Showing posts with label খবর. Show all posts
Showing posts with label খবর. Show all posts

ফেসবুক খোলা আমাদের ইচ্ছের ওপর নয় : তারানা

ফেসবুক খোলা আমাদের ইচ্ছের ওপর নয় : তারানা

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম আবারও জানিয়েছেন, সাময়িকভাবে বন্ধ ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর হাতে নেই। এ সিদ্ধান্ত দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারানা হালিম এ কথা বলেন। রাজধানীতে কানাডা হাইকমিশনে ওই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানিয়েছে।
তারানা হালিম বলেন, ‘আমাদের ইচ্ছের ওপর এটা (ফেসবুক ও অন্যান্য মাধ্যম) খোলা নির্ভর করছে না। এটা নির্ভর করছে নাগরিকরা সম্পূর্ণ নিরাপদ আছে কি না, তা দেখার জন্য প্রতিজ্ঞ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সরকারের ওপর।
তারানা হালিম বলেন, ‘আমরা একটি মানুষের জীবনও বিপন্ন করতে চাই না।’ তিনি আরো বলেন, ‘অসুবিধাটা মেনে সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সম্মান করার চেষ্টা করুন।’

তারানা হালিমের চিঠিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের জবাব, কি বলেছে ফেসবুক ? খুলবে কি ফেসবুক ?

তারানা হালিমের চিঠিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের জবাব, কি বলেছে ফেসবুক ? খুলবে কি ফেসবুক ?
 Screenshot_6
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। গতকাল সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠানোর কথা জানিয়েছিলেন তারানা হালিম। পরদিনই ই-মেইলের মাধ্যমে উত্তর পাঠিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আলোচনায় বসার আগ্রহ দেখিয়েছেন তারা। আজ মঙ্গলবার ফেসবুকের পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর (ভারত, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া) আঁখি দাশ ই-মেইলে বাংলাদেশের প্রতিমন্ত্রীর চিঠির জবাব দিয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, আগামী ৬ জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশে এসে আলোচনায় বসার বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছেন তারা। কিন্তু মন্ত্রণালয় চাচ্ছে, ডিসেম্বরের মধ্যেই বৈঠকের তারিখটি নির্ধারণ করতে। আগামীকাল বুধবার এ বিষয়ে আরেকটি চিঠি পাঠাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সূত্র জানায়, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে পাঠানো চিঠিতে যেসব বিষয় উল্লেখ করা হয়েছিল সবগুলোর বিষয়েই আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ফেসবুকের মাধ্যমে নারীর প্রতি হয়রানি, ধর্মীয় উস্কানি, রাজনৈতিক অস্থিরতার মতো বিষয়গুলো ঠেকাতে ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তি করার লক্ষ্যে বিশদ আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে গতকাল সোমবার ফেসবুকের এশিয়া-প্যাসিফিক কার্যালয়ে বাংলাদেশের তরফে চিঠি পাঠানো হয়।

যেসব দেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ।

যেসব দেশে ফেসবুক নিষিদ্ধ।


বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশে প্রায়ই বন্ধ করা হয় সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক। কোনো কোনো দেশ একদিনের মাথায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও কোনো কোনো দেশে চিরস্থায়ীভাবেই বন্ধ করে দেওয়া হয় সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমকে। আবার চীনের মতো জনবহুল এবং প্রযুক্তিবান্ধব দেশ ফেসবুকের বিকল্প হিসেবে চালু করেছে নিজস্ব সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট।
নানা দেশে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইনডেক্স অন সেন্সরশিপ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। সেখানে বিভিন্ন দেশে ফেসবুক বন্ধের কারণ এবং সময়সীমা তুলে ধরা হয়েছে।
উত্তর কোরিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমনিতেই রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছে দেশটির। কখনো কখনো এই দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে সাইবার যুদ্ধে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের নেতা কিম জং উন তার দেশে সব সময়ই ইন্টারনেট ব্যবহার সীমিত রেখেছেন। বিভিন্ন সময় আরোপ করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
মজার বিষয় হচ্ছে উত্তর কোরীয় নাগরিকরা সীমিতভাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পেলেও উত্তর কোরিয়ার অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরা থ্রিজি ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের সুযোগ পান। উত্তর কোরিয়ায় আন্তযোগাযোগের জন্য সীমিত আকারে কোয়াংমিয়ং (Kwangmyong) নামের ইন্ট্রানেট ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। যদিও সেখানে শুধুমাত্র জন্মদিনের শুভেচ্ছা ছাড়া অন্য কিছু পোস্ট করার সুযোগ কম!
পিয়ংইয়ং ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির কিছু শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা তাঁদের বিশেষায়িত ল্যাবে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পান। কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধের কারণে সহসা কেউ সে সুযোগ কাজে লাগাতে চান না। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে উত্তর কোরিয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া গবেষক রামেস্ট শ্রিনিবাসন জানিয়েছেন, ‘উত্তর কোরিয়া হচ্ছে এমন একটা দেশ যেখানে প্রত্যেকটি কম্পিউটার বা প্রযুক্তিতে সরকারি নজরদারি রয়েছে। সফটওয়্যার থেকে হার্ডওয়্যার সবকিছুতেই সরকারি বিধিনিষেধ জারি আছে’।
ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের আরেক বিপক্ষ শক্তি ইরান। এই দেশেও বন্ধ রয়েছে ফেসবুক। তবে মজার বিষয় হচ্ছে সাধারণ জনগণের ফেসবুকে প্রবেশাধিকার না থাকলেও রাজনৈতিক নেতাদের ফেসবুক এবং টুইটার অ্যাকাউন্ট সক্রিয় রয়েছে। ইরানের সপ্তম এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ক্ষমতায় আসেন ২০১৩ সালে। নির্বাচনী প্রচারণায় সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করেছিলেন রুহানি। এমনকি তাঁর ফেসবুক এবং টুইটার দুটি অ্যাকাউন্ট এখনো সক্রিয়। সেখান থেকে ইরানি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক খবরাখবর প্রচার করা হয়।
যেহেতু দেশটিতে ফেসবুক এবং টুইটার বন্ধ রয়েছে, তাই রুহানিকে এসব সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ব্যবহার করতে হয় প্রক্সি সার্ভার দিয়ে। ২০০৯ সালে নির্বাচনের সময় প্রথম বিরোধী দলের প্রচারণা ঠেকাতে ইরানে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এ বছরের মে মাসে ইরান সরকার সর্বশেষ ঘোষণা দেয় যে, সহসা সোশ্যাল মিডিয়া খুলে দেওয়া হবে না।
চীন
‘দ্য গ্রেট ফায়ারওয়াল অব চায়না’ নামে  ইন্টারনেটের ওপর সেন্সরশিপ এবং নজরদারি বজায় রেখেছে চীনা সরকার। ২০০৯ সালে ‘উরুমকি দাঙ্গা’র পর ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয় চীনে। মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত চীনের স্বায়ত্তশাসিত উইঘুর অঞ্চলের রাজধানী উরুমকিতে ২০০৯ সালের ৫ জুলাই ছড়িয়ে পড়েছিল দাঙ্গা। বিচ্ছিন্নভাবে চলা সে দাঙ্গায় প্রাণ হারায় ১৯৭ জন।
দাঙ্গার পরিকল্পনা এবং যোগাযোগে ফেসবুক ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় সারা দেশে ফেসবুক বন্ধ করে দেয় চীনা সরকার। এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে ইন্টারনেটের ওপর আরো কড়াকড়ি আরোপ করে চীনা সরকার। ২০১৩ সালে সীমিত আকারে সেই নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছিল চীনা সরকার। যদিও তা সাংহাইয়ের মুক্তবাণিজ্য এলাকার মাত্র ১৭ বর্গমাইলের মধ্যে।
তবে বিদেশি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট বন্ধ থাকলেও উইবো, রেনরেন, উইচ্যাটের মতো চীনা সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট এবং অ্যাপগুলো এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চীনে। আর তাই ফেসবুক বা টুইটারের অভাব এখন আর তেমন বোধ করেন না চীনারা।
কিউবা
লাতিন আমেরিকার দেশ কিউবাতে সরকারিভাবে ঘোষণা দিয়ে ফেসবুক বন্ধ করা হয়নি। তবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা সেখানে বেশ কষ্টসাধ্য এবং ব্যয়বহুল। শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিক এবং মেডিকেলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে বৈধভাবে কিউবায় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। এর বাইরে সবাইকেই নির্ভর করতে হয় সাইবার ক্যাফের ওপর।
সেখানে এক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য গুনতে হয় ৬ থেকে ১০ ডলার। কিন্তু কিউবার মানুষের গড় আয় ২০ ডলার। তাই এত দাম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার সেখানে বিলাসিতা হিসেবেই গণ্য করা হয়। আর এত টাকা খরচ করে সাইবার ক্যাফেতে বসলেও ধীরগতির সংযোগের কারণে পুরো টাকাটাই জলে যায় ব্যবহারকারীদের। আর এভাবেই ইন্টারনেট-বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন করছেন কিউবানরা।
মিসর
২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের সময় সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যাতে এর মাধ্যমে আন্দোলনকারীরা সংগঠিত হতে না পারেন। এ ছাড়া আন্দোলন সম্পর্কে যাতে বিদেশিরা জানতে না পারেন সে জন্য মিসরীয় সাইটগুলো যাতে বিদেশ থেকে দেখা না যায় সে ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
তবে প্রক্সি সার্ভিস ব্যবহার করে আন্দোলনকারীরা ইউটিউব, হটমেইল, গুগল ব্যবহার করে আন্দোলন বেগবান রেখেছিলেন এবং হোসনি মোবারকের পতন ঘটেছিল। এরপর অবশ্য ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো খুলে দেওয়া হয়।
সিরিয়া
২০০৭ সালে প্রথম সিরিয়াতে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাসার আল আসাদের সরকার আশঙ্কা করেছিল এসব সাইট ব্যবহার করে ইসরায়েলি গোয়েন্দারা বাসার সরকারবিরোধী প্রোপাগান্ডা চালাতে পারে। ২০১১ সালে অবশ্য প্রেসিডেন্ট আসাদ নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিলেন। ততদিনে অবশ্য মিসর ও তিউনিশিয়ার মতো সিরিয়াতেও সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়ে যায়। সরকারিভাবে চার বছর বন্ধ থাকলেও সে সময়ে প্রক্সি সার্ভারের মাধ্যমে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যবহার করেছিলেন সিরিয়ার নাগরিকরা।
মরিশাস
আফ্রিকার দেশ মরিশাসেও একদিনের জন্য ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছিল। কারণটা ছিল বেশ মজার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাভিন রামগুলামের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে কে বা কারা একের পর এক পোস্ট দিয়ে যাচ্ছিল। এই অপপ্রচার রুখতে ২০০৭ সালে সারা দেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক। অবশ্য কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সেদিনই আবার ফেসবুক খুলে দেওয়া হয়েছিল।
পাকিস্তান
আপত্তিকর কার্টুন ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ২০১০ সালে দুই সপ্তাহ ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছিল পাকিস্তানে। পরে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে ফেলা হলেও ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় এমন সব পেজ বিভিন্ন সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ভিয়েতনাম
২০০৯ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ফেসবুক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। যদিও সরকারিভাবে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। তবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ায় প্রযুক্তিবিদদের দিয়ে ফেসবুক বন্ধ করে দিয়েছিল দেশটির সরকার।
যদিও দেশটির সরকার কখনোই এ ধরনের কোনো আদেশ দেওয়ার কথা স্বীকার করেনি। এরপরও বিভিন্ন সময়ে সরকারি ঘোষণা ছাড়াই ইন্টারনেট এবং ফেসবুক ব্যবহার সীমিত করা হয়েছে দেশটিতে। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বের ভিয়েতনাম সরকার ‘ডিক্রি ৭২’ জারি করে যেখানে বলা হয়, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে কোনো খবরের লিংক প্রকাশ করা যাবে না।

অবশেষে জানা গেল বাংলাদেশে ফেসবুক খোলার দিনক্ষণ।

অবশেষে জানা গেল বাংলাদেশে ফেসবুক খোলার দিনক্ষণ।
Screenshot_2

 সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ- জেনে নিন কবে আলোচনায় বসবে তারা?
 সোমবার ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের চিঠি পাঠানোর একদিন পরই ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ফিরতি চিঠিতে বাংলাদেশ সরকারের আহবানে সাড়া দিয়ে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসার আগ্রহ দেখিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সাংবাদিকদের বলেন, ফেসবুকের পলিসি এ্যাডভাইজার আমাদের ইমেইল করে জানিয়েছেন ৬ অথবা ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। আলোচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে জানতে চাইলে তারানা হালিম বলেন, আমরা মূলত নারীর প্রতি অবমাননার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার কথা বলেছি। তারা বিষয়টি আমলে নিয়ে আলোচনার আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই এ বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে আসছি। প্রথম থেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের চেষ্টা করলেও তারা সাড়া দেয়নি। এবার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানোর পর সাড়া দিল।

বাংলাদেশের চিঠিতে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশের চিঠিতে সাড়া দিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা করবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠির জবাবে এ কথা জানিয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
আজ মঙ্গলবার রাতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ফেসবুকের কাছে পাঠানো চিঠির একটি জবাব আমাদের কাছে এসেছে।’
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ইমেইলের মাধ্যমে দেওয়া উত্তরে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী জানুয়ারি মাসে তারা আলোচনায় বসতে চায়।
গতকাল সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ থেকে ফেসবুকের কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। দেশের সাইবার নিরাপত্তা, নারীর প্রতি হয়রানি, ধর্মীয় উসকানি, রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলায় ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তি করার প্রস্তাব দেওয়া হয় ওই চিঠিতে।
গত ১৮ নভেম্বর দুপুরে বাংলাদেশে বন্ধ করে দেওয়া হয় ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জারের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অ্যাপ্লিকেশনগুলো (অ্যাপস)। সেদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় এসব সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
ওই দিন সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখে রায় দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। রায় ঘোষণার পরপরই দেশে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রায় সোয়া ঘণ্টা বন্ধ থাকে সারা দেশের ইন্টারনেট সংযোগও।
কবে নাগাদ ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুলে দেওয়া হবে—জানতে চাইলে গত ২১ নভেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ থাকবে। তিনি বলেন, ‘সাময়িক নিরাপত্তার জন্য, জনস্বার্থ, জননিরাপত্তার স্বার্থে যতদিন বন্ধ রাখা প্রয়োজন, ঠিক ততদিনই বন্ধ থাকবে। যখন জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেটি নিশ্চিত করবে, তখনই আমরা এটা খুলে দেব।’
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘বিশেষ কারণেই এটা স্থগিত করা হয়েছে, স্বল্প সময়ের জন্য।

ফেসবুক খোলা আমার একার এখতিয়ার নয়: তারানা

ফেসবুক খোলা আমার একার এখতিয়ার নয়: তারানা






ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম   -ফাইল ছবি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম খোলার বিষয়টি আমার একার এখতিয়ার নয়। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই এগুলো খুলে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে পার্কি বিস্কুট-চ্যানেল আই ব্যান্ড ফেস্টে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
 
তারানা হালিম বলেন, 'সরকার নিজের জন্য নয়, জনগণের নিরাপত্তার জন্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ রেখেছে। সেজন্য সবার উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা।'
 
উৎসবে উপস্থিত তরুণদের তিনি বলেন, 'একদিকে মানুষের জীবন, অন্যদিকে ফেসবুক- আপনারাই বলুন কোনটিকে আপনারা বেছে নিবেন? আমি মনে করি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের কিছু অ্যাপস থেকে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। মানুষের জীবনের স্বার্থে সরকারকে সবার সহযোগিতা করা উচিত। ছোট্ট একটা অ্যাপসের বিষয়ে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব না- এমন এমন সংকীর্ণ মানসিকতার নয়, এটা আমার বিশ্বাস।' তিনি এ সময় ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের জনগণের সহনশীলতার উদাহারণ দেন।
 
তরুণদের উদ্দেশ করে তারানা হালিম বলেন, 'একই সময়ে কেউ মাদক নিচ্ছে, কেউ সাংস্কৃতির চর্চা করছে। তরুণ প্রজন্মকে সুপথে আনতে এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন আরো হওয়া উচিত।'

ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট তারানা হালিম বলেছেন, ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম খোলার বিষয়টি আমার একার এখতিয়ার নয়। সবাই মিলে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই এগুলো খুলে দেওয়া হবে।
<a href='http://sparkadsmedia.com/ads/www/delivery/ck.php?n=ab4e2435&cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE' target='_blank'><img src='http://sparkadsmedia.com/ads/www/delivery/avw.php?zoneid=9&cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE&n=ab4e2435' border='0' alt='' /></a>
 
মঙ্গলবার চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে পার্কি বিস্কুট-চ্যানেল আই ব্যান্ড ফেস্টে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
 
তারানা হালিম বলেন, 'সরকার নিজের জন্য নয়, জনগণের নিরাপত্তার জন্য ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ রেখেছে। সেজন্য সবার উচিত সরকারকে সহযোগিতা করা।'
 
উৎসবে উপস্থিত তরুণদের তিনি বলেন, 'একদিকে মানুষের জীবন, অন্যদিকে ফেসবুক- আপনারাই বলুন কোনটিকে আপনারা বেছে নিবেন? আমি মনে করি, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের কিছু অ্যাপস থেকে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। মানুষের জীবনের স্বার্থে সরকারকে সবার সহযোগিতা করা উচিত। ছোট্ট একটা অ্যাপসের বিষয়ে আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব না- এমন এমন সংকীর্ণ মানসিকতার নয়, এটা আমার বিশ্বাস।' তিনি এ সময় ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের জনগণের সহনশীলতার উদাহারণ দেন।
 
তরুণদের উদ্দেশ করে তারানা হালিম বলেন, 'একই সময়ে কেউ মাদক নিচ্ছে, কেউ সাংস্কৃতির চর্চা করছে। তরুণ প্রজন্মকে সুপথে আনতে এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন আরো হওয়া উচিত।'
<a href='http://sparkadsmedia.com/ads/www/delivery/ck.php?n=aa74143b&cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE' target='_blank'><img src='http://sparkadsmedia.com/ads/www/delivery/avw.php?zoneid=10&cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE&n=aa74143b' border='0' alt='' /></a>
- See more at: http://bangla.samakal.net/2015/12/01/177065#sthash.YvmLB4SC.dpuf