বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বন্ধ থাকায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যে ব্যবসা ও সামাজিক জীবনে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক গালফ নিউজ এ-সংক্রান্ত খবর প্রকাশ করেছে।
পশ্চিমবঙ্গের ব্যবসায়ী সাইফুর রহমান বলেন, ‘আমার ঢাকায় দোকান আছে। কলকাতা থেকে বিভিন্ন পণ্য-সামগ্রী কিনে প্রতি সপ্তাহে সেখানে পাঠাই। তাদের কী প্রয়োজন সেটা জানার জন্য আমি পুরোপুরি হোয়াসঅ্যাপের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এ নিষেধাজ্ঞার ফলে আমি অসহায় হয়ে পড়েছি এবং এটা আমার কাজের ক্ষতি করছে।’ অনেকেই বলছেন, তাদের সামাজিক ও পারিবারিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কলকাতার গৃহবধূ নিরূপা রায় বলেন, ‘ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানে আমার স্বীমা কাজ করেন এবং একবার বাংলাদেশে গিয়ে টানা কয়েক সপ্তাহ থাকতে হয়। যোগাযোগের অসুবিধায় আমরা একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছি।’
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ গালফ নিউজকে বলেন, ‘সরকার যখন নিরাপদ মনে তখনই এসব সেবা চালু করা হবে।’
আন্তঃসীমান্ত ব্যবসা ছাড়াও ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ ফেসবুক নিষেধাজ্ঞা।
ঢাকার একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা চামড়ার ব্যাগসহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করি। এর অর্ডার (কেনার আদেশ) আসে ফেসবুক পেইজ থেকে।’
গত ১৮ নভেম্বর নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার বন্ধ দেয় সরকার। ২১ নভেম্বর রাতে যুদ্ধাপরাধী বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদকে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।