Showing posts with label বিনোদন. Show all posts
Showing posts with label বিনোদন. Show all posts

মীরাক্কেলের অ্যাঙ্কারের ভূমিকায় আর থাকবেন না মীর।

মীরাক্কেলের অ্যাঙ্কারের ভূমিকায় আর থাকবেন না মীর।

মীরাক্কেলের এক এবং অন্যতম সঞ্চালক স্বয়ং মীর বলেছেন ‘মীরাক্কেলের সিজন ১০-এর জন্য চুক্তিপত্রে এরই মধ্যে সই করা হয়ে গেছে। তবে আমার ইচ্ছা, সিজন টেন-এর পর আমি আর মীরাক্কেলের অ্যাঙ্কারের ভূমিকায় থাকব না। আমার জায়গায় অন্য কেউ আসুক। আমি নতুন ট্যালেন্টের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চাই। তখন হয়তো আমি মীরাক্কেলের মেন্টর হয়ে যাব বা অন্য ভূমিকায় চলে যাব।  চলতি মাসের আগামী ১০ তারিখ জি বাংলা চ্যানেলে মীরাক্কেল নাইন শুরু হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে এভাবেই নিজের আগামী ভাবনা চিন্তার কথা শেয়ার করলেন মীরাক্কেলের সঞ্চালক স্বয়ং মীর।  তিনি বলেন, টেলিভিশনে মীরাক্কেল ছাড়া আর কোনো শো তিনি করেন না। তবে অসংখ্য অফার আসে। রোজগারের অপশনও প্রচুর থাকে। লোকে আমাকে রিয়েলিটি শো ক্রিয়েট করতেও বলে। বাংলাদেশ থেকে তো প্রচুর টাকার অফার এসেছেও। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বলেছেন, বাংলাদেশের প্রোগ্রাম তো ভারতে টেলিকাস্ট হবে না। তাই আপনি এখানকার চ্যানেলে প্রোগ্রাম করুন। কিন্ত আমি রাজি হইনি। একই ধরনের অনুষ্ঠান আমি আর করব না। এটাই আমার সিদ্ধান্ত।’  মীরাক্কেলের শুরুর সময়টা নিয়ে বলতে গিয়ে মীর জানান, আজ রেডিও এবং টেলিভিশন মিলিয়ে আমার ২১ বছর পার হয়ে গেল। তবে টেলিভিশনে ২০০৬ সালে যখন মীরাক্কেল শুরু হয়, সেই সময় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আমাকে মাত্র তিন মাস সময় দিয়েছিল। বলেছিল, তিন মাসে ঠিকঠাক টিআরপি না উঠলে মীরাক্কেল বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন কনটেসট্যান্ট ফরম্যাট ছিল না। অনেকটা শেখর সুমনের ‘মুভার্স অ্যান্ড শেকারস’-এর ধাঁচে আমাকে সঞ্চালনা করতে হতো। সেই সময় বুঝেছি, অ্যাঙ্কারিংটা কতটা শক্ত। ২৪ ঘণ্টা এই নিয়ে পড়ে থাকতে হয়।  বর্তমানে ভারতজুড়ে অসহিষ্ণুতা শব্দটি নিয়ে বেশ সরগরম। মীরাক্কেলে সেই অসহিষ্ণুতা ইস্যু নিয়ে জোকস টোকস যে মোটেই থাকবে না এমনটা কিন্তু নয়। মীর জানিয়ে দিলেন, আমির খানের বক্তব্য নিয়ে চর্চা চলছে চারিদিকে, এসব দেখে মীরাক্কেলও চুপচাপ থাকবে না। আমাদের চারপাশের নানা সামাজিক ইস্যু নিয়েও মীরাক্কেলের নিজস্ব ঢঙে বক্তব্য আগেও ছিল, এবারও থাকবে। মোদ্দা কথা, লোকে সহ্য করুক আর নাই করুক, মীরাক্কেল খবরে থাকবে।  তবে মীরের মতে, মীরাক্কেল হচ্ছে বাঙালির সবচেয়ে বড় সহিষ্ণুতার পরীক্ষা। জানালেন, আমরা কী কী সহ্য করতে পারি, আর কী কী সহ্য করতে পারি না তাই নিয়ে চর্চ চলবে মীরাক্কেলে। এবার মীরাক্কেলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগীদের পাশাপাশি একঝাঁক বাংলাদেশি প্রতিযোগীও রয়েছেন। বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাকস্বাধীনতা নিয়ে অনেক রকমের প্রশ্ন উঠছে। তবে আপাতত সেসবের মধ্যে ঢুকছি না। রাজনীতি কিংবা সেক্স নিয়ে মজা করতে গিয়ে কাউকে রাগিয়ে দিতে চাই না।  মীরাক্কেল নাকি জি বাংলা চ্যানেলের ‘দুষ্টু হাড়হাভাতে বাচ্চা’! অন্তত এমনটাই মনে করছেন মীর। জানিয়েছেন, জি বাংলায় ‘সারেগামাপা’, ‘দাদাগিরি’ এগুলো হলো ‘সুষ্ঠু বালক ছেলে’। আর মীরাক্কেল নাকি ‘ঢপের শো’! তাই নাকি চ্যানেল এই শো’কে ত্যাজ্যপুত্র করে দিয়েছে! তাই তো মনের দুঃখে এবার গোটা মীরাক্কেল টিম একটা পাড়া ভাড়া করে নিয়েছে বলেও জানান মীর। তিনি জানান, আমি নিজেও ওই পাড়ায় এক বউদির নিচের তলায় ঘর ভাড়া নিয়েছি। জাজেরাও এসে এই পাড়ায় ঘর ভাড়া নিয়েছেন।  আজ দুই বাংলার বাঙালি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় এই কমেডি শো। কিন্তু মীরের গলায় অন্য সুর। জানিয়ে দিয়েছেন, আমি তো শোতে সব সময় বলি, প্লিজ চ্যানেল ঘুরিয়ে দিন। আপনারা সব শিক্ষিত মানুষ, কেন সময় নষ্ট করছেন মীরাক্কেল দেখে? কিন্তু মজার কথা হলো, যতবার নাকি এসব কথা বলে ব্রেক নিয়েছি, ততবারই লোকে চানেল চেঞ্জ না করে আমাকে নাকি এক হাত নিয়েছন! লোকে আমাদের গালাগালি করে, আবার এই শো এয়ার না থাকলে সমানে বলতে থাকে, দাদা মীরাক্কেল কবে আসছে? কেন যে চ্যানেল আমাদের পুষে রেখেছে? বুঝি না! বকাবকি করে, টাকা-পয়সা কমিয়ে দিয়েছে তাও কেউ কাউকে ছাড়তে পারছি না।

মীরাক্কেলের শো টাইমে নিউজ দেখেন মীর।

মীরাক্কেলের শো টাইমে নিউজ দেখেন মীর।
‘মীরাক্কেলের সিজন ১০-এর জন্য চুক্তিপত্রে এরই মধ্যে সই করা হয়ে গেছে। তবে আমার ইচ্ছা, সিজন টেন-এর পর আমি আর মীরাক্কেলের অ্যাঙ্কারের ভূমিকায় থাকব না। আমার জায়গায় অন্য কেউ আসুক। আমি নতুন ট্যালেন্টের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে চাই। তখন হয়তো আমি মীরাক্কেলের মেন্টর হয়ে যাব বা অন্য ভূমিকায় চলে যাব।’ চলতি মাসের আগামী ১০ তারিখ জি বাংলা চ্যানেলে মীরাক্কেল নাইন শুরু হওয়ার আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে এভাবেই নিজের আগামী ভাবনা চিন্তার কথা শেয়ার করলেন মীরাক্কেলের এক এবং অন্যতম সঞ্চালক স্বয়ং মীর।
সংবাদমাধ্যমের কাছে মীর জানিয়েছেন, টেলিভিশনে মীরাক্কেল ছাড়া আর কোনো শো তিনি করেন না। তবে অসংখ্য অফার আসে। রোজগারের অপশনও প্রচুর থাকে। লোকে আমাকে রিয়েলিটি শো ক্রিয়েট করতেও বলে। বাংলাদেশ থেকে তো প্রচুর টাকার অফার এসেছেও। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বলেছেন, বাংলাদেশের প্রোগ্রাম তো ভারতে টেলিকাস্ট হবে না। তাই আপনি এখানকার চ্যানেলে প্রোগ্রাম করুন। কিন্ত আমি রাজি হইনি। একই ধরনের অনুষ্ঠান আমি আর করব না। এটাই আমার সিদ্ধান্ত।’
মীরাক্কেলের শুরুর সময়টা নিয়ে বলতে গিয়ে মীর জানান, আজ রেডিও এবং টেলিভিশন মিলিয়ে আমার ২১ বছর পার হয়ে গেল। তবে টেলিভিশনে ২০০৬ সালে যখন মীরাক্কেল শুরু হয়, সেই সময় চ্যানেল কর্তৃপক্ষ আমাকে মাত্র তিন মাস সময় দিয়েছিল। বলেছিল, তিন মাসে ঠিকঠাক টিআরপি না উঠলে মীরাক্কেল বন্ধ করে দেওয়া হবে। তখন কনটেসট্যান্ট ফরম্যাট ছিল না। অনেকটা শেখর সুমনের ‘মুভার্স অ্যান্ড শেকারস’-এর ধাঁচে আমাকে সঞ্চালনা করতে  হতো। সেই সময় বুঝেছি, অ্যাঙ্কারিংটা কতটা শক্ত। ২৪ ঘণ্টা এই নিয়ে পড়ে থাকতে হয়।
বর্তমানে ভারতজুড়ে অসহিষ্ণুতা শব্দটি নিয়ে বেশ সরগরম। মীরাক্কেলে সেই অসহিষ্ণুতা ইস্যু নিয়ে জোকস টোকস যে মোটেই থাকবে না এমনটা কিন্তু নয়। মীর জানিয়ে দিলেন, আমির খানের বক্তব্য নিয়ে চর্চা চলছে চারিদিকে, এসব দেখে মীরাক্কেলও চুপচাপ থাকবে না। আমাদের চারপাশের নানা সামাজিক ইস্যু নিয়েও মীরাক্কেলের নিজস্ব ঢঙে বক্তব্য আগেও ছিল, এবারও থাকবে। মোদ্দা কথা, লোকে সহ্য করুক আর নাই করুক, মীরাক্কেল খবরে থাকবে। তবে মীরের মতে, মীরাক্কেল হচ্ছে বাঙালির সবচেয়ে বড় সহিষ্ণুতার পরীক্ষা। জানালেন, আমরা কী কী সহ্য করতে পারি, আর কী কী সহ্য করতে পারি না তাই নিয়ে চর্চ চলবে মীরাক্কেলে। এবার মীরাক্কেলে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিযোগীদের পাশাপাশি একঝাঁক বাংলাদেশি প্রতিযোগীও রয়েছেন। বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতিতে বাকস্বাধীনতা নিয়ে অনেক রকমের প্রশ্ন উঠছে। তবে আপাতত সেসবের মধ্যে ঢুকছি না। রাজনীতি কিংবা সেক্স নিয়ে মজা করতে গিয়ে কাউকে রাগিয়ে দিতে চাই না।
মীরাক্কেল নাকি জি বাংলা চ্যানেলের ‘দুষ্টু হাড়হাভাতে বাচ্চা’! অন্তত এমনটাই মনে করছেন মীর। জানিয়েছেন, জি বাংলায় ‘সারেগামাপা’, ‘দাদাগিরি’ এগুলো হলো ‘সুষ্ঠু বালক ছেলে’। আর মীরাক্কেল নাকি ‘ঢপের শো’! তাই নাকি চ্যানেল এই শো’কে ত্যাজ্যপুত্র করে দিয়েছে! তাই তো মনের দুঃখে এবার গোটা মীরাক্কেল টিম একটা পাড়া ভাড়া করে নিয়েছে বলেও জানান মীর। তিনি জানান, আমি নিজেও ওই পাড়ায় এক বউদির নিচের তলায় ঘর ভাড়া নিয়েছি। জাজেরাও এসে এই পাড়ায় ঘর ভাড়া নিয়েছেন।
আজ দুই বাংলার বাঙালি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় এই কমেডি শো। কিন্তু মীরের গলায় অন্য সুর। জানিয়ে দিয়েছেন, আমি তো শোতে সব সময় বলি, প্লিজ চ্যানেল ঘুরিয়ে দিন। আপনারা সব শিক্ষিত মানুষ, কেন সময় নষ্ট করছেন মীরাক্কেল দেখে? কিন্তু মজার কথা হলো, যতবার নাকি এসব কথা বলে ব্রেক নিয়েছি, ততবারই লোকে চানেল চেঞ্জ না করে আমাকে নাকি এক হাত নিয়েছন! লোকে আমাদের গালাগালি করে, আবার এই শো এয়ার না থাকলে সমানে বলতে থাকে, দাদা মীরাক্কেল কবে আসছে? কেন যে চ্যানেল আমাদের পুষে রেখেছে? বুঝি না! বকাবকি করে, টাকা-পয়সা কমিয়ে দিয়েছে তাও কেউ কাউকে ছাড়তে পারছি না।
তবে মজার বিষয় হলো, যার দৌলতে মীরাক্কেলের এত জনপ্রিয়তা, সেই মীর নাকি এই শোর একটা এপিসোডও আজ পর্যন্ত টিভিতে দেখেননি। মীর নিজেই জানিয়ে দিলেন, এটা অবশ্য কোনো কুসংস্কার নয়। ময়রা যেমন নিজের বানানো মিষ্টি খায় না, আমিও তেমনি নিজের শো দেখি না। আসলে দেখলেই তো হাজারটা খুঁত বের করে ফেলব। তাই মীরাক্কেলের শো টাইমে আমি নিউজ চ্যানেল দেখি।

অতঃপর আমিরের পাশে দাঁড়ালেন শাহরুখ খান।

অতঃপর আমিরের পাশে দাঁড়ালেন শাহরুখ খান।
অতঃপর আমিরের পাশে দাঁড়ালেন শাহরুখ খান 

অসহিষ্ণুতার প্রশ্নে মন্তব্য করায় বেশ বিপাকে আমির খান। তারপাশে দাঁড়াননি অন্য খানেরাও। তবে এ বার ‘কিং খান’কে পাশে পেলেন আমির খান। শাহরুখ বললেন, ‘নিজেকে দেশপ্রেমিক হিসেবে বড়াই করার দরকার পড়ে না। দেশের কথা ভেবে নিজে ভাল থাকলেই আর দেশের উন্নতির জন্য চিন্তা-ভাবনা করলেই দেশপ্রেমিক হওয়া যায়। আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। দেশের কীসে ভাল হয়, তার জন্যই আমাদের কাজ করতে হবে, কাজ করে যেতে হবে। আর আমরা যদি আন্তরিক ভাবেই নিজে সৎ থেকে সেই কাজটা করে যাই, তা হলেই মঙ্গল হবে দেশের। দেশপ্রেমিক বলে নিজেদের ঢাক পেটাতে হবে না। আর আমরা যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হই, হই সঙ্কীর্ণমনা বা একেবারেই প্রাদেশিক মনোভাবপন্ন, তা হলে যে কথাই বলি না কেন, যা-ই বড়াই করি না কেন, তাতে আমাদের দেশটারই ক্ষতি হবে।’ দেশে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতার আবহে আমিরের সাম্প্রতিক মন্তব্যটি নিয়ে রাজনৈতিক মহল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল হই চই হয়ে যাওয়ার পর এই প্রথম মুখ খুললেন শাহরুখ। তবে আমিরের মন্তব্যের পর যেমনটা বলেছিলেন অভিনেতা হৃতিক রোশন, ওই ঘটনা থেকে সম্ভবত তেমনই কোনও ‘শিক্ষা’ নিয়ে থাকতে পারেন ‘কিং খান’! তাই শাহরুখ বলেছেন, ‘এটা বুঝেছি, শুধু যেটা আমি নিজে জানি, সেটা নিয়েই কথা বলব। কিন্তু পেশাদার অভিনেতা হিসেবে আমার ২৫ বছর হয়ে গেল বলে যদি মানুষজন মনে করেন, আমি আরও অনেক বিষয়ে কথা বলতে পারি, তা হলে এবার আমি তাঁদের হতাশ করব!

ফেসবুক বন্ধ নিয়ে তারকাদের অভিমত।

ফেসবুক বন্ধ নিয়ে তারকাদের অভিমত।
 

বর্তমান সময়ে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমে দ্রুত বহুসংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া যায়। যার কারণে এ প্রজন্মের কাছে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ মাধ্যমটি। অনেকের কাছে এ মাধ্যমটি আসক্তিতে পরিণত হয়েছে।
কিছু সংখ্যক ফেসবুক ব্যবহারকারী এর মাধ্যমে অপকর্ম চালাচ্ছে। এমন ইস্যুতে সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার সাময়িকভাবে ফেসবুকসহ ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ করে দিয়েছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা।
ঢাকাই চলচ্চিত্রের তারকারাও ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের কাজ নিয়ে ভক্তদের কাছে দ্রুত পৌঁছে যেতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করা প্রসঙ্গে কথা হয় ঢালিউডের দশ তারকার সঙ্গে। তাদের অভিমত নিয়েই সাজানো হয়েছে এ প্রতিবেদন।
‘ফেসবুক ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকবে’
কেয়া : আমার যখন কোনো কিছু ভালো লাগে না তখনই ফেসবুকে ঢুকে বন্ধুদের স্ট্যাটাস, কমেন্টস দেখি ও চ্যাট করি। এখন ফেসবুক নেই তাই সব কিছু একটু দূরে দূরে মনে হচ্ছে। দেখা গেছে, অনেক পরিচিত মানুষের সঙ্গে ফোনে কথা বলা হয় না কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সরকার দেশের মানুষের ভালোর জন্যই ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছেন। সরকার বলছেন, মানুষের সিকিউরিটির জন্যই ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুকের মাধ্যমে ভালোর চেয়ে যদি যদি মন্দ কাজ বেশি হয়, তা হলে না থাকাই ভালো। ফেসবুক ছাড়া মানুষ বেঁচে থাকবে।
‘সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে’
সম্রাট : জাতীয় নিরাপত্তার কারণে ফেসবুক সরকারিভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। যেহেতু এটা হাই কমান্ডের অর্ডার অবশ্যই দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সুবিধার্থে এটা করা হয়েছ। এটাতো আমাদের মানতেই হবে। এ ছাড়া আমাদের অন্য কোনো উপায় নেই। তবে হ্যাঁ, আমাদের সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে। কারণ আমরা যারা মিডিয়াতে আছি আমাদের যোগাযোগের ব্যাপার রয়েছে। আমাদের কাজের ব্যাপারে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের একটু অসুবিধা হচ্ছে। আশা করি, সরকার খুব তাড়াতাড়ি ফেসবুক খুলে দিবেন।
‘ফেসবুক যোগাযোগের একটি ভালো মাধ্যম’
রেসি : আমাদের কাজের ব্যস্ততার কারণে অনেকের সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয় না। ফেসবুকের মাধ্যমে খুব সহজেই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব। কয়েকদিন হলো- সিনেমার শুটিং করছি। কিন্তু এটা অনেকেই জানেন না। এটা জনতে হলে পত্রিকা পড়তে হবে। আর ফেসবুক চালু থাকলে খুব সহজেই আমার ফ্রেন্ডস ও ফলোয়ার এ সব তথ্য জানতে পারতেন। এটা হলো- ফেসবুকের সুবিধা। আর অসুবিধা হলো কিছু খারাপ লোক এটাকে খারাপভাবে ব্যবহার করছেন। সব মিলিয়ে বলব, ফেসবুক যোগাযোগের একটি ভালো মাধ্যম।
‘ফেসবুক বন্ধ করে দেয়াটা খুবই দুঃখজনক’
নিরব : ফেসবুক বন্ধ করে দেয়াটা খুবই দুঃখজনক। সরকার যখন দেখেছেন- ফেসবুকের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে ক্রাইম করা হচ্ছে, তখনই এটা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি বলব, ভালো জিনিসকে অপব্যবহার করা ঠিক নয়।
‘আমি রীতিমতো বিরক্ত’
আঁচল আঁখি : প্রথমেই বলব, আমাদের ভালো হবে বলেই সরকার ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছেন। আর অনেক দিন হয় আমি ফেসবুকে ঢুকি না। মায়ের আইডিতে মাঝে মাঝে বসি। নিজের আইডিটা অনেক দিন ধরে ব্যবহার করি না। কারণ হলো খারাপ কিছু মানুষ ফেক আইডি খুলে ফেসবুকে বিরক্ত করে। এ জন্য আমি রীতিমতো বিরক্ত। সব শেষে বলব, ফেসবুক বন্ধ না করে খারাপ মানুষ‍গুলোকে ধরে শাস্তি দেয়া উচিত।
‘দুপাল্লাই গুরুত্বপূর্ণ’
আরেফিন শুভ : আমার মনে হয় দুপাল্লাই গুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম শুধু ছবি আপলোড করার জন্য নয়। এটা গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম। ঠিক তেমনিভাবে আমার দেশের সিকিউরিটিও গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন কারণে সরকারিভাবে ফেসবুক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এটা আমাদের সার্পোট করা উচিৎ। সরকার কিন্তু বলেননি এটা চিরজীবনের জন্য বন্ধ থাকবে। সবার কাছে আমার প্রশ্ন সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যমের গুরুত্বটা বেশি না, আমার দেশের একটা সংকট মুহুর্তে তার সিকিউরিটি বেশি গুরত্বপূর্ণ। সামাজিক যোগাযোগেরমাধ্যম পৃথিবী সৃষ্টি লগ্নে ছিল না কিন্তু দেশটা অনেক আগে থেকে ছিল। আমার কাছে দেশটা আগে। ব্যক্তিগত কিছুটা সমস্যা হলেও রাষ্ট্রের স্বার্থে এটাকে মেনে নিতে হবে।
‘বৃহৎ স্বার্থে ছোট স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়’
সাইমন সাদিক : ফোন কল যেভাবে শনাক্ত করা যায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সেভাবে শনাক্ত করা কঠিন। তাই দেশের রাজনৈতিক অবস্থার কথা চিন্তা করে সরকার সাময়িকভাবে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করেছেন। দেশের বৃহৎ স্বার্থে ছোট ছোট কিছু স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়।
‘বোরিং টাইমে ফেসবুকে কাটাই’
জাকিয়া বারী মম : ফেসবুকে আমি টাইম পাস করি, এ জন্য আমার কোনো অসুবিধা নেই। যারা এটাকে ব্যবহার করে খারাপ কাজ করেন, তাদের জন্য সমস্যা। যেহেতু এটা দেশের ইস্যু সরকার যা ভালো মনে করবেন সেটাই ভালো। ফেসবুকে আমি জাস্ট টাইম পাস করি। খুব বোরিং টাইম হলে আমি ফেসবুকে কাটাই।
‘কিছুটা খারাপ লাগে’
বাপ্পি চৌধুরী : ফেসবুক না থাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র নিয়ে প্রকাশিত খবর শেয়ার দিতে পারছি না। এ ছাড়া আমাদের ফ্যান ফলোয়ারদের দেখতে পারছি না। এ জন্য কিছুটা খারাপ লাগে। আগের মতো আপডেট দিতে পারছি না। এ ছাড়া তেমন কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।
‘যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে’
বিদ্যা সিনহা মিম : আমার কোনো কিছু নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ থাকে না। ফেসবুক নেই এটা নিয়ে আমি তেমন কোনো সমস্যা ফিল করছি না। ফেসবুক থাকলেও আমার কোনো সমস্যা নেই বরং না থাকলে আমার কিছুটা সময় বাচে। নিজের কাজগুলো ঠিক সময়ে করতে পারি। ফেসবুক থাকলে কিছুক্ষণ পর পর ঢুকতে হয়। দেখতে ইচ্ছে করে। ফেসবুক খাকলে এমনটাও হয় পাশে একজন লোক বসে আছে তার সঙ্গেও কথা বলা হয় না। আমার মনে হয়, যা হচ্ছে ভালোই হচ্ছে। রাইজিংবিডি।

আমিরের ধৈর্য্য শক্তির প্রশংসা করলেন হৃতিক।

আমিরের ধৈর্য্য শক্তির প্রশংসা করলেন হৃতিক।
আমিরের ধৈর্য্য শক্তির প্রশংসা করলেন হৃতিক
অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমির খানের মন্তব্যের জন্য তাকে টুইট করে সাবাস দিলেন হৃতিক রোশন।
টুইটে হৃতিক লিখেছেন, ‘‘এই ব্যাপারটা থেকে আমি একটা জিনিস শিখলাম। সব রকমের বিরোধিতার মধ্যেও কী ভাবে ধৈর্য্য ধরে থাকতে হয়। যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য না করে কী ভাবে নিজের বক্তব্যে অটল থাকতে হয়, সেটা শিখলাম। ওয়েল ডান, আমির!’’
দেশে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতায় উদ্বিগ্ন আমিরের মন্তব্যের জেরে ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্কে কখনও বেঁধা হচ্ছে আমির খানকে। কখনও কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে তাঁর মন্তব্য। কেউ তাঁকে সরাসরি ‘দেশদ্রোহী’ বলছেন, কেউ-বা চাইছেনই না নায়ক এ দেশে থাকুন! তুমুল সেই বিতর্কের মধ্যেই আমির অনুরোধ করেছেন, তাঁকে যেন ভুল বোঝা না হয়!
সম্ভবত এই ‘আমিরি’ মাত্রাজ্ঞান, এই সৌজন্যই শিখেছেন হৃতিক রোশন!
- See more at: http://www.eurobdnews.com/entertainment_bangladesh/1316/-----#sthash.Hbye7jYv.Wtj6o42A.dpuf

অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমির খানের মন্তব্যের জন্য তাকে টুইট করে সাবাস দিলেন হৃতিক রোশন।
টুইটে হৃতিক লিখেছেন, ‘‘এই ব্যাপারটা থেকে আমি একটা জিনিস শিখলাম। সব রকমের বিরোধিতার মধ্যেও কী ভাবে ধৈর্য্য ধরে থাকতে হয়। যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য না করে কী ভাবে নিজের বক্তব্যে অটল থাকতে হয়, সেটা শিখলাম। ওয়েল ডান, আমির!’’
দেশে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতায় উদ্বিগ্ন আমিরের মন্তব্যের জেরে ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্কে কখনও বেঁধা হচ্ছে আমির খানকে। কখনও কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে তাঁর মন্তব্য। কেউ তাঁকে সরাসরি ‘দেশদ্রোহী’ বলছেন, কেউ-বা চাইছেনই না নায়ক এ দেশে থাকুন! তুমুল সেই বিতর্কের মধ্যেই আমির অনুরোধ করেছেন, তাঁকে যেন ভুল বোঝা না হয়!
সম্ভবত এই ‘আমিরি’ মাত্রাজ্ঞান, এই সৌজন্যই শিখেছেন হৃতিক রোশন!

আজ জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নোয়াখালীর 'ইত্যাদি'

আজ জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নোয়াখালীর 'ইত্যাদি'
ittadi program
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীতে। বরাবরের মতো শেকড় সন্ধানী ইত্যাদির এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয়ছোঁয়া প্রতিবেদন।
দ্বীপজেলা ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুর রশিদের ওপর রয়েছে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এবারের বিদেশি প্রতিবেদনে রয়েছে অবৈধভাবে অমানুষ দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রলোভন ও প্রতারণার শিকার হয়ে যারা পাচার হয়ে যায় তাদের দুর্দশার করুণ চিত্রের ওপর বাংলাদেশ, তুরস্ক ও গ্রিসের সীমান্ত এলাকায় ধারণকৃত একটি তথ্যবহুল অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
ফেরিতে যানবাহন এবং যাত্রী পারাপার প্রায় সবার কাছেই একটি পরিচিত দৃশ্য হলেও এবারের ইত্যাদিতে দেখা যাবে ফেরিতে করে রেল পারাপারের দৃশ্য। কোলাহলমুক্ত, বনভূমি পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দ্বীপ ‘নিঝুম দ্বীপ’-এর ওপর রয়েছে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন। রয়েছে বগুড়ার একটি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম ইকবালের প্রকৃতি ও পাখিপ্রেমের ওপর সচেতনতামূলক প্রতিবেদন।
এবারের ইত্যাদিতে মূল গান রয়েছে একটি। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় নোয়াখালীকে নিয়ে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী। গানটিতে তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় একদল শিল্পী। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন বিনোদ রায়।
নোয়াখালীর অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনটি গানের অংশবিশেষের সমন্বয়ে তৈরি একটি গানের সঙ্গে স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর অংশগ্রহণে রয়েছে জমজমাট নৃত্য। গানগুলোর কথা লিখেছেন বিমলেন্দু মজুমদার ও মোহাম্মদ হাশেম, সুর করেছেন মোহাম্মদ হাশেম ও রমানাথ সেন, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী, নৃত্য পরিচালনা করেছেন বানী সাহা ও সজল মজুমদার। নোয়াখালীকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকের মাঝখান থেকে ৬ জনকে নির্বাচন করা হয় এবারের দর্শক পর্বের জন্য।
নির্বাচিত এ দর্শকদের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিয়েছেন বৃহত্তর নোয়াখালীর গুণী শিল্পী জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা মাহফুজ আহমেদ এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন। নিয়মিত পর্ব হিসেবে এবারও রয়েছে যথারীতি মামা-ভাগ্নে, নানি-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ। রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ।
সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির আগামী পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আজ রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর এবং পুনঃপ্রচার করা হবে আগামী ৬ই ডিসেম্বর, রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর। ‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কস্‌মেটিকস্‌ লিমিটেড।