কারও ক্ষতির জন্য নয় বরং শুধু শেখার এবং জানার উদ্দেশ্য নিয়ে টিউনটি দেখুন
যে সফটওয়্যারটি নিয়ে আজকের এই টিউন সেটার ব্যবহার অত্যন্ত সোজা এবং যে কেউ দেখলেই পারবেন। এটা ভিকটিমের কোনো ক্ষতি করবে না শুধু সে কোন কোন সাইট ভিজিট করছে তা আপনাকে মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেবে। তারচেয়েও বড় কথা প্রতি মেইলে একটা করে স্ক্রীনশর্টও পাঠিয়ে দেবে। খুব সহজেই আপনি সেই পিসির ওপর নজরদারি করতে পারবেন। তবে এই সহজ সরল সাধারণ keylogger এর সাহায্যে আপনি অসাধারণ কাজও করতে পারবেন। তবে ‘কিছু নিতে গেলে কিছু দিতে হয়’ এর ক্ষেত্রেও এই কথাটি প্রযোয্য। এই keylogger ব্যবহার করতে হলে Microsoft.Net Framework আপনার এবং ভিকটিম উভয়ের পিসিতে ইনস্টল করা থাকতে হবে। এইটা অনেক ঝামেলা কারণ নিজের পিসিতে ইনস্টল করা থাকলেও অন্যের পিসিতে নাও থাকতে পারে। তাই এইটা সব জায়গায় কাজ করে না। তবে যেহেতু আমরা জানার উদ্দেশ্য নিয়ে শিখছি তাই শেখাটাই আগে।প্রথমে Microsoft.Net Framework এইখান থেকে ডাউনলোড করুন। যাদের নাই করে নিন কারণ অনেক ভালো ভালো সফটওয়্যার আছে যেগুলো এইটা ছাড়া চালু হয় না। এর পরে অনেক নতুন ভার্সন বের হয়েছে। চাইলে সেইটা খুঁজে নিতে পারেন। Net framework না থাকলে সফটওয়্যার চালু করার পর এই ধরণের error ম্যাসেজ আসবে-
ডাউনলোড করার পর ইনস্টল করেছেন? তাহলে এখন কীলগারটি ডাউনলোড করুন-
http://www.mediafire.com/?mrpbt621qpuyy4m |
জীপ ফাইলটি আনজিপ করলে ফোল্ডারের ভেতর তিনটি ফাইল দেখতে পাবেন। এর মধ্যে stub নামের জিনিসটা থেকে হাত দূরে রাখুন। key logger টির মেইন মেনু-
প্রথমে আপনার জিমেইল অ্যকাউন্ট ও আক্যাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন। পাসওয়ার্ড ঠিক না হলে মেইল যাবে না। ভয় থাকলে একটা ফেক জিমেইল আ্যাকাউন্ট খুলে নিন। মেইল ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর test এ ক্লীক করুন। সাথে সাথে আপনার দেওয়া মেইলে টেষ্ট মেইল যাবে। যদি যায় বুঝবেন সবকিছু ঠিকঠাক আছে।
এরপর সার্ভার নেম এবং সময়। যেই নামে ফাইলটি ভিকটিমের কাছে যাবে সেটিই সার্ভার নেম। সুতরাং এমন নাম দেন যেটাতে কেউ বুঝতে না পারে যে এইটা অকামের জিনিস। যতটুকু সময় পরপর আপনি মেইল চান তা সিলেক্ট করুন interval এ। সর্বনিম্ন ৩ পর্যন্ত সিলেক্ট করতে পারবেন।
অপশনে সবগুলো টিক সিলেক্ট করুন। এগুলো যা যা করবে-
- virus scannig site ব্লক করবে।
- পিসি চালু করার সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করবে।
- এন্টিভাইরাস ডিজেবল করবে।
- Taskmanager ডিজেবল করবে।
- রেজিস্ট্রি ডিজেবল করবে।
ফেক ইরর মেসেজে ক্লীক করে মেসেজটি লিখুন (না লিখলেও সমস্যা নাই)। server রান করানোর সাথে সাথে মেসেজটি শো করবে।
এবার Build এ ক্লীক করুন। যেখানে extract করেছেন সেখানে একটি server তৈরী হবে। সার্ভারটির আইকন চাইলে চেঞ্জ করে দিতে পারেন যাতে কেউ সহজে ধরতে না পারে। তবে সার্ভারটিকে জিপ ফাইল করা জরুরী। এন্টিভাইরাস ডিজেবল করার কথা বললেও অধিকাংশ এন্টিভাইরাস একে ধরে ফেলতে পারে। জিপ ফাইল কী ভাবে তৈরী করতে হয় তা জানতে আকাশ ভাইয়ের এই টিউনটি দেখুন। এখন সার্ভারটিকে কারও কাছে মেইল করে পাঠিয়ে দিন। ফাইলটিকে attach করার পরিবর্তে কোনো ফাইল শেয়ারিং সাইটে আপলোড করে দিন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি dropbox এ যেয়ে আপলোড করেন। এখানে আপলোড করলে লিঙ্কে ক্লীক করলে সাথে সাথে সেভ ফাইল চলে আসবে। প্রথমে এখানে ক্লীক করে dropbox এ সাইন আপ করে নিন। তারপর লগ ইন করে public ফোল্ডারে আপনার সার্ভারটি আপলোড করে লিঙ্কটি কারও কাছে পাঠিয়ে দিন।
সে যদি লিঙ্কে ক্লীক করে তাহলে সাথে সাথে ফাইল সেভের উইন্ডো আসবে। আর সেটি ডাউনলোড করলেই কাজ ফিনিশ।
এই হল গা এই সফটওয়্যারের সাধারণ প্রয়োগ। আপনি নিজের পিসিতে একবার টেস্ট করে দেখতে পারেন। তবে অন্য সফওয়্যারের সাহায্য নিয়ে এটিকেই অন্যরকম শক্তিশালী করে তোলা যায়। অনেকটা এক ঢিলে দুই পাখি মারার মত। কেমনে?
তাহলে দেখুন এই টিউনটি-
মনোযোগ দিয়ে এবং ধৈর্য সহকারে টিউনটি পড়ুন। তারপর সার্ভারটি আপলোড করুন ঐ ড্রপবক্সে। যে কোনো ডাইরেক্ট ডাউনলোড সাইটে আপলোড করলেও হবে। তারপর সেই লিঙ্কটা বসিয়ে দিন ঠিক এই জায়গায়-
যদি আপনার তৈরীকৃত সার্ভারে কেউ ক্লীক করে তাহলে প্রথমে এই কীলগারটি তার কাজ শুরু করবে এবং কয়েক সেকেন্ড পর সেই ট্রোজানটি সেই লিঙ্ক হতে ডাউনলোড তো হবেই অটোমেটিক পিসিতে রানও হয়ে যাবে।যদি হয় তাহলে আপনিও হয়ে যাবেন সেই পিসির আরেক দখলদার।
তবে এইভাবে আবার আপনি আপনার নিজের পিসিতে টেস্ট করতে যাইয়েন না। তাহলে ট্রোজান আপনার সর্বনাশ করে দিবে। সবসময় একটু সাবধান থাকবেন।