Showing posts with label আউটসোর্সিং. Show all posts
Showing posts with label আউটসোর্সিং. Show all posts

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের অনুমোদন পেতে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।

গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টের অনুমোদন পেতে যে শর্তগুলো পূরণ করতে হবে।
আমাদের দেশে অনেককেই বলতে শুনা যায় যে গুগল অ্যাডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়া অনেক কঠিন। অনেক নতুন ব্লগার তাদের ব্লগের জন্য অ্যাডসেন্স একাউন্টের অনুমোদন পান না। অনেকে আবার বলে বাংলাদেশ থেকে অ্যাডসেন্স পাওয়া যায় না বা পেতে হলে ব্লগের বয়স ৬ মাস হওয়া লাগে, এই রকম আরো অনেক কিছু। কিন্তু আসল কথা হচ্ছে, ওনারা অ্যাডসেন্স এর নিয়ম-কানুন ঠিকভাবে মেনে তারপর অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেননি তাই একাউন্টের অনুমোদন পাননি।





আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স এর সকল পলিসি ঠিকভাবে মেনে আবেদন করছেন, একমাত্র তাহলেই আপনার একাউন্ট অনুমোদন পাবে। আজকে এই পোষ্টে আমরা দেখবো গুগল অ্যাডসেন্স এর অনুমোদন পেতে হলে আপনাকে কি কি শর্ত পূরন করতে হবে।
চলুন তার আগে দেখে নেই কেনো গুগল অ্যাডসেন্স আপনার আবেদন বাতিল করতে পারে।
অপর্যাপ্ত বা নিন্মমানের কন্টেন্ট
আপনার ব্লগে যদি অপর্যাপ্ত কন্টেন্ট থাকে তাহলে অ্যাডসেন্স আপনার আবেদন বাতিল করবে এবং আপনার সাইট রিভিউ করে পুনরায় আবেদন করতে বলবে। আবার অনেকে দেখা যায় যে অনেক কন্টেন্ট দেয় কিন্তু কন্টেন্টগুলা নিন্মমানের যেগুলা রিডারের কোন কাজে লাগে না বা অন্য কোথাও থেকে কপি করা।
নিন্মমানের ডিজাইন আর নেভিগেশন
অ্যাডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়ার জন্য সাইটের ডিজাইন আর নেভিগেশন অনেক গুরুত্বপূর্ন। আপনার সাইটের ডিজাইন আর নেভিগেশন অবশ্যই গুগল ওয়েবডিজাইন গাইডলাইন অনুযায়ী হতে হবে।
গুরুত্বপূর্ন পেজ সমূহ না থাকা
অনেকেই দেখা যায় যে তাদের ব্লগ/সাইটে দরকারী ও গুরুত্বপূর্ন পেজ সমূহ যেমন এবাউট, কন্টাক্ট, প্রাইভেসি পলিসি/ডিসক্লেইমার ইত্যাদি পেজগুলো না দিয়েই অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন। এতে করে তাদের আবেদন অনুমোদন পায় না।
যাই হোক, তো চলুন এবার আমারা দেখবো, গুগল অ্যাডসেন্স এর অনুমোদন পেতে হলে আমাদের কি কি শর্ত পূরন করতে হবে।

১. নিজস্ব টপ লেভেল ডোমেইন

অনেকেই দেখা যায় যে ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস বা উইভলিতে একটা ফ্রি ব্লগ করে তারপর সেই ব্লগ দিয়ে অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করে। এইসব ফ্রি ডোমেইন দিয়ে যদি আপনি অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন তাহলে ৯৯% ক্ষেত্রেই আপনার আবেদন বাতিল হবে যদি না আপনার সাইটে অনেক বেশি পরিমান আর রিডারদের জন্য অনেক মূল্যবান কন্টেন্ট না থাকে। সুতরাং আপনাকে অবশ্যই একটা ডোমেইন কিনতে হবে সাথে সাথে একটা হোস্টিং স্পেসও কিনতে হবে আপনার সাইট হোষ্ট করার জন্য।

২. ডোমেইনের বয়স

যেমনটা আগে বলেছিলাম, অনেকেই বলে যে ডোমেইনের বয়স ৬ মাস না হলে অ্যাডসেন্স এর জন্য অনুমোদন পাওয়া যায় না। কিন্তু আসলে এই কথার কোন ভিত্তি নেই। আপনি ইচ্ছে করলে ৭-১৫দিন বয়সী একটা ব্লগ/সাইটেও অ্যাডসেন্স পেতে পারেন। তার জন্য আপনাকে এই ৭-১৫ দিনের মধ্যে ব্লগে অনেকগুলা কন্টেন্ট পাবলিশ করতে হবে আর এস.ই.ও. করে কিছু ট্রাফিক আনতে হবে।
তবে এত তাড়াহুড়ো না করে ৪৫-৬০ দিন অপেক্ষা করা ভালো। তারপর আপনি অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারেন।

৩. সাইটের ডিজাইন এবং নেভিগেশন

অ্যাডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়ার জন্য সাইটের ডিজাইন এবং নেভিগেশন অত্যান্ত গুরুত্ব বহন করে। আপনার সাইতের ডিজাইন আর নেভিগেশন যদি ইউজার ফ্রেন্ডলী না হয় তাহলে কোনভাবেই আপনি অ্যাডসেন্স এর জন্য অনুমোদন পাবেন না। এইজন্য যারা ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে সাইট করেছেন তাদের উচিত একটা প্রিমিয়াম থিম ব্যবহার করা।

৪. সাইটের কন্টেন্ট

অ্যাডসেন্স এর অনুমোদন পাওয়ার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় যার দিকে আপনাকে অবশ্যই বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আপনার সাইটের কন্টেন্ট অবশ্যই রিডারদের জন্য উপকারী আর দরকারী হতে হবে। কন্টেন্ট অবশ্যই রিরাইটেন বা কপি/পেষ্ট করা হতে পারবে না। সাইটে কমপক্ষে ২০-৩০টা কন্টেন্ট থাকতে হবে যেগুলা কমপক্ষে ৬০০-৭০০ ওয়ার্ডের হবে। এর মধ্যে ৫-৭টা কন্টেন্ট ১৫০০ এর বেশী ওয়ার্ডের হলে আরো ভালো হয়।
সাইটে কোন ধরনের পর্নোগ্রাফিক, ড্রাগস, অস্ত্র/হাতিয়ার, হ্যাকিং অর্থাৎ অবৈধ কোন বিষয় নিয়ে কোন কন্টেন্ট, ছবি বা ভিডিও থাকতে পারবে না।

৫. গুরুত্বপূর্ন পেজসমূহ থাকতে হবে

একটা ব্লগ/সাইটের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেজ রয়েছে যেগুলা আপনাকে তৈরী করে পাবলিশ করতে হবে। এই গুরুত্বপূর্ন পেজগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এবাউট পেজ, কন্টাক্ট পেজ, প্রাইভেসি পলিসি পেজ/ডিসক্লেইমার পেজ ইত্যাদি।
এবাউট পেইজে আপনার ব্লগ/সাইট এবং আপনার সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা থাকবে যাতে করে কেউ এবাউট পেইজে গেলেই বুঝতে পারে এই ব্লগ/সাইটে সে কি পাবে বা এইখানে কি নিয়ে লেখালেখি হয়।
কন্টাক্ট পেইজে আপনার সম্পূর্ণ কন্টাক্ট এর তথ্য থাকবে যাতে করে যে কেউ চাইলেই আপনার সাথে যেকোন দরকারে যোগাযোগ করতে পারে।
প্রাইভেসি পলিসি পেইজে আপনার রিডারদের জন্য তাদের প্রাইভেসি সম্পর্কিত কিছু তথ্য থাকবে যেমন সাইটের কুকির তথ্য, আপনি যদি রিডারদের কাছ থেকে কোন তথ্য সংগ্রহ করেন (যেমন নাম, ইমেইল, ঠিকানা ইত্যাদি)তাহলে সেগুলা কেন করেন, কিভাবে কাজে লাগান এবং কিভাবে সংরক্ষণ করেন ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ননা থাকবে এই প্রাইভেসি পলিসি পেজে।

৬. নাম, ইমেল এবং বয়স যাচাই করা

অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করার সময় অবশ্যই আপনার আসল নাম আর বয়স দিবেন। এবং যে নামে আবেদন করবেন সেই নাম এবং ইমেইল আইডি যাতে আপনার সাইট/ব্লগের এবাউট এবং কন্টাক্ট পেইজে থাকে।

৭. সার্চ ইঞ্জিন থেকে কিছু ট্রাফিক পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন

অনেকেই দেখা যায় যে ব্লগে অনেক কন্টেন্ট দেয় কিন্তু কোন এস.ই.ও. এর কাজ করে না তাই সার্চ ট্রাফিকও পায় না। আসলে সার্চ ট্রাফিক বড় কোন বিষয় না কিন্তু তারপরেও প্রতিদিন কিছু পরিমান সার্চ ট্রাফিক পাওয়া শুরু হলে তারপর অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করা ভালো।

৮. অন্যান্য বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলুন

অনেকেই দেখা যায় যে তাদের ব্লগে প্রথমে অন্য কোন নেটওয়ার্ক এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে থাকেন। তাই অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করার আগে আপনাকে অবশ্যই অন্যান্য সকল বিজ্ঞাপন আপনার সাইট থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে।

শেষ কথা

আসা করি উপরোক্ত শর্তগুলো ঠিকভাবে মেনে যদি আপনি অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনার আবেদন অবশ্যই গ্রহণ করা হবে এবং আপনি অ্যাডসেন্স একাউন্টের অনুমোদন পাবেন। এই সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে করে ফেলুন, উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আর লেখাটি ভালো লাগলে আপনার প্রোফাইলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

upwork-এ সহজে কাজ পাওয়ার কিছু কৌশল।

upwork-এ সহজে কাজ পাওয়ার কিছু কৌশল।


বায়ারের প্রফাইলের দিকে লক্ষ রাখুনঃ কোন কাজে বিড করার পূর্বে ওই বায়রের প্রফাইলের দিকে লক্ষ রাকুন যে, তার হায়ার রেট কেমন, সে ইতোমধ্যে কত ডলার এর কাজ করিয়েছে, বায়ারের সাথে পূর্বের ফ্রিল্যান্সারদের কাজের অভিজ্ঞতা কেমন, বায়ার কোন দেশের, বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড কিনা েইত্যাদি।ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের কাজ দেওয়া-নেওয়ার ওয়েবসাইট (অনলাইন মার্কেটপ্লেস) আপওয়ার্কে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রচুর পরিমান কাজ আসে। আর ফ্রিল্যান্সাররা তোদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজে বিড করে কাজ নেয়ার চেষ্টা করে থাকে।কেউ কেউ আছেন, যাঁরা চার-পাঁচটা কাজের (জব) জন্য আবেদন করেই কাজ পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ১০০টা আবেদন করেও পান না। এটা কতিপয় বিষয়ের উপর নির্ভর করে আর সেই বিষয়গুলো কিকি সে বিষয়ে-ই আজকের পোষ্ট।
  • যত তারাতারি সম্ভব বিড করুনঃ কোন একটা কাজ পোষ্ট হবার পর যত তারাতারি সম্ভব বিড করুন। বিড করার ক্ষেত্রে প্রথম 5 জনের মধ্যে থাকতে চেষ্টা করুন। কারণ বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় যারা প্রথম দিকে বিড করেছিল তাদের কভার লেটারের মধ্যে ক্লায়েন্ট তার উপযুক্ত কাউকে পেয়ে গেলে পরের আবেদন গুলো চেক করে না। তবে কখনো কখনো এর ব্যাতিক্রমও হতে পারে কিন্তু এটার সম্ভাবনা খুবই কম।
  • সব কাজে বিড করার দরকার নেইঃ  যেসব কাজে কোনো কনট্রাক্টরের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসবে আবেদন না করাই ভালো। আর জব ডিসক্রিপশন পড়ে যদি কোন সন্দেহ থাকে তাহলেও ওই জবে বিড করা থেকে বিরত থাকুন।আবার যেসব কাজে শর্ত দেওয়া রয়েছে, আর সেগুলো যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন, তবে সেসব কাজে আবেদন না করাই ভালো। যেমন Feedback Score: At least 4.00 এবং oDesk Hours: At least 100 hour।
  • আপনার রেসপন্স রেট ভাল রাখতে চেষ্টা করুনঃ আপনি যত বেশি মার্কেটপ্লেসে থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা। আর বায়রের কোন মেসেজের যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার রেসপন্স রেট যেমন বাড়বে তেমনি ক্লায়েন্ট মনে করবে আপনি কাজের প্রতি আন্তরিক।
  • বিডিং প্রাইজের দিকে খেয়াল রাখুনঃ বিড করার সময় অনেক বেশি কম মূল্যে বিড করলেই কাজ পাবেন না। কারন বায়ার এর মাধ্যমে আপনাকে অবমূল্যায়ন করতে পারে। তাই সঠিক দামে বিড করার চেষ্টা করুন। আর যাঁরা আপওয়ার্কে  দু-তিনটা কাজ করেছেন, এখন বেশি ডলার দাম ধরে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে কাজের জন্য আবেদন করবেন, তার নিচে দেখুন বায়ারের আগের কাজগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন, বায়ার তার আগের কাজগুলোতে বেশি ডলার দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ দিয়েছিল, তবে বেশি ডলার হারে আবেদন করতে পারেন।
  • কৌশলী হওয়ার চেষ্টা করুনঃ কভার লেটার লেখার ক্ষেত্রে একটু  কৌশলী হবার চেষ্টা করুন। যেমনঃ আপনার কভার লেটার টা যেন অন্য আর দশজন ফ্রিল্যান্সারের চেয়ে আলাদা হয়, বায়ার যেন বুঝতে পারে যে আপনি ভাল করে জব ডিসক্রিপশন পড়েছেন, এধরণের কাজ আগে করেছেন কিনা, করে থাকলে আপনার কোন সাজেশন আছে কিনা ইত্যাদি।
  • অল্প লিখে বেশি বোঝানোর চেষ্টা করুনঃ অযথা লম্বা কভার লেটার লেখার দরকার নাই। অল্প কথার মধে কভার লেটারটিকে এমন ভাবে সাজানোর চেষ্টা করুন যেন বায়ার বুঝতে পারে যে, আপনি কাজের ব্যাপারে প্রফেশনাল মানের জ্ঞান রাখেন। আর তার কাজটি আপনি ভাল ভাবে করে দিতে সক্ষম।
আজ এপর্যন্তই, তবে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার আরো কিছু কোৗশল নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো অন্য কোন পোষ্টে।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে জানতে হবে যে সকল বিষয় ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে জানতে হবে যে সকল বিষয় ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট মার্কেটিং এর একটি জনপ্রিয় শাখা। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের পন্যের মার্কেটিং করবেন আর আপনার বিক্রয়ের উপর একটি নির্দিষ্ট হারে কমিশন পাবেন। এই কমিশনের হার পন্য ভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কি পরিমান আয় করা সম্ভব?
আসুন তা দেখেনেই অ্যাফিলিয়েট সামিট এর রিপোর্ট থেকে।
অ্যাফিলিয়েট সামিট নামে একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যাঁরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের উন্নয়নে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসাটি প্রচার লাভ করেছে ১৯৯৬ সাল থেকে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসায়ের পরিধি বেড়েছে আকাশ চুম্বি। প্রতিষ্ঠানটির একটি সার্ভের তথ্যানুযায়ী, পৃথিবীর মোট অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের মোট ৩৮ শতাংশ মার্কেটার প্রতি বছর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে একেক জন ৫ হাজার ডলারের মত আয় করে। ১১.৪ শতাংশ মার্কেটার আয় করেন ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার ডলার, ৫.১ শতাংশ মার্কেটার বছরে ১০ হাজার থেকে ২৪ হাজার ডলার, ৬.৩ শতাংশ মার্কেটার ২৫ হাজার থেকে ৪৯ হাজার ৯৯৯ ডলার, ৭.৬ শতাংশ মার্কেটার ৫০ হাজার থেকে ৯৯ হাজার ডলার, ১০.১ শতাংশ মার্কেটার ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৯৯ হাজার ডলার, ২.৫ শতাংশ মার্কেটার ২ লাখ থেকে ২ লাখ ৯৯ হাজার ডলার, ১.৩ শতাংশ মার্কেটার ৩ লাখ থেকে ৩ লাখ ৯৯ হাজার ডলার এবং ৫ শতাংশ ৫ লাখ ডলারের বেশি আয় করে থাকেন। আর ১২.৬ শতাংশ মার্কেটার তাঁদের আয়ের পরিমান উল্লেখ করেনি।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে যে সকল বিষয় জানা খুবই জরুরী:
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি, কেন এবং কিভাবে কাজ করে?
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য মাইন্ড সেট।
• এফিলিয়েটের জন্য উপযুক্ত মার্কেটপ্লেস নির্বাচন।
• এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা। (JvZoo, Warrior Plus, ClickSure, ClickBank, Amazon ইত্যাদি)
• কিভাবে অ্যাফিলিয়েটের জন্য আবেদন করবেন।
• আবেদনের পূর্বে যে সকল বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বেষ্ট প্র্যাকটিস।
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে যে সকল টুলস্ দরকার।
• লিষ্ট বিল্ডিং ফানেল/অপট্ইন ফানেল কি এবং কেন?
• কিভাবে অপট্ইন ফানেল সেট করবেন?
• স্কুইজ পেইজ কি এবং কেন দরকার।
• স্কুইজ পেইজ ডিজাইন ও অটোরেসপন্ডার ইন্টিগ্রেশন।
• সেলস ফানেল কি, কেন এবং এটি কিভাবে কাজ করে।
• একটি সেলস ফানেল সেট করতে কি কি লাগে?
• কিভাবে একটি সফল সেলস ফানেল সেট করা যায়?
• অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য ইমেইল ক্যাম্পেইন।
• ইমেইল অটোমেশন সেটআপ।
• ট্রাফিক ম্যাথড ফ্রি।
• ট্রাফিক ম্যাথড পেইড।
• পেমেন্ট সিস্টেম।
ওরে বাবা! এত লম্বা লিষ্ট? আর এগুলো শিখব কিভাবে?
ভয় পাবার কিছু নেই, কারণ নিন্মোক্ত জিনিসগুলো থাকলে আপনি খুব সহজেই সবকিছু শিখে নিতে পারেন। একবার মিলিয়ে নিনতো আপনার নিচের জিনিসগুলো আছে কিনা?

ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ইনকামের পূর্ণাংগ গাইডলাইন।

ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ইনকামের পূর্ণাংগ গাইডলাইন।

প্রথমে জেনে নেই ব্লগ কিংবা ভিডিও চ্যানেল হতে কি কি ভাবে ইনকাম করা যায়

প্রথম কাজ হচ্ছে ব্লগিং সাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলকে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য এবং আস্থার জায়গাতে নিতে হবে। মানুষের কাছে যখন আগ্রহের স্থানে যাবে, তখনেই ব্লগটি থেকে ইনকামের পরিকল্পনা করতে পারবেন।


কি কিভাবে ইনকাম হতে পারে?

♦ অ্যাডসেন্স ইনকাম: ব্লগের ট্রাফিক ভালো থাকলে এবং অন্য সকল রিকোয়ারমেন্ট ঠিকমত থাকলে গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য অ্যাপ্লাই করতে পারেন। অ্যাডসেন্স অ্যাপ্লুভ হলে, সেখান হতে ইনকাম করতে পারেন। এ ইনকামটা মূলত নির্ভর করে আপনার ব্লগে কিংবা ইউটিউবে চ্যানেলে কিরকম ভিজিটর রয়েছে, তার উপর। তাই ব্লগে ভিজিটর বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। ৪র্থ পর্বের (গ) নং পর্বে কিভাবে ভিজিটর বাড়াবেন সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
♦ সিপিএ ইনকাম: আপনার ব্লগে ভিজিটর থাকলে সিপিএ মার্কেটপ্লেসগুলোতে এ নিশ সম্পর্কিত অফার নিয়ে কাজ করার জন্য আবেদন করতে পারেন। প্রচুর পরিমান সিপিএ মার্কেটপ্লেস রয়েছে। সব সিপিএ মার্কেটপ্লেসেই বিভিন্ন নিশের অফার রয়েছে। আপনার ব্লগে ভাল ভিজিটর থাকলে সেসব নিশের অফার প্রমোট করে ভাল ইনকাম করতে পারেন।
♦ অ্যাফিলিয়েশন ইনকাম: আপনার ব্লগের নিশ সম্পর্কিত প্রোডাক্টের অ্যাফিলিয়েশন লিংক এ ব্লগের ভিজিটরদের কাছে প্রমোট করতে পারেন। ধরি, আপনার ব্লগটি ঘরের নিজের বাবুকে নিয়ে করেছেন। সেখানের ভিজিটর থাকবে, সাধারণত নতুন মা কিংবা অন্য মহিলারা। এ ভিজিটররা যখন আপনার ব্লগকে পছন্দ করা শুরু করবে, তখন তাদের কাছে শিশুদের বিভিন্ন প্রোডাক্ট যেমন সেটা হতে পারে, বেবি ক্যারিয়ার কিংবা অন্য কোন খেলনা। এ জন্য কি করবেন?বিভিন্ন পোস্টে হয়ত লিংক দিলেন কিংবা ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলেন। দেখবেন অ্যাফিলিয়েশনের ভাল ইনকাম করতে পারবেন।
♦নিজস্ব প্রোডাক্ট বিক্রি: ধরি, আপনার ব্লগটি শিশুদের বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটিস নিয়ে। তাহলে সেই ব্লগের ভিজিটরদের কাছে শিশুর বাবামায়ের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। শুধু বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে দিলেই দেখবেন, ভাল অর্ডার পেয়ে যাবেন। এভাবে কোন সার্ভিসও সেল করতে পারবেন।
উপরে শুধু ব্লগ বললেও সবগুলো ইনকাম ভিডিও ব্লগ (ভ্লগ) কিংবা ব্লগ যেকোনটা দিয়েই ইনকাম করা সম্ভব। তবে শুধু ব্লগ করলেই হবেনা, ভিজিটর থাকতে হবে, ভিজিটরদের মনে আগ্রহ জন্মাতে হবে।

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবেন? ইউটিউব চ্যানেল শুরুর জন্যই এটি মাথাতে রাখবেন।


এ পর্বটিতে পয়েন্ট করে স্টেপগুলো উল্লেখ করার চেষ্টা করছি।
১ম ধাপ: কোন বিষয় নিয়ে ব্লগিং করবেন, সেটির টপিকস ঠিক করে ফেলুন।
২য় ধাপ: কি টপিকসের উপর ব্লগিংটি তৈরি সেটি সহজে বুঝা যায়, এরকম ওয়ার্ড দিয়ে ডোমেইন নাম বাছাই করুন।
৩য় ধাপ: ডোমেইন কিনুন এবং ২জিবি হোস্টিং কিনে ফেলুন। খুব সম্ভবত ৩ হাজার টাকাতে পেয়ে যাবেন।
৪র্থ ধাপ: হোস্টিংয়ে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলুন এবং যেকোন একটি থিম সেট আপ করে ফেলুন। এটির জন্য কারও সাহায্য ছাড়াই নিজেই করতে পারবেন। ইউটিউবে সার্চ করে এ সম্পর্কিত ভিডিও যোগাড় করে নিজেই করুন। খুবই সহজ কাজ। কিংবা টাকা খরচ করার প্রস্তুতি থাকলে কাউকে দিয়ে ১০,০০০টাকা খরচ করে সাইট বানিয়ে নিতে পারেন।
৫ম ধাপ: ব্লগ সাইটটির অনপেইজ এসইও সম্পন্ন করুন খুব ভালভাবে। সেজন্য ইউটিউবের সাহায্য নিন। এবং গুগল থেকে সার্চ করুন: on page seo checklist। যা বের হবে, সেটিকে অনুসরণ করে নিজের সাইটকে প্রস্তুত করুন।
৬ষ্ঠ ধাপ: ব্লগিং টপিকস সম্পর্কিত বিভিন্ন লেখা গুগল সার্চ করে পড়ে নিন। টপিক সম্পর্কিত কমপক্ষে ২০টা সাইট গুগল থেকে খুজে বের করুন। সেই ২০টা সাইটের লেখা পড়ে, অন্যদের লেখার ধরণ, লিখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আইডিয়া জেনারেট করুন।
৭ম ধাপ: ৬ষ্ঠ ধাপের পর নিজের সাইটেও কি কি বিষয় নিয়ে লিখবেন, তার একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। ৭ম ধাপে এসে আপনার ব্লগের জন্য ২০টি লিখার বিষয় ঠিক করে ফেলুন।
৮ম ধাপ: এ ধাপে এসে আর্টিকেলকে এসইও ফ্রেন্ডলী করা সম্পর্কে শিখে নিতে হবে। এখানেও ইউটিউবে সার্চ করে শিখে ফেলুন।
৯ম ধাপ: ৭ম ধাপে আর্টিকেল লিখার জন্য যে ২০টি বিষয় ঠিক করেছেন, সে ২০টি বিষয় নিয়ে আর্টিকেল প্রস্তুত করে ফেলুন। আর্টিকেল লিখার সময় মনে রাখবেন তিনটি বিষয়:
- ক) আর্টিকেলটি কমপক্ষে ৫০০শব্দের হতে হবে।
- খ) আর্টিকেলটিকে প্যারাগ্রাফ, সাবটাইটেল, পয়েন্ট ব্যবহার করুন।
- গ) আর্টিকেলটিতে তিনটি বৈশিষ্ট্য রাখার চেষ্টা করবেন:
Unique, valuable, engagement
১০ম ধাপ: আর্টিকেলগুলোকে এবার এসইও ফ্রেন্ডলী করে ফেলুন।
১১তম ধাপ: আর্টিকেলগুলোকে নিজের ব্লগে এসইও ফ্রেন্ডলীভাবে পোস্ট করুন। এ সম্পর্কে ইউটিউব সার্চ করে আইডিয়া নিতে পারেন। এখানে পয়েন্ট আকারে টিপস দিচ্ছি:
- ক) টাইটেলে কী ওয়ার্ড ব্যবহার
- খ) বিস্তারিত লিখার ১ম প্যারাতে কীওয়ার্ড অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
- গ) লিখাতে অবশ্যই ছবি ব্যবহার করবেন।
- ঘ) লিখাতে ব্যবহৃত ছবির নাম এবং ALT ট্যাগে কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
- ঙ) আর্টিকেলটির ভিতরে কোন লাইনে ব্লগের অন্য লেখার সাথে ইন্টারলিংকের মাধ্যমে সম্পর্কযুক্ত করুন।
- চ) আর্টিকেলটি পোস্টের সময় ফিচারড ইমেজযুক্ত করুন। ফিচারড ইমেজ দেখে যাতে আর্টিকেলের বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানা যায়।
- ছ) সবশেষে ট্যাগে কমপক্ষে ৩টি, সর্বোচ্চ ৭টি ট্যাগ ব্যবহার করুন।
১২তম ধাপ: যে ২০টি লিখা প্রস্তুত করেছেন, তার মধ্যে ১ম দিন একসাথে ৭টি লিখা পোস্ট করুন ব্লগে। এরপর মার্কেটিং শুরু করে দিন। এরপর থেকে প্রতি ২দিন পর পর ১টি করে আর্টিকেল পোস্ট করুন। এভাবে ১৫টি আর্টিকেল পোস্ট হয়ে গেলে প্রতি ৩দিন পর পর বাকি ৫টি লিখা পোস্ট করুন। এভাবে ২০টি লিখা পোস্ট সম্পন্ন হয়ে গেলে প্রতি ৫দিনে একটি করে নতুন আর্টিকেল ব্লগে পোস্ট করুন।

ব্লগটি কিংবা ইউটিউব চ্যানেলটির মার্কেটিং পরিকল্পনা:



ব্লগ তৈরি করলেই সফল হওয়া যায়না, যত বেশি মানুষকে আপনার ব্লগের ব্যপারে আগ্রহী করে তুলতে পারবেন, তত বেশি ব্লগের সফলতা পাবেন। ব্লগের ব্যপারে আগ্রহী করে তুলতে হলে ব্লগে যেমন গুরুত্বপূর্ণ এবং ইউনিক কনটেন্ট থাকতে হবে, তেমনি ব্লগে যে এ কনটেন্টগুলো রয়েছে, সেই ব্যাপারে অন্যদেরকে জানানোর জন্য মার্কেটিংটা জোর দিয়ে করতে হবে। ব্লগের ভাল মানের কনটেন্ট থাকলে ১ম দিকে নিজেকে মার্কেটিং করতে হলেও পরে দিয়ে নিজে মার্কেটিং করা কমিয়ে দেওয়া যায়। কারণ তখন পাঠকরাই মার্কেটিং করে দিবে। আর যদি কনটেন্ট ভাল না থাকে তাহলে সবসময়ই আপনাকে মার্কেটিংয়ের জন্য সমান কষ্ট করতে হবে। সুতরাং বুদ্ধিমান হলে কনটেন্ট তৈরিতেই বেশি পরিশ্রম করবেন, তাহলে প্রচুর আরাম করার সুযোগ পাবেন। আর বোকা হলে কনটেন্টে পরিশ্রম কম করবেন, ফলাফল মার্কেটিংয়ের জন্য সবসময়ই অমানসিক পরিশ্রম করে যাবেন, এক পযায়ে হতাশ হয়ে অফ করে দিবেন।
মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও আপনাকে ক্রিয়েটিভিটি দেখাতে হবে। সে ব্যাপারে বিস্তারিত  এখানে জানাবো।
মার্কেটিং করার সময় দুটি বিষয় টার্গেট করে মার্কেটিং প্লান সাজাতে হবে।
১) কারও চোখের নজরে নিয়ে এসে ইন্টারেস্টেড করা
২) খোজ করছেন, পেয়ে গেল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আপনার লেখা

ট্রাফিক আনার ১ম পদ্ধতি

১ম টার্গেটটি নিয়ে কথা বলি। আপনি কোন আর্টিকেল লিখলেন ব্লগে পোস্ট করলেন। এবার আর্টিকেলটি এখন শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেই মুহুর্তে সোশ্যাল মিডিয়া উপস্থিতরা আপনার লিংক দেখে ইন্টারস্টেড হয়ে আপনার লিংকে ক্লিক করে ব্লগটিতে প্রবেশ করে পড়লো, এভাবে ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন।
এরকমভাবে ট্রাফিক পেতে হলে কোন কোন মিডিয়াতে লিংক শেয়ার করতে পারেন, সেটি নিচে দিলাম।
১) সোশ্যাল মিডিয়া: ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাস, লিংকডিন, রেডিট, ইন্সটাগ্রাম
২) বিশেষায়িত সোশ্যাল মিডিয়া: ইমেজ বেস সোশ্যাল মিডিয়া: পিন্টারেস্ট, ইন্সটাগ্রাম
ভিডিও বেস সোশ্যালমিডিয়া: ইউটিউব
স্লাইডবেস সোশ্যালমিডিয়া: স্লাইডশেয়ার
ব্লগ টাইপ সোশ্যালমিডিয়া: থাম্বলার (tumblr), মিডিয়াম
৩) ব্লগিং: ওয়েব২.০ ব্লগ সাইট, গেস্ট ব্লগিং সাইট
৪) প্রশ্ন-উত্তর বিষয়ক সাইট: quara.com, yahoo answer
উপরের সাইটগুলোতে নিয়মিত প্রচুর ভিজিটর থাকে, আড্ডা দেয়, জ্ঞান আহরণের জন্য যায়, ভাল লাগা, নেশার কারনে যায়। এসব সাইটগুলোতে আপনার ব্লগের লিংক দিয়ে আসলে প্রচুর ভিজিটর পাওয়া যায়।
এসব সাইটগুলোতে আপনার ব্লগের প্রমোশনের ক্ষেত্রে ভাল ফলাফল পেতে হলে নিচে টেকনিকগুলো মনে রাখুন:
১) মানুষের মনে বিরক্তি তৈরি না করে ইন্টারেস্ট বাড়িয়ে লিংক শেয়ার করুন।
২) শুধুমাত্র নিজের প্রোফাইলের ওয়্যালে শেয়ারের মধ্যে লিমিট না থেকে ব্লগ কনটেন্ট রিলেটেড বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়, এরকম গ্রুপগুলোতে গিয়ে লিংক শেয়ার করুন।
৩) আপনার প্রতিটা পোস্ট যদি ব্লগের লিংক শেয়ার করা হয়, সেক্ষেত্রে ভাল ট্রাফিক পাবেননা। ব্লগের লিংক ছাড়াও যে বিষয়ের লিখা শেয়ার করবেন, সেই রিলেটেড বিভিন্ন টিপস, ভিডিও, ইমেজ শেয়ার করুন। তাহলে আপনার ব্লগের লিংকের প্রতিও মানুষের আগ্রহ বেশি হবে।
৪) অন্যের পোস্টগুলোতে মাঝে মাঝে ভ্যালু ক্রিয়েট করার মত কমেন্ট করুন। সুযোগ পেলে কমেন্টে আপনার ব্লগের লিংক শেয়ার করুন।
৫) সোশ্যাল মিডিয়াতে যারা ব্লগ রিলেটেড বিষয়ে ইনফ্লুয়েন্সার, তাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন, তাদের পোস্টগুলোতে কমেন্ট করুন নিয়মিত। যদি আপনার কোন ব্লগ কনটেন্ট সেই ব্যক্তি পোস্ট রিলেটেড হয়ে থাকে, তাহলে কমেন্টে ব্লগের লিংক শেয়ার করুন।
বেশি টিপস দিলে ভুলে যাবেন। এ পাঁচটি টিপস ভালভাবে অনুসরণ করুন। সফলতা পাবেন।

ট্রাফিক আনার ২য় পদ্ধতি

এবার ট্রাফিক আনার দ্বিতীয় টার্গেটটি নিয়ে কথা বলব। অর্থাৎ কারও হঠাৎ কোন একটা বিষয়ে জানার জন্য প্রয়োজন হলো তখন সে গুগলে সার্চ করে সেটি জানতে প্রয়োজনীয় কনটেন্ট খোজ করবেন। তখন যদি সেই বিষয়টি সম্পর্কিত আপনার কোন লেখা সে সার্চে পেয়ে যায়, তাহলে সেখান হতে প্রচুর ভিজিটর পাবেন। মূলত ব্লগের ৯০% ভিজিটর এ পদ্ধতিতে আসে। আর সেজন্য এসইও করতে হয়।
এসইও করার জন্য নিচের টিপস:
১) কনটেন্ট লিখার সময় অনপেইজ অপটিমাইজেশন করতে হবে।
এক্ষেত্রে ৫টি বিষয় লক্ষ্য রাখুন:
ক) কনটেন্টের টাইটেলে সার্চিং কিওয়ার্ডটি অবশ্যই বসাবেন।
খ) পোস্টের ইউআরএল (URL) বা পোস্টের লিংকে অবশ্যই কীওয়ার্ডটি থাকতে হবে।
গ) পোস্টটি বর্ণনাতে অবশ্যই ৩% কীওয়ার্ড থাকতে হবে। শুরুর প্যারাতে অবশ্যই কীওয়ার্ড থাকতে হবে।
ঘ) পোস্টে ব্যবহৃত ইমেজের নামে কীওয়ার্ড ব্যবহার করবেন, ইমেজে ALT ট্যাগ ব্যবহার করে সেখানেও কীওয়ার্ডটি অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
ঙ) পোস্টের ট্যাগ অপশনে ৫টি  সম্ভাব্য সার্চিং কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
২) ব্লগের লিংকটিকে অফপেইজ এসইও করুন:
ক) ১ম টার্গেটেড ভিজিটর পেতে যা করেছেন, সেটি করবেন, তবে অবশ্যই সার্চিং কীওয়ার্ড ব্যবহারের চিন্তা মাথাতে রাখবেন।
খ) বেশি মাত্রাতে বিরক্তি তৈরি হওয়ার মত করে প্রমোশন না করে প্রয়োজনীয় জায়গাতে লিংক শেয়ার করুন।
গ) কোন মিডিয়াতেই মার্কেটিংয়ের জন্য লিংক দিচ্ছি, এরকম যাতে মনে হয়। ন্যাচারালভাবে লিংক শেয়ার করে আসুন।
আশা করি এ পরিকল্পনা অনুযায়ি ব্লগ কিংবা ইউটিউব চ্যানেলকে সফলভাবে দাড় করিয়ে ফেলতে পারবেন। সফল ব্লগ বা চ্যানেল দাড়ালে ইনকাম নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। সফলভাবে ব্লগ এবং ইউটিউব চ্যানেল দাঁড় করানোটাই আসল চ্যালেঞ্জ। সেজন্য এ বিষয়গুলো নিয়েই এখানে আলোচনা করলাম।

আপওয়ার্কে কি ভাবে প্রোফাইল সাজালে সহজেই কাজ পেতে পারেন।

আপওয়ার্কে কি ভাবে প্রোফাইল সাজালে সহজেই কাজ পেতে পারেন।
আপওয়ার্ক।পৃথিবীর সব থেকে বড় ফ্রীলাঞ্চিং মার্কেটপ্লেস। এটা মনে আমরা অনেকেই জানি।আপওয়ার্ক আগে অডেস্ক নামে ছিলো ২০১৩ সাল এ এরা ইল্যান্স এর সাথে একসাথে হয়েছে অডেস্ক থেকে হয়েছে আপওয়ার্ক। আপনি যদি ফ্রিলাঞ্চের হন তাহলে আর আপওয়ার্ক এ কাজ করতে চান তাহলে আপনার সাফল্য নির্ভর করবে সেখানে আপনার বায়ার কতজন আছে অথবা আপনি কি পরিমান কাজ  পেয়ে থাকেন। আর সেই বায়ার পাওয়ার জন্য দরকার চমৎকার একটা প্রোফাইল তৈরি করা। এখানে ১৫টি টিপস দেয়ার চেস্টা করা হচ্ছে যার সাহায্যে আপনি চমৎকার একটা প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন।


কেউ না জানলেও গুগল আপনার সম্পর্কে যে কয়টি কথা জানে।

কেউ না জানলেও গুগল আপনার সম্পর্কে যে কয়টি কথা জানে।


প্রতিনিয়ত গুগল ব্যবহার করছেন, কোনো তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না সেটা গুগল করছেন। কিন্ত আপনি জানেন কি গুগল আপনার সম্পর্কে অনেক কিছুই জানে! আপনার অনেক ব্যক্তিগত বিষয় যা কেউ না জানলেও গুগল জানে।
আসুন জেনে নিই। গুগল আমাদের সম্পর্কে যা যা জানে....
১. গুগল বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। কখন কোন বিজ্ঞাপন আপনার কাছে প্রকাশিত হবে তা নির্ভর করে আপনার গুগলের পরিষেবা ব্যবহারের উপর। ধরুন আপনি 'গ্রামীণফোন' লিখে গুগল সার্চ করলেন। সেক্ষেত্রে আপনি যখন অন্য কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন তখন আপনাকে গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপণ দেখাবে। এক্ষেত্রে গুগল আপনার সার্চ হিস্টোরি সংগ্রহ করে একটি প্রোফাইল তৈরি করে এবং আপনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ বিজ্ঞাপণগুলো প্রপদর্শন করে।
চিন্তার কারণ নেই আপনি ইচ্ছা করলে এটি বন্ধ করতে পারবেন।
বন্ধ করার জন্য ভিজিট করুন http://www.google.com/settings/ads
২. আপনি যদি এন্ড্রয়েড ব্যবহার করে থাকেন এবং আপনার জিমেইল একাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করে রাখেন তবে আপনার সমস্ত লোকেশনের হিস্টোরি গুগল পাবে। আপনি কখন কোথায় গেছেন সেটাও জানবে গুগল। কি অবাক হচ্ছেন?
নিচের লিঙ্কে প্রবেশ করুন, বিশ্বাস না করে পারবেন না।
https://maps.google.com/locationhistory
৩. আপনার ব্যক্তিত্ব কেমন সেটাও জানে গুগল। আপনার পরিচিতরা আপনার সম্পর্কে যেটা জানেনা সেটা জানে গুগল। আপনি গুগলে যা লিখে সার্চ করেন তার সমস্ত তথ্য বা ইতিহাস গুগল সেইভ করে রাখে। আপনি কখন কখন বেশি সার্চ করেন সেটাও জানে গুগল। আর এই সার্চের ইতিহাস দেখতে পাবেন নিচের লিঙ্কে
https://www.google.com/history
৪. ইউটিউবে ভিডিও দেখছেন? কি ভিডিও দেখছেন, কখন দেখছেন, কত মিনিট দেখেছেন তার সব জানে গুগল।
নিচের লিঙ্ক থেকে জেনে নিতে পারেন তার সবকিছু।
https://www.youtube.com/feed/history/search_history
৫. অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপসকে আমরা গুগল একাউন্ট ব্যবহার করার অনুমতি দেই। সেসকল অ্যাপস আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে নেয়।
কি কি অ্যাপস আপনার তথ্য ব্যবহার করছে তা দেখে নিতে পারেন নিচের লিঙ্কে ভিজিট করে।
https://security.google.com/settings/security/permissions

৬. গুগলে আপনার ব্যবহৃত সকল পরষেবার ইতিহাস বা গুগলে রাখা আপনার সকল ফাইল একযোগে ডাউনলোড করতে পারেন খুব সহজেই।
নিচের লিংকে ভিজিট করে নির্বাচন করুন আপনি কি কি ডাউনলোড করতে চান।
https://www.google.com/settings/takeout