সালমানের বিরুদ্ধে খুনের মামলা খারিজ।

সালমানের বিরুদ্ধে খুনের মামলা খারিজ।
ভারতের বম্বে হাইকোর্ট বলিউড তারকা সালমান খানের বিরুদ্ধে আনা অনিচ্ছাকৃত খুনের একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে।

গত মে মাসে নিম্ন আদালত তাকে পাঁচ বছর কারাদন্ড দিয়েছিল।
২০০২ সালে মুম্বাইতে এক রাতে ফুটপাতে ঘুমন্ত মানুষের ওপর তার গাড়ি ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঘটনায় একজন নিহত এবং বেশ ক`জন আহত হন।
সরকারি কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেন সালামান নিজেই তখন গাড়িটি চালাচ্ছিলেন।
তবে তিনি এই অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।

মুসলমানদের পাশে দাঁড়ালেন ফেসবুকের জাকারবার্গ ।

মুসলমানদের পাশে দাঁড়ালেন ফেসবুকের জাকারবার্গ ।

ফেসবুকের জনক এবং সর্বেসর্বা মার্ক জাকারবার্গ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের প্রতি তার সংহতি প্রকাশ করেছেন।
সম্প্রতি প্যারিস এবং ক্যালিফোর্নিয়ার সন্ত্রাসী হামলার পর পাশ্চাতের বিভিন্ন দেশে ইসলাম-বিদ্বেষী মনোভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এমনকি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি বলেছেন আমেরিকায় মুসলমানদের প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া উচিত।
কিন্তু মুসলমানদের সমর্থনে নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে বক্তব্য তুলে ধরলেন মি: জাকারবার্গ।
মি: জাকারবার্গ বলেন, প্যারিসে এবং ক্যালিফোর্নিয়ার হামলার পর মুসলমানরা যে আতঙ্কে আছে সেটি তিনি অনুধাবন করতে পারছেন।
সেজন্য তিনি আমেরিকার সমাজ এবং বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের প্রতি তার সমর্থন জানাতে চান।
আমেরিকায় অনেক মুসলমান এখন উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, “মুসলমানরা মনে করছে ,অন্যের অপরাধের জন্য তাদের শাস্তি দেয়া হবে। একজন ইহুদি হিসেবে আমার পিতামাতা শিখিয়েছেন যে, সব সম্প্রদায়ের উপর আক্রমনের বিরুদ্ধে আমাদের দাঁড়াতে হবে।”
ফেসবুকের প্রধাননির্বাহী বলেন, তিনি সবসময় মুসলমানদের আমেরিকায় স্বাগত জানাবেন। মুসলমানদের অধিকার রক্ষার জন্য এবং আমেরিকায় মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংগ্রাম করার প্রতিশ্রুতি দেন ফেসবুক প্রধান।
মি: জাকারবার্গ বলেন তাদের সন্তানের জন্মের পর অনেক আশা তৈরী হয়েছে। কিন্তু কিছু মানুষের বিদ্বেষের কারনে অনকে সময় যারা সন্দেহ তৈরী করে তাদের জয় হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। সেজন্য আশা হারালে চলবে না।
“আমরা যদি একসাথে দাঁড়াই এবং পরস্পরের মধ্যে ভালো বিষয়গুলো দেখি , তাহলে আমরা সবার জন্য ভালো একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে পারবো।”

তিন সপ্তাহ পর খুলল ফেসবুক।

তিন সপ্তাহ পর খুলল ফেসবুক।

তিন সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর খুলে দেওয়া হলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে মাধ্যমটি খুলে দেওয়া হয়।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ফেসবুক খোলার সরকারি নির্দেশনা এসেছে। তাই ফেসবুক খুলে দেওয়া হয়েছে।  তবে ভাইবার, হোয়াটঅ্যাপসসহ অন্য অ্যাপসগুলো পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তারানা হালিম তরুণ প্রজন্মকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে অনেক ধন্যবাদ, দেশের স্বার্থে, নিরাপত্তার স্বার্থে ফেসবুক বন্ধ থাকা শর্তেও তারা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেছেন।
গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপ্লিকেশনগুলো (অ্যাপস)। সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এসব সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
ওই দিন সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায় ঘোষণার পর পরই দেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রায় সোয়া ঘণ্টা বন্ধ থাকে সারা দেশের ইন্টারনেট সংযোগও।
গত ৩ ডিসেম্বর ফেসবুকসহ বন্ধ থাকা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নামেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে মানববন্ধন করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী সব আইন বাতিল করার দাবি জানান।
ফেসবুক খুলে দেওয়ার দাবিতে ৪ ডিসেম্বর রাস্তায় নামেন লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও অনলাইন ব্যবসায়ীরা। তারা রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। পরের দিন একই স্থানে মানববন্ধন করে ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা।
৬ ডিসেম্বর সচিবালয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের দেশের নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু বিষয় তুলে ধরেছি, যেগুলো আমাদের কাছে হুমকিস্বরূপ মনে হয়েছে। আমরা তাদের বিষয়গুলো বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারা বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।’
‘আমি বলব, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এখন আমরা নিজেরা আলোচনায় বসব। তার পরই ফেসবুক খুলে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেব’, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর তারানা হালিম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে এর অপব্যবহার নিয়ে একটি ইমেইল পাঠান। এর পরের দিনই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইমেইল পাঠায়।
ইমেইলে বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী তিন কোটি। এর সুনাম রক্ষায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে বিবেচনা করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার প্রতিবাদে ৭ ডিসেম্বর ‘নির্বাক অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই দিন সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, যথা শিগগিরই ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে। এজন্য সবাইকে ‘একটু ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানান তিনি।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে মুশফিক-আফ্রিদির সিলেট।

টস জিতে ফিল্ডিংয়ে মুশফিক-আফ্রিদির সিলেট।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে সিলেট সুপারস্টার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হবে আফ্রিদি-মুশফিকদের সিলেটকে। শুরুতেই টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিলেটের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
নয় ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে বিপিএলের পরবর্তী রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। অন্যদিকে, নয় ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে সিলেট আছে পঞ্চম স্থানে। এই ম্যাচে হারলেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে মুশফিকদের। ফলে সিলেটের জন্য ম্যাচটা বাঁচা-মরার লড়াই। আর মাশরাফিরা এই ম্যাচ জিতলে চলে যেতে পারে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে।
এর আগের মুখোমুখি লড়াইয়ে কুমিল্লাকে ছয় উইকেটে হারিয়েছিল সিলেট।

আর ১মাস পর আপডেট পাওয়া যাবে না ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের !

আর ১মাস পর আপডেট পাওয়া যাবে না ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের !

এখনও যদি ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আপডেট না করা হয়, তাহলে এখনই সময় আপডেট করার। নাহলে সমস্যায় পড়তে পারেন উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা।  আর মাত্র পাঁচ সপ্তাহ বাকি, এরপর থেকেই ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের আপডেট বন্ধ করে দিচ্ছে মাইক্রোসফট। ফলে নিরাপত্তা সমস্যা থেকেই যাবে ব্রাউজারে।  মাইক্রাসফট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার আপডেটের সুযোগ। হতে পারে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহার করেন না অনেক ইউজারই, কিন্তু ব্যবহার না করলেও ব্রাউজারটি আপডেট না করলে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে কয়েক লক্ষ উইন্ডোজ ইউজার।  কারণ হ্যাকাররা ব্রাউজারটিকে টার্গেট করে নানান ধরণের ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি ৪০ লাখ ব্যবহারকারী ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১০ এবং এর কাছাকাছি সংস্করণ ব্যবহার করেন। তবে উইন্ডোজ ৭ -এর কারণে অধিকাংশ ব্যবহারকারী সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ৯।  ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ১১-ই হবে ব্রাউজারের শেষ সংস্করণ। প্রথম ১৯৯৫ সালে ব্রাউজারটি লঞ্চ করেছিল মাইক্রোসফট। এরপর থেকে নিরাপত্তা ত্রুটির কারণে বলতে গেলে প্রায় সবসময়ই বিতর্কে ছিল এই ব্রাউজারটি।  এমনকি উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরাও ব্রাউজারটি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। পরে উইন্ডোজ ১০-এর সঙ্গে নতুন ব্রাউজার মাইক্রোসফট এজ নিয়ে আসে সংস্থা। এজ ব্রাউজারটিকে নিরাপদ বলেই দাবি করেছে মাইক্রোসফট।  কারণ হিসেবে সংস্থার তরফে জানানো হয়, পক্ষ থেকে জানানো হয়, এটি অ্যাডওয়্যার এবং টুলবার হাইজ্যাকিং ঠেকাতে সক্ষম।