‘ডট বাংলা’ আসছে ৩১ ডিসেম্বর।

‘ডট বাংলা’ আসছে ৩১ ডিসেম্বর।


আগামী ৩১ ডিসেম্বর শনিবারই সবার হাতের নাগালে চলে আসছে বহুল প্রতীক্ষিত ‘ডট বাংলা’ ডোমেইন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওইদিন তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ডট বাংলা ডোমেইন উদ্বোধন করবেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফাইজুর রহমান চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উন্মুক্ত করে দেয়ার পর এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য বিতরণ করা হবে। ডোমেইনটি পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গত ৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের জন্য ডোমেইনটি বরাদ্দ লাভের পর এটি ব্যবহারকারীদের মাঝে বিতরণের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
বিটিসিএল সূত্রে জানা যায়, এ পযর্ন্ত সাড়ে ৩৬ হাজার বিডি গ্রাহক নিবন্ধিত হয়েছে। ২০০৩ সালে এএসসিআইআই ক্যারেক্টর সাপোর্ট দিতে ‘বিএসএসনিউজ.নেট’- এর মতো ডোমেইন নামে ডোমেইন ব্যবহার শুরু হয়। সকল আধুনিক ব্রাউজার এবং ই-মেইল প্রোগ্রামে তাদের নিজ নিজ ভাষায় জনগণ লিংক ব্যবহার করতে পারবে। ইন্টারনেট ব্রাউজের ক্ষেত্রে জনগণ বাংলা ফন্টে বিটিসিএল ডট বাংলা টাইপ করে বিটিসিএল ওয়েবসাইটে (ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ ডট বিটিসিএল ডট কম ডট বিডি) তে যেতে পারবে।
সরকারি সূত্র জানায়, বিটিসিএল ডোমেইনের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করবে। আগ্রহীদের অন লাইনে ডট বাংলার জন্য সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন মোবাইল কোম্পানি টেলিটক এর রেজিস্ট্রেশন ফি গ্রহণ করবে। জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন অব অ্যাসাইনড নেম অ্যান্ড নাম্বার (আইসিএএএন) বাংলাদেশকে সরকারিভাবে ডট বাংলা (বাংলা) ইন্টারনেট ডোমেইন বরাদ্দ দিয়েছে। আইসিএএএন গত ৪ অক্টোবর এ সিদ্ধান্তের কথা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়কে জানায়।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং সিয়েরা লিওন ল্যাবেল-ডট বাংলা নামে এ ডোমেইনের জন্য আবেদন করে। এর আগে আইসিএএএন ডট বিডি নামে বাংলাদেশের জন্য আরো একটি ডোমেইনের অনুমোদন দেয়। বাংলা ওয়েবসাইটের জন্য টপ লেভেল ডোমেইন দেশ হিসেবে বাংলাদেশ দ্বিতীয়।

অন্যের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কর্মকাণ্ড অসুখী করে তোলে।

অন্যের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কর্মকাণ্ড অসুখী করে তোলে।

সময়কে আনন্দঘন করতে ফেসবুক ব্যবহার করে থাকেন অনেকেই। কিন্তু ফেসবুক সময়কে আনন্দময় করে না, অধিকন্তু অসুখী করে তোলে। অনেক ব্যবহারকারী আবার ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়েন অন্যান্যদের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং কর্মকাণ্ডে। তবে সবাই হন না, যারা হীনমন্যতায় ভোগেন তাদের মধ্যেই অসুখী বা ঈর্ষান্বিত হওয়ার প্রবণতা বেশি।
ইউনির্ভাসিটি অফ কোপেনহেগেনের পরিচালিত এক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। ১ হাজার ৯৫ জন ফেসবুক ব্যবহারকারীর উপর ওই সমীক্ষা চালানো হয়।
সমীক্ষার ফলাফল বলছে, সপ্তাহ খানেক বিরতি নিয়ে যে সব ব্যবহারকারী ফেসবুকে ফেরেন তারা অবশ্য জীবনকে সন্তোষজনক মনে করেন।
তবে যারা 'ফেসবুক ঈর্ষা'য় ভোগেন তারা স্বীকার করেছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের কর্মকাণ্ড দেখে ঈর্ষান্বিত হওয়ার প্রবণতা প্রবল তাদের।
ওই সমীক্ষার প্রতিবেদন লেখক মর্টেন ট্রোমহল্ট জানিয়েছেন, প্রতি দিন হাজার হাজার ঘণ্টা ফেসবুকে ব্যয় করেন ব্যবহারকারীরা। এটা নিশ্চিত যে, আমরা আগের চেয়ে এখন বেশি সংযুক্ত। কিন্তু এই সংযুক্তি কি ভালোটা বয়ে আনছে জীবনে?'