বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় আগামী অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা। শ্রীলঙ্কার এই কিংবদন্তি ক্রিকেটারের মতে, ক্রিকেট খেলার জন্য বাংলাদেশের চেয়ে আদর্শ জায়গা আর নেই।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে হয়ে গেল ২০১৬ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের সূচি
ঘোষণার অনুষ্ঠান। বিপিএল খেলতে ঢাকায় থাকা সাঙ্গাকারা অনুষ্ঠানে এসেছিলেন
ভবিষ্যতের তারকাদের অনুপ্রেরণা জোগাতে। ছিলেন বাংলাদেশের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯
বিশ্বকাপ খেলা জাতীয় দলের দুই তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর
রহমান।
১৯ দিনের টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ৪৮টি। ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট ও কক্সবাজারের আটটি ভেন্যুতে হবে খেলা। ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু প্রস্তুতি ম্যাচ, মূল টুর্নামেন্ট শুরু ২৭ জানুয়ারি।
প্রথম দিনেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশ খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে এই দুই দলের সঙ্গী স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া।
‘বি’ গ্রুপে খেলবে
শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, কানাডা ও ২০০৪ ও ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়ন
পাকিস্তান।‘সি’ গ্রুপে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের সঙ্গী ওয়েস্ট
ইন্ডিজ, জিম্বাবুয়ে, ও ফিজি।
আর ‘ডি’ গ্রুপটিই টুর্নামেন্টের ‘গ্রুপ অফ ডেথ’। তিন বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আছে তিনবার শিরোপা জয়ী আরেক দল ভারত, নিউ জিল্যান্ড ও নেপাল।
সাঙ্গাকারার আগে-পরে ও সমসাময়িক অনেক ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে উঠে এলেও এই টুর্নামেন্ট খেলা হয়নি তার। এটা নিয়ে মজা করে সাঙ্গাকারা শোনালেন তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার কথা।
“ওই সময় আমি যথেষ্ট ভালো ছিলাম না, তাই যুব বিশ্বকাপ খেলা হয়নি। তবে তরুণদের জন্য এটি অসাধারণ এক প্ল্যাটফর্ম। পেশাদারিত্ব, প্রত্যাশার চাপের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াসহ ভবিষ্যতে অনেক শিক্ষাই এখান থেকে হয়ে যায়।”
“অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভালো করে অনেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ পায়, সরাসরি জাতীয় দলেও জায়গা হয় অনেকের। বিরাট কোহলির কথা বলতে পারি, এই টুর্নামেন্টে দিয়েই ওর আবির্ভাব। আজ সে ভারতের অধিনায়ক, আমার দেখা সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন।”
আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও ছিল সাবেক লঙ্কান অধিনায়কের কণ্ঠে।
“ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ একটি জায়গা। লোকে এখানে ক্রিকেট ভালোবাসে তুমুলভাবে, সুযোগ-সুবিধা অসাধারণ। আশা করি, তরুণরা এখানে এসে ক্রিকেট উপভোগ করবে। ক্রিকেট খেলার জন্য বাংলাদেশের চেয়ে ভালো জায়গা আর নেই।”
নিজের অভিজ্ঞতা শুনিয়ে উত্তরসূরিদের অনুপ্রাণিত করলেন তাসকিন।
“অনূর্ধ্ব-১৯
বিশ্বকাপ খেলার পরই আমি মূল বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন দেখতে
থাকি। এ বছর অস্ট্রেলিয়ায় সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। আশা করি, এবারও
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা অনেকেই ভবিষ্যতে খেলবে বড়দের
বিশ্বকাপে।”বাংলাদেশের বর্তমান যুব দলের অনেকের সঙ্গেই গত অনূর্ধ্ব-১৯
বিশ্বকাপে খেলেছেন মুস্তাফিজ। বাঁহাতি পেস সেনসেশন শোনালেন আশার কথা।
“এই দলের মিরাজ (মেহেদি হাসান), শান্ত (নাজমুল হোসেন), ইমন (জয়রাজ শেথ), ওদের সঙ্গে আমি খেলেছি। জাকির (হাসান) আছে, সবাই খুব ভালো ক্রিকেটার। ওরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আমরা টুর্নামেন্টে অনেক ভালো করব।”
১৪ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। ২০টি ম্যাচ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে এবার, টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যা সবচেয়ে বেশি। গত যুব বিশ্বকাপের ১১টি খেলা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে ছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান ও আইসিসির মহাব্যবস্থাপক (ক্রিকেট) জিওফ অ্যালারডাইস।
১৯ দিনের টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ৪৮টি। ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট ও কক্সবাজারের আটটি ভেন্যুতে হবে খেলা। ২২ জানুয়ারি থেকে শুরু প্রস্তুতি ম্যাচ, মূল টুর্নামেন্ট শুরু ২৭ জানুয়ারি।
প্রথম দিনেই চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশ খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে এই দুই দলের সঙ্গী স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়া।
আর ‘ডি’ গ্রুপটিই টুর্নামেন্টের ‘গ্রুপ অফ ডেথ’। তিন বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আছে তিনবার শিরোপা জয়ী আরেক দল ভারত, নিউ জিল্যান্ড ও নেপাল।
সাঙ্গাকারার আগে-পরে ও সমসাময়িক অনেক ক্রিকেটার অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকে উঠে এলেও এই টুর্নামেন্ট খেলা হয়নি তার। এটা নিয়ে মজা করে সাঙ্গাকারা শোনালেন তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণার কথা।
“ওই সময় আমি যথেষ্ট ভালো ছিলাম না, তাই যুব বিশ্বকাপ খেলা হয়নি। তবে তরুণদের জন্য এটি অসাধারণ এক প্ল্যাটফর্ম। পেশাদারিত্ব, প্রত্যাশার চাপের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াসহ ভবিষ্যতে অনেক শিক্ষাই এখান থেকে হয়ে যায়।”
“অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভালো করে অনেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে সুযোগ পায়, সরাসরি জাতীয় দলেও জায়গা হয় অনেকের। বিরাট কোহলির কথা বলতে পারি, এই টুর্নামেন্টে দিয়েই ওর আবির্ভাব। আজ সে ভারতের অধিনায়ক, আমার দেখা সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন।”
আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও ছিল সাবেক লঙ্কান অধিনায়কের কণ্ঠে।
“ক্রিকেটের জন্য বাংলাদেশ আদর্শ একটি জায়গা। লোকে এখানে ক্রিকেট ভালোবাসে তুমুলভাবে, সুযোগ-সুবিধা অসাধারণ। আশা করি, তরুণরা এখানে এসে ক্রিকেট উপভোগ করবে। ক্রিকেট খেলার জন্য বাংলাদেশের চেয়ে ভালো জায়গা আর নেই।”
নিজের অভিজ্ঞতা শুনিয়ে উত্তরসূরিদের অনুপ্রাণিত করলেন তাসকিন।
“এই দলের মিরাজ (মেহেদি হাসান), শান্ত (নাজমুল হোসেন), ইমন (জয়রাজ শেথ), ওদের সঙ্গে আমি খেলেছি। জাকির (হাসান) আছে, সবাই খুব ভালো ক্রিকেটার। ওরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আমরা টুর্নামেন্টে অনেক ভালো করব।”
১৪ ফেব্রুয়ারি টুর্নামেন্টের ফাইনাল হবে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। ২০টি ম্যাচ টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত হবে এবার, টুর্নামেন্টের ইতিহাসে যা সবচেয়ে বেশি। গত যুব বিশ্বকাপের ১১টি খেলা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছিল।
অনুষ্ঠানে ছিলেন বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান ও আইসিসির মহাব্যবস্থাপক (ক্রিকেট) জিওফ অ্যালারডাইস।
শেয়ার করুন