Showing posts with label খবর. Show all posts
Showing posts with label খবর. Show all posts

কে এই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী?

কে এই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী?
অফিসিয়াল ঘোষনা।  রাত ১১: ৩০ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতাল  ধানমন্ডি ঢাকা। ১১ এপ্রিল ২০২৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪১। তিনি একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য সক্রিয়তাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামক স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮২ সালে প্রবর্তিত বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জাফরুল্লাহর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। তার বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। পিতামাতার দশজন সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড় ।ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণের পর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার নিমিত্তে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন এবং তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার “ল্যানসেট”-এ প্রকাশিত হয়।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড (১৯৯২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন।২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান।

কে এই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী?

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি যোদ্ধা। রণাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার। জাতির যেসব সূর্যসন্তান আজকের এই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং রাজনীতির বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তাদের অন্যতম তিনি।

স্বাধীন দেশে তিনি হতে পারতেন দেশসেরা সার্জন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন চিকিৎসাখাতের প্রধান ব্যবসায়ী। কিন্তু ভিন্নধাতুতে গড়া এক লড়াকু মানুষ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। স্বাধীন দেশে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন গণমানুষের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে।

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের করেছেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকর্মী। প্রথম উদ্যোগ নিয়েছেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের। জনকল্যাণধর্মী চিকিৎসানীতির মাধ্যমে দেশে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নীতি প্রণয়ন, জাতীয় শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে অগ্রসর শিক্ষা নীতি প্রণয়ন ও নারী উন্নয়নে রেখেছেন যুগান্তকারী ভূমিকা।

সরকার ও রাষ্ট্রের, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন বুকচিতিয়ে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, অনিশ্চিত তখনই বিবদমান পক্ষের মাঝখানে সমঝোতার সেতুর ভূমিকা নিয়েছেন।

রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থেকে একজন ব্যক্তিমানুষের পক্ষে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যতটুকু কাজ করা সম্ভব তার সর্বোচ্চটাই করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সাম্প্রতিক সময়েও তিনি অবস্থান নিয়েছেন কোটাবিরোধী ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনে। সবমিলিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ব্যক্তিত্বের শিখরস্পর্শী এক উচ্চতায়। মহান এ ব্যক্তিত্বকে আজ অপমান, মানহানি আর অব্যাহতভাবে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হচ্ছে মামলা।

দেশের মানুষকে কম পয়সায় চিকিৎসা দিতে তিলতিল করে যে হাসপাতালটি তিনি গড়ে তুলেছেন সেটির ওপর দুর্বৃত্তদের হাত পড়ছে। ছাত্রজীবনে চড়তেন দামি গাড়িতে। ছিল পাইলটের লাইসেন্স। লন্ডনে পড়াশোনা অবস্থায় রাজকীয় দর্জি তার বাসায় এসে মাপ নিয়ে স্যুট তৈরি করতেন বলে অতিরিক্ত পরিশোধ করতেন ২০ পাউন্ড।

এক সময়ের সমাজতন্ত্রী ও পরবর্তিতে জাতীয়তাবাদী  এ মহান চিকিৎসক  সাধারণ জীবন যাপন করতেন। দেশে-বিদেশে কোথাও তার একটি ফ্ল্যাট পর্যন্ত নেই। বোনকে দান করে দিয়েছেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিজমা। মরণোত্তর দেহদান করায় দাফনের জন্যও প্রয়োজন হবে না জমির। হেয় করার জন্য এই জাতীয় বীরের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল ভূমি দখলের!

 চট্টগ্রামের রাউজানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ও পৈত্রিক নিবাস হলেও বড় হয়েছেন ঢাকায়। তার বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। পিতামাতার দশজন সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। পড়াশোনা করেছেন বকশীবাজার স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা মেডিকেলে। ছাত্র ইউনিয়নের মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে করেছিলেন সংবাদ সম্মেলন।

১৯৬৪ সালে ডিএমসি থেকে এমবিবিএস ও ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে জেনারেল ও ভাস্কুলার সার্জারিতে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন। বৃটেনে প্রথম বাংলাদেশি সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিডিএমএ)’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বাংলাদেশে ফেরার গল্পটি সিনেমার কাহিনীকে হার মানায়। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার প্রতিবাদে লন্ডনের হাইড পার্কে যে কয়েকজন বাঙালি পাসপোর্ট ছিঁড়ে আগুন ধরে রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত হয়েছিলেন তাদের একজন ডা. চৌধুরী।

তারপর বৃটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে ‘রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকের’ প্রত্যয়নপত্র নিয়ে সংগ্রহ করেন ভারতীয় ভিসা। জাহানারা ইমাম তার কালজয়ী সৃষ্টি ‘একাত্তরের দিনগুলি’র ১৬১-১৬২ পৃষ্ঠায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে লিখেছেন- ‘চেনা হয়ে উঠেছে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এমএ মোবিন। এরা দুজনে ইংল্যান্ডে এফআরসিএস পড়ছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিলেতে চার বছর হাড়ভাঙা খাটুনির পর যখন এফআরসিএস পরীক্ষা মাত্র এক সপ্তাহ পরে, তখনই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু।

ছেলে দুটি পরীক্ষা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ আন্দোলনে অংশ নিলো, পাকিস্তানি নাগরিকত্ব বর্জন করলো, ভারতীয় ট্রাভেল পারমিট যোগাড় করে দিল্লিগামী প্লেনে চড়ে বসলো। উদ্দেশ্য ওখান থেকে কলকাতা হয়ে রণাঙ্গনে যাওয়া। প্লেনটা ছিল সিরিয়ান এয়ারলাইন্স-এর। দামাস্কাসে পাঁচ ঘণ্টা প্লেন লেট, সবযাত্রী নেমেছে। ওরা দুইজন আর প্লেন থেকে নামে না। ভাগ্যিস নামেনি। এয়ারপোর্টে এক পাকিস্তানি কর্নেল উপস্থিত ছিল ওই দুইজন ‘পলাতক পাকিস্তানি নাগরিককে’ গ্রেপ্তার করার জন্য।

প্লেনের মধ্য থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না, কারণ প্লেন হলো ইন্টারন্যাশনাল জোন। দামাস্কাসে সিরিয়ান এয়ারপোর্ট কর্মকর্তা ওদের দুইজনকে জানিয়েছিল- ওদের জন্যই প্লেন পাঁচ ঘণ্টা লেট। এমনিভাবে ওরা বিপদের ভেতর দিয়ে শেষ পর্যন্ত মে মাসের শেষাশেষি সেক্টর টু রণাঙ্গনে গিয়ে হাজির হয়েছে।’

যুদ্ধ যখন বিস্তার লাভ করে যুদ্ধক্ষেত্রে হতাহত যোদ্ধা, উদ্বাস্তু ও নির্যাতনের শিকার অসংখ্য নর-নারীর জরুরি চিকিৎসাসেবায় প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় একটি হাসপাতালের। মুক্তিযুদ্ধের ২ নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফ ও ভারতের জিবি হাসপাতালের প্রধান সার্জন ডা. রথিন দত্তের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম জিএস ডা. এমএ মবিনকে নিয়ে আগরতলার বিশ্রামগঞ্জের মেলাঘরে হাবুল ব্যানার্জির আনারস বাগানে গড়ে তোলেন প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল- ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’।

হাসপাতালটির কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডা. সিতারা বেগম বীরপ্রতীক। সেসময় প্রশিক্ষিত নার্স না থাকায় নারী স্বেচ্ছাসেবীদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সে হাসপাতালের দুই স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও তার বোন সাঈদা কামাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতাল। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীকে বহনকারী যে হেলিকপ্টারটি হামলার শিকার হয়েছিল তাতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গ্রামে ফিরে গিয়ে স্বাস্থ্যযুদ্ধ শুরু করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ড হাসপাতালটি গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে গড়ে তুলেন কুমিল্লায়। পরে সেটা স্থানান্তর করেন ঢাকার অদূরে সাভারে। 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পাইলট প্রজেক্ট গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রাইমারি কেয়ার কনসেপ্ট মাঠে প্রমাণ করে এবং এর ভিত্তিতে হু আর ইউএনও আলমাআতা কনফারেন্সের মাধ্যমে গ্লোবাল ইউনিভার্সাল প্রাইমারি কেয়ার প্রকল্পের ঘোষণা দেয়। গ্লোবাল প্যারামেডিক যে কনসেপ্ট ও ট্রেইন্ড প্যারামেডিক দিয়ে মিনি ল্যাপারোটমির মাধ্যমে লাইগেশন সার্জারির উদ্ভাবক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সংক্রান্ত তার পেপারটি বিশ্ববিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট মূল আর্টিকেল হিসেবে ছাপা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মূল পেডিয়াটিক্স টেক্সট বইয়ের একটা চ্যাপ্টার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী লিখতেন অনেক বছর ধরে। দেশে-বিদেশে তার লেখা বই ও পেপারের সংখ্যা প্রচুর। প্রাইমারি কেয়ার নিয়ে লেখা তার সম্পাদিত ও প্রকাশিত একটি বই ‘যেখানে ডাক্তার নেই’-একসময় অবশ্য পাঠ্য ছিল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠনের লক্ষ্যে প্রথম বৈঠকটিতে সভাপতিত্ব করেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান ছিলেন তিনি। ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’ ছিল এদেশের মধ্যবিত্তের মৌলিক একটি প্রকাশনা। সর্বোচ্চ প্রচারণা ছিল বিচিত্রার প্রধান হাতিয়ার। সত্তর দশকের বিচিত্রায় শেখ মুজিবুর রহমান, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মওলানা ভাসানী প্রমুখ ছাড়া হাতেগোনা যে ক’জন বিচিত্রার প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছিলেন- ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাদের একজন।

সোনালী ধানক্ষেতের ব্যাকগ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে আছেন ঝাঁকড়া চুলের তরুণ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এমন একটি ছবি প্রচ্ছদ করেছিল বিচিত্রা। ১৯৭৯ সাল থেকেই তিনি জাতীয় শিক্ষা কমিটির ও নারী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশে শিক্ষা ও নারীনীতি প্রণয়নে। তবে গণস্বাস্থ্যের পর তার ম্যাগনাম ওপাস হচ্ছে ১৯৮২ সালের জাতীয় ঔষুধ নীতি। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্যখাতে যেটাকে বিবেচনা করা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে।

তার প্রচেষ্টায় আমদানি ওষুধের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২৫। বর্তমানে ৯০ শতাংশ ওষুধই দেশে তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে একটি ওষুধ রপ্তানিকারক দেশে।তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা-বিশ্বাস করতেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা। ফিল্ড হাসপাতালের সহযোগী চিকিৎসক ও গেরিলা যোদ্ধা ডা. মোরশেদ চৌধুরী আমৃত্যু কাজ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ফিল্ড হাসপাতালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত চিকিৎসক এমএ মুবিন বাংলাদেশে এলে এখনো চিকিৎসা দেন গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে।

স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারের সময়ে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কিন্তু অনুপ্রাণিত করেছেন বহু ভালো পদক্ষেপ গ্রহণে। তার পরামর্শে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের পক্ষে পাসপোর্ট ইস্যু করে বিলেতের এক লাখ বাঙালির কাছ থেকে আবু সাইয়িদ চৌধুরীর সংগ্রহ করেছিলেন ১০ লাখ পাউন্ড চাঁদা। 

বাকশালে যোগ দিতে শেখ মুজিবের অনুরোধ উপেক্ষা করেছিলেন এই সাহসী বীর।

১৯৮০ সালে জিয়ার গড়া প্রথম জাতীয় মহিলা উন্নয়ন কমিটির দুই পুরুষ সদস্যের একজন হিসেবে প্রাথমিকে ৫০ শতাংশ মহিলা শিক্ষক ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ছাত্রী নেয়ার সুযোগ করেছিলেন, যা কার্যকর হয়েছিল পরবর্তী সরকারের সময়।

জিয়াউর রহমানের আমলে পুলিশে মহিলা নিয়োগ দেয়া শুরু হলে দেশের প্রথম দুই নারী পুলিশ- হিসেবে নিয়োগ পান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী হোসনে আরা ও চামেলী বেগম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতে উপেক্ষা করেছিলেন এরশাদের প্রস্তাব। তার পরামর্শেই এরশাদ আমলে পোস্টার, বিলবোর্ড বাংলায় লেখা ও সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন, উপজেলাব্যবস্থা ও সফল জাতীয় ঔষুধনীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি করেছিলেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের রাজনীতিতে একটি সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশেষ করে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, গুম, খুন, ক্রসফায়ারসহ বর্তমান সরকারের মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তিনি অত্যন্ত সোচ্চার ছিল্রন।

 দেশে-বিদেশে রয়েছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। জাতীয় সংকটে নিজের দায়বোধ থেকে তিনি উদ্যোগী হয়েছেন জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলায়। তিনি সুবিধাবাদী সুশীল নয়, একজন বিবেকবান বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তিনি কোনো ‘বাঁকা চোখের’ পরোয়া করেননি। 

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর চাঁদাবাজি, জমিদখল, পুকুরের মাছ চুরির অভিযোগসহ একের পর এক মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের এন্টিবায়োটিকের কাঁচামাল জব্দ ও এন্টিবায়োটিক বিভাগ সিলগালা ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে ১৫ লাখ টাকা। এসময় একজন জাতীয় বীরের বিরুদ্ধে সরকারের এমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশ ও বিদেশে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অভিযোগে হাসপাতালকে আরো ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে। অথচ সাধারণ মানুষকে কমদামে ওষুধ সরবরাহ করতে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দামি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের বদলে ট্যাবলেট তিনি প্যাকেট করার প্রচলন করেন সাধারণ কাগজে।

২০১৫ সালে বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের আদালত অবমাননার সাজায় উদ্বেগ জানিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতি দেয়ার ঘটনায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এক ঘণ্টার কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মাত্র এক হাজার ২০০ টাকায় ডায়ালাইসিস করতে পারেন দরিদ্র মানুষ। তার প্রতিষ্ঠিত গণবিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বামী প্রয়াত বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া।

যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, জেন্ডার ইস্যু, নীতিবিদ্যা ও সমাজ, পরিবেশবিদ্যা, ইংরেজি এবং বাংলা অবশ্যই পড়তে হয়। দরিদ্র ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সংরক্ষিত আসন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দাপ্তরিক কাজ হয় বাংলাভাষা ও বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে।

দেশের কল্যাণে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, এই মহান বীরের মৃত্যতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। 


ডিজিটাল পর্ণ, ভয়ঙ্কর আসক্তিতে শিশুরা।

ডিজিটাল পর্ণ, ভয়ঙ্কর আসক্তিতে শিশুরা।

ixwZg‡Zv we¯§q ˆZwi K‡i‡Q M‡elYvwU| ejv n‡q‡Q, G wPÎ XvKvi| †`‡ki Ab¨vb¨ A‡ji wPÎI Avjv`v bq| G GK Ab¨iKg mgq| nv‡Z nv‡Z ¯§vU©‡dvb| gvby‡li AvOyj Pj‡Q| gyL eÜ| c…w_exUv †hb nv‡Zi gy‡Vvq| ˆecøweK cwieZ©b| †ewki fvMB BwZevPK| Z‡e wKQy w`K fq¼i|
evev-gv‡qiv e¨¯—| mš—vb‡K nq‡Zv mgq w`‡Z cv‡ib bv Av‡Mi g‡Zv| †hŠ_ cwievi e¨e¯’v wejyßcÖvq| †bB †Ljvi gvV| ¯‹yjcoyqv †Q‡j‡g‡q‡`i Kv‡Q ¯§vU©‡dvb-Kw¤úDUvi-j¨vcUc| B›Uvi‡bU nvwRi `iRvq| we¯§qKi| wKš‘ NUbv mZ¨| AvB‡b m¤ú~Y© wbwl× n‡jI evsjv‡`‡k cÖwZwbqZ B›Uvi‡b‡U Avc‡jvW n‡”Q c‡b©vMÖvwd| GK †gvevBj †dvb †_‡K Av‡iK †gvevBj †dv‡bI Qwo‡q co‡Q Zv| Gme c‡b©vMÖvwd‡Z †`Lv hv‡”Q †`‡ki wewfbœ bvgKiv K‡jR-wek¦we`¨vjq †_‡K ïi“ K‡i cÖZ¨š— MÖvgv‡ji wk¶vcÖwZôv‡bi †Q‡j‡g‡q‡`i| †`Lv hvq ¯‹yjcoyqv wkï‡`iI| i‡q‡Qb M…nea~, wUwf ZviKvivI| Ab¨w`‡K Gme c‡b©vMÖvwd‡Z Avm³ n‡q co‡Q DVwZ eqmx wK‡kvi-wK‡kvix, Zi“Y-Zi“Yxiv| GgbwK ¯‹yjMvgx wkï‡`i GKwU eo Ask wbqwgZ GB c‡b©vMÖvwd †`L‡Q| gvby‡li Rb¨ dvD‡Ûkb bv‡g GKwU ms¯’vi M‡elYvq †`Lv hvq, XvKvq ¯‹yjMvgx wk¶v_©x‡`i kZKiv 77 fvM wbqwgZ c‡b©vMÖvwd †`L‡Q| ms¯’vwU ej‡Q, mviv †`‡kB GB wPÎ fqven|
Zv‡`i g‡Z, AwffveK‡`i Am‡PZbZv I wkïi Rxeb`¶Zvi Afv‡e c‡b©vMÖvwdi GB SyuwK evo‡Q| G‡¶‡Î wkïiv Rwo‡q co‡Q| d‡j GKwU weK…Z †hŠb wk¶vi g‡a¨ w`‡q Zviv †e‡o DV‡Q| c‡b©vMÖvwdi m‡½ wkïiv hy³ n‡q mgv‡R wewfbœ ai‡bi †hŠb mwnsmZv ˆZwi Ki‡Q| AwaKvsk †¶‡ÎB GB G c‡b©vMÖvwd‡Z hv‡`i †`Lv‡bv hv‡”Q Zv‡`i †ewki fv‡Mi eqmB 18 eQ‡ii wb‡P| ¯‹yj-K‡j‡Ri wk¶v_©x| ms¯’vwU ej‡Q, mvgvwRKfv‡e †nq Ges eø¨vK‡gBj Ki‡Z G wfwWI¸‡jv ˆZwi Kiv nq| mgv‡R †g‡qwU A_ev †Q‡jwUi cwievi‡K Lv‡Uv Ki‡Z, A_©‡jv‡f A_ev bvbv ai‡bi †hŠb †kvl‡Y ev evievi kvixwiK m¤úK© Ki‡Z eva¨ Kivi Rb¨I †hŠb wgj‡bi wfwWI aviY Kiv nq|
Rvbv †M‡Q, 2000 mv‡ji Av‡M evsjv‡`‡k c‡b©vMÖvwdi cÖv`yf©ve Lye †ewk wQj bv| evsjv‡`wk †Q‡j‡g‡q‡`iI c‡b©vwfwWI wQj bv ej‡jB P‡j| 2000 mv‡ji w`‡K mygb bv‡g GK hyeK we‡`k †_‡K †`‡k wd‡i GKwU †g‡qi m‡½ †hŠb m¤úK© ¯’vcb K‡i Zv n¨vwÛ K¨v‡givq aviY K‡i| c‡i Zv B›Uvi‡b‡U Qwo‡q †`q| ZLbI cÖhyw³i mnRjf¨Zv bv _vKvq Lye †ewk Av‡jvPbvq Av‡mwb| wKš‘ cÖhyw³i DrKl©Zvi m‡½ m‡½ GB welqwUi fqven cÖfve j¶¨ Kiv hvq| GLb Gme wfwWI gyn~‡Z©B Qwo‡q hv‡”Q wewfbœ gva¨‡g| 2012 mv‡ji evsjv‡`k c‡b©vMÖvwd wbqš¿Y AvB‡b c‡b©vMÖvwd ej‡Z †h Ak&jøxjZv‡K †evSvq Zv g~jZ wZb ai‡bi- wfwWI, AwWI Ges wjwLZiƒ‡c ev Qwe AvKv‡i| gvby‡li Rb¨ dvD‡Ûkb ej‡Q, eZ©gv‡b Z_¨cÖhyw³i e¨cKZv, we‡kl K‡i †gvevBj †dv‡b wfwWI †iKwW©s myweav I B›Uvi‡b‡Ui gva¨‡g Zv mn‡R Qwo‡q †`qvi my‡hvM _vKvq cÖPyi cwigv‡Y wfwWI ˆZwi n‡”Q| M‡elYvq ejv nq, evsjv‡`‡k Kgvwk©qvj c‡b©vMÖvwdi †P‡q A¨v‡gPvi c‡b©vMÖvwd †ewk RbwcÖq| we‡k¦i eû †`‡kB jvB‡mÝK…Zfv‡e c‡b©vMÖvwd wbg©vY I cÖ`k©‡bi e¨e¯’v i‡q‡Q| wKš‘ evsjv‡`‡ki c‡b©vMÖvwd AvB‡b Zv m¤ú~Y© wbwl×| GLv‡b c‡b©v wfwWI ˆZwi nq wfbœ Kvi‡Y| AwaKvsk †¶‡ÎB †`Lv hvq, c‡b©v wfwWIwU ˆZwii e¨vcv‡i bvixwU Rv‡bb bv| Zvi A‡MvP‡iB aviY Kiv nq Zv| A‡bK mgq m¤ú‡K©i we‡kl ch©v‡q wfwWI aviY Kiv nq| c‡i †Kv‡bv Kvi‡Y m¤úK© †f‡O †M‡j Zv Qwo‡q †`qv nq| Avevi A‡bK †¶‡Î †`Lv hvq bvix-cyi“l †KDB Rv‡bb bv| G‡¶‡Î Z…Zxq GKwU c¶ jywK‡q wfwWIwU ˆZwi Ki‡Q| Z_¨g‡Z, ivRavbx‡Z GgbI evwo i‡q‡Q cÖZviKPµ †hwU ïaygvÎ GB Kv‡Ri Rb¨B e¨envi K‡i| Z‡e †hfv‡eB ˆZwi †nvK GK mgq Zv Qwo‡q co‡Q B›Uvi‡b‡U| B›Uvi‡b‡U wfwWI, AwWI ev Qwe¸‡jv Avc‡jvW Ki‡Z †Kvb †MUcvm `iKvi nq bv| KviY G m¤úwK©Z AwaKvsk mvBU¸‡jv †`‡ki evB‡i we‡kl K‡i cwðgv †`k¸‡jv †_‡K cwiPvjbv Kiv nq| †mLv‡b †Kv‡bv wbqš¿Y †bB| d‡j †h †KD Avc‡jvW Ki‡Z cv‡i| Gfv‡e GKevi †Kv‡bv c‡b©v mvB‡U Avc‡jvW n‡j Qwo‡q c‡o wewfbœ mvB‡U| d‡j Zv Avi †iva Kiv m¤¢e nq bv| cwiYwZ‡Z A‡b‡KB AvZ¥nb‡bi c_ †e‡Q wb‡”Q| A‡b‡KB mvgvwRKfv‡e †KvbVvmv n‡q co‡Q| eÜygn‡jI wei“c AvPi‡Yi wkKvi n‡”Qb|
c‡b©v Avmw³ wkï‡`i g‡bvRM‡Zi Ici weivU cÖfve we¯—vi K‡i| Zv‡`i K‡i †Zv‡j mwnsm| cÖL¨vZ g‡bvweÁvbx †gvwnZ Kvgvj G cÖm‡½ gvbeRwgb‡K e‡jb, c‡b©v †`‡L wkïiv Aí eq‡mB †hŠbZvi cÖwZ AvK…ó n‡”Q| G‡Z wkïi g‡bvRM‡Z weiƒc cÖfve co‡Q| †hLv‡b 11-12 eQi eq‡m †hŠbZvi aviYv Avmvi K_v †mLv‡b Av‡iv Av‡MB G wel‡q Zv‡`i wPš—v RMZ Avµvš— n‡”Q| Zv‡`i g‡a¨ †fvMev`x mËv ˆZwi n‡”Q| d‡j Zviv bvbv ai‡bi Aciv‡a Rwo‡q co‡Q| Zv‡`i g‡a¨ Aw¯—Z¡nxbZv, ˆbwZKZvi Afve †`Lv w`‡”Q| ggZ¡‡eva nvwi‡q hv‡”Q| wkï‡`i g‡a¨ ˆbwZK Abykvmb _vK‡Q bv| c‡b©v wfwWI‡Z Avmw³i Kvi‡Y cvwievwiK Ges `v¤úZ¨ Kjn ˆZwi n‡”Q| GB Ae¯’vwU mgv‡Ri Rb¨ AZ¨š— fxwZKi D‡jøL K‡i wZwb e‡jb, Avgv‡`i Ggb GKwU Dcvq †ei Kiv DwPZ, hv‡Z GB mvBU¸‡jv eÜ Kiv hvq|
wkï‡`i c‡b©v Avmw³i e¨vcv‡i gvby‡li Rb¨ dvD‡Ûk‡bi wkï myi¶v Kg©m~wPi mgš^qK Ave`yjøvn Avj gvgyb g‡b K‡ib, G‡¶‡Î evev-gv‡qi Am‡PZbvi †P‡q AÁvbZv †ewk `vqx| Zviv wkï‡`i nv‡Z †h wWfvBm¸‡jv Zy‡j w`‡”Q Zv‡Z fv‡jv wKQy mvP© w`‡Z wM‡qI c‡b©v mvB‡U P‡j hv‡”Q| Gfv‡e bv PvB‡jI wkïiv c‡b©v RM‡Zi m‡½ cwiwPZ n‡”Q| h‡_ó Ávb bv _vKvi Kvi‡Y evev-gv‡qiv `vwg †gvevBj, U¨vemn B›Uvi‡bU wkïi nv‡Z Zy‡j w`‡”Qb| wKš‘ G e¨vcv‡i †Kv‡bv wb‡`©k cÖ`vb Ki‡Z cvi‡Qb bv| cvkvcvwk wKQy †mwj‡eÖwU, RbwcÖq wgwWqv e¨w³Z¡‡`i c‡b©v wfwWI evRv‡i Qvov n‡”Q| G‡Z wkïiv AvMÖnx n‡”Q| wZwb e‡jb, AvBbZ 18 eQ‡ii Kg Kv‡iv bv‡g †gvevBj wmg †iwR‡÷ªkb Kiv hvq bv| Zvn‡j Zviv †h †gvevBj¸‡jv e¨envi K‡i Zv Zv‡`i evev-gv ev ¯^Rb‡`i bv‡g †iwR‡÷ªkb Kiv| G‡¶‡Î Zv‡`iI `vwqZ¡kxjZvi cwiPq †`qv DwPZ| Ave`yjøvn Avj gvgyb e‡jb, wk¶v_©x‡`i Rb¨ hw` wbw`©ó B›Uvi‡bU c¨v‡KR †`qv nq †hLv‡b wKQy kã eøK Kiv _vK‡e| Zvn‡j Zviv Akøxj mvB‡U cÖ‡ek Ki‡Z cvi‡e bv| †Uwj‡dvb Acv‡iUi †Kv¤úvwb¸‡jv GB D‡`¨vM wb‡Z cv‡i| A‡bK †`‡kB GB e¨e¯’v Av‡Q| G‡¶‡Î evsjv‡`k †UwjKwgDwb‡Kkb A¨vÛ †i¸‡jUwi Kwgk‡bi (wewUAviwm) GKUv f~wgKv i‡q‡Q| Zviv PvB‡j GB KvR¸‡jv Ki‡Z cv‡i| cÖ_‡g †K Avc‡jvW K‡i‡Q Zvi AvBwWI †ei Ki‡Z cv‡i| kvw¯— wbwðZ n‡j G¸‡jv K‡g hv‡e|
XvKv wek¦we`¨vj‡qi wµwg‡bvjwR wefv‡Mi Aa¨vcK wRqv ingvb e‡jb, Avgiv GLb GKUv cwieZ©‡bi UÖvbwRkbvj †÷‡R AvwQ| gW©vb nw”Q, Dbœqb n‡”Q, cÖhyw³‡Z DbœZ nw”Q| GB Ae¯’vq †h‡Kvb mgv‡Ri wµwgbvj A¨vw±wfwUR N‡U| gvby‡li AwaKvi, ¯^vaxbZv †e‡o hvq| GB Ae¯’vq gvbyl mgv‡Ri m‡½ cy‡ivcywi Lvc LvIqv‡Z cv‡i bv| Dbœq‡bi gva¨g¸‡jv e¨envi Ki‡Z wbqg-Kvbyb `iKvi nq †mUv eyS‡Z cv‡i bv| GKUv wRwbm KZUyKy e¨envi Ki‡Z cvi‡ev Zvi GKUv mxgvbv _vKv `iKvi nq wKš‘ †m¸‡jv Zvr¶wYKfv‡e eyS‡Z cv‡i bv| cyuwRev`x mgv‡R †gvevBj †Kv¤úvwbI bvbvfv‡e weÁvcb w`‡q AvK…ó K‡i| A‡bK mgq †b‡MwUf welqI P‡j Av‡m| m‡e©vcwi mvgwMÖK cwieZ©‡bi d‡j Zi“Y mgv‡Ri Ici GKUv †b‡MwUf welq MÖnY Kivi cÖeYZv ˆZwi nq| UÖvbwRkbvj †÷‡R G¸‡jv me mgv‡RB n‡q‡Q| wZwb Avkv cÖKvk K‡ib, ax‡i ax‡i AwffveK‡`i g‡a¨ m‡PZbZv ˆZwi n‡e, Avgiv K_v ej‡ev GB wb‡q, †jLv‡jwLI n‡e| Zi“Y mgvRI GK mgq cwieZ©‡bi m‡½ Lvc-LvB‡q Gme weK…Z welq cwiZ¨vM Ki‡e| wZwb e‡jb, Av‡gwiKvb †mvmvBwU, KvbvwWqvb †mvmvBwUi †Kv‡bv wek¦we`¨vj‡q †M‡j c‡b©v mvBUM¸‡jv‡ZI XyKv hv‡e bv| †mLv‡b c‡b©vmvB‡Ui mvf©vi¸‡jv eøK K‡i †`qv Av‡Q| Avgv‡`i mgv‡RI GgbUv n‡e| Ges †mUv wbf©i Ki‡e †i¸‡jUwi G‡RwÝ KZUyKy †i¸‡jU Ki‡e Zvi Ici|
c‡b©vMÖvwd †h ïay gvby‡li g‡bvRMZ IjU-cvjU K‡i †`q Zv-B bq| evsjv‡`‡k c‡b©vMÖvwdi wkKvi nq A‡bK‡K cÖvYI w`‡Z n‡q‡Q| 13 eQ‡ii kvnvbviv LvZyb| mvZ¶xivi GKwU Mvj©m ¯‹y‡ji 8g †kÖwYi GB QvÎx MZ eQ‡ii 12B wW‡m¤^i AvZ¥nZ¨v K‡i| Zvi GB AvZ¥nZ¨vi KviY wQj d‡Uvk‡c ˆZwi Kiv Zvi GKwU Akøxj Qwe| QwewU B›Uvi‡b‡Ui gva¨‡g Qwo‡q c‡owQj ¯‹yj-K‡j‡Ri DVwZ eqmx wk¶v_©x I GjvKvi eLv‡U‡`i nv‡Z nv‡Z| Gici GjvKvi cwi‡ek Zvi Rb¨ n‡q I‡V biKhš¿Yv| cwiYwZ‡Z AvZ¥nb‡bi c_ †e‡Q †bq †m| ïay kvnvbviv bq, IB eQi Akøxj wfwWI ev c‡b©vMÖvwdi wkKvi n‡q AvZ¥nbb K‡i Aš—Z 5 Rb| cÖwZ eQiB Ggb NUbv NU‡Q|

এইডসের ওষুধ আবিস্কার করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিলেন বাঙ্গালী বিজ্ঞানী অনিতা

এইডসের ওষুধ আবিস্কার করে বিশ্বজুড়ে হইচই ফেলে দিলেন বাঙ্গালী বিজ্ঞানী অনিতা
ডেঙ্গির পর কি এ বার এডসের টিকাও আমাদের হাতে আসতে চলেছে?


আর সেই মারণ ব্যাধি রোখার লড়াইয়ে কি পাকাপাকি ভাবে ঠাঁই পেতে চলেছে এক বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম?
তা সে কোনও দেশই হোক বা ঘর-বাড়ি অথবা আমার আপনার শরীর, বাইরের শত্রুকে ঠেকানোর ভাবনাটাই ভাবতে হয় সবচেয়ে আগে। আর সেই শত্রু যদি এমন হয় যে তা দুদ্দাড়িয়ে বাড়ে সংখ্যায়, যাদের বংশ-বৃদ্ধি হয় রাক্ষসের বংশের মতো, তা হলে তাদের ঠেকানোর কাজটা জটিল থেকে জটিলতর হয়ে পড়ে।
এডসের মতো একটি দুরারোগ্য ব্যাধি যে গত দু’-তিন দশক ধরে গোটা বিশ্বের ঘুম কেড়ে নিয়েছে, তার একটাই কারণ। ভাইরাস ‘এইচআইভি-পজিটিভ’ রাক্ষসের মতো বাড়ে অনেক সংখ্যায়। অত্যন্ত দ্রুত হারে, নিমেষের মধ্যেই। ডেঙ্গি, ফ্লু’র (ইনফ্লুয়েঞ্জা) চেয়ে এডস ভাইরাসের ‘মিউটেশন রেট’ অনেক বেশি বলেই এটা হয়। যার জন্য এত দিন এই মারণ ব্যাধিকে রোখার পথ খুঁজে বের করতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছিল ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের।
অন্ধকারে এ বার কিছুটা হলেও, আলোর দেখা মিলেছে! মার্চের শেষে বিজ্ঞান জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ বেরিয়েছে একটি সাড়া জাগানো গবেষণাপত্র। যার শিরোনাম- ‘এইচআইভি-ওয়ান ব্রডলি নিউট্রালাইজিং অ্যান্টিবডি প্রিকার্সার বি সেল্‌স রিভিলড বাই জার্মলাইন-টার্গেটিং ইমিউনোজেন’। ক্যালিফোর্নিয়ার ‘স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র কম্পিউটেশনাল বায়োলজিস্ট উইলিয়াম শিফের নেতৃত্বে ওই গবেষক দলে যে একমাত্র ভারতীয় রয়েছেন, তিনি বাঙালি। অনিতা সরকার। কলকাতায় জন্ম অনিতার। স্কুলজীবনের বেশির ভাগটাই থাকতেন ন্যাশনাল লাইব্রেরি ক্যাম্পাসে। পরে সেখান থেকে চলে যান মহেশতলায়। সেন্ট পল্‌স আর সেন্ট টেরেসা স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে জুলজিতে অনার্স নিয়ে স্নাতক হন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। দিল্লিরই জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োইনফর্মেটিক্সে স্নাতকোত্তর স্তরের পাঠ শেষ করে পিএইচডি করেন ফ্রান্সের গ্রেনোবল থেকে। অনিতার প্রথম পোস্ট ডক্টরাল থিসিসটির কাজ চলছে এখন ক্যালিফোর্নিয়ার স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।
সহযোগী গবেষক ক্যালিফোর্নিয়ার লা হোয়ায় ‘স্ক্রিপ্‌স রিসার্চ ইনস্টিটিউটে’র স্ট্রাকচারাল বায়োলজিস্ট অনিতা সরকার বলছেন, ‘‘শরীরে ভাইরাসের মতো শত্রুরা হামলা চালালে, তাদের রুখতে প্রাকৃতিক ভাবেই, শরীরে কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। বিশেষ বিশেষ ভাইরাসের হানাদারি রোখার জন্য বিশেষ বিশেষ অ্যান্টিবডি। যেমন, তরোয়ালের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঢাল বা বর্ম লাগে। আর, বুলেট-বৃষ্টি থেকে বাঁচতে লাগে বুলেট-প্রুফ জ্যাকেট। প্রতিরোধের ধরনটা
মোটামুটি একই রকম হলেও তার হাতিয়ারটা হয় আলাদা আলাদা।’’
অনিতার কথায়, ‘‘গত ৩০ বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, খুব অল্প সংখ্যক এইচআইভি-পজিটিভে আক্রান্ত মানুষ এমন বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারেন। এমন অ্যান্টিবডির সংখ্যা ও ভাইরাসের ‘মিউটেশন রেট’-এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাদের দ্রুত পরিবর্তনের ক্ষমতাই এইচআইভি ভাইরাসকে শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেবে না। গবেষকরা চেষ্টা করছেন, এইচআইভি-পজিটিভ ভাইরাস রোখার জন্য়েও আমাদের শরীরে গড়ে ওঠে বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিবডি।গবেষকরা চেষ্টা করছেন, এমন একটা টিকা বানাতে যা দেহে ওই অ্যান্টিবডি তৈরি করে রাখে। যার ফলে, সুস্থ মানুষের শরীর ওই মারাত্মক ভাইরাসের হানাদারিকে রুখতে পারে।’’
এডস এখন বিশ্বে মহামারী হয়ে উঠেছে। এর কোনও প্রতিকার বা প্রতিরোধের উপায় আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এখনও পর্যন্ত খুঁজে পায়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের এডস প্রতিরোধ সংস্থার (ইউএনএডস) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, ২০১৩ সালের শেষে বিশ্বে সাড়ে তিন কোটি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এডসে। তার মধ্যে শুধু ভারতেই এডস-আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাটা বছর তিনেক আগেই পৌঁছে গিয়েছে ২১ লক্ষে। ওই এডস রোগীদের মধ্যে খুবই সামান্য একটা অংশের দেহে এডস ভাইরাসের দ্রুত বংশ-বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ঠেকানোর অ্যান্টিবডি, প্রাকৃতিক ভাবেই গড়ে তুলতে পারে।
অনিতা বলছেন, ‘‘গবেষকরা চেষ্টা করছেন, যাঁদের এডস হয়নি, তাঁদের শরীরে ওই প্রতিরোধ ব্যবস্থাটাকে কৃত্রিম ভাবে, জোরদার করে তুলতে। আমরা কম্পিউটেশনাল ডিজাইন আর স্ট্রাকচারাল বায়োলজির মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাসের একটি প্রোটিনের একটি অংশ বানিয়েছি। যেটা আমাদের ‘জার্মলাইন’ ( যেগুলি আমাদের শরীরে জন্মের সময় থেকেই থাকে) অ্যান্টিবডিগুলিকে শনাক্ত করে। আর সেগুলিকে এইচআইভি প্রতিরোধ করার মতো করে গড়ে তুলতে পারে। তার ফলে, ওই ভাইরাসের হানাদারি রোখার জন্য এ বার আমরা আগেভাগেই তৈরি থাকতে পারব।’’
কিন্তু, আমাদের শরীরে কি ওই ‘জার্মলাইন অ্যান্টিবডি’গুলি রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে?
অনিতা বলছেন, ‘‘আমাদের গবেষণায় আমরা দেখেছি, সাধারণ, সুস্থ-সবল মানুষের শরীরে এই জার্মলাইন অ্যান্টিবডিগুলো থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণেই। ওই ‘ডিজাইনড্‌ প্রোটিন’ আর আ্যান্টিবডিগুলির গঠন দেখে আমরা নিশ্চিত, সাধারণ মানুষের মধ্যে এইচআইভি-র হানাদারি রোখার ক্ষমতা রয়েছে। আমাদের এই ‘ডিজাইনড্‌ প্রোটিন’ আগামী দিনে এইচআইভি রোখার জন্য টিকা তৈরির ক্ষেত্রে একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে। তার সম্ভাবনা যথেষ্টই।’’

ইজতেমায় বিনামূল্যে ১৯৫টি বাস দিচ্ছেন ডিপজল।

ইজতেমায় বিনামূল্যে ১৯৫টি বাস দিচ্ছেন ডিপজল।

আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। দেশের ৩৯টি জেলার ধর্মপ্রাণ মুসলমান ছাড়াও এতে অংশ নেবেন লাখ লাখ বিদেশি। এরই মধ্যে বিশ্ব ইজতেমার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ইজতেমার যাত্রীদের আসা-যাওয়ার জন্য চলচ্চিত্র অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল নিজস্ব প্রতিষ্ঠান ডিপজল এন্টারপ্রাইজের পক্ষ থেকে ১৯৫টি বাস দেবেন এবং সেটা বিনামূল্যে। এ বিষয়ে ডিপজল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি যেটা করছি সেটা আমার ভাগ্যে ছিল। অনেক মানুষের অনেক কিছুই আছে, কিন্তু মানুষের জন্য কিছু করা হয় না। আমি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি, আমি আমার ১৯৫টি বাসের মাধ্যমে দেশের ৩৯টি জেলায় ফ্রি সার্ভিস দিতে পারছি।’
ডিপজল আরো জানান, ‘বৃহস্পতিবার থেকে বিভিন্ন জেলা শহর থেকে মুসল্লিদের আনা শুরু হবে এবং রোববার আখেরি মোনাজাতের পর আবার সবাইকে নিজ নিজ জেলায় পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিবছরই ইচ্ছা থাকে ইজতেমায় গিয়ে লাখো মুসল্লির সাথে সময় কাটাব। আমি শুনেছি সেখানে গেলে মানুষের মন পরিবর্তন হয়। এই বছর ইনশাল্লাহ্ অবশ্যই যাব। এবং সবার সাথে দুদিন সময় কাটাব। আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া যে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জমায়েতটি আমাদের দেশে হয়। যে কারণে আমরাও বিভিন্নভাবে এই জমায়েতের জন্য কাজ করতে পারছি।’

টুইটার বন্ধের ব্যাপারে তারানা হালিম যা বললেন।

টুইটার বন্ধের ব্যাপারে তারানা হালিম যা বললেন।
এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য না করলেও একটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে টুইটার বন্ধের ব্যাপারে কথা বলেছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। 
 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ২২ দিন বন্ধ রাখার পর এবার টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন মন্তব্য না করলেও একটি সংবাদ মাধ্যমের কাছে টুইটার বন্ধের ব্যাপারে কথা বলেছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধের নির্দেশ নতুন নয় বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। রোববার রাতে মোবাইল অপারেটর ও টেলিকম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
তবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী রাতে একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, নির্দেশনা নতুন নয়। ফেসবুক খুলে দিলেও অন্যান্য মাধ্যমগুলো লিক করছে। আর লিক যেন না হয় সেজন্য বন্ধ থাকার নির্দেশনাটি মনে করিয়ে দিয়েছে বিটিআরসি। এটা নতুন কোনো নির্দেশনা নয়। পূর্বের নির্দেশনার পুনরাবৃত্তি। 
শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকে সামনে রেখে গত ১৮ নভেম্বর ফেসবুক, ভাইবার, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটঅ্যাপ, ট্যাঙ্গো, লাইনসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সাময়িক বন্ধ করে দেয় সরকার। কিন্তু কেউ কেউ বিকল্প পথে ব্যবহার করে আসছিলো।
বন্ধের ২২ দিনের মাথায় গত ১০ ডিসেম্বর ফেসবুকের সঙ্গে এর অ্যাপস ম্যাসেঞ্জার খুলে দেয়া হলেও অন্যান্য মাধ্যমগুলো এখনও বন্ধ রয়েছে। তবে চালু ছিলো টুইটার। ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ট্যাঙ্গো ও লাইন বন্ধ আছে। এর সঙ্গে টুইটার, স্কাইপ ও ইমো বন্ধের নির্দেশ এলো।

টুইটার বন্ধের নির্দেশনা সাময়িক: তথ্যমন্ত্রী ।

টুইটার বন্ধের নির্দেশনা সাময়িক: তথ্যমন্ত্রী ।
বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার এবং ইন্টারনেটে সহজে কথা বলার মাধ্যম স্কাইপ ও ইমো বন্ধ করাকে একটি সাময়িক ব্যবস্থা বলে বিবিসিকে অভিহিত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।


বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটার এবং ইন্টারনেটে সহজে কথা বলার মাধ্যম স্কাইপ ও ইমো বন্ধ করাকে একটি সাময়িক ব্যবস্থা বলে বিবিসিকে অভিহিত করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।  তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কিছু সন্ত্রাসী তৎপরতা মোকাবেলার জন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিল। তাতে কিছু উপকারও পাওয়া গেছে। কিছু উস্কানিদাতাদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বন্ধ রাখা সম্ভব হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।  রোববার রাতে দেশের সব মোবাইল ফোন অপারেটর ও ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই সেবাগুলো বন্ধ রাখার জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান বিটিআরসির পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২২ দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইসবুক খুলে দেয়া হয়।  ফেসবুক বন্ধের একই সময়ে বন্ধ করা হয় মোবাইল ফোনের অ্যাপ ফেসবুক মেসেঞ্জার, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ। তবে ফেইসবুক খুলে দিলেও, ভাইবার ও হোয়াটসঅ্যাপ এখনো বন্ধ রয়েছে। সেসময় নিরাপত্তার স্বার্থে এসব অ্যাপস বন্ধ রাখা হয়েছিল বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল।