Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts
Showing posts with label বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি. Show all posts

দোকানে চুরি বন্ধে ফেসওয়াচ প্রযুক্তি।

দোকানে চুরি বন্ধে ফেসওয়াচ প্রযুক্তি।
 
ব্রিটেনের বিপণী বিতানগুলিতে ছিঁচকে চুরি রোধ করতে নতুন এক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। আর সেটা হলো ফেসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজি – সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মানুষের মুখের অবয়ব চিনতে পারে এই প্রযুক্তি।
ফেসওয়াচ নামের এই প্রযুক্তি দিয়ে শপিং সেন্টারগুলোর নিরাপত্তা কর্মীরা এতদিন শুধুমাত্র ছিঁচকে চোরদের ছবি নিজেদের মধ্যে শেয়ার করেছে।
কিন্তু এখন এই প্রযুক্তিতে সম্ভাব্য অপরাধীর ডেটাবেজের সঙ্গে কারো চেহারার মিল ধরা পড়লে দোকানগুলিতে অ্যালার্ট জারি করা হবে।
ফেসওয়াচ পরীক্ষার সময় উপস্থিত বিবিসি সাংবাদিক ক্রিস ভ্যালেন্স জানাচ্ছেন, এই প্রযুক্তিতে দেখা যাচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে দিয়ে মানুষজন হেঁটে যাচ্ছেন, প্রত্যেকের মুখ ফুটে উঠছে ক্যামেরায়। প্রতিটি মুখের ওপর ঝুলছে একটি করে চতুষ্কোণ। ক্যামেরা চিনে রাখছে প্রতিটি লোককে।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্রিটেনের পাবগুলিতে হাতব্যাগ চুরির ঘটনা ঠেকানো হয়েছে। অন্যান্য ছিঁচকে চুরিও কমে এসেছে। কিন্তু শপিং সেন্টারের মালিকরা এই প্রযুক্তির প্রসার কামনা করলেও এর একটি আইনগত জটিলতাও রয়েছে। আর সেটি হলো মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার।
টোনি পোর্টার হলেন ব্রিটেনের সার্ভেইলেন্স ক্যামেরা কমিশনার। তিনি বলছেন, এ নিয়ে বৃহত্তর পরিসরে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
তার প্রশ্ন: আপনি কী চান প্রতি দিন ৬০ লাখ সিসিটিভি ক্যামেরা আপনার দিকে তাক করা থাকুক এবং আপনার প্রতিটি পদক্ষেপের ছবি তুলে রাখুক?

বিপদে মোবাইলের বাটন চাপলেই পুলিশ হাজির।

বিপদে মোবাইলের বাটন চাপলেই পুলিশ হাজির।
হঠাৎ করেই বিপদ! দুশ্চিন্তার কারণ নেই। হাতের মোবাইলটির বাটনে চাপ দিলেই হাজির হবে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে বিপদ থেকে উদ্ধারের ব্যবস্থা করা হবে নারী-পুরুষকে, হোক না ছোট কিংবা বড়।
বাংলাদেশের মোবাইল ফোন গ্রাহকদের জন্য এমনই একটি প্রযুক্তি সেবা নিয়ে আসছে সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
আগামী তিন মাসের মধ্যেই গ্রাহক পর্যায়ে এ সেবা উন্মুক্ত করার আশা করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
‘মোবাইল হেল্প সাবস্ক্রাইবার’ নামের এ সেবাটি সম্পর্কে তারানা হালিম বলেন, ‘যেকোনো মোবাইলে নির্দিষ্ট একটি বাটনে পরপর তিনবার চাপ দিলেই নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে ওয়্যারলেস প্রযুক্তির মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত মানুষটির খবর চলে যাবে’।
‘জিপিআরএস (জেনারেল প্যাকেট রেডিও সার্ভিস) প্রযুক্তির মাধ্যমে বিপদগ্রস্ত ওই ব্যক্তির বিপদে পড়ার স্থানটিও ভেসে উঠবে থানায় সংরক্ষিত মোবাইল ডিভাইসে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চলে যাবে সেখানে, ব্যবস্থা নেবে’।
তারবিহীন মোবাইল টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত এ ব্যবস্থায় গ্রাহকের কোনো ধরনের চার্জ কাটা হবে না।
‘দুর্গম এলাকায় হারিয়ে যাওয়া, ছোট শিশুর পথ খুঁজে না পাওয়া কিংবা যেকোনো বিপদে পড়া নারী-পুরুষ এ সেবা গ্রহণ করতে পারবে’- বলেন তারানা হালিম।
সেবাটি চালুর জন্য মোবাইল অপারেটর এবং প্রযুক্তিবিদসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শিগগিরই কথা বলা হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ভারতে বিপদে পড়া নারীকে সহায়তা দিতে সব মোবাইলে ‘প্যানিক বাটন’ যুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। ওই সেবা পেতে মোবাইল ব্যবহারকারীকে পরিচিত একটি নম্বর তার ফোনে সংরক্ষণ করতে হবে, যেটিতে ফোন করলে তিনি সহায়তা পাবেন। বাটন চাপার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সংরক্ষিত ওই নম্বরের ফোনে ভেসে উঠবে। এতে তিনি বুঝতে পারবেন, কেউ তার সহায়তা চাইছে। নতুন বা পুরনো সব মোবাইলে আগামী ছয় মাসের মধ্যে এটি চালু করার সুযোগ থাকবে।
সেখানে শুধু নারীর জন্য প্যানিক বাটন চালু হলেও বাংলাদেশে এ সেবার আওতায় নারী-পুরুষ সবাই আসবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
হেল্প লাইনে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের সহায়তায় অপরাজেয় বাংলাদেশে মাধ্যমে সহায়তা দিচ্ছে ইউনিসেফ। বাংলাদেশের প্রথম এই চাইল্ড হেল্পলাইন সেবা সম্প্রসারণে অংশীদার হয়েছে গ্রামীণফোন। এজন্য গ্রামীণফোন থেকে বিনা খরচে ১০৯৮ নম্বরে ডায়াল করা যাবে।
এছাড়াও, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ সাইবার নিরাপত্তায় একটি হেল্পলাইন চালু করেছে। ০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮ ও ১০৯২১ নম্বরে সেবা দিচ্ছে আইসিটি বিভাগ।
এদিকে কল-কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সুস্থ, নিরাপদ ও উন্নত কর্মপরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে চলতি বছরের মার্চে আরও একটি হেল্পলাইন চালু করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়। শ্রমিকদের জন্য এই হেল্পলাইন নম্বর ০৮০০৪৪৫৫০০০।

4G-তে অতিরিক্ত চার্জ ইন্টারনেট সেবার বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে।

4G-তে অতিরিক্ত চার্জ ইন্টারনেট সেবার বিকাশ বাধাগ্রস্ত করবে।
দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ- রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে সরকারের ডাটাকেন্দ্রিক টেকসই নীতি গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করছেন তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা।
দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার বাড়ানোর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ-রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়নে সরকারের ডাটাকেন্দ্রিক টেকসই নীতি গ্রহণ করা উচিৎ বলে মনে করছেন তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, দেশের মানুষ এখন উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবার জন্য অপেক্ষা করছে। এ রকম সময়ে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) প্রযুক্তির উপর কোনো ধরণের অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করলে ইন্টারনেট সেবার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে।
প্রযুক্তিবিদ মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) সেবার প্রকৃত গতি পাচ্ছে না, এ জন্য ব্যবহারকারীদের সঠিক চাহিদা পূরণ করতে সরকারের উচিত সম্ভাব্য সব উপায়েই চেষ্টা করা। গ্রামীণ এলাকাগুলোতে উচ্চ গতির ইন্টারনেটের অবস্থা খুবই হতাশাজনক। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (বিডব্লিউএ) ও ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডরদের (আইএসপি) সময়মতো আপারেশনাল ডকুমেন্টস (এনওসি, প্রযুক্তিগত অনুমোদন ইত্যাদি) দিয়ে সহযোগিতা করা দরকার। সেখানে এটি না করে উল্টো ফোরজি বা লং টার্ম এভ্যুলেশন (এলটিই) ব্যবহারের জন্য অতিরিক্ত চার্জ আরোপ করলে দেশের ইন্টারনেট সেবাখাতের অগ্রগতির সম্ভাবনা কমে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে কোনো রকম অতিরিক্ত চার্জ আরোপ না করেই সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যেমন এলটিই বা ফোরজি’র মতো সেবা চালু করতে হবে, যা থেকে ২০০৯ সালে সরকারের শুরু করা ক্যাম্পেইন ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলতা পাবে। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির উচিৎ হবে দেশে নতুন প্রযুক্তি প্রবর্তনে সামনে থেকে কাজ করা, তা না হলে জনগণ এটা থেকে কোনো সুফলই পাবে না।’
২০১৩ সালে ২১০০ ব্যান্ডের বেতার তরঙ্গের উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বাংলাদেশ থ্রিজির যুগে প্রবেশ করে। সে সময় সব জিএসএম ভিত্তিক মোবাইল ফোন অপারেটরই তার গ্রাহকদের জন্য এই সেবা কিনেছিল। কিন্তু এই থ্রিজি সেবার নিম্নগতির কারণে গ্রাহকদের মধ্যে অসন্তুষ্টি থেকে গেছে। ইতিমধ্যে ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তি বৈশ্বিকভাবে বিলুপ্ত হওয়ার কারণে সরকার বিডব্লিউএ (ব্রডব্যান্ড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস) আপারেটরদের গ্রাহকদের জন্য এলটিই (লং টার্ম ইভ্যুলেশন) সেবা প্রদানের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
সারা বিশ্বে ইন্টারনেট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কোনো প্রকার অতিরিক্ত চার্জ প্রদান ছাড়াই ওয়াইম্যাক্স থেকে এলটিই প্রযুক্তিতে ইন্টারনেট সরবরাহ করছে। কিন্তু সম্প্রতি সেলুলার ফোন অপারেটর এবং রেগুলেটরের মধ্যে এক সভায় এলটিই প্রযুক্তি ব্যবহারে অতিরিক্ত চার্জ প্রদানের বিষয়টি আসলে সেটি বিডব্লিউএ অপারেটররা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। সেলুলার ফোন অপারেটরদের প্রাথমিক পর্যায়ে যে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়েছিল সেটি যদি বিডব্লিউএ অপারেটররা পায়, তাহলে উচ্চ গতির ইন্টারনেট ব্যবহার আরো গতিশীল হবে বলে মনে করেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)’ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট আখতারুজ্জামান মঞ্জু।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল ফোন অপারেটরদের সরবরাহ করা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সঠিক সেবা গ্রাহকরা পাচ্ছে না। উচ্চ গতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারকে এলটিই বা ফোরজির প্রতি নজর দিতে হবে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি’র সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৩৯ লাখ ৪১ হাজার। তবে বিটিআরসি’র সম্প্রতি করা এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারীই ইন্টারনেটের নিম্নমানের গতির জন্য অসন্তুষ্ট। নাম না প্রকাশ করার শর্তে বিডব্লিউএ অপারেটরদের অনেক কর্মকর্তাই বলেছেন, বর্তমান চার্জ বৃদ্ধি করা হলে সেই অতিরিক্ত চার্জ মূলত গ্রাহকদেরই প্রদান করতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপারেটররা অতিরিক্ত চার্জ প্রদানের জন্য প্রস্তুত নয় এবং বিটিআরসি’র উচিৎ হবে প্রথমে ইন্টানেট সেবার বাজারকে বাড়তে দেওয়া এবং তারপর এ ধরনের আলোচনা করা। বিটিআরসি’র উচিত কোনো একটি অপারেটরকে বিশেষ সুবিধা না দিয়ে সব অপারেটরদের জন্য একটি লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করা। তাদের মতে নতুন চেয়ারম্যানের জন্য এখনও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাংলাদেশের সব অঞ্চলে অপারেটরদের সেবা সরবরাহে সাহায্য করতে সঠিক দিক-নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।

জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জার।

জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জার।
শ্রেষ্ঠ অ্যাপের স্থানে এখনও রাজত্ব করছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম। তবে ফেসবুক মেসেঞ্জার এবং স্নাপচ্যাট মার্কিন তরুণদের কাছে জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে।
সংবাদমাধ্যম ভেঞ্চারবিট এক প্রতিবেদনে জানায়, কলেজ শিক্ষার্থীদের স্থানীয় চাকরির সুযোগ তৈরি করে দেওয়া স্টার্টআপ ওয়েআপ সম্প্রতি ১ হাজার কলেজ শিক্ষার্থীকে তাদের প্রিয় অ্যাপ কী তা নিয়ে জরিপ চালায়।
জরিপে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা ফেসবুক মেসেঞ্জার, স্নাপচ্যাট, ফ্রি ডিজিটাল ওয়ালেট ভেনমোর প্রতি সবচেয়ে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। ২০১৫ সাল জুড়ে মোবাইল ট্রেন্ড জানার জন্য বিভিন্ন সময়ে ৫ বার জরিপটি করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, সারা বছর জুড়ে ফেসবুক মেসেঞ্জার, স্নাপচ্যাট এবং ভেনমো নিয়ে কম কথাই বলেছে শিক্ষার্থীরা।
তবে জরিপটির ফলাফলটি কিছুটা ভ্রান্তিকর। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর জুড়ে ব্যাংকিং অ্যাপগুলোতে ভয়াবহ পতন দেখা গেছে। গবেষণায় বলা হয়, পেমেন্ট অ্যাপের মধ্যে ভেনমো এখনও জনপ্রিয়।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পেপালের থেকে ৫ গুণ বেশি ডাউনলোড হয়েছে অ্যাপটি। ওয়েআপের মতে, সেপ্টেম্বরের আগ পর্যন্ত স্নাপচ্যাটও অ্যাপ পাড়ায় হিট ছিল। ফেসবুক মেসেঞ্জারের জনপ্রিয়তা ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিছুটা বাড়ে। তবে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর অব্দি এর জনপ্রিয়তা ফেসবুক থেকে দ্বিগুণ পরিমাণে কমে যেতে থাকে।

২০১৫ সালে ইন্টারনেটে যেভাবে মিথ্যাচার হয়েছে।

২০১৫ সালে ইন্টারনেটে যেভাবে মিথ্যাচার হয়েছে।
গত কয়েক বছরের মতো ২০১৫ সালেও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা এবং ভুল বিভিন্ন ছবি খুঁজে বের করা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্যস্ত থাকতে হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১৫ সালে অনেক ছবি এবং ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়েছে, আদতে যেগুলো ছিল মিথ্যা এবং ভুল।
ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা ছবি তৈরি করা হয়েছে। কখনো কখনো সদ্য পাওয়া খবরের ক্ষেত্রেও এমনটা হয়েছে, যেখানে খবরের সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন ছবিও বহুবার শেয়ার করা হয়েছে ইন্টারনেটের সামাজিক মাধ্যমে।
নেপালে ভূমিকম্পের হৃদয়বিদারক ছবি
গত এপ্রিলে নেপাল ভূমিকম্পের সময় সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়া ছবিগুলোর একটি এটি।
‘নেপালে চার বছরের ভাই তার দুই বছরের বোনকে আগলে রাখছে’ এই ক্যাপশনের সঙ্গে ছবিটি ফেসবুক এবং টুইটারে শেয়ার হয়েছে অসংখ্যবার। তবে আসলে ছবিটি তোলা হয়েছে ২০০৭ সালে ভিয়েতনামের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে।
নেপালে ভূমিকম্পের সময় সুইমিংপুলের ভিডিও
ভূমিকম্পের সময় ইউটিউব এবং ফেসবুকে কাঠমান্ডুর একটি হোটেলের সিকিউরিটি ক্যামেরার ফুটেজ উল্লেখ করে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়।
কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও ভূমিকম্পের তীব্রতা দেখাতে গিয়ে ভিডিওটি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আদতে এই ভিডিওটি বেশ পুরনো। সম্ভবত ২০১০ সালে মেক্সিকোতে ভূমিকম্পের সময় ভিডিওটি ধারণ করা হয়েছিল।
ইন্সটাগ্রামে ইউরোপে যাওয়ার পথ বর্ণনা করছেন একজন অভিবাসী
গত গ্রীষ্মে ইন্সটাগ্রামে একজন অভিবাসীর সেনেগাল থেকে স্পেনে যাত্রার ছবি আসতে শুরু করে।
ডাকারের বাসিন্দা আবু দিউফের এসব সেলফি ইন্টারনেটে আলোড়ন তোলে এবং হাজার-হাজার মানুষ তাকে ফলো করতে শুরু করে।
তবে শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে যে, এই ছবিগুলো ছিল উত্তর স্পেনের একটি ফটোগ্রাফি উৎসবের প্রচারণা।
আইএস যোদ্ধার সাজে শরণার্থী?
ইউরোপে শরণার্থী সঙ্কটের সময় এই ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে।
‘এই লোককে মনে পড়ে? গত বছর আইসিসের ছবিতে দেখা গিয়েছিল- এখন সে শরণার্থী’- লেখেন একজন।
পরবর্তীতে ছবির এই ব্যক্তিকে লাইথ আল-সালেহ হিসেবে শনাক্ত করা হয়, যিনি বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে লড়াইরত মধ্যপন্থী সিরীয় বিদ্রোহীগোষ্ঠী ফ্রি সিরিয়ান আর্মির একজন কমান্ডার। সিরিয়া থেকে পালিয়ে তিনি ২০১৫ সালের অাগস্টে সিরিয়া থেকে পালিয়ে মেসেডোনিয়ায় পৌঁছান।
ঈগলস অব ডেথ মেটাল কনসার্টের ছবি
নভেম্বরে প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর এই খবরকে ঘিরে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
গুরুতর কিছু মিথ্যার মধ্যে রয়েছে এই ছবিটি, যেটিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হামলার আগে বাটাক্লঁ কনসার্ট হলে ঈগলস অব ডেথ মেটালের কনসার্টের ছবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
আসলে ছবিটি তোলা হয়েছিল ডাবলিনে ব্যান্ডটির কনসার্টের সময়।
প্যারিসের ফাঁকা রাস্তা
আত্মঘাতী হামলার পর প্যারিসের ফাঁকা রাস্তার ছবি হিসেবে এই ছবিটি শেয়ার করা হয়।
কিন্তু আসলে এই ছবিটি তোলা হয়েছিল সাইলেন্ট ওয়ার্ল্ড নামের একটি ছবি সিরিজের অংশ হিসেবে।
এবং শেষে… এক স্বামীর চরম প্রতিশোধ
বিবাহবিচ্ছেদের পর এক জার্মান ব্যক্তি তার সকল সম্পত্তি দু’ভাগ করে বিক্রি করছেন এমন একটি খবরে অনেকেই বোকা হয়েছেন। গত জুনে ওই ছবি দেখে অনেক গণমাধ্যমও প্রতিবেদন করে।
ইউটিউবে প্রায় ৪৫ লাখ বার দেখা হওয়ার পর জার্মান বার অ্যাসোসিয়েশন স্বীকার করে যে, তারা তাদের প্রচারণার অংশ হিসেবে মিথ্যা এই গল্পটি বানিয়েছিল।

এলিফ্যান্ট রোডে ২০ জানুয়ারি ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার।

এলিফ্যান্ট রোডে ২০ জানুয়ারি ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার।
আগামী ২০-২৫ জানুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত দেশের বৃহত্তম কম্পিউটার মার্কেট এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘৭ম ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার-২০১৬’ শীর্ষক তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের মেলা।
কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতি আয়োজিত এবারের মেলায় সাড়ে ৬ শতাধিক প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ প্রযুক্তির কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, ক্যামেরা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ তথ্যপ্রযুক্তির নানা পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করবে। বাড়তি আয়োজনের পাশাপাশি থাকবে বিশেষ ছাড় ও উপহারের ছড়াছড়ি।
মেলা উপলক্ষে কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও মেলার সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, প্রতিবারের চেয়ে এবার আরো বড় পরিসরে মেলা আয়োজন করা হচ্ছে। সাধারণ প্রদর্শনীর পাশাপাশি থাকছে ক্যামেরা ও সিসি ক্যামেরা জোন, সায়েন্স ফেয়ার, রোবটিক্স ফেয়ার এবং রক্তদান কর্মসূচি। বিনোদনের জন্য থাকছে গেইমিং জোন, মুভি জোন, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, সেলফি প্রতিযোগিতা, শীতকালীন পিঠা উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজন। মেলা চলাকালীন সময়ে প্রবেশ টিকেটের উপর র্যা ফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। অভাবনীয় মূল্যছাড় ও উপহারতো থাকছেই!
তিনি আরো বলেন, ‘এবারের মেলাকে কেন্দ্র করে আইটি ব্যবসায়ীরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন। এ মেলায় বাংলাদেশের শীর্ষ আইসিটি পণ্য আমদানীকারক ও ব্যবসায়ীরা বিশ্বের মানসম্পন্ন ব্র্যান্ডের সর্বশেষ প্রযুক্তি প্রদর্শন করবেন। চলতি বছরের শেষ ও নতুন বছরের শুরু হওয়ায় সারা বিশ্বে বছরের সর্বশেষ টেকনোলজিগুলো মিলবে এখানে।’
মেলায় স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ কম্পিউটার, ডিজিটাল ক্যামেরা, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, এলসিডি মনিটর, টিভিকার্ড, পেনড্রাইভ, মেমোরি কার্ডসহ নানা প্রযুক্তিপণ্য। সম্পূর্ন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ও তৃতীয় থেকে দশম তলা পর্যন্ত ৯৬ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত কম্পিউটার সিটি সেন্টার সাজবে উৎসব আমেজে।