ফেসবুক নিয়ে ‘একটু ধৈর্য’ ধরতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ফেসবুক নিয়ে ‘একটু ধৈর্য’ ধরতে বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
যথা শিগগিরই ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে - আবারও বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। একইসঙ্গে সবাইকে ‘একটু ধৈর্য’ ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে এনটিভি অনলাইনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের ওই বৈঠকটি ছিল অত্যন্ত ফলপ্রসূ। ওই সময় আমরা ঘোষণা করেছিলাম যে, জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক শিগগিরই খুলে দেওয়া হবে।’

গতকাল রোববার নিরাপত্তা ইস্যুতে ফেসবুকের সঙ্গে বৈঠক করে সরকার। এ দিনও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন শিগগিরই ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে।

পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম  বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত পেলেই খুলে দেওয়া হবে।

ফেসবুক খুলে দেওয়ার ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে ফিল্টারিংসহ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা এ প্রস্তাবগুলো ফেসবুক সদর দপ্তরে পাঠাবে। একইভাবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষও কিছু সুপারিশ করেছে। এগুলো নিয়ে আমরাও পর্যালোচনা করে দেখছি। আশা করছি শিগগির একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’

নিরাপত্তার কারণে গত ১৮ নভেম্বর ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ভাইবার বন্ধ করে দেয় সরকার। পরে ২১ নভেম্বর রাতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

ফেসবুক বন্ধের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের নির্বাক অবস্থান।

ফেসবুক বন্ধের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের নির্বাক অবস্থান।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করার প্রতিবাদে ‘নির্বাক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘তুলতে হবে নিষেধাজ্ঞা, খুলতে হবে ফেসবুক’ এই স্লোগানে ওই কর্মসূচি পালন করে।
গণ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ওমর ফারুক সোহানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্তজা আলী বাবু, সহকারী রেজিস্ট্রার আবু মোহাম্মদ মোকাম্মেল, ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষক মো. মনির হোসেন, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক হাসিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি শামীম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন প্রমুখ।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান সংবলিত পোস্টার, ফ্যাস্টুন লক্ষ করা যায়। পরে শিক্ষার্থীরা ফেসবুক খুলে দেওয়ার দাবিতে গণ স্বাক্ষর দেয়।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করার প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত ‘নির্বাক অবস্থান কর্মসূচির’ আহ্বায়ক বিধান মুখার্জি বলেন, ‘ফেসবুক বাংলাদেশে বিকল্প গণমাধ্যম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। স্বাধীন মত প্রকাশের স্বার্থে অবিলম্বে এটি খুলে দেওয়া উচিত।’
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলে, নিরাপত্তার জন্য দু-চারদিন ফেসবুক ও অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা থাকতে পারে। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার মানে কী? তারা দ্রুত ফেসবুকসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানায়।
গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপ্লিকেশনগুলো (অ্যাপস)। সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এসব সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
ওই দিন সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায় ঘোষণার পরপরই দেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রায় সোয়া ঘণ্টা বন্ধ থাকে সারা দেশের ইন্টারনেট সংযোগও।


কবে নাগাদ ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়া হবে- জানতে চাইলে গত ২১ নভেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, ‘সাময়িক নিরাপত্তার জন্য, জনস্বার্থ, জননিরাপত্তার স্বার্থে যত দিন বন্ধ রাখা প্রয়োজন, ঠিক তত দিনই বন্ধ থাকবে। যখন জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটি নিশ্চিত করবে, তখনই আমরা এটা খুলে দেব।’
ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়ে গত ২৩ নভেম্বর ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী জাতীয় সংসদ ভবনে দশম জাতীয় সংসদের অষ্টম অধিবেশনে বক্তব্য দেন
একই দাবিতে গত ২৭ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের সামনে ব্যানার হাতে নিয়ে প্রতিবাদ জানান রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মোখলেছুর রহমান।
এরপর গত ২ ডিসেম্বর তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এআইইউবি) ম্যাস কমিউনিকেশন এবং মিডিয়া আর্টস বিভাগ আয়োজিত মিডিয়া বিতর্ক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘ফেসবুক সাময়িক বন্ধ, অচিরেই তা খুলে দেওয়া হবে।’
পরের দিন ৩ ডিসেম্বর ফেসবুকসহ বন্ধ থাকা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে রাস্তায় নামেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে মানববন্ধন করে জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী সব আইন বাতিল করার দাবি জানান।
ফেসবুক খুলে দেওয়ার দাবিতে ৪ ডিসেম্বর রাস্তায় নামেন লেখক, শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ও অনলাইন ব্যবসায়ীরা। তারা রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করে। এতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়। পরের দিন একই স্থানে মানববন্ধন করে ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা।
৬ ডিসেম্বর সচিবালয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে আমরা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের দেশের নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু বিষয় তুলে ধরেছি, যেগুলো আমাদের কাছে হুমকিস্বরূপ মনে হয়েছে। আমরা তাদের বিষয়গুলো বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। তারা বিষয়গুলো নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।’
‘আমি বলব, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে সেগুলো নিয়ে এখন আমরা নিজেরা আলোচনায় বসব। তার পরই ফেসবুক খুলে দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেব’, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর তারানা হালিম ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে এর অপব্যবহার নিয়ে একটি ইমেইল পাঠান। এর পরের দিনই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বৈঠকে বসার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইমেইল পাঠায়।
ইমেইলে বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবহারকারী তিন কোটি। এর সুনাম রক্ষায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসার ব্যাপারে বিবেচনা করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।

মীরাক্কেলের অ্যাঙ্কারের ভূমিকায় আর থাকবেন না মীর।

মীরাক্কেলের অ্যাঙ্কারের ভূমিকায় আর থাকবেন না মীর।

মীরাক্কেলের এক এবং অন্যতম সঞ্চালক স্বয়ং মীর বলেছেন ‘মীরাক্কেলের সিজন ১০-এর জন্য চুক্তিপত্রে এরই মধ্যে সই করা হয়ে গেছে। তবে আমার ইচ্ছা, সিজন টেন-এর পর আমি আর মীরাক্কেলের অ্যাঙ্কারের ভূমিকায় থাকব না। আমার জায়গায় অন্য কেউ আসুক। আমি নতুন ট্যালেন্টের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চাই। তখন হয়তো আমি মীরাক্কেলের মেন্টর হয়ে যাব বা অন্য ভূমিকায় চলে যাব।  চলতি মাসের আগামী ১০ তারিখ জি বাংলা চ্যানেলে মীরাক্কেল নাইন শুরু হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে এভাবেই নিজের আগামী ভাবনা চিন্তার কথা শেয়ার করলেন মীরাক্কেলের সঞ্চালক স্বয়ং মীর।  তিনি বলেন, টেলিভিশনে মীরাক্কেল ছাড়া আর কোনো শো তিনি করেন না। তবে অসংখ্য অফার আসে। রোজগারের অপশনও প্রচুর থাকে। লোকে আমাকে রিয়েলিটি শো ক্রিয়েট করতেও বলে। বাংলাদেশ থেকে তো প্রচুর টাকার অফার এসেছেও। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বলেছেন, বাংলাদেশের প্রোগ্রাম তো ভারতে টেলিকাস্ট হবে না। তাই আপনি এখানকার চ্যানেলে প্রোগ্রাম করুন। কিন্ত আমি রাজি হইনি। একই ধরনের অনুষ্ঠান আমি আর করব না। এটাই আমার সিদ্ধান্ত।’  মীরাক্কেলের শুরুর সময়টা নিয়ে বলতে গিয়ে মীর জানান, আজ রেডিও এবং টেলিভিশন মিলিয়ে আমার ২১ বছর পার হয়ে গেল। তবে টেলিভিশনে ২০০৬ সালে যখন মীরাক্কেল শুরু হয়, সেই সময় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আমাকে মাত্র তিন মাস সময় দিয়েছিল। বলেছিল, তিন মাসে ঠিকঠাক টিআরপি না উঠলে মীরাক্কেল বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন কনটেসট্যান্ট ফরম্যাট ছিল না। অনেকটা শেখর সুমনের ‘মুভার্স অ্যান্ড শেকারস’-এর ধাঁচে আমাকে সঞ্চালনা করতে হতো। সেই সময় বুঝেছি, অ্যাঙ্কারিংটা কতটা শক্ত। ২৪ ঘণ্টা এই নিয়ে পড়ে থাকতে হয়।  বর্তমানে ভারতজুড়ে অসহিষ্ণুতা শব্দটি নিয়ে বেশ সরগরম। মীরাক্কেলে সেই অসহিষ্ণুতা ইস্যু নিয়ে জোকস টোকস যে মোটেই থাকবে না এমনটা কিন্তু নয়। মীর জানিয়ে দিলেন, আমির খানের বক্তব্য নিয়ে চর্চা চলছে চারিদিকে, এসব দেখে মীরাক্কেলও চুপচাপ থাকবে না। আমাদের চারপাশের নানা সামাজিক ইস্যু নিয়েও মীরাক্কেলের নিজস্ব ঢঙে বক্তব্য আগেও ছিল, এবারও থাকবে। মোদ্দা কথা, লোকে সহ্য করুক আর নাই করুক, মীরাক্কেল খবরে থাকবে।  তবে মীরের মতে, মীরাক্কেল হচ্ছে বাঙালির সবচেয়ে বড় সহিষ্ণুতার পরীক্ষা। জানালেন, আমরা কী কী সহ্য করতে পারি, আর কী কী সহ্য করতে পারি না তাই নিয়ে চর্চ চলবে মীরাক্কেলে। এবার মীরাক্কেলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগীদের পাশাপাশি একঝাঁক বাংলাদেশি প্রতিযোগীও রয়েছেন। বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাকস্বাধীনতা নিয়ে অনেক রকমের প্রশ্ন উঠছে। তবে আপাতত সেসবের মধ্যে ঢুকছি না। রাজনীতি কিংবা সেক্স নিয়ে মজা করতে গিয়ে কাউকে রাগিয়ে দিতে চাই না।  মীরাক্কেল নাকি জি বাংলা চ্যানেলের ‘দুষ্টু হাড়হাভাতে বাচ্চা’! অন্তত এমনটাই মনে করছেন মীর। জানিয়েছেন, জি বাংলায় ‘সারেগামাপা’, ‘দাদাগিরি’ এগুলো হলো ‘সুষ্ঠু বালক ছেলে’। আর মীরাক্কেল নাকি ‘ঢপের শো’! তাই নাকি চ্যানেল এই শো’কে ত্যাজ্যপুত্র করে দিয়েছে! তাই তো মনের দুঃখে এবার গোটা মীরাক্কেল টিম একটা পাড়া ভাড়া করে নিয়েছে বলেও জানান মীর। তিনি জানান, আমি নিজেও ওই পাড়ায় এক বউদির নিচের তলায় ঘর ভাড়া নিয়েছি। জাজেরাও এসে এই পাড়ায় ঘর ভাড়া নিয়েছেন।  আজ দুই বাংলার বাঙালি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় এই কমেডি শো। কিন্তু মীরের গলায় অন্য সুর। জানিয়ে দিয়েছেন, আমি তো শোতে সব সময় বলি, প্লিজ চ্যানেল ঘুরিয়ে দিন। আপনারা সব শিক্ষিত মানুষ, কেন সময় নষ্ট করছেন মীরাক্কেল দেখে? কিন্তু মজার কথা হলো, যতবার নাকি এসব কথা বলে ব্রেক নিয়েছি, ততবারই লোকে চানেল চেঞ্জ না করে আমাকে নাকি এক হাত নিয়েছন! লোকে আমাদের গালাগালি করে, আবার এই শো এয়ার না থাকলে সমানে বলতে থাকে, দাদা মীরাক্কেল কবে আসছে? কেন যে চ্যানেল আমাদের পুষে রেখেছে? বুঝি না! বকাবকি করে, টাকা-পয়সা কমিয়ে দিয়েছে তাও কেউ কাউকে ছাড়তে পারছি না।

ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশের চেয়ে ভালো জায়গা নেই: সাঙ্গাকারা

ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশের চেয়ে ভালো জায়গা নেই: সাঙ্গাকারা

বরিশালকে টপকে টেবিলের দুই নম্বরে রংপুর রাইডার্স।

বরিশালকে টপকে টেবিলের দুই নম্বরে রংপুর রাইডার্স।
বরিশাল বুলসকে টপকে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে এসেছে রংপুর রাইডার্স। কোয়ালিফায়ারে ওঠার লড়াইয়ে ডু অর ডাই ম্যাচে সিলেট সুপারস্টার্স ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে বরিশাল বুলসকে হারানোয় তারতম্য ঘটেছে বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলেও। আর তলানি থেকে একধাপ ওপরে উঠে এসেছে সিলেট।

৭ ম্যাচে ৫ জয় আর ২ হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বিপিএলের শীর্ষস্থান ধরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে সাকিবের রংপুর রাইডার্স।

পাশাপাশি, ঐ ১০ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় টেবিলের তিন নম্বরে রয়েছে বরিশাল বুলস। এক ম্যাচ কম খেলে চতুর্থ স্থানে থাকা ঢাকা ডাইনামাইটস ৩ ম্যাচ জিতে আর ৩ ম্যাচ হেরে সংগ্রহ করেছে ৬ পয়েন্ট।

৭ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট পাওয়া সিলেট সুপারস্টারস আছে টেবিলের ৫ নম্বরে। আর এক ম্যাচ বেশি খেলে দুই জয় পাওয়া চিটাগাং ভাইকিংস এখন টেবিলের তলানির দল।

প্যানাসনিকের নতুন স্মার্টফোন ইলুগা মার্ক।

প্যানাসনিকের নতুন স্মার্টফোন ইলুগা মার্ক।
প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা জাপানি প্রতিষ্ঠান প্যানাসনিকের টিভি ও ক্যামেরা বেশ জনপ্রিয়। এবার তারা স্মার্টফোনের দিকে ঝুঁকেছে। সম্প্রতি তারা বাজারে ছেড়েছে ইলুগা মার্ক নামে একটি নতুন স্মার্টফোন। ভারতের বাজারে হ্যান্ডসেটটির দাম রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৯৯০ রুপি। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
স্মার্টফোনটির ব্যাক প্যানেলে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার। প্যানাসনিকের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সরটি একবারে আটটি আলাদা ফিঙ্গারপ্রিন্ট কনফিগার করতে পারবে।
প্যানাসনিক ইলুগা মার্ক হ্যান্ডসেটে রয়েছে ডুয়েল সিম এবং ফোরজি এলটিই কানেক্টিভিটি। এটি চলবে ৫ দশমিক ১ ললিপপ ভার্সনে। এতে রয়েছে ৭২০ x ১২৮০ পিক্সেলের ৫ দশমিক ৫ ইঞ্চি আইপিএস ডিসপ্লে।
হ্যান্ডসেটটি চলবে ১ দশমিক ৫ গিগাহার্টজ অক্টা-কোর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৬১৫ প্রসেসর, সঙ্গে থাকছে ২ জিবি র‍্যাম। ইন্টারনাল স্টোরেজ ১৬ জিবি মাইক্রোএসডি কার্ডের মাধ্যমে যা বাড়ানো যাবে ৩২ জিবি পর্যন্ত। আছে এলইডি ফ্ল্যাশসহ ১৩ মেগাপিক্সেলের রিয়ার ক্যামেরা এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেলের।
কানেক্টিভিটির জন্য আরো রয়েছে ওয়াই-ফাই ৮০২.১১ বি/জি/এন, জিপিআরএস/এজ. থ্রিজি, জিপিএস/এ-জিপিএস, ওটিজি সাপোর্ট, মাইক্রো ইউএসবি এবং ব্লুটুথ। আরো আছে অ্যামবিয়েন্ট লাইট সেন্সর, অ্যাকসেলেরোমিটার, ই-কম্পাস এবং প্রক্সিমিটি সেন্সর। এতে রয়েছে ২৫০০ এমএএইচ-এর ব্যাটারি।
নতুন এই হ্যান্ডসেট সম্পর্কে প্যানাসনিক ইন্ডিয়ার মোবিলিটি ডিভিশনের বিজনেস হেড পংকজ রানা বলেন, ‘স্মার্টফোনের বাজার যেভাবে বাড়ছে, তাতে ক্লাউড স্টোরেজ এবং ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপত্তার গুরুত্বও বাড়ছে। ব্যবহারকারীরা এখন কন্ট্রোল সেনসিটিভ ডিভাইস বেশি পছন্দ করছেন। এ বছর আমরা মোট ১৬টি নতুন ডিভাইস নিয়ে এসেছি ব্যবহারকারীদের জন্য।’

চটেছেন কামরান আকমল।

চটেছেন কামরান আকমল।
বিতীয় ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে কামরানকে মাঠে নামায় চিটাগাং। কিন্তু ওই ম্যাচে মাত্র ১২ রান করার পর আর নামানো হয়নি তাকে। এ নিয়ে চিটাগাংয়ের ওপর বেশ ক্ষুব্ধ কামরান আকমল। পাকিস্তানের দ্য নেশন পত্রিকার সঙ্গে টেলিফোনে নিজের হতাশা প্রকাশ করেন পাকিস্তানের এ উইকেটরক্ষক, 'দলটির সঙ্গে চুক্তি করার আগে পরিষ্কার করে বলেছিলাম বিপিএলে মাঠে নামার জন্য খেলতে রাজি আমি, সাইড বেঞ্চে বসে থাকার জন্য নয়। এভাবে ম্যাচের পর ম্যাচ সাইড বেঞ্চে বসে থাকাটা আমার জন্য ক্ষতিকর। চুক্তি করার সময় আমার এজেন্ট জানিয়েছিলেন, আমাকে বেশিরভাগ ম্যাচেই মাঠে নামানো হবে। আর দিলশান এই দলে নেই; কিন্তু পরে দিলশান এই দলে যোগ দেন। আমি চিটাগাং ভাইকিংসের ম্যানেজমেন্টকে বলেছি যদি তাদের আমার সার্ভিসের প্রয়োজন না থাকে তাহলে আমাকে যেন ছেড়ে দেওয়া হয়। তাহলে আমি দেশে ফিরে কায়েদ-ই-আজম ট্রফি এবং ঘরোয়া লীগের অন্যান্য টুর্নামেন্টে খেলব; কিন্তু এখনও তারা আমার অনুরোধে কর্ণপাত করেননি।'

স্যামসাংয়ের জরিমানা, মামলায় জিতেছে অ্যাপল।

স্যামসাংয়ের জরিমানা, মামলায় জিতেছে অ্যাপল।
অনেক চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হলো না স্যামসাংয়ের। অ্যাপলকে জরিমানা দিতেই হচ্ছে তাদের। আর টাকার অঙ্কটাও বেশ বড়। গুনে গুনে ৫৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তাদের পকেট থেকে চলে যাচ্ছে। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট দ্য ভার্জ।
প্যাটেন্ট এবং ডিজাইন নিয়ে স্যামসাং ও অ্যাপলের মধ্যে লড়াই নতুন কোনো ঘটনা নয়। অনেক আগে থেকেই মামলা-মোকদ্দমার ব্যাপারগুলো চলে আসছে।
২০১১ সালে অ্যাপলে অনধিকার প্রবেশ এবং আইফোন এর ডিজাইন নকল করে স্মার্টফোন বানানোর অভিযোগে স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল অ্যাপল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রথম দফায় ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের এক আদালত ৯৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করেন স্যামসাংকে। পরে আপিল করলে গত মে মাসে জরিমানার পরিমাণ ৩৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমিয়ে দেওয়া হয়।
গত বৃহস্পতিবার, ক্যালিফোর্নিয়ার সান হোসে ফেডারেল কোর্টে জমা দেওয়া কাগজপত্রে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে তারা অ্যাপলের পুরো পাওনা পরিশোধ করবে।
দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘আদালত অ্যাপলের অন্যায্য দাবির পক্ষেই রায় দিয়েছেন, এটা আমাদের জন্য হতাশাজনক।’
তবে এ ব্যাপারে অ্যাপলের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

আত্মহত্যা ঠেকাতে ফেসবুকের উদ্যোগ।

আত্মহত্যা ঠেকাতে ফেসবুকের উদ্যোগ।
আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ায় নতুন কিছু ফিচার এবং টুলস চালু করেছে ফেসবুক। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে এ রকম কিছু টুলস চালু করে ফেসবুক। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানিয়েছে এ খবর।
অনেক সময় দেখা গেছে, প্রকাশ্যে কারো সামনে নিজের অনুভূতি বর্ণনা করার চেয়ে অনেকেই ফেসবুকে অপরিচিত কারো সাথে বা কোনো ‘কনফেশন’ পেজে বিভিন্ন সময়ে নিজেদের সমস্যা বা অনুভূতির কথা জানিয়ে থাকে।
ফেসবুকের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘মানুষকে নিরাপদে রাখাই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ‘ফোরফ্রন্ট’, ‘নাউ ম্যাটার্স নাউ’, ‘দ্য ন্যাশনাল সুইসাইড প্রিভেনশন লাইফলাইন’সহ বেশকিছু স্থানীয় মানসিক রোগ হাসপাতালের সাথে মিলে কাজ করা শুরু করে ফেসবুক। অস্ট্রেলিয়াতেও একইভাবে কাজ করবে তারা। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ‘বিয়ন্ড ব্লু’, ‘হেডস্পেস’-এর মতো স্থানীয় মানসিক হাসপাতালগুলোর সাথে কাজ করা শুরু করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া ফেসবুকের কোনো ব্যবহারকারীর যদি অন্য কারো পোস্ট দেখে মনে হয় কেউ হতাশায় ভুগছেন বা আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠছেন তাহলে তিনি জরুরি সেবামাধ্যমগুলোতে ফোন দিয়ে তা জানিয়ে রাখতে পারবেন।
ফেসবুকের বিভিন্ন দল আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়াতে ২৪ ঘণ্টা হেল্পলাইনের মাধ্যমে সমন্বয় সাধনের কাজ করে যাচ্ছে। আত্মহত্যাপ্রবণ কারো খবর পেলেই তারা সাথে সাথে কাজ করা শুরু করে। হতাশায় ভুগছে এমন মানুষদের সাথে যোগাযোগ করা বা মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলিয়ে দেওয়ার কাজটি করে তারা।
ফেসবুকের মুখপাত্র বলেন, ‘যারা হতাশাজনক পোস্ট দিচ্ছে আমরা তাদের প্রোফাইলগুলোতে নজরে রাখি। যদি তারা কোনো পরামর্শ করতে চায় তাহলে সেটাও আমরা ব্যবস্থা করে থাকি। দূরের বা পুরোনো কোনো বন্ধুদের সাথে আবার যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া বা কোনো হেল্পলাইনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কাজটি আমরা করে থাকি।’
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের গণমাধ্যম ফেয়ারফ্যাক্স মিডিয়ার প্রধান নির্বাহী ক্রিস টান্টি আত্মহত্যার প্রবণতা রোধে ফেসবুকের বিভিন্ন টুলস সম্পর্কে বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষ একই ধরনের সমস্যায় ভুগছে কিন্তু চরম হতাশার মুহূর্তে তারা কারো সাথে পরামর্শ করতে পারছে না। অস্ট্রেলিয়ার যেকোনো প্রান্তের মানুষ এখন ফেসবুকের মাধ্যমে এ সুযোগ পাবে। এটা খুবই ভালো উদ্যোগ।’