কে এই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী?

কে এই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী?
অফিসিয়াল ঘোষনা।  রাত ১১: ৩০ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নগর হাসপাতাল  ধানমন্ডি ঢাকা। ১১ এপ্রিল ২০২৩

বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর নেই। মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪১। তিনি একজন বাংলাদেশি চিকিৎসক, জনস্বাস্থ্য সক্রিয়তাবাদী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযোদ্ধা। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামক স্বাস্থ্য বিষয়ক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮২ সালে প্রবর্তিত বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

জাফরুল্লাহর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে। তার বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। পিতামাতার দশজন সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড় ।ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট উত্তীর্ণের পর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এবং ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস-এ এফআরসিএস পড়াকালীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি চূড়ান্ত পর্ব শেষ না-করে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরে এসে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার নিমিত্তে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন এবং এরপরে ডা. এম এ মবিনের সাথে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি সেই স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দান করেন যা দিয়ে তারা রোগীদের সেবা করতেন এবং তার এই অভূতপূর্ব সেবাপদ্ধতি পরে বিশ্ববিখ্যাত জার্নাল পেপার “ল্যানসেট”-এ প্রকাশিত হয়।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ১৯৭৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই (১৯৮৫) এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড (১৯৯২), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ (২০০২) এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়েছেন।২০২১ সালে আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার পান।

কে এই ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী?

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মহান মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তি যোদ্ধা। রণাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন অসংখ্য আহত ও অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধার। জাতির যেসব সূর্যসন্তান আজকের এই স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন এবং রাজনীতির বুদ্ধিবৃত্তিক অঙ্গনে ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তাদের অন্যতম তিনি।

স্বাধীন দেশে তিনি হতে পারতেন দেশসেরা সার্জন। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতেন চিকিৎসাখাতের প্রধান ব্যবসায়ী। কিন্তু ভিন্নধাতুতে গড়া এক লড়াকু মানুষ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। স্বাধীন দেশে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন গণমানুষের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে।

প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীদের করেছেন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকর্মী। প্রথম উদ্যোগ নিয়েছেন জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের। জনকল্যাণধর্মী চিকিৎসানীতির মাধ্যমে দেশে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার নীতি প্রণয়ন, জাতীয় শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে অগ্রসর শিক্ষা নীতি প্রণয়ন ও নারী উন্নয়নে রেখেছেন যুগান্তকারী ভূমিকা।

সরকার ও রাষ্ট্রের, ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর যেকোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে তিনি দাঁড়িয়েছেন বুকচিতিয়ে। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশ-পরিস্থিতি যখন উত্তপ্ত, অনিশ্চিত তখনই বিবদমান পক্ষের মাঝখানে সমঝোতার সেতুর ভূমিকা নিয়েছেন।

রাষ্ট্রক্ষমতার বাইরে থেকে একজন ব্যক্তিমানুষের পক্ষে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য যতটুকু কাজ করা সম্ভব তার সর্বোচ্চটাই করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সাম্প্রতিক সময়েও তিনি অবস্থান নিয়েছেন কোটাবিরোধী ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলনে। সবমিলিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ব্যক্তিত্বের শিখরস্পর্শী এক উচ্চতায়। মহান এ ব্যক্তিত্বকে আজ অপমান, মানহানি আর অব্যাহতভাবে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা হচ্ছে মামলা।

দেশের মানুষকে কম পয়সায় চিকিৎসা দিতে তিলতিল করে যে হাসপাতালটি তিনি গড়ে তুলেছেন সেটির ওপর দুর্বৃত্তদের হাত পড়ছে। ছাত্রজীবনে চড়তেন দামি গাড়িতে। ছিল পাইলটের লাইসেন্স। লন্ডনে পড়াশোনা অবস্থায় রাজকীয় দর্জি তার বাসায় এসে মাপ নিয়ে স্যুট তৈরি করতেন বলে অতিরিক্ত পরিশোধ করতেন ২০ পাউন্ড।

এক সময়ের সমাজতন্ত্রী ও পরবর্তিতে জাতীয়তাবাদী  এ মহান চিকিৎসক  সাধারণ জীবন যাপন করতেন। দেশে-বিদেশে কোথাও তার একটি ফ্ল্যাট পর্যন্ত নেই। বোনকে দান করে দিয়েছেন পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিজমা। মরণোত্তর দেহদান করায় দাফনের জন্যও প্রয়োজন হবে না জমির। হেয় করার জন্য এই জাতীয় বীরের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল ভূমি দখলের!

 চট্টগ্রামের রাউজানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ও পৈত্রিক নিবাস হলেও বড় হয়েছেন ঢাকায়। তার বাবার শিক্ষক ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেন। পিতামাতার দশজন সন্তানের মধ্যে তিনি সবার বড়। পড়াশোনা করেছেন বকশীবাজার স্কুল, ঢাকা কলেজ ও ঢাকা মেডিকেলে। ছাত্র ইউনিয়নের মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দুর্নীতির বিরুদ্ধে করেছিলেন সংবাদ সম্মেলন।

১৯৬৪ সালে ডিএমসি থেকে এমবিবিএস ও ১৯৬৭ সালে বিলেতের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে জেনারেল ও ভাস্কুলার সার্জারিতে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। কিন্তু চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে দেশে ফিরে আসেন। বৃটেনে প্রথম বাংলাদেশি সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিডিএমএ)’র প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তিনি।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বাংলাদেশে ফেরার গল্পটি সিনেমার কাহিনীকে হার মানায়। পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মমতার প্রতিবাদে লন্ডনের হাইড পার্কে যে কয়েকজন বাঙালি পাসপোর্ট ছিঁড়ে আগুন ধরে রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকে পরিণত হয়েছিলেন তাদের একজন ডা. চৌধুরী।

তারপর বৃটিশ স্বরাষ্ট্র দপ্তর থেকে ‘রাষ্ট্রবিহীন নাগরিকের’ প্রত্যয়নপত্র নিয়ে সংগ্রহ করেন ভারতীয় ভিসা। জাহানারা ইমাম তার কালজয়ী সৃষ্টি ‘একাত্তরের দিনগুলি’র ১৬১-১৬২ পৃষ্ঠায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিয়ে লিখেছেন- ‘চেনা হয়ে উঠেছে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডা. এমএ মোবিন। এরা দুজনে ইংল্যান্ডে এফআরসিএস পড়ছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে বিলেতে চার বছর হাড়ভাঙা খাটুনির পর যখন এফআরসিএস পরীক্ষা মাত্র এক সপ্তাহ পরে, তখনই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু।

ছেলে দুটি পরীক্ষা বাদ দিয়ে বাংলাদেশ আন্দোলনে অংশ নিলো, পাকিস্তানি নাগরিকত্ব বর্জন করলো, ভারতীয় ট্রাভেল পারমিট যোগাড় করে দিল্লিগামী প্লেনে চড়ে বসলো। উদ্দেশ্য ওখান থেকে কলকাতা হয়ে রণাঙ্গনে যাওয়া। প্লেনটা ছিল সিরিয়ান এয়ারলাইন্স-এর। দামাস্কাসে পাঁচ ঘণ্টা প্লেন লেট, সবযাত্রী নেমেছে। ওরা দুইজন আর প্লেন থেকে নামে না। ভাগ্যিস নামেনি। এয়ারপোর্টে এক পাকিস্তানি কর্নেল উপস্থিত ছিল ওই দুইজন ‘পলাতক পাকিস্তানি নাগরিককে’ গ্রেপ্তার করার জন্য।

প্লেনের মধ্য থেকে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না, কারণ প্লেন হলো ইন্টারন্যাশনাল জোন। দামাস্কাসে সিরিয়ান এয়ারপোর্ট কর্মকর্তা ওদের দুইজনকে জানিয়েছিল- ওদের জন্যই প্লেন পাঁচ ঘণ্টা লেট। এমনিভাবে ওরা বিপদের ভেতর দিয়ে শেষ পর্যন্ত মে মাসের শেষাশেষি সেক্টর টু রণাঙ্গনে গিয়ে হাজির হয়েছে।’

যুদ্ধ যখন বিস্তার লাভ করে যুদ্ধক্ষেত্রে হতাহত যোদ্ধা, উদ্বাস্তু ও নির্যাতনের শিকার অসংখ্য নর-নারীর জরুরি চিকিৎসাসেবায় প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় একটি হাসপাতালের। মুক্তিযুদ্ধের ২ নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর খালেদ মোশাররফ ও ভারতের জিবি হাসপাতালের প্রধান সার্জন ডা. রথিন দত্তের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম জিএস ডা. এমএ মবিনকে নিয়ে আগরতলার বিশ্রামগঞ্জের মেলাঘরে হাবুল ব্যানার্জির আনারস বাগানে গড়ে তোলেন প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল- ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’।

হাসপাতালটির কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন ডা. সিতারা বেগম বীরপ্রতীক। সেসময় প্রশিক্ষিত নার্স না থাকায় নারী স্বেচ্ছাসেবীদের প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সে হাসপাতালের দুই স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল ও তার বোন সাঈদা কামাল। মুক্তিযুদ্ধের সময় অসংখ্য মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট এ হাসপাতাল। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীকে বহনকারী যে হেলিকপ্টারটি হামলার শিকার হয়েছিল তাতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গ্রামে ফিরে গিয়ে স্বাস্থ্যযুদ্ধ শুরু করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের ফিল্ড হাসপাতালটি গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র নামে গড়ে তুলেন কুমিল্লায়। পরে সেটা স্থানান্তর করেন ঢাকার অদূরে সাভারে। 

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পাইলট প্রজেক্ট গণস্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রাইমারি কেয়ার কনসেপ্ট মাঠে প্রমাণ করে এবং এর ভিত্তিতে হু আর ইউএনও আলমাআতা কনফারেন্সের মাধ্যমে গ্লোবাল ইউনিভার্সাল প্রাইমারি কেয়ার প্রকল্পের ঘোষণা দেয়। গ্লোবাল প্যারামেডিক যে কনসেপ্ট ও ট্রেইন্ড প্যারামেডিক দিয়ে মিনি ল্যাপারোটমির মাধ্যমে লাইগেশন সার্জারির উদ্ভাবক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এ সংক্রান্ত তার পেপারটি বিশ্ববিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট মূল আর্টিকেল হিসেবে ছাপা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের মূল পেডিয়াটিক্স টেক্সট বইয়ের একটা চ্যাপ্টার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী লিখতেন অনেক বছর ধরে। দেশে-বিদেশে তার লেখা বই ও পেপারের সংখ্যা প্রচুর। প্রাইমারি কেয়ার নিয়ে লেখা তার সম্পাদিত ও প্রকাশিত একটি বই ‘যেখানে ডাক্তার নেই’-একসময় অবশ্য পাঠ্য ছিল বাংলাদেশের ঘরে ঘরে।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠনের লক্ষ্যে প্রথম বৈঠকটিতে সভাপতিত্ব করেছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান ছিলেন তিনি। ‘সাপ্তাহিক বিচিত্রা’ ছিল এদেশের মধ্যবিত্তের মৌলিক একটি প্রকাশনা। সর্বোচ্চ প্রচারণা ছিল বিচিত্রার প্রধান হাতিয়ার। সত্তর দশকের বিচিত্রায় শেখ মুজিবুর রহমান, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, মওলানা ভাসানী প্রমুখ ছাড়া হাতেগোনা যে ক’জন বিচিত্রার প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছিলেন- ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী তাদের একজন।

সোনালী ধানক্ষেতের ব্যাকগ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে আছেন ঝাঁকড়া চুলের তরুণ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এমন একটি ছবি প্রচ্ছদ করেছিল বিচিত্রা। ১৯৭৯ সাল থেকেই তিনি জাতীয় শিক্ষা কমিটির ও নারী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বাংলাদেশে শিক্ষা ও নারীনীতি প্রণয়নে। তবে গণস্বাস্থ্যের পর তার ম্যাগনাম ওপাস হচ্ছে ১৯৮২ সালের জাতীয় ঔষুধ নীতি। স্বাধীনতার পর স্বাস্থ্যখাতে যেটাকে বিবেচনা করা সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবে।

তার প্রচেষ্টায় আমদানি ওষুধের সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২২৫। বর্তমানে ৯০ শতাংশ ওষুধই দেশে তৈরি হচ্ছে এবং বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে একটি ওষুধ রপ্তানিকারক দেশে।তাকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা-বিশ্বাস করতেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা। ফিল্ড হাসপাতালের সহযোগী চিকিৎসক ও গেরিলা যোদ্ধা ডা. মোরশেদ চৌধুরী আমৃত্যু কাজ করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ফিল্ড হাসপাতালের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত চিকিৎসক এমএ মুবিন বাংলাদেশে এলে এখনো চিকিৎসা দেন গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে।

স্বাধীন বাংলাদেশে বিভিন্ন সরকারের সময়ে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কিন্তু অনুপ্রাণিত করেছেন বহু ভালো পদক্ষেপ গ্রহণে। তার পরামর্শে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বাংলাদেশ প্রজাতন্ত্রের পক্ষে পাসপোর্ট ইস্যু করে বিলেতের এক লাখ বাঙালির কাছ থেকে আবু সাইয়িদ চৌধুরীর সংগ্রহ করেছিলেন ১০ লাখ পাউন্ড চাঁদা। 

বাকশালে যোগ দিতে শেখ মুজিবের অনুরোধ উপেক্ষা করেছিলেন এই সাহসী বীর।

১৯৮০ সালে জিয়ার গড়া প্রথম জাতীয় মহিলা উন্নয়ন কমিটির দুই পুরুষ সদস্যের একজন হিসেবে প্রাথমিকে ৫০ শতাংশ মহিলা শিক্ষক ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ৩০ শতাংশ ছাত্রী নেয়ার সুযোগ করেছিলেন, যা কার্যকর হয়েছিল পরবর্তী সরকারের সময়।

জিয়াউর রহমানের আমলে পুলিশে মহিলা নিয়োগ দেয়া শুরু হলে দেশের প্রথম দুই নারী পুলিশ- হিসেবে নিয়োগ পান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মী হোসনে আরা ও চামেলী বেগম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতে উপেক্ষা করেছিলেন এরশাদের প্রস্তাব। তার পরামর্শেই এরশাদ আমলে পোস্টার, বিলবোর্ড বাংলায় লেখা ও সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলন, উপজেলাব্যবস্থা ও সফল জাতীয় ঔষুধনীতি ও জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি করেছিলেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের রাজনীতিতে একটি সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নানাভাবে তৎপরতা চালিয়ে এসেছিলেন তিনি। বিশেষ করে ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা, গুম, খুন, ক্রসফায়ারসহ বর্তমান সরকারের মানবতা বিরোধী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে তিনি অত্যন্ত সোচ্চার ছিল্রন।

 দেশে-বিদেশে রয়েছে তার ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। জাতীয় সংকটে নিজের দায়বোধ থেকে তিনি উদ্যোগী হয়েছেন জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলায়। তিনি সুবিধাবাদী সুশীল নয়, একজন বিবেকবান বুদ্ধিজীবী ছিলেন। তিনি কোনো ‘বাঁকা চোখের’ পরোয়া করেননি। 

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর চাঁদাবাজি, জমিদখল, পুকুরের মাছ চুরির অভিযোগসহ একের পর এক মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালসের এন্টিবায়োটিকের কাঁচামাল জব্দ ও এন্টিবায়োটিক বিভাগ সিলগালা ও প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে ১৫ লাখ টাকা। এসময় একজন জাতীয় বীরের বিরুদ্ধে সরকারের এমন নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশ ও বিদেশে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অভিযোগে হাসপাতালকে আরো ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে। অথচ সাধারণ মানুষকে কমদামে ওষুধ সরবরাহ করতে গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। দামি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলের বদলে ট্যাবলেট তিনি প্যাকেট করার প্রচলন করেন সাধারণ কাগজে।

২০১৫ সালে বৃটিশ সাংবাদিক ডেভিড বার্গম্যানের আদালত অবমাননার সাজায় উদ্বেগ জানিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতি দেয়ার ঘটনায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে এক ঘণ্টার কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। তার প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মাত্র এক হাজার ২০০ টাকায় ডায়ালাইসিস করতে পারেন দরিদ্র মানুষ। তার প্রতিষ্ঠিত গণবিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর স্বামী প্রয়াত বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া।

যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, জেন্ডার ইস্যু, নীতিবিদ্যা ও সমাজ, পরিবেশবিদ্যা, ইংরেজি এবং বাংলা অবশ্যই পড়তে হয়। দরিদ্র ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে সংরক্ষিত আসন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের দাপ্তরিক কাজ হয় বাংলাভাষা ও বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে।

দেশের কল্যাণে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, এই মহান বীরের মৃত্যতে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। 


শক্তিশালী পাসওয়ার্ডেও চিড় ধরাবে AI (Artificial Intelligence).!

শক্তিশালী পাসওয়ার্ডেও চিড় ধরাবে AI (Artificial Intelligence).!


AI - মিনিটে পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে সক্ষম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, যা রীতিমতো ভয় ধরিয়েছে স্মার্টফোন ইউজারদের, 

মিনিটে, অর্থাৎ ১ থেকে ৬০ গোণার মধ্যেই পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে সক্ষম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, সেখান থেকে ফাঁস হতে পারে ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য। প্রযুক্তিবোদ্ধাদের এই বিশ্লেষণ রীতিমতো ভয় ধরিয়েছে স্মার্টফোন ইউজারদের।

হোম সিকিউরিটি হিরোজ এর সমীক্ষা বলছে, অনুযায়ী, ৫১ শতাংশ সাধারণ পাসওয়ার্ড কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেঙে ফেলতে পারে AI (Artificial Intelligence)। ১ ঘণ্টার মধ্যে গুড়িয়ে দিতে পারে ৬৫ শতাংশ পাসওয়ার্ড। আর ৮৫ শতাংশ পাসওয়ার্ড ভাঙতে সময় লাগবে এক মাস।

অনেকেই বলতে পারেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স AI (Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসার ফলে মানুষের জীবন আরও সহজ হয়ে উঠবে। এক চুটকিতে সমাধান হবে ছোট থেকে বড় একাধিক প্রযুক্তিগত সমস্যা।

অনেকেই বলতে পারেন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স AI (Artificial Intelligence) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আসার ফলে মানুষের জীবন আরও সহজ হয়ে উঠবে। এক চুটকিতে সমাধান হবে ছোট থেকে বড় একাধিক প্রযুক্তিগত সমস্যা।

সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স 1 থেকে 60 গোণার মধ্যেই যে কোনও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে পারে। এবং সেখান থেকে ফাঁস হতে পারে ইউজারের ব্যক্তিগত তথ্য। এই নিয়ে সম্প্রতি একটি গবেষণা করেছে হোম সিকিউরিটি হিরোজ. তাদের এই সমীক্ষা অনুযায়ী 51 শতাংশ সাধারণ পাসওয়ার্ড কয়েক মিনিটের মধ্যে ভেঙে ফেলতে পারে এআই।

উক্ত সংস্থার গবেষণা অনুযায়ী, 65 শতাংশ পাসওয়ার্ড 1 ঘণ্টার মধ্যে ভেঙে ফেলতে পারবে এআই। আর 85 শতাংশ পাসওয়ার্ড ভাঙতে সময় লাগবে এক মাস। হ্যাঁ এমনই অকল্পনীয় ক্ষমতা রয়েছ এই প্রযুক্তির। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, ওই পাসওয়ার্ড যত শক্তিশালী হোক না কেন তা নিমেষে ক্র্যাক করতে সক্ষম এআই।

জানা গিয়েছে, এই সংস্থা গবেষণার জন্য পাসজেন নামক একটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টুলের ব্যবহার করে। ফলাফলে পৌছনোর আগে এই টুল 15,680,000 পাসওয়ার্ডের উপর প্রয়োগ করেছে সংস্থাটি।

সমীক্ষা অনুসারে, যে সব পাসওয়ার্ড 18 ক্যারেক্টারের বেশি সেগুলি বর্তমানে সুরক্ষিত। এই ধরণের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে পাসজেন-এর মতো এআই টুলের প্রায় 10 মাসের বেশি সময় লাগবে।

সংস্থা আরও জানিয়েছে, যে সব পাসওয়ার্ড কোনও সিম্বল, বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর এবং সংখ্যার মিশ্রণে তৈরি সেগুলি ভাঙতে 6 কুইন্টিলিয়ন সময় লাগবে এই টুলের। অর্থাৎ এই ধরনের পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে কয়েক যুগ সময় নেবে AI (Artificial Intelligence)।

কীভাবে নিজের পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখবেন?

উক্ত গবেষণায় বলা হয়েছে, সাধারণ পাসওয়ার্ডের তুলনায় বিশেষ ক্যারেক্টার এবং শব্দসংখ্যার মিশ্রণে তৈরি পাসওয়ার্ড ক্র্যাক করতে সময় নেয় এআই। ছোট অক্ষরের 10 শব্দের পাসওয়ার্ড ভাঙতে 1 ঘণ্টা সময় নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুলটি।আর এই পাসওয়ার্ড যদি মিশ্র শব্দ ও সংখ্যা দিয়ে তৈরি হয় তাহলে সময় লাগবে 4 সপ্তাহ। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ বড়-ছোট অক্ষর সমেত সংখ্যা ও বিশেষ ক্যারেক্টার দিয়ে তৈরি একটি পাসওয়ার্ড রাখা উচিত সবসময়।

ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন | How to take care of skin

ত্বকের যত্ন কিভাবে করবেন | How to take care of skin


মুখ পরিষ্কার রাখতে নারী-পুরুষ উভয়েই বিভিন্ন ধরনের বিউটি ট্রিটমেন্ট অনুসরণ করে থাকেন। তবে কিছু মহিলা আছেন যারা প্রতি মাসে ক্লিনআপ এবং ফেসিয়াল করেন।

ফেসিয়ালের অর্থ হল মুখের মালিশ। এর দ্বারা আকর্ষণহীন ত্বকও আকর্ষক হয়ে ওঠে। ফেসিয়াল দ্বারা রক্তপ্রবাহ ঠিক হয়ে উঠলে মুখের কান্তিও ফিরে আসবে।

বয়স বাড়ার সঙ্গে-সঙ্গে মুখে ভাঁজ পড়ে যায়। কিন্তু ফেসিয়াল করলে এই ভাঁজ অনেক দেরীতে পড়বে। ৪০ বছর বয়সের পর মুখের মালিশ অনিবার্য হয়ে ওঠে। নিয়মিত ফেসিয়াল করলে সবচেয়ে ভাল হয়।

যদি কারও ত্বক খুবই খারাপ হয় আর সে ত্বকের প্রতি যত্ন না নেয়, তাহলেও এই ধরনের ত্বক ৬-৭ বছর লাগাতার ফেসিয়াল করলে সম্পূর্ণভাবে ঠিক হয়ে পড়ে। 

ফেসিয়াল কী?

মুখের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং সতেজ চেহারা পেতে সাধারণত ফেসিয়াল করা হয়ে থাকে। ফেসিয়াল একটি প্রক্রিয়া, যার মধ্যে রয়েছে ক্লিনজিং, স্ক্রাবিং, ম্যাসাজ আর ফেসপ্যাক তবে এটি করার অনেক উপায় রয়েছে ও অনেক ধাপও রয়েছে, যা আপনার ত্বকের ধরণ, বয়স, কীরকম প্রভাব আপনি চাইছেন সেগুলোর উপর নির্ভর করে করা হয়ে থাকে। 

ফেস প্যাক করার পদ্ধতি

এতে ত্বক সুস্হ এবং কোমল হয় আর রক্তসঞ্চার ঠিকঠাক বজায় থাকে। এটা হচ্ছে ত্বকের পক্ষে সর্বোত্তম টনিক। যদি এটা সপ্তাহে নিয়ম করে এক বা দুবার লাগানো যায়, তাহলে ত্বক দারুণ হয়ে ওঠে।

কোথাও যাবার আগে ফেস প্যাক লাগালে ত্বক চমকদার হয়ে ওঠে, ওর ওপর মেক-আপ করাও সহজ হয়ে পড়ে এবং মেক-আপ অনেকক্ষণ টিকেও থাকে।

এমনিতে তো বাজারে তৈরী ফেস প্যাক পাওয়া যায়, যাতে নির্দেশানুযায়ী জল মিলিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু আপনি নিজেও ফেস প্যাক তৈরী করতে পারেন। নীচে ত্বক অনুযায়ী কিছু ফেস পাকে তৈরীর বিধি দেওয়া হল। সব ফেস প্যাক সব রকমের ত্বকের অনুকূল হয় না। সুতরাং নিজের ত্বক অনুযায়ী ফেস প্যাক বেছে নিন।

শুষ্ক ত্বকের জন্য ফেস প্যাক

(১) একটা ডিমের হলুদ অংশে এক চামচ বাদাম রোগন মিশিয়ে মুখ আর ঘাড়ে ১৫-২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন, তারপর গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

(২) অলিভ অয়েলের একটা ফোঁটা দু-চামচ ময়দায় মিলিয়ে পেস্ট তৈরী করে নিন। আধ ঘন্টা পর্যন্ত মুখে লাগিয়ে রেখে বৃষ্টির জল বা গোলাপজলে ধুয়ে ফেলুন।

সাধারণ ত্বকের জন্য ফেস প্যাক

(১) দু-চামচ ময়দায় দুধ মিশিয়ে ফোটান। ওতে কিছুটা গোলাপজল ফেলে মুখে গরম-গরম লাগান। ১৫ মিনিট পর গরম জলে ধুয়ে ফেলুন।

(২) একটু আটায় জল মিশিয়ে হাল্কা আঁচে পাঁচ মিনিট রাখুন। এক চামচ মধু মিশিয়ে গরম-গরম মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পর হালকা গরম জল আর সাবান দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

(৩) এক চামচ মধুতে আমলা তেলের কয়েকটা ফোঁটা মিশিয়ে মুখে আর গলায় লাগান। ১০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বক কোমল হবে আর মুখে ভাঁজ পড়বে না।

তেলতেলে ত্বকের জন্য ফেস প্যাক

(১) ট্যাল্কম পাউডার, কর্নফ্লাওয়ার সমান মাত্রায় নিয়ে ওতে একটু জল মেশান। এই পেস্ট মুখে আর গলায় ২০ মিনিট ধরে লাগান। এরপর এস্ট্রিজেন্টে ভেজানো তুলো দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন।

(২) ডিমের সাদা অংশটাকে ভাল করে ফেটিয়ে পুরো মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে এস্ট্রিজেন্ট লোশন দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

(২) শশা পিশে ওতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস আর এক চামচ গোলাপ জল মেশান । একে কাপড়ের দুটো টুকরোর মাঝে রেখে মুখে লাগান। ১৫- ২০ মিনিট পর মুখ পরিষ্কার করে নিন।

ফেস প্যাক নির্দিষ্ট সময়ের বেশী মুখে লাগিয়ে রাখবেন না। চোখের চার পাশে ফেস প্যাক লাগাবেন না। চোখের ওপর ঠাণ্ডা জলে তুলো ভিজিয়ে রাখা উচিত।

 ভালো মানের ফেস প্যাক! 


ঘরোয়া ভাবে তো ফেস প্যাক বানিয়ে লাগিয়ে ফেললেন, কিন্তু ফেস ভালো রাখার জন্য কোন প্যাক ব্যবহার করবেন সেটা নিয়ে চিন্তা করেছেন কি? সেক্ষেত্রে যাবতীয় এর উন্নত মানের ফেস প্যাক আপনাকে রাখতে পারে পুরোপুরি নিশ্চিন্ত। অর্ডার করতে ভিজিট করুন যাবতীয়.কম.বিডি অথবা ফেসবুক ধন্যবাদ। 

জন্ম নিবন্ধন PSD ফাইল ডাউনলোড | Birth Certificate Bangla PSD Format Free download

জন্ম নিবন্ধন PSD ফাইল ডাউনলোড | Birth Certificate Bangla PSD Format Free download

জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রতিটি ব্যক্তির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সনদপত্র। বেশ কিছুদিন ওয়েবসাইট সার্ভারে সমস্যা থাকার জন্য মানুষরা তা পাচ্ছেন না? তাহলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।  

এই জন্ম নিবন্ধন পিএসডি ফাইলটি দিয়ে আপনি খুব সহজেই কোনো প্রকার ঝামেলা ছাড়াই হাতের লেখা জন্ম নিবন্ধন গুলো অনলাইন কপি বানিয়ে সেটা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনার নিবন্ধন নাম্বার টি অনলাইনে থাকতে হবে। আর কেনো সরকারি কিংবা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

ফাইল সম্পর্কেঃ

ফাইল নামঃBD Birth Certificate Edit File 2023 Bangla Version
ফাইল সাইজঃ২.৯ মেগাবাইট
আপলোডঃগুগল ড্রাইভ
Publisher: PSD File
Updated and Published:April 01, 2023

কিভাবে ফাইলটি পাবেন?

  1. নিচে ডাউনলোড লিংক থেকে ফাইলিটি ডাউনলোড করুন।
  2. ডাউনলোড হয়ে গেলে ফাইলটি WinRAR দিয়ে Extract করুন।
  3. ফাইলটিতে Password দেওয়া আছে Password টি দিয়ে Extract করতে হবে।

নোটঃ লেখার সময় অবশ্যই বিজয় কিবোর্ড এর ইউনিকোড Select করে লিখবেন।



আর এখানে ফন্ট হিসেবে Nirmala UI ব্যবহার করা হয়েছে। এই ফন্ট টি গুগলে পেয়ে যাবেন।

তারপরও যদি কারও সমস্যা হয়ে থাকে ফাইলটি এডিট করতে তাহলে আপনি আপডেট ফটোশপ ব্যবহার করতে পারেন আপডেট ফটোশপ ব্যবহার করলে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।

যদি আপনার ডাউনলোড করতে সমস্যা হয় তবে দয়া করে মন্তব্য করুন

 PDF ফাইল ডাউনলোড করতে 

 নিচের বাটনে ক্লিক করুন 

বিষেশ সতর্কতাঃ
এই ফাইলিট শুধুমাত্র তাদের জন্য বানানাে হয়েছে, যাদের জন্মনিবন্ধন সাটিফিকেট অনলাইনে আছে। কিন্তু জন্মনিবন্ধন সাটিফিকেটটি কোনাে কারণে ছিড়ে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে তারা এই ফরমেট টি দিয়ে জন্মনিবন্ধন সাটিফিকেট বানাতে পারেন। আমারা যদি আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নেয়া জন্মনিবন্ধন সাটিফিকেট টি থেকে আমাদের তথ্য দিয়ে এই ফরমটি পুরন করি । তাহলে আমারা এই ফাইলটি দিয়ে অনলাইনের সকল কাজ সমাধান করতে পারি। আর সে জন্যই আমি এই ফাইলিট তৈরি করেছি। আর হ্যা কোনাে প্রতিষ্ঠানের কাজের জন্য এটি ব্যবহার করা যাবে না, এটা দন্ডনীয় অপরাধ। অরিজিনাল জন্মনিবন্ধন সাটিফিকেট পেতে নিকটস্থ ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন আবেদন করতে হবে।

 



বিকাশ থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় | How to earn money from Bkash 2023

বিকাশ থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায় | How to earn money from Bkash 2023

বর্তমান সময়ে আমরা সকলে জানি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ অনেক জনপ্রিয়। বিকাশের মাধ্যমে আমরা খুব সহজে টাকা লেনদেন করতে পারি। কিন্তু আপনি কি জানেন এ বিকাশ ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করা যায়।

আপনি যদি বিকাশ থেকে টাকা আয় করার উপায় খুঁজছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ এই আর্টিকেলে আমি আলোচনা করবো, কিভাবে বিকাশ থেকে সহজে টাকা ইনকাম করা যায়। 


How to earn money from Bkash | বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম

আপনারা যদি প্রশ্ন করে থাকেন। বাংলাদেশের সব থেকে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস জনপ্রিয়তা কোনটি বেশি। আমি নির্দ্বিধায় আপনাকে বলতে চাই বিকাশঅ

উক্ত জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সম্প্রতি ব্যাস কিছু মাধ্যম চালু করেছে। যার মাধ্যমে আপনি চাইলে ঘরে বসে মোবাইলে আয় করতে পারবেন।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক। বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করার জনপ্রিয় উপায় গুলো সম্পর্কে।

রিওয়ার্ড পয়েন্ট

বিকাশ কোম্পানি তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য পুরস্কার এর ব্যবস্থা চালু করেছে। আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টে যত বেশি টাকা লেনদেন করবেন।

সেই অনুযায়ী আপনাকে বিভিন্ন ধরনের পুরস্কার দেয়া হবে। পুরস্কারের কয়েকটি স্তর ভেদে প্রকার ভেদে করা হয়েছে।যা আপনি নিচের অংশ থেকে দেখুন।

  • সিলভার
  • ব্রোঞ্জ
  • টাইটেনিয়াম
  • হীরা
  • গোল্ড
  • প্লাটিনাম

উক্ত ইফতারগুলো সাধারণত আপনার টাকা লেনদেনের ওপর নির্ভর করে, আপনাকে প্রদান করবে। মানে আপনি যত বেশি টাকা ট্রানজেকশন করবেন।  আপনার একাউন্টে সে পরিমাণে এমন টাকা পেয়ে যাবেন।

বিকাশ ক্যাম্পেইনে অংশ গ্রহণ করার নিয়মাবলী

যদি আপনি বিকাশ ক্রিক মাস্টার গেমে অংশগ্রহণ করতে চান তাহলে খুব সহজেই অংশগ্রহণ করতে পারবেন। বিকাশ Cric Master ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করার নিয়মঃ বিকাশ থেকে টাকা আয় ২০২৩

  • প্রথমে আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টে অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে লগিন করুন
  • বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনের নিচের দিকে স্ক্রল করে “Games” অপশনে ক্লিক করুন
  • তারপর Cric Master অপশনে ক্লিক করুন, বিকাশ থেকে টাকা আয় ২০২৩
  • বিকাশের টার্মস এন্ড কন্ডিশন এ ক্লিক করে সামনের দিকে অগ্রসর হন
  • এখন বিকাশ ক্যাম্পেইনের প্রাইজ পুল, মোট প্লেয়ার সংখ্যা ও ক্যাম্পেইন শেষ হওয়ার মেয়াদ দেখতে পাবেন
  • ক্রিক মাস্টার গেমে অংশগ্রহণ করতে Pay Now TK15 অপশনে ক্লিক করে প্রথমে ১৫টাকা পে করুন
  • এবার Play অপশনে ক্লিক করে ক্লিক মাস্টার গেম খেলা আরম্ভ করুন

আপনি চাইলে এভাবেই খুব সহজে বিকাশ ক্যাম্পেইনের ক্লিক মাস্টার গেম এ অংশগ্রহণ করতে পারেন। এবং প্রতিনিয়ত ক্রিক মাস্টার গেম খেলে আপনার নিজের স্কোর বাড়াতে পারবেন।

গেম খেলে বিকাশে টাকা আয়

আপনি যদি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ইউজার হয়ে থাকেন। তাহলে আপনার মোবাইল ব্যবহার করে, বিকাশ মোবাইল অ্যাপ থেকে আপনি বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে বার্ড গেমস খেলে, বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

তো চলুন জেনে নেয়া যাক। বিকাশ থেকে গেম খেলে টাকা ইনকাম করার উপায়।

  • বিকাশ থেকে গেম খেলে টাকা আয় করার জন্য। প্রথমে আপনাকে বিকাশের অ্যাপ চালু করতে হবে।
  • বিকাশ পিন নম্বর প্রদান করে আপনার অ্যাকাউন্টটি লগইন করতে হবে।
  • তারপর বিভিন্ন অপশন দেখানো হবে সেখান থেকে, More অপশনে প্রবেশ করবেন।
  • তারপর গেম খেলার জন্য, গেমস লেখা অপশনে প্রবেশ করবেন, সেখানে পেয়ে যাবেন বিকাশ বার্ড গেমস।
  • উক্ত গেম খেলে যদি আপনি বিজয়ী হন তবে আপনাকে বিভিন্ন পয়েন্ট প্রদান করা হবে। সেই পয়েন্টগুলোর মাধ্যমে আপনি পরবর্তীতে টাকাতে, রূপান্তর করে। বিকাশ থেকে অন্য একটি এজেন্ট বের করতে পারবেন।
  • তো এরকম ভাবে বিকাশ এর বার্ড গেমস খেলে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

বিকাশ থেকে টাকা আয় শর্তসমূহ

  • আপনাকে জানিয়ে রাখি যে, বিকাশ এর এই Cric Master গেম ক্যাম্পেইন মূলত গোয়ামা গেমস এর স্পনসর্শিপ অনুষ্ঠিত হবে।
  • এই গেমে অংশগ্রহণ করতে হলে আপনার বয়স অবশ্যই ১৮ বছর বা তার অধিক হতে হবে।
  • ক্রিক মাস্টার গেমের সকল কনটেন্ট, প্ল্যাটফর্ম, ও অপারেশন সম্পুর্ন গোয়ামা গেমস এর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।
  • বিকাশ কেবলমাত্র পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার হিসেবে কাজ করবে এই গেম ক্যাম্পেইনের উপর।
আপনি চাইলে গেমস এর কাস্টমার কেয়ারের এই হট লাইন নাম্বার এ 09678821214 কল করে যেকোনো প্রয়োজন বা প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে জানতে পারেন। বিকাশ থেকে টাকা আয় ২০২৩

রেফার করে টাকা ইনকাম

আপনার জন্য আরও জনপ্রিয় একটি বিকাশ অফার হচ্ছে, রেফার করে বিকাশ থেকে টাকা ইনকাম।মোবাইল ব্যাংকিং সেবাই নগদ এবং বিকাশের মধ্যে প্রতিযোগিতা প্রায় অনেকদিন থেকে। উক্ত প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করার জন্য প্রতিবছর বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের অফার প্রদান করে থাকে। বিকাশ তাদের গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানোর জন্য রেফার অফার প্রদান করে।

এতে করে কোন ব্যক্তি যদি বিকাশ মোবাইল অ্যাপস ইনস্টল করার লিংক তাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাহলে প্রতি রেফারের জন্য ৫০ টাকা আয় করতে পারবে।

কেরকমভাবে আপনি যদি সর্বোচ্চ ১০ জন ব্যক্তির কাছে বিকাশ অ্যাপ রেফার করতে পারেন তাহলে আপনাকে ৫০০ টাকা প্রদান করা হবে বিকাশের পক্ষ থেকে।

আবার আপনি চাইলে যে, কোন পরিমাণ আপনার বন্ধুকে এই রেফার কোড শেয়ার করতে পারবেন। যত খুশি তত টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

বিকাশ একাউন্ট খুলে টাকা ইনকাম

বর্তমান সময়ে আপনার মোবাইলের কোন সিম নাম্বার দিয়ে যদি বিকাশ একাউন্ট খোলা না থাকে তবে আজও বিকাশ একাউন্ট খোলার চেষ্টা করুন।

কারণ বিকাশ তাদের নতুন গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার প্রস্তুত করেছে। বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিকাশ তাদের একাউন্ট খোলার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।

বর্তমানে বিকাশ তাদের নতুন গ্রাহকদের জন্য বিশেষ অফার চালু করেছে। আপনি যদি বিকাশ একাউন্ট খুলতে আগ্রহী থাকেন।

তাহলে বিকাশ একাউন্ট খোলার পর আপনাকে বিকাশ একাউন্টে ৫০ টাকা প্রদান করা হবে। তার পাশাপাশি প্রথম রিচার্জ করে, আপনি বিশ টাকা ক্যাশব্যাক গ্রহণ করতে পারবেন। যদি আপনারা মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস ব্যবহার করতে চান? তাহলে অবশ্যই বিকাশ একাউন্ট খুলুন।

এবং মনে রাখবেন, বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য আপনার মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন। এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র অবশ্যই জরুরি বিকাশ একাউন্ট খোলার জন্য।

ক্যাশব্যাক থেকে টাকা ইনকাম

বিকাশ প্রতিদিন তাদের গ্রাহকদের আকর্ষণীয় ক্যাশব্যাক প্রদান করে। আপনারা মোবাইল রিচার্জ এর মাধ্যমে এই অফার গুলো গ্রহণ করতে পারবেন।

এর জন্য আপনার অবশ্যই বিকাশের মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা প্রয়োজন হবে। কারণ এই অ্যাপ ব্যবহার করলে আপনি বেশি বেশি ক্যাশব্যাক গ্রহণ করতে পারবেন।

এই তো কিছুদিন আগে বিকাশ ২০ টাকা মোবাইল রিচার্জ এর মাধ্যমে ২১ টাকা ক্যাশব্যাক অফার চালু করে। এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে, এছাড়া বিকাশ এ কোন ধরনের বিল পেমেন্ট করলে। সেখান থেকে আপনি ৬% ক্যাশব্যাক পাবেন নিশ্চয়তা প্রদান করেছে।

তাই বিকাশের মাধ্যমে ক্যাশব্যাক থেকে আপনি ইনকাম করা শুরু করতে পারেন।

শেষ কথা

বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনে বিভিন্ন মাধ্যম অবলম্বন করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করা যায়। বিকাশ থেকে আরও কোন কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে অর্থ উপার্জন করবেন তার সম্পর্কে জানতে চাইলে কমেন্ট সেকশনে আমাকে জানাতে পারেন। 

জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার নিয়ম | National identity card verification rules.

জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করার নিয়ম | National identity card verification rules.

নতুন ভোটার হয়েছেন? যাচাই করুন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুত কিনা। দেখুন কিভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করবেন বা অনুসন্ধান করবেন। 

এখন সহজে এবং দ্রুত পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) যাচাই করা যায়। সব ধরনের সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ‘পরিচয়’ নামের অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই এনআইডি নিশ্চিত হতে পারবে। পরিচয় অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের (www.porichoy.gov.bd) মাধ্যমে মূলত এনআইডি কার্ডের নম্বরটি থেকে গ্রাহকদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রাথমিকভাবে গ্রাহকের নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, বয়স ও ঠিকানা যাচাই করা যাবে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ডিজিটাল ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট খোলার মতো যেসব কাজে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের প্রয়োজন হয়, সেসব কাজ সহজসাধ্য হবে। কারণ ‘পরিচয়’ ব্যবহার করলে জাতীয় আইডি যাচাই করার জন্য কোনো মানুষের প্রয়োজন নেই। যে কোনো প্রতিষ্ঠান অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জাতীয় আইডি শনাক্তের ফলাফল সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেয়ে যাবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই

জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার জন্য SMS করুন NID<Space>FORM NO<Space>DD-MM-YYYY এবং 105 নম্বরে পাঠিয়ে দিন। ফিরতি মেসেজে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর জানিয়ে দেয়া হবে।

NID Number Check SMS Format

NID<Space>FORM NO<Space>DD-MM-YYYY এবং Send করুন 105 নম্বরে।


নতুন যারা ভোটার নিবন্ধন করেছেন কিন্তু এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর পান নি। আপনি এখনি এসএমএসের মাধ্যমেও আপনার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর জেনে নিতে পারেন এবং বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়া সরাসরি অনলাইন থেকে আপনার ভোটার স্লিপ নম্বর বা ফর্ম নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর বের করতে ও জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন।


জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান

জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান করার জন্য আপনাকে services.nidw.gov.bd এই সাইটে গিয়ে NID নম্বর, জন্ম তারিখ, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য NID Wallet অ্যাপ দিয়ে ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হবে। এরপর প্রোফাইলে লগইন করে জাতীয় পরিচয় পত্রের সকল তথ্য দেখতে পাবেন।

জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান
জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধান

জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার জন্য কিভাবে NID Wallet দিয়ে ফেইস ভেরিফিকেশন ও ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করবেন তার বিস্তারিত পদ্ধতি দেয়া আছে এই লিংকে- ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, ব্যাংক-বীমা বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র অনুসন্ধানের জন্য, নির্বাচন কমিশন থেকে সরবরাহ করা সফটওয়ার বা এপ ব্যবহার করে থাকে।

এই NID Verification সফটওয়ার ব্যবহারের জন্য ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সরকারের porichoy.gov.bd আবেদন করে ও নির্ধারিত ফি দিয়ে প্যাকেজ কিনতে হয়।

জাতীয় পরিচয় পত্র আসল না নকল যাচাই

ফেইস ভেরিফিকেশন ছাড়াই যে কোন ব্যক্তির নাম, ঠিকানা ও ছবিসহ জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই/verification কপি বের করতে পারবেন এই ট্রিক অনুসরণ করে। বিস্তারিত জানতে পোস্টটি সম্পূর্ণ মনযোগ দিয়ে পড়ুন।

আপনি হয়তো জানেন জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য বের করতে হলে নির্বাচন কমিশনের এন্ড্রয়েড এ্যাপ দিয়ে ফেইস ভেরিফিকেশন করতে হয়। এর ফলে যার এনআইডি কার্ডের তথ্য দেখেতে চাই সে উপস্থিত না থাকলে তার তথ্য দেখার কোন সুযোগ নেই।

কিন্তু আমি আপনাদের এমন একটি কৌশল দেখাবো যার মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তির এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়েই আপনি তার ছবি, নাম, পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানা সব কিছুই দেখতে পারবেন।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও সময়ে আমাদের কারো পরিচয় যাচাই করার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন, লেনদেন করার সময়, আপনার প্রতিষ্ঠানে বা ঘরে কোন কাজের লোক নিয়োগ করার সময় ওই ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ট্রিকটি আপনার কাজে লাগতে পারে।

যদি এই ট্রিকটি আপনার উপকারে লাগে, দয়া করে অন্যদের শেয়ার করে দিবেন।

নাম ও ঠিকানাসহ জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই

শুধুমাত্র নাম, পিতা-মাতার নাম ও ঠিকানাসহ জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।

  • ধাপ ১: প্রথমে বাংলাদেশ সরকারের ভুমিসেবা ldtax.gov.bd এই সাইটে ভিজিট করুন। তারপর নাগরিক কর্ণারে ক্লিক করুন।
  • ধাপ ২: এখানে যে কোন একটি মোবাইল নম্বর দিন, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর দিন এবং জন্ম তারিখ লিখুন এই ফরমেটে- (mm/dd/yyyy)। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ বাটনে ক্লিক করুন।
ফেইস ভেরিফিকেশন ছাড়া জাতীয় পরিচপত্র যাচাই

পরবর্তী পদক্ষেপ বাটনে ক্লিক করার পর ব্যক্তির নাম ও ছবি স্ক্রীনে দেখা যাবে।

এই পদ্ধতিতে শুধু নাম ও ঠিকানা দেখতে পারবেন, কিন্তু ছবি দেখা যাবেনা। তবে পূর্বে ছবিসহ দেখার সুযোগ ছিল। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার কারণে নির্বাচন কমিশন থেকে এটি হয়তো বন্ধ করা হয়েছে।

জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল সেবা ও তথ্য জানতে পড়ুন – জাতীয় পরিচয়পত্র রেজিস্ট্রেশন-ডাউনলোড-সংশোধন-রিইস্যু

অনলাইনে ভোটার তথ্য যাচাই করার নিয়ম (বর্তমানে বন্ধ)

আপডেটঃ সম্ভবত ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তার কারণে, অনলাইনে ভোটার তথ্য যাচাই করার সুযোগটি বন্ধ রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায়, ভোটার নম্বর/ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর/ ভোটার স্লিপ বা ফর্ম নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে একাউন্ট রেজিস্টার করে এবং ফেইস ভেরিফিকেশন করে ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন।

অনলাইন জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই পদ্ধতি

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে, আপনি শুধুমাত্র একটি জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে, তার ভোটার তথ্য যাচাই করতে পারবেন। অর্থাৎ ভোটার তথ্য ও ভোটার সিরিয়াল নং চেক করতে পারবেন, ভোটার নং ও স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর জানতে পারবেন।

অনলাইনে জাতীয় পরিচয় পত্র চেক করার জন্য প্রথমে এই লিংকে ভিজিট করুন- ভোটার তথ্য যাচাই। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর বা ভোটার নিবন্ধনের ফর্ম নম্বরটি ও জন্ম তারিখ লিখুন। তারপর ক্যাপচা কোড পূরণ করুন এবং ভোটার তথ্য দেখুন এই বাটনে ক্লিক করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, স্মাট এনআইডি নম্বর ও ভোটার নম্বর দেখা যাবে।