upwork-এ সহজে কাজ পাওয়ার কিছু কৌশল।



বায়ারের প্রফাইলের দিকে লক্ষ রাখুনঃ কোন কাজে বিড করার পূর্বে ওই বায়রের প্রফাইলের দিকে লক্ষ রাকুন যে, তার হায়ার রেট কেমন, সে ইতোমধ্যে কত ডলার এর কাজ করিয়েছে, বায়ারের সাথে পূর্বের ফ্রিল্যান্সারদের কাজের অভিজ্ঞতা কেমন, বায়ার কোন দেশের, বায়ারের পেমেন্ট মেথড ভেরিফায়েড কিনা েইত্যাদি।ইন্টারনেটে আউটসোর্সিংয়ের কাজ দেওয়া-নেওয়ার ওয়েবসাইট (অনলাইন মার্কেটপ্লেস) আপওয়ার্কে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রচুর পরিমান কাজ আসে। আর ফ্রিল্যান্সাররা তোদের দক্ষতা অনুযায়ী কাজে বিড করে কাজ নেয়ার চেষ্টা করে থাকে।কেউ কেউ আছেন, যাঁরা চার-পাঁচটা কাজের (জব) জন্য আবেদন করেই কাজ পেয়ে যান। আবার কেউ কেউ আছেন, যাঁরা ১০০টা আবেদন করেও পান না। এটা কতিপয় বিষয়ের উপর নির্ভর করে আর সেই বিষয়গুলো কিকি সে বিষয়ে-ই আজকের পোষ্ট।
  • যত তারাতারি সম্ভব বিড করুনঃ কোন একটা কাজ পোষ্ট হবার পর যত তারাতারি সম্ভব বিড করুন। বিড করার ক্ষেত্রে প্রথম 5 জনের মধ্যে থাকতে চেষ্টা করুন। কারণ বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় যারা প্রথম দিকে বিড করেছিল তাদের কভার লেটারের মধ্যে ক্লায়েন্ট তার উপযুক্ত কাউকে পেয়ে গেলে পরের আবেদন গুলো চেক করে না। তবে কখনো কখনো এর ব্যাতিক্রমও হতে পারে কিন্তু এটার সম্ভাবনা খুবই কম।
  • সব কাজে বিড করার দরকার নেইঃ  যেসব কাজে কোনো কনট্রাক্টরের ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে, সেসবে আবেদন না করাই ভালো। আর জব ডিসক্রিপশন পড়ে যদি কোন সন্দেহ থাকে তাহলেও ওই জবে বিড করা থেকে বিরত থাকুন।আবার যেসব কাজে শর্ত দেওয়া রয়েছে, আর সেগুলো যদি আপনি পূরণ করতে না পারেন, তবে সেসব কাজে আবেদন না করাই ভালো। যেমন Feedback Score: At least 4.00 এবং oDesk Hours: At least 100 hour।
  • আপনার রেসপন্স রেট ভাল রাখতে চেষ্টা করুনঃ আপনি যত বেশি মার্কেটপ্লেসে থাকবেন, ততই আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা। আর বায়রের কোন মেসেজের যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করুন। এতে আপনার রেসপন্স রেট যেমন বাড়বে তেমনি ক্লায়েন্ট মনে করবে আপনি কাজের প্রতি আন্তরিক।
  • বিডিং প্রাইজের দিকে খেয়াল রাখুনঃ বিড করার সময় অনেক বেশি কম মূল্যে বিড করলেই কাজ পাবেন না। কারন বায়ার এর মাধ্যমে আপনাকে অবমূল্যায়ন করতে পারে। তাই সঠিক দামে বিড করার চেষ্টা করুন। আর যাঁরা আপওয়ার্কে  দু-তিনটা কাজ করেছেন, এখন বেশি ডলার দাম ধরে আবেদন করতে চান, তাঁরা যে কাজের জন্য আবেদন করবেন, তার নিচে দেখুন বায়ারের আগের কাজগুলোর তালিকা দেওয়া আছে। সেখানে যদি দেখেন, বায়ার তার আগের কাজগুলোতে বেশি ডলার দিয়ে অন্য কনট্রাক্টরকে কাজ দিয়েছিল, তবে বেশি ডলার হারে আবেদন করতে পারেন।
  • কৌশলী হওয়ার চেষ্টা করুনঃ কভার লেটার লেখার ক্ষেত্রে একটু  কৌশলী হবার চেষ্টা করুন। যেমনঃ আপনার কভার লেটার টা যেন অন্য আর দশজন ফ্রিল্যান্সারের চেয়ে আলাদা হয়, বায়ার যেন বুঝতে পারে যে আপনি ভাল করে জব ডিসক্রিপশন পড়েছেন, এধরণের কাজ আগে করেছেন কিনা, করে থাকলে আপনার কোন সাজেশন আছে কিনা ইত্যাদি।
  • অল্প লিখে বেশি বোঝানোর চেষ্টা করুনঃ অযথা লম্বা কভার লেটার লেখার দরকার নাই। অল্প কথার মধে কভার লেটারটিকে এমন ভাবে সাজানোর চেষ্টা করুন যেন বায়ার বুঝতে পারে যে, আপনি কাজের ব্যাপারে প্রফেশনাল মানের জ্ঞান রাখেন। আর তার কাজটি আপনি ভাল ভাবে করে দিতে সক্ষম।
আজ এপর্যন্তই, তবে মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার আরো কিছু কোৗশল নিয়ে লেখার চেষ্টা করবো অন্য কোন পোষ্টে।
Next Post Previous Post