মীরাক্কেলের শো টাইমে নিউজ দেখেন মীর।

মীরাক্কেলের শো টাইমে নিউজ দেখেন মীর।
‘মীরাক্কেলের সিজন ১০-এর জন্য চুক্তিপত্রে এরই মধ্যে সই করা হয়ে গেছে। তবে আমার ইচ্ছা, সিজন টেন-এর পর আমি আর মীরাক্কেলের অ্যাঙ্কারের ভূমিকায় থাকব না। আমার জায়গায় অন্য কেউ আসুক। আমি নতুন ট্যালেন্টের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চাই। তখন হয়তো আমি মীরাক্কেলের মেন্টর হয়ে যাব বা অন্য ভূমিকায় চলে যাব।’ চলতি মাসের আগামী ১০ তারিখ জি বাংলা চ্যানেলে মীরাক্কেল নাইন শুরু হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে এভাবেই নিজের আগামী ভাবনা চিন্তার কথা শেয়ার করলেন মীরাক্কেলের এক এবং অন্যতম সঞ্চালক স্বয়ং মীর।
সংবাদমাধ্যমের কাছে মীর জানিয়েছেন, টেলিভিশনে মীরাক্কেল ছাড়া আর কোনো শো তিনি করেন না। তবে অসংখ্য অফার আসে। রোজগারের অপশনও প্রচুর থাকে। লোকে আমাকে রিয়েলিটি শো ক্রিয়েট করতেও বলে। বাংলাদেশ থেকে তো প্রচুর টাকার অফার এসেছেও। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বলেছেন, বাংলাদেশের প্রোগ্রাম তো ভারতে টেলিকাস্ট হবে না। তাই আপনি এখানকার চ্যানেলে প্রোগ্রাম করুন। কিন্ত আমি রাজি হইনি। একই ধরনের অনুষ্ঠান আমি আর করব না। এটাই আমার সিদ্ধান্ত।’
মীরাক্কেলের শুরুর সময়টা নিয়ে বলতে গিয়ে মীর জানান, আজ রেডিও এবং টেলিভিশন মিলিয়ে আমার ২১ বছর পার হয়ে গেল। তবে টেলিভিশনে ২০০৬ সালে যখন মীরাক্কেল শুরু হয়, সেই সময় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আমাকে মাত্র তিন মাস সময় দিয়েছিল। বলেছিল, তিন মাসে ঠিকঠাক টিআরপি না উঠলে মীরাক্কেল বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন কনটেসট্যান্ট ফরম্যাট ছিল না। অনেকটা শেখর সুমনের ‘মুভার্স অ্যান্ড শেকারস’-এর ধাঁচে আমাকে সঞ্চালনা করতে  হতো। সেই সময় বুঝেছি, অ্যাঙ্কারিংটা কতটা শক্ত। ২৪ ঘণ্টা এই নিয়ে পড়ে থাকতে হয়।
বর্তমানে ভারতজুড়ে অসহিষ্ণুতা শব্দটি নিয়ে বেশ সরগরম। মীরাক্কেলে সেই অসহিষ্ণুতা ইস্যু নিয়ে জোকস টোকস যে মোটেই থাকবে না এমনটা কিন্তু নয়। মীর জানিয়ে দিলেন, আমির খানের বক্তব্য নিয়ে চর্চা চলছে চারিদিকে, এসব দেখে মীরাক্কেলও চুপচাপ থাকবে না। আমাদের চারপাশের নানা সামাজিক ইস্যু নিয়েও মীরাক্কেলের নিজস্ব ঢঙে বক্তব্য আগেও ছিল, এবারও থাকবে। মোদ্দা কথা, লোকে সহ্য করুক আর নাই করুক, মীরাক্কেল খবরে থাকবে। তবে মীরের মতে, মীরাক্কেল হচ্ছে বাঙালির সবচেয়ে বড় সহিষ্ণুতার পরীক্ষা। জানালেন, আমরা কী কী সহ্য করতে পারি, আর কী কী সহ্য করতে পারি না তাই নিয়ে চর্চ চলবে মীরাক্কেলে। এবার মীরাক্কেলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগীদের পাশাপাশি একঝাঁক বাংলাদেশি প্রতিযোগীও রয়েছেন। বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাকস্বাধীনতা নিয়ে অনেক রকমের প্রশ্ন উঠছে। তবে আপাতত সেসবের মধ্যে ঢুকছি না। রাজনীতি কিংবা সেক্স নিয়ে মজা করতে গিয়ে কাউকে রাগিয়ে দিতে চাই না।
মীরাক্কেল নাকি জি বাংলা চ্যানেলের ‘দুষ্টু হাড়হাভাতে বাচ্চা’! অন্তত এমনটাই মনে করছেন মীর। জানিয়েছেন, জি বাংলায় ‘সারেগামাপা’, ‘দাদাগিরি’ এগুলো হলো ‘সুষ্ঠু বালক ছেলে’। আর মীরাক্কেল নাকি ‘ঢপের শো’! তাই নাকি চ্যানেল এই শো’কে ত্যাজ্যপুত্র করে দিয়েছে! তাই তো মনের দুঃখে এবার গোটা মীরাক্কেল টিম একটা পাড়া ভাড়া করে নিয়েছে বলেও জানান মীর। তিনি জানান, আমি নিজেও ওই পাড়ায় এক বউদির নিচের তলায় ঘর ভাড়া নিয়েছি। জাজেরাও এসে এই পাড়ায় ঘর ভাড়া নিয়েছেন।
আজ দুই বাংলার বাঙালি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় এই কমেডি শো। কিন্তু মীরের গলায় অন্য সুর। জানিয়ে দিয়েছেন, আমি তো শোতে সব সময় বলি, প্লিজ চ্যানেল ঘুরিয়ে দিন। আপনারা সব শিক্ষিত মানুষ, কেন সময় নষ্ট করছেন মীরাক্কেল দেখে? কিন্তু মজার কথা হলো, যতবার নাকি এসব কথা বলে ব্রেক নিয়েছি, ততবারই লোকে চানেল চেঞ্জ না করে আমাকে নাকি এক হাত নিয়েছন! লোকে আমাদের গালাগালি করে, আবার এই শো এয়ার না থাকলে সমানে বলতে থাকে, দাদা মীরাক্কেল কবে আসছে? কেন যে চ্যানেল আমাদের পুষে রেখেছে? বুঝি না! বকাবকি করে, টাকা-পয়সা কমিয়ে দিয়েছে তাও কেউ কাউকে ছাড়তে পারছি না।
তবে মজার বিষয় হলো, যার দৌলতে মীরাক্কেলের এত জনপ্রিয়তা, সেই মীর নাকি এই শোর একটা এপিসোডও আজ পর্যন্ত টিভিতে দেখেননি। মীর নিজেই জানিয়ে দিলেন, এটা অবশ্য কোনো কুসংস্কার নয়। ময়রা যেমন নিজের বানানো মিষ্টি খায় না, আমিও তেমনি নিজের শো দেখি না। আসলে দেখলেই তো হাজারটা খুঁত বের করে ফেলব। তাই মীরাক্কেলের শো টাইমে আমি নিউজ চ্যানেল দেখি।

মোবাইল ফোন নিয়ে অবাক করা ১০টি তথ্য।

 মোবাইল ফোন নিয়ে অবাক করা ১০টি তথ্য।
আমার, আপনার সারাদিনটা তো কাটছে মোবাইল ফোন নিয়ে। ভাবতে পারেন একটা দিন মোবাইল ছাড়া! সেই অপরিহার্য মোবাইলের জানা-অজানা দশ অবাক করা তথ্য-  ১০) গোসলের সময়ও ফোন- জাপানে ৯০ শতাংশ মোবাইল ফোনই ওয়াটারপ্রুফ। কারণ সেখানকার বেশিরভাগ মানুষই গোসলের সময়ও ফোন ব্যবহার করে  ৯) সেই শুরু- ১৯৮৩ সালে আমেরিকায় প্রথমবার ফোন বিক্রি হয়। সেই সেটের দাম ছিল ৪ হাজার ডলার বা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা।  ৮) এসএমএস এসেছে- বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসএমএস পাঠানো হয় ফিলিপিন্স থেকে। সারাদিন প্রায় ১ লক্ষ কোটি এসএমএস আদানপ্রদান হয় ফিলিপিন্সে  ৭) মূত্র দিয়ে চার্জ- বিজ্ঞানীরা এমন এক ধরনের চার্জিং টেকনলজি আবিষ্কার করেছেন যা মানুষের মূত্র দ্বারা চার্জ হয়ে যাবে।  ৬) দূষিত ফোন- বাড়ির টয়লেটের থেকে মোবাইল ফোনে ১৮ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে।  ৫) নোকিয়া- Nokia 1100- সেটটি গোটা বিশ্বে ২৫ কোটি বিক্রি হয়েছিল। এটাই দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি বিক্রিত গেজেট।  ৪) অ্যাপেল হট কেক- ২০১২ সালে অ্যাপেল প্রতিদিন গড়ে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার আই ফোন বিক্রি করেছিল। মাইক্রোসফটের সব প্রোডাক্টের থেকেও বেশি বিক্র হয় শুধু অ্যাপেলের আই ফোন।  ৩) সাইডএফেক্ট- অনেক গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত মোবাইল ফোনের র‌্যাডিয়েশন থেকে অনিদ্রা রোগ, মাথাব্যথা এবং মনোসংযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।  ২) চন্দ্রযান- আপনার মোবাইল ফোনে যত কম্পিউটিং পাওয়ার রয়েছে তার চেয়ে কম কম্পিউটিং পাওয়ার ছিল ১৯৬৯ সালে চাঁদে নামা চন্দ্রযান অ্যাপেলো ১১-এ।  ১) যা পড়ে গেল- গোটা বিশ্বে মানুষের কাছে যত বেশি মোবাইল আছে তার চেয়ে বেশি আছে টয়লেট বা শৌচাগারে। হিসেব বলছে শুধু ইংল্যান্ডেই প্রতি বছর ভুল করে ১ লক্ষ ফোন টয়লেটের কমোডে পড়ে যায়।

রোববার বৈঠকের পরই খুলে যাচ্ছে ফেসবুক!

রোববার বৈঠকের পরই খুলে যাচ্ছে ফেসবুক!
নিরপত্তা ইস্যুতে আগামী ৬ ডিসেম্বর রোববার সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসছে সরকার। এ বৈঠকের আগে ফেসবুক খুলে দেয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। তবে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে ফেসবুকের সাথে বৈঠকের পরই খুলে দেয়া হবে ফেসবুক। রোববার সকাল সাড়ে নয়টার সময় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ফেসবুকের পক্ষে ফেসবুকের দক্ষিণ এশিয়ার পাবলিক পলিসি ম্যানেজার দীপালি লিবারেন ও আইন বিশেষজ্ঞ বিক্রম লাংয়ে অংশগ্রহণের করার কথা রয়েছে। অন্যদিকে সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য ও ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) তারিক আহমেদ সিদ্দিকিসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। বৈঠকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তিনি দেশের বাহিরে থাকায় বিটিআরসির পক্ষে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে। এদিকে ফেসবুক খুলে দেয়ার ব্যাপারে এখনও নির্দিষ্টকরে কিছুই বলছে না ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়। মন্ত্রনালয়ের দায়িত্বে থাকা প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমকে-‘ফেসবুক কবে খুলে দেয়া হবে?-এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি মনে করে আর নিরাপত্তার ঝুঁকি নেই, আমাকে খুলে দেয়ার নির্দেশ দিবে। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় আমাদেরকে যখন নির্দেশনা দিবে তখনই ফেসবুক খুলে দেয়া হবে। এক্ষেত্রে আমরা শুধু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কাজ করছি।’ অন্যদিকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বৃহস্পতিবার একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হয়েছে। আশা করছি, খুব অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা ফেসবুক খুলে দিতে পারব।’ পলক বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট দিন বা সময় বলতে পারছি না। তবে অল্প সময়ের মধ্যে ফেসবুক আনব্লক করে দিব বলে জানাচ্ছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত পেলেই তা খুলে দেয়া হবে।’ এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের একটি সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, রোববারের বৈঠকের আগে ফেসবুক খুলে দেয়ার সম্ভাবনা নেই। বৈঠকের পর ফেসবুক খুলে দেয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলেও বলছে সূত্রটি।
সূত্রটি বলছে, ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে বিটিআরসি একাধিক চিঠি দিলেও ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কোন সাড়া বা তথ্য দেয়নি। এবার যখন সাময়িকভাবে ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছে তখন ফেসবুক নড়েচড়ে বসেছে। আপত্তিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়ার পর এবার তারা সাড়া দিয়েছে। একারণে একটি চুক্তি শেষেই সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটি খুলে দেয়া হবে। অন্যদিকে নির্দিষ্ট করে জানাতে না পারলেও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের একটি সুত্রও বলছে, ফেসবুক কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকের আগে ফেসবুক খুলে দেয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। সূত্রটি বলছে, বৈঠকের পরই খুলে দেয়া হতে পারে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটি। এদিকে ফেসবুক বন্ধ থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছে ফেসবুক ব্যবহার করে ব্যবসা করেন এমন অনেকে। অনেকের ব্যবসা মোটামুটি বসে গেছে বলে দাবি করেছেন তারা। ফেসবুক চালু না থাকার কারণে অনেক নিউজ পোর্টালের পেজে ভিজিটরের সংখ্যা অনেক কমে গেছে। এতেকরে ক্ষতির মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এ বিষয়ে একটি অনুষ্ঠানে তারানা হালিমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা সাময়িক। আমরা ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের তুলনায় একভাগও ত্যাগ স্বীকার করছি না। বেলজিয়াম, ফ্রান্সের দিকে তাকিয়ে দেখুন। তারা জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বেশি ত্যাগ স্বীকার করছে। যার তিনভাগের একভাগও আমরা করছি না।’ অন্যদিকে বন্ধ থাকলেও বিকল্প পদ্ধতিতে ফেসবুক ব্যবহার করছেন অনেকেই। বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে সরকারের প্রতিমন্ত্রী, গোয়েন্দা সংস্থা, সিটি করপোরেশনের মেয়রও রয়েছেন। সরাকারীভাবে ফেসবুক বন্ধ থাকলেও সরকারের উচ্ছ পর্যায়ের কর্মকর্তারা ফেসবুক ব্যবহার করার কারণে নতুনভাবে সমালচিত হচ্ছে সরকার। সরকারীভাবে ফেসবুক বন্ধ থাকলেও বিকল্প পন্থায় মন্ত্রিসভার সদস্য এবং গোয়েন্দা সংস্থা ব্যবহার করছে কেন?-এমন প্রশ্ন রাখলে ডাক ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘আমাকে এ প্রশ্ন না করে সরকারের যারা বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহার করছে আপনি তাদেরকে এ প্রশ্ন করুন। তাদের পক্ষ হয়ে এ প্রশ্নের উত্তর দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। নিয়ম ভাঙছেন এমন কারো প্রতিনিধিত্ব আমি করবনা। আমি সবার দায়িত্ব নেবনা।’ অন্যদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী বলেন বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থা বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহার করছে না, ফেসবুকে গোয়েন্দা গিরি করছে।’ তবে মন্ত্রী সভার সদস্য বিকল্প পথে কেন ফেসবুক ব্যবহার করছে তার কোনো উত্তর দেননি তিনি।

জেনে নিন কোকাকোলা দিয়ে চুল ধুলে কী হয়? (ভিডিও)

জেনে নিন কোকাকোলা দিয়ে চুল ধুলে কী হয়? (ভিডিও)

ভিডিওটি দেখতে ক্লিক করুন :

খাওয়া ছাড়াও অনেক কাজ আছে যা কোকাকোলা দিয়ে করা সম্ভব। গাড়ির ভেতরের ময়লা পরিষ্কার করা থেকে বাথরুম পরিষ্কারের কাজেও কোকাকোলা ব্যবহৃত হয়। মজার বিষয় হলো, চুল ধোয়ার জন্যও আপনি কোকাকোলা ব্যবহার করতে পারবেন! কী অবাক হলেন? ভাবছেন, কোকাকোলা খাবেন না মাথায় দেবেন?
হাফিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌন্দর্যবিষয়ক ব্লগার এলকো তার ব্লগে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে দেখা গেছে যে, তিনি কোকাকোলা দিয়ে নিজের চুল ধুয়ে পরিষ্কার করছেন। গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের কসমোপলিটন ম্যাগাজিনের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত হওয়ার পর ভিডিওটি আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
মূলত সুপার মডেল সুকি ওয়াটারহাউসকে দেখে এলকো অনুপ্রাণিত হয়েছেন। সুকি যুক্তরাজ্যের একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় বলেছেন, তিনি মাঝে মাঝে নিজের চুল ধোয়ার জন্য কোমল পানীয় ব্যবহার করে থাকেন এবং এর ফলে তার চুলের পুরো লুকই বদলে যায়। এ বিষয়ে সুকি বলেন, ‘চুল এতটাই এলোমোলো হয় যেন মনে হয় আমি আমাজান বা অন্য কোথাও থেকে এসেছি।’
সুকির মতো এলকোও কোকাকোলা দিয়ে চুল ধুয়ে বেশ সন্তুষ্ট। এলকো বলেন, কোকাকোলা তাঁর চুলকে মজবুত করেছে। ‘আমি অবশ্যই এই কাজটি আবারও করব।’ বললেন এলকো।
কিন্তু শুধু সুকি এবং এলকোই এই কাজটি করেননি। সেভেনটিন ম্যাগাজিনে গত এপ্রিল মাসে এমনই একটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছিল। যার ফলাফলে অবশ্য মিশ্র প্রতিক্রিয়া ছিল।
কেউ কেউ বলেছেন, কোকাকোলা তাঁদের চুলকে বেশ মজবুত করেছে আবার কেউ বা বলেছেন পদ্ধতিটি তাঁদের পছন্দ হয়েছে কিন্তু সব সময় তাঁরা চুলে কোকাকোলা ব্যবহার করবেন না। কারণ শ্যাম্পু আর কোকাকোলার মাঝে তাঁরা খুব বেশি পার্থক্য খুঁজে পাননি।
তবে কোকাকোলা চুলের উপকার করে না অপকার করে সেটা ব্যবহারের পরেই বুঝতে পারবেন। তাহলে আর দেরি না করে আজই একবার কোকাকোলা দিয়ে চুল ধুয়ে দেখুন তো কী ঘটে?

নাক দেখে মানুষ চেনার পদ্ধতি।

নাক দেখে মানুষ চেনার পদ্ধতি।
অনেকেই বলেন যে চেহারা দেখেই নাকি একজন মানুষের চরিত্র সম্পর্কে বেশ ধারণা পাওয়া যায়! মানে মানুষটি রাগি, নাকি কোমল স্বভাবের; হাসিখুশি, নাকি গম্ভীর-সবই চেহারা দেখে বুঝে নেন অনেকে। তবে এবার মানুষকে বোঝার আরো সহজ চিহ্ণ নির্ধারণ করেছেন গবেষকরা। তাঁরা বলছেন, যখন কারো সঙ্গে আপনার প্রথম দেখা হবে তখন ভালো করে খেয়াল করবেন তাঁর নাকের গঠন। আর তাতেই নাকি আপনি বুঝতে পারবেন মানুষটি কী রকম!
তো চলুন জেনে নিই, নাক দেখে মানুষ চেনার পদ্ধতি।

১। সোজা নাক

সোজা নাকের অধিকারী ব্যক্তিরা হন ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ী। স্বভাবে এরা গোছানো এবং কাজে দক্ষ। এমনকি সংকটের সময়েও এরা নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারেন।

২। চওড়া নাক

যাঁদের নাক চওড়া হয়, তাঁদের থাকের নেতৃত্বের দারুণ গুণ। সেই সঙ্গে এঁদের ব্যক্তিত্বও হয় কঠিন।

৩। মাংসল নাক

এই ধরনের নাকের গোড়টা সরু হলের পুরো নাকের দৈর্ঘ্য বেশ বড় হয়। এই ধরনের আকৃতির নাক যাঁদের, তাঁরা খুব দ্রুত চিন্তা করতে পারেন এবং জানেন কীভাবে জলদি কাজ করতে হয়। বেশির ভাগ সময়ই এঁরা বেশ চালাক হন।

৪। চ্যাপ্টা নাক

চ্যাপ্টা নাকের অধিকারীরা হন দয়ালু আর আশাবাদী স্বভাবের। এঁরা সেই ধরনের মানুষ, যাঁদের ভালোবাসা দেওয়ার ও নেওয়ার ক্ষমতা প্রচুর। এই ধরনের নাকওয়ালা ব্যক্তিরা পরীক্ষামূলক কাজ করতে ভালোবাসেন। এঁরা উদ্যমী স্বভাবেরও হন।

৫। বাঁকা নাক

নিচের দিকে বাঁকানো নাক থাকে যেসব ব্যক্তিদের, তাঁরা সাধারণত নিজের মতো করে জীবনযাপন করেন। কোনো নেতাকে অনুসরণ করা এদের স্বভাবে নেই। বেশির ভাগ সময় এরা বিদ্রোহী স্বভাবের হন।

ফেসবুক বন্ধের ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ।

 ফেসবুক বন্ধের ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে ক্ষোভ।
নিরাপত্তার অজুহাতে বন্ধ থাকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক খুলে দেয়ার দাবিতে এবার সোচ্চার হয়েছেন লেখক-শিল্পী-সাংস্কৃতি কর্মী-অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট-অনলাইন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগস্থ কেন্দ্রীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত অবস্থান ধর্মঘট থেকে তারা ফেসবুক খুলে দেবার দাবীতে বক্তব্য রাখেন ।

লেখক-শিল্পী-সাংস্কৃতি কর্মী-অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট-অনলাইন ব্যবসায়ীর ব্যানারে ঐ অবস্থান ধর্মঘট থেকে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে তারানা হালিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৌশলে জন বিচ্ছিন্ন এবং তরুণদের থেকে দূরে ঠেলে দিচ্ছেন’ ।
 
বক্তারা বলেন, ‘আজ তরুণ সমাজ ফেসবুককে তাদের অন্যতম গণমাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে লেখে নিজেদের লেখালেখির হাতকে সমৃদ্ধ করছে। কিন্তু এটি বন্ধ করে দেয়ায় গত দুই সপ্তাহ পর্যন্ত তারা তা করতে পারছেন না। এমনকি তারা বিভিন্ন ধরণের পড়ালেখাও চালিয়ে থাকেন ফেসবুকের মাধ্যমে। তাছাড়া সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে তারা এর মাধ্যমে সামাজিক কাজ করে থাকেন। কিন্তু এটি বন্ধ করে দেয়ায় তরুণ সমাজ হতাশ হয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে তাদের মধ্যে গুটি কয়েক বিকল্প পথে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। কেউ কেউ আবার ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পর্নোগ্রাফির দিকে ঝুঁকছে।’
তারা বলেন, ‘শুধু তরুণ সমাজই নয় এটি বন্ধ করে দেয়ায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের যে প্রচারণার সুযোগ ছিল সেটি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। এমনকি গত ১৫ দিন যাবৎ অনলাইন ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। এ অবস্থায় আমরা সরকারকে আহ্বান করবো তারা যেন শিগগিরই এটি খুলে দেন। তাহলে তরুণদের মন জয় করা যাবে। নতুবা তরুণ সমাজের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার তৈরি হবে।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘ফেসবুক বন্ধ করে দেয়ায় যে যুদ্ধাপরধীরাই বেশি লাভবান হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের। তাই কাল বিলম্ব না করে অবিলম্বে আমরা ফেসবুক খুলে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।’
এসময় বক্তব্য রাখেন, রবীন আহসান, ইফতেখার উদ্দিন বাবুল প্রমুখ।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার ফেসবুকসহ বন্ধ থাকা অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়ার দাবিতে  রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে  জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী সব আইন বাতিল  করার দাবি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে মানববন্ধন করে এই দাবি জানানো হয়।
open-facebook
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া বক্তারা দাবি করেন, ফেসবুকের কল্যাণেই গণজাগরণ মঞ্চের মতো জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিল। অথচ নিরাপত্তার অজুহাতে গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে ফেসবুক, ভাইবার ও হোয়াটঅ্যাপস  বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সন্ত্রাস থেমে থাকেনি, মসজিদে ঢুকে প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করার মতো ঘটনা ঘটেছে। যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়নি তখনো সারা দেশে একযোগে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। তাই নিরাপত্তার খোঁড়া অজুহাতে যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের সিদ্ধান্ত শুধু জনসাধারণের কথা বলার জায়গা সঙ্কুচিত করা ছাড়া কোনো বড় ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডরোধে কার্যকর হবে, অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে সেটি বলা যাচ্ছে না।
FB-1
ডিজিটাল দিনাজপুর কমিউনিটি ও দিনাজপুর ফ্রিল্যান্সার অ্যাসোসিয়েশন ‘দেশের স্বার্থে ফ্রিল্যান্সার বাঁচাতে সোশ্যাল মিডিয়া চালুর দাবি’তে মানববন্ধ করেছে। গত সোমবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করে তারা।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার নিমতলা মোড়ে ডিজিটাল দিনাজপুর কমিউনিটি ফুলবাড়ী শাখার উদ্যোগে ফেসবুক, ভাইবার সোস্যাল সার্ভিসগুলো চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান।
মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় ফুলবাড়ী নিমতলা মোড়ে ডিজিটাল দিনাজপুর কমিউনিটি ফুলবাড়ী শাখার মোঃ ইউসুফ আল মিল্টন এর নেতৃত্বে ২ শতাধিক ছাত্র ফেসবুক ভাইবার ও সোস্যাল সার্ভিসগুলো অবিলম্বে চালুর দাবিতে মানব বন্ধন করেন।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান মন্ত্রী বরবার স্মারকলিপি প্রদান করেন।
open-facebook-demand-on-bdsk

যে কারনে ছেলেদের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের বাঁদিকে! জেনে নিন মজার একটি তথ্য।

যে কারনে ছেলেদের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের বাঁদিকে! জেনে নিন মজার একটি তথ্য।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এমন অনেক ব্যাপারই আছে যা শুধুমাত্র পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে দেখে দেখেই আমাদের জীবনযাত্রার সাথে জড়িয়ে ফেলেছি আমরা। মাঝে মধ্যে কৌতুহলী মনে এমন অনেক ব্যাপারই উকি দেয় হয়তো অনেকেরই। এ বিষয়টা এমন কেন? ঐ জিনিসটা ওমন কেন ? এমন না হয়ে একটু অন্যরকম হলেই বা কি এমন ক্ষতি হত, এমন শত কৌতুহল থাকা অবান্তর কিছু নয় ।

দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে সংস্কৃতি, আচার -আচরন লালন ও পালন করছি তা কিন্তু এমনি এমনি চলে আসেনি । প্রত্যেকটা বিষয়ের পেছনেই আছে কিছু না কিছু গল্প । এমন অনেক বিষয়ের মত অনেকের কাছে খুব সাধারন কৌতুহলের একটি বিষয় ‘ ছেলেদের জামার বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের কেন বাঁদিকেই হয়’ ?

তবে এবার এমন কৌতুহলের ক্ষুধা মেটাতেই সেই ‘রহস্যের’ উত্তর দিয়েছে ‘এই সময়’  –
এবার জানুন তাহলে অনুসন্ধানী মনের চোখ-কান খুলে –
ছেলেদের আর মেয়েদের জামার বোতামে ভিন্নতার প্রসঙ্গে সেই নেপোলিয়ান যুগ  থেকে ঘোড়ায় চড়া, তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ থেকে শুরু করে কোলের সন্তানকে দুধ খাওয়ানো পর্যন্ত নানামুখি ব্যাখ্যা আছে ।  এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব শোনা যায়, ভিন্ন ভিন্ন গল্পও প্রচলিত আছে । তবে কোনোটাই খণ্ডন করার নয়।
তবে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য গল্পটা হল, নেপোলিয়ান বোনাপার্টের যেকোনো ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে ঢোকানো এটা তখনই হয়, যদি কোটের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। বলা হয়, মেয়েদের ডানহাতও নাকি সেভাবেই থাকত। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন । তা নেপোলিয়ানের কানেও গিয়েছিল। এর পর তারই নির্দেশে মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেওয়া হয়।
somoyerkonthosor5
পুরুষরা সাধারণত নিজের জামা নিজেই পরে এসেছেন। তা তিনি রাজা-মহারাজাই হোন, বা অতি সাধারণ কেউ। কিন্তু, সম্পন্ন পরিবারের মেয়েদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকতেন। তারাই জামা পরিয়ে দিতেন। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেওয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই মেয়েদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখাই দস্তুর।
রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে হয়েছে তরোয়াল। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই জামার বোতাম বসানো হত ডান দিকে।
আর মহিলাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়।
somoyerkonthosor5
পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তরোয়াল চালাতে সুবিধা হয়। সেই তরোয়াল গোঁজা থাকত বাঁ-কোমরে। বের করার সময় তরোয়াল যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। মেয়েরা যখন ঘোড়ায় চড়ত বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে।
somoyerkonthosor5
আরও একটি তত্ত্ব হল, মেয়েরা যে পুরুষদের থেকে কোনও অংশে কম নন, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরেছেন। তার পরেও বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিত ভাবেই মেয়েরা জামার বাঁদিকে বোতাম বসিয়েছেন।