Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts
Showing posts with label অন্যান্য. Show all posts

নাক দেখে মানুষ চেনার পদ্ধতি।

নাক দেখে মানুষ চেনার পদ্ধতি।
অনেকেই বলেন যে চেহারা দেখেই নাকি একজন মানুষের চরিত্র সম্পর্কে বেশ ধারণা পাওয়া যায়! মানে মানুষটি রাগি, নাকি কোমল স্বভাবের; হাসিখুশি, নাকি গম্ভীর-সবই চেহারা দেখে বুঝে নেন অনেকে। তবে এবার মানুষকে বোঝার আরো সহজ চিহ্ণ নির্ধারণ করেছেন গবেষকরা। তাঁরা বলছেন, যখন কারো সঙ্গে আপনার প্রথম দেখা হবে তখন ভালো করে খেয়াল করবেন তাঁর নাকের গঠন। আর তাতেই নাকি আপনি বুঝতে পারবেন মানুষটি কী রকম!
তো চলুন জেনে নিই, নাক দেখে মানুষ চেনার পদ্ধতি।

১। সোজা নাক

সোজা নাকের অধিকারী ব্যক্তিরা হন ভীষণ অনুপ্রেরণাদায়ী। স্বভাবে এরা গোছানো এবং কাজে দক্ষ। এমনকি সংকটের সময়েও এরা নিখুঁতভাবে কাজ করতে পারেন।

২। চওড়া নাক

যাঁদের নাক চওড়া হয়, তাঁদের থাকের নেতৃত্বের দারুণ গুণ। সেই সঙ্গে এঁদের ব্যক্তিত্বও হয় কঠিন।

৩। মাংসল নাক

এই ধরনের নাকের গোড়টা সরু হলের পুরো নাকের দৈর্ঘ্য বেশ বড় হয়। এই ধরনের আকৃতির নাক যাঁদের, তাঁরা খুব দ্রুত চিন্তা করতে পারেন এবং জানেন কীভাবে জলদি কাজ করতে হয়। বেশির ভাগ সময়ই এঁরা বেশ চালাক হন।

৪। চ্যাপ্টা নাক

চ্যাপ্টা নাকের অধিকারীরা হন দয়ালু আর আশাবাদী স্বভাবের। এঁরা সেই ধরনের মানুষ, যাঁদের ভালোবাসা দেওয়ার ও নেওয়ার ক্ষমতা প্রচুর। এই ধরনের নাকওয়ালা ব্যক্তিরা পরীক্ষামূলক কাজ করতে ভালোবাসেন। এঁরা উদ্যমী স্বভাবেরও হন।

৫। বাঁকা নাক

নিচের দিকে বাঁকানো নাক থাকে যেসব ব্যক্তিদের, তাঁরা সাধারণত নিজের মতো করে জীবনযাপন করেন। কোনো নেতাকে অনুসরণ করা এদের স্বভাবে নেই। বেশির ভাগ সময় এরা বিদ্রোহী স্বভাবের হন।

যে কারনে ছেলেদের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের বাঁদিকে! জেনে নিন মজার একটি তথ্য।

যে কারনে ছেলেদের বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের বাঁদিকে! জেনে নিন মজার একটি তথ্য।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় এমন অনেক ব্যাপারই আছে যা শুধুমাত্র পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে দেখে দেখেই আমাদের জীবনযাত্রার সাথে জড়িয়ে ফেলেছি আমরা। মাঝে মধ্যে কৌতুহলী মনে এমন অনেক ব্যাপারই উকি দেয় হয়তো অনেকেরই। এ বিষয়টা এমন কেন? ঐ জিনিসটা ওমন কেন ? এমন না হয়ে একটু অন্যরকম হলেই বা কি এমন ক্ষতি হত, এমন শত কৌতুহল থাকা অবান্তর কিছু নয় ।

দীর্ঘদিন ধরে আমরা যে সংস্কৃতি, আচার -আচরন লালন ও পালন করছি তা কিন্তু এমনি এমনি চলে আসেনি । প্রত্যেকটা বিষয়ের পেছনেই আছে কিছু না কিছু গল্প । এমন অনেক বিষয়ের মত অনেকের কাছে খুব সাধারন কৌতুহলের একটি বিষয় ‘ ছেলেদের জামার বোতাম ডানদিকে আর মেয়েদের কেন বাঁদিকেই হয়’ ?

তবে এবার এমন কৌতুহলের ক্ষুধা মেটাতেই সেই ‘রহস্যের’ উত্তর দিয়েছে ‘এই সময়’  –
এবার জানুন তাহলে অনুসন্ধানী মনের চোখ-কান খুলে –
ছেলেদের আর মেয়েদের জামার বোতামে ভিন্নতার প্রসঙ্গে সেই নেপোলিয়ান যুগ  থেকে ঘোড়ায় চড়া, তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ থেকে শুরু করে কোলের সন্তানকে দুধ খাওয়ানো পর্যন্ত নানামুখি ব্যাখ্যা আছে ।  এ নিয়ে অনেক তত্ত্ব শোনা যায়, ভিন্ন ভিন্ন গল্পও প্রচলিত আছে । তবে কোনোটাই খণ্ডন করার নয়।
তবে সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য গল্পটা হল, নেপোলিয়ান বোনাপার্টের যেকোনো ছবিতেই দেখা যায়, তার ডান হাত কোর্টের ভিতরে ঢোকানো এটা তখনই হয়, যদি কোটের বোতাম বাঁদিক থেকে ডানদিকে খুলতে হয়। বলা হয়, মেয়েদের ডানহাতও নাকি সেভাবেই থাকত। যার জন্য অনেকেই নেপোলিয়ানকে নিয়ে হাসাহাসি করতেন । তা নেপোলিয়ানের কানেও গিয়েছিল। এর পর তারই নির্দেশে মেয়েদের জামার বোতাম বাঁ-দিকে করে দেওয়া হয়।
somoyerkonthosor5
পুরুষরা সাধারণত নিজের জামা নিজেই পরে এসেছেন। তা তিনি রাজা-মহারাজাই হোন, বা অতি সাধারণ কেউ। কিন্তু, সম্পন্ন পরিবারের মেয়েদের জন্য বাড়িতে দাসী থাকতেন। তারাই জামা পরিয়ে দিতেন। যেহেতু সেই দাসীদের বেশির ভাগই ডানহাতি বলে ধরে নেওয়া যায়, তাদের সুবিধার জন্যই মেয়েদের জামার বোতাম বাঁদিকে রাখাই দস্তুর।
রাজাই হোক বা সেনানি, তাদের ডান হাতে ধরতে হয়েছে তরোয়াল। খালি বলতে বাঁ হাত। বাঁ হাতে বোতাম খোলাপরার সুবিধার জন্যই জামার বোতাম বসানো হত ডান দিকে।
আর মহিলাদের ক্ষেত্রে বাচ্চাকে যেহেতু বাঁদিকে ধরতে হয়, তাই ডান হাত খালি থাকে। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় ডান হাতে বোতাম খুলতে হয়। সেক্ষেত্রে বোতাম ডানদিকে থাকলে খুলতে কষ্ট হতো। তা মাথায় রেখেই বাঁদিকে বোতাম বসানো হয়।
somoyerkonthosor5
পুরুষরা ঘোড়া নিয়ে ছুটলে রাস্তার বাঁদিক ঘেঁষেই যেতেন, যাতে ডান দিকে তরোয়াল চালাতে সুবিধা হয়। সেই তরোয়াল গোঁজা থাকত বাঁ-কোমরে। বের করার সময় তরোয়াল যাতে জামা বা কোটের বোতামের খাঁজে আটকে না যায়, তার জন্যই বোতাম বসানো হতো ডানদিকে। মেয়েরা যখন ঘোড়ায় চড়ত বা এখন বাইকে বসেন, দুটো পা-ই সাধারণত বাঁদিকে থাকে। শার্টের ভিতরে যাতে হাওয়া না ঢুকতে পারে, তার জন্যই বোতাম বসানো হয় বাঁদিকে।
somoyerkonthosor5
আরও একটি তত্ত্ব হল, মেয়েরা যে পুরুষদের থেকে কোনও অংশে কম নন, তা বোঝানোর জন্যই পুরুষের মতো জামা পরেছেন। তার পরেও বৈচিত্র্যর কথা ভেবে পরিকল্পিত ভাবেই মেয়েরা জামার বাঁদিকে বোতাম বসিয়েছেন।

নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে প্রিয় মানুষের ব্যক্তিত্ব জানার সহজ উপায় !

নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে প্রিয় মানুষের ব্যক্তিত্ব জানার সহজ উপায় !
 আপনার কি জানা আছে, আপনার ব্যক্তিত্বে বিশেষ প্রভাব ফেলে আপনার নামের প্রথম অক্ষর। তাহলে জেনে নিন,আপনার নামের প্রথম অক্ষর কী ভাবে আপনার ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে জেনে নিন।



A– যদি কোনও মেয়ে বা ছেলের নাম ইংরেজির A অক্ষর দিয়ে শুরু হয়, তা হলে এমন ব্যক্তি খুবই আকর্ষক হয়ে থাকেন। এই অক্ষরের ব্যক্তিরা ভালোবাসা এবং যে কোনও সম্বন্ধকে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু এঁরা খুব বেশি রোম্যান্টিক হন না। সমস্ত কিছুই এঁরা খুব দেরিতে পান। বহু বাধা অতিক্রম করে সেই সমস্ত জিনিস লাভ করেন তাঁরা। কিন্তু সাফল্য পেতে শুরু করলে এঁদের পিছনে ফিরে তাকাতে হয় না। সাফল্যের চূড়ায় থাকেন এঁরা। জীবনে সংঘর্ষ করতে হয়। কিন্তু অবশেষে নিজের লক্ষ্য জয় করেন। এঁদের মনের জোড় খুব একটা না-থাকলেও, দরকারের সময়ে এঁরা অপ্রত্যাশিত কাজ করে ফেলেন। তবে এঁরা রাগী মেজাজের। এঁরা লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পছন্দ করেন। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন।

B– এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয়, তাঁরা খুবই সংবেদনশীল। ছোট-ছোট কথাও তাঁদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। আবার ছোট-ছোট কথাতেই এঁরা খুশি হয়ে যান। এরা ভুল থেকে শিক্ষা নেন এবং নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করেন। B অক্ষরের নামের ব্যক্তিরা খুব রোম্যান্টিক। B অক্ষরের লোকেরা সাধারণত প্রেম বিবাহ করে থাকেন। বাহ্যিক সৌন্দর্য এঁদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। টাকাকেও গুরুত্ব দিয়ে থাকেন এঁরা। সাধারণত সাহসী। তাই এই অক্ষরের লোকেরা সাধারণত সেনা বা বিপদসঙ্কুল ক্ষেত্রে চাকরি করেন। নিজের পরিশ্রমের ওপর সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। সাধারণত এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম, তাঁরা ধনী হয়ে থাকেন। তবে মুডি স্বভাবের কারমে অনেকে তাঁদের অহংকারী মনে করে থাকেন। খুব একটা বন্ধু বান্ধব থাকেন না। তবে কোনও বন্ধু থাকলে তাঁর সঙ্গে খুব গভীর সম্পর্ক রাখেন এঁরা।

C– এঁরা সকলের সঙ্গে ঘোলামেলা করতে পারেন। সব সময় হাসি-খুশি থাকেন। এঁরা ভাবুক স্বভাবের। এঁরা স্পষ্টবক্তা। তবে ইচ্ছা করে কাওকে কষ্ট দেন না। ভালোবাসায় এঁদের অগাধ বিশ্বাস। এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম, তাঁরা ভালো দেখতে হন। যে কেরিয়ারই বাছুন না-কেন, উন্নতি অনিবার্য। অর্থাভাবে থাকেন না।

D– যে কোনও মূল্যে নিজের পছন্দের জিনিস হাসিল করে থাকেন এঁরা। কাজের প্রতি একনিষ্ঠ। আপসহীন হন। লক্ষ্যে না-পৌঁছনো পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যান। তাই এঁরা জেদিও হয়ে থাকেন। পরিশ্রমী হন। সরস্বতী এবং লক্ষ্মী– উভয়ের আর্শীবাদ পান এঁরা। এঁরা নতুন কিছু করতে চান। এঁদের কাছ থেকে অবশ্যই কিছু না-কিছু শেখা যায়। জেদি হওয়ায় অনেকে এঁদের অহংকারী মনে করেন।

E– এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয় তাঁরা খুব বেশি কথা বলেন। হাসি-ঠাট্টা করে থাকেন খুব। তবে বেশি কথা বলার কারণে সবসময় সমস্যায় পড়ে যান। এঁরা যেমন ব্যবহার করেন, তেমনই ব্যবহার আশা করে থাকেন। তা না-হলে কড়া কথা শুনিয়ে দেন। এর খুব বেশি চিন্তা-ভাবনা করেন না। চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা, ব্যবসা এবং অর্থের অধিকারী হন। এঁরা সবসময় হাসিখুশি থাকেন। এঁদের সকলেই খুব পছন্দ করে।

F– এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয়, তাঁদের জীবনে ভালোবাসার স্থান সর্বোপরি। এঁরা প্রয়োজনের বেশি ভাবুক হয়। এই অক্ষরের নামের লোকেরা লেখক হয়ে থাকেন। যেখানে যান, সেখানে সকলকে আপন করে নেন। এঁরা খুব আকর্ষক এবং রোম্যান্টিক। এঁরা সহজেই সকলকে সাহায্য করে থাকেন। খুব আত্মবিশ্বাসী। জীবনে সমস্ত কিছুর মধ্যেই ভারসাম্য বজায় রাখেন এঁরা।

G– এই অক্ষরের নামের ব্যক্তির মন খুব পরিষ্কার। তাই অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হন এঁরা। একই ভুল বার বার করেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নেন। এঁদের বন্ধুর সংখ্যা কম, শান্তিপ্রিয়, আত্মবিশ্বাসী। কিন্তু রেগে গেলে কারও কথা শোনেন না। কম কথা বলেন।

H– এই অক্ষরের নামের লোকেরা খুব সংবেদনশীল। নিজের মনের কথা কারও সামনে প্রকাশ করেন না। এমনকি দুঃখে বা আনন্দেও কাউকে কিছু বলেন না। এই অক্ষরের নামের ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব খুবই রহস্যময়। নিজের সম্মান নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন। যাঁদের নাম H অক্ষর তাঁরা খুব বুদ্ধিমান হন। এঁরা সাধারণত রাজনীতি এবং প্রশাসনিক ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। কারও প্রতি নিজের ভালোবাসা সহজে ব্যক্ত করেন না। কিন্তু কাউকে ভালোবাসলে মন-প্রাণ দিয়ে ভালোবাসেন। বৈবাহিক জীবন সুখী হয়। কারও সঙ্গে বন্ধুত্বও করেন না এবং কারও সঙ্গে শত্রুতাও করেন না। খুব অর্থ উপার্জন করেন।

I– এই ব্যক্তিরা শুধুমাত্র ভালোবাসার ভাষা বোঝেন। ভালোবাসা দিয়েই তাঁদের মন জয় করা যায়। এঁরা খুব ভাবুক। এঁরা মাথা দিয়ে কোনও কিছু ভাবেন না। মনের কথা শোনেন। তাই অনেকেই এঁদের সহজে বোকা বানিয়ে দেয়। সবসময় মনের কথা শোনার জন্য অনেক কিছুই হারিয়ে থাকেন এঁরা। জীবনে অনেক কিছু পেয়ে থাকলেও, তার সুখ কমই ভোগ করতে পারেন। শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ জ্ঞান রাখেন। অর্থাভাব হয় না। বিদেশ যাওয়ার সুযোগ পান।

J– সম্বন্ধের প্রতি সত্‍‌ এবং বিশ্বস্ত। শরীরের পাশাপাশি এঁদের মনও খুব সুন্দর হয়। খুব নখরবাজ। বাছবিচার রাখেন। যা চান তাই নিজের জোরে হাসিল করে থাকেন। টাকা, সম্মান এবং ভালোবাসা– সবই এঁদের কাছে থাকে। জীবনে খুব উন্নতি করেন। এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের জীবনসঙ্গীর নাম, তাঁরা খুব ভাগ্যশালী।

K– এঁরা খুব ঠোঁটকাটা। যা মনে থাকে তাই বলে দেন। কোনও কথা বলার আগে কিছু ভাবেন না। নিজের ব্যাপারে ভাবতে পারেন। নিজের লাভের জন্য যে কোনও পর্যায়ে যেতে পারেন। অনেক অর্থ উপার্জন করেন। কিন্তু মান-সম্মানের তোয়াক্কা করেন না। এঁদের সকলেই ভয় পায়। এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম, তাঁদের বেশির ভাগই ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন। ঝুঁকি নিতে ভালোবাসেন। এঁরা দেখতে খুব সুন্দর। অনেকেই এঁদের প্রতি আকর্ষিত হন। বাহ্যিক সৌন্দর্য পছন্দ করেন।

L– ভালোবাসা এবং রোম্যান্সই এঁদের কাছে সব। সব কথাই মন দিয়ে ভাবেন। যে কোনও সম্পর্ককে খুব গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কাউকে কষ্ট দেন না। ছোট ছোট জিনিসেই এঁরা খুশি থাকেন। সমাজ এবং পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সাফল্য লাভ করেন। সবসময় হাসি-খুশি থাকেন এঁরা। সাহিত্যকে কেরিয়ার হিসেবে বেছে নেন। অর্থাভাব হয় না।

M- এঁরা খুব ভাবুক স্বভাবের। সব সময় গভীর চিন্তা-ভাবনায় ডুবে থাকেন। এ কারণে এঁরা অন্যের জন্য ঘাতক প্রমাণিত হতে পারেন। তাই এমন ব্যক্তিকে কখনও বিরক্ত করবেন না। কোনও কিছু একবার ধরে নিলে এঁরা সহজে ছাড়তে চান না। ভাগ্য এঁদের সঙ্গে থাকেন। তাই অর্থ এবং সম্মান– দুই-ই এঁদের হাতের মুঠোয় থাকে। এই অক্ষর দিয়ে যাঁদের নাম শুরু হয়, তাঁরা রাজনৈতিক ক্ষেত্রকে নিজের কেরিয়ার হিসেবে নির্বাচিত করেন। এঁরা সুবক্তা এবং লেখক।

N- আপনি আবেগপ্রবণ৷ সম্পর্কের গভীরতা বোঝেন৷সবকিছুতেই নিজের হাত পাকাতে পছন্দ করেন৷

O- স্বাভাবের দিক থেকে হাসিখুশি ও মজাদার হলেও সিরিয়াসলি কাজ করে টাকা জমাতে আপনি পছন্দ করেন৷ অতিরিক্ত পজেসিভনেস আপনার সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারে৷

P- সামাজিকতা ও স্টেটাস সম্পর্কে আপনি খুব সচেতন৷ আপনার পার্টনার সুন্দরী ও ইন্টেলিজেন্ট হওয়াই কাম্য৷

Q- সবসময় নিজেকে কাজের মধ্যে রাখতে ভালোবাসেন৷অন্যের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকা আপনার পছন্দের৷সাদা ফুল আপনার খুব পছন্দের৷

R- নিজেকে সবসময় সেরা প্রমাণ করার তাগিদ রয়েছে আপনার ভিতর৷

S- আদর্শবাদী, রোমান্টিক এবং একইসাথে আপনি সংবেদনশীল৷কথা দিয়ে কথা রাখতে পছন্দ করেন৷

T- আপনি খুব সংবেদনশীল৷ ব্যক্তিগত স্পেসে কাউকে ঢুকতে দেন না৷প্রেমে পড়লেও খুব একটা অনুভূতি প্রকাশ আপনার পছন্দ নয়৷

U- প্রেম আপনার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ৷ তাই প্রেমহীন জীবনের কল্পনাও আপনি করতে পারেন না৷অন্যকে উপহার দিতে ভালোবাসেন৷

V- অত্যন্ত স্বাধীনচেতা৷ সম্পর্কে স্পেস পছন্দ করেন৷কখনও কখন একটু ছটফটে৷

W- অত্যন্ত অহংকারী৷ প্রেমের ব্যাপারে চট করে মুখ খুলতে চান না৷ইগো আপনার বড় সমস্যা৷ প্রেমিক হিসেবে খুব একটা বিশ্বস্ত নন৷

X- অল্পেতেই বোর হয়ে যান৷একসঙ্গে দুটো কাজ অনায়াসে করতে পারেন আপনি৷

Y- কোনো কিছু আপনার মনের মতো না হলে তক্ষুণি আপনি তা ছেড়ে দেন৷প্রতিযোগিতার দৌড়ে সামিল হওয়া আপনার পছন্দের৷

Z- অত্যন্ত রোমান্টিক৷ প্রেমিকাকে আগলে রাখাই আপনার জীবনের মূল লক্ষ্য।

দেহ ব্যবসায় ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে সেক্স ডল! (ভিডিও সহ দেখুন)

 দেহ ব্যবসায় ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে সেক্স ডল! (ভিডিও সহ দেখুন)
চীনে নারীদের স্থান দখল করে নিচ্ছে সেক্স ডল।দেখতে অবিকল জীবন্তর মতোই। নরম তুলতুলে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ।নামেই ডল, কিন্তু শয্যায় একেবারে এক নারীর মতো আচরণ করছে চীনা সেক্স ডল। জীবন্ত নারীর মত অনুভূতি না থাকলেও এই সেক্স ডল চীনের পুরুষদের যৌন চাহিদা মেটাতে নারীর বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। সম্প্রতি এই সেক্স ডলের বিক্রি বেড়ে গেছে।  বেইজিংয়ে বিক্রি হওয়া এরকম সেক্স ডলের মূল্য প্রায় দুই হাজার পাঁচশ’ ডলার। থার্মোপ্লাস্টিক ইলাস্টোমার দিয়ে তৈরি ওই সেক্স ডল সিলিকনের চাইতেও নরম এবং মানুষের অন্যান্য অঙ্গ-প্রতঙ্গের মতো এরও আছে যৌনাঙ্গ।তবে এই পুতুল এমন কিছু সুবিধা তুলে দিচ্ছে যা সমাজিক কাঠামোর পরিপন্থী নয়।  নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক পুরুষই জানাচ্ছেন, এই পুতুল তাঁদের ইচ্ছে পূরণ করছে তো বটেই। কিন্তু তাতে কোনো অপরাধবোধ থাকছে না। বিবাহিত পুরুষরাও জানাচ্ছেন তাঁরা তাঁদের স্ত্রীকে ঠকাচ্ছেন এমনটাও নয়। অথচ অন্যকোনো উপায়ে এই চাহিদা মেটাতে গেলে হয়তো সেই গ্লানির মধ্যে পড়তে হতো। দেহ ব্যববসার রমরমাও অনেকাংশেই কমিয়ে দিচ্ছে এই সেক্স ডল। এ ছাড়া বেশ কিছু দেশে  একটি সন্তান গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশিকা আছে। সে ক্ষেত্রে শাস্তি এড়াতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে ভ্রূণহত্যার ঘটনা। এই যৌনতা মেটানোর বিকল্প ব্যবস্থা কমিয়ে দিচ্ছে সে ঘটনাও।

দেহ ব্যবসায় ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে সেক্স ডল! (ভিডিও)

মোবাইল কিংবা স্কাইপে বিয়ে? জেনে নিন ইসলাম কি বলে...

মোবাইল কিংবা স্কাইপে বিয়ে? জেনে নিন ইসলাম কি বলে...
biye_43045 মোবাইল ফোনে বিয়ে বলতে বোঝানো হয় আক্বদের অনুষ্ঠানে কোনো কারণে বর-কনের মধ্য থেকে কোনো একজনের উপস্থিতি সম্ভব না হলে উপস্থিত পক্ষের কোনো একজন সাক্ষীদের সামনে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনুপস্থিত পক্ষকে বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া।অনুপস্থিত পক্ষ সাক্ষীদের কাছ থেকে দূরে বহু দূরে অবস্থান করে অপর প্রান্ত থেকে তা কবুল করে নেওয়া।
ইসলামের দৃষ্টিতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পাদিত এ ধরনের বিবাহের হুকুম: শরয়ি দৃষ্টিকোণে বিবাহ সহিহ হওয়ার জন্য কিছু মৌলিক শর্ত রয়েছে। যেগুলোর কোনো একটি শর্তের অনুপস্থিতি শরিয়ত মোতাবেক নিকাহ অশুদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মৌলিক শর্ত হচ্ছে-
১.বর-কনের ইজাব কবুল দুজন যোগ্য সাক্ষীর সামনে সম্পাদন হওয়া। ইজাব যেসব সাক্ষীর সামনে হবে কবুল, ঠিক সেই সাক্ষীদের উপস্থিতিতেই হতে হবে।
২.সাক্ষীদ্বয় বর-কনের ইজাব-কবুল সরাসরি শুনতে হবে।
৩.ইজাব ও কবুল একই মজলিসে(বৈঠকে) সম্পাদন হওয়া আবশ্যক।
৪.ইজাব-কবুল উভয় সাক্ষীর একসঙ্গে শুনতে হবে। উপরের শর্ত গুলো যদি মোবাইল কিংবা স্কাকাইপ এর মাধ্যমে সম্পন্ন করা সম্ভব হয় তাহলে বিয়ে সম্পন্ন হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।
শরিয়তে আরো কিছু গায়েবায়ানা বিয়ের ব্যাবস্থা রয়েছেঃ
১.বর বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে কনেকে বা কনের নিযুক্ত উকিলকে চিঠি লিখবে। চিঠি কনের বা কনের নিযুক্ত উকিলের হস্তগত হলে শরিয়তসম্মত সাক্ষীদের সামনে ওই চিঠি পাঠ করা হবে। পাঠ শেষে কনে বা নিযুক্ত উকিল ওই মজলিসেই বলবে যে, আমি বা কনের পক্ষে আমি বিবাহ কবুল করলাম। তাহলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
২.কনে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে বরকে বা বরের নিযুক্ত উকিলকে চিঠি লিখবে। চিঠি বরের বা বরের নিযুক্ত উকিলের হস্তগত হলে শরিয়তসম্মত সাক্ষীদের সামনে ওই চিঠি পাঠ করা হবে। পাঠ শেষে বর বা নিযুক্ত উকিল ওই মজলিসেই বলবে যে, আমি বা বরের পক্ষে আমি বিবাহ কবুল করলাম। তাহলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
৩.প্রবাসীরা দেশে অবস্থিত কাউকে নিজের বিবাহের উকিল নিযুক্ত করে তাকে বলে দেবে যে ‘অমুক মেয়ের সঙ্গে তুমি আমার বিবাহ সম্পাদন করে দাও’ এরপর ওই উকিল দুজন শরিয়তসম্মত সাক্ষীর সামনে নিজ মুয়াক্কিলের পক্ষ থেকে সরাসরি কনের সঙ্গে বা কনের পক্ষ থেকে নিযুক্ত উকিলের সঙ্গে ইজাব-কবুল করে নেবে।
৪.অথবা চিঠি বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বর, কনেকে বা কনে, বরকে নিজের বিয়ের উকিল নিযুক্ত করবে। তখন উকিল বর হোক বা কনে শরিয়ত মোতাবেক সাক্ষীদের সামনে বলবে- তোমরা সাক্ষী থাকো আমি আমার মুয়াক্কিল অমুকের বিবাহ আমার সঙ্গে সম্পাদন করলাম। তাহলে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবে।
প্রবাসীদের জন্য ওপরে উল্লিখিত চারটি পদ্ধতির যেকোনো একটি অবলম্বন করার অনুমতি রয়েছে। তবে তৃতীয় পদ্ধতিটি আমাদের দেশের সমাজের জন্য মানানসই। সবশেষে বলব যে, মোবাইলে প্রকৃতপক্ষে বিবাহ সহিহ হয় না।
হ্যাঁ, তবে উকিল বানিয়ে এভাবে করা সহিহ। যে তাদের পক্ষ থেকে উকিল হয়ে বিবাহের আকদ করাতে পারে। সর্বোপরি বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন যার মাধ্যমে শুধু স্বামী স্ত্রীই নয় বরং উভয় ফ্যামিলির সেতু বন্ধনের পথ তৈরী হয়,বিয়ের অনুষ্ঠান উভয় পরিবারের মধ্যে একটি আনন্দ ঘন মুহূর্ত থাকে।
উপস্থিত সকলে বর কনের সুখের জন্য দোয়া করে থাকেন, কিন্তু মোবাইল ফোনে বিয়া হলে সেই আনন্দ টা আর থাকেনা এমন কি বিয়ে অনুষ্ঠানে ইমাম সাহেবের খুতবা শোনার সওয়াব থেকেও বঞ্চিত হয়।

জেনে নিন কোন রাশির মেয়েরা কেমন হয়!

জেনে নিন কোন রাশির মেয়েরা কেমন হয়!


কোন রাশির মেয়েরা কেমন হয়! সৃষ্টির শুরু থেকেই নারীর প্রতি পুরুষের কোন এক অজানা কারণে আকর্ষণ রয়েছে। এই আকর্ষণ থেকেই পুরুষ চায় সবসময় নারীর সাথে ঘনিষ্ঠ হতে। কিন্তু যদি দু’জনের স্বভাব-চরিত্র না মেলে তখনই বাঁধে বিপত্তি। তাই আগেই জেনে নেয়া উচিত কোন রাশির জাতিকা কিংবা মেয়ে কেমন।

মেষ রাশির নারী (২১ মার্চ – ২০ এপ্রিল) : জীবনের সব ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পছন্দ করে মেষ রাশির নারী। সহজাত নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা থাকে তাদের। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার প্রবণতা দেখা যায় তাদের মাঝে। প্রতিটা দিন কর্মচঞ্চল করে রাখার ব্যাপারে তাদের জুড়ি নেই। কখনও কখনও নিজের ক্ষমতার বেশি কাজের ভার নিয়ে ফেলে তারা। অনেক সময়ে একটা কাজ শেষ না করেই আরেকটা শুরু করে দেয়। জীবনের ব্যাপারে আশাবাদী হয়ে থাকেন মেষ রাশির জাতিকা। একটা ভালো কাজ করার সুযোগ পেলে তারা সেটা করে ফেলবে, এতে তার নিজের কতখানি লাভ হলো সেটা নিয়ে চিন্তা করবে না। নিজের মতামত জানানোর ব্যাপারে একেবারেই ঠোঁটকাটা তারা। কখনও কখনও মেষ নারী এতই সফল হয়ে থাকে যে অন্যরাও তার মতো হতে চায় (যদিও পেরে ওঠে না)। প্রেমের ক্ষেত্রে মেষ নারী কেমন হয়? মেষ রাশির প্রতীক চালিত হয় আগুনের উপাদানে। এ থেকেই বোঝা যায়, মেষ নারীর প্রেমও হয় তেমনই উষ্ণ। প্রেমের ক্ষেত্রে মেষ নারী নিজেই উদ্যগ নিয়ে থাকতে পারে কিন্তু তার সঙ্গীকেও হতে হয় শক্তিশালী ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সঙ্গী পুরুষের ব্যক্তিত্ব দুর্বল হলে খুব দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন মেষ নারী। মেষ নারীর সাথে তর্ক হলে তেমন বিচলিত হবেন না। এই তর্কের মাধ্যমেও সম্পর্ক পোক্ত হয়ে উঠতে পারে।

বৃষ (২১ এপ্রিল – ২১ মে) : প্রথম দেখায় বৃষ নারীকে মনে হবে খুব শান্তশিষ্ট, মিষ্টি প্রকৃতির। সাধারণত তিনি আপনার সাথে এমন মিষ্টি আচরণই করবেন, কিন্তু রেগে গেলে তবেই তার আসল রূপ দেখতে পাবেন। বৃষ নারীর চরিত্রের “সুগার কোটিং”-এর নিচে রয়েছে আগুনে মেজাজ। এর আওতায় না পড়ার চেষ্টা করুন। তবে ভালোবাসার ছোট্ট ছোট্ট উপহার পেতে পছন্দ করেন বৃষ নারী। তাকে উৎসর্গ করতে পারেন নিজের তৈরি একটি কবিতা অথবা অন্যরকম কিছু ফুল, সাথে অবশ্যই আন্তরিক অনুভুতি। রাগ গলে পানি হয়ে যাবে। বৃষ নারীর অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য হলো, তারা হয়ে থাকে খুবই একগুঁয়ে। কোনো কিছু পাওয়ার জন্য কোমর বেঁধে লাগেন তারা। মানসিক শক্তির দিক দিয়েও তারা যথেষ্টই কঠোর। তবে যতই কঠোর হোক না কেন, তারা যথেষ্ট মমতাময়ী হয়ে থাকেন। বৃষ নারী হয়ে থাকেন বিচক্ষণ এবং ধৈর্যশীল। এ কারণে তার সফলতা আসে প্রচুর। বৃষের উপাদান হলো মৃত্তিকা, আর তাই তার মাঝে মাতৃসুলভ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে শান্তিতে থাকতেই পছন্দ করেন বৃষ নারী। জীবনে নিরাপত্তার অনুভুতি পেতেও তিনি পছন্দ করেন। সাধারণত বৃষ নারী একই ভুল বার বার করেন না। ভালোবাসার ক্ষেত্রে ধীরস্থির এবং মিষ্টি ভাব নিয়ে অগ্রসর হোন বৃষ নারীর দিকে। একটু সময় নিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলতে তারা পছন্দ করেন। প্রেমের ক্ষেত্রে তাকে তাড়া না দেওয়াই ভালো। কিছু সীমানা মেনে চলেন তারা। এবং সঙ্গীরও উচিত এই সীমানাকে শ্রদ্ধা করে চলা।

মিথুন (২২ মে – ২১ জুন) : একজন মিথুন নারীকে বুঝে ওঠা বেশ কঠিন। আকাশের মেঘ ধরে রাখা যেমন কঠিন, মিথুনের মন বোঝাও তেমনি কঠিন। কারণ একজন নয়, তার মাঝে দেখতে পাবেন বহু নারীর ছায়া। কেউ কেউ মিথুন নারীর চরিত্রে বিরক্ত হতে পারেন, কিন্তু তারা নিজেদের ব্যক্তিত্বে স্বতন্ত্র। ক্ষণে ক্ষণে তার মাঝে পরিবর্তন আসতে পারে। পৃথিবীর সব কিছু নিয়ে তার মাঝে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেক ক্ষেত্রেই সৃজনশীলতা দেখা যায় তার মাঝে। আশাবাদী মনোভাব থাকার কারণে যে কোনো পরিস্থিতিতে তিনি মানিয়ে নিতে পারেন। মিথুন রাশির প্রতীকে রয়েছে একটি নয়, বরং দুইটি সত্ত্বা। মিথুন রাশির জাতিকার ব্যক্তিত্বে একটি নয়, বরং দুই বা তারও বেশি স্বাতন্ত্র্য দেখা যায়। এর ফলে তার ব্যক্তিত্ব অস্থিতিশীল মনে হতে পারে। প্রেমের ক্ষেত্রে একটু খুঁতখুঁতে হতে পারেন মিথুন নারী। তবে তিনি নিজের পছন্দের সেই ভাগ্যবান ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে তখন আর কোনও রকমের সংকোচ করেন না নিজের অনুভূতি প্রকাশে। আর এই সম্পর্ক সাধারণত হয়ে থাকে দীর্ঘস্থায়ী।
কর্কট (২২ জুন – ২২ জুলাই) : কর্কট নারীর চরিত্রে চাঁদের প্রভাব প্রবল। চাঁদের কলা বাড়া-কমার মতই ওঠানামা করে কর্কট নারীর মেজাজ। সাধারণত তিনি যথেষ্ট সহজ সরল এবং শান্তিপ্রিয়। তবে তার অনুভুতি হতে পারে অনেক অনেক জটিল। সবগুলো রাশির মাঝে কর্কট নারীর বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা সবচাইতে কঠিন। এরা হয়ে থাকে খুব খুব স্পর্শকাতর। বিশেষ করে কর্কট নারীকে সমালোচনা করার ব্যাপারে খুব সাবধান থাকুন। এই সমালোচনা তারা সারা জীবন মনে রাখবে। বুদ্ধির পাশাপাশি কর্কট নারীর অনুমানশক্তিও হয় খুব প্রখর। কোনও ব্যক্তির ব্যাপারে খুব কম জেনেও সে আসলে ভালো না খারাপ তা ধারনা করে নিতে পারে কর্কট নারী এবং এই ধারনা সাধারণত ঠিক হয়ে থাকে। অন্যদের ব্যাপারে সহানুভূতি দেখাতেও কর্কট নারী সিদ্ধহস্ত। প্রেমের ব্যাপারে কর্কট নারীকে একটু সময় দিতে হবে। হুট করে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়তে নারাজ। সঙ্গীকে তারা বিশ্বাস করতেও সময় নেন। এছাড়া খুব সহজেই কষ্ট পান তারা। এসব কারণে সম্পর্কের প্রাথমিক পর্যায় একটু ঝড়ো হলেও পরবর্তী পর্যায়ে সম্পর্ক অনেক মিষ্টি হয়ে ওঠে।
সিংহ (২৩ জুলাই – ২৩ আগস্ট) : এই রাশির নারীর মাঝে সিংহের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। তারা আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকেন সাধারণত। তাকে না ঘাঁটানোই ভালো। নাখোশ হয়ে গেলে উপহার এবং মিষ্টি মিষ্টি কথা দিয়ে তাকে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে আগে। তারা যেমন বুদ্ধিমতী হয়ে থাকেন, তেমনি শক্তিশালী চরিত্র এবং সৃজনশীলতা দেখা যায় তাদের মাঝে। প্রেমের ক্ষেত্রে এই রাশির নারী কোনও রকমের ছাড় দিতে রাজী হন না। তাকে খুশি করতে পারলে আপনার সম্পর্ক হয়ে উঠতে পারে প্রেমের গল্পের মতই রোমান্টিক এবং একই সাথে ড্রামাটিক। সঙ্গীর জীবনে তিনি হয়ে থাকতে চান সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং একই সাথে সঙ্গীকে তার প্রাপ্য গুরুত্ব দিতেও তিনি পিছ পা হন না।
কন্যা (২৪ আগস্ট – ২৩ সেপ্টেম্বর) : কন্যা রাশির নারী হবে একেবারেই নারীসুলভ এবং চুপচাপ, অবলা প্রকৃতির? এটা ভাবলে বিশাল ভুল করবেন। অন্যান্য রাশির চাইতে একটু চুপচাপ হলেও তারা একেবারে শান্তশিষ্ট নয়। কেউ কেউ খুব গোছালো। কেউ কেউ আবার ভয়াবহ রকমের অগোছালো। কন্যা রাশির নারীর মাঝে নিজেকে “নিখুঁত” করে গড়ে তোলার প্রবণতা দেখা যায়। নিজেকে আরও উন্নত করে তুলতে গিয়ে তারা জীবনকে জটিল করে ফেলেন অনেক সময়ে। কন্যা রাশির প্রতীক হলো কুমারী এবং এই কারণে তার মাঝে দেখা যায় একটু লাজুক বৈশিষ্ট্য। সময়ের কাজ সময়ে করতে ভালোবাসেন তিনি। ভালোবাসেন প্রকৃতির কাছাকাছি থাকতে। প্রেমের ক্ষেত্রে কন্যার মাঝে দেখা যায় প্রচ্ছন্ন সংকল্প এবং শক্তি। সত্যিকারের ভালবাসায় বিশ্বাসী তিনি। ভালোবাসার নামে ভুলেও তার হৃদয় নিয়ে খেলা করতে যাবেন না। তিনি প্রেমে পড়েনও না খুব সহজে। কিন্তু একবার প্রেমে পড়লে তিনি সেই সম্পর্ককে করে তোলেন দীর্ঘস্থায়ী।
তুলা (২৪ সেপ্টেম্বর – ২৩ অক্টোবর) : তুলারাশির নারী সৌন্দর্য, ন্যায় এবং ভারসাম্যের প্রতীক। দাঁড়িপাল্লার মতই তার চরিত্রেও দেখা যায় সমতা। এরা অন্যদের সাথে ভালো মিশতে পারে। শুধু তাই নয়, তুলা নারীর প্রতি অন্যদের আকর্ষণ থাকে প্রবল। এ কারণে অন্যদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে থাকতে কোনও সমস্যাই হয় না তার। প্রকৃতির দুই বিপরীত শক্তি (ইন ও ইয়াং) এর মিশ্রন দেখা যায় তুলা রাশির নারীর মাঝে। এ কারণে তার মাঝে দেখা যায় একই সাথে যৌক্তিক বিবেচনা এবং অযৌক্তিক আবেগ। যুক্তি দিয়ে যে কোনও কিছু তাকে বোঝাতে পারবেন আপনি। একই সাথে আপনার আবেগের মুল্য দিতেও তিনি সিদ্ধহস্ত।
বৃশ্চিক (২৪ অক্টোবর – ২২ নভেম্বর) : ১২ টি রাশির মাঝে সবচাইতে “সেক্সি” হলেন বৃশ্চিক নারী। একই সাথে তিনি রহস্যময়ী। চুম্বকের মতো আকর্ষণে আপনাকে জড়িয়ে ফেলতে পারেন তিনি। তখন তাকে মনে হবে এক গভীর সাগর, যে মুহূর্তেই প্রশান্ত আবার মুহূর্তেই উত্তাল। প্রকৃতির সাথে একই সুরে বাধা তার মেজাজ। কখনও হালকাভাবে নেবেন না বৃশ্চিক নারীকে। একদম সোজাসাপটা আচরণ পছন্দ করেন তিনি। আত্মবিশ্বাসী, শক্তিশালী বৃশ্চিক নারী। পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখতে পছন্দ করেন তারা। কখনও কখনও নিজের ক্ষতি করে বসেন। কিন্তু সবকিছু মিলিয়ে চাপা একটি সৌন্দর্য রয়েছে তাদের ব্যক্তিত্বে। তাদের মনের ভেতরটা অনেক জটিল। এই জটিলতার রহস্য সবাইকে জানাতেও ইচ্ছুক না তারা। তাই কোনও বৃশ্চিক নারীর মন বুঝতে পারলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করাই শ্রেয়।
ধনু (২৩ নভেম্বর – ২১ ডিসেম্বর) : ধনু রাশির নারীর মাঝে প্রচ্ছন্ন দার্শনিক বৈশিষ্ট্য দেখতে পাওয়া যায়। সব পরিস্থিতিতেই সত্যের খোঁজ করেন তিনি। অনেক বৈচিত্র্য দেখা যায় তার চরিত্রে এবং সব অভিজ্ঞতাকেই তিনি মুল্যবান বলে মনে করেন। নিজের জীবনের সার্থকতা খুঁজে বেড়ান তিনি। খুব স্বতঃস্ফূর্ত এবং স্বাধীনচেতা এই নারীর গভীর ব্যক্তিত্ব অনেকের কাছেই আকর্ষণীয়। কোনও বাঁধাধরা নিয়মের বেড়াজালে আটকাতে যাবেন না বৃশ্চিক নারীকে, সহসাই সেই জাল ছিঁড়ে চলে যাবেন তিনি।
মকর (২২ ডিসেম্বর – ২০ জানুয়ারি) : উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং নেতৃত্ব দেবার মনোভাব মকর নারীকে নিয়ে যায় সাফল্যের চূড়ায়। এই সাফল্য অর্জন করার পথে কোনও বাধাই সহ্য করেন না তিনি। সুতরাং তার ইচ্ছেপূরণের বিরোধীতা করবেন না কখনোই। আপনাকেও ধুলোয় ফেলে যেতে তিনি দ্বিধা করবেন না। মকর নারী হয়ে থাকেন একগুঁয়ে। খুব সহজে নিজের মেজাজ খারাপ করেন না তিনি। মাথা ঠাণ্ডা রেখেই নিজের প্রতিযোগীকে পিষে ফেলেন পায়ের নিচে।
কুম্ভ (২১ জানুয়ারি – ১৮ ফেব্রুয়ারি) : হাতের মুঠোয় বাতাস ধরে রাখতে পারবেন আপনি? পারবেন না। কুম্ভ নারীকে কোনও রকম শৃঙ্খলে আটকে রাখাটাও একই রকমের অসম্ভব। তার চরিত্র বোঝার চেষ্টা করাতাও একই রকমের অসম্ভব। কারন আপনার সব ধারনাকে ভুল প্রমাণিত করে তিনি পরিবর্তিত হয়ে যাবেন মুহূর্তের মাঝে। এই বাতাসের মতই তিনি পরিবর্তনশীল, কখনও মৃদুমন্দ আবার কখনও ঝড়ো বিধ্বংসী। কিন্তু এই ঝড়ের কেন্দ্রে রয়েছেন চমৎকার একজন নারী। জীবনের প্রতি ইতিবাচক তাদের মনোভাব। অনেক ক্ষেত্রেই সমাজসেবী হয়ে থাকেন তারা। নিজেরদের বুদ্ধি এবং সৃজনশীলতা দিয়ে চমৎকার সব আইডিয়া তৈরি করে ফেলতে পারেন তারা। কুম্ভ নারী অন্যের অযাচিত উপদেশ শুনতে মোটেই পছন্দ করেন না। কিন্তু আপনার যে কোনও প্রয়োজনে তাদের সাহায্য পাবেন আপনি। তারা নিজেরা বেশ কার্যকরী উপদেশ দিতে পারেন। ভ্রমন করতে পছন্দ করেন তারা। ভালোবাসেন নতুন, কিন্তু একই সাথে পুরনোর প্রতি তাদের অদ্ভুত এক মায়া দেখা যায়।
মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি – ২০ মার্চ) : মীন রাশির নারীর ভেতরে লুকিয়ে আছে অনেক অনেক রহস্য। প্রাণবন্ত এবং রোমান্টিক তিনি। বাইরে থেকে দেখে যেমনটা মনে হয়, তার থেকে একেবারেই অন্যরকম ব্যক্তিত্ব লুকিয়ে রাখেন তারা। হয়ে থাকেন স্পর্শকাতর, আবেগী, কিন্তু সেটা সহজে বুঝতে দেন না কাউকে। সত্যিকারের স্বপ্নচারী হয়ে থাকেন মীন নারী। গভীর আধ্যাত্মিক মানসিকতা রয়েছে তার মাঝে। খুব সাধারণ কোনও কিছুর মাঝেও অন্তর্নিহিত অর্থ খুঁজে বের করেন তিনি, যেটা অন্য কারও চোখে পড়বেই না। তারা হয়ে থাকেন বেশ সৃজনশীল। পরিচিত-অপরিচিত সবার প্রতিই দয়ালু হয়ে থাকেন তারা। তার চরিত্রের অন্যতম একটা বৈশিষ্ট্য হলো, বাস্তবতা যখন কঠিন হয়ে যায়, তখন মীন নারী নিজের কল্পনার জগতে হারিয়ে যেতে পারেন সহজেই। এর মাধ্যমে নিজের দুঃখকে সবার থেকে আড়াল করে রাখতে পারেন মীন নারী।