ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন | How to take care of skin


মুখ পরিষ্কার রাখতে নারী-পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন ধরনের বিউটি ট্রিটমেন্ট অনুসরণ করে থাকেন। তবে কিছু মহিলা আছেন যারা প্রতি মাসে ক্লিনআপ এবং ফেসিয়াল করেন।

ফেসিয়ালের অর্থ হল মুখের মালিশ। এর দ্বারা আকর্ষণহীন ত্বকও আকর্ষক হয়ে ওঠে। ফেসিয়াল দ্বারা রক্তপ্রবাহ ঠিক হয়ে উঠলে মুখের কান্তিও ফিরে আসবে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে মুখে ভাঁজ পড়ে যায়। কিন্তু ফেসিয়াল করলে এই ভাঁজ অনেক দেরীতে পড়বে। ৪০ বছর বয়সের পর মুখের মালিশ অনিবার্য হয়ে ওঠে। নিয়মিত ফেসিয়াল করলে সবচেয়ে ভাল হয়।

যদি কারও ত্বক খুবই খারাপ হয় আর সে ত্বকের প্রতি যত্ন না নেয়, তাহলেও এই ধরনের ত্বক ৬-৭ বছর লাগাতার ফেসিয়াল করলে সম্পূর্ণভাবে ঠিক হয়ে পড়ে। 

ফেসিয়াল কী?

মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং সতেজ চেহারা পেতে সাধারণত ফেসিয়াল করা হয়ে থাকে। ফেসিয়াল একটি প্রক্রিয়া, যার মধ্যে রয়েছে ক্লিনজিং, স্ক্রাবিং, ম্যাসাজ আর ফেসপ্যাক তবে এটি করার অনেক উপায় রয়েছে ও অনেক ধাপও রয়েছে, যা আপনার ত্বকের ধরণ, বয়স, কীরকম প্রভাব আপনি চাইছেন সেগুলোর উপর নির্ভর করে করা হয়ে থাকে। 

ফেস প্যাক করার পদ্ধতি

এতে ত্বক সুস্হ এবং কোমল হয় আর রক্তসঞ্চার ঠিকঠাক বজায় থাকে। এটা হচ্ছে ত্বকের পক্ষে সর্বোত্তম টনিক। যদি এটা সপ্তাহে নিয়ম করে এক বা দুবার লাগানো যায়, তাহলে ত্বক দারুণ হয়ে ওঠে।

কোথাও যাবার আগে ফেস প্যাক লাগালে ত্বক চমকদার হয়ে ওঠে, ওর ওপর মেক-আপ করাও সহজ হয়ে পড়ে এবং মেক-আপ অনেকক্ষণ টিকেও থাকে।

এমনিতে তো বাজারে তৈরী ফেস প্যাক পাওয়া যায়, যাতে নির্দেশানুযায়ী জল মিলিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু আপনি নিজেও ফেস প্যাক তৈরী করতে পারেন। নীচে ত্বক অনুযায়ী কিছু ফেস পাকে তৈরীর বিধি দেওয়া হল। সব ফেস প্যাক সব রকমের ত্বকের অনুকূল হয় না। সুতরাং নিজের ত্বক অনুযায়ী ফেস প্যাক বেছে নিন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেস প্যাক

(১) একটা ডিমের হলুদ অংশে এক চামচ বাদাম রোগন মিশিয়ে মুখ আর ঘাড়ে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, তারপর গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

(২) অলিভ অয়েলের একটা ফোঁটা দু-চামচ ময়দায় মিলিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিন। আধ ঘন্টা পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রেখে বৃষ্টির জল বা গোলাপজলে ধুয়ে ফেলুন।

সাধারণ ত্বকের জন্য ফেস প্যাক

(১) দু-চামচ ময়দায় দুধ মিশিয়ে ফোটান। ওতে কিছুটা গোলাপজল ফেলে মুখে গরম-গরম লাগান। ১৫ মিনিট পর গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।

(২) একটু আটায় জল মিশিয়ে হাল্কা আঁচে পাঁচ মিনিট রাখুন। এক চামচ মধু মিশিয়ে গরম-গরম মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর হালকা গরম জল আর সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

(৩) এক চামচ মধুতে আমলা তেলের কয়েকটা ফোঁটা মিশিয়ে মুখে আর গলায় লাগান। ১০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক কোমল হবে আর মুখে ভাঁজ পড়বে না।

তেলতেলে ত্বকের জন্য ফেস প্যাক

(১) ট্যাল্কম পাউডার, কর্নফ্লাওয়ার সমান মাত্রায় নিয়ে ওতে একটু জল মেশান। এই পেস্ট মুখে আর গলায় ২০ মিনিট ধরে লাগান। এরপর এস্ট্রিজেন্টে ভেজানো তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

(২) ডিমের সাদা অংশটাকে ভাল করে ফেটিয়ে পুরো মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে এস্ট্রিজেন্ট লোশন দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

(২) শশা পিশে ওতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর এক চামচ গোলাপ জল মেশান । একে কাপড়ের দুটো টুকরোর মাঝে রেখে মুখে লাগান। ১৫- ২০ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করে নিন।

ফেস প্যাক নির্দিষ্ট সময়ের বেশী মুখে লাগিয়ে রাখবেন না। চোখের চার পাশে ফেস প্যাক লাগাবেন না। চোখের ওপর ঠাণ্ডা জলে তুলো ভিজিয়ে রাখা উচিত।

 ভালো মানের ফেস প্যাক! 


ঘরোয়া ভাবে তো ফেস প্যাক বানিয়ে লাগিয়ে ফেললেন, কিন্তু ফেস ভালো রাখার জন্য কোন প্যাক ব্যবহার করবেন সেটা নিয়ে চিন্তা করেছেন কি? সেক্ষেত্রে যাবতীয় এর উন্নত মানের ফেস প্যাক আপনাকে রাখতে পারে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত। অর্ডার করতে ভিজিট করুন যাবতীয়.কম.বিডি অথবা ফেসবুক ধন্যবাদ। 


শেয়ার করুন
পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট