ঘরে বসে দ্রুত ওজন কমানোর টিপস | Quick weight loss tips at home.

ঘরে বসে দ্রুত ওজন কমানোর টিপস | Quick weight loss tips at home.


আসসালামুওয়ালাইকুম, শুরু করছি মহান আল্লাহ তা আলার নামে আশা করছি সবাই ভালো আছেন । অনেকে ওজন কমানোর জন্য অনেক দিন থকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন কিন্তু কিছুতেই ওজন কমাতে পারছেন না তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট। আজকে আমাদের আলোচনার বিষয় ঘরে বসে দ্রুত ওজন কমানোর টিপস। অল্প সময়ে ওজন কমানোর জন্য প্রয়োজন ধৈর্য ও নিয়মাফিক চলাফেরা আর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শারীরিক কসরত । এক সপ্তাহে কয়েক কেজি ওজন  কমানোর জন্য আপনাকে আপনার ডায়েটে অর্থাৎ খাবারে কিছু বড় পরিবর্তন আনতে হবে এবং নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। অল্প সময়ে ওজন কমাতে ঘরে বসেই নিচের পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করলে ফল পাবেন। 

প্রতিদিনের জন্য একটি ব্যায়াম পরিকল্পনা তৈরি করুনঃ 

আপনাকে মনে রাখতে হবে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় খুবই কষ্টসাধ্য কাজ। শুধুমাত্র ডায়েটিং আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে না। এর সাথে একটি ভালো ব্যায়াম পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে যা আপনি ৭ দিন ধরে রাখতে পারবেন। ব্যায়াম এর জন্য একটি সময়সূচী তৈরি করুন এবং অবশ্যই আগামী সাত দিন যেন এই ব্যায়াম করতে পারেন সেইভাবে নিজেকে সবসময় তৈরি রাখতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন হাঁটবেন, পাঁচ মিনিটের জন্য দৌড়ান এবং তারপর আবার হাঁটাতে থাকুন । এটি বেশি ক্যালোরি পোড়ায়। জুম্বা, অ্যারোবিকস এবং সাঁতার দ্রুত ওজন কমানোর জন্য খুব ভালো ব্যায়াম।

প্রতিদিনের একটি খাবার পরিকল্পনা তৈরি করুনঃ 

প্রতিদিনের জন্য একটি খাবার পরিকল্পনা তৈরি করুন। সকালের খাবার, দুপুরের খাবার এবং রাতের খাবারের জন্য চর্বিযুক্ত খাবার বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট কিছু খাবার পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আপনি সারাদিনে যে খাবারগুলি খান তা নোট করার জন্য একটি ডায়েরি রাখতে পারেন। এটি আপনাকে সেই খাবার বা অভ্যাসগুলি সনাক্ত করতে সাহায্য করতে পারে যা আপনার ওজন বৃদ্ধি করতে পারে । নিচে জিএম ডায়েট চার্ট নামে একটি বহুল পরিক্ষীত খাবার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে ।

খাদ্যাভাস পরিবর্তন

আপনার লক্ষ্য যদি মাসে ৭ কেজি ওজন কমানো হয়ে থাকে তাহলে প্রথমে আপনাকে খাদ্যাভাসে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। আপনার খাদ্যাভাসে যেন নিয়ম মেনে প্রতিদিন একই সময়ে খেতে হয় সে বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখবেন। সকালবেলা ভারী নাস্তা দুপুরে ভাত এবং রাতে রুটি বা হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। মাঝখানের সময়টুকু ফলমূল খেতে পারেন এ খাদ্যাভাস আপনাকে ওজন কমাতে অবশ্যই সাহায্য করবে।

সুষম খাবার গ্রহণ

ওজন কমানোর অন্যতম প্রধান উপায় হচ্ছে আপনাকে অবশ্যই সুষম খাবার খেতে হবে। আপনার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই বেশি পরিমাণে ফলমূল শাকসবজি ইত্যাদি খাওয়ার চেষ্টা করুন। চর্বি অথবা চর্বিজাতীয় খাবার পুরোপুরি খাওয়া বাদ দিতে হবে। বাইরের তেলে ভাজা খাবার খাদ্য তালিকা থেকে একেবারে বাদ দিন এবং ফাস্টফুড জাতীয় খাবার যথাসম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। দুই বেলার মধ্যবর্তী সময়ে যদি ক্ষুধা লেগে থাকে তাহলে পপকর্ন ফল বা ফলের জুস খেতে পারেন।

অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা পরিহার করুন

মানসিক টেনশন আপনার ওজন বাড়াতে সাহায্য করে এই ব্যাপারটি আমাদের সকলের কাছে অবাক করার মতো হলেও আপনাদের জন্য বলতে চাই যে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আপনার ওজন বাড়তে সাহায্য করে। কারণ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ফলে মানুষ বেশি খেয়ে থাকে ফলে মোটা হওয়ার প্রবণতা একটু বৃদ্ধি পায়। সুতরাং নিজেকে ফিট রাখতে হলে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা সম্পূর্ণভাবে পরিহার করুন।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম 

একজন সুস্থ মানুষ দিনে কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন তবে এর বেশি ঘুমালে আপনার ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুতরাং ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে বাঁচার জন্য হলেও আপনার পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনি দিনের বেলায় ঘুমানোর যে অভ্যাস রয়েছে সেই অভ্যাসটা দূর করতে পারেন। মনে রাখবেন অতিরিক্ত ঘুম আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর তাই নিয়ম মেনে রাতে জলদি ঘুমানোর চেষ্টা করুন এবং ভোরবেলা উঠে পড়ুন।

ব্যায়াম

দ্রুত ওজন কমানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ যে কয়েকটি উপায় রয়েছে তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করা হচ্ছে ব্যায়াম। আপনি যদি প্রতিদিন ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে শারীরিক কসরত করেন তাহলে আপনার শরীরকে ফিট রাখতে তাব সাহায্য করবে। আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করতে চান তাহলে দেখবেন যে আপনার শরীরে যে অতিরিক্ত চর্বি রয়েছে তা ঘাম আকারে বের হয়ে যাবেন। তাই আপনি যদি এক মাসের মধ্যে আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে দেড় থেকে দুই ঘণ্টা করে ব্যায়াম করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন ভোর বেলা দৌড়ানো হাঁটাহাঁটি ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারেন এর পাশাপাশি চাইলে আপনি জিমনেসিয়ামে ভর্তি হয়ে নিয়মিত জিম করতে পারেন। ওজন কমানোর জন্য সাঁতার কাটা ও সাইকেল চালানো আদর্শ ব্যায়াম। ওজন কমানোর জন্য আপনাকে ব্যায়াম করার জন্য হলেও ঘরের বাইরে জিমনেশিয়াম বা পার্কে যেতে হবে এমন কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি ঘরের দৈনন্দিন কাজের মধ্যে নিজের ব্যায়াম সেরে নিতে পারবেন।

রাতে তাড়াতাড়ি খাবার চেষ্টা করুন

ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে রাতের খাবার শেষ করুন এবং চেষ্টা করুন আটটার মধ্যে রাতের খাবার শেষ করে দেওয়ার। আপনি যদি রাতের খাবার শেষ করার পর সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে যান তাহলে আপনার ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং যত তাড়াতাড়ি পারেন রাতের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং খাবার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ঘুমানোর চেষ্টা করতে পারেন। আপনি চাইলে রাতে ঘুমানোর আগে খিদে লাগলে ফলের জুস অথবা দুধ খেতে পারেন।

খাওয়ার আগে পানি খান

খাবার গ্রহণের ১০ থেকে ১৫ মিনিট আগে আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে পারেন আপনার হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যথাসম্ভব বাড়িতে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন এবং জাঙ্কফুড জাতীয় খাবার পুরোপুরি পরিহার করুন।

অতিরিক্ত খাবার পরিহার করুন

আপনার শরীরের জন্য যেটুকু খাবার প্রয়োজন ঠিক ওই পরিমাণ খাবার খান। নিজের শরীরের চাহিদার তুলনায় যখন অতিরিক্ত খাবার খাবেন তখন আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খাওয়া বিশেষ জরুরী। তাই অতিরিক্ত কোন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

চিনি পরিহার করুন

কাঙ্খিত ওজন কমানোর জন্য আপনার খাদ্য তালিকা থেকে তিনি পুরোপুরি পরিহার করা আবশ্যক। এক জরিপে দেখা গিয়েছে মাত্র ১ চা চামচ চিনিতে ১৬% ক্যালোরি থাকে যা আপনাকে ওজন কমানোর সম্পূর্ণ অন্তরায়। সুতরাং চা এবং দুধ খাবার সময় চিনি পরিহার করার চেষ্টা করুন।

গ্রিন টি

গ্রীন টি তে রয়েছে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান যা আপনাকে ওজন কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এক বগগানি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রতিদিন চার কাপ করে যদি কোন ব্যক্তি গ্রিন টি ১ সপ্তাহ খেয়ে থাকে তাহলে তার শরীর থেকে ৪০০ গ্রাম ক্যালোরি ক্ষয় করা সম্ভব। এটাই আমাদের দেহের ওজন ঠিক রাখতে সাহায্য করে ফলে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় গ্রিন টি অবশ্যই রাখুন।

শেষ কথাঃ

আজকে আপনাদের সাথে ঘরে বসে দ্রুত ওজন কমানোর উপায় সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করলাম কষ্টকরে পুরোপোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ । আশা করছি উপরের পদ্ধতিগুলো ভালোভাবে মেনে চললে আপনি খুব তাড়াতাড়ি ওজন কমাতে পারবেন । কিন্তু একটি কথা মাথায় রাখবেন ওজন দ্রুত কমানোর চাইতে আস্তে আস্তে কমানো ভালো তাহলে শরীর দীর্ঘস্থায়ি ভাবে ফিট থাকবে । আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে আজকের মত এখানেই শেষ করছি ।  ধন্যবাদ

ফ্রিল্যান্সিং/মার্কেটপ্লেস এর ভবিষ্যৎ খুঁটিনাটি জানুন | Tips for Freelancers Marketplace

ফ্রিল্যান্সিং/মার্কেটপ্লেস এর ভবিষ্যৎ  খুঁটিনাটি জানুন |  Tips for Freelancers Marketplace


প্রতিদিন বাড়ছে অনলাইনে কাজের সুযোগ এবং সাথে সাথে বাড়ছে নিজের পছন্দ মত স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে ইনকামের সুযোগ।

করোনা পরবর্তী বিশ্বে দিন দিন বাড়ছে ফ্রিল্যান্সার বা মুক্ত পেশাজীবীদের কাজের পরিমাণ। কারণ, বেশির ভাগ উন্নত দেশেই স্থায়ী কর্মীর বদলে আউটসোর্সের মাধ্যমে কাজ করানোর বিষয়টি বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

কারণ, আউটসোর্স করলে প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা খরচ কম হয়, এ জন্য উন্নত বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠানই বর্তমানে তাদের কাজের কিছু অংশ নিয়মিত আউটসোর্স করে। ফলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারদের চাহিদাও বাড়ছে। এছাড়া ফ্রীলান্সাররা ও অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে ও অনেক প্রজেক্ট এ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে ।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস

বর্তমানে জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলো হল আপওয়ার্ক, ফাইবার, পিপল পার আওয়ার, ফ্রিল্যান্সার.com একেকটা মার্কেটপ্লেসের কাজের ধরন এবং হায়ারিং সিস্টেম আলাদা।

যেমন আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টরা হায়ার করার জন্য তার রিকোয়ারমেন্ট গুলো জব পোস্ট আকারে পোস্ট করে এবং যে সমস্ত ফ্রিল্যান্সাররা মনে করে তারা এ কাজগুলো করতে পারবে তারা প্রপোজাল পাঠায়। অনেক ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে ক্লায়েন্ট রা সব ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল যাচাই-বাছাই করে ইন্টারভিউর জন্য বাছাইকৃত ফ্রিল্যান্সারদের মেসেজ করে, তাদের মধ্যে যে কোন একজন জব টা win করে। 

কাজ শেষ হওয়ার পর কাজটি ডেলিভারি করলে ক্লায়েন্ট যদি কাজটি পছন্দ করে তাহলে ক্লায়েন্ট জবটি একসেপ্ট করে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সাররা পেমেন্ট পেয়ে যায়। পিপল পার আওয়ার, ফ্রিল্যান্সার.com এই দুটো মার্কেটপ্লেসের হায়ারিং সিস্টেম অনেকটা আপওয়ার্ক এর মতই।

ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ ফ্রিল্যান্সাররা যা যা কাজ পারে তা GIG আকারে শোকেস করে রাখে, ক্লায়েন্টদের যখন একটি সার্ভিস প্রয়োজন হয় তখন সেই সার্ভিসটি লিখে সার্চ করলে ফ্রিল্যান্সারদের গুলো স্যার যে আসে তার মধ্যে যে কোন এক বা একাধিক ফ্রিল্যান্সারকে ক্লায়েন্ট নক করে, এবং যার সাথে কমিউনিকেশন করে ভালো লাগে তাকে অর্ডার করে, 

কাজ শেষে অর্ডার ডেলিভারি করলে ক্লায়েন্টের কাজ টি পছন্দ হলে অর্ডারটি এক্সেপ্ট করে নেয় এবং ফ্রিল্যান্সাররা পেমেন্ট পেয়ে যায় । সুতরাং ফাইবার মার্কেটপ্লেস এ জবে এপ্লাই করার ঝামেলা নেই। তবে তাদের সার্ভিসগুলোর করার একটা মেজর ফ্যাক্টর থাকে এখানে ।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়া যায় যেভাবে

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে একই কাজের জন্য কয়েক’শ ফ্রিল্যান্সার নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা করছেন। ফলে চাইলেই ইচ্ছেমতো কাজ পাওয়া যায় না অনলাইন মার্কেটপ্লেসে। ক্লায়েন্টরাও চায় কম খরচে দক্ষ ব্যক্তির মাধ্যমে কাজ করিয়ে নিতে। 

ফলে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে নিজেকে নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ করার পাশাপাশি নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে হবে। ক্লায়েন্টের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের পাশাপাশি কাজ নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে হবে আপনাকে। মনে রাখতে হবে, কাজের মান খারাপ হলে ক্লায়েন্ট আপনাকে খারাপ রিভিউ দেবে, যা দেখে অন্য ক্লায়েন্টরা আপনাকে আর কোনো কাজ দেবে না। কারণ ক্লায়েন্টরা কাজ দিবে আপনার প্রোফাইল এর পূর্ববর্তী ক্লায়েন্টদের রিভিউ দেখে।

অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে হলে নিচের পদক্ষেপগুলো মানতে হবে যদি কেউ এই পদক্ষেপ গুলো মেনে চলতে পারে তাহলে সে অবশ্যই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবে।

আত্মবিশ্বাসী হতে হবে এবং টার্গেট ফিক্স করতে হবে

আপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। কারণ আপনি গতানুগতিক জব ছেড়ে অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়তে যাচ্ছেন। আপনাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হবে। স্কিল ডেভলপমেন্ট করার আগে আপনার যে বিষয়ে ভালো লাগা কাজ করে অবশ্যই সেই বিষয়ে স্কিল ডেভেলপ করতে হবে । কোনো কাজ নেওয়ার সময় অবশ্যই ভেবে দেখতে হবে আপনি কাজটি নির্দিষ্ট সময়ে ভালোভাবে শেষ করতে পারবেন কি না। এ জন্য অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজের দক্ষতা ভালোভাবে উপস্থাপন করতে হবে। ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে যে আপনি তার কাজের জন্য উপযুক্ত।

ফ্রিল্যান্স প্রোফাইল তৈরি করা

সুন্দর একটি প্রোফাইল তৈরি করে নিজেকে অনলাইন মার্কেটপ্লেসে উপস্থাপন করতে পারলে কাজ পাওয়া সহজ হয়ে যায়। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সাররা ভাবেন যে, কাজের দক্ষতা অর্জনের পরেই কেবল প্রোফাইল তরি করা যায়। এটা একটি ভুল ধারণা। সুন্দর প্রোফাইল আগে তৈরি করা যেতে পারে তবে একজন ফ্রিল্যান্সারের দক্ষতা অর্জন করার আগে কাজে বিড করা উচিত নয়। এজন্য আগে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে কাজ সম্পর্কে ভালো ধারণা নিতে হবে।

যাঁরা নতুন তাঁদের অনেকের প্রশ্ন থাকে কোথায়, কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করব? এ প্রশ্নের সহজ উত্তর হচ্ছে কাজ শুরুর আগে ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলোতে কী ধরনের কাজ হয় তা পর্যবেক্ষণ করা। অ্যাকাউন্ট খোলা, সুন্দর প্রোফাইল তৈরি করা। নিজের কাজের স্যাম্পল তৈরি করা। পরীক্ষা দিয়ে নিজের দক্ষতা যাচাই করা। 

কাজের জন্য ইল্যান্স, ওডেস্ক, ফ্রিল্যান্সারের মতো পরিচিত সাইটগুলোতে অ্যাকাউন্ট তৈরি করে আগে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করুন পাশাপাশি আপনার দক্ষতার কাজগুলোকে সাইটের কাজের বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে অনুশীলন করুন। দক্ষতা না থাকলে শুরুতেই কাজ পাওয়ার জন্য বিড করবেন না। কাজে দক্ষ হয়ে তবে বিড করুন।

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য এখন কয়েকটি বিষয় খুব জরুরি। সাবলীল ইংরেজি বলা, লেখা ও ইংরেজি বোঝা। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো সম্পর্কে জ্ঞান থাকাও দরকার। স্কাইপ ব্যবহার জানতে হবে। দ্রুতগতির ইন্টারনেট থাকা সবার আগে দরকার।

ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা নেওয়া

নতুন অবস্থায় একজন ফ্রিল্যান্সারের মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে ধারণা একেবারে না থাকতে পারে। তবে সঠিকভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে এ সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা থাকা প্রয়োজন। মার্কেটপ্লেসের হেল্প সেন্টার, গুগোল ব্লগ, সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ গুলোতে অ্যাক্টিভ থেকে আমরা মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জানতে পারি, এছাড়াও বিভিন্ন ভালো ফ্রিল্যান্সারদের প্রোফাইল ভিজিট করে মার্কেটপ্লেসের একাউন্ট কিভাবে সাজাতে হয় তা জানতে পারি, এছাড়া এক্সপার্ট কারো গাইডলাইন নিয়েও মার্কেটপ্লেসের সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া যায়।

ইংরেজি ভাষা ভালোভাবে জানতে হবে

মার্কেটপ্লেসে ক্লায়েন্টের কাজ নেওয়ার জন্য ইংলিশে কমিউনিকেশন করা অবশ্যই জরুরি একটা বিষয়, মার্কেটপ্লেসের ৭০% ক্লায়েন্ট এর ক্ষেত্রে চ্যাটিংয়ের মাধ্যমে কমিউনিকেশন করতে হয় এবং ৩০% ক্লায়েন্টের সাথে ভিডিও কলে এসে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ দিয়ে কাজ পেতে হয়। 

ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কথা বলা এবং কাজ বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই ইংরেজিতে দক্ষ হতে হবে। Cambly, Hello Talk, Hello English, Engvarta, Josh Talk এই app গুলোতে signup করে সহজেই যেকারো সাথে অনলাইন এ app এর মাধ্যমে ইংলিশ এ কথা বলে ইংলিশ স্পিকিং ফ্লুয়েন্ট করা যেতে পারে।

নিজের পূর্ববর্তী কাজের পোর্টফোলিও তৈরি করা এবং পোর্টফোলিও সাজান

এখন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য প্রথমেই ক্লায়েন্টরা জিজ্ঞাসা করেন আগের কোন অভিজ্ঞতা আছে কিনা এবং পোর্টফলিও আছে কিনা। এক্ষেত্রে নিজের করা ক্লায়েন্টের কিছু কাজের পোর্টফোলিও অবশ্যই সাজিয়ে রাখতে হবে।

মার্কেটপ্লেসগুলোর প্রোফাইলে, এছাড়াও Behance, Dribbble এফ পোর্টফোলিও গুলো আমরা সুন্দরভাবে সাজিয়ে রাখতে পারি যা পরবর্তীতে ক্লায়েন্টকে দেখানো যেতে পারে। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার এর উচিত যত বেশি পোর্টফোলিও সংযোগ করা। 

ওয়েব ডেভেলপার তাঁর ডেভেলপ করা সাইটের স্ক্রিন-শট নিয়ে আপলোড করতে পারেন, এবং গ্রাফিকস ডিজাইনার তাঁর ডিজাইন তৈরি করে প্রোফাইলে যুক্ত করে দেখাতে পারেন। সর্বোপরি কোন প্রোফাইলের পোর্টফোলিও একজন ফ্রিল্যান্সার যে বিষয়ে দক্ষ সে বিষয়ে তার পরিপূর্ণ দক্ষতা আছে সেটা প্রমাণ করে।

সমস্যা সমাধানের কৌশল জানা(গুগোল/ ইউটিউব/ ব্লগ/ CHATGPT)

মার্কেটপ্লেস ছাড়া ক্লায়েন্টের বিভিন্ন প্রজেক্টে কাজ করার সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়, এই সমস্যা গুলোর সমাধান জানতে অনলাইনে দ্রুত এবং সঠিকভাবে তথ্য খোঁজার কৌশল জানতে হবে। কারণ, ফ্রিল্যান্স কাজ করতে গেলে মাঝেমধ্যেই বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়, যা ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সমাধান করা সম্ভব।

আর এখন তো ChatGPT দিয়ে সহজেই যেকোনো কিছুর স্পেসিফিক আনসার জানা সম্ভব। অনেক অজানা প্রব্লেম এর সল্যুশন জানার জন্য CHATGPT অনন্য।

নিজের প্রচারণা চালানো/ মার্কেটিং

মার্কেটপ্লেসে কাজ পাওয়ার জন্য নিজের প্রচারণা বা মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়, যেহেতু আমরা অনলাইন প্লাটফর্ম এ কাজ করব সেহেতু সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো আমাদের মার্কেটিং এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমরা linkedin, facebook, instagram, behance, pinterest সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলো নিজের কাজের মার্কেটিংয়ের জন্য ব্যবহার করতে পারি।

এছাড়াও অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ প্রয়োজন। এতে তাদের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

শেষ কথাঃ 

উপরোক্ত পদক্ষেপ গুলো যদি আমরা সঠিকভাবে পালন করতে পারি তাহলে আমরা অবশ্যই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পাব । তবে যেকোনো মার্কেটপ্লেসে সফল হতে ধৈর্য ধরতে হবে এবং অনেক সময় দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতে পারে কন্টিনিউয়াস কাজ পাওয়ার জন্য।


এই গরমে আর রোজার মাসে ঘরে তৈরি করুন সহজ কিছু আইসক্রিম (রেসিপি)

এই গরমে আর রোজার মাসে ঘরে তৈরি করুন সহজ কিছু আইসক্রিম (রেসিপি)


কাক ফাঁটা রোদে ক্লান্ত হয়ে গলা শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা কিছু খাবারের জন্য হৃদয় ছটফট করে উঠে খুব। এদিকে স্বাস্থ্য নিয়ে আবার ভয়ও হয়, এই গরমে বাইরের কিছু খেয়ে রোগব্যাধি পেয়ে বসলে! কিংবা স্কুল থেকে ফিরলে আপনার ছোট্ট সোনামণি প্রায় আইসক্রিম খাওয়ার বায়না ধরে। রোজরোজ তো আর বাইরের আইসক্রিম খেতে দেয়া যায় না স্বাস্থ্যের কথা ভেবে। এতো দুশ্চিন্তা না করে ঘরেই বানিয়ে ফেলুন সহজ উপায়ে ঝামেলা ছাড়াই অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে আইসক্রিম। থাকবে ঠিক স্বাস্থ্য, সাথে গরমের ক্লান্তিও জুড়োবে। তাছাড়া এই গরমে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল। বাড়িতেই এই গ্রীষ্মকালীন ফলমূল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন মজাদার সব আইসক্রিম।

আমের আইসক্রিম

উপকরণঃ

১) ১ কাপ পরিমান একটি পাঁকা আমের ক্বাথ
২) ১ কাপ টকদই
৩) ২০০ মিলি ক্রিম
৪) আধা কাপ কনডেন্স মিল্ক
৫) আধা চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স ( ঘ্রাণের জন্য)
৬) পরিষ্কার প্লাস্টিক আইসক্রিমের কন্টেইনার 

পদ্ধতিঃ

প্রথমে ১টি পাকা আম ভালো করে খোসা ছাড়িয়ে হাত দিয়ে চটকে এর থেকে ভালো করে আমের ক্বাথ আলাদা করে নিতে হবে। এরপর এই আমের ক্বাথের সাথে কনডেন্স মিল্ক, টকদই, ভ্যানিলা এসেন্স ভালো করে মেশাতে হবে। ইলেক্ট্রিক বিটার দিয়ে ক্রিমকে ভালো মতো বিট করে মিশ্রণের সাথে মিশিয়ে পরিষ্কার প্লাস্টিক আইসক্রিমের কন্টেইনারে রেখে ডিপ ফ্রিজে ৭-৮ ঘন্টার মতো রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ম্যাঙ্গো আইসক্রিম।

অরেঞ্জ আইসক্রিম

উপকরণঃ

১) ২টা কমলার রস
২) ২ কাপ গুঁড়ো দুধ
৩) আড়াই কাপ পানি
৪) ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার
৫) ১ কাপ চিনি
৬) ২০০ মিলি ঘন ক্রিম
৭) ১ টেবিল চামচ গলানো জেলাটিন
৮) ১ টেবিল চামচ গোলানো সিএমসি পাউডার
৯) ১ চামচ তরল গ্লুকোজ ( আব্যশিক নয়)
১০) ২টা ডিমের সাদা অংশ
১১) মেরাং ( ২ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে)
১২) পরিষ্কার ব্লেন্ডার

পদ্ধতিঃ 

প্রথমে পরিমাণ মতো গুঁড়ো দুধ, পানি, চিনি এবং কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে পরিষ্কার জারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে হবে। ব্লেন্ডার থেকে মিশ্রণটা বের করে চুলায় জ্বাল দিয়ে ঘন করতে হবে। চুলা থেকে নামানোর সাথে সাথে গরম থাকা অবস্থায় তরল গ্লুকোজ মেশাতে হবে। এরপর এটাকে ভালো করে ঠান্ডা করে পর্যায়ক্রমে জেলাটিন এবং সিএমসি পাউডার গোলানো মিকচারটা দিয়ে ভালো করে নেড়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। 

এরপর এতে পরিমাণ মতো রাখা ক্রিম এবং কমলার রস দিয়ে আবারও ভালো করে বিট করে কয়েকঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। ৩ থেকে ৪ ঘন্টা পর বের করে আবার বিট করে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে এবং এভাবে কয়েকবার করতে হবে। এরপর ডিমের সাদা অংশ এবং মেরাং দিয়ে ভালো মতো বিট করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলেই হয়ে যাবে অরেঞ্জ আইসক্রিম।

ফ্রুট আইসক্রিম

উপকরণঃ

১) ১ কাপ কনডেন্স মিল্ক
২) হাফ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
৩) ১ কাপ পানি ছাড়া টকদই
৪) ১ কাপ আপনার পছন্দ মতো যেকোনো ধরনের ফলের কুঁচি
৫) ১ কাপ যেকোনো ধরনের বাদাম কুঁচি
৬) ১৭০ গ্রাম ক্রিম
৭) আধ কাপ গুঁড়া দুধ

পদ্ধতিঃ 

ফলের কুঁচি এবং বাদাম কুঁচি বাদে বাকি সব উপকরণ পরিমাণ মতো মিশিয়ে পরিষ্কার ব্লেন্ডার নিয়ে ভালো মতো ব্লেন্ড করতে হবে। এরপর এতে পছন্দ মতো ফুড কালার মিশিয়ে কয়েক ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিতে হবে।

ফ্রিজ থেকে নামিয়ে কেটে রাখা ফল এবং বাদামের কুঁচি উপরে দিয়ে আবারও কয়েক ঘন্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে দিলেই হয়ে যাবে ফ্রুট আইসক্রিম। ফ্রুট আইসক্রিম তৈরির ক্ষেত্রে আপনার পছন্দ মতো আম, কলা, আপেল, ডালিম, বাঙ্গি, তরমুজ ইত্যাদি ফল ব্যবহার করতে পারেন।

পেস্তা বাদামের আইসক্রিম

উপকরণঃ

১) ২ কাপ গুঁড়া দুধ
২) আড়াই কাপ পানি
৩) ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার
৪) ১ টেবিল চামচ গোলানো জেলাটিন
৫) ১ টেবিল চামচ গোলানো সিএমসি
৬) পৌনে ১ কাপ চিনি
৭) ১ টিন ক্রিম
৮) ১ চা চামচ তরল গ্লুকোজ
৯) ১ কাপ পেস্তা পেস্ট
১০) সবুজ রংয়ের ফুড কালার
১১) ২টা ডিমের সাদা অংশ
১২) মেরাং ( ২ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে তৈরি করা)

পদ্ধতিঃ 

প্রথম পরিমাণ মতো গুঁড়া দুধ, পানি, চিনি, কর্নফ্লাওয়ার একসঙ্গে নিয়ে পরিষ্কার ব্লেন্ডার নিয়ে  ভালো মতো ব্লেন্ড করতে হবে। ব্লেন্ড থেকে মিশ্রণটা বের করে চুলায় জ্বাল দিয়ে ঘন দ্রবণ করতে হবে। চুলা থেকে নামিয়ে গরম অবস্থায়ই তরল গ্লুকোজটা ভালভাবে মেশাতে হবে। এরপর ঠান্ডা করে জেলাটিন এবং সিএমসি দিয়ে ভালো মতো নাড়তে হবে। 

এবার এরসাথে ক্রিম এবং পেস্তার পেস্ট দিয়ে ভালো মতো বিট করতে হবে। এরপর কয়েক ঘন্টার জন্য ফ্রিজে রেখে আবারও নামিয়ে বিট করে আবারও ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। এরকম ৩-৪ বার করার পর শেষে ডিমের সাদা অংশ এবং মেরাং দিয়ে ভালো মতো বিট করে ফ্রিজে রেখে দিতে টানা ৮-১০ ঘন্টার জন্য। তাহলেই হয়ে যাবে পেস্তা আইসক্রিম।

মিক্স ফ্রুট ইয়োগার্ট আইসক্রিম

উপকরণঃ

১) ৫০০ গ্রাম পানি ছাড়া টকদই
২) ২ কাপ বিভিন্ন ধরনের মিক্স ফুড
৩) ১ কাপ ঘন ক্রিম
৪) ২ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স
৫) ১/৩ কাপ গলানো সাদা চকলেট
৬) সিকি কাপ আইসিং সুগার ( চিনির শিরা)
৭) ১ কাপ তরল দুধ
৮) ১/৩ কাপ পাউডার দুধ

পদ্ধতিঃ 

প্রথমে ক্রিম নিয়ে সেটাকে ভালোভাবে বিট করতে হবে। পরিমাণ মতো সাদা চকলেট নিয়ে গলিয়ে এরপর এর সাথে টকদই, চিনি, ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে ভালভাবে বিট করতে হবে। কাজটাকে সহজ করতে ইলেক্ট্রিক বিটারও ব্যবহার করা যায়। এরপর গুঁড়ো দুধ দিয়ে আবারও ভালো মতো মেশাতে হবে। 

চিনির শিরায় মিশিয়ে রাখা মিক্স ফ্রুটগুলোকে ফ্রিজে রেখে জমতে দিতে হবে। কয়েকটা ঘন্টা পর ফ্রিজ থেকে মিক্স ফ্রুটগুলো বের করে এগুলো আগের করে রাখা মিশ্রণের উপর দিয়ে ডিপ ফ্রিজে টানা ৮-১০ ঘন্টা রাখলে হয়ে যাবে মিক্স ইয়োগার্ট আইসক্রিম।

মনোলোভা আইসক্রিম

উপকরণঃ

১) ২ কাপ পাউডার দুধ
২) আড়াই কাপ পানি
৩) ১ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার
৪) ২ টেবিল চামচ চিনি
৫) ১ টিন ক্রিম
৬) ১ টেবিল চামচ গোলানো জেলাটিন
৭) ১ টেবিল চামচ গোলানো সিএমসি পাউডার
৮) ১ চা চামচ গ্লুকোজ
৯) ৫ পছন্দের কয়েকটি ফলের রস
১০) ২টা ডিমের সাদা অংশ
১১) ২ টেবিল চামচ চিনি

পদ্ধতিঃ

প্রথমে পাউডার দুধ, পানি, কর্নফ্লাওয়ার ও চিনি একসাথে নিয়ে ভালোভাবে বিট করে নিতে হবে। এরপর চুলায় জ্বাল দিয়ে ঘন করে এতে গোলানো গ্লুকোজ মেশাতে হবে। দ্রবণটি ঠান্ডা হয়ে এলে এতে জেলেটিন ও সিএমসি মিশিয়ে এরপর ক্রিম দিয়ে আবারও বিট করে ফ্রিজে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে জমতে দিতে হবে। 

এরপর এটাকে ৫ ভাগে ভাগ করে পছন্দমতো স্বাদ ও রং মিশিয়ে ভালো করে নেড়ে আবারও ফ্রিজে রেখে জমতে দিতে হবে। ২ ঘণ্টা পরপর নামিয়ে বিট করে আবারও ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। শেষের বার ডিমের সাদা অংশ ও মেরাং দিয়ে আবারও বিট করে ফ্রিজে জমতে দেয়ার জন্য টানা ৮-১০ ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এরপর পছন্দমতো গ্লাসে পরপর আইসক্রিমগুলো সাজিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার মনোলোভা আইসক্রিম।

শেষ কথাঃ 

এই গরমে নিজের এবং প্রিয়জনের স্বাস্থ্যের দিকে দিতে হবে বিশেষ নজর। তৃষ্ণা মেটাতে বাহিরের ঠান্ডা জাতীয় কোনো খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে না যায় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রেখে ঘরে তৈরি এসব খাবার পরিবেশন করতে পারেন প্রিয়জনকে।

Fiverr -এ কিভাবে উপযুক্ত বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাবেন?

Fiverr -এ কিভাবে উপযুক্ত বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাবেন?


বর্তমানে অনলাইনে মুক্তপেশা বা ফ্রিল্যান্সিং করার জন্যে নতুন থেকে শুরু করে যারা প্রফেশনালী কাজ করে থাকেন তাদের সকলের জন্যে জনপ্রিয় একটি মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইবার। ফাইবারে পাচ ডলার থেকে শুরু করে হাজার ডলার এর উপরেও অনেক প্রজেক্টে অনেকেই কাজ করে থাকেন। 

আবার যারা নতুন নতুন কাজ শিখে শুরু করেন তারা সাধারণত ছোট ছোট বাজেটেই কাজ গুলো সম্পন্ন করে থাকেন বায়ারের চাহিদা অনুযায়ী। তবে এখানে বা এই সেক্টরে যারা কাজ করতে আসেন বলতেই হবে তারা অনেক ধৈর্য্যশীল ব্যক্তি। কেননা যাদের ধৈর্য্য নেই তারা কেউ বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনা এই ফ্রিল্যান্সি জগতে। 

আর সেই জন্যেই মুলত যারা নতুন তারা এই পোস্ট অবস্যই ভালো করে পড়বেন। আজকে আমি আপনাদের বায়ার রিকোয়েস্ট কিভাবে যথাযথভাবে পাঠাতে পারেন সেই বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো।

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে সফল হতে প্রথমত আপনাকে বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানো শিখতে হবে।ফাইভার এ বাইয়ার রিকোয়েস্ট লিখার কিছু নিয়মকানুন রয়েছে।

আমরা ফাইভার এ বায়ার রিকোয়েস্টে কি লিখবো এবং ফাইভার এ বায়ার রিকোয়েস্ট কিভাবে লিখবো তার কিছু টিপস ও ট্রিক্স নিচে তা আলোচনা করা হলোঃ

ফাইভার কপি পেস্ট Cover Letter অবশ্যই না

প্রথমেই বলে নেই কখনই কপি পেস্ট করবেননা। প্রায় ৫০% Seller ঝটপট কপি পেস্ট করে Cover Letter সেন্ড করে দেন। যার কারনে বায়ার এর রেসপন্স পান না, আর অজুহাত দেখান ৫০০ বায়ার রিকোয়েস্ট সেন্ড করেছি কিন্তু কাজ পাইনা। একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করে দেখেনতো ৫০০ রিকোয়েস্ট এর মধ্যে কতটি ঠান্ডা মাথায় বুজেশুনে সাজিয়ে পাঠিয়েছেন?

আরে ভাই দেখেন, বুঝেন, জানেন, তারপর উত্তর দেন। আমরা কি কেউ স্কুলে কলেজের পরীক্ষায় প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর সেইম লিখতাম? না আমাদের প্রতিটা প্রশ্ন সেইম হতো? অবশ্যই না। তাহলে Freelancing Marketplace এর মধ্যে ওতো Buyer আলাদা, তাদের Requirements ও আলাদা, তাহলে কেন ভাই বার বার একই Buyer Request সেন্ড করবেন।

বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানোর ক্ষেত্রে লক্ষনীয় বিষয়সমূহ 

সঠিক অফার সিলেকশন (Choose the right offer)

যেসব বায়ার রিকোয়েস্ট গোছানো ভাবে দেওয়া আছে এবং যে বিষয়টি নিয়ে আপনি সম্পূর্ণ স্কীলড, কেবল সেসব রিকোয়েস্টে অফার পাঠাবেন। যাতে করে বায়ার আপনার নিদির্ষ্ট স্কিল দেখে আপনাকে হায়ার করতে পারে। 

সম্পূর্ণ বর্ণনা ভালোভাবে পড়ুন (Take your time to read the description)

 বায়ারের রিকুয়েস্ট দেখেই অনেকে সবকিছু পুরোপুরি না বুঝেই অফার পাঠিয়ে দেন! এটা থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন।
একজন রিয়েল বায়ার সে কি চায়, কতদিনে চায়, আর কীভাবে চায় সেটা কিন্তু তার Project Description এ বলে দেয়। তাই আপনি প্রথমবার একটু তারাতারি পড়ে নিন সমস্যা নেই কিন্তু ২য় ও ৩য় বার অবশ্যই প্রতিটা লাইন মনযোগ সহকারে আস্তে আস্তে পড়ুন ও বুজুন সে চেয়েছে। কপি পেস্ট করবেন না, প্লিজ কপি পেস্ট করবেন না। শুধুমাত্র বায়ার এর যা ধরকার আপনি সেটা তাকে দিতে পারবেন, এটা আপনার লিখার মাধ্যমে বুজিয়ে দিন।

বায়ার রিকোয়েস্ট থেকে রেসপন্স বা অর্ডার পেতে চাইলে অন্য কোন বিকল্প নেই , আপনাকে অবশ্যই বায়ার এর দেওয়া Description টি ভালো করে বুঝে পড়তে হবে। তারপরে আপনি "send offer" এর মধ্যে ক্লিক করতে পারেন আপনার অফারটি বায়ারের কাছে পৌছে দিতে।

অফার সম্পর্কিত পরিষ্কার বর্ণ্না ( Keep your description clear, concise and to the point)

আপনার অফার অবশ্যই বায়ারের কাছে পাঠানোর পূর্বে প্রফেশনাল ভাবে লিখবেন।

"Hello SIR/MADAM"

"Good morning/evening/other greetings"

"How are you?"

এইধরনের আনপ্রোফেশনাল এবং অপ্রাসঙ্গিক লেখা থেকে বিরত থাকুন।

কপি এবং পেস্টিং রিকুয়েস্ট (Copy pasted request to Everyone)

নতুনদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা কিনা একটি নির্দিষ্ট মেসেজ তৈরী করে রেখে দিয়েছে, আর যখন সেই ক্যাটাগরি এর কোনো রিকোয়েস্ট আসে সেটি দেখতে পেলেই পূর্বের সেই একই মেসেজটি কপি-পেস্ট করে পাঠিয়ে দেন।

এখন ভেবে দেখুন আপনিও কি সেই দলের মানুষ? তাহলে এটি আজকে থেকেই পরিহার করুন। এভাবে অর্ডার পাওয়া কোনো মার্কেটপ্লেসেই কখনো সম্ভব নয়, কারণ বিভিন্ন ক্লায়েন্ট বিভিন্ন কিছু চাইবে, আপনি যখন সেই একই মেসেজ সবাইকে পাঠাবেন রেন্ডমলী তাহলে কেমনে হবে? 

তবে হ্যাঁ এখনে আপনি সামান্য কিছু জিনিস মিল রেখে পাঠাতে পারেন, তবে একই মেসেজ রেডি করে সবাইকে পাঠানোর কথা চিন্তা করলে অর্ডার পাওয়ার আশা বাদ দিয়ে ফেলুন। আপনাকে এখানে অবশ্যই একটা জিনিস মাথায় রাখতে হবে আপনার ক্যাটেগরিতে আরও অনেকেই আছেন তাদের রেখে বায়ার কেনো আপনাকে হায়ার করতে যাবে? আপনার মাঝে কি কি স্পেশালীটি আছে? যার কারোনে আপনাকে হায়ার করতে বাধ্য হবে একজন বায়ার।

সংক্ষিপ্ত বর্ণনা (Short and Sweet)

সবসময় চেষ্টা করবেন অফার যতটুকু সম্ভব সংক্ষিপ্তভাবে লিখতে। কারণ আপনার অফার ছাড়াও আরো প্রচুর রিকোয়েস্ট ইতিমধ্যে সেই বায়ার পেয়েছে, সবগুলো রিকোয়েস্ট তার একার পক্ষে পড়া অনেক কষ্টসাদ্ধ্য বিষয়, তাই অতিরিক্ত বড় বড় রিকোয়েস্ট গুলো সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে।

আর ঠিক এইসমস্ত বিষয়ে খেয়াল রাখা অতি জরুরি, যেন অফারের ডেসক্রিপশন প্রয়োজনের বেশি বড় না হয়ে যায়।

সঠিক মুল্য নির্ধারণ (Proper Pricing)

আপনার যারা নতুন এবং পুরাতন মার্কেটপ্লেসে কাজ করছেন ইতিমধ্যে বা করার জন্যে এসেছেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যে লোকটি গরু কিনার বাজেট নিয়ে এসেছে, তাকে মুরগি কেনার অফার পাঠাবেন না। মনে রাখবেন, অধিকাংশ ক্লাইন্টেই ভালো কোয়ালিটি চাই, কম প্রাইস নয়।

যদি আপনি মনে করেন আপনার বেশি প্রাইসে বা বড় প্রজেক্টে এখনো কাজ করার সামর্থ হয়নি - তাই এই অবস্থায় কাজ পাওয়ার জন্য সেটি কম প্রাইসে করে দিবেন, তাহলে আপনি ইউটিউব/গুগলে যান অথবা কোন প্রতিষ্ঠানের সহযোগীতায় নিজের স্কিল বাড়ানোর প্রতি অধিক মনযোগী হওন। যখন যথাযথ প্রাইসে কাজ করার সামর্থ অর্জন করতে সক্ষম হবেন তখন আবার ফাইভারে অবশ্যই ফিরে আসবেন।

 সঠিক কীওয়ার্ড সংযুক্ত (Include the keyword)

বায়ার যেসব কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছে, তা অবশ্যই আপনার অফার পাঠানোর পূর্বে তার ভেতরে সঠিকভাবে ব্যবহার করবেন। বায়ার দেখেই যেন বুজতে পারে যে - সে কি চাই এই বিষয়ে আপনি ভালো করে অবগত আছেন কিনা এবং তার সকল রিকোয়ারমেন্ট আপনি যথাযথভাবে বুঝতে পেরেছেন কিনা। আপনার অফার দেখেই তাহলে তিনি আপনার সম্পর্কে খুব সহজেই অনুমান করতে সক্ষম হবেন।

অফার যাচাইকরন (Proofread offers) 

বায়ারের কাছে  আপনার সেই মুল্যবান  অফারটি  সাবমিট করার আগে পরীক্ষার খাতার মতো সবকিছুতে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নিবেন, কোনো ধরণের ভুল যেন না থাকে। পরিষ্কার পরিছন্ন জিনিস কার না পছন্দ হয়, আশা করি বুঝতে পেরেছেন কি বুঝাতে চেয়েছি।

এক্টিভ থাকা (Be available)

খেয়াল করে দেখবেন যে বায়ার অনেক সময় যাদের রিকোয়েস্ট ভালো লাগে, তাদের অর্ডার করার আগে টেক্সট পাঠায়। বায়ার মেসেজ দিলে আপনি চেষ্টা করবেন যেন যথা সময়ের মধ্যে রেসপন্স করছেন কিনা সেটি নিশ্চিত করুন। এছাড়া আপনি যদি দেরিতে বায়ারের মেসেজ এর রিপ্লে করেন তখন দেখবেন সেই ক্লাইন্টেই রিপ্লায় দিবে " Sorry I have hired someone else."

অন্যকিছু (Others)

যথাযথ বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠানো হঠাৎ করে একদিনে শিখে ফেলা যেকারো পক্ষেই সম্ভব না, অনেক এক্সপেরিমেন্টের পর আস্তে আস্তে বুঝতে পারবেন কিভাবে উপযুক্ত অফার পাঠানো যায়। তাই উপরুক্ত নিয়মগুলো মেনে চলুন, ধৈর্য ধরুন, নিয়মিত রিকোয়েস্ট পাঠান।

যারা স্কীলড তাদের কাজ দেয়ার জন্য অনেক ক্লাইন্টেই বসে আছে, ধৈর্য ধরে চেষ্টা চালিয়ে যান। দেখবেন আপনি আপনার সেই কাংক্ষিত সোনার হরিণকে একদিন হাতের মুঠোয় পেয়ে গেছেন। সঠিক পথে পরিশ্রম কখনোই বৃথা যায়না, আপনি আপনার পরিশ্রমের ফল পেয়ে যাবেন সঠিক সময়েই।

শুধু মাত্র মোবাইল দিয়ে অনলাইনে কিভাবে উপার্জন করা যায়? | মাইক্রো জব এর মাধ্যমে আয় করার উপায়।

শুধু মাত্র মোবাইল দিয়ে অনলাইনে কিভাবে উপার্জন করা যায়? | মাইক্রো জব এর মাধ্যমে আয় করার উপায়।


বর্তমানে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ পাওয়া খুব কঠিন একটি ব্যপার। স্মার্ট ফোন সম্পর্কে মানুষের ধারনা থাক বা না থাক পকেটে করে নিয়ে ঘোরার জন্য হলেও মানুষের এখন স্মার্ট ফোন ব্যবহার করা লাগবেই। এটা এখন একটা ট্রেন্ড হয়ে দাড়িয়েছে। তবে সবাই কিন্তু মোবাইল ফোন শুধু পকেটে রেখে ঘুরে বেড়ানো বা মানুষকে দেখানোর জন্যই ব্যবহার করে না। এখন সবাই তাদের নিকটে থাকা স্মার্ট ফোন টিকে কাজে লাগিয়ে ইনকাম বা রোজগার করতে চায়। 

অনলাইনে কিছু কিছু সাইট আছে যেগুলোতে আপনি মাইক্রো জব বা ছোট ছোট কাজ করে প্রতিদিন ৩০০ - ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। প্রতিটি কাজ করতে সময় লাগবে ৫ থেকে ১০ মিনিট। 

এই ছোট কাজ গুলো তেমন কঠিন কাজ না। আপনার যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা নাও থাকে তাহলেও আপনি এই কাজ গুলো করতে পারবেন।

আর এই কাজ গুলো করতে আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের দরকার হবেনা। হাতের এই স্মার্ট ফোন দিয়েই আপনি অনায়াসে এই কাজ গুলো করতে পারবেন। 

আজ আমরা আপনাকে দেখাবো মাইক্রো জব এর মাধ্যমে কিভাবে টাকা ইনকাম করবেন। আমরা জানি মাইক্রো মানে ছোট আর জব মানে হলো চাকরি।

আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে ছোট ছোট কাজ করে টাকা ইনকাম করবেন তখন তাকে মাইক্রো জব বলা হয়। আপনি যদি এই বিষয় নিয়ে কাজ করতে চান তবে প্রতি মাসে ভালো পরিমাণের টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

নিম্নোক্ত কিছু দেশী ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলোতে আপনি চাইলে সহজেই ইনকাম করতে পারেন। আমরা প্রতিটি ওয়েবসাইট আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি যা আপনারা পড়লেই বুঝতে পারবেন

মাইক্রো জব কি?

আমরা জানি বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে অনেক ভাবে টাকা আয় করা যায়। কিন্তু অনলাইন কাজের মধ্যে অনেক ভাগ রয়েছে। আপনি যদি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেন বা ইউটিউব নিয়ে কাজ করেন তবে এতে আপনার অনেক শ্রম দিতে হবে।

Giveawork.com - মাইক্রো জব

এই ওয়েবসাইটটি মাইক্রো জব মার্কেটপ্লেসের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও যে কেউ সহজে ইনকাম করতে পারবেন।

Dhakawork.com - মাইক্রো জব 

এই সাইটটি মূলত দেশী একটি ওয়েবসাইট। যেখানে প্রচুর কাজ রয়েছে। এখানকার কাজ গুলোও ছোট ছোট। বিশেষ করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইক কমেন্ট শেয়ার জাতীয় কাজ গুলো এই সাইটে পাওয়া যায়। 
যা খুবই সহজ একটি কাজ। আর যেকেউ অনায়াসে প্রতিদিন কাজ করে ৪০০/৫০০ টাকা আয় করা কোনো ব্যাপার না।  
এছাড়াও টাকা পয়সা নিয়েও  কোন টেনশন করতে হবে না। কাজ করার সাথে সাথে টাকা এ্যাকাউন্টে যোগ হয়ে যাবে এবং খুব সহজেই আপনি এখান থেকে তুলতে পারবেন।

Picoworkers.com / Sproutgigs.com 

এই ওয়েবসাইটটি মূলত ইন্টারন্যাশনাল পার্ট টাইম জব ওয়েবসাইট। এখান থেকে যে কেউ ছোট ছোট কাজ করে এক্সট্রা ইনকাম করতে পারেন। অন্যান্য মাইক্রো জব ওয়েবসাইট থেকে Picoworkers.com/Sproutgigs.com এর প্রাইস টা একটু বেশি। 
Picoworkers /Sproutgigs.com সাইটে কাজ করে আপনি প্রতিদিন অনায়াসে ৫০০ /৬০০ টাকা আয় করতে পারবেন। তাছাড়া অন্যান্য মার্কেটপ্লেসের চাইতে এই মার্কেটপ্লেসে প্রতিটা কাজের মূল্য আনুপাতিকহারে বেশী। 

Workmatejob.com 

workmatejob.com খুবই জনপ্রিয় একটি  মার্কেটপ্লেস। এই ওয়েবসাইটে আপনি প্রচুর ছোট ছোট কাজ পাবেন। ঘরে বসে অনলাইনে পার্ট টাইম জবের জন্য এই ওয়েবসাইটটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান।
এই ওয়েবসাইট থেকেও যে কেউ সহজেই  প্রতিদিন ৪০০ - ৫০০ টাকা আয় করতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে কাজ করা খুবই সহজ। শুধু একাউন্ট করেই  কাজ শুরু করা যার।

Workedbd.com

এই সাইটটিও একটি অসাধারণ ওয়েবসাইট। তবে এই সাইটে  অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে কাজের দাম কিছুটা কম।  তবে কাজ করার জন্য এই সাইটটি খুবই চমৎকার। যেখান থেকে যে কেউ প্রতিনিয়ত ৩০০/৪০০ টাকা আয় করতে পারেন।

উপরোক্ত এই সব ওয়েবসাইট গুলো থেকে একজন ফ্রিল্যান্সার সাধারণত অ্যাপস ডাউনলোড, ওয়েবসাইট ভিজিট, টিক টক, লিংকডইন, টুইটার, ফেসবুকে ফলোয়ার বৃদ্ধি, ইত্যাদি ছোট ছোট কাজ গুলো করে টাকা ইনকাম করতে পারেন। আর এইসব এমন সব কাজ, যা করতে আপনার কোনো কিছুই শিখতে হবে না।

একপর্যায়ে আপনি হয়তো এই অনলাইনকেই নিজের ইনকামের পন্থা বানিয়ে ফেলতে চাইবেন। উল্লেখ্য পড়াশুনার পাশাপাশি আয় করতে পারবেন উপরোক্ত অনলাইন পার্টটাইম জব গুলোর মাধ্যমে। আপনার যাত্রা হোক সাফল্যের সেই কামনা রাখছি। পরবর্তী পোস্টের আপডেট পেতে সাথেই থাকুন। 

অনুবাদ করে আয় 

অনেকেই ভালো অনুবাদ করতে পারেন। তারা চাইলে তাদের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই অনুবাদ করে আয়ের চিন্তা করতে পারেন। 
অনুবাদ অনেকটা কন্টেন্ট রাইটিং এর মতো। তবে এটিতে এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় রুপান্তরের কাজটা করতে হবে। 
কেউ যদি একাধিক ভাষা জানেন তাহলে এটি তার জন্য এটা খুবই সহজ একটি কাজ। অনলাইনে অনেকেই   আছেন যারা এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদ লোক খুঁজেন। 
আমরা যারা অনুবাদ করতে পারি তারা চাইলে নিজেদের একটি এ্যাকাউন্ট বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটে রাখতে পারি। 

যাতে  যেখানথেকে অনুবাদ করার নতুন নতুন  কাজ নিতে পারি। অনেকেই রয়েছেন যারা ভিডিও কিংবা টেক্সট আকারে তাদের কনটেন্ট প্রদান করে থাকেন। সেখান থেকে তাদের চাহিদা মতো সেটাকে অনুবাদ করে দিতে পারলে তারা ভালো একটি অর্থ অফার করেন।

শেষকথাঃ

আশা করছি মোবাইল দিয়ে ইনকাম করা যায় এমন কিছু ধারনা আপনাদের দিতে পেরেছি। আমি এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদেরকে যেই ধারনা গুলো দিয়েছি এগুলো কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। আপনার ইচ্ছে থাকলে আপনি আপনার হাতে থাকা স্মার্ট ফোন দিয়ে অনায়াসেই ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

ইন্টারনেট থেকে যেকোনো ভিডিও ডাউনলোড করুন | Download any video from the internet

ইন্টারনেট থেকে যেকোনো ভিডিও ডাউনলোড করুন | Download any video from the internet


ইন্টারনেট থেকে ভিডিও দেখার আমাদের জীবনে একটি প্রধানতম পরিণত হয়েছে. আমাদের প্রিয় অনলাইন শো দেখার জন্য ভাইরাল ভিডিও ব্রাউজ করা থেকে, আমরা এখন বিনোদনের জন্য ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে নির্ভর বলে মনে হচ্ছে. 

অধিকাংশ অ্যান্ড্রয়েড ফোন যে সব বিস্তারিতভাবে নিতে একটি বড় পর্দার হচ্ছে, ভাল কি ডিভাইস দেখার আনন্দ পূর্ণবিস্তার হতে পারে?

প্রোগ্রাম ছাড়াই কীভাবে ইন্টারনেট থেকে ভিডিও ডাউনলোড করবেন। ইন্টারনেট সার্ফিং করার সময়, কতবার, আমরা একটি আকর্ষণীয় বা মজার ভিডিও পেয়েছি যা আমরা আমাদের কম্পিউটারে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই এটি দেখতে সক্ষম হতে ডাউনলোড করতে চাই? আমি নিশ্চিত অনেক লোক আছে।

তবে সকলেই রাজি নন আপনার কম্পিউটারে প্রোগ্রাম ডাউনলোড করুন। এজন্য আজ আমরা এই নিবন্ধটি নিয়ে আসছি। কিভাবে আপনাকে দেখাতে ভিডিও ডাউনলোড করুন ইন্টারনেটের কোন প্রোগ্রাম বিনামূল্যে জন্য বেশ কয়েকটি আছে অনলাইন ভিডিও ডাউনলোড বিকল্প তবে, আমরা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য কয়েকটি নির্বাচন করেছি।

অনেক সময় ফেসবুক, টিকটিক, ভিমিও, টুইটার ইত্যাদি এই ধরণের জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলোতে আমরা এমন ভিডিও গুলো দেখি যেগুলো নিজের মোবাইলের ইন্টারনাল স্টোরেজে সেভ বা ডাউনলোড করে রাখতে মন করে।

তবে, এই জনপ্রিয় প্লাটফর্ম গুলোর থেকে সরাসরি কোনো ভিডিও ডাউনলোড করার অপসন দেওয়া হয়না। তবে চিন্তা করতে হবেনা, কারণ বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট থেকে যেকোনো ধরণের ভিডিও ডাউনলোড করাটা অনেক সোজা। আর, সম্পূর্ণ ফ্রীতে কিভাবে ভিডিও গুলোকে ইন্টারনেট থেকে নিজের মোবাইল এর মেমরি কার্ডে বা কম্পিউটারে ডাউনলোড করবেন, সেই বিষয়ে নিচে জানতে পারবেন।

এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের এমন কিছু অনলাইন ভিডিও ডাউনলোডার ওয়েবসাইট গুলোর বিষয়ে বলবো যেগুলো ব্যবহার করে কোনো নির্দিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে নিজের পছন্দের যেকোনো ভিডিও আপনি ডাউনলোড করতে পারবেন।

কিভাবে ব্যবহার করবেন ভিডিও ডাউনলোডিং সাইট গুলো ?

যেকোনো সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে পছন্দের ভিডিওটি ডাউনলোড করার জন্য আপনাকে প্রথমে সেই ভিডিওটির URL link কপি করতে হবে। আপনাকে কেবল নিজের মোবাইলে বা কম্পিউটারে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল ওপেন করতে হবে।

কম্পিউটারের ক্ষেত্রে: আপনি যেই ভিডিওটি ডাউনলোড করতে চাইছেন সেটাকে Play করুন। ভিডিও PLAY করার পর ভিডিওতে রাইট ক্লিক করুন, দেখবেন “copy video URL/link” এর অপসন দেখতে পাবেন। সরাসরি, “copy video URL/link” এর মধ্যে click করে ভিডিওর লিংক কপি করুন।

মোবাইলের ক্ষেত্রে: সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে যেই ভিডিওটি ডাউনলোড করতে চাইছেন সেটা কে ট্যাব করুন।

ভিডিওর নিচে একটি “share link” দেখতে পাবেন।  সরাসরি সেই share link এর মধ্যে click করুন আপনি “Copy link” এর অপসন দেখতে পাবেন। সরাসরি copy link এর মধ্যে click করে ভিডিওর লিংক কপি করে নিন।

অনেক সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোতে আবার ভিডিওর পাশে থাকা অপসন আইকনে “⋮” ক্লিক করলে সরাসরি copy video link অপসন পেয়ে যাবেন।

ইন্টারনেট থেকে যেকোনো ভিডিও ডাউনলোড করার ওয়েবসাইট:

নিচে আমি কিছু ওয়েবসাইটের নাম বলে দিচ্ছি যেগুলো তে গিয়ে আপনি কেবল ভিডিওর লিংক পেস্ট করার মাধ্যমে সেই ভিডিওটি অনলাইন থেকে আপনার মোবাইলে ডাউলোড করতে পারবেন।

(১) Y2Mate

Y2Mate ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি YouTube থেকে যেকোনো ভিডিও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এই ওয়েবসাইটি বর্তমান সময়ে সেরা YouTube video downloader গুলোর মধ্যে একটি। 

এই ওয়েবসাইট থেকে কোনো ভিডিও ডাউনলোড করতে আপনাকে কেবল যেই ভিডিও ডাউলোড করবেন সেটার URL link কপি করতে হবে এবং Y2Mate-এর URL বক্সে পেস্ট করে এন্টার প্রেস করতে হবে। ব্যাস ভিডিও ডাউলোড হয়ে যাবে।

এখানে প্রত্যেকটি ভিডিও ডাউনলোড করার আগে তারা আপনাকে ভিডিওর  রিসোলিউশন সিলেক্ট করতে বলবে।

যেমনঃ  144p, 240p, 360p, 480p, 720p, এবং 1080p এর মধ্যে যেকোনো একটি সিলেক্ট করতে পারেন। 

আপনাকে ভিডিওটির সাইজ অবশই দেখিয়ে দেওয়া হবে। ভিডিও Download করতে Download button এর মধ্যে click করুন। 

এখন আপনার পছন্দের ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড হয়ে যাবে।  আপনি চাইলে Y2Mate ব্যবহার করে যেকোনো ইউটিউব ভিডিওকে MP3 audio তে কনভার্ট করে অডিও ফাইল ডাউনলোড করতে পারেন।


(২) iGram

Instagram বর্তমান সময়ের খুবই জনপ্রিয় একটি প্লাটফর্ম। আর এখানে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট আপলোড হয়ে থাকে। তাই, আপনি যদি ইনস্টাগ্রাম থেকে ভিডিও ডাউনলোড করতে চান তাহলে iGram আপনার সাহায্য করবে।

iGram এর দ্বারা আপনারা Instagram reels এবং video গুলো MP4 file হিসেবে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এখানেও আপনারা একটি URL box পাবেন যেখানে Instagram video link পেস্ট করতে হবে।

Link পেস্ট করার পর সরাসরি “Download Button” এর মধ্যে click করে ভিডিওটি ডাউনলোড করা যাবে।

(৩) FDown

FDown হলো একটি জনপ্রিয় অনলাইন টুল যার মাধ্যমে ফেসবুক এর public videos এবং reels গুলো ডাউনলোড করা যাবে। ভিডিও ডাউনলোড করার জন্যে আপনাকে ফেসবুক এর video URL link কপি করে FDown এর মধ্যে পেস্ট করে ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করতে হবে।

আপনি যেরকম কোয়ালিটিতে ভিডিও জান ঠিক সেভাবেই পেয়ে যাবেন এই এফডাউন-এ। FDown-এর একটি ক্রোম ব্রাউজার এক্সটেনশন ও আছে যেটার নাম হলো, Video Downloader Plus।

এই chrome extension ব্যবহার করলে আপনাকে আপনার পছন্দের ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করার জন্যে ফেসবুক ছেড়ে কোথাও যেতে হবেনা।

এক্সটেনশন ব্যবহার করলে সরাসরি ফেসবুকের মধ্যে ভিডিও ডাউনলোড করার অপশন আপনি পেয়ে যাবেন।

তবে, extension এর মাধ্যমে আপনি ভিডিও গুলোকে কেবল HD quality-র সাথে ডাউনলোড করতে হবে।

(৪) DownloadTwitterVideo.Com

Facebook এর মতো Twitter-এর মধ্যে বিশেষ কোনো ভিডিও পোস্ট গুলো করা হয়ে থাকেনা। 

তবে, টুইটারের কোনো পোষ্টটের ভিডিও যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তবে কিন্তু আপনি সহজেই তা ডাউনলোড করতে পারবেন। 

Download Twitter Videos website-টি মূলত twitter থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার জন্যে তৈরি করা হয়েছে। এখানেও আপনি একটি Video URL box পাবেন যেখানে আপনাকে ভিডিও লিংক পেস্ট করতে হবে।

আপনি অনেক সহজেই টুইটার এর ভিডিও লিংক কপি করে নিতে পারবেন। ভিডিও URL Link পেস্ট করার পর এখন MP4 বা MP4 HD, নিজের পছন্দ হিসেবে একটি অপশনে ক্লিক করুন।

(৫) SSSTik

SSSTik হলো একটি অনেক জনপ্রিয় TikTok video downloader ওয়েবসাইট। 

আপনি যদি টিকটকের কোনো ভিডিও ওয়াটারমার্ক ছাড়া ডাউনলোড করতে চান তাওলে এই অনলাইন টুলের মাধ্যমে তা করতে পারবেন।

আপনাকে কেবল পছন্দের TikTok video’s URL কপি করতে হবে এবং SSSTik ওয়েবসাইটে থাকা URL box এর মধ্যে লিংকটি পেস্ট করতে হবে।

লিংক পেস্ট করার পর সরাসরি ডাউনলোড বাটনের মধ্যে ক্লিক করতে হবে।

এবার আপনি যদি চান কোনো ওয়াটারমার্ক ছাড়া ভিডিও ডাউনলোড করতে তাওলে Without Watermark বাটন click করতে হবে।

(৬) ClipConverter

নিজের কম্পিউটারে ভিডিও ডাউনলোডার সফটওয়্যার ইন্সটল করে তারপর ভিডিও ডাউনলোড করার মতো ঝামেলা যদি আপনি চাইছেননা, তাহলে ClipConverter আপনার কাজে লাগবে।

আপনি সরাসরি ClipConverter-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে পছন্দের ভিডিওটি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

এই অনলাইন ভিডিও ডাউনলোডার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনারা YouTube-এর মতো জনপ্রিয় সাইট গুলোর থেকে যেকোনো ভিডিও ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

তবে, আপনি যদি ভিডিওর থেকে কেবল অডিওটি ডাউনলোড করতে চান, তাহলেও MP3, M4A বা AAC format-এর সাথে ফাইলটি ডাউনলোড করা যাবে।

শেষ কথাঃ

ইন্টারনেটে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া সাইট গুলোর থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার জন্যে যেগুলো অনলাইন টুল বা ওয়েবসাইট গুলোর বিষয়ে বলা হয়েছে সেগুলো আপনারা সম্পূর্ণ ফ্রি ভাবে ব্যবহার করতে পারবেন।

তবে, টুল গুলো ব্যবহার করে ফ্রি ভিডিও গুলোকে কেবল ব্যক্তিগত ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করুন। ওয়েবসাইট/টুলগুলি কপিরাইটযুক্ত সামগ্রী/ভিডিও সেভ করা এবং বিতরণ করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করবেননা। এটি করলে আপনি গুরুতর সমস্যায় পড়তে পারেন।

এছাড়া, ভিডিও ডাউনলোড করা কিছু কিছু সাইটের ক্ষেত্রে তাদের পরিষেবার শর্তাবলীর বিরুদ্ধে। তাই, আপনার একাউন্ট সাস্পেন্ড বা সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করার ভয় থাকছে। তাই, এই টুল গুলো ব্যবহার করে ইন্টারনেট থেকে ভিডিও ডাউনলোড করার আগে ভালো করে যাচাই অবশই করবেন।