Showing posts with label আউটসোর্সিং. Show all posts
Showing posts with label আউটসোর্সিং. Show all posts

গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল নিয়ে জানা - অজানা ৪০ টা প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো জেনে নিন।

গুগল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল নিয়ে জানা - অজানা ৪০ টা প্রশ্ন এবং উত্তরগুলো জেনে নিন।



আজকে আপনাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ন্য পোষ্ট শেয়ার করছি। আমরা যারা যারা ব্লগিং করি তাদের কাছে হয়ত গুগল এডসেন্সশব্দটি খুব একটা অপরিচিত নয়। কম বেশী সবাই গুগল এডসেন্স এর সাথে পরিচিত আছি। অনেকের কাছে গুগল এডসেন্স হতে পারে সোনার হরিণ আবার কারও কাছে দুধ-ভাত।

যারা বাংলায় ব্লগিং করেন তাদের কাছে গুগল এডসেন্সটি সোনার হরিণ ই থেকে যায়। আর যারা নিয়ম অনুযায়ী ব্লগিং করেন তাদের কাছে তো দুধ-ভাত হবেই। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করছি গুগল এডসেন্স এপরুভাল নিয়ে কিছু প্রশ্ন এবং সাথে উত্তরগুলো। যারা এডসেন্স এপ্লাইকরবেন ভাবছেন তাদের হয়ত এই প্রশ্নের উত্তর গুলো অনেক কাজে আসতে পারে।

আপনি হয়ত জানেন যে, আপনি চাইলেই এডসেন্স পাবেন না। এডসেন্স পাওয়ার কিছু পূর্বশর্ত আছে। এগুলো মেনে নিয়মানুযায়ী যদি আপনি এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করেন তাহলে আপনি এডসেন্স পেতে বাধ্য। তাহলে চলুন, গুগল এডসেন্স Approval নিয়ে জানা-অজানা কিছু প্রশ্নের উত্তর জেনে আসি...



প্রশ্নঃ ১ Google Adsense Non Hosted Account Approve পাওয়ার জন্য নিম্নে আমার কয়েকটি প্রশ্ন ? 


১। Application করার পূর্বে নুন্যতম কতগুলো আর্টিকেল থাকতে হয়???
উত্তর ১. ৩০-৪০-৫০ টা হলে ভালো হয়। বেশি হলে আরও ভালো


২। About Us, Contact, Privacy & Policy বাদে আরো কি কি এ্যাড করতে হয়??? বা থাকলে ভালো হয়??
উত্তর২. About Us, Contact, Privacy & Policy & DMCA তো থাকবেই। পাশাপাশি খেয়াল রাখবেন কোন ক্যাটাগরি যেন ফাকা না থাকে। প্রতিটা ক্যাটাগরি তে মিনিমাম ৫-৭ টা কনটেন্ট রাখবেন। তাহলে বেশি ভালো হয়।


৩। Google Adwords দিয়ে Google এ ব্যানার বিজ্ঞাপনের মাধ্যেমে কি Google Non Hosted Account এর সুবিধা নেওয়া যেতে পারে কিনা??? অথবা Adsense Approve নেওয়ার জন্য কেমন priority থাকতে পারে?
উত্তর৩. Google Adwords দিয়ে যেকোনো বিজ্ঞাপন দিলেও অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল এর জন্য কোন এক্সট্রা সুবিধা নাই। গুগলের এমন কোন নীতিমালা নেই।


৪। Content Image যদি Google Search এর মাধ্যেমে নিয়ে ব্যবহার করা হয় তাহকে কি Approve পাওয়া সম্ভব? নাকি একদম Unique Image and Unique Article Publish করতে হবে?
উত্তর ৪. Unique Image হলে সবচেয়ে ব্যাটার । তবে গুগল থেকে কখনোই কপিরাইট ইমেজ নিবেন না, কোন ইমেজ নিলেও টাইটেল এবং সাইজ পরিবর্তন করে দিবেন । কোন সমস্যা হবে না।


৫। কত Word এর আর্টিকেল থাকলে ভালো হবে?
উত্তর ৫. প্রতিটা আর্টিকেল ৪০০-৫০০ ওয়ার্ড হলে ভালো হয়। বেশি হলে তো আরও ভালো ।


৬। Google Adsense এ Apply করার আগে কি কি Check List তৈরি করা দরকার বলে আপনি মনে করেন???

উত্তর ৬. Google Adsense এ Apply করার আগে অবশ্যই কিছু Check List তৈরি করা দরকার ।

যেমনঃ

  • সাইটের সকল পোস্ট ৮০-৯০ % % ইউনিক কিনা এবং গুগল পলিসির ভিতরে আছে কিনা চেক করে নিতে হবে।
  • সাইটের সকল গুরুত্বপূর্ণ পেজ ঠিক আছে কিনা চেক করতে হবে।
  • সাইটের পোস্ট ৪০-৫০ টা ঠিকমতো ইনডেক্স হচ্ছে কিনা, ওয়েবমাস্টার টুলস এ দেখতে হবে
  • সাইটের ডিজাইন ইউজার এবং এসইও ফ্রেন্ডলি কিনা সেটা চেক করতে হবে।
  • সাদা সিদে ন্যাভিগেশন এবং লেয়াউট এ সব দরকারি জিনিস রাখতে হবে।
  • সার্চ ইঞ্জিনে কিছু Organic Keywords এ টপে Rank করালে এক্সট্রা পাইরটি পাওয়া যাবে। (যদিও Content is BIG King) এইসব কিছু ঠিকমতো চেক করে ৫০-৬০ দিন বসয়ের একটা সাইট দিয়ে এপ্লাই করলে ১০০ % শিওর প্রথম চান্সেই এপ্রুভ পাওয়া সম্ভব। ধন্যবাদ 


প্রশ্নঃ২ Non Hosted Adsense এর জন্য Alexa rank কোন প্রভাব বিস্তার করে ?

উত্তরঃ না।


প্রশ্নঃ৩ ভাই আর্টিকেল গুলো যদি স্পিন করা হয় এবং গুগলের কপি স্কেপ প্রিমিয়াম পাশ হয় তাহলে কি এডসেন্স দিবে ?

উত্তরঃ এইভাবে অনেকেই চেষ্টা করেছে, কেউ পায় নাই। ইউনিক আর্টিকেল হলেই সহজে পাওয়া যায়। আর্টিকেল স্পিন করার চিন্তা থাকলে তো হবে না ভাই।



প্রশ্নঃ৪ ডোমেইন নেম ৬ শব্দের হলে সমস্যা হবে কিনা?

উত্তরঃ ১. কোন সমস্যা হবে না। তবে, আমি সাজেস্ট করবো Keywords Target করে ডোমেইন নাম পছন্দ করুন । সেটাই বেশি ভালো হবে।


প্রশ্ন৪.১ unique article এর সাথে ইমেজ গুগল থেকে নিয়ে পাব লিশ করলে কোন সমস্যা হবে কিনা?

উত্তরঃ গুগল থেকে কারো কপিরাইট সিল দেওয়া / প্রোটেকশন করা ইমেজ নিবেন না। আর গুগলের ইমেজ নিলেও ইমেজের টাইটেল এবং সাইজ পরিবর্তন করে দিবেন। আশা করি কোন সমস্যা হবে না।



প্রশ্নঃ৫ সাইটে ৪০-৫০ টা ইউনিক আর্টিকেল আছে কিন্তু ভিজিটর খুবই কম এমন সাইট দিয়ে কি অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ গুগল চায় ভালো মানের কনটেন্ট। ভিজিটর কোন ফ্যাক্ট না Top Level Domain, About, Contact, Privacy & DMCA পেজ ঠিক থাকলে approval পেয়ে যাবেন।


প্রশ্নঃ৬ Bangladesh থেকে non hosted এর জন্য কোন niche approve হয় বেশি ? Any Suggestion to start a new blog for quick approval. I mean which niche get approval easily?

উত্তরঃ ভালো প্রশ্ন ।। আমি বেশিরভাগ সময়ে Smartphone review, Education Result & Technology সাইট দিয়ে বেশি approve পেয়েছি ।


প্রশ্নঃ৭ আমি কি google adsense এর জন্য Sub domain ব্যবহার করতে পারি ?

উত্তরঃ Yes .. but আগে টপ লেভেল ডোমেইন দিয়ে এপ্রুভ করাতে হবে, তারপর সাব ডোমেইন এ অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করতে পারবেন ।



প্রশ্নঃ৮ troll সাইট এ কি adsense aprove হবে ? content কেমন লাগবে?

উত্তরঃ এই টপিক যদি গুগলের নীতিমালা ভঙ্গ না করে, তবে ভালো মানের ৪০-৫০ টা পোস্ট দিয়ে এপ্রুভ করাতে পারবেন। আমি সাজেস্ট করবো, কোন প্রোডাক্ট বেইজ এবং ইনফরমেটিভ সাইট বানান। Example : Smartphone review, Technology g tips, health tips এইসব বিসয়ে তাড়াতাড়ি এপ্রুভাল পাবেন .


প্রশ্নঃ৯ website এর article গুল মিনিমাম কত ওয়ার্ড এর হতে হয়?

উত্তরঃ ৪০০-৫০০ ওয়ার্ড হলে ভালো হয়। নয়লে insufficient Content দেখাতে পারে।


প্রশ্নঃ১০ ব্লগ ছাড়া অন্য অন্য কোন সাইট এর জন্য আপ্রভাল সম্ভব কি? যেমন কোশ্চেন এন্সার, হাউ টু ইটিসি।

উত্তরঃ এইরকম সাইটের অথারিটি ভালো মানের হলে + Alexa Rank ১ লাখের নিচে থাকলে হবে। মিনিমাম ৫-৭ মাস এসইও করতে হবে । তাহলে পাওয়ার চান্স আছে।


প্রশ্নঃ১১ 1. নিস হিসেবে "blogspot tutorial" কেমন? এটা দিয়ে পাবো ? 2.blogspot.com এ আমি টপ ডোমেইন এড করলে ভালো হবে? নাকি হস্তিং কিনে ডোমেইন এড করবো?

উত্তরঃ 1. web Design, SEO, Graphic টিউটরিয়াল or technology টিপস সাইট দিয়ে খুব সহজেই অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হয়। 2. হস্টিং নিয়ে ওয়ার্ডপ্রেস এ সাইট বানালে ভালো হবে। এসইও তে বেশি সুবিধা পাবেন।



প্রশ্নঃ১২ আমার সাইট এর সব visitor যদি facebook থেকে আসে তাহলে কি adsense দিবে ?

উত্তরঃ গুগল সব আইন মেনে সাইট বানালে ভিজিটরস না থাকলেও অ্যাডসেন্স দিবে । ফেসবুকের ভিজিটরের এর চেয়ে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটরের ডিমান্ড বেশি। কাজেই এসইও তে বেশি জোর দিতে হবে।


প্রশ্নঃ১৩ Hosted and non-hosted adsense এর মাঝে পার্থক্য কি ?

উত্তরঃ Hosted Adsense & Non Hosted Adsense এর মদ্ধে মেইন পার্থক্য হচ্ছে... Hosted শুধুমাত্র গুগলের সাইট Youtube & Blogger এ ইউজ করা যায়। তবে শুনেছি ২০১৪ সালের পরে পাওয়া Hosted Adsense নাকি ব্লগারে অ্যাড দেখাতে ঝামেলা করে। আর নিজস্ব সাইটে Non Hosted Adsense ম্যাক্সিমাম 500 Website এ ব্যাবহার করা যায়। রেভিনিউ শেয়ারিং সেম ৬৮ %.


প্রশ্নঃ১৪ আপনি ভালো মানের আর্টিকেলের উপর খুব জোর দিচ্ছেন । আচ্ছা ভাই আর্টিকেলের মান ভালো না খারাপ হল এটা চেক করার কি কোন সাইট বা সফটওয়ার আছে ? একটা ভালো কুয়ালিটি সম্পর্ন আর্টিকেলের কি কি গুন থাকতে হয় ?

উত্তরঃ এখানে সকল জনপ্রিয় টুলসগুলো আছে। আপনি এগুলো দিয়ে চেক করতে পারবেনhttps://www.google.com/search?q=Plagiarism+Checker&ie=utf-8&oe=utf-8&aq=t&rls=org.mozilla:en-US:official&client=firefox-a&gws_rd=ssl পেইড টুলসগুলো আরও ভালো রেজাল্ট দেখায়



প্রশ্নঃ১৫ আমার একটা ব্লগ আছে ব্লগার এ domain এখনো set করা হয়নি কিছুদিন এর মধ্যে domain set করব। এখন পর্যন্ত ৫০ টা পোস্ট করা হয়েছে। সব পোস্ট ৮০% unique. ব্লগ এ আমার প্রতিদিন ১০০+ visitor আসে। domain set করার পর কতদিন পর adsense apply করলে approve পাইতে পারি।

2. ভালমানের content বলতে আমি কোনটাকে বুজব ভাই? একটু বলবেন।

3. আমার content এর যদি কোনো problem থাকে and আমি যদি সেইটা একবার apply করার পর বুজতে পারি and যদি সেই content গুলো delete করে দিয়ে আবার fresh কনটেন্ট পোস্ট করে আবার apply করি তাহলে কি problem হবে approve পাইতে?


উত্তরঃ 1. কোথায় ডোমেইন সেট করবেন ? ব্লগারে ? আমি বলবো না। ওয়ার্ডপ্রেস এ নিজস্ব সাইট বানান। WP Best SEO Friendly smile emoticon তবে, ব্লগারে ডোমেইন সেট করলে এক মাস পরে এপ্লাই করে দেখুন। কনটেন্ট ভালো মানের হলে এপ্রুভ পেয়ে যাবেন। 2. কপি পেস্ট মুক্ত ফ্রেশ কনটেন্ট ।অবশ্যই গ্রামার, সেন্টেন্স এবং কতো % ইউনিক সেটা মাথায় রাখতে হবে, আশা করি বুঝতে পেরেছেন। 3. ডিলেট করলে বিপদে পড়বেন। 404 not Found আসবে আর সাইটের Rank হারাবেন। কনটেন্ট আপডেট কিংবা রি - রাইট করলে ভালো হবে।



প্রশ্নঃ১৬ 1। ওয়েবসাইটের বয়স যদি ৩মাস পার হয়ে থাকে এবং ২৫০ টা পোষ্টের মধ্যে ১০০ টা পোষ্ট ৫০% ইউনিকের নিচে থাকে তাহলে কি অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে ???? 2। অ্যাডসেন্স এপ্রুপ পেতে কোনটা বেশি জরুরি .. ‘‘ইউনিক পোস্ট ’’ না কি ‘‘ভিজিটর’’ ????

উত্তরঃ এইরকম সাইট দিয়ে পাওয়ার চান্স কম। ৮০ % + ইউনিক আর্টিকেল লাগবে। তাহলে পেয়ে যাবেন। অ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য ইউনিক পোস্ট জরুরী


প্রশ্নঃ১৭ Non Hosted Google Adsense বলতে কি বুঝায়। যদি একটু বিস্তারিত বলেন প্লিজ

উত্তরঃ নিজস্ব সাইট দিয়ে এপ্রুভাল পাওয়া গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট হচ্ছে Non Hosted Google Adsense । এই এক একাউন্ট দিয়ে আপনি ৫০০ ওয়েবসাইটে অ্যাড ব্যাবহার করতে পারবেন।


প্রশ্নঃ১৮ blogspot.com থেকে ব্লগিং করল্র কি Adsense পাব?
উত্তরঃ ২০১১ - ২০১২ সালে দিতো , এখন শুনি নাই যে কেউ ব্লগস্পট দিয়ে পাচ্ছে। Non Hosted পেতে চাইলে নিজস্ব ডোমেইন লাগবে । ফ্রী কোন সাব ডোমেইন দিয়ে না।


প্রশ্নঃ১৯ hosted account কি non hosted account এ convert করা যায় ?

উত্তরঃ হ্যাঁ করা যায়, গুগল পলিসি তে সাইট বানিয়ে অ্যাডসেন্স একাউন্ট এ সাইট অ্যাড করতে হবে। গুগল রিভিউ করবে, সব ঠিক থাকলে .Com এ অ্যা ড সো করবে। আর কোন সমস্যা থাকলে .Com এ অ্যাড দেখাবে না। তবে এর চেয়ে Non Hosted Account সহজেই পাওয়া যায়।


প্রশ্নঃ২০ Privacy & DMCA পেজের কনটেন্ট দিবো কি ভাবে? করো দেখে রিরাইট করবো না ইউনিক লিখবো। না কি কোন টুল দিয়ে জেনারেট করে নিবো?

উত্তরঃ Privacy টুলস দিয়ে জেনারেট করবেন আর DMCA পেজ সবার একই রকম থাকে । ২-৪ লাইন গুরিয়ে ফিরিয়ে নিজের মতো করে দেন। এখনো কোন দিন সমস্যা হয় নাই। আশা করি আপনার বেলাতেও হবে না।এখান থেকে আপনার সাইটের নাম এবং ইমেইল দিয়ে ফ্রী তেই জেনারেট করতে পারবেন. কোন সমস্যা নাই   https://www.google.com.bd/search?q=adsense%20privacy



প্রশ্নঃ২১ ফ্রী ডোমেইন হোস্টিং সাইট যেমন .tk এবং ooowebhost থেকে সাইট তৈরি করে কি এ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ না


প্রশ্নঃ২২ ১। শুনেছি উন্নত দেশ যেমনঃ USA, UK, Spain প্রভৃতি দেশ থেকে আবেদন করলেই নাকি adsense account এবং code তৎক্ষণাৎ পাওয়া যায়। ব্যাপারটি কতখানি সত্য? ২। blogger এবং নিজস্ব website ( .com domain ) দিয়ে আবেদন করে পাওয়া account গুলোর মধ্যে advantage & disadvantage কি? ৩। উন্নত দেশ থেকে পাওয়া account এবং আমাদের দেশ থেকে পাওয়া account গুলোর মধ্যকার advantage / disadvantage কি? ৪। Developed country-র address verified account-এ আমাদের দেশের কাউকে admin হিসেবে add করা যায় কিনা? গেলে সে কি ঐ account-এর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রক হতে পারবে? payee name & bank address আমাদের দেশের admin-এর দিলে সমস্যা আছে কি? আর দিতে পারুক বা নাপারুক, আমাদের দেশ থেকে পরিচালিত হওয়ার জন্য কোনরকম banned হওয়ার সম্ভবনা আছেকিনা?


উত্তরঃ উত্তর ১. সত্য । তবে এটা করলে গুগলের নীতিমালা ভঙ্গ করবেন। কারন, আপনার দেশ বাংলাদেশ। ভেরিফাইড করা এবং টাকা তোলা নিয়ে ঝামেলায় পড়বেন। অথবা অইদেশের কাউকে দিয়ে সেম নাম ঠিকানায় ব্যাংক একাউন্ট করতে হবে। উত্তর ২. কোন advantage & disadvantage নাই। তবে ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে এসইও সুবিধা বেশি পাবেন, যেইসব ব্লগারে পাবেন না। উত্তর ৩. advantage & disadvantage নাই। সকল সুবিধা সমান। উত্তর ৪. এই পোস্টে আমার প্রথম উত্তর দেখুন... আমি এটা সাজেস্ট করি না।



প্রশ্নঃ২৩ ১. এডসেন্স কত প্রকার ও কি কি? এবং এদের মধ্যে পার্থক্য কি ?

উত্তরঃ অ্যাডসেন্স সাধারণত ২ প্রকার।Hosted Adsense & Non Hosted Adsense এর মদ্ধে মেইন পার্থক্য হচ্ছে... Hosted শুধুমাত্র গুগলের সাইট Youtube & Blogger এ ইউজ করা যায়। তবে শুনেছি ২০১৪ সালের পরে পাওয়া Hosted Adsense নাকি ব্লগারে অ্যাড দেখাতেও ঝামেলা করে। আর নিজস্ব সাইটে পাওয়া একাউন্ট হচ্ছে Non Hosted Adsense , এটা দিয়ে ম্যাক্সিমাম 500 Website এ ব্যাবহার করা যায়। রেভিনিউ শেয়ারিং সেম ৬৮ % ।



প্রশ্নঃ২৪ ভাই আমি মোবাইল রিভিউ নিয়া একটা সাইট বানাতে চাই। কিন্তু কথা হল। মোবাইল এর ফিচার তো এক এখানে ইউনিক কি লিখবো। আর মোবাইল এর ফটো গুলো যদি কোম্পানির সাইট থেকে নেই। তাইলে কি গুগল কপি রাইট এ ফেলবে, আর Adsence কি approve পাবো ১ মাসের মধ্যে । আমি on page & off page seo সবই পারি। --যদি সব ঠিক করে ১ মাস পর apply করি তাইলে adsence পাওয়ার সম্ভাবনা কেমন। আর রিভিয় গুলো কেমনে লিখলে ভাল হবে। একটু কিলিয়ার করলে ভাল হতো --visitor 100-200 per day হলে কি approve হবে ?

উত্তরঃ GSMARENA.Com এই মানের পোস্ট লিখবেন। আর কনটেন্ট এ মোবাইল স্পেসিফিকেশন লিখতে গেলেও উপরে নিচে ২-৪ লাইন লেখা যায়, কাজেই চিন্তার কিছুই নাই। আসতে আস্তেই ভালো লিখতে পারবেন। আর সাইট ১ মাসের উদ্দেশে না বানিয়ে, ১ বছরের উদ্দেশে বানান। নয়লে সফল হতে পারবেন না। ---ছবি নেয়ার ক্ষেত্রে কোম্পানির কপিরাইট থাকলে সমস্যা হবে। কারো ইমেজ নিলেও টাইটেল এবং সাইজ পরিবর্তন করে নিবেন। --একটা সাইট দিয়ে আমি ১৩ দিনেও এপ্রুভাল পেয়েছি। সবই কনটেন্ট এবং এসইও এর জোরে, তবে নরমালি ৪০-৫০ দিন সময় নিলে ভালো হয় । --- কনটেন্ট ভালো হলে ভিজিটর ছাড়াও এপ্রুভ হবে। তবে, দিনে ১০০০ এর নিচে ভিজিটরস থাকলে, ভালো মানের আয় করতে পারবেন না।



প্রশ্নঃ২৫ Adsense কিভাবে পাব? আর Adsense কিভাবে ধরে রাখব আর বেশি বেশি Income কিভাবে করব ?

উত্তরঃ গুগলের নিয়ম অনুযায়ী সাইট বানিয়ে অ্যাডসেন্স এপ্লাই করলে পাওয়া যায়। আর অ্যাডসেন্স ধরে রাখার জন্য গুগলের কোন টার্মস ভঙ্গ করা যাবে না। আর বেশি বেশি ইনকামের জন্য বেশি বেশি ভিজিটরস লাগবে। তার জন্য এসইও জানতে হবে।


প্রশ্নঃ২৬ 100% unique article এর সাথে ইমেজ গুগল থেকে নিয়ে পাব লিশ করলে কোন সমস্যা হবে কিনা?

উত্তরঃ কপিরাইট মুক্ত ইমেজ থাকলে কোন সমস্যা হবে না। ইমজের টাইটেল এবং সাইজ পরিবর্তন করে নিবেন।


প্রশ্নঃ২৭ ১ টা Top LVL Domain নিয়ে যদি ওইটাকে ব্লুগার এ Hosting করি এবং ওইটায় ১৫ দিনে ১৫ টা ৩০০ Word এর articlesmallseotools.com/plagiarism-checker দিয়ে 100% ইউনিক করে ১৫ দিনে পোস্ট করি তার পর Apply করি তো পাব কিনা ? আর ওইটা তো NoN hosted Adsense Hobe Tai na ?? Worepress free Hosting করে কি apply করা যাবে? approve হবে ??

উত্তরঃ আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর এপ্রুভ হবে না। Site Dose Not Complete with Google Policy এই সমস্যা দেখাবে। সঠিক গাইড পাওয়ার জন্য আজকের ইভেন্টে সকলের পোস্টে আমার কমেন্টগুলো কষ্ট করে পরে নিবেন। আসা করি সব পুরিস্কার বুঝে যাবেন।



প্রশ্নঃ২৮ 1. Hosted Account এবং Non- Hosted Account এর মধ্যে পার্থক্য কি?
2. কিভাবে Hosted Account এবং Non- Hosted Account পাব?
3. Hosted Account এবং Non- Hosted Account এর সুবিধা এবং অসুবিধা কি?
উত্তর ১. Hosted Adsense & Non Hosted Adsense এর মদ্ধে মেইন পার্থক্য হচ্ছে... Hosted শুধুমাত্র গুগলের সাইট Youtube & Blogger এ ইউজ করা যায়। তবে শুনেছি ২০১৪ সালের পরে পাওয়া Hosted Adsense নাকি ব্লগারে অ্যাড দেখাতে ঝামেলা করে। আর নিজস্ব সাইটে Non Hosted Adsense ম্যাক্সিমাম 500 Website এ ব্যাবহার করা যায়। রেভিনিউ শেয়ারিং সেম ৬৮ % .

উত্তর২. Youtube দিয়ে Hosted Account এবং আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট দিয়ে Non- Hosted Account পাবেন।

উত্তর৩. প্রথম উত্তর আরও একবার পড়ুন ।



প্রশ্নঃ২৯ ভাই এডসেন্স পেতে সাইটের বয়স কত লাগবে ? কতগুলো পোষ্ট আর কি রকম এসইও করা লাগবে ?

উত্তরঃ গুগল এর মেইন শর্ত হচ্ছে হাই কুয়ালিটি ভালো মানের কনটেন্ট এবং ১ টা টপ লেভেল ডোমেইন দিয়ে সাইট বানাতে হবে। তারপর সাইটে ৪০-৫০ দিন সময় নিয়ে ৪০-৫০ টা ইউনিক আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। সাইটে About, Privacy, Contact us & DMCA পেজ গুলো ঠিক মতো পাবলিশ করতে হবে। সাইটের সকল পোস্ট Google Webmaster এ সাবমিট করতে হবে। তারপর হালকা পাতলা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করুন। তারপর সাইটের বসয় ৫০-৬০ দিন হলে গুগল অ্যাডসেন্স এপ্লাই করুন। অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হতে সময় লাগবে না।


প্রশ্নঃ৩০ আমার সাইট এ 15/20 টার মতো আর্টিকেল আছে। এবাউট পেজ, কনটেক পেজ, প্রাইভেসি পলিসি পেজ আছে। সাইট এর বয়স প্রায় ১ বছর। এখন কি আমি এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করতে পারি বা আমার আর কি কি করতে হবে এডসেন্স পাওয়ার জন্য?

উত্তরঃ এপ্লাই যেকোনো সাইট দিয়ে করা যাবে। কিন্তু সব সাইট দিয়েই এপ্রুভ হবে না। ভালো হয় গুগল পলিসি মেনে সাইটে আরও ৩০ টা পোস্ট দেন। তারপরে এপ্লাই করেন।



প্রশ্নঃ৩১ Google adsance এর টাকা কিভাবে উঠানো যায় ?

উত্তরঃ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের সবাই চেক দিয়ে টাকা ক্যাশ করাতাম। মাস খানিক সময় লাগতো টাকা ক্যাশ করতে। এখন EFT আছে । সরাসরি ৪-৫ দিনেই টাকা ব্যাংক এ চলে আসে, আমি ডাচ বাংলা ব্যাংক দিয়ে তুলি। অনেকেই ব্র্যাক দিয়েও তুলে, কোন সমস্যা নাই।


প্রশ্নঃ৩২ ভাইয়া. com Domain নিয়ে বাংলায় ব্লগিং করলে এডসেন্স পাওয়া যাবে?

উত্তরঃ না


প্রশ্নঃ৩৩ হোস্টেড অ্যাডসেন্সে অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট মেথড হিসেবে DBBL Mobile Banking কিভাবে অ্যাড করা যায়? সাধারণত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাড করার জন্য ধারাবাহিকভাবে কি করতে হয়?

উত্তরঃ হোস্টেড অ্যাডসেন্সে অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট মেথড হিসেবে DBBL Mobile Banking হিসাবে অ্যাড করা যায়। Adsense & Domain Parking গ্রুপের কয়েক DBBL Mobile Banking দিয়ে টাকা তুলে। আমি কখনো ইউজ করি নাই। সম্ভবত Account No. এর জায়গায় Mobile Banking নাম্বার দিতে হয়। গ্রুপে একসময় পোস্ট দিয়েন। যারা ইউজ করে, তারা আরও বিস্তারিত বলতে পারবে।



প্রশ্নঃ৩৪ Hubpage দিয়ে যে অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় ‍সেটার সাথে নিজের website থেকে পাওয়া অ্যাডসেন্স এর পার্থক্য কতখানি ???

উত্তরঃ নিজস্ব সাইট দিয়ে পাওয়া আর ৩য় পক্ষ দিয়ে পাওয়া এক জিনিস নয়। ওরা অবশ্যই আপনার একাউন্টের কিছু % কমিশন কেটে রাখবে।



প্রশ্নঃ৩৫ adscence approve পাওয়ার পর যদি আমি আমার সাইট এর banner বা অন্য কোথাও সাইট এর related niche এর cpa বা অন্য কোন product এর promotion করি, তাহলে কি adsense এর কোন problem হবে ?
উত্তরঃ promotion/cpa তে যদি গুগল পলিসি ভঙ্গ করে এমন কিছু থাকে, তাহলে ব্যাবহার না করাই ভালো। তবে Amazon & Adsense একই সাইটে ব্যাবহার করা যায়। কোন সমস্যা হয় না।



প্রশ্নঃ৩৬ আমি আমার সাইট এর কোন sub domain create করে কি adsense ব্যবহার করতে পারি ?
উত্তরঃ টপ লেভেল ডোমেইন দিয়ে নেওয়া রানিং অ্যাডসেন্স থাকলে পারবেন। সাব ডোমেইন দিয়ে নিউ অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে না।


প্রশ্নঃ৩৭ আমার youtube adsense account আছে । non hosted site এর জন্য কি আমি adsense apply করতে পারব ? এক্ষেত্রে কি কোন problem এ পরতে হবে ?

উত্তর . হ্যাঁ পারবেন। ঝামেলাজুক্ত কাজ। তবে এর চেয়ে নতুন নেওয়া অনেক সহজ।


প্রশ্নঃ৩৭.১ Youtube and website এর জন্য ২ টার earning কি একসাথে দেখাবে ।। না আলাদা আলাদা দেখাবে ?

উত্তর. সব রিপোর্ট আলাদা দেখতে পারবেন।


প্রশ্নঃ৩৮ এখন বর্তমান ইউটিউব অ্যাডসেন্স কি ব্লগার এ ব্যবহার করা সম্ভব?

উত্তরঃ যদি যায় তাহলে বর্তমানে কিভাবে করব? উত্তরঃ আমি ২০১২ এর পরে আর কোন ব্লগস্পট এ অ্যাড ব্যাবহার করি নাই। ২০১৪ সালের আগের একাউন্টে হতো । এখন অনেকেই বলে Blogspot এ অ্যাড সো করে না। ভালো মানের ৪০-৫০ টা পোস্ট দিয়ে চেষ্টা করে দেখুন। হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।


প্রশ্ন ৩৯. আমার যদি ইতোমধ্যেই একটি Adsense একাউন্ট থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আমার ছোট ভাই আরেকটি একাউন্ট এপ্লাই করতে পারবে যদি বাড়ির এড্রেস একি হয়?

উত্তরঃ আলাদা সাইট, আলাদা কম্পিউটার আইপি, আলাদা ঠিকানা এবং আলাদা Payee Name দিয়ে সহজেই এপ্রুভ পাবেন। আশা করি কোন ঝামেলা হবে না।


প্রশ্নঃ ৪০ বাংলা ওয়েবসাইট হলে কি adscence apply করা যাবে ?

উত্তরঃ এপ্লাই করা যাবে কিন্তু এপ্রুভ হবে না। কারন, গুগল এখনো বাংলা পারমিশন দেয় নাই। অন্য সাইট দিয়ে এপ্রুভ করিয়ে বাংলা সাইটে ইউজ করা যায়।



এই প্রশ্নোত্তরগুলো আপনার কাছে যদি ভালো লাগে এবং দরকারি মনে হয়। তাহলে অবশ্যই এটা শেয়ার করুন...

ইউটিউব অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এপ্রুভ লাগবে ? খুব সহজেই নিয়ে নিন।

ইউটিউব অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট এপ্রুভ লাগবে ? খুব সহজেই নিয়ে নিন।



১. প্রথমেই আপনার একটি Gmail Account লাগবে। আপনার সঠিক ইনফর্মেশন দিয়ে একটি Gmail Account তৈরি করে নিন।
২. ইউটিউব.কম গেলে আপনার জিমেইল এর নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে যাবে। এখন প্রথম কাজ শেষ। এখন পরের কাজ-
Advance:
1. Click On Your Avatar>Creator Studio>Channel>Advanced এ যান। আপনার Country বাংলাদেশ থেকে ইউনাইটেড স্টেট্‌স এ পরিবর্তন করুন।
2. Channel>Status and Features এ আপনার চ্যানেল ভেরিফাই করুন।
3. Enable Monetization. স্টেপসগুলো অবলম্বন করে Enable করে নিন।
4. ১৫ মিনিটের দীর্ঘ ভিডিও আপলোড করার জন্য Longer Videos Enable করে নিতে পারেন।
5. Channel>Monetization>How will be i get paid এ ক্লিক করুন। স্টেপসগুলো অবলম্বন করুন এবং আপনার সঠিক বেক্তিগত ইনফর্মেশন দিয়ে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিন।
এখন আপনার নিজের ভিডিও বানান এবং তা মনেটাইজ করে ইউটিউব থেকে ইনকাম করুন।
বিঃদ্রঃ অ্যাডসেন্স এ অ্যাপ্লাই করার আগে ২-৩টা Unique ভিডিও আপলোড করে নিলে আপনার আপ্প্রভ পেতে কোন সমস্যা হবে না।

Youtube Monetization Problems থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।

Youtube Monetization Problems থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।


YouTube Video Monetize করতে গিয়ে বেশিরভাগ ইউটিউবারদের অনেক কষ্ট করতে হয়। তার মধ্য আবার অনেক ধরনের monetization problems এ ভুগতে হয়। ইউটিউবের বর্তমানের অন্যতম সমস্যা Under Review এবং Monitoring For Possible Review এ থাকা ভিডিও। কপিরাইটেড ভিডিও আপলোড করলে এই দুটি সমস্যা প্রায় বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় কিন্তু কিছু কিছু সময় নিজের বানানো ভিডিও আপলোড করলেও ভিডিওতে Under review অথবা monitoring for possible review এর চিহ্ন উঠে থাকে। কিছু সময় এই চিহ্ন ৩ দিনের মধ্যেই চলে যায় এবং ভিডিও মনেটাইজ হয়ে যায়। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভিডিও ১ সপ্তাহ, ১ মাস কিংবা আজীবনও Under Review এই থেকে যায়। Monitoring For Possible Review এর অনেকটা একইরকম অবস্থা।

Youtube Monetization পাঁচটি কারণে এই দুটি সমস্যা হয়ে থাকে:

১. যখন ভিডিও এর কোন মিউজিক অন্য কোন চ্যানেলের সাথে মিলে যায় কিন্তু ঐ চ্যানেলের ভিডিও Content ID সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত না হয়।
২. ইউটিউব ভিডিও Processing না করতে পারলে।
৩. অতি দীর্ঘ Video Title।
৪. অধিক বড় ভিডিও।
৫. Edited Copyrighted Footage।
এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই আপনাদের কিছু পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে।

সমাধানঃ

১.  Under Review দেখানোর পড়ে, ভিডিওটি Demonetize করুন।
২. Edit অপশনে গিয়ে ভিডিও এর Simple একটি Title দিন। টাইটেলটি ২-৩ শব্দের মধ্যে হতে হবে। যেমনঃ Video 1 অথবা Tutorial Video 1  অথবা 1st May ইত্যাদি।
৩. Video Description এ ৫-৬ শব্দের একটি ছোট ব্যাখ্যা দিন।
৪. Keywords এর অংশটি ফাঁকা রাখুন।
৫. এবার ভিডিওটি পুনরায় Monetize করুন। এখন ভিডিওটি মনেটাইজ হয়ে যাবে।
এখনো না হলে ভিডিও এর অন্যকোন ছোট শর্ট টাইটেল দিন। এছাড়া চাইলে ভিডিওটির বাড়তি কিছু অংশ এডিট করে নিতে পারেন। আশা করি হয়ে যাবে।

অনন্য সমস্যাগুলোঃ Commercial Use Rights, Disapproved Video, No Monetization Icon

Commercial Use Rights: 
১. এরকম দেখালে প্রথমে আপনার ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিন অথবা আপলোড করা ভিডিওটি আপনার কম্পিউটার থেকে বের করুন।
২. ভিডিও এর ফরমেট পরিবর্তন করে AVI এ রুপান্তরিত করুন। এক্ষেত্রে আপনি Format Factory ব্যাবহার করতে পারেন।
৩. আগের ভিডিও ডিলিট করুন ও AVI Format এর ভিডিওটি আপলোড করুন।
এবার আর আপনার ভিডিও এর Commercial Use Rights ইউটিউব চাইবে না।

Disapproved Video: 
ভিডিও এর ব্যাপারে ১০০ ভাগ নিশ্চয়তা ছাড়া কখনও Commercial Proof Rights সাবমিট করবেন না। তাহলেই আপনার ভিডিও Disapprove করা হবে। অতঃপর ভিডিও ডিলিট করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

No Monetization Icon: 
ভিডিও যদি কোন Third Party মিউজিক, মুভি অথবা ভিডিও এর সাথে match খায়, তবে আপনার ভিডিওতে কোন Monetization Icon show করবে না। এগুলো থেকে বাঁচার জন্য কপিরাইট এড়িয়ে চলুন।
ছোট খাটো অংশের জন্য যদি শুধু কপিরাইট ধরে তাহলে ভিডিও কোন Video Editing Software দিয়ে এডিট করে দেখতে পারেন।
আর যদি সাউন্ড match খায় তবে Audacity দিয়ে এডিট করে দেখতে পারেন।

নিজের ভিডিও নিজে করুন। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করুন 

কিভাবে নতুন Youtube Channel থেকে সাফল্য লাভ করবেন।

কিভাবে নতুন Youtube Channel থেকে সাফল্য লাভ করবেন।
একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেলকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। প্রথমদিকে কোন ভিউ থাকে না, সাবক্রাইবারস থাকে না, চ্যানেল পপুলারিটি থাকে না। তাই এটি আরো জটিল হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে দরকার প্রচুর ধৈর্যশক্তি ও কাজ করার ক্ষমতা। কিছু বিষয় মাথায় রেখে মেনে চললে এই কাজটার কষ্ট অনেকটা কমে যায়।

প্রথমত যা লাগবেঃ

১. Screen Video Recording Software

ভিডিও রেকর্ডিং সফটওয়্যার হিসেবে আমি Suggest করব আপনাদের Camtasia ব্যবহার করার জন্য। আমি নিজেও Personally এটা ব্যাবহার করি। Screen Video Recording সহ বেসিক লেভেলের এডিট করা যায়।
htt//goo.gl/ttnfwD এখান থেকে এর Trial ডাউনলোড করতে নিতে পারেন।

২. Video Editing Software

শুরুর দিকে এডিটিংও Camtasia দিয়েই করতে পারেন। এছাড়া এর চেয়ে ভালো এডিটিং এর জন্য Windows Movie Maker রয়েছে। Advance Editing এর জন্য Adobe Premiere Pro এবং Adobe After Effects সবচেয়ে ভালো হবে।

৩. Photo Editing Software

বিশেষ করে Thumbnail তৈরি করার জন্য একটি Photo Editing Software দরকার। Photo Editing এর জন্য Adobe Photoshop এর জুরি নেই।

৪. ক্যামেরা

ক্যামেরা থাকতেই হবে এমন কোন কথা নেই। কিন্তু ভিডিও এর আরো মান বাড়ানোর জন্য ক্যামেরা ব্যাবহার করা সবচেয়ে ভালো। একজন ভিউয়ার একটি ভিডিওতে একজন মানুষের শুধু কথার তুলনায় তার চেহেরা সহকারে বর্ণনাকে বেশি বিশ্বাস করেন। তাই এর ফলে খুব দ্রুত আপনার Subscriber ও ফলোয়ার বাড়বে।

৫. একটি ইউটিউব চ্যানেল

এরপর শুধু একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করুন। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে আপনাদের এই ডকুমেণ্টটি সাহায্য করবে, http://bn.rubelsbs.com/archives/132 

Advance Part:

এইসব উপকরণ নেয়া হয়ে গেলে এরপর কোমর বেধে মূল কাজে নেমে পড়ুন।

আকর্ষণীয় চ্যানেলের নাম

চ্যানেলেরটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চ্যানেলের নাম ভালো না হলে আপনার চ্যানেল সেরকম কোন ভালো পর্যায়ে যাওয়ার আগেই ভেঙ্গে পড়তে পারে। সবার থেকে আলাদা নাম রাখুন। যার নামে এর আগে কোন চ্যানেল তৈরি হইনি। না পেলে সময় নিন, ধীরে সুস্থে ভাবুন। এমন চ্যানেলের নাম রাখুন যা মানুষের জন্য কিছু অর্থ রাখবে এক কথাতেই আপনার পুরো চ্যানেলের বিষয় বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলবে।
কখনই চ্যানেলের নাম কিওয়ার্ড এর সাথে পুরোপুরি মিলিয়ে রাখবেন না। এতে আপনার তেমন কোন বেশি একটা লাভ হবে না।
আমার একটা চ্যানেল আমার নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর নাম দিয়ে বানানো হয়েছিল। ঐটার সাবসক্রাইবার এখন বর্তমানে 400+। এই একই কিওয়ার্ড এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপনার আর একটি চ্যানেলের একটি Unique নাম রেখেছিলাম। বর্তমানে সেখানে এখন 7000+ Subscriber আছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এটি আপনার চ্যানেলের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।

অনন্য

চ্যানেলের কভার, Profile Picture, Description, Home Customization অবশ্যই উন্নত করে রাখবেন। যাতে চ্যানেলের নাম এবং এর প্রতিটি বস্তু একে অপরের সাথে সম্পূর্ণভাবে খাপ খায় এবং সুন্দর দেখায়।

প্রচুর ভিডিও

ভিউ নেই বলে থেমে যাবেন না। ভিডিও আপলোড করতে থাকুন এবং কিন্তু তা অবশ্যই ভালো মানের ভিডিও হতে হবে।

সময় নষ্ট করবেন না

ভিডিও তৈরির প্রতিটি সেকেন্ডই মূল্যবান সেকেন্ড সময়ই মূল্যবান। কখনই একটি সেকেন্ড এর জন্যও আপনার ভিউয়ারসদের বিরক্ত হতে দিবেন না। একটুখনের জন্য তারা বিরক্ত হয়ে গেলেই তারা বাউন্স করবে। বাউন্স রেট 70% এর নিচে থাকলেই তা নেগেটিভ হিসেবে ধরা হয়।

Social Media এর সঠিক ব্যাবহার

বর্তমানে আধুনিক জীবনে মানুষ Google, Youtube থেকে আরো বেশি Facebook, Twitter, Instagram ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া বেশি চালায়। তাই অবশ্যই প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ফ্যান পেজ তৈরি করুন। ঐখান থেকে আপনার চ্যানেলের ব্রান্ডিং করুন। কিন্তু অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, এটি অ্যাডসেন্স তাই নিজের অফিশিয়াল পেজ ব্যতীত অন্য কোন জায়গায় পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকুন।

ভিডিও প্রকাশ করার সঠিক সময়

একটি নির্দিষ্ট সময় চ্যানেলে ভিডিও ছাড়লে Audience এর সর্বচ্চ Engagements পাওয়া যায়। এর ফলে সাধারন ভিউ থেকে শতকরা 40%+ এর চেয়ে বেশি ভিউ পাওয়া সম্ভব।
চ্যানেলের ভিউয়ারস এর স্থান, ভাষা ও ইন্টারেস্ট এর উপর এই সময় নির্ভর করে। উদাহরণ হিসেবে আমার চ্যানেলের কথা বলি, আমার চ্যানেলের বেশিরভাগ ভিসিটর US, Canada এবং India থেকে আসে। তাই আমি আমার বেশিরভাগ ভিডিও প্রতি সাপ্তাহের রবিবার একটি ও মঙ্গলবারে আর একটি ভিডিও পাবলিশ করি এবং Extra সময় পেলে শুক্রবারে আর একটি ভিডিও ছাড়ি।
এভাবে আপনিও আপনার নির্দিষ্ট সময় নির্বাচন করে নিতে পারেন।

সঠিক ভিডিও SEO

চ্যানেলের পপুলারটির 60%+ নির্ভর করে ভিডিও এস.ই.ও এর উপর। ভিডিওতে ভালো ভিউ আনতে হলে অবশ্যই ভালো SEO করতে হবে। বাকিসব কন্টেন্ট এর কোয়ালিটির উপর নির্ভরশীল।

Thumbnails

ইউটিউব এর ভিডি দেখার আগে ভিউয়ারস তার Thumbnail দেখে বিবেচনা করে সেই ভিডি দেখে। এই Thumbnail সে সর্বচ্চ ১-২ সেকেন্ড দেখে থাকে(আমি এই সময়ই দেখি :P)। এই ১-২ সেকেন্ডে যার Thumbnail যত ভালো হয় তত ভিউ পড়ে। তাই Thumbnail যত ভালো হবে ভিউ তত বেশি পড়বে। Thumbnail বানাতে Adobe Photoshop এর সাহায্য নিতে পারেন।

Secret Tips

এখন প্রশ্ন হতে পারে যে, “রাঙ্কিং এ তো সবার শুরুতে First Viewers পেতে হয়। এই First Viewers পাব কোথা থেকে? শত SEO করেও তো পারছি না।” এর জন্য আপনাদের জন্য বিশেষ Tips। এটি হচ্ছে “COMMENTS”। অন্য একই টপিক রিলেটেড ভিডিওতে গিয়ে কমেন্ট করুন। কিন্তু আপনার ভিডিও এর লিঙ্ক দিয়ে স্প্যাম কমেন্ট নয়। মানসম্মত কমেন্ট লিখুন। যেমন Nice, Awesome, I like this video, Thank u for the tips. একটি মান সম্মত উদাহরণ এমন হতে পারে, Your video is really helpful. Hope my  videos can also help people like that. 😉কিন্ত এমনি যে লিখতে হবে এমন কোন কথা নেই। অনেকেই এমন করতে গিয়ে স্প্যাম কমেন্ট করে ফেলে। তার থেকে শুধু “Very helpful, thanks” লিখে দেয়াটাই ভালো।
এর ফলে যখন ঐ ভিডিও যখন কোন মানুষ দেখতে যাবে, তখন আপনার চ্যানেলের কমেন্ট দেখবে। অফিশিয়াল নাম এবং Profile Picture তাকে ঐ চ্যানেলে কি আছে তা দেখতে উৎসাহিত করবে। এতে আপনার নিজের বিনোদনও হবে আর কাজও হবে 😛


সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

ভিডিও এর মানের উপর আর কোন ঔষুধ নেই। ভিডিও এর মান ভালো হলে একবার Top 20 ranking এ আসতে পারলে ইনশাল্লাহ উপরে উঠতে আপনাকে কেউ থামাতে পারবে না।

ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ পাবার এক্সট্রিম ট্রিক্স | Increase YouTube Video Views!

ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ পাবার এক্সট্রিম ট্রিক্স | Increase YouTube Video Views!
অনেক দিন পর ইউটিউব ভিডিও মার্কেটিং নিয়ে কিছু লেখার চেষ্টা করছি।
সাম্প্রতিক সময়ে পরিচিত/অপরিচিত অনেককেই দেখছি একটা কমন সমস্যার কথা বলছেন আর সেটা হলো “ভিডিওতে ভিউ আসছে না!”

আসলে প্রপারলি অপ্টিমাইজেশন করার পর ভিডিওতে ভিউ আসা শুরু করে। কিন্তু সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে আমরা কি আসলেই ঠিক মত অপ্টিমাইজেশন করছি?

প্রপার অপ্টিমাইজেশন প্রসেস শুরুই হয় কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে। কারণ আপনার কন্টেন্ট যতই ভাল হোক না কেন আপনি যদি ভুলভাল কিওয়ার্ড সেলেক্ট করে কাজ করেন তাহলে আপনি আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে রিচ করতে পারবেন না।

মুলত ইউটিউব ভিডিওতে ভিউ আসে ২টা ওয়েতেঃ
১টা হচ্ছে কিওয়ার্ড সার্চ করে আসা ভিউ। আর ২য়টা হচ্ছে এক্সটার্নাল সোর্স থেকে আসা ভিউ।



কিওয়ার্ড সার্চ থেকে আসা ভিউঃ

যেই কিওয়ার্ডে ওয়ার্ল্ডওয়াইড সার্চ কম সেখানে আপনি গুগলের ফার্স্ট পেজে থেকেও বেশি ভিউ পাবেন না। আবার যে কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম অনেক বেশি সেখানে আপনি র‍্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে একটু পিছিয়ে থাকলেও রেগুলার কিছু ট্র্যাফিক পাবেন। এটাই সহজ হিসাব যদি আপনি সার্চ থেকে অরগানিক ট্র্যাফিক পেতে চান।

হিসাব একটু সহজ করে বলি, ধরুন কোনও একটা কিওয়ার্ড গুগলে মান্থলি ১লাখ সার্চ থাকে তাহলে সেটার টপ রেজাল্টে সবচেয়ে বেশি ট্র্যাফিক যাবে। হয়তো এভারেজে ৩০% এর বেশি। যে সেকেন্ড পজিশনে থাকবে সেটা টপের চেয়ে কিছু কম ট্র্যাফিক পাবে। এভাবেই র‍্যাঙ্কিং যত ডাউনে থাকবে সেটাতে ট্র্যাফিকও কিছুটা কমতে থাকবে।

আমরা যখন নরমালি ভিডিও মার্কেটিং প্ল্যানিং করি তখন মেইন কিওয়ার্ড রাখি ২/৩টা আর বাকি কিছু সেকেন্ডারি কিওয়ার্ড। যদি টোটাল ১০টা কিওয়ার্ড নেই আর সবগুলো মিলিয়ে যদি মোটামোটি ৫ লাখ সার্চ ভলিউম থাকে তাহলে বিভিন্ন কিওয়ার্ডে টুকটাক কিছু র‍্যাঙ্কিং পেলেই আমরা ডেইলি একটা ডিসেন্ট ট্র্যাফিক পাবো শুধু মাত্র সার্চ থেকে। এভাবেই আমরা যত বেশি/কম সার্চ ভলিউমের কিওয়ার্ড ফোকাস করে অপ্টিমাইজেশন করবো সেটার ট্র্যাফিক পাবার অনুপাতও সেইভাবেই থাকবে।

মনে রাখবেন র‍্যাঙ্কিং একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে হয়। ইউটিউবের অলগারিদমে যেসব র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর আছে সেগুলো মেনে চললে ধীরে ধীরে আপনি র‍্যাঙ্কিং এ উপরে উঠতে থাকবেন। এখানে ব্ল্যাক ম্যাজিক টাইপ কিছুতে বিশ্বাস না করে নিজের কাজের কোয়ালিটির উপর নির্ভর করুন।

*** সার্চ ট্র্যাফিক থেকে আসা ট্র্যাফিক নিয়ে এগুলা যা বললাম তা রেগুলার কিওয়ার্ডগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কোন ইভেন্ট/হট ট্রেন্ডি নিউজের ক্ষেত্রে আসলে এভাবে ট্র্যাক করার কোনও উপায় নেই। আপনার ভিডিও হিট হলে রাতারাতি চ্যানেল জিরো থেকে হিরো হয়ে যাবে আর হিট না হলে তো কিছু করার নেই।
ট্রেন্ডি ভিডিও নিয়ে আমার এই পোষ্টটি পড়তে পারেনঃ YouTube Trendy Videos


এক্সটার্নাল সোর্স থেকে আসা ভিউঃ

প্রথমেই বলেছি ইউটিউবে ভিডিও ভিউ হবার ২টা ওয়ে আছে। একটা হচ্ছে ইউটিউবের রেগুলার ট্র্যাফিকের সার্চ থেকে আসা ভিউ আরেকটা হচ্ছে ইউটিউবের বাইরের বিভিন্ন এক্সটার্নাল সোর্স থেকে ভিউ। এক্সটার্নাল সোর্স বলতে বুঝাচ্ছি, ইউটিউব বাইরে আপনার অডিয়েন্স আছে এমন প্ল্যাটফর্মগুলোর কথা।

আমি আমার ভিডিও মার্কেটিং ক্যারিয়ারে যেভাবে কিছু অ্যাডভান্স অপ্টিমাজেশন স্ট্রেটেজি এবং ভিউ পাবার কিছু সিস্টেম এপ্লাই করেছি সেগুলোর কয়েকটা এখন শেয়ার করছি আপনাদের সাথে।

১। Social Shares: আমরা যারা ইতোমধ্যে ভিডিও মার্কেটিং করছি তারা সবাই খুব ভাল করেই জানি যে ইউটিউব ভিডিও র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টরসগুলোর মধ্যে সোশ্যাল শেয়ার গুলো কত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমি এখানে বলবো একদম রিলেভেন্ট অডিয়েন্সের সাথে আপনার ভিডিও শেয়ারের ফলে এক্সট্রা ভিউ এর কথা।

ধরুন আপনি Weight Loss” এর কিছু সুন্দর টিপস নিয়ে একটি ভিডিও বানালেন। রেগুলার অপ্টিমাইজেশন করার পরও হয়তো কিছু ভাল কিওয়ার্ডে র‍্যাঙ্কিং পাচ্ছেন না অনেক বেশি কম্পিটিশনের কারণে। কিন্তু আপনি যদি আপনার এই ভিডিওটা ফেসবুক বা অন্য ভাল কিছু সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের এমন কিছু গ্রুপ বা পেজে শেয়ার করেন যেখানে মানুষ নিজের ওজন কমানোর জন্য হন্নে হয়ে বেড়াচ্ছে তাহলে আপনি তাৎক্ষণিক বেশ ভাল কিছু ভিউ পেয়ে যাবেন। আপনি যদি আপনার ভিডিওতে আসলে এমন কিছু ইনফরমেশন দিয়ে থাকেন যেটা আসলেই ওই সব লোকের কাছে ভ্যালুয়েবল মনে হয় তাহলে তারা নিজ থেকেই আপনার ভিডিওকে শেয়ার করবে, থাম্বস আপ দিবে, আপনার চ্যানেলকে সাবস্কাইব করবে। সবচেয়ে মজার কথা হচ্ছে এই ভিডিওর মাধ্যমে যদি আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রমট করেন তাহলে খুব সহজেই আপনি কনভার্সন পেতে পারেন।

সোশ্যাল শেয়ারস গুলো আপনি চাইলে আরও একটু ইফেক্টিভলি করতে পারেন। ধরুন আপনি একটা নির্দিষ্ট এরিয়াকে ফোকাস করে ভিডিও বানিয়েছেন যেমন, Best Restaurants in Chicagoতাহলে শিকাগো শহরের মানুষজন ভিড় করছে এমন কিছু জায়গায় আপনার ভিডিওটি আপনি এভাবে শেয়ার করতে পারেন, “শিকাগো বেষ্ট কোন কোন রেস্টুরেন্টে আপনি খেয়েছেন? আমি তো অনেকগুলোতে খেয়েছি কিন্তু এই ভিডিওতে বেশ কয়েকটা রেস্টুরেন্টের ব্যাপারে বলা হয়েছে। আপনিও দেখে নিন কোন রেস্টুরেন্টে আপনি গিয়েছেন”

এটা স্রেফ একটা উদাহরণ দিয়েছি, আপনি আপনার মত সুন্দর একটা ক্যাপশন দিয়ে ভিডিও শেয়ার করতে পারেন। একবার যদি ভাইরাল হয়ে যায় তাহলে আর আপনাকে পায় কে :D সব গুলোই USA এর ভিউয়ার!


২। Q/A Sites: দুনিয়ার তাবত মানুষ যারা বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে বেড়াচ্ছে তারা সবার আগেই গুগলে সার্চ করে এবং এরপরে জনপ্রিয় কোয়েশ্চেন/এন্সার সাইটে ঢু মারে।
আপনি ভিডিও আপলোড করার পর আপনার ভিডিওটি এধরণের ভাল কিছু অথারিটি সাইটে গিয়ে পোষ্ট করতে পারেন। পোষ্ট করতে বললাম এর মানে এই নয় যে গিয়েই উলটাপালটা কোনও জায়গায় গিয়ে কমেন্ট করে এলেন। আপনার ভিডিওর সাথে একদম প্রাসঙ্গিক এমন প্রশ্নের উত্তরে গিয়ে সুন্দর করে সাবলিল ভাসায় ২ লাইন লিখে এরপর সোর্স হিসেবে আপনার ভিডিও লিঙ্ক দিয়ে দিতে পারেন। মডারেটর যখন দেখবে আপনি ফালতু অপ্রাসঙ্গিক কিছু লিখেন নাই তখন আপনার কমেন্টটি এপ্রুভ করে দিবে। আপনার কমেন্ট থেকে অন্য মানুষেরা ভ্যালু পাবে আর তারাও সেখান থেকে সোর্স ভিডিওতে যাবে।

যতদিন যাবে ততদিন আপনার কমেন্ট আরও বেশি অথারিটি পেতে থাকবে আর আপনি আজীবনের জন্য একটা ভ্যালিড ট্র্যাফিক সোর্স ক্রিয়েট করে নিলেন।

এক্ষেত্রে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ যেমনঃ
ক) হুট করে অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করেই সাথে সাথে লিঙ্ক পোষ্ট করা যাবে না।
খ) অবশ্যই অ্যাকাউন্ট করার পর প্রোফাইলে ইনফরমেশন দিয়ে পরিপূর্ণ করে নিতে হবে।
গ) রেগুলার অন্যান্য ক্যাটাগরির বিভিন্ন পোষ্টে ভাল রকম কন্ট্রিবিউট করতে হবে যেন প্ল্যাটফর্ম বুঝতে না পারে যে আপনি এখানে শুধু নিজের লিঙ্ক গুলো শেয়ার করতে এসেছেন ;)


৩। Forum Marketing: আপনার নিশের ফেমাস ফোরামগুলো হচ্ছে আপনার অনেক বড় একটা টার্গেট অডিয়েন্সের আড্ডাখানা। ফোরাম গুলোতে একটু এক্টিভ থেকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন পোষ্টে কমেন্ট করে আর থ্রেড পোষ্ট করে আপনার ভিডিওকে প্রমোট করতে পারেন। যখন আপনি একটু পুরাতন মেম্বার হয়ে যাবেন আর ফোরামের অন্যান্য মেম্বারগুলো আপনাকে চিনবে, আপনার পোষ্ট ফলো করবে তখনি আপনি দেখবেন শুধু মাত্র এই ফোরাম গুলোর মাধ্যমেই আপনি রেগুলার ভিউ পাবেন। কিছু ফোরামে ইউটিউব ভিডিও এম্বেড করার অপশন থাকে। যেখানে এম্বেডের অপশন থাকেনা সেখানে শুধু আপনি আপনার ভিডিও লিঙ্ক শেয়ার করতে পারেন। তবে অবশ্যই এবং অবশ্যই থ্রেড/কমেন্টে ভাল কয়েক লাইন ইনফরমেশন লিখে এরপর আপনি ভিডিও লিঙ্ক পোষ্ট করবেন। তাতে ব্যাপারটা বিরক্তিকর দেখায় না।

এলেক্সার (http://www.alexa.com) অফিশিয়াল সাইটে গিয়ে Top Sites নেভিগেট করে Category থেকেই নিশ রিলেটেড সর্বাধিক ট্র্যাফিকের ফোরাম খুঁজে নিতে পারেন সহজেই।

এছাড়াও কিওয়ার্ড টার্গেটেড ফোরাম খুঁজে বের করতে গুগলের সার্চ অপশনে এই ফর্মুলা ব্যবহার করতে পারেনঃ
“Your Keyword” Forum


৪। Image Sharing Sites: আপনি যেহেতু আপনার ভিডিওকে অনেক ভালভাবে অপ্টিমাইজ করার চেষ্টা করছেন তাই ধরে নিচ্ছি আপনি খুব আকর্ষণীয় একটা কাস্টম থাম্বনেল বানিয়েছেন আপনার ভিডিওর জন্য এবং সেটাই সেট করে রেখেছেন। আপনি ওই থাম্বনেল ইমেজ গুলো পপুলার কিছু ইমেজ শেয়ারিং সাইটে আপলোড করতে পারেন সেইম টাইটেল/ট্যাগ দিয়ে এবং সাথে আপনার ভিডিওর লিঙ্কও দিতে পারেন। ওই সব সাইটের নিজেদের প্রচুর ট্র্যাফিক আছে যেখান থেকে আপনার আই ক্যাচি থাম্বনেলের কারণে ভিডিওতে ট্র্যাফিক ড্রাইভ করতে পারেন।


৫। Article Sharing Sites: ওয়েবে অনেক ভাল ভাল সাইট আছে যেখানে আপনার আর্টিকেল/স্টোরি পাবলিশ করতে পারেন। জাস্ট একটা অথার অ্যাকাউন্ট করে নিতে হয়। সেখানে আপনি আপনার ভিডিওর কন্টেন্টের কিছু ইনফো গুছিয়ে লিখে সাথে আপনার ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করে দিতে পারেন। এসব সাইটের প্রচুর রিডার। আপনার দরকার শুধু খুব ভাল একটা অপ্টিমাইজড টাইটেল যেটা কিনা সহজেই চোখে পড়ে।

এমন একটা সাইট হচ্ছে https://medium.com। এমন অনেক সাইট পাবেন গুগল থেকে। কিছু প্রিমিয়াম আর্টিকেল শেয়ারিং সাইট আছে, আবার কিছু মডারেশন ফ্রি সাইটও আছে। খুঁজে খুঁজে ভাল ট্র্যাফিকের সাইটে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারেন।



৬। Wiki Sites: WikiHow আর Wikipedia এই ২টা সাইটের ট্র্যাফিক সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নাই। আপনি যদি কোনও প্রবলেমের সলিউশন নিয়ে ভিডিও বানান তাহলে অবশ্যই সেটা উইকিহাওতে পোষ্ট করবেন। সেই সাথে উইকিপিডিয়াতে একদম রিলেভেন্ট আর্টিকেলে নতুন কিছু ইনফো অ্যাড করে সোর্স হিসেবে আপনার ইউটিউব ভিডিও লিঙ্ক শেয়ার করতে পারবেন। একদম লেজিট ট্র্যাফিক পাবেন আজীবন। লাইফটাইম গ্যারান্টি। যতদিন আপনার ভিডিও ইউটিউবে থাকবে ততদিন আপনি এসব থেকে রেগুলার কিছু কিছু ভিউ পেতে থাকবেন।


সবকথা এখানেই শেষ করতে পারতাম কিন্তু কিছু কথা লেখা অনেক জরুরি তাই শেয়ার করছি। উপরের লেখা স্ট্রেটেজি অনুযায়ী আপনি লাইফটাইম ট্র্যাফিক পেতে থাকবেন কিন্তু এজন্য অবশ্যই এবং অবশ্যই আপনাকে খুব ভাল কোয়ালিটির ভিডিও প্রডিউস করতে হবে যেখানে আপনার ভিউয়ার এসে নিজের দরকারের ভ্যালুটা পাবে। যদি ফানি ভিডিও হয় সে এসে ভিডিও দেখে হাসবে, যদি প্রোডাক্ট রিভিউ হয় তাহলে ভিডিও দেখে প্রোডাক্টের ইউজার ফিডব্যাকের ব্যাপারে খুব ভাল একটা ধারণা পাবে, ইভেন যদি আপনার ভিডিও হয় ইনফরমেশন ব্যাজড যেমন Best Smartphones. Top Places to visit, Creative Paper crafts তাহলে সে এসে যেন আসলেই এগুলাই দেখতে পায়।

ভুল টাইটেল বা ট্যাগ ইউজ করে ভিউয়ারকে ম্যানুপুলেট করে একবার হয়তো আপনি ভিউ করাতে পারবেন কিন্তু আজীবনের জন্য এমন একটা ভিউয়ার হারাবেন যে কিনা আপনাকে খুঁজে এসে নিজের সময় নষ্ট করে গেল!

এই পর্যায়ে এসে অনেকেই হয়তো ভাবছেন আমি কিছু মিস করে গেছি কি’না। হ্যা ভাই মিস করেছি কিছু জিনিস কিন্তু সেসব আপনারা প্রপার অপ্টিমাইজশন প্রসেসের মধ্যেই করে নেবার কথা। তাও বলছি, ভাল কিছু Web 2.0 করা, অনেক সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে নিজের ভিডিও শেয়ার করা যা শুধু মাত্র সোশ্যাল সিগন্যাল থেকে র‍্যাঙ্কিং পাবার জন্য যেটা বেশ ইফেক্টিভ। এগুলাও এক্সটার্নাল ভিউ সোর্স হিসেবে কাউন্টেবল কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা এগুলো করি র‍্যান্ডমলি। যেখানে হয়তো ট্র্যাফিক নেই সেখানেও পোষ্ট করি শুধু মাত্র গুগোল/ ইউটিউবকে ব্যাকলিঙ্ক দেখানোর জন্য।

বিঃদ্রঃ যারা ইউটিউবের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করছেন তারা অবশ্যই এবং অবশ্যই লং টেইল বায়িং কিওয়ার্ড ফোকাস করে ভিডিও বানান। সার্চ ভলিউম কম হোক কিন্তু কনভার্সন ভাল হবে। আর যারা অ্যাডসেন্স টার্গেট করে ভিডিও মার্কেটিং করবেন তারা অবশ্যই হাই সার্চ ভলিউম কিওয়ার্ড ফোকাস করে ভিডিও বানান।


আজকের মত অনেক লিখে ফেলসি। পুরো লেখাটি হয়তো ১৬০০ শব্দের বেশি হয়ে যাবে।

যারা এত কষ্ট করে এই লেখাটি পড়েছেন তাদের জন্য ছোট্ট একটি গিফট দিচ্ছি এখানেঃ

এক্সটার্নাল ভিউস পাবার জন্য আমি যেসব সোর্সের কথা উল্লেখ করেছি সেখানে ম্যানুয়ালি অ্যাকাউন্ট করতে অনেক সময় লাগবে। আপনাদের সময় বাঁচানোর জন্য আমি একটু ছোট্ট টুল আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। অনেকেই হয়তো আগে থেকেই জেনে থাকবেন, যারা জানেন না তাদের উপকারে আসবে।
এটা হচ্ছেঃ http://www.roboform.com/

আপনারা চাইলে এটা ডাউনলোড করে ইন্সটল করতে পারেন বা চাইলে গুগোল ক্রোম বা ফায়ারফক্সের জন্য অ্যাডঅন্সও ইউজ করতে পারেন।

আরও একটি সুন্দর টুলস আছে যেটা পরবর্তী পোষ্টে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ্‌।

আমার এই লেখাটির গঠনমূলক সমালোচনা কাম্য। যদি আপনি এই লেখা থেকে একটু হলেও ভ্যালু পেয়ে থাকেন তাহলে শেয়ার করুন নিজের বন্ধুদের সাথে। দয়া করে দোয়া করবেন আমার জন্য :)