সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আজ
সোমবার টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, বাংলাদেশে যতদিন
একজন মানুষও নিরাপদ না হয়েছেন ততদিন ফেসবুক বন্ধ থাকবে।
সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আজ সোমবার টেলিযোগাযোগ
প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, বাংলাদেশে যতদিন একজন মানুষও নিরাপদ না
হয়েছেন ততদিন ফেসবুক বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের
মাধ্যমগুলো বন্ধ থাকায় দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির রায় কার্যকরের পর নাশকতা
হয়নি।
তিনি বলেন, এগুলো সাময়িক বন্ধ থাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল
রয়েছে। অন্যান্য রায়ের পর যে ছোটোখাটো নাশকতা ঘটতো সে তুলনায় পরিস্থিতি
অনেক নিয়ন্ত্রণে আছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ থাকায় মিথ্যা
প্রোপাগান্ডা ছড়ানো এবং নাশকতা রোধ করা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের
চেয়ে আমাদের কাছে একটি মানুষের জীবন অনেক গুরুত্বপূর্ণ- যোগ করেন তিনি।
ফেসবুক বন্ধ করায় একজন মানুষও বিরক্তি পোষণ করেনি দাবি করে প্রতিমন্ত্রী
বলেন, আইন অনুযায়ী সরকার জননিরাপত্তার স্বার্থে এগুলো বন্ধ রাখার অধিকার
রাখে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এর আগে অন্য যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের পর ফেসবুক
ব্যবহার করে অনেক ধরনের নাশকতা হয়েছে। তখন ফেসবুক খোলা ছিল। তবে এবার বন্ধ
থাকায় তেমন বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। এটাকেই সরকার সাফল্য হিসেবে দেখছে।
‘মাথাব্যথার জন্য এটা মাথা কেটে ফেলার শামিল কি না’ সাংবাদিকদের এমন
প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কথাটা আমাকে অনেকে করেন।
মন্ত্রিপরিষদের কিছু সদস্যও আমাকে এ প্রশ্ন করেছেন। তবে আমরা মাথা কেটে
ফেলিনি, কিছু সুবিধা বন্ধ করেছি মাত্র।
প্রতিমন্ত্রী জানান, ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন নিশ্চিত করতে কাজ করছে
সরকার। বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যুতে ফেসবুকের সঙ্গে একটি চুক্তির বিষয়ে
আলোচনা চলছে। ফেসবুক ব্যবহার করে যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করা হয়, সরকার
যেন তা তদারক করতে পারে সে জন্য ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে
আলোচনা করা হচ্ছে। এর ফলে জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং ফেসবুক
অপব্যবহারকারীদের ধরতে পারবে সরকার।