ভারতে ফোন তৈরি করবে মাইক্রোম্যাক্স।

ভারতে ফোন তৈরি করবে মাইক্রোম্যাক্স।
চীন ছেড়ে ভারতে মোবাইল ফোন উৎপাদন শুরু করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ভারতের প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা মাইক্রোম্যাক্স ইনফরমেটিকস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মোবাইল ফোন উৎপাদনের খরচ কমাতে চীন ছেড়ে ভারতে উৎপাদন শুরু করবে মাইক্রোম্যাক্স।
মাইক্রোম্যাক্সের কর্মকর্তা রাহুল শর্মা বলেছেন, বর্তমানে দুই-তৃতীয়াংশ ফোন ভারতে সংযোজন করা হয়। চীনে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভারতে স্থানীয় যন্ত্রাংশের সরবরাহ বাড়ায় ভারতে ফোন তৈরি করবে মাইক্রোম্যাক্স।
রাহুল বলেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে মাইক্রোম্যাক্স পুরোপুরি ভারতে চলে আসবে। এর আগে ভারতে ফোন তৈরিতে এ রকম কোনো সুবিধা ছিল না। কিন্তু এখন তা তৈরি হয়েছে। মানবসম্পদের ক্ষেত্রে চীনের চেয়ে ভারত বেশি সাশ্রয়ী।
২০০৮ সালে যাত্রা শুরু হওয়ার পর সাশ্রয়ী দামের ফোন বাজারে এনে জনপ্রিয় হয় মাইক্রোম্যাক্স। ভারতের বাজারে দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোম্যাক্স। প্রথম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

বোতলে করে ‘হাওয়া’ বিক্রি শুরু

বোতলে করে ‘হাওয়া’ বিক্রি শুরু
এখন বাজারে বিশুদ্ধ পানির নামে ‘বোতলজাত’ নানা ব্র্যান্ডের পানি পাওয়া যায়। পানির পাশাপাশি বাজারে এখন বিক্রি শুরু হয়েছে ‘বোতলজাত বিশুদ্ধ বাতাস’। কানাডার উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ভাইটালিটি এয়ার বোতলজাত বিশুদ্ধ বাতাস বিক্রি শুরু করেছে। তাদের দাবি, এ বাতাস সংগ্রহ করা হয় মানববসতি নেই এমন বনাঞ্চল থেকে আর তা সারা বিশ্বের দূষণপূর্ণ শহরগুলোতে বিক্রি করা হয়। ভাইটালিটি এয়ারের সবচেয়ে বড় বাজার এখন চীনে।
ভাইটালিটি এয়ারের সহ প্রতিষ্ঠাতা মোসেস লাম টেলিগ্রাফকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চীনে ভাইটালিটি এয়ারের বিক্রি বেড়েছে। প্রথমে মাত্র ৫০০ বোতল বাতাস তারা চীনের বাজারে ছেড়েছিল, যা মাত্র চার দিনেই বিক্রি হয়ে যায়। এর পর চার হাজার বোতল বিশুদ্ধ বাতাস চীনে ছাড়া হয়েছে। প্রথমে মজা করে এই প্রতিষ্ঠানটি তৈরির উদ্যোগ নেয়। পরে আন্তর্জাতিক বাজারে বাতাসের চাহিদার কথা ভেবে গুরুত্ব দেওয়া শুরু হয়েছে।
ভাইটালিটি এয়ারের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, কানাডার রকি পর্বতমালার জনমানবহীন অঞ্চল থেকে বিশুদ্ধ বাতাস সংগ্রহ করে তা কমপ্রেস করে ক্যান ভর্তি করা হয় এবং পরে তা সিল করা হয়। অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি বোতলে কোনো ক্লোরোফ্লোরো কার্বন (সিএফসি) থাকে না। একটি বিশেষ মাস্কের সাহায্যে এই বাতাস শ্বাস হিসেবে গ্রহণ করা যায় বলে তা নষ্ট হয় না।
ভাইটালিটি এয়ারের বাজারজাত করা এই বাতাস কোনো স্প্রে নয়, বরং তা অক্সিজেন ভরা বিশুদ্ধ বাতাস।
বায়ুদূষণের ফলে বিপদে থাকা চীন, ভারত, উত্তর আমেরিকার বিভিন্ন শহরে এই বোতলজাত বাতাস ভালো বিক্রি হবে বলে মনে করছে ভাইটালিটি। ইতিমধ্যে চীনের শহরগুলোর দূষণ নিয়ে প্রচার চালিয়ে বিশুদ্ধ বাতাস বিক্রির কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।  দক্ষিণ এশিয়াতে বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকা শহর তালিকার শীর্ষেই রয়েছে। সে হিসেবে এ দেশেও যদি ‘ভিটালিটি এয়ার’ এর তৈরি বোতলজাত বাতাস চলে আসে তাতে চমকে ওঠার কিছু নেই।

আপনার প্রিয় মোবাইল ফোনটি পানিতে পড়লে কি করবেন ?

 আপনার প্রিয় মোবাইল ফোনটি পানিতে পড়লে কি করবেন ?
বর্তমান এই সময়টা হল প্রযুক্তির যুগ। আর প্রযুক্তির এ ছোঁয়ায় মোবাইল ফোন মানুষের নিত্য সঙ্গীতে পরিণত হয়েছে। একটি মুহূর্তও যেন আমাদের চলেই না এটি ছাড়া। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগের মাধ্যমটি কখনও যদি পানিতে পড়ে যায় তাহলে কী করবেন ? আপনার প্রিয় ফোনটি আবার আগের মত সচল হবে তো! এরকম কত রকম প্রশ্ন দেখা দেয় মনে।
পানির মধ্যে ফোন পড়ে গেলে কখনওই তা ফেলে দেবেন না। পানির মধ্যে পড়লে অনেক সময়ই ফোন খারাপ হয় না। কিন্তু অনেকেই পানিতে পড়ে গেছে বলে ফেলে দেন ফোনকে। কোনও দোকানে গিয়ে নয়। নিজের বাড়িতে বসেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঠিক করে ফেলতে পারবেন ফোনকে।
মোবাইল ফোন পানিতে পড়লে যা করতে হবে :
মোবাইলটি পানিতে পড়ে গেলে এটি তুলে প্রথমেই ব্যাটারি খুলে ফেলতে হবে। ফলে সহজেই এটি আর শর্ট সার্কিট হতে পারবে না। একইসঙ্গে ফোনের সিম ও মেমোরি কার্ডও খুলে ফেলুন। কেননা পানিতে ভিজলে এগুলো নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুকাতে দিন :
ভিজে যাওয়া ফোনটির বাইরে থাকা পানি শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
পানি শুকানোর ক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের সাহায্যও নেয়া যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের বাতাসের সঠিক মাত্রা ঠিক করে নিতে হবে। নতুবা হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া হেয়ার ড্রায়ার দিয়েও ভিজে যাওয়া মোবাইল শুকানো যেতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যাটারি খোলা অবস্থায় উঁচু থেকে হেয়ার ড্রায়ার ধরে ফোন শুকানোর চেষ্টা করতে হবে। শুকানোর পর তাৎক্ষণিকভাবে চালু করা যাবে না। মোবাইল সার্ভিস সেন্টারে নিয়ে ফোনের অবস্থা সম্পর্কে জেনে নিয়ে তারপর এটি চালু করতে হবে।
শুকানোর জন্য ফোনের বাইরের কেসিং, কভার খুলে রাখুন। তবে ওভেন, মাইক্রোওভেন, সূর্যের তাপে মোবাইল ফোন না শুকানোই ভালো। এতে ফোন সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
চালের বস্তায় ফোনটি রাখুন :
চালের বস্তার মধ্যে কয়েকদিনের জন্য মোবাইলটি রাখা যেতে পারে। এ সময় ফোন চালু করবেন না। কেননা ভেজা জিনিসের পানি শুষে নিয়ে থাকে চাল। তাই এভাবে ভেজা মোবাইল শুকানো যেতে পারে।

ফেসবুক মুছে দেবে ২০১৫ সালের খারাপ স্মৃতি গুলো।

ফেসবুক মুছে দেবে  ২০১৫ সালের খারাপ স্মৃতি গুলো।
শেষ হতে চলছে ২০১৫ সাল। বছর শেষ হতে বাকি আর ১৩ দিন। প্রত্যেক বছরই ভাল স্মৃতির মাঝেই বেশ কিছু মনখারাপের মুহূর্তও জমা হয় ঝুলিতে। এ বার ইউজারদের সেই খারাপ মুহূর্তগুলোতে কাঁচি চালাতে এগিয়ে এল ফেসবুক।
আগের বছরগুলোর মতো এ বছরও ফেসবুক নিয়ে এসেছে ইয়ার রিভিউ। গত এক বছরে এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইউজাররা যা যা শেয়ার করেছেন, তারই একটা ডাউন দ্য মেমারি লেন জার্নি। তবে এ বছর এই ‘স্মৃতির সরণী’-তে খানিক পরিবর্তন এনেছে সংস্থা। কোন মুহূর্ত আপনি শেয়ার করবেন, কোনটা নয়, এত দিন সেটা ঠিক করত ফেসবুক নিজেই। এ বার সেই বাছাইয়ের দায়িত্ব থাকছে আপনার হাতে।
আরও পড়ুন-জানেন কি ইচ্ছা থাকলেও কেন ছাড়তে পারছেন না ফেসবুক?
কোনও ছাঁকনির ব্যবস্থা না থাকায় গত বছর ফেসবুকের এই অ্যাপ নিয়ে বেশ সমালোচনা হয়েছিল। ইউজার না চাইতেও এমন কিছু মুহূর্ত বছর শেষের স্মৃতি অ্যালবামে জমা পড়ত, যে গুলো অনেকেই ভুলতে চান। ইউজারদের অভিযোগ ছিল, রিভিউ করার নামে খুঁচিয়ে ঘা বাড়াচ্ছে ফেসবুক।
এই বছর তাই আর বিতর্কের পথ মাড়ায়নি এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। কোন স্মৃতি রাখবেন, কোনটা নয় তার দায়িত্ব এখন থেকে আপনারই। ইচ্ছামত এডিট করে নিলেই হল। ব্যস, খারাপ মুহূর্ত হাওয়া।

শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন।

শুরু হয়েছে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন।

নিরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হয়েছিল অনেক আগেই। কিন্তু ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ থেকে সম্পূর্ণভাবে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে শুরু হয়েছে সিম নিবন্ধন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহক তাঁর আঙুলের ছাপ দিয়ে মুঠোফোনের জন্য সিম নিবন্ধন করতে পারবেন। তাই যারা এখনও সিম নিবন্ধন করেননি, আজই করে ফেলুন।