Showing posts with label খবর. Show all posts
Showing posts with label খবর. Show all posts

এবার মোবাইল রিচার্জের লিমিটেও আসছে বাধ্যবাধকতা !

এবার মোবাইল রিচার্জের লিমিটেও আসছে বাধ্যবাধকতা !
 mobilerecharhge
মোবাইল ফোনের দৈনিক রিচার্জ সীমা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে সরকার ৷ একটি সিমে দিনে ৫০০ টাকার বেশি রিচার্জ করা যাবে না, এমন বিধিনিষেধ আরোপের কথা ভাবছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসির এ প্রস্তাবনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
অবৈধ ভিওআইপি (ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল) কল বন্ধেই এমনটি করা হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত ২১ অক্টোবর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে জয় অবৈধ কলের লাগাম টেনে ধরতে সিমের রিচার্জ মাত্রার একটা সীমা নির্ধারণের পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অবৈধ পথে বিদেশ থেকে কল যাওয়া-আসার পরিমাণ বেড়ে গেছে।
বিটিআরসির তথ্যমতে, জুনে যেখানে বৈধভাবে গড়ে প্রতিদিন ১২ কোটি মিনিট আন্তর্জাতিক কল এসেছে, এখন তা কমে ৯ কোটির নিচে নেমেছে।
অবশ্য এ কল কমার পেছনে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটরদের একটা ভূমিকা আছে। গত ২৪ জুন থেকে দেশে আন্তর্জাতিক কল প্রবেশ করে সরকার ঘনিষ্ট ৭ আইজিডব্লিউ অপারেটরের সমন্বয়ে গঠিত আইজিডব্লিউ অপারেটর ফোরামের (আইওএফ) কমন ইন্টারন্যাশনাল পয়েন্ট (সিআইপি) দিয়ে।
অন্য ১৬টি আইজিডব্লিউ এদের মাধ্যমে ব্যবসা করে। আইওএফ বিটিআরসিকে না জানিয়ে হঠাৎ করে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট দেড় সেন্ট থেকে বাড়িয়ে দুই সেন্ট করে। এতেও বৈধ পথে কলের সংখ্যা কমে যায়। রেট বাড়ানো হলেও আইজিডব্লিউ বাদে অন্য অংশীদারদের মধ্যে ( মোবাইল অপারেটর, ইন্টার এক্সচেঞ্জ অপারেটরদের (আইসিএক্স) ও বিটিআরসি) দেড় সেন্ট দরেই রাজস্ব ভাগাভাগি হচ্ছে।
বিটিআরসি সম্প্রতি আন্তর্জাতিক কল রেটের একটা সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেয়ার জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব করেছে। বিটিআরসি চাইছে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেটের সর্বোচ্চ সীমা এক দশমিক দুই সেন্ট হোক।

সবার জেনে রাখা ও শেয়ার করা উচিত– বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করার আসল কারণ

সবার জেনে রাখা ও শেয়ার করা উচিত– বাংলাদেশে ফেসবুক বন্ধ করার আসল কারণ
Screenshot_12
ফেসবুক বন্ধের ফল অচিরেই পাবে দেশবাসী
নিউজ ডেস্ক: একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ওজামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের চূড়ান্ত আদেশের পর থেকেদেশে ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ রয়েছে।
সাম্প্রতিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের প্রতিক্রিয়া লিখেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি।
পাঠকের জন্য তা তুলে ধরা হলো লেখাটি….
লেখাটি আমি “প্রতিমন্ত্রীর জায়গা থেকে লিখছি না”, লিখছি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে- যে দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই কিন্তুু- চাঁদে কারো মুখ দেখার গুজবে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ, আবার একটি পোস্টের কারণে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) বৌদ্ধ্য বিহারে চলেছে হামলা- আমরা সব ভুলে গেছি। ভুলে গেছি বহু দেশ আজকের দিন পর্যন্ত সেদেশগুলোর মানুষের নিরাপত্তার জন্য “ইন্টারনেট” পর্যন্তও সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সেদেশের নাগরিকেরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে নিয়েছে, “টু” শব্দটি করেননি। হয়তো তারা ভাবছেন- “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দুর্ঘটনা ঘটার আগে “ সাময়িক বন্ধ ” রাখলে এই মানুষগুলোর জীবন ( FRANCE এর) বাঁচানো যেত কি?” আরেকটি ঘটনা বলি, পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া এক চিত্রগ্রাহক একটি ছবি তুললেন ক্ষুধার্ত এক শিশু এবং তার মুখোমুখি একটি শকুনের। ছবি হিসাবে অসাধারণ। তার সামনে ২টি বিকল্প ছিল- হয় তিনি ছবিটি তুলবেন, নয়তো শিশুটিকে দ্রুত তুলে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যাবেন। তার কাছে প্রথম বিকল্পটি আকর্ষণীয় মনে হলো। তিনি তুললেন অসাধারণ ছবিটি।
কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শিশুটি মারা গেল। চিত্র গ্রাহক পেলেন “ পুলিৎজার পুরস্কার ”। কর্মের এক বিরল স্বীকৃতি। কিন্তু বিবেক তাকে তাড়া করলো সর্বক্ষণ- “যদি তখন ছবি না তুলে শিশুটিকে তিনি নিয়ে যেতেন নিকটবর্তী অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে, অন্তত বাঁচাবার চেষ্টা তো করতে পারতেন! ” অনুশোচনায় আত্মহত্যা করলেন তিনি।
আমরা বড় বেশি কঠিন, কঠোর হয়ে গেছি- তাই মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ধন্যবাদ সকলকে যারা মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টাকে ব্যঙ্গ করেন, তিরস্কার করেন। এ জন্যই হয়ত মানুষের জায়গায় আসছে রোবট। রোবট হবার পথ থেকে খুব দূরে কি আমরা?
এবার একজন জনপ্রতিনিধির জায়গা থেকে লিখি- যার অনুরোধ পুরো লেখাটি ছাপাবার, খণ্ডিত আকারে নয়। বহুবার এই অনুরোধ করেছি, ফল পাইনি- খণ্ডিত সংবাদ বিভ্রান্তি ছড়ায়- এটুকু যেন ভুলে না যাই।
প্রথমত: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অস্থায়ীভাবে, সাময়িক সময়ের জন্য জননিরাপত্তার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, সরকারের জনজীবনের নিরাপত্তারক্ষার দায়িত্বের অংশ হিসাবে (আবারো উল্লেখ করছি) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, লক্ষ্য করবেন এবার শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের আগে বা পরে দেশে বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটেনি। ধর্মযাজকের উপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিশিষ্টজনদের প্রাণনাশের হুমকিদাতাও গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন নাশকতার জন্য কতজন পরিকল্পনাকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য এবার গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
তৃতীয়ত, না, “মাথাব্যথার জন্য আমরা মাথা কেটে ফেলিনি” – কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত ও সরকারের নির্দেশনা পেলেই এসব মাধ্যম খুলে দেয়া হবে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেবার জন্য একটি প্রাণহানিও ঘটে তখন কিন্তু জনগণ সরকারকেই দোষারোপ করেন, করবেন। তাহলে জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকার সাময়িক সহযোগিতা চাইলে তা দিতে আমরা কুণ্ঠিত হব কেন ?
চতুর্থত, বিকল্প ব্যবস্থা কি নেয়া যেত না? আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রায় সাড়ে চার মাস। এর মধ্যে সিম/রিম নিবন্ধন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম জোরদার করা, ব্যান্ডইউথের দাম কমানো, টেলিটককে সক্ষম করা, বায়োমেট্রিকস চালু করা, ডাক বিভাগের জন্য E-Cash transfer সম্প্রসারণ ও ১১৮টি যানবাহন ক্রয় প্রক্রিয়া, MNP চালুর জন্য প্রক্রিয়া শুরুসহ দায়িত্ব পাবার ৩ দিনের মাথায় “প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলা” করার জন্যও কাজ শুরু করেছি।
প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তি মোকাবেলার জন্য আমি প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর -ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি যার মাধ্যমে দেশের বাইরের আপত্তিকর কনটেন্ট ফিল্টার্ড হয়ে দেশে প্রবেশ করবে,
জনগণের ও নারীদের নিরাপত্তা বাড়বে।
11G দের DPI এর Capacity যাচাই করার এবং ৭দিনের মধ্যে উক্ত 11G দের তা জানিয়ে উপযুক্ত Capacity র DPI ও বসাবার জন্য (লাইসেন্সের শর্ত মোতাবেক)- নির্দেশনা দিয়েছি- ISP দের Database তৈরি, লাইসেন্স প্রাপ্তদের Database তৈরি সহ, যারা যত্রতত্র ইন্টারনেট সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের বৈধভাবে শর্তপূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স নিয়ে সম্পূর্ণ Database তৈরি করা এবং সকল ISP রা কাদের সংযোগ দিচ্ছেন তার তালিকা তৈরি করার জন্য BTRC কে নির্দেশনা দিয়েছি।
এই কাজগুলো কিন্তু চলছে। ৩ মাস খুব বেশি সময় নয়, অচিরেই এর ফল পাবেন।
যারা জনস্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ রেখে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিয়ে নাশকতাকারীদের খুঁজে বের করতে, নাগরিকের জীবন বাঁচাতে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন তাদের এই দেশপ্রেমের জন্য অকুণ্ঠ সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা ভিন্ন পথে এসব মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের নিজেদের ID হ্যাক হতে পারে- এই সতর্কতাও দেয়া প্রয়োজন। যারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও তিরস্কার করেছেন তাদের কাছে ব্যক্তি আমি জীবন বাঁচাবার চেষ্টা করার জন্য, রাষ্ট্রের একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে জননিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা পালনে গর্বিত হয়েও ক্ষমাপ্রার্থী।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সকলের দায়িত্ব জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই কাজটি সততার ও নিষ্ঠার সাথে করার জন্য যারা আমাকে প্রবল তিরস্কার করেছেন তা আমি নতমস্তকে গ্রহণ করলাম কারণ হয়তো এ কারণে আজ কোথাও এক মায়ের সন্তান হাসিমুখে তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে- অক্ষত। এ প্রাপ্তিটুকুও আমার জন্য কম নয়। কম নয় কারও জন্যই।

দেশের মানুষের জীবনরক্ষার চেষ্টা করার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী

দেশের মানুষের জীবনরক্ষার চেষ্টা করার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী


দেশের মানুষের জীবনরক্ষার চেষ্টা করার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী

দেশের মানুষের জীবনরক্ষার চেষ্টা করার জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী

লেখাটি আমি “প্রতিমন্ত্রীর জায়গা থেকে লিখছি না”,  লিখছি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে- যে দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই কিন্তুু- চাঁদে কারো মুখ দেখার গুজবে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ, আবার একটি পোস্টের কারণে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) বৌদ্ধ্য বিহারে চলেছে হামলা- আমরা সব ভুলে গেছি। ভুলে গেছি বহু দেশ আজকের দিন পর্যন্ত সেদেশগুলোর মানুষের নিরাপত্তার জন্য “ইন্টারনেট” পর্যন্তও সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সেদেশের নাগরিকেরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে নিয়েছে, “টু” শব্দটি করেননি। হয়তো তারা ভাবছেন- “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দুর্ঘটনা ঘটার আগে  “ সাময়িক বন্ধ ” রাখলে এই  মানুষগুলোর জীবন  ( FRANCE এর) বাঁচানো যেত কি?” আরেকটি ঘটনা বলি, পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া এক চিত্রগ্রাহক  একটি ছবি তুললেন ক্ষুধার্ত এক শিশু এবং তার মুখোমুখি একটি শকুনের। ছবি হিসাবে অসাধারণ। তার সামনে ২টি বিকল্প ছিল- হয় তিনি ছবিটি তুলবেন, নয়তো শিশুটিকে দ্রুত তুলে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যাবেন। তার কাছে প্রথম বিকল্পটি আকর্ষণীয় মনে হলো। তিনি তুললেন অসাধারণ ছবিটি।কিন্তুু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শিশুটি মারা গেল। চিত্র গ্রাহক পেলেন  “ পুলিৎজার পুরস্কার ”। কর্মের এক বিরল স্বীকৃতি। কিন্তুু বিবেক তাকে তাড়া করলো সর্বক্ষণ- “যদি তখন ছবি না তুলে  শিশুটিকে তিনি নিয়ে যেতেন নিকটবর্তী অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে, অন্তত বাঁচাবার চেষ্টা তো করতে পারতেন! ” অনুশোচনায় আত্মহত্যা করলেন তিনি। আমরা বড় বেশি কঠিন, কঠোর হয়ে গেছি- তাই মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টাকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ধন্যবাদ সকলকে যারা মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টাকে ব্যঙ্গ করেন, তিরস্কার করেন। এ জন্যই হয়ত মানুষের জায়গায় আসছে রোবট। রোবট হবার পথ থেকে খুব দূরে কি আমরা? এবার একজন জনপ্রতিনিধির জায়গা থেকে লিখি- যার অনুরোধ পুরো লেখাটি ছাপাবার, খণ্ডিত আকারে নয়। বহুবার এই অনুরোধ করেছি, ফল পাইনি- খণ্ডিত সংবাদ বিভ্রান্তি ছড়ায়- এটুকু যেন ভুলে না যাই।
প্রথমত: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অস্থায়ীভাবে, সাময়িক সময়ের জন্য জননিরাপত্তার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, সরকারের জনজীবনের নিরাপত্তারক্ষার দায়িত্বের অংশ  হিসাবে  (আবারো উল্লেখ করছি) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, লক্ষ্য করবেন এবার শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায়ের আগে বা পরে দেশে বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটেনি। ধর্মযাজকের উপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিশিষ্টজনদের প্রাণনাশের হুমকিদাতাও গ্রেপ্তার হয়েছেন । স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন নাশকতার জন্য কতজন পরিকল্পনাকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য এবার গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
তৃতীয়ত, না, “মাথাব্যথার জন্য আমরা মাথা কেটে ফেলিনি” – কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত ও সরকারের নির্দেশনা পেলেই এসব মাধ্যম খুলে দেয়া হবে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেবার জন্য একটি প্রাণহানিও ঘটে তখন কিন্তুু জনগণ সরকারকেই দোষারোপ করেন, করবেন।  তাহলে জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকার সাময়িক সহযোগিতা চাইলে তা দিতে আমরা কুণ্ঠিত হব কেন ?
চতুর্থত, বিকল্প ব্যবস্থা কি নেয়া যেত না? আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রায় সাড়ে চার মাস। এর মধ্যে সিম/রিম নিবন্ধন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম জোরদার করা, ব্যান্ডইউথের দাম কমানো, টেলিটককে সক্ষম করা, বায়োমেট্রিকস চালু করা, ডাক বিভাগের জন্য E-Cash transfer  সম্প্রসারণ ও ১১৮টি যানবাহন ক্রয় প্রক্রিয়া, MNP চালুর জন্য প্রক্রিয়া শুরুসহ দায়িত্ব পাবার ৩ দিনের মাথায়  “প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলা” করার জন্যও কাজ শুরু করেছি।
প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তি মোকাবেলার জন্য আমি প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর -ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি যার মাধ্যমে দেশের বাইরের আপত্তিকর কনটেন্ট ফিল্টার্ড হয়ে দেশে প্রবেশ করবে, জনগণের ও নারীদের নিরাপত্তা বাড়বে।
11G দের DPI এর Capacity যাচাই করার  এবং ৭দিনের মধ্যে উক্ত 11G দের তা জানিয়ে উপযুক্ত Capacity র DPI ও বসাবার জন্য (লাইসেন্সের শর্ত মোতাবেক)- নির্দেশনা দিয়েছি- ISP দের Database তৈরি, লাইসেন্স প্রাপ্তদের Database তৈরি সহ, যারা যত্রতত্র ইন্টারনেট সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের বৈধভাবে শর্তপূরণ সাপেক্ষে লাইসেন্স নিয়ে সম্পূর্ণ Database তৈরি করা এবং সকল ISP রা কাদের সংযোগ দিচ্ছেন তার তালিকা তৈরি করার জন্য BTRC কে নির্দেশনা দিয়েছি।
এই কাজগুলো কিন্তু চলছে। ৩ মাস খুব বেশি সময় নয়, অচিরেই এর ফল পাবেন।
যারা জনস্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ রেখে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিয়ে নাশকতাকারীদের খুঁজে বের করতে, নাগরিকের জীবন বাঁচাতে সরকারকে সহযোগিতা করেছেন তাদের এই দেশপ্রেমের জন্য অকুণ্ঠ সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যারা ভিন্ন পথে এসব মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের নিজেদের ID হ্যাক হতে পারে- এই সতর্কতাও দেয়া প্রয়োজন। যারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও তিরস্কার করেছেন তাদের কাছে ব্যক্তি আমি জীবন বাঁচাবার চেষ্টা করার জন্য, রাষ্ট্রের একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে জননিরাপত্তা বিধানে  ভূমিকা পালনে গর্বিত হয়েও ক্ষমাপ্রার্থী।
সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সকলের দায়িত্ব জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই কাজটি সততার ও নিষ্ঠার সাথে করার জন্য যারা আমাকে প্রবল তিরস্কার করেছেন তা আমি নতমস্তকে গ্রহণ করলাম কারণ হয়তো এ কারণে আজ কোথাও এক মায়ের সন্তান হাসিমুখে তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে- অক্ষত। এ প্রাপ্তিটুকুও আমার জন্য কম নয়। কম নয় কারও জন্যই।
লেখক : তারানা হালিম (এমপি), প্রতিমন্ত্রী ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ

জানুয়ারি থেকে নতুন কাঠামোতে বেতন!!!

জানুয়ারি থেকে নতুন কাঠামোতে বেতন!!!
beton_dhakareport_24763
আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সরকারি চাকরিজীবীরা বকেয়াসহ নতুন কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাবেন। তবে নতুন বেতনকাঠামো চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে। চলতি মাসের শেষের দিকে অথবা ডিসেম্বরের প্রথম দিকে সরকারি চাকরিজীবীদের অষ্টম বেতনকাঠামো চূড়ান্ত হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অর্থবিভাগ থেকে বেতন কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং হয়ে আসার পর প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক কাজ শেষে তাতে রাষ্ট্রপতির অনুমতির জন্য বঙ্গভবনে পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির অনুমতি পাওয়া গেলেই সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পে-স্কেল গেজেট আকারে আগামী সোমবার বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। খবর রাইজিংবিডি।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘কিছু দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী বেতনকাঠামোতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে সবার স্বার্থ রক্ষা হবে। চলতি মাসেই নতুন বেতনকাঠামোর গেজেট হবে বলে আশা করি। আমি আবার বলছি, নতুন বেতনকাঠামো যখনই চূড়ান্ত হোক না কেন, তা চলতি বছরের জুলাই থেকেই কার্যকর হবে।’
বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের দাবি থাকা সত্ত্বেও নতুন বেতনকাঠামোতে ‘টাইম স্কেল’ ও ‘সিলেকশন গ্রেড’ থাকছে না। তবে এর বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু থাকছে। এ ক্ষেত্রে সরকারি চাকরিজীবীদের বছরভিত্তিক গ্রেড উন্নীতকরণ করা হবে। বছরভিত্তিক গ্রেড উন্নীতকরণের সময়সীমা থাকবে ১০ ও ৬ বছর। কোনো সরকারি চাকরিজীবী ১০ বছর চাকরি করার পর ১১তম বছরে তার গ্রেড স্বয়ংক্রিয়ভাবে উন্নীত হবে। এই গ্রেডের পর আরো ৬ বছর চাকরি করলে ১৭ বছরে এসে তার আরো একবার গ্রেড পরিবর্তন হবে। এ ক্ষেত্রে তার বেতন বৃদ্ধির পাশাপাশি আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধাও বাড়বে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান।
তিনি বলেন, গেজেটে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড নামে কিছু থাকছে না। কিন্তু এর বিপরীতে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে অর্থমন্ত্রী এই সুবিধাগুলো চূড়ান্ত করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, এর ফলে চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশ গ্রেড না পাওয়া নিয়ে আর কোনো অতৃপ্তি থাকবে না।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিষয়ে গেজেটে কিছু সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ থাকবে বলে জানা গেছে। একটি বিশেষ ক্যাটাগরির সিনিয়র অধ্যাপকদের সিনিয়র সচিবের মর্যাদা দেওয়া হতে পারে বলে তিনি জানান।
এ মাসের প্রথম দিকে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের দুটি প্রতিনিধিদল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে পৃথক বৈঠক করে টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহালসহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরে।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, অষ্টম পে-স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার আগে যেসব ক্যাডার সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল পেয়েছেন, তাদের এ সুবিধা বহাল রাখা হবে। এটা বাতিল করা হবে না। প্রজ্ঞাপন জারির আগে বাকি ক্যাডাররা সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল নিয়ে নিতে পারেন। তবে প্রজ্ঞাপন জারির পর সবকিছু নতুন নিয়মে চলবে।
তিনি বলেন, চাকরি যে গ্রেডে শুরু হয়, সেটা ঠিক থাকবে। এটা পরিবর্তন করা যাবে না। বিশেষ প্রণোদনাও দেওয়া হবে না। তবে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তাদের কাজের এবং যোগ্যতার বিচারে নতুন কী করা যায়, সে বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। যিনি যেখানে আছেন, তিনি সেখানেই থাকবেন। কারো মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হবে না।
তিনি আরো বলেন, ‘এবারের বেতন স্কেলে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল থাকছে না। এটা একেবারে উঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটার আর প্রয়োজন পড়বে না। এ জন্য কোনো প্রকার প্রভাব পড়বে না বলে আমি মনে করি। সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল উঠিয়ে দিয়ে বিকল্প যে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাতে সবাই খুশি হবেন। এটা আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি।’

ফেসবুক খুলে দিতে মন্ত্রণালয়কে নোটিশ!

ফেসবুক খুলে দিতে মন্ত্রণালয়কে নোটিশ!


আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস অ্যাপ, ভাইবারসহ বন্ধ রাখা সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দিতে একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে সরাসরি ও ফ্যাক্স যোগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর নোটিশটি পাঠিয়েছেন।
নোটিশে বলা হয়, গত ১৮ নভেম্বর প্রশাসনিক আদেশ দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো বন্ধ করা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্তটি তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এবং সংবিধানের ৩৯ ধারার পরিপন্থী।
আইনজীবী কুমার দেবুল দে এনটিভি অনলাইনকে বলেন,  সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করায় নাগরিক স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটি সংবিধান পরিপন্থী। তাই আমি নোটিশ পাঠিয়েছি। নোটিশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এগুলো খুলে দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় আমি উচ্চ আদালতে যাব।’
ওই আইনজীবী জানান, নোটিশের একটি কপি সরাসরি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীর হাতে দেওয়া হয়েছে। আরেকটি কপি ফ্যাক্স করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুকসহ ইন্টারনেটে সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। সরকার বলছে, দেশের একটা মানুষও যতক্ষণ নিরাপদ বোধ করবে না ততক্ষণ পর্যন্ত এগুলো বন্ধ থাকবে।
অবশ্য বিভিন্ন বিকল্প পদ্ধতিতে প্রায় সবাই-ই এসব ব্যবহার করছে। এমনকি সরকারের ঊর্ধ্বতনদেরও এ কৌশল অবলম্বনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর জবাবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যারা বিকল্প উপায়ে ফেসবুক ব্যবহার করছেন তাঁদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

অবস্থার পরিবর্তন হলে ফেসবুক খুলে দেয়া হবে |

অবস্থার পরিবর্তন হলে ফেসবুক খুলে দেয়া হবে |
Asadujjaman 


নিরাপত্তার কারণে ফেসবুক ও ইন্টারনেটের কিছু অপশন বন্ধ রাখা হয়েছে উল্লেখ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, এটি অত্যন্ত সাময়িক ব্যবস্থা। অবস্থার পরিবর্তন হলেই এগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ সোশ্যাল নেটওয়ার্কি ব্যবস্থা বন্ধ রাখার বিষয়ে ফজলুর রহমানের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে বাংলাদেশেও তার দু’একটি ছিটাফোঁটা ঘটছে।

তিনি জানান, সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে এটি নেয়া হয়েছে। পৃথিবীর সব দেশেই এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। আমাদের এখানে তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এটি অত্যন্ত সাময়িক ব্যবস্থা। এ অবস্থার পরিবর্তন হলেই এগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।এর আগে পীর ফজলুর রহমান তার সম্পূরক প্রশ্নে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান বুধবার থেকে নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সামাজিক যোগোযোগ মাধ্যমে ফেসবুক ও ইন্টারনেটের কয়েকটি অপশন হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার ইত্যাদি বন্ধ রাখা হয়েছে। এগুলো কবে খুলে দেয়া হবে?