ওয়াইফাইয়ের দিন শেষ, হেব্বি স্প্রিড নিয়ে আসছে ‘লাইফাই’

গুগল কিংবা ইউটিউব থেকে পছন্দের ভিডিওটি ডাউনলোড করছেন? কিন্তু স্প্রিড পাচ্ছেন না তো? কি ভাবছেন, এবার ফোর-জি, ফাইফ-জি কিংবা সিক্স-জি কিনবেন তাই না? মাথা থেকে এসব কেনার চিন্তা তাহলে এখনই বাদ দিন। কারণ ওয়াইফাই (Wi-Fi)এর বদলে হেব্বি স্প্রিডি নিয়ে আসছে ‘লাই-ফাই’ (Li-Fi)-যা কিনা চোখের পলকে আপনাকে ডাউনলোডের সুবিধা দেবে। বলতে পারেন ওয়াই-ফাইয়ের সুপার-ফাস্ট বিকল্প হচ্ছে লাইফাই। এটা শুধু পরিকল্পনাতেই সীমাবদ্ধ নয়, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত, হাতেনাতে প্রমাণিত। লাই-ফাই সিস্টেমে ডেটা এতটাই জোরে ছোটে একটা পূর্ণদৈর্ঘ্যের সিনেমা ডাউনলোড হয়ে যায় সেকেন্ডে। স্পিড ১ জিবি পিএস। হিসাব কষলে দেখা যাবে, বর্তমান ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির থেকে ১০০ গুণ দ্রুততর। এই প্রযুক্তির নেপথ্যে যিনি, তিনি অধ্যাপক হ্যারল্ড হাস। এই লাই-ফাই দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছেন তিনিই, এটা তারই আবিষ্কার। কী এই লাই-ফাই? এক কথায় বললে, বিশেষ ধরনের একটি আলো। যার থেকে নির্গত রশ্মির মধ্য দিয়েই তথ্য যায় বাতাসে ভর করে। ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কে এই আলোকে কাজে লাগিয়েই ডেটা পাঠানো হয়ে থাকে। এডিনবর্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হ্যারল্ড হস ২০১১ সালেই এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। দেখান, কী ভাবে সিঙ্গল লেডের মাধ্যমে সেলুলার টাওয়ারের থেকে বেশি ডেটা দ্রুত পাঠানো যায়। এতদিন পরীক্ষামূলক ভাবে এয়ারলাইন্সে এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছিল। ইন-ফ্লাইট যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল লাই-ফাইকে কাজে লাগিয়ে। এমনকী গোয়েন্দারাও তা ব্যবহার করেছেন।


শেয়ার করুন

লেখকঃ

পূর্ববর্তী পোষ্ট
পরবর্তী পোষ্ট