তবে এগুলো ব্যবহারের জন্য Microsoft.NetFramework লাগবে। এটি না থাকলে .exe এ ক্লীক করলে এই ধরনের ইরর মেসেজ দেখাবে।
জিমেইল
এই নিয়ে একটা টিউন অনেকদিন আগে হয়েছিল তবে আমি সেইটা ব্যবহার করতে পারি নাই এবং আরও অনেকেরই সমস্যাটি হয়েছিল। তাই এই টিউনে ঐটার একটা বিশুদ্ধ কপি দিচ্ছি। তাছাড়া নতুনরাও শিখতে পারবেন। তবে তার আগে সবার ভালোভাবে বোঝার সুবিধার জন্য বিস্তারিত লিখছি।প্রথমে জিমেইল হ্যাকারটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে। জিপ ফাইলটি আনজিপ করুন। আনজিপ করলে বেশ কয়টি ফাইল দেখতে পাবেন। তারমধ্যে stub নামের একটা জিনিস আছে। ঐটাতে হাত দিতে যাবেন না, ডিলিটও করবেন না। gmail hacker builder নামের exe ফাইলটি ক্লীক করুন।
Gmail Address এ আপনার জিমেইল আইডি দিন এবং পাসওয়ার্ড এর জায়গায় আপনার আইডির পাসওয়ার্ড দিন। অনেকে মনে করে এইগুলো ট্রোজান এবং পাসওয়ার্ড দেওয়ার সাথে সাথে হ্যাক করে। আমি নিজে পরীক্ষা করে দেখেছি এবং বেশ কয়েক মাস হল তবু মেইলটার কিছু হয় নাই এবং কেউ তাতে প্রবেশও করে নাই। তবে সাবধানের মার নাই। ভয় থাকলে নতুন একটা আইডি খুলুন। সেটাই ভালো। যায়হোক, আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর Build-এ ক্লীক করুন। যেখানে Extract করেছেন সেখানে Gmail Hacker নামে একটা exe ফাইল তৈরী হয়েছে। সেটাই হল জিনিস।
যাকে এর শিকার করাতে চান তাকে প্রথমে বেশ পামপট্টি মারুন। বলুন,এমন একটি সফটওয়্যার পেয়েছেন যেটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট হ্যাক করতে পারে এবং বেশ কাজের ইত্যাদি ইত্যাদি.....
এতকিছু শোনার পর নিশ্চিত আপনার victim সফটওয়্যারটি নেওয়ার ব্যাপারে উৎসাহী হয়ে উঠবে। যেহেতু এটি হ্যাকিং সফটওয়্যার এবং প্রায় সকল হ্যাকিং জিনিসকেই এন্টিভাইরাস খুব একটা ভালো চোখে দেখে না তাই তাকে জিনিসটা নেওয়ার আগে এন্টিভাইরাস ডিজেবল করে রাখতে বলুন। যেহেতু এই সম্পর্কে নানা লোভনীয় কথা শুনেছে তাই বিশ্বাস করার কথা। তারপর আপনি যেই gmail hacker তৈরী করেছেন সেটা তার কাছে পাঠিয়ে দিন।
Gmail hacker এর গঠন দেখে যখন টগবগ হয়ে নিজের জিমেইল
আইডি-পাসওয়ার্ড ও যার আক্যাউন্ট হ্যাক করতে চায় তার আইডি দিবে এবং যখন
প্রতীক্ষিত পাসওয়ার্ডটি পাওয়ার আশায় সে Hack Them ক্লীক করবে তখনই একটা
ইরর মেসেজ আসবে।
ব্যাস কাজ শেষ। আপনার মেইলটি খুলুন। দেখবেন পাসওয়ার্ডটি এসে গেছে।
হটমেইল
এটা আরেকটু মজার। বোকা মানুষকে সহজেই এর ফাঁদে ফেলানো যাবে। ১ মেগাবাইটের মত হটমেইল হ্যাকারটি প্রথমে ডাউনলোড করে নিন।আপনার জিমেইল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিন। সাবজেক্টে কিছু না লিখলেও চলবে।
SMPT server Address এবং port পরিবর্তনের দরকার নেই। জিমেইলটিতে ইরর মেসেজ ছিল অটো কিন্তু এটিতে আপনি নিজে কিছু লিখে দিতে পারবেন যা পরে শো করবে।
তারপর Build-এ ক্লীক করুন। Hotmail Hacker নামের একটা ফাইল তৈরী হবে। যাকে হ্যাক করতে চান সেটি তার কাছে পাঠিয়ে দিন। বিল্ডারটি ওপেন করলে এই রকম কিছু আসবে-
your victim account information-এ আপনার victim যাকে হ্যাক করতে চায় তার আইডি দিবে।
What To Do-এ সে যা যা সুবিধা পেতে চায় তাতে টিক চিহ্ন দিবে।
সবশেষে তার নিজের আক্যাউন্টের ইনফরমেশন দিবে এবং log in and start-এ ক্লীক করবে অর্থাৎ পাসওয়ার্ডটি পাওয়ার জন্য তাকে লগ ইন করতে হবে। যখনই সে সেটি ক্লীক করবে তখনই আপনার দেওয়া ইরর মেসেজটি দেখাবে।
আপনি আপনার মেইলটি চেক করুন....পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন।
একটা সমস্যা: একবার এইরকম সার্ভার তৈরী করে এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে যাচ্ছি পেন ড্রাইভে করে। মনটা খুব খুশি, পাসওয়ার্ড সংগ্রহের লিস্ট আরেকটু বড় হবে আজ। ঝামেলায় পড়লাম ওর পিসিতে বিল্ডারটিকে চালু করতে যেয়ে। যতবারই ক্লীক করি ততবারই ইরর মেসেজ দেখায়। পরে বুঝলাম, বিল্ডারটিকে রান করানোর জন্যও Microsoft.NetFramework লাগবে। অর্থাৎ আপনি যাকে পাঠাবেন তার পিসিতেও NetFramewrok থাকতে হবে।
সবশেষে যেই জিনিসটি দিচ্ছি সেটি .exe এর সাইজ বড় করে। অনেকে অল্প সাইজের কোনো জিনিস কে কীলগার বা ট্রোজান ভেবে ভয়েই ডাউনলোড করে না। আপনি যেই বিল্ডার তৈরী করেছেন সেটিও পিচ্চি সাইজের । সামান্য হলেও মানুষের সন্দেহ দূর করানোর জন্য আপনি বিল্ডারটির সাইজ বড় করতে পারবেন।
এইজন্য Exe Binder ডাউনলোড করুন এখান থেকে। stub জিনিসটাকে ছোঁবেন না। exe ফাইলটির কাজে এটি সাহায্য করে। Exe Binder টি ওপেন করুন। এখন যেই exe ফাইলের সাইজ বড় করতে চান তা browse করে সিলেক্ট করুন এবং ইচ্ছামত সাইজ বড় করুন।
এছাড়া exe ফাইলকে বাইন্ডও করতে পারবেন।
তো আর দেরি কেন? শুরু করে দেন পাসওয়ার্ড সংগ্রহের খেলা । আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। বাই বাই