Showing posts with label ফাইভার. Show all posts
Showing posts with label ফাইভার. Show all posts

ফ্রিল্যান্সিং/মার্কেটপ্লেস এর ভবিষ্যৎ খুঁটিনাটি জানুন | Tips for Freelancers Marketplace

ফ্রিল্যান্সিং/মার্কেটপ্লেস এর ভবিষ্যৎ  খুঁটিনাটি জানুন |  Tips for Freelancers Marketplace


প্রতিদিন বাড়ছে অনলাইনে কাজের সুযোগ এবং সাথে সাথে বাড়ছে নিজের পছন্দ মত স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকামের সুযোগ।

করোনা পরবর্তী বিশ্বে দিন দিন বাড়ছে ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীদের কাজের পরিমাণ। কারণ, বেশির ভাগ উন্নত দেশেই স্থায়ী কর্মীর বদলে আউটসোর্সের মাধ্যমে কাজ করানোর বিষয়টি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

কারণ, আউটসোর্স করলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা খরচ কম হয়, এ জন্য উন্নত বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে তাদের কাজের কিছু অংশ নিয়মিত আউটসোর্স করে। ফলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদাও বাড়ছে। এছাড়া ফ্রীলান্সাররা ও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে ও অনেক প্রজেক্ট এ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে ।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো হল আপওয়ার্ক, ফাইবার, পিপল পার আওয়ার, ফ্রিল্যান্সার.com একেকটা মার্কেটপ্লেসের কাজের ধরন এবং হায়ারিং সিস্টেম আলাদা।

যেমন আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টরা হায়ার করার জন্য তার রিকোয়ারমেন্ট গুলো জব পোস্ট আকারে পোস্ট করে এবং যে সমস্ত ফ্রিল্যান্সাররা মনে করে তারা এ কাজগুলো করতে পারবে তারা প্রপোজাল পাঠায়। অনেক ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ক্লায়েন্ট রা সব ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল যাচাই-বাছাই করে ইন্টারভিউর জন্য বাছাইকৃত ফ্রিল্যান্সারদের মেসেজ করে, তাদের মধ্যে যে কোন একজন জব টা win করে। 

কাজ শেষ হওয়ার পর কাজটি ডেলিভারি করলে ক্লায়েন্ট যদি কাজটি পছন্দ করে তাহলে ক্লায়েন্ট জবটি একসেপ্ট করে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সাররা পেমেন্ট পেয়ে যায়। পিপল পার আওয়ার, ফ্রিল্যান্সার.com এই দুটো মার্কেটপ্লেসের হায়ারিং সিস্টেম অনেকটা আপওয়ার্ক এর মতই।

ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ ফ্রিল্যান্সাররা যা যা কাজ পারে তা GIG আকারে শোকেস করে রাখে, ক্লায়েন্টদের যখন একটি সার্ভিস প্রয়োজন হয় তখন সেই সার্ভিসটি লিখে সার্চ করলে ফ্রিল্যান্সারদের গুলো স্যার যে আসে তার মধ্যে যে কোন এক বা একাধিক ফ্রিল্যান্সারকে ক্লায়েন্ট নক করে, এবং যার সাথে কমিউনিকেশন করে ভালো লাগে তাকে অর্ডার করে, 

কাজ শেষে অর্ডার ডেলিভারি করলে ক্লায়েন্টের কাজ টি পছন্দ হলে অর্ডারটি এক্সেপ্ট করে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সাররা পেমেন্ট পেয়ে যায় । সুতরাং ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ জবে এপ্লাই করার ঝামেলা নেই। তবে তাদের সার্ভিসগুলোর করার একটা মেজর ফ্যাক্টর থাকে এখানে ।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া যায় যেভাবে

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে একই কাজের জন্য কয়েক’শ ফ্রিল্যান্সার নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন। ফলে চাইলেই ইচ্ছেমতো কাজ পাওয়া যায় না অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। ক্লায়েন্টরাও চায় কম খরচে দক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিতে। 

ফলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে নিজেকে নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ করার পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে হবে। ক্লায়েন্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের পাশাপাশি কাজ নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে হবে আপনাকে। মনে রাখতে হবে, কাজের মান খারাপ হলে ক্লায়েন্ট আপনাকে খারাপ রিভিউ দেবে, যা দেখে অন্য ক্লায়েন্টরা আপনাকে আর কোনো কাজ দেবে না। কারণ ক্লায়েন্টরা কাজ দিবে আপনার প্রোফাইল এর পূর্ববর্তী ক্লায়েন্টদের রিভিউ দেখে।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে নিচের পদক্ষেপগুলো মানতে হবে যদি কেউ এই পদক্ষেপ গুলো মেনে চলতে পারে তাহলে সে অবশ্যই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবে।

আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং টার্গেট ফিক্স করতে হবে

আপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কারণ আপনি গতানুগতিক জব ছেড়ে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে যাচ্ছেন। আপনাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। স্কিল ডেভলপমেন্ট করার আগে আপনার যে বিষয়ে ভালো লাগা কাজ করে অবশ্যই সেই বিষয়ে স্কিল ডেভেলপ করতে হবে । কোনো কাজ নেওয়ার সময় অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে আপনি কাজটি নির্দিষ্ট সময়ে ভালোভাবে শেষ করতে পারবেন কি না। এ জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজের দক্ষতা ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে। ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে যে আপনি তার কাজের জন্য উপযুক্ত।

ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করা

সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিজেকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করতে পারলে কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যায়। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা ভাবেন যে, কাজের দক্ষতা অর্জনের পরেই কেবল প্রোফাইল তরি করা যায়। এটা একটি ভুল ধারণা। সুন্দর প্রোফাইল আগে তৈরি করা যেতে পারে তবে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা অর্জন করার আগে কাজে বিড করা উচিত নয়। এজন্য আগে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে হবে।

যাঁরা নতুন তাঁদের অনেকের প্রশ্ন থাকে কোথায়, কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে কাজ শুরুর আগে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কী ধরনের কাজ হয় তা পর্যবেক্ষণ করা। অ্যাকাউন্ট খোলা, সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করা। নিজের কাজের স্যাম্পল তৈরি করা। পরীক্ষা দিয়ে নিজের দক্ষতা যাচাই করা। 

কাজের জন্য ইল্যান্স, ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সারের মতো পরিচিত সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আগে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করুন পাশাপাশি আপনার দক্ষতার কাজগুলোকে সাইটের কাজের বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে অনুশীলন করুন। দক্ষতা না থাকলে শুরুতেই কাজ পাওয়ার জন্য বিড করবেন না। কাজে দক্ষ হয়ে তবে বিড করুন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য এখন কয়েকটি বিষয় খুব জরুরি। সাবলীল ইংরেজি বলা, লেখা ও ইংরেজি বোঝা। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকাও দরকার। স্কাইপ ব্যবহার জানতে হবে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকা সবার আগে দরকার।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা নেওয়া

নতুন অবস্থায় একজন ফ্রিল্যান্সারের মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা একেবারে না থাকতে পারে। তবে সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন। মার্কেটপ্লেসের হেল্প সেন্টার, গুগোল ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ গুলোতে অ্যাক্টিভ থেকে আমরা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে পারি, এছাড়াও বিভিন্ন ভালো ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল ভিজিট করে মার্কেটপ্লেসের একাউন্ট কিভাবে সাজাতে হয় তা জানতে পারি, এছাড়া এক্সপার্ট কারো গাইডলাইন নিয়েও মার্কেটপ্লেসের সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া যায়।

ইংরেজি ভাষা ভালোভাবে জানতে হবে

মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের কাজ নেওয়ার জন্য ইংলিশে কমিউনিকেশন করা অবশ্যই জরুরি একটা বিষয়, মার্কেটপ্লেসের ৭০% ক্লায়েন্ট এর ক্ষেত্রে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে কমিউনিকেশন করতে হয় এবং ৩০% ক্লায়েন্টের সাথে ভিডিও কলে এসে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ দিয়ে কাজ পেতে হয়। 

ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কথা বলা এবং কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। Cambly, Hello Talk, Hello English, Engvarta, Josh Talk এই app গুলোতে signup করে সহজেই যেকারো সাথে অনলাইন এ app এর মাধ্যমে ইংলিশ এ কথা বলে ইংলিশ স্পিকিং ফ্লুয়েন্ট করা যেতে পারে।

নিজের পূর্ববর্তী কাজের পোর্টফোলিও তৈরি করা এবং পোর্টফোলিও সাজান

এখন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য প্রথমেই ক্লায়েন্টরা জিজ্ঞাসা করেন আগের কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা এবং পোর্টফলিও আছে কিনা। এক্ষেত্রে নিজের করা ক্লায়েন্টের কিছু কাজের পোর্টফোলিও অবশ্যই সাজিয়ে রাখতে হবে।

মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রোফাইলে, এছাড়াও Behance, Dribbble এফ পোর্টফোলিও গুলো আমরা সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে পারি যা পরবর্তীতে ক্লায়েন্টকে দেখানো যেতে পারে। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার এর উচিত যত বেশি পোর্টফোলিও সংযোগ করা। 

ওয়েব ডেভেলপার তাঁর ডেভেলপ করা সাইটের স্ক্রিন-শট নিয়ে আপলোড করতে পারেন, এবং গ্রাফিকস ডিজাইনার তাঁর ডিজাইন তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করে দেখাতে পারেন। সর্বোপরি কোন প্রোফাইলের পোর্টফোলিও একজন ফ্রিল্যান্সার যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে তার পরিপূর্ণ দক্ষতা আছে সেটা প্রমাণ করে।

সমস্যা সমাধানের কৌশল জানা(গুগোল/ ইউটিউব/ ব্লগ/ CHATGPT)

মার্কেটপ্লেস ছাড়া ক্লায়েন্টের বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়, এই সমস্যা গুলোর সমাধান জানতে অনলাইনে দ্রুত এবং সঠিকভাবে তথ্য খোঁজার কৌশল জানতে হবে। কারণ, ফ্রিল্যান্স কাজ করতে গেলে মাঝেমধ্যেই বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সমাধান করা সম্ভব।

আর এখন তো ChatGPT দিয়ে সহজেই যেকোনো কিছুর স্পেসিফিক আনসার জানা সম্ভব। অনেক অজানা প্রব্লেম এর সল্যুশন জানার জন্য CHATGPT অনন্য।

নিজের প্রচারণা চালানো/ মার্কেটিং

মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য নিজের প্রচারণা বা মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যেহেতু আমরা অনলাইন প্লাটফর্ম এ কাজ করব সেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো আমাদের মার্কেটিং এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমরা linkedin, facebook, instagram, behance, pinterest সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো নিজের কাজের মার্কেটিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারি।

এছাড়াও অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন। এতে তাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

শেষ কথাঃ 

উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো যদি আমরা সঠিকভাবে পালন করতে পারি তাহলে আমরা অবশ্যই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাব । তবে যেকোনো মার্কেটপ্লেসে সফল হতে ধৈর্য ধরতে হবে এবং অনেক সময় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে কন্টিনিউয়াস কাজ পাওয়ার জন্য।


Fiverr -এ কিভাবে উপযুক্ত বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাবেন?

Fiverr -এ কিভাবে উপযুক্ত বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাবেন?


বর্তমানে অনলাইনে মুক্তপেশা বা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্যে নতুন থেকে শুরু করে যারা প্রফেশনালী কাজ করে থাকেন তাদের সকলের জন্যে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইবার। ফাইবারে পাচ ডলার থেকে শুরু করে হাজার ডলার এর উপরেও অনেক প্রজেক্টে অনেকেই কাজ করে থাকেন। 

আবার যারা নতুন নতুন কাজ শিখে শুরু করেন তারা সাধারণত ছোট ছোট বাজেটেই কাজ গুলো সম্পন্ন করে থাকেন বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী। তবে এখানে বা এই সেক্টরে যারা কাজ করতে আসেন বলতেই হবে তারা অনেক ধৈর্য্যশীল ব্যক্তি। কেননা যাদের ধৈর্য্য নেই তারা কেউ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনা এই ফ্রিল্যান্সি জগতে। 

আর সেই জন্যেই মুলত যারা নতুন তারা এই পোস্ট অবস্যই ভালো করে পড়বেন। আজকে আমি আপনাদের বায়ার রিকোয়েস্ট কিভাবে যথাযথভাবে পাঠাতে পারেন সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে সফল হতে প্রথমত আপনাকে বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানো শিখতে হবে।ফাইভার এ বাইয়ার রিকোয়েস্ট লিখার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে।

আমরা ফাইভার এ বায়ার রিকোয়েস্টে কি লিখবো এবং ফাইভার এ বায়ার রিকোয়েস্ট কিভাবে লিখবো তার কিছু টিপস ও ট্রিক্স নিচে তা আলোচনা করা হলোঃ

ফাইভার কপি পেস্ট Cover Letter অবশ্যই না

প্রথমেই বলে নেই কখনই কপি পেস্ট করবেননা। প্রায় ৫০% Seller ঝটপট কপি পেস্ট করে Cover Letter সেন্ড করে দেন। যার কারনে বায়ার এর রেসপন্স পান না, আর অজুহাত দেখান ৫০০ বায়ার রিকোয়েস্ট সেন্ড করেছি কিন্তু কাজ পাইনা। একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করে দেখেনতো ৫০০ রিকোয়েস্ট এর মধ্যে কতটি ঠান্ডা মাথায় বুজেশুনে সাজিয়ে পাঠিয়েছেন?

আরে ভাই দেখেন, বুঝেন, জানেন, তারপর উত্তর দেন। আমরা কি কেউ স্কুলে কলেজের পরীক্ষায় প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর সেইম লিখতাম? না আমাদের প্রতিটা প্রশ্ন সেইম হতো? অবশ্যই না। তাহলে Freelancing Marketplace এর মধ্যে ওতো Buyer আলাদা, তাদের Requirements ও আলাদা, তাহলে কেন ভাই বার বার একই Buyer Request সেন্ড করবেন।

বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে লক্ষনীয় বিষয়সমূহ 

সঠিক অফার সিলেকশন (Choose the right offer)

যেসব বায়ার রিকোয়েস্ট গোছানো ভাবে দেওয়া আছে এবং যে বিষয়টি নিয়ে আপনি সম্পূর্ণ স্কীলড, কেবল সেসব রিকোয়েস্টে অফার পাঠাবেন। যাতে করে বায়ার আপনার নিদির্ষ্ট স্কিল দেখে আপনাকে হায়ার করতে পারে। 

সম্পূর্ণ বর্ণনা ভালোভাবে পড়ুন (Take your time to read the description)

 বায়ারের রিকুয়েস্ট দেখেই অনেকে সবকিছু পুরোপুরি না বুঝেই অফার পাঠিয়ে দেন! এটা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।
একজন রিয়েল বায়ার সে কি চায়, কতদিনে চায়, আর কীভাবে চায় সেটা কিন্তু তার Project Description এ বলে দেয়। তাই আপনি প্রথমবার একটু তারাতারি পড়ে নিন সমস্যা নেই কিন্তু ২য় ও ৩য় বার অবশ্যই প্রতিটা লাইন মনযোগ সহকারে আস্তে আস্তে পড়ুন ও বুজুন সে চেয়েছে। কপি পেস্ট করবেন না, প্লিজ কপি পেস্ট করবেন না। শুধুমাত্র বায়ার এর যা ধরকার আপনি সেটা তাকে দিতে পারবেন, এটা আপনার লিখার মাধ্যমে বুজিয়ে দিন।

বায়ার রিকোয়েস্ট থেকে রেসপন্স বা অর্ডার পেতে চাইলে অন্য কোন বিকল্প নেই , আপনাকে অবশ্যই বায়ার এর দেওয়া Description টি ভালো করে বুঝে পড়তে হবে। তারপরে আপনি "send offer" এর মধ্যে ক্লিক করতে পারেন আপনার অফারটি বায়ারের কাছে পৌছে দিতে।

অফার সম্পর্কিত পরিষ্কার বর্ণ্না ( Keep your description clear, concise and to the point)

আপনার অফার অবশ্যই বায়ারের কাছে পাঠানোর পূর্বে প্রফেশনাল ভাবে লিখবেন।

"Hello SIR/MADAM"

"Good morning/evening/other greetings"

"How are you?"

এইধরনের আনপ্রোফেশনাল এবং অপ্রাসঙ্গিক লেখা থেকে বিরত থাকুন।

কপি এবং পেস্টিং রিকুয়েস্ট (Copy pasted request to Everyone)

নতুনদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা কিনা একটি নির্দিষ্ট মেসেজ তৈরী করে রেখে দিয়েছে, আর যখন সেই ক্যাটাগরি এর কোনো রিকোয়েস্ট আসে সেটি দেখতে পেলেই পূর্বের সেই একই মেসেজটি কপি-পেস্ট করে পাঠিয়ে দেন।

এখন ভেবে দেখুন আপনিও কি সেই দলের মানুষ? তাহলে এটি আজকে থেকেই পরিহার করুন। এভাবে অর্ডার পাওয়া কোনো মার্কেটপ্লেসেই কখনো সম্ভব নয়, কারণ বিভিন্ন ক্লায়েন্ট বিভিন্ন কিছু চাইবে, আপনি যখন সেই একই মেসেজ সবাইকে পাঠাবেন রেন্ডমলী তাহলে কেমনে হবে? 

তবে হ্যাঁ এখনে আপনি সামান্য কিছু জিনিস মিল রেখে পাঠাতে পারেন, তবে একই মেসেজ রেডি করে সবাইকে পাঠানোর কথা চিন্তা করলে অর্ডার পাওয়ার আশা বাদ দিয়ে ফেলুন। আপনাকে এখানে অবশ্যই একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে আপনার ক্যাটেগরিতে আরও অনেকেই আছেন তাদের রেখে বায়ার কেনো আপনাকে হায়ার করতে যাবে? আপনার মাঝে কি কি স্পেশালীটি আছে? যার কারোনে আপনাকে হায়ার করতে বাধ্য হবে একজন বায়ার।

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা (Short and Sweet)

সবসময় চেষ্টা করবেন অফার যতটুকু সম্ভব সংক্ষিপ্তভাবে লিখতে। কারণ আপনার অফার ছাড়াও আরো প্রচুর রিকোয়েস্ট ইতিমধ্যে সেই বায়ার পেয়েছে, সবগুলো রিকোয়েস্ট তার একার পক্ষে পড়া অনেক কষ্টসাদ্ধ্য বিষয়, তাই অতিরিক্ত বড় বড় রিকোয়েস্ট গুলো সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে।

আর ঠিক এইসমস্ত বিষয়ে খেয়াল রাখা অতি জরুরি, যেন অফারের ডেসক্রিপশন প্রয়োজনের বেশি বড় না হয়ে যায়।

সঠিক মুল্য নির্ধারণ (Proper Pricing)

আপনার যারা নতুন এবং পুরাতন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন ইতিমধ্যে বা করার জন্যে এসেছেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে লোকটি গরু কিনার বাজেট নিয়ে এসেছে, তাকে মুরগি কেনার অফার পাঠাবেন না। মনে রাখবেন, অধিকাংশ ক্লাইন্টেই ভালো কোয়ালিটি চাই, কম প্রাইস নয়।

যদি আপনি মনে করেন আপনার বেশি প্রাইসে বা বড় প্রজেক্টে এখনো কাজ করার সামর্থ হয়নি - তাই এই অবস্থায় কাজ পাওয়ার জন্য সেটি কম প্রাইসে করে দিবেন, তাহলে আপনি ইউটিউব/গুগলে যান অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় নিজের স্কিল বাড়ানোর প্রতি অধিক মনযোগী হওন। যখন যথাযথ প্রাইসে কাজ করার সামর্থ অর্জন করতে সক্ষম হবেন তখন আবার ফাইভারে অবশ্যই ফিরে আসবেন।

 সঠিক কীওয়ার্ড সংযুক্ত (Include the keyword)

বায়ার যেসব কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছে, তা অবশ্যই আপনার অফার পাঠানোর পূর্বে তার ভেতরে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন। বায়ার দেখেই যেন বুজতে পারে যে - সে কি চাই এই বিষয়ে আপনি ভালো করে অবগত আছেন কিনা এবং তার সকল রিকোয়ারমেন্ট আপনি যথাযথভাবে বুঝতে পেরেছেন কিনা। আপনার অফার দেখেই তাহলে তিনি আপনার সম্পর্কে খুব সহজেই অনুমান করতে সক্ষম হবেন।

অফার যাচাইকরন (Proofread offers) 

বায়ারের কাছে  আপনার সেই মুল্যবান  অফারটি  সাবমিট করার আগে পরীক্ষার খাতার মতো সবকিছুতে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিবেন, কোনো ধরণের ভুল যেন না থাকে। পরিষ্কার পরিছন্ন জিনিস কার না পছন্দ হয়, আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি বুঝাতে চেয়েছি।

এক্টিভ থাকা (Be available)

খেয়াল করে দেখবেন যে বায়ার অনেক সময় যাদের রিকোয়েস্ট ভালো লাগে, তাদের অর্ডার করার আগে টেক্সট পাঠায়। বায়ার মেসেজ দিলে আপনি চেষ্টা করবেন যেন যথা সময়ের মধ্যে রেসপন্স করছেন কিনা সেটি নিশ্চিত করুন। এছাড়া আপনি যদি দেরিতে বায়ারের মেসেজ এর রিপ্লে করেন তখন দেখবেন সেই ক্লাইন্টেই রিপ্লায় দিবে " Sorry I have hired someone else."

অন্যকিছু (Others)

যথাযথ বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানো হঠাৎ করে একদিনে শিখে ফেলা যেকারো পক্ষেই সম্ভব না, অনেক এক্সপেরিমেন্টের পর আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন কিভাবে উপযুক্ত অফার পাঠানো যায়। তাই উপরুক্ত নিয়মগুলো মেনে চলুন, ধৈর্য ধরুন, নিয়মিত রিকোয়েস্ট পাঠান।

যারা স্কীলড তাদের কাজ দেয়ার জন্য অনেক ক্লাইন্টেই বসে আছে, ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যান। দেখবেন আপনি আপনার সেই কাংক্ষিত সোনার হরিণকে একদিন হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছেন। সঠিক পথে পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায়না, আপনি আপনার পরিশ্রমের ফল পেয়ে যাবেন সঠিক সময়েই।