তোলা হয়েছিল ডাবলিনে ব্যান্ডটির কনসার্টের সময়।
প্যারিসের ফাঁকা রাস্তা
আত্মঘাতী হামলার পর প্যারিসের ফাঁকা রাস্তার ছবি হিসেবে এই ছবিটি শেয়ার করা হয়।
কিন্তু আসলে এই ছবিটি তোলা হয়েছিল সাইলেন্ট ওয়ার্ল্ড নামের একটি ছবি সিরিজের অংশ হিসেবে।
এবং শেষে… এক স্বামীর চরম প্রতিশোধ
বিবাহবিচ্ছেদের পর এক জার্মান ব্যক্তি তার সকল সম্পত্তি দু’ভাগ করে বিক্রি করছেন এমন একটি খবরে অনেকেই বোকা হয়েছেন। গত জুনে ওই ছবি দেখে অনেক গণমাধ্যমও প্রতিবেদন করে।
ইউটিউবে প্রায় ৪৫ লাখ বার দেখা হওয়ার পর জার্মান বার অ্যাসোসিয়েশন স্বীকার করে যে, তারা তাদের প্রচারণার অংশ হিসেবে মিথ্যা এই গল্পটি বানিয়েছিল।

এলিফ্যান্ট রোডে ২০ জানুয়ারি ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার।

এলিফ্যান্ট রোডে ২০ জানুয়ারি ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার।
আগামী ২০-২৫ জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম কম্পিউটার মার্কেট এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘৭ম ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৬’ শীর্ষক তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের মেলা।
কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত এবারের মেলায় সাড়ে ৬ শতাধিক প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ প্রযুক্তির কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবে। বাড়তি আয়োজনের পাশাপাশি থাকবে বিশেষ ছাড় ও উপহারের ছড়াছড়ি।
মেলা উপলক্ষে কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেলার সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, প্রতিবারের চেয়ে এবার আরো বড় পরিসরে মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। সাধারণ প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকছে ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা জোন, সায়েন্স ফেয়ার, রোবটিক্স ফেয়ার এবং রক্তদান কর্মসূচি। বিনোদনের জন্য থাকছে গেইমিং জোন, মুভি জোন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সেলফি প্রতিযোগিতা, শীতকালীন পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন। মেলা চলাকালীন সময়ে প্রবেশ টিকেটের উপর র্যা ফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। অভাবনীয় মূল্যছাড় ও উপহারতো থাকছেই!
তিনি আরো বলেন, ‘এবারের মেলাকে কেন্দ্র করে আইটি ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ মেলায় বাংলাদেশের শীর্ষ আইসিটি পণ্য আমদানীকারক ও ব্যবসায়ীরা বিশ্বের মানসম্পন্ন ব্র্যান্ডের সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করবেন। চলতি বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরু হওয়ায় সারা বিশ্বে বছরের সর্বশেষ টেকনোলজিগুলো মিলবে এখানে।’
মেলায় স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কম্পিউটার, ডিজিটাল ক্যামেরা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, এলসিডি মনিটর, টিভিকার্ড, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ডসহ নানা প্রযুক্তিপণ্য। সম্পূর্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও তৃতীয় থেকে দশম তলা পর্যন্ত ৯৬ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত কম্পিউটার সিটি সেন্টার সাজবে উৎসব আমেজে।

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিয়ে নতুন তথ্য।

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের নিয়ে নতুন তথ্য।
বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারীরা ফেসবুকের ওপরে নির্ভর করে থাকেন। আমেরিকার একটি সমীক্ষা থেকে জানতে পারা গেছে এই তথ্য। যারা যতবেশি পরিমাণে ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন তারা ততবেশি নির্ভর করেন ফেসবুকের ওপরে।
অ্যাক্রন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ১৮ থেকে ৬৮ বছর বয়সী ৩০১ জন ব্যবহারকারীর ওপরে এই সমীক্ষাটি চালান। সেই ব্যবহারকারীদের বেশিরভাগই ফেসবুক ব্যবহার করেন ডেট করার জন্য, খবর জানতে, গেম খেলতে, কোনো নতুন ফটো দেওয়ার পর সেই ব্যপারে বন্ধুদের মতামত জানতে ইত্যাদি। গবেষকদের মত অনুসারে যারা এই সমস্ত কারণের জন্যই ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন তারা ফেসবুকের ওপর খুব বেশি নির্ভর করে থাকেন।
একজন গবেষকের মতে,’যে সমস্ত মানুষের আত্মবিশ্বাস কম থাকে তারাই সব থেকে বেশি ফেসবুক করে থাকেন। তারা নিজেদেরকে অনেক কম বোঝেন তাই কোন ড্রেসে তাকে কেমন লাগল তা বন্ধুদের কথার ওপরে নির্ভর করে বুঝে নেন।’ আসলে আত্মবিশ্বাস কম থাকার জন্য যখন কোনও বন্ধু ভালো কমেন্ট করে তখন তাঁদের বিশ্বাস বেড়ে যায় এবং যখন খারাপ কমেন্ট করেন তখনই তাদের বিশ্বাস কমে যেতে শুরু করে। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে বন্ধুদের কমেন্টের ওপর নির্ভর না করে নিজেকে বিশ্বাস করুন। দেখবেন এতে আখেরে লাভ হবে আপনারই।

বছরের সেরা ১০ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ।

বছরের সেরা ১০ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ।

সার্চ ইঞ্জিন গুগলের এডিটরদের প্যানেল প্রতি বছর সেরা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপগুলোর একটা তালিকা করেন। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। চলতি বছরের সেরা ১‌০টি অ্যাপের তালিকাটি তৈরি করতে বেশ কয়েকটি বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। যেমন অ্যাপটি কতবার ইনস্টল হয়েছে, স্টার রেটিংয়ে কতটা এগিয়ে, বড় ধরনের আপডেট রয়েছে কিনা ইত্যাদি। নিচে গুগলের ২০১৫ সালের সেরা ১০টি অ্যাপের তালিকা নিচে দেয়া হলো : 
Jet : এটা ই কমার্স সাইটের অ্যাপ। আমাজনের চেয়ে কমমূল্যের প্রস্তাব দেয় এরা। দারুণ এই প্রাইসিং অ্যাপটি ক্রেতাদের নানাভাবে ডিসকাউন্ট দিয়ে থাকে। যেকোনো পণ্যে অর্থ সাশ্রয়ের বিষয়টিতে তারা বদ্ধপরিকর।
Microsoft Word : কম্পিউটারের অতি জরুরি এই ফিচারের কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অ্যান্ড্রয়েডে আসাটা বড় ধরনের সুবিধা দিয়েছে ব্যবহারকারীদের। মাইক্রোসটের অ্যাপটির মাধ্যমে ক্লাউডের সংযোগ পাবেন। কোনো চার্জ ছাড়াই এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
Doodle: Schedule Maker : আপনার যাবতীয় কাজ ও পরিকল্পনা প্রস্তুত করে রাখবে ডুডল। ক্যালেন্ডারে যেমন দাগ দিয়ে কাজের খতিয়ান লেখা হয়, তেমনি করা যায় এখানে।
Attack the Light : এটি একটি রোলপ্লে গেম। কার্টুন নেটওয়ার্ক শো 'স্টিভেন ইউনিভার্স'-এর দুনিয়ায় দারুণ রোমাঞ্চকর এক গেম এটি।
Netflix : যেকোন টিভি শো এবং মুভি দেখার দারুণ এক মাধ্যম। সব সময় জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে।
ZEDGE Ringtones and Wallpapers : মোবাইল সাজাতে ওয়ালপেপার, রিংটোন ইত্যাদির জন্যে জেডজি গুগলের চোখে সেরা।
YouTube Gaming : ইউটিউব সম্প্রতি গেমিং দুনিয়ায় হাত বাড়িয়েছে। গেমাররা একে পছন্দের সঙ্গে গ্রহণ করেছেন। অ্যাপটির মাধ্যমে ২৫ হাজার ব্র্যান্ডেড চ্যানেল পাবেন।
Twitch : এ বছরই গেমিংয়ের দিকে এগিয়েছে গুগল। টুইচ লাইভ-স্ট্রিমিং এবং ভিডিও অন ডিমান্ডের ব্যবস্থা রেখেছে।
 Khan Academy : বহুদিন ধরে দারুণ জনপ্রিয় অ্যাপ। এতে আছে ১০ হাজার ভিডিও যার মাধ্যমে গণিত, বিজ্ঞান, অর্থনীতি এবং আরো নানা বিষয়ে শিক্ষা নিতে পারেন।
Action Launcher 3 : লাঞ্চার হিসাবে দারুণ জনপ্রিয় এটি। এটি আসলে হোম স্ক্রিন বদলানোর প্রিয় মাধ্যম।

অগ্ন্যুৎপাতের আগাম খবর জানাবে ড্রোন।

অগ্ন্যুৎপাতের আগাম খবর জানাবে ড্রোন।
বিশ্বজুড়ে এখন সবচেয়ে বেশি গবেষণা চলছে ড্রোনপ্রযুক্তি নিয়ে। সাধারণ কেনাকাটা, পশুচারণ থেকে শুরু করে যুদ্ধ বা গোয়েন্দাগিরি সব ক্ষেত্রেই অত্যাধুনিক ড্রোনপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। এবার এ ধারায় আরেকটি নতুন অধ্যায় যোগ হলো। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের আগাম খবর জানতেও এখন ড্রোন ব্যবহারের কথা চিন্তা করছেন গবেষকরা। এ খবর জানিয়েছে স্কাই নিউজ।
দ্বীপরাষ্ট্র আইসল্যান্ডে রয়েছে অসংখ্য আগ্নেয়গিরি। ২০১০ সালে এক ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত ঘটলে গোটা ইউরোপের আকাশ ছাইয়ে ঢাকা পড়ে। যার ফলে শত শত বিমানের ফ্লাইট স্থগিত করতে হয়েছিল। ক্ষতি হয় প্রায় ১৫০ মিলিয়ন ইউরো।
গবেষকদের আশঙ্কা, দেশটির সর্ববৃহৎ আগ্নেয়গিরি ‘কাটলা’ খুব শিগগির এ রকম একটি অগ্ন্যুৎপাতের সূচনা করবে। তাই তাঁরা ব্যস্তসমস্ত হয়ে পড়েছেন এর পূর্বাভাসের জন্য।
গবেষক ফার্ডিনান্ড উলফের মতে, ‘ড্রোনের মাধ্যমে মানুষের অগম্য জায়গাগুলোর ছবি নিয়ে একটি থ্রি-ডি মডেল দাঁড় করানো হবে। এ ছাড়া সেন্সর আর ইনফ্রা রেড ক্যামেরার মাধ্যমে সম্ভাব্য অগ্ন্যুৎপাতের পূর্বাভাস পাওয়া যাবে। এর আগে এ ধরনের কাজে হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হতো, যা ছিল অত্যন্ত ব্যয়বহুল।’
এর আগে দ্বীপরাষ্ট্রটির আরেকটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখের ভেতর থেকে প্রায় দুই হাজার ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার ভেতরেও ড্রোন ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।
সাধারণত বড় আকারের আগ্নেয়গিরিগুলো ১০০ বছরে অন্তত দুবার অগ্ন্যুৎপাত ঘটিয়ে থাকে। বিজ্ঞানীদের হিসাবে ২০১৮ সালেই আইসল্যান্ডে আরেকটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের আশঙ্কা আছে। এ জন্য আগে থাকতেই সতর্ক থাকতে চাইছেন তাঁরা।

শক্তিশালি ব্যাটারির সেরা ৫ ফোন।

শক্তিশালি ব্যাটারির সেরা ৫ ফোন।
রোজ রোজ স্মার্টফোনে চার্জ  দিতে দিতে অনেকেই ক্লান্ত। স্মার্টফোনের চার্জিং সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করতে পারেন শক্তিশালি ব্যাটারির পাঁচ ফোনের যে কোনো একটি। 
আউকিটেল কে ১০০০০
চীনের একটি হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আউকিটেলের আউকিটেল কে ১০০০০ ফোনে রয়েছে ১০ হাজার মিলি অ্যাম্পায়ার আওয়ার ব্যাটারি। সব অ্যাপস ব্যবহার করার পরেও দুদিন নিশ্চিন্তে চালানো যাবে ফোনটি। ৫.৫ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লে রয়েছে ফোনটিতে। ফোনটির রেজুলেশন ৭২০x ১২৮০ পিক্সেল। এতে রয়েছে  মিডিয়াটেকের ১ গিগাহার্জের কোয়াড কোর প্রসেসর। ২ জিবি র‌্যামের সঙ্গে ফোনটির বিল্ট ইন মেমোরি ১৬ জিবি। অতিরিক্ত মাইক্রো এসডি কার্ড দিয়ে ৩২ জিবি পর্যন্ত মেমোরি বৃদ্ধি করা যাবে। অ্যানড্রয়েডের ললিপপ ভার্সন দিয়ে ফোনটি পরিচালিত হবে। ফোনটির রিয়ারে রয়েছে ৮ মেগা পিক্সেলের অটোফোকাস ক্যামেরা এবং ফ্রন্টে রয়েছে ২ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা। ফোনটিতে অন দ্য গো সুবিধা রয়েছে। অন দ্য গো-এর মাধ্যমে ইউএসবি ডিভাইসগুলো ফোনটির সঙ্গে সংযুক্ত করা যাবে।
আউকিটেল কে৬০০০ এবং কে৬০০০ প্রিমিয়াম
আউকিটেলের মডেল গুলো বলে দিচ্ছে তাদের ফোনসেট গুলোতে কত মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি আছে। এই দু্ই মডেলেই ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি রয়েছে। উভয় সেটেই রয়েছে ৫.৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং ফাস্ট চার্জ করার ব্যবস্থা। কে৬০০০ এর ডিসপ্লেটি শুধুমাত্র স্পোর্টস ডিসপ্লে।
কে৬০০০ প্রিমিয়ামের ডিসপ্লে ২কে অ্যামোলিড ডিসপ্লে। ডুয়েল সিম সমৃদ্ধ কে৬০০০ এ  ১৬ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের সাথে আছে ২ জিবি র‌্যাম। মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে এর মেমোরি ৬৪ জিবি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে। এতে ১৩ মেগা পিক্সেলের রিয়ার এবং ৮ মেগা পিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে। কে৬০০০ প্রিমিয়ামে ৪জিবি র‌্যামের সাথে ৩২ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ রয়েছে। এর স্টোরেজ ১২৮ জিবি পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে। এতে ২১মেগা পিক্সেলের রিয়ার এবং ৮ মেগা পিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
ইন্নোস ওয়াইআই লু ডি৬০০০
ইন্নোস ওয়াইআই লু ডি৬০০০ ফোনটিতে ৫.২ ইঞ্চি ফুল এইচডি ডিসপ্লে, ৩জিবি র‌্যাম এবং ৩২ জিবি বিল্ট ইন মেমোরি রয়েছে। ৪জি এলটিই ক্যাপাসিটি সহ এতে রয়েছে ১৬ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা।
ডগি এস৬০০০
চীনের বিখ্যাত প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিওমির এমআই নোট ডগি এস৬০০০ ফোনে রয়েছে ৬০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি। এতে রয়েছে কোয়াড কোর এমটি৬৭৩৫ মানের প্রসেসর এবং ১ জিবি র‌্যাম। ৫.৫ ইঞ্চির এইচডি ডিসপ্লের সঙ্গে ফোনটিতে রয়েছে ১৬ জিবি বিল্ট ইন মেমোরি। এতে ৮ মেগাপিক্সেলের রিয়ার এবং ৫ মেগা পিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
যদিও শক্তিশালি ব্যাটারির সব মোবাইল ফোন চীনের মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্ষমতার দিক থেকে এগুলো ব্যবহারকারীদের সন্তুষ্ট করেছে। আগামী বছর আরও শক্তিশালি ব্যাটারির ফোন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানরা নিয়ে আসবেন বলে আশা করা যায়।