হুমকি কমলেই ফেসবুক খুলে দেয়া হবে।

হুমকি কমলেই ফেসবুক খুলে দেয়া হবে।
হুমকি কমলেই ফেসবুক খুলে দেয়া হবে
হুমকি কমে গেলেই ফেসবুক খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
সোমবার সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা জানান তিনি। বিজয় দিবসকে সামনে রেখে এ বৈঠকে বসেছিলেন মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, এটি সাময়িক। নিরাপত্তার যখন হুমকি আসে, তখন এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়। পৃথিবীর সব  দেশেই এমন হয়ে থাকে। যদিও এখন বাংলাদেশে  তেমন কিছু হচ্ছে না, তবু হুমকি কিছু আসছে। এটা শেষ হলেই ফেসবুক খুলে দেয়া হবে।
বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রী জানান, বিজয় দিবস উদযাপনে যারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবেন তাদের সাতদিন আগে অনুমতি নিতে হবে। অনুষ্ঠান কোথায় করবেন, কী অনুষ্ঠান করবেন তা জানিয়ে অনুমতি নিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বিজয় দিবসে দেশ জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক, পুলিশ মহাপরিদর্শক একেএম শহিদুল হক, র‌্যাবের মহাপরিচলাক বেনজীর আহমেদসহ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান এবং প্রতিনিধিরা উপস্থিতি ছিলেন।

অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা পার পাবেন না: তারানা

 অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা পার পাবেন না: তারানা
অর্থবল ও জনবল দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা পার পাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে র‍্যাবের সহায়তায় অভিযানে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ কোনো ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) থাকবে না। বাড়িওয়ালারাও দায় এড়াতে পারবেন না। ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।
অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এছাড়া ৭৬০টি সিম কার্ড, ২টি পোর্টেবল মেশিনও জব্দ করা হয়েছে। সেসময় দুইজনকে আটক করা হয়।
এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলেই ফেসবুকসহ অন্যান্য সাইট খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অর্থবল ও জনবল দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ীরা পার পাবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরে র‍্যাবের সহায়তায় অভিযানে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসা বন্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হবে উল্লেখ করে তারানা হালিম বলেন, বাংলাদেশে অবৈধ কোনো ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) থাকবে না। বাড়িওয়ালারাও দায় এড়াতে পারবেন না। ব্যবস্থা নেওয়া হবেই।
অভিযানে অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এছাড়া ৭৬০টি সিম কার্ড, ২টি পোর্টেবল মেশিনও জব্দ করা হয়েছে। সেসময় দুইজনকে আটক করা হয়।
এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা পেলেই ফেসবুকসহ অন্যান্য সাইট খুলে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
- See more at: http://www.priyo.com/2015/Nov/30/181989-%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A7-%E0%A6%AD%E0%A6%BF%E0%A6%93%E0%A6%86%E0%A6%87%E0%A6%AA%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A7%80%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE#sthash.qqQ96UyD.dpuf

আমিরের ধৈর্য্য শক্তির প্রশংসা করলেন হৃতিক।

আমিরের ধৈর্য্য শক্তির প্রশংসা করলেন হৃতিক।
আমিরের ধৈর্য্য শক্তির প্রশংসা করলেন হৃতিক
অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমির খানের মন্তব্যের জন্য তাকে টুইট করে সাবাস দিলেন হৃতিক রোশন।
টুইটে হৃতিক লিখেছেন, ‘‘এই ব্যাপারটা থেকে আমি একটা জিনিস শিখলাম। সব রকমের বিরোধিতার মধ্যেও কী ভাবে ধৈর্য্য ধরে থাকতে হয়। যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য না করে কী ভাবে নিজের বক্তব্যে অটল থাকতে হয়, সেটা শিখলাম। ওয়েল ডান, আমির!’’
দেশে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতায় উদ্বিগ্ন আমিরের মন্তব্যের জেরে ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্কে কখনও বেঁধা হচ্ছে আমির খানকে। কখনও কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে তাঁর মন্তব্য। কেউ তাঁকে সরাসরি ‘দেশদ্রোহী’ বলছেন, কেউ-বা চাইছেনই না নায়ক এ দেশে থাকুন! তুমুল সেই বিতর্কের মধ্যেই আমির অনুরোধ করেছেন, তাঁকে যেন ভুল বোঝা না হয়!
সম্ভবত এই ‘আমিরি’ মাত্রাজ্ঞান, এই সৌজন্যই শিখেছেন হৃতিক রোশন!
- See more at: http://www.eurobdnews.com/entertainment_bangladesh/1316/-----#sthash.Hbye7jYv.Wtj6o42A.dpuf

অসহিষ্ণুতা নিয়ে আমির খানের মন্তব্যের জন্য তাকে টুইট করে সাবাস দিলেন হৃতিক রোশন।
টুইটে হৃতিক লিখেছেন, ‘‘এই ব্যাপারটা থেকে আমি একটা জিনিস শিখলাম। সব রকমের বিরোধিতার মধ্যেও কী ভাবে ধৈর্য্য ধরে থাকতে হয়। যাঁরা বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য না করে কী ভাবে নিজের বক্তব্যে অটল থাকতে হয়, সেটা শিখলাম। ওয়েল ডান, আমির!’’
দেশে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতায় উদ্বিগ্ন আমিরের মন্তব্যের জেরে ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্কে কখনও বেঁধা হচ্ছে আমির খানকে। কখনও কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে তাঁর মন্তব্য। কেউ তাঁকে সরাসরি ‘দেশদ্রোহী’ বলছেন, কেউ-বা চাইছেনই না নায়ক এ দেশে থাকুন! তুমুল সেই বিতর্কের মধ্যেই আমির অনুরোধ করেছেন, তাঁকে যেন ভুল বোঝা না হয়!
সম্ভবত এই ‘আমিরি’ মাত্রাজ্ঞান, এই সৌজন্যই শিখেছেন হৃতিক রোশন!

বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আয়াত ও দোয়া সমূহ।

বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আয়াত ও দোয়া সমূহ।
 
বিভিন্ন ধরনের বালা-মুসিবত দূর করার আমল
দোয়া: لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ্ জালিমীন।
অর্থ: আপনি ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। অবশ্যই আমি পাপী। -সূরা আল আম্বিয়া: ৮৭
ফজিলত
ক. এ আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, আমি নবী ইউনুসের প্রার্থনা মঞ্জুর করেছি। তাকে দু:খ থেকে মুক্তি দিয়েছি। অনুরূপভাবে যে মুমিনরা এ দোয়া পড়বে আমি তাদেরও বিভিন্ন বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি দিব। -সূরা আল আম্বিয়া: ৮৮
খ. হজরত নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি হজরত ইউনুস (আ.)-এর ভাষায় দোয়া করবে, সে যে সমস্যায়ই থাকুক আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -তিরমিজি: ৩৫০৫
গ. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও ইরশাদ করেছেন, আমার ভাই ইউনুসের দোয়াটি খুব সুন্দর। এর প্রথম অংশে আছে কালিমায়ে তায়্যিবা। মাঝের অংশে আছে তাসবিহ। আর শেষের অংশে আছে অপরাধের স্বীকারোক্তি। যে কোনো চিন্তিত, দু:খিত, বিপদগ্রস্থ ব্যক্তি প্রতি দিন এ দোয়া তিন বার পাঠ করবে আল্লাহতায়ালা তার ডাকে সাড়া দিবেন। -কানজুল উম্মাল: ৩৪২৮
আমল: কঠিন বালা-মুসিবত দূর করার জন্য বর্ণিত দোয়া বা আয়াতটি এক লক্ষ চব্বিশ হাজার পাঠ করে আল্লাহর কাছে দোয়া করলে, ওই দোয়া হয়।
শিশুর জিদ দূর করার আমল
দোয়া:
أَفَغَيْرَ دِينِ اللَّهِ يَبْغُونَ وَلَهُ أَسْلَمَ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ طَوْعًا وَكَرْهًا وَإِلَيْهِ يُرْجَعُونَ
উচ্চারণ: আফাগাইরা দীনিল্লাহি ইয়াবগুনা ওয়ালাহু আসলামা মান ফিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি তাউআউ ওয়া কারহান; ওয়া ইলাইহি ইয়ুরজাঊন।
অর্থ: তারা কি আল্লাহর দেয়া জীবন ব্যবস্থার পরিবর্তে অন্য জীবন ব্যবস্থা তালাশ করছে? নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে যা কিছু আছে স্বেচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক তার অনুগত হবে। সবাই তার কাছে ফিরে যাবে। -সূরা আল ইমরান: ৮৩
ফজিলত: যে ব্যক্তির সন্তান বা প্রাণী তাকে কষ্ট দেয়, সে যেন তার কানে সূরা আল ইমরানের ৮৩ নং আয়াত পড়ে। -আল মুজামুল আউসাত লিত্ তাবারানি: ৬৪
আমল: সন্তানের অতিরিক্ত জিদ থাকলে, কথা না শোনলে, কথা না মানলে প্রতিদিন ৭ বার সন্তানের কপালের উপরিভাগের চুলে হাত রেখে এ আয়াতখানা পাঠ করে তার চেহারা ও কানে ফুঁ দিলে- জিদ কমে আসে। এ আমল নূন্যতম ২১ দিন লাগাতার করতে হয়।
শ্রেষ্ঠ দোয়া
দোয়া: رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
উচ্চারণ: রাব্বানা আতিনা ফিদ্ দুনইয়া হাসানাহ্, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ্। ওয়াকিনা আজাবান্নার।
অর্থ: হে আমার প্রভু! আমাকে দুনিয়াতে সুখ দান কর, আখেরাতেও সুখ দান কর এবং আমাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচাও। -সূরা আল বাকারা: ২০১‍ৎ
ফজিলত: এ দোয়াকে সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া বলা হয়ে থাকে। নবী করিম (সা.) এ দোয়াটি সবচেয়ে বেশি পাঠ করতেন।
বিশিষ্ট তাবেয়ি হজরত কাতাদাহ (রহ.) সাহাবি হজরত আনাসকে (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, নবী করিম(সা.) কোন দোয়া বেশি করতেন? উত্তরে সাহাবি হজরত আনাস (রা.) উপরোক্ত দোয়ার কথা জানালেন। তাই হজরত আনাস (রা.) নিজে যখনই দোয়া করতেন- তখনই দোয়াতে এই আয়াতকে প্রার্থনারূপে পাঠ করতেন। এমনকি কেউ তার কাছে দোয়া চাইলে তিনি তাকে এ দোয়া দিতেন। -সহিহ মুসলিম: ৭০১৬
হজরত আনাস (রা.) আরও বলেন, আল্লাহতায়ালা এ দোয়ায় দুনিয়া ও আখেরাতের সকল কল্যাণ ও জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণের প্রার্থনা একত্রিত করে দিয়েছেন।
দ্বীনদার স্ত্রী লাভের আমল
দোয়া: رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণ: রাব্বানা হাবলানা মিন আজওয়াজিনা ওয়া জুররি-ইয়্যাতিনা কুররাতা আয়ুনিওঁ-ওয়াজআলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা।
অর্থ: হে আমার প্রভু! স্ত্রী ও সন্তাদের দ্বারা আমার চোখ শীতল কর। আমাকে পরহেজগারদের আদর্শ কর। -সূরা ফোরকান: ৭৪
আমল: যারা বিয়ে করেননি তারা প্রত্যেক নামাজের (তা ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল যে কোনো নামাজ হোক) শেষ বৈঠকে দোয়ায়ে মাছূরা পড়ার পর কোরআনে বর্ণিত এই আয়াতখানা পাঠ করে সালাম ফিরাবেন। বিয়ের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এ আমল করলে আশা করা যায়, আল্লাহভক্ত দ্বীনদার, পরহেজগার ও আদর্শ স্ত্রী জুটবে।
আর যারা বিয়ে করেছেন তারা স্ত্রী ও সন্তানদের দ্বীনদার করার জন্য, তাদের আদর্শবান করে গড়ে তোলার জন্য- প্রতিবার দোয়ায় এ আয়াত আয়াত পাঠ করলে বিশেষ উপকার লাভ হয়।
রিজিক বৃদ্ধির আমল
দোয়া: اللَّهُ لَطِيفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ وَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ
উচ্চারণ: আল্লাহু লাতীফুম্ বি-ইবাদিহি ইয়ারজুকু মাইয়্যাশায়ু, ওয়া হুয়াল কাভিয়্যুল আজিজ।
অর্থ: আল্লাহতায়ালা নিজের বান্দাদের প্রতি মেহেরবান। তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন। তিনি প্রবল, পরাক্রমশালী। -সূরা শুরা: ১৯
আমল: যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে, একনিষ্ঠতার সঙ্গে ৭০ বার এ আয়াত পড়বে, সে সর্বদা রিজিকের সঙ্কট থেকে হেফাজতে থাকবে।
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধির আমল
স্মৃতিশক্তির দুর্বলতার কারণে অনেক শিক্ষার্থীকেই নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী নিজে অথবা তার পিতা-মাতা প্রতিদিন প্রত্যেক নামাজের পর সূরা আলাম নাশরাহ পড়ে তার বুকে ফুঁ দিবে। সূরা পাঠ করার শুরু ও শেষে একবার করে দরূদ শরিফ পড়বে। যদি শিক্ষার্থী সমঝদার হয়, তবে প্রতিবার পড়তে বসার সময়, প্রত্যেক ক্লাসের শুরুতে, শিক্ষার প্রতিটি আসরের শুরুতে আগে-পরে দরূদ শরিফসহ এ সূরা পড়ে নিজের বুকে ফুঁ দিবে। যে নিয়মিত এ আমল করবে, আল্লাহর রহমতে তার স্মৃতিশক্তি বাড়বে।
নোট: যে কোনো আরবির বাংলা উচ্চারণ লেখায় মূল উচ্চারণ অনেকাংশেই ব্যহত হয়। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, বর্ণিত এসব দোয়া আপনার নিকটস্থ মসজিদের ইমাম-খতিব বা ভালো কোনো আলেমের কাছ থেকে শিখে নিবেন।

মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরু।

মঙ্গলবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরু।
 
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত দেশের সব কলেজে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষের ক্লাস শুরু হবে মঙ্গলবার (০১ ডিসেম্বর)।
সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেশনজট কমানোর করার লক্ষ্যে এ বছর ভর্তি কার্যক্রম এগিয়ে আনা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পাঁচ মাস সময় সাশ্রয় হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা,৩০ নভেম্বর, ২০১৫

বিজনেস কার্ড বানানোর বেস্ট সফটওয়্যার।

বিজনেস কার্ড বানানোর বেস্ট সফটওয়্যার।
আমাদের এখানের অনেকেই আমরা ইলুস্ট্রেটর ফটোশপ এর কাজ ভালো ভাবে পারিনা। তাই অনেক সময় ইচ্ছা থাকলেও একটি সুন্দর ভিজিটিং কার্ড বানানো সম্ভব হয়ে ওঠেনা। সেই কথা মাথায় রেখেই আজকের টিউন।।



ভিজিটিং কার্ড বানানোর অনেক সফটওয়্যার আপনি পাবেন। কিন্তু ভালো মানের কোনো সফটওয়্যার ইউজ করতে গেলে আপনাকে খরচ গুনতে হবে। আজকের সফটোয়ার'টি হল EximiousSoft Business Card Designer। আপনি লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারেন এটার দাম কতো। ৩৪ ডলার। বাংলা টাকাটা আপনিই হিসেব করে নিন।

কিন্তু এখন আপনি পাবেন এটা ফ্রিতে।

এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।



এক নজরে এর ফিচার গুলো।।

High quality 200+ Business Card templates, 2000+ Symbols and more...
The program provides numerous pre-designed business card templates by expert designers, backgrounds & graphic symbols and lot more. With which to start design easily and quickly. Personalize them with your preferred images, logo, graphics & other elements in your business card design.. vector drawing toolsPowerful vector-based drawing tools
Create any shape graphics as you desired with these tools. Move, delete or add even convert anchors for a shape with simple clicks or drag.That's really simple.Shapes or texts can be filled or stroken with solid color, gradient style or images high smoothly.anyone, Even have no design experience, can make stunning business cards with business card Software. Gives you the option to add drop shadows, reflection, glow, 3D bevel with customized settings to shapes or texts on your design.Any shape objects even texts can be stroken with more pre-designed dash style.Design Business CardsDesign Business Cards visually and Easily
Works like a great image editor program that supports strongly layer-editing. With the Layers feature you can control the position of various objects in your logo, you can place a more important object over the other and create different effects. To create, move, sacle, rotate, flip shapes or texts only with drag & click. Making professional-looking cards becomes really easy with application. The program is easy enough for everyone and doesn't require any designing skills thanks to a WYSIWYG interface – that is, what you see on the screen is exactly what your card will look like. Undo & Redo anywhere anytime.Print Business CardsPrint Business cards freely
Enable to print spectacular business cards on your own printer, on card stocks from Avery, Sigel, Herma, Formtec, DECAdry etc with high resolution. You can print 1 card or 5 card or 100 card, as you like. Most people print at least one full sheet of cards (8 or 10 cards on one sheet) for convenience. Supports to export cards to image files with high quality for print shop and print cards from your own printer directly.Import & Export ImagesInput & output in more popular image formats
Supports to export your business cards to JPG, GIF, PNG, BMP, PCX, TGA, TIFF files. Allows to load image files from GIF, BMP, PCX, JPG, TIFF, PNG, TGA, PSD, ICO, CUR, ANI ect. files.

ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি যাচ্ছে আজ। ইন্টারনেট বন্ধ না করে ফেসবুক সম্পূর্ণ বন্ধ অসম্ভব :তারানা

ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি যাচ্ছে আজ। ইন্টারনেট বন্ধ না করে ফেসবুক সম্পূর্ণ বন্ধ অসম্ভব :তারানা
“ইন্টারনেট শাটডাউন করা ছাড়া ফেসবুক শতভাগ বন্ধ রাখা সম্ভব না। পৃথিবীর কোনো দেশে, এমনকি যেখানে ফেসবুকের অ্যাডমিন আছে, সেখানেও হান্ড্রেড পার্সেন্ট (শতভাগ) বন্ধ করা সম্ভব নয়।” গতকাল রবিবার সচিবালয়ে এক অনির্ধারিত ব্রিফিংয়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ কথা বলেছেন। এদিকে ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য গতকাল চিঠি পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি পাঠানো হয়নি। ড্রাফটে শেষ মুহূর্তে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ায় নতুন ড্রাফট তৈরি করেছে মন্ত্রণালয়। চিঠিটি আজ সোমবার পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

সরকারের তরফ থেকে ফেসবুক বন্ধ রাখার পরও সরকারের কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী এটা ব্যবহার করছেন— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, যারা এটা ব্যবহার করছেন, তাদের কাছেই এটার ব্যাপারে প্রশ্ন করা উচিত। কারণ ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্তটা সরকারের। ফলে সরকারের দায়িত্বশীলদের এটা মেনে চলা উচিত।

সবারই সীমাবদ্ধতা থাকে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তির মোকাবেলা করছি। কিন্তু কেউ যদি বলেন, একশ’ ভাগ এটি (ফেসবুক বন্ধ করা) সম্ভব, আমি অনুরোধ করবো একশ’ ভাগ কিভাবে সম্ভব আমাকে একটু জানিয়ে যান। তাহলে তিনি একজন অত্যন্ত স্বনামধন্য উদ্ভাবক হিসেবে পুরস্কারও পেতে পারেন। পৃথিবীর কোথাও ইন্টারনেট শাটডাউন ছাড়া ফেসবুক বন্ধ রাখার কথা কোনো প্রযুক্তিবিদ বলতে পারেননি।”

বিকল্প পথে দীর্ঘদিন ফেসবুক ব্যবহার করা যাবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি কম হলে এটি ব্যবহার করতে পারবেন না। নাশকতাকারীরা ব্যবহার করলেও দ্রুত ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী। কবে নাগাদ ফেসবুক খুলে দেয়া হবে— এমন প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, “এই কথাগুলো আমাকে আহত করে। এখানে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন মনে করবে নিরাপদ, তখন খুলে দেয়া হবে। যখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনে করবে, তখনই খুলে দেয়া হবে।”
“ইন্টারনেট শাটডাউন করা ছাড়া ফেসবুক শতভাগ বন্ধ রাখা সম্ভব না। পৃথিবীর কোনো দেশে, এমনকি যেখানে ফেসবুকের অ্যাডমিন আছে, সেখানেও হান্ড্রেড পার্সেন্ট (শতভাগ) বন্ধ করা সম্ভব নয়।” গতকাল রবিবার সচিবালয়ে এক অনির্ধারিত ব্রিফিংয়ে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এ কথা বলেছেন। এদিকে ফেসবুকের সঙ্গে চুক্তি করার জন্য গতকাল চিঠি পাঠানোর কথা থাকলেও সেটি পাঠানো হয়নি। ড্রাফটে শেষ মুহূর্তে কিছু ত্রুটি ধরা পড়ায় নতুন ড্রাফট তৈরি করেছে মন্ত্রণালয়। চিঠিটি আজ সোমবার পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।

সরকারের তরফ থেকে ফেসবুক বন্ধ রাখার পরও সরকারের কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী এটা ব্যবহার করছেন— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, যারা এটা ব্যবহার করছেন, তাদের কাছেই এটার ব্যাপারে প্রশ্ন করা উচিত। কারণ ফেসবুক বন্ধের সিদ্ধান্তটা সরকারের। ফলে সরকারের দায়িত্বশীলদের এটা মেনে চলা উচিত।

সবারই সীমাবদ্ধতা থাকে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আমরা প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তির মোকাবেলা করছি। কিন্তু কেউ যদি বলেন, একশ’ ভাগ এটি (ফেসবুক বন্ধ করা) সম্ভব, আমি অনুরোধ করবো একশ’ ভাগ কিভাবে সম্ভব আমাকে একটু জানিয়ে যান। তাহলে তিনি একজন অত্যন্ত স্বনামধন্য উদ্ভাবক হিসেবে পুরস্কারও পেতে পারেন। পৃথিবীর কোথাও ইন্টারনেট শাটডাউন ছাড়া ফেসবুক বন্ধ রাখার কথা কোনো প্রযুক্তিবিদ বলতে পারেননি।”

বিকল্প পথে দীর্ঘদিন ফেসবুক ব্যবহার করা যাবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি কম হলে এটি ব্যবহার করতে পারবেন না। নাশকতাকারীরা ব্যবহার করলেও দ্রুত ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী। কবে নাগাদ ফেসবুক খুলে দেয়া হবে— এমন প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, “এই কথাগুলো আমাকে আহত করে। এখানে আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার কিছু নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন মনে করবে নিরাপদ, তখন খুলে দেয়া হবে। যখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনে করবে, তখনই খুলে দেয়া হবে।”
- See more at: http://71news.tv/menuVideo/index/5158/11.html#sthash.tY5Idrty.2gStQt6J.dpuf

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে ন্যাশনাল আইডি লাগবে!

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে ন্যাশনাল আইডি লাগবে!

bdforhad.blogspot.com
ঢাকা, ৩০ নভেম্বর- ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে ন্যাশনাল আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) বাধ্যতামূলক করার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। এতে করে ভুয়া অ্যাকাউন্টধারীদের শনাক্ত করা এবং নতুন করে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা ঠেকানো যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সোমবার জাতীয় প্লেসক্লাবে ‘১১তম সরকারি ডিসকাশন ফোরাম ফর ইলেকট্রনিক আইডেন্টিটি ২০১৫’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট ন্যাশনাল আইডি কার্ড প্রকল্প চালু হলে ফেসবুকের কাছে ইমেইল আইডির সঙ্গে ন্যাশনাল আইডি কার্ড ভেরিফিকেশনের জন্য নতুন অপশন যোগ করার জন্য আমরা ফেসবুক কতৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখব। স্মার্টকার্ডে ইলেকট্রনিক চিপ থাকবে। ম্যানুয়াল কার্ড এন্ট্রি গুলো বাদ দিয়ে সব জায়গায় ডিজিটাল কার্ডের ব্যবহার হবে। এক কার্ডে কীভাবে সব সুযোগ সুবিধা প্রদান করা যায়, তা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে এবারের ফোরামের আয়োজন করা হয়েছে।’
ফেসবুকের ভুয়া অ্যাকাউন্ট ঠেকানো গেলে দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও কার্যকরী হবে বলে উল্লেখ করেন পলক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রথম পর্যায়ে ৯ কোটি ৬২ লাখ লোককে স্মার্টকার্ড তুলে দেয়ার কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তবে কবে নাগাদ সাধারণ মানুষের হাতে স্মার্টকার্ড পৌঁছাবে এ ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু জানাননি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

১ ও ২ ডিসেম্বর রাজধানীর  সোনারগাঁও হোটেলে ১১তম সরকারি ডিসকাশন ফোরাম ফর ইলেকট্রনিক আইডেন্টিটি ২০১৫ অনুষ্ঠিত হবে। দুইদিন ব্যাপী এ ফোরামে ১৫০ জন বিদেশি বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থাকবে। ২৬টি বিদেশি ও ২টি দেশি প্রতিষ্ঠান ফোরামে অংশগ্রহণ করবে।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১৮ নভেম্বর থেকে ফেসবুক বন্ধ রয়েছে। যদিও নানা বিকল্প উপায়ে বেশিরভাগ মানুষ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমটি ব্যবহার করছেন।

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা

রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা
রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যাবে ক্যান্সারের পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা


সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় জানা যায় যে, যে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীদের প্রাথমিক পর্যায়ের স্তন ক্যান্সারের টিউমরের ডিএনএ শনাক্ত করা যায়, সেই পরীক্ষার মাধ্যমে সেই ক্যান্সারের অবনতি ঘটার সম্ভাবনা আছে কি নেই , তা বুঝা  যায়। গবেষণাটির ফলাফল  Science Translational Medicine এ প্রকাশিত হয়।
স্তন ক্যান্সার নামটি ডাক্তার ও ভুক্তভোগী রোগীদের পাশাপাশি সুস্থ মহিলাদের জন্যও এক বড় আতঙ্কের নাম। ক্যান্সারের ফলে মহিলা মৃত্যুহারের বড় একটি অংশের কারণ হলো স্তন ক্যান্সার। ক্যান্সার ধরা পড়ার পর যেসব রোগীদের সুস্থ হবার একটু সুযোগ থাকে, সেসব রোগীদের ভবিষ্যতে এই অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটার ঝুঁকি থাকে অনেক বেশী। তাই এর যতো তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর সুস্থ হবার সুযোগ ততো বেশী থাকে। রক্ত পরীক্ষা এই সুযোগকে আরো সহজ করে দিতে পারে।
গবেষকরা তাদের এই গবেষণাটির জন্য ৫৫ জন প্রাথমিক স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের টিউমর এবং ব্লাড টেস্ট স্যাম্পল নেন ( যাদের কেমোথেরাপী এবং সার্জারী সম্পন্ন হয়েছে ) । এরপর তাঁরা ব্লাড স্যাম্পল এবং টিউমর স্যাম্পল নিয়ে পরীক্ষা শুরু করেন। এভাবে তাঁরা একটি “ MUTATION TRACKING ” নামের একটি প্রক্রিয়ার উদ্ভাবন করেন , যা ক্যান্সার আক্রান্ত টিউমর থেকে রক্তে প্রবাহিত ডিএনএ শেড খুঁজে বের করতে সাহায্য করে। এভাবে রক্ত পরীক্ষা ২ বছরে প্রতি ছয় মাস অন্তর চলতে থাকে। এরই মধ্যে ১৫ জন রোগীর ক্যান্সারের পুনরবনতি ঘটে ( ক্যান্সার পুনরায় ফিরে আসে ) । অপর দিকে বিজ্ঞানীদের এর আগেই রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে  তাদের মধ্যে ১২ জনের এই পুনরবনতির কথা অনুধাবন করেন। ক্যান্সারের এই পুনরাবৃত্তি নজরে আসার ঘটার ৮ মাস আগে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে এই বিষয়টি বিজ্ঞানীদের নজরে আসে।
Institute of Cancer Research (ICR) এর Dr Nicholas Turner বলেন, তাঁরা প্রাথমিকভাবে দেখিয়েছেন যে একটি সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে কিভাবে ক্যান্সার পুনরাবৃত্তির কথা বর্তমানের প্রচলিত নিয়মের তুলনায় আগে ভাগেই জানা যায় । ICR এর চীফ এক্সিকিউটিভ Paul Workman জানান, এসব গবেষণার মাধ্যমেই জানা যায়, কীভাবে ক্যান্সার চিকিৎসা এর ধাপগুলো পরিহার করে। এসব প্রাপ্ত তথ্যের ফলে ভবিষ্যতে ক্যান্সার উপশমের ঔষধগুলো তৈরিতে অনেক সুবিধা হয়।

এখন হারানো যাত্রীদের খুঁজবে রোবট!!!

এখন হারানো যাত্রীদের খুঁজবে রোবট!!!
রোবট
 আপনি যদি অস্ট্রেলিয়ার আমস্টারডামের সিফুল বিমান বন্দরে গিয়ে হারিয়ে যান তবে ব্যতিব্যস্ত হবে না। আপনাকে ঠিকই খুঁজে নেবে স্পেনসার নামের একটি রোবট। এই রোবটি শুধু আপনাকে খুঁজেই বের করবে না। পথও দেখিয়ে দেবে। আপনার বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করতে কিংবা লাগেজ খুঁজে দিতেও সাহায্য করবে রোবটটি।
এই রোবটি আগামী সপ্তাহ থেকে বিমান বন্দরেে চালু করা হবে। এটি চাকার মাধ্যমে গড়িয়ে চলা বড় আয়তনের একটি রোবট। এতে আছে একটি টাচস্ক্রিন। তবে রোবটটি চালু করার আগে একসপ্তাহ ধরে রোবটিকে ট্রায়াল দেয়া হবে। ৩০ নভেম্বর থেকে রোবটটির ট্রায়াল পর্ব শুরু হবে।
রোবটি বিমান বন্দরে অভ্যন্তরে যাত্রীদের গন্তব্য ও প্রবেশপথ, বের হওয়ার পথের নির্দেশনা দেবে। পাশাপাশি কেউ পথ ভুলে হারিয়ে গেলে তাকে খুঁজে বের করে সঠিক পথের নির্দেশনাও দেবে রোবটটি।
এই রোবটিতে বিমান বন্দরের মানচিত্র ইনস্টল করা আছে। এটি লেজারের মাধ্যমে পথ খুঁজে নেয়।
এই রোবটি বিমান বন্দরে কাজে লাগানোর জন্য অর্থায়ন করেছে ইউরোপিয়ান কমিশন।

ইরানের তৈরি মানবিক রোবটের দক্ষতা অনেক বেড়েছে ।

ইরানের তৈরি মানবিক রোবটের দক্ষতা অনেক বেড়েছে ।
 
দর্শকের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত ইরানের তৈরি মানবিক রোবট তৃতীয় সুরেনা
দর্শকের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত ইরানের তৈরি মানবিক রোবট তৃতীয় সুরেনা
ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি মানবিক রোবট তৃতীয় সুরেনার দক্ষতা ও হাঁটার গতি বেড়েছে।  হাঁটা চলা,কথা বলা এবং বস্তু চেনার ক্ষেত্রে আগের রোবটকে ছাড়িয়ে গেছে এটি। আগের মানবিক রোবটের কারণে চৌকশ রোবট নির্মাণ প্রযুক্তিতে বিশ্বের পাঁচটি দেশের অন্যতম হতে পেরেছিল ইরান। ইরানের ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং ( আইইই) এ কথা জানিয়েছে।

তৃতীয় প্রজন্মের নতুন রোবট তৃতীয় সুরেনা তৈরি করেছেন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গতকাল তৃতীয় সুরেনার প্রদর্শনী করা হয়। ১৯০ সেন্টিমিটার লম্বা রোবটে শব্দ এবং ছবি ধারণ করার ক্ষমতা সম্পন্ন সেন্সর বা স্পর্শক বসানো আছে। এর সাহায্যে চারপাশের পরিস্থিতি যাচাই করতে পারে তৃতীয় সুরেনা। এ ছাড়া, মুখ দেখে চিনতে এবং নানা ধরণের দেহ ভঙ্গিমা বুঝতে পারে এটি।

সুরেনা ঘণ্টায় ০.৭ কিলোমিটার বেগে হাঁটতে পারে। আগের রোবটের তুলনায় সুরেনার হাঁটার গতি সাতগুণ বেড়েছে। আগের এ মানবিক রোবট তৈরি হয়েছিল ২০১০ সালে। এ ছাড়া, তৃতীয় সুরেনা দক্ষতার সঙ্গে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারে। অসমতল রাস্তা দিয়ে অনায়াসে চলাফেরা করতেও পারে এটি।

UCB - আনছে মোবাইলে আর্থিক সেবা ।

UCB - আনছে মোবাইলে আর্থিক সেবা ।
মোবাইলে আর্থিক সেবা আনছে ইউসিবিএলও
মোবাইল ফোনে আর্থিক সেবা দিতে ‘সাবসিডিয়ারি’ কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউনাইটেডে কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল)। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ব্র্যাক, ডাচ্ বাংলা ও প্রাইম ব্যাংকসহ দেশের সরকারি-বেসরকারি ১৫টি ব্যাংক মোবাইল ফোনে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি ব্যাংক ইউসিবিএলের এই ‘সাবসিডিয়ারি’ কোম্পানির প্রাথমিক পরিশোধিত মূলধন ধরা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধনের ৫১ শতাংশ শেয়ার থাকবে ইউসিবিএলের।
প্রয়োজনীয় আইনি বিষয় সম্পন্নের পর এই সহযোগী কোম্পানি গঠন করা হবে বলে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
১৯৮৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ইউসিবিএল।

এক কার্ডেই সব কাজ!

এক কার্ডেই সব কাজ!

ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের ভারে মানিব্যাগের কাহিল হওয়ার দশা। অনেকের মানিব্যাগে ‘মানি’ থাকে কম আর কার্ড থাকে বেশি। নানা ব্যাংকের নানা কার্ড বহনে অনেকে আবার আলাদা কার্ড হোল্ডারও সঙ্গে বহন করেন। তবে এই ঝক্কি থেকে মুক্তি পেতে একটা ‘স্মার্ট’ সমাধান বের করেছেন প্রযুক্তিবিদরা।
সবগুলো কার্ডের কাজ এখন মাত্র একটা কার্ড দিয়েই করা যাবে। আর এই কার্ডের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কয়েন’। অ্যাপের মাধ্যমে এই কার্ডের সব তথ্য সিংক করা থাকবে আপনার স্মার্টফোনের সঙ্গে। এ খবর জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট টেক ক্রাঞ্চ।

প্রযুক্তি বিশ্বে এখন ডিজিটাল পেমেন্ট সিস্টেম নিয়ে বিস্তর গবেষণা ও এর বিভিন্ন প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, আর মাত্র কয়েক বছর পর মানুষকে আর নগদ টাকা নিয়ে ঘুরতে হবে না। অর্থ লেনদেন বা কেনাকাটা সবই হবে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে। অ্যাপল পে, অ্যানড্রয়েড পে বা স্যামসাং পে নিয়ে বিশ্বের বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
 কয়েন এই মাধ্যমে নতুন সংযোজন। কয়েনের একটি কার্ডের মালিক হতে লাগবে ১২৪ মার্কিন ডলার। কার্ডটি কেনার পর সেখানে আপনার সব কার্ডের তথ্য সংযোজন করে নিতে পারবেন। আর একই তথ্য সিংক করা থাকবে স্মার্টফোনের অ্যাপে। কোথায় কী খরচ হলো, কোন কার্ড থেকে টাকা কাটল তার সব বিস্তারিত হিসাব থাকবে আপনার স্মার্টফোনে।
কয়েনের কার্ডটিতে চার ক্যাটাগরির কার্ড যোগ করা যাবে। ডেবিট কার্ড, কোম্পানি কার্ড, গিফট কার্ড এবং ক্রেডিট কার্ড। আর ভুলে যদি কার্ডটি ফেলেও যান, কিছুদূর যাওয়ার পরেই আপনার স্মার্টফোনে কার্ড ফেলে আসার ম্যাসেজ চলে আসবে যা আপনাকে মনে করিয়ে দেবে ফেলে আসা কয়েন কার্ডের কথা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনো পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে এই প্রকল্প। অনেক ব্যাংকই এখনো কয়েন কার্ডের সঙ্গে চুক্তি করেনি। তবে কয়েনের নির্মাতারা বলছেন, তারা চেষ্টা করে যাচ্ছে যতগুলো সম্ভব ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করে কয়েন কার্ডকে জনপ্রিয় করে তুলতে।

সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে মাঝরাতে ।

সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে মাঝরাতে ।
সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে মাঝরাতে
রাজধানীর সরকারি স্কুলগুলোতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদনগ্রহণ আজ (সোমবার) মাঝরাত ১২টায় শুরু হবে।  এ প্রক্রিয়া আগামী ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) নিশ্চিত করেছেন।
মাউশি সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগরীতে তিনটির ফিডার শাখাসহ ৩৮টি সরকারি হাইস্কুল রয়েছে। এর মধ্যে ১৬টিতে এবার প্রথম শ্রেণিতে এক হাজার ৬৮০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অন্যান্য শ্রেণিতে ১০ হাজার ২৩৭ জনকে ভর্তি করা হবে।
gsa.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে। টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন ফি ১৫০ টাকা পরিশোধ করতে হবে।
প্রথম শ্রেণির লটারি ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তির নীতিমালা অনুযায়ী, এবছর শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই নির্ধারিত ক্যাচমেন্ট এরিয়া (সেবা এলাকা) অনুযায়ী ৪০ শতাংশ এলাকা কোটা অনুসরণ করতে হবে। ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য মাউশির ওয়েবসাইট http://dshe.gov.bd এ পাওয়া যাবে।
বিএইচ/এসজে
- See more at: http://www.poriborton.com/post/42619/%E0%A6%B8%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF-%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%B2%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A6%E0%A6%A8-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%B9%E0%A6%9A%E0%A7%8D%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87--#sthash.nk80rt9c.dpuf

কাফনের কাপড়ের রং যে কারণে সাদা হয়।

কাফনের কাপড়ের রং যে কারণে সাদা হয়।
কাফনের কাপড়ের রং যে কারণে সাদা হয়
প্রত্যেক প্রাণীকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে স্পষ্ট করে উল্লেখ করেছেন, ‘কুল্লুন নাফসিন জায়্যিকাতুল মাউন’। অর্থ্যাৎ প্রতিটি প্রাণীই একদিন মৃত্যুর শরাব পান করবে। মুত্যুর পর মুসলমানেরা ইসলামের ব্যাখ্যা অনুযায়ি গোসলের পর মৃতদেহকে কাফনের কাপড় পরিধান করানো হয়। এরপর জানাজা করে দাফন করা হয়। কিন্তু আপনি জানেন কি, অন্য রঙের কোন কাপড়কে কাফনের কাপড় হিসেবে কেন ব্যবহার করা হয় না? এ প্রসঙ্গে ইবনে আব্বাস [রা] থেকে বর্ণিত হাদিসে পাওয়া যায়, তিনি বলেন, রাসুল [সা] বলেছেন, তোমরা সাদা রঙের কাপড় পরিধান করো। তোমাদের জীবিতরা যেনো সাদা কাপড় পরিধান করে, আর মৃতদের সাদা কাপড় দিয়ে দাফন দেয়। কেননা, সাদা কাপড় তোমাদের সর্বোত্তম পোশাক। (নাসায়ি, হাদিস-৫৩২৩) হযরত সামুরা ইবনে জুনদুব [রা] বলেন, রাসুল [সা] বলেছেন, তোমরা সাদা কাপড় পরিধান করো। কেননা, তা সর্বাধিক পবিত্র ও উত্তম। আর তা দিয়েই তোমরা মৃতদের কাফন দাও। (মুজামুল কাবীর, হাদিস-৯৬৪) ২৯ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ/ রাসেল/মাহমুদ

শাহরুখ না দাঁড়ালেও আমিরের পাশে দাঁড়ালেন প্রিয়াঙ্কা।

শাহরুখ না দাঁড়ালেও আমিরের পাশে দাঁড়ালেন প্রিয়াঙ্কা।
শাহরুখ না দাঁড়ালেও আমিরের পাশে দাঁড়ালেন প্রিয়াঙ্কা
বিনোদন ডেস্ক : ভারতজুড়ে চলমান অসহিষ্ণুতা প্রশ্নে শাহরুখ, আমিরের পর এবার মুখ খুললেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। তিনি জানিয়েছেন, অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্য করতে যেন দেশের মানুষ যেন একটু বেশিই আগ্রহী। ‘বাজিরাও মস্তানি’র প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাস করি। যেখানে প্রত্যেক মানুষেরই নিজস্ব মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা দেশকে বাক-স্বাধীনতা দিতে লড়াই করেছিলেন। আমাদের উচিত তাদের সেই লড়াইকে সম্মান করা।’ প্রিয়ঙ্কার মতে, গত কয়েক বছরে দেশে বহু ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু হঠাৎই যেন দেশের মানুষ সব বিষয় নিয়ে অনেক বেশি মন্তব্য করছেন। এর ফলেই সমালোচনার ঝড় উঠছে। নিজের জন্মদিনেই অসহিষ্ণুতা নিয়ে মুখ খোলেন শাহরুখ খান। তিনি বলেন, দেশে উগ্র অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। দিন কয়েক আগে আমির খান একটি অনুষ্ঠানে বলেন, এ দেশে নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন তিনি। তাই তার স্ত্রী কিরণ তাকে অন্য দেশে গিয়ে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন। এর পরই দেশ জোড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয় আমিরকে। প্রিয়ঙ্কা সেই বিতর্ককে আরও এক ধাপ উস্কে দিলেন বলেই মনে করছেন বলিউডের একাংশ। ৩০ নভেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসপি/এমএন

সিলেট গ্রামীণফোন সেন্টারে গ্রাহকের হাতে আইফোন!

সিলেট গ্রামীণফোন সেন্টারে গ্রাহকের হাতে আইফোন!
সিলেট গ্রামীণফোন সেন্টারে গ্রাহকের হাতে আইফোন তুলে দিচ্ছেন গ্রামীণফোনের রিলেশনশীপ ম্যানেজার মো. রাজীব ইমাম। যেসব গ্রাহক আইফোন প্রিবুক করেছিলেন তারা এখন এই ফোন গ্রহণ করছেন। গ্রামীণফোন বাংলাদেশের প্রথম মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর স্থানীয় গ্রাহকদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাস বাজারে এনেছে। এখন থেকে গ্রামীণফোন সেন্টারগুলোয় আইফোন ৬এস ও ৬এস প্লাস পাওয়া যাবে।
গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা সহজ মাসিক কিস্তিতে নতুন মডেলের আইফোনটির মূল্য পরিশোধের সুযোগ পাবেন। স্টার গ্রাহকের জন্য রয়েছে বাড়তি সুবিধা। আইফোনের ক্রেতারা গ্রামীণফোনের হেভি ব্রাউজিং ননস্টপ ইন্টারনেট প্যাকেজ কিনলে তার ওপর শতকরা ৫০ ভাগ ছাড় পাবেন। ৩০ দিন মেয়াদের এই ইন্টারনেট প্যাকেজ তারা ফোন কেনার প্রথম দু’মাসের মধ্যে ৮বার নিতে পারবেন। এছাড়াও তারা গ্রামীণফোনের ০১৭১১ সিরিজের প্রিপেইড নাম্বার পাবেন বিনামূল্যে, সাথে পাবেন এক বছরের অ্যাপল ওয়্যারেন্টি। -বিজ্ঞপ্তি

আবারো স্মার্টফোন বানাচ্ছে নোকিয়া!

আবারো স্মার্টফোন বানাচ্ছে নোকিয়া!

মাইক্রোসফটের কাছে মোবাইল শাখা বিক্রি করে দিয়ে স্মার্টফোন ব্যবসা থেকে একেবারেই বিদায় নিয়েছিল একসময়কার বিশ্বব্যাপী মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নোকিয়া। এর পরও গুজব শোনা যাচ্ছিল, নোকিয়া আবার ফিরে আসতে পারে নতুন স্মার্টফোন নিয়ে।
এবার নোকিয়ার প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট নোকিয়া পাওয়ার ইউজারের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেল, গুজবটি আসলেই সত্যতে পরিণত হতে যাচ্ছে এবং সেটি আগামী বছরই। যদিও ফিনল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি এখনো এ বিষয়ে নিশ্চিত করেনি।
ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে প্রত্যাবর্তনের পাশাপাশি নোকিয়ার দ্বিতীয় যুগের প্রথম হ্যান্ডসেটের ব্যাপারেও কিছু ধারণা দেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন স্মার্টফোনটির নাম হবে সি-১। ওয়েবসাইটে একটি ‘ক্যান্ডিবার’ হ্যান্ডসেটের ছবি দেওয়া আছে, যেটি দেখতে অনেকটা আইফোন সিক্স-৬ মডেলের মতো। তবে পাশের ফ্রেমগুলো আরেকটু সরু।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ওয়েবসাইটে ফাঁস করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে নোকিয়া সি-১ হ্যান্ডসেটটি উইন্ডোজ ও অ্যানড্রয়েড উভয় অপারেটিং সিস্টেমেই চলবে। এ বছরের জানুয়ারিতে বের হওয়া নোকিয়ার ট্যাবলেট এন-১ দেখতে অনেকটা আইপ্যাড মিনির মতো হলেও তা চলে অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে।
নোকিয়ার এই নতুন স্মার্টফোনে আসলেও কি অপারেটিং সিস্টেম আছে কিংবা আদৌ দুটোই রয়েছে কি না, তার উত্তর জানতে অবশ্য এখনো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, চাইলেই নোকিয়া ফিরে আসতে পারছে না এই স্মার্টফোন জগতে। মাইক্রোসফটের সঙ্গে চুক্তির শর্তমতে ২০১৬ সালের শেষ নাগাদ নোকিয়া কোনো হ্যান্ডসেট বাজারে আনতে পারবে না।

রবি-এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার আবেদন নিয়ে রুল

রবি-এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার আবেদন নিয়ে রুল
প্রতিযোগিতা কমিশনের মাধ্যমে বাজার মূল্যায়ন করে মোবাইল অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার আবেদনের নিষ্পত্তি কেন করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছে হাইকোর্ট।
নাজমুস সাকিব আল আযম নামের এক এয়ারটেল গ্রাহকের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাণিজ্য সচিব, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা (কমপিটিশিন) কমিশনের সচিব, টেলিকম সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান এবং রবি ও এয়ারটেল কর্তৃপক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আবেদনকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করীম।
আদেশের পর ইউসুফ আলী বলেন, ‘দুই কোম্পানির একীভূত হওয়ার বিষয়টি সরকার অনুমোদন করলে বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের মার্কেট শেয়ারের ৯৬ শতাংশ চলে যাবে তিনটি কোম্পানির হাতে। এতে নতুন বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হবে, প্রতিযোগিতা না থাকলে গ্রাহকরাও বঞ্চিত হবেন।’
ব্যবসায় সুস্থ ও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরির জন্য ২০১২ সালের জুনে সরকার ‘প্রতিযোগিতা আইন’ করে, যাতে প্রতিযোগিতা কমিশন গঠনের কথা বলা হয়। ওই কমিশনের জন্য সচিব নিয়োগ হলেও এখন পর্যন্ত চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়নি সরকার।
ব্যবসা একীভূত করার অনুমতি চেয়ে গত সেপ্টেম্বরে বিটিআরসিতে চিঠি দেয় রবি ও এয়ারটেল, যা বাস্তবায়িত হলে এটি হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় একীভূত হওয়ার ঘটনা।
ওই চিঠিতে বলা হয়, একীভূত হওয়ার পর ৭৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে মালয়েশিয়াভিত্তিক আজিয়াটা গ্রুপ ও এনটিটি ডকোমার কাছে; বাকি ২৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে ভারতী এয়ারটেলের কাছে।
এতে বলা হয়, দুই অপারেটর একীভূত হওয়ার পর যৌথ গ্রাহকদের কোনো ধরনের অসুবিধা হবে না। এয়ারটেলের গ্রাহকদের নম্বর (০১৬ দিয়ে শুরু) অপরিবর্তিত থাকবে।
তবে তিন বছর পর থেকে ০১৬ দিয়ে নতুন সংযোগ দেওয়া হবে না বলে বিটিআরসিতে পাঠানো চিঠিতে জানানো হয়।
ওই চিঠি পাওয়ার পর দুই কোম্পানির একীভূত হওয়ার প্রভাব বিশ্লেষণে সমীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি।
দেশজুড়ে ৮,১১৯টি সাইটের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ সেবা দিচ্ছে রবি, যাদের গ্রাহক সংখ্যা অক্টোবরের হিসেবে ২ কোটি ৮২ লাখ।
বাংলাদেশে ভারতী এয়ারটেলের বিনিয়োগ শুরু হয় ২০১০ সালে। তখন ওয়ারিদ টেলিকমের ৭০ শতাংশ শেয়ার কিনেছিল তারা। তিন বছর পর ওয়ারিদের কাছে থাকা বাকি ৩০ শতাংশ শেয়ারও কিনে নেয় সিঙ্গাপুরে ভারতী এয়ারটেলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ভারতী এয়ারটেল হোল্ডিংস লিমিটেড।
৯৯ লাখ গ্রাহক নিয়ে বর্তমানে ছয়টি মোবাইল ফোন অপারেটরের মধ্যে এয়ারটেল বাংলাদেশে চতুর্থ।
গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশে শীর্ষে অবস্থান করছে গ্রামীণফোন। অক্টোবর শেষে তাদের গ্রাহক ছিল ৫ কেটি ৫৮ লাখ। তখন পর্যন্ত বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ১৯ লাখ।
রবি ও এয়ারটেল একীভূত হলে নতুন কোম্পানির মোট গ্রাহক হবে ৩ কোটি ৮০ লাখের মতো।

ফেসবুকের সব কর্মীই পাবেন পিতৃত্বকালীন ছুটি।

ফেসবুকের সব কর্মীই পাবেন পিতৃত্বকালীন ছুটি।
সব ফেসবুক কর্মীই পাবেন পিতৃত্বকালীন ছুটি
এতদিন শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অফিসে কর্মরত কর্মীরাই ভোগ করতো এই সুবিধা। এখন সেটা পাবে সারা বিশ্বের কর্মীরা। সারাবিশ্বের ফেসবুক কর্মীরা এবার প্রতিষ্ঠানটির প্রতি আরো বেশি কৃতজ্ঞ থাকবেন। কারণ এখন শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেসবুক অফিসেই না বরং সারা বিশ্বে ফেসবুকের যতো প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে তাদের যতো কর্মী রয়েছে সবার জন্য মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ছুটি নিশ্চিত করছে ফেসবুক।
ফেসবুক সম্প্রতি তাদের একটি পোষ্টে জানায়, কর্মীদের মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন ‍ছুটি বিবেচনা করে আমরা মনে করেছি এটাই সবচেয়ে ভালো কিছু যা আমরা আমাদের কর্মী ও তাদের পরিবারের জন্য উপহার দিতে পারি। ফেসবুকের মূল অফিস ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আলতোর এলাকায় অনেক কর্মী রয়েছে।
এছাড়া দিল্লী-ডাবলিন বা অন্যান্য দেশেও অনেক ফেসবুক কর্মী রয়েছে। তবে তাদের কারো কারো একটু আলাদা এবং কারো কারো খুবই খারাপ কাটে পিতৃত্ব বা মাতৃত্বকালীন ছুটি। কোনো কোনো দেশে তো মায়ের জন্যই ছুটি বরাদ্দ মাত্র ৮৪ দিন।
খুব শিঘ্রই বাবা হতে যাচ্ছেন মার্ক জুকারবার্গ। বাবা হওয়ার পর দুই মাস পিতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকবেন জুকারবার্গ। তার এমন ঘোষণার পরই ফেসবুক সব কর্মীদের জন্য তাদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
তবে অনেকের মতে এই ছুটি ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ শুরু করলো ফেসবুক। সেই সঙ্গে শীর্ষ যোগ্যদের ধরে রাখার জন্য প্রতিযোগীতামূলক একটি চাকরির বাজারে কর্মীদের জন্য খু্বই ভালো একটি অফার হিসেবেই বিবেচিত এই সিদ্ধান্ত।

মোবাইল নম্বর গোপন রেখে কল করার নিয়মাবলী।

মোবাইল নম্বর গোপন রেখে কল করার নিয়মাবলী।
মোবাইল নম্বর গোপন রেখে কল করার নিয়মাবলী
ফোন করার সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল নম্বর ফোন রিসিভকারী ব্যক্তি পেয়ে যান। এ ক্ষেত্রে মেয়েরা অনেক সময় সমস্যায় পড়ে যান। অপরিচিত ব্যক্তিরা শুধু শুধু ডিস্ট্রাব করতে থাকে। তাই এখনই জেনে নিন, কিভাবে মোবাইল নম্বর গোপন রেখে কল করা যায় তার নিয়মাবলী।
মূলত এ সমস্য থেকে আপনি নিশ্চিত মুক্তি পেতে পারেন কিছু কার্যকরি অ্যাপস ব্যবহার করে। নানা ধরনের অ্যাপ অবশ্য আগে থেকেই রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করা যায় কিন্ত তারজন্য আবার একটি ভুয়া নম্বর ব্যবহার করতে হয়। এজন্য অবশ্য বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়। এসব অ্যাপের সাহায্যে কাওকে ফোন করার সময় বদলে ফেলা যায় নিজের মোবাইল নম্বর। এক্ষেত্রে অ্যাপটি ব্যবহারকারীর আসল নম্বর লুকিয়ে রাখে এবং ব্যবহারকারীর দেওয়া অন্য একটি ভুয়া নম্বর প্রদর্শন করে থাকে।
অনেকেই পরিচয় বদলের এই জাতীয় অ্যাপ হিসেবে ব্যবহার করছেন যেমন Voxox, Lifehacker, Spoofcard, Tracebust, CallerIDFaker ইত্যাদি। এসব অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে Tracebust অ্যাপটি।
প্রাথমিকভাবে এর ট্রায়াল ভারসন ব্যবহার করা যাবে, কিন্তু পরবর্তীতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। প্রযুক্তি বিশ্বের এইসব সুযোগগুলো ব্যবহারের সুযোগ নিচ্ছে অনেকেই। তবে পাওয়ানাদারের কাছ থেকে পাওয়া উদ্ধারে এমন অ্যাপ আপনি ব্যবহার করতেই পারেন।

কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষ কেমন হয়।

কোন ব্লাড গ্রুপের মানুষ কেমন হয়।
আপনি জানেন কি মানুষের রক্তের গ্রুপ তার কিছু নিজস্ব সকীয় বৈশিষ্ট্য বহন করে। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি বিভিন্ন রক্তের গ্রুপের মানুষের স্বভাবের স্বভাবগত বিশ্লেষণ-
1.”o+”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বচ্ছ… দৃষ্টি সম্পন্ন, গভীর মনোযোগী, উচ্চাকাঙ্খী, স্বাস্থ্যবান, বাকপটু, বাস্তববাদী, রোমান্টিক এবং অত্যান্ত বুদ্ধিমান হয়ে থাকে।
2.”O-”এই গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত অন্যের মতামতকে গ্রাহ্য করে না। সমাজে মর্যাদা বাড়াতে আগ্রহী, বড়লোকের সঙ্গপ্রিয় এবং বড় বেশি বাচাল।
3.”A+”এই ব্লাডগ্রুপের মানুষেরা গোছগাছ প্রিয়, দক্ষ চাকুরে এবং খুঁতখুঁতে স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা আত্নকেন্দ্রিক, সুবিচারক, শান্ত, নিয়মতান্ত্রিক, বিশস্ত, নিয়মানুবর্তী ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
4.”A-”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা খুব খুঁতখুঁতে স্বভাবের এবং কিছুটা অমনোযোগী। কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে বেশি মনোযোগী। এদের অন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার প্রবণতা বেশি। এদের আছে নিজেকে লুকানোর অভ্যাস এবং একঘেয়েমি জীবন।

5.”B+”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা স্বাধীনচেতা, মেধাবী, নমনীয়, মনোযোগী, স্বাস্থ্যবান,সরল, দক্ষ, পরিকল্পনাবাদী, বাস্তববাদী,আবেগ প্রবণ এবং খুব বেশি রোমান্টিক হয়ে থাকে।
6.”B-”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা অসংযমী, অপরিনামদর্শী, দায়িত্বহীন, অলস, স্বার্থপর, অগোছালো, অবিবেচক এবং স্বার্থান্বেষী হয়ে থাকে।
7.”AB+”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা সাধারণত সুবিবেচক, বু্দ্ধি সম্পন্ন, হিসেবী, পরিকল্পনাবাদী, সৎ কৌশলী সংবেদনশীল, নিরেট এবং খুব চমৎকার সাংগঠনিক হয়ে থাকে।
8.”AB-”এই ব্লাড গ্রুপের মানুষেরা দুর্বোধ্য, ক্ষমতাহীন, অন্যকে আঘাত করার প্রবণতা বেশি, এনার্জি স্বল্পতা, খুব বেশি রক্ষনশীল ও বড় বেশি সংবেদনশীল হয়ে থাকেন।

এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি

এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১ ফেব্রুয়ারি

আগামী বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার চূড়ান্ত সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। আট সাধারণ বোর্ডের এসএসসি, মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিল ও কারিগরি বোর্ডের এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামি ১ ফেব্রুয়ারি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় রবিবার চূড়ান্ত সময়সূচি ওয়েবসাইটে (www.moedu.gov.bd) প্রকাশ করেছে।

এই প্রথমবারের মতো আগে এমসিকিউ ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে বলেও সময়সূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সন্ত্রাসীদের ধরতেই আরো কয়েকদিন ফেসবুক বন্ধ

সন্ত্রাসীদের ধরতেই আরো কয়েকদিন ফেসবুক বন্ধ
সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক বন্ধ থাকছে আরো কয়েকদিন। সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত এবং আটক সহজ করতেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 
সূত্র জানায়, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়েই যথাসময়ে ফেসবুক খুলে দিতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে সুনির্দিষ্ট কতদিন বন্ধ থাকবে তা স্পষ্ট করেনি মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ফেসবুক বন্ধ রাখায় সন্ত্রাসীরা বাধ্য হয়ে মোবাইল ফোনে আলাপ করছে। এতে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করা সহজ হচ্ছে।
শিগগিরই ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে কিনা? জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এটি নিয়ে বসবো। আলোচনা করে তারপর ব্যবস্থা নেবো। আমি আগেই বলেছি ফেসবুক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ফেসবুক বন্ধ থাকায় সন্ত্রাসীরা বিকল্প পথ হিসেবে মোবাইল ফোন মেসেজ অথবা কল করে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছে। আর সে কারণে সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য সহজ হচ্ছে। তাই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতেই ফেসুবুক আরো কয়েদদিন বন্ধ রাখা হচ্ছে। তবে যথা সময়ে খুলে দেওয়ার হবে।মানবতা বিরোধী অপরাধী বিএনপি নেতা   সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (সাকা চৌ) এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করার ঘটনায় সম্ভাব্য সহিংসতা ঠেকাতে   গত  ১৮ নভেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ  এবং  মেসেঞ্জার বন্ধ করে দেয় বিটিআরসি।
এরপরদিন (১৯ নভেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল গণমাধ্যমকে জানান, দেশের আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে সাময়িকভাবে ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়েছে।
দুই মানবতা বিরোধী অপরাধীর ফাঁসি গত ২২ নভেম্বর কার্যকরের পর ফেসবুক খুলে দেওয়ার বিষয়ে গণমাধ্যমকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বললেই ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও চিহ্নিত করতে ফেসবুক বন্ধ রাখা ফলপ্রসু হয়েছে এমন তথ্য প্রধানমন্ত্রীও জানেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ নিয়েই ফেসবুক খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং ফেসবুক খুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।  শুক্রবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললে কবে নাগাদ খুলে দেওয়া হবে তা নিশ্চিত করেননি। তবে এর আগে একাধিকবার বলেছেন ফেসবুক সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিকল্প পন্থায় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে

বিকল্প পন্থায় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে
বিকল্প পন্থায় ফেসবুক ব্যবহারকারীরা গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরী।
রবিবার সকালে সচিবালয়ের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান তিনি।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব বলেন, বিকল্প পন্থায় যারা ফেসবুক ব্যবহার করছেন তারা গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারিতে রয়েছেন। তাদের সবাইকে না ধরা হলেও, যাদেরকে ধরার তাদেরকেই ধরা হচ্ছে।এদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সংযোগ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ না করে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব নয়।
গত ১৮ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমগুলো বন্ধ রয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার পরই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো খুলে দেওয়া হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য দিয়ে ফেসবুক বন্ধ থাকায় অনেক নাশকতা কমেছে বলেও জানান তিনি।

ফেসবুক নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ

ফেসবুক নিয়ে প্রতিমন্ত্রীর চ্যালেঞ্জ

সাময়িক বন্ধ রাখার পরও যারা ফেসবুক ব্যবহার করছেন তাদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ না করে ফেসবুক শতভাগ বন্ধ রাখা যায় না। যারা ব্যবহার করছেন তারাই বলুন কীভাবে সম্ভব?

রোববার (২৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বন্ধ না করে ফেসবুক শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব কি-না, এটা আপনারাই খোঁজ নেন। আশা করি খোঁজ নিয়ে আপনারাই উত্তরটা দেবেন। পৃথিবীর কোন দেশে, এমনকি যেখানে ফেসবুকের অ্যাডমিনও আছে, হান্ড্রেড পার্সেন্ট (শতভাগ) বন্ধ করা সম্ভব নয়। 

উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপনারা কী অ্যাগ্রি করেন, আপনারা তো দীর্ঘদিন আছেন, আমি তো স্বল্পসময়। হান্ড্রেন্ড পার্সেন্ট কী বন্ধ করা সম্ভব? 

তারানা হালিম বলেন, ফেসবুক হান্ড্রেড পার্সেন্ট বন্ধ করা সম্ভব নয়। ইন্টারনেট যতক্ষণ না সম্পূর্ণ শাটডাউন করেন। সেটা আমরা করতে চাই না। আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করবো না।

সবারই সীমাবদ্ধতা থাকে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তির মোকাবেলা করছি। কিন্তু কেউ যদি বলেন, একশ’ ভাগ এটি (ফেসবুক ব্যবহার) সম্ভব, আমি অনুরোধ করবো একশ’ ভাগ কীভাবে সম্ভব আমাকে একটু জানিয়ে যান। তাহলে তিনি একজন অত্যন্ত স্বনামধন্য উদ্ভাবক হিসেবে পুরস্কারও পেতে পারেন। পৃথিবীর কোথাও ইন্টারনেট শাটডাউন ছাড়া ফেসবুক বন্ধ রাখা কোনো প্রযুক্তিবিদ বলতে পারেননি। 

বিকল্প পথে দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যাবে না জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যান্ডউইথ ক্যাপাসিটি কম হলে ব্যবহার করতে পারবেন না। নাশকতাকারীরা ব্যবহার করলেও দ্রুত ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারছেন না বলে দাবি করেন প্রতিমন্ত্রী। 

কবে নাগাদ ফেসবুক খুলে দেওয়া হবে- প্রশ্নে তারানা হালিম বলেন, এই কথাগুলো আমাকে আহত করে। এখানে আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যখন মনে করবে এখন নিরাপদ, তখন খুলে দেওয়া হবে। যখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মনে করবে, তখনই খুলে দেওয়া হবে। 

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ফয়জুর রহমান চৌধুরীসহ টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীনস্ত বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানরা সভায় উপস্থিত ছিলেন। 

ফেসবুকে 'জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট' খোলা যাবে ব্যাংকের মতই

ফেসবুকে 'জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট' খোলা যাবে ব্যাংকের মতই
এবার ব্যাংকের মত ফেসবুকেও খোলা যাবে 'জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট'। অবাক হবেন না, এটাই সত্যি।

 
এমনটাই জানা গেছে ফেসবুক সূত্রে। তবে সুবিধাটি পাওয়া যাবে কেবল ভারতে।
 
ব্যাংকের মত ফেসবুকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অপশন আসবে 'জয়েন্ট' নাকি 'সিঙ্গেল'? এর মধ্যে জয়েন্টে ক্লিক করে প্রিয়জনের সঙ্গে খোলা যাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
 
তারপর যদি দুজনই অ্যাকাউন্টটি আলাদাভাবে পরিচালনা করতে চান, তাহলে তাও করতে পারেন দুরকম পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে।
 
আর যদি মনে করেন আলাদা নয়, একসঙ্গে অ্যাকাইন্টটি চালাবেন তবে একই পাসওয়ার্ডে তা চালানো যাবে।
 
জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট হলেও দুজনের অ্যাকাউন্টের সব বন্ধুরা চলে আসবেন ওই একটি অ্যাকাউন্টে। এরপর যদি প্রিয়জনের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে যায়, তাহলে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ভেঙে আলাদাভাবেও ব্যবহার করা যাবে।
 
ফলে বিচ্ছেদের পরেও কোনো সমস্যা তৈরি হবে না।
 
যারা সাধারণত বাবা-মায়ের পছন্দে বিয়ে করেন তাদের জন্য এই প্রযুক্তি খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা ফেসবুকে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে অনায়াসেই দুজন বুঝে নিতে পারবেন দুজনকে।
 
শুধু নিজের প্রিয়জন নয়, ব্যাংকের মতই নিজের সন্তানের সঙ্গেও ফেসবুকে খোলা যাবে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট
এবার ব্যাংকের মত ফেসবুকেও খোলা যাবে 'জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট'। অবাক হবেন না, এটাই সত্যি।
<a href='http://sparkadsmedia.com/ads/www/delivery/ck.php?n=ab4e2435&cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE' target='_blank'><img src='http://sparkadsmedia.com/ads/www/delivery/avw.php?zoneid=9&cb=INSERT_RANDOM_NUMBER_HERE&n=ab4e2435' border='0' alt='' /></a>
 
এমনটাই জানা গেছে ফেসবুক সূত্রে। তবে সুবিধাটি পাওয়া যাবে কেবল ভারতে।
 
ব্যাংকের মত ফেসবুকে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অপশন আসবে 'জয়েন্ট' নাকি 'সিঙ্গেল'? এর মধ্যে জয়েন্টে ক্লিক করে প্রিয়জনের সঙ্গে খোলা যাবে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
 
তারপর যদি দুজনই অ্যাকাউন্টটি আলাদাভাবে পরিচালনা করতে চান, তাহলে তাও করতে পারেন দুরকম পাসওয়ার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে।
- See more at: http://bangla.samakal.net/2015/11/23/175365#sthash.EyrIwEXC.dpuf

‘চিকিৎসার্থে’ যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন আমির খান!

‘চিকিৎসার্থে’ যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন আমির খান!
সমালোচনার ভয়ে দেশত্যাগ নয় বরং ‘চিকিৎসার জন্য’ যুক্তরাষ্ট্রে গেলেন বলিউড মেগাস্টার আমির খান। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দেশ ছাড়েন তিনি! সঙ্গে গেছেন স্ত্রী কিরণ রাও ও ছেলে আজাদ। দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে ঘিরে ছিল নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে ভারতের সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া (পিটিআই)।
পিটিআইয়ের খবরের বরাত দিয়ে বিজনেস ইনসাইডার জানায়, রাত সাড়ে ৯টায় মুম্বাই থেকে দিল্লি বিমানবন্দর। সেখান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পথে রওনা হয়েছেন ভারতে এই সময়ের সবচেয়ে বিতর্কিত মানুষটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমিরের ঘনিষ্ঠ মহলের বরাত দিয়ে বিজনেস ইনসাইডার জানিয়েছে, দেশ ছেড়ে মার্কিন মুলুকে সংসার সাজাতে যাননি আমির। কিছুদিন আগেই ‘দঙ্গল’ ছবির শুটিং চলাকালীন প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিলেন তিনি, সেই চিকিৎসার জন্যই এবার বিদেশে পাড়ি দিলেন তিনি!
এদিকে ‘দঙ্গল’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক নীতেশ তিওয়ারি জানান, লুধিয়ানায় দুর্ভেদ্য নিরাপত্তার মধ্যে ছবিটির প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে ওজন কমানোর জন্য আমিরের আমেরিকা যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল আগে থেকেই। ‘দঙ্গল’ ছবিতে হরিয়ানভির কুস্তিগীর মহাবীর ফোগাতের দুটি ভিন্ন বয়সের চরিত্রে অভিনয় করছেন আমির। এ জন্যই ওজন বাড়ানোর পর এবার তা কমাতে হচ্ছে তাঁকে।
কিন্তু চলমান বিতর্কের কারণে মার্কিন মুলুকে পরিবারকে নিয়ে ৫০ বছর বয়সী এই অভিনেতা অনেকদিন অবস্থান করবেন বলে ধারণা করছে বিসনেস ইনসাইডার। পত্রিকাটি লিখেছে, হয়তো পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত দেশের বাইরে থাকবেন তাঁরা।
এদিকে আমির বিদেশে যাওয়ার পর আজও ভোপালে আমিরের বিরুদ্ধে এমপিনগর থানায় অভিযোগ জমা দিয়েছেন আট-দশজনের একটি আইনজীবী দল। এ ছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আজও তাঁর কুশপুতুল পুড়িয়েছে বিজেপি ও শিবসেনা সমর্থকরা।

সবুজ সংকেত পেলেই ফেসবুক খোলা হবে বলে জানিয়েছেন - পলক

সবুজ সংকেত পেলেই ফেসবুক খোলা হবে বলে জানিয়েছেন - পলক
সবুজ সংকেত পেলেই ফেসবুক খোলা হবে: পলক
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবুজ সংকেত পেলেই ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগের কয়েকটি মাধ্যম খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
শনিবার দুপুরে সিলেটের এমসি কলেজে ওয়াইফাই জোনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, অপব্যবহার রোধেই সাময়িকভাবে এগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
সাইবার অপরাধ দমনে শিগগিরই আইন হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধ রোধে শিগগির আইন প্রণয়ন করা হবে। এ সংক্রান্ত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের খসড়া তৈরির কাজ চলছে। শিগগিরই মন্ত্রিসভায় উঠবে এ বিষয়টি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ছয় বছর আগে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেখানে ১২ লাখ ছিল, বর্তমানে তা সাড়ে পাঁচ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বর্তমানে বিশ্বে ঝুঁকি বাড়ছে।
সাইবার সিকিউরিটি এখন একটি বিরাট ইস্যু উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইবার অপরাধরোধ আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ, ইন্টারনেট ব্যবহার করে দেশ ও জাতীয় স্বার্থবিরোধী কার্যকলাপকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে আমরা সক্ষমতা তৈরি করছি।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী বেসরকারি মুঠোফোন কোম্পানি রবির উদ্যোগে এমসি কলেজে ফ্রি ওয়াইফাই জোনের উদ্বোধন করেন। এমসি কলেজের ৫০০ শিক্ষার্থী একসঙ্গে ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
অনুষ্ঠানে রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড পিপল অফিসার (সিসিপিও) মতিউল ইসলাম নওশাদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এমসি কলেজের অধ্যক্ষ নিতাই চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কলেজের উপাধ্যক্ষ হায়াতুল ইসলাম আকঞ্জি বক্তব্য দেন।

ফেসবুককে আগামীকাল চিঠি পাঠাবে সরকার

ফেসবুককে আগামীকাল চিঠি পাঠাবে সরকার

ফেসবুককে আগামীকাল চিঠি পাঠাবে সরকার
বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের সাথে একটি চুক্তি করার জন্য আগামীকাল সরকারের পক্ষ থেকে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এর মাধ্যমে এদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের সম্পর্কে তথ্য জানতে পারবে সরকার।  
বাংলাদেশের ইংরেজি সংবাদপত্র ‘ডেইলি স্টার’ সেন্টারে সংবাদকর্মীদের কাছে সরকারের এই পরিকল্পনার বিষয়টি উল্লেখ করে তারানা বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী ফেসবুকের সাথে চুক্তি করার জন্য আমি চিঠিটি লিখবো।
সাইবার আক্রমণে বিশেষত ফেসবুকের মাধ্যমে এই অপতৎপরতায় দেশ অরক্ষিত হয়ে যাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। চলতি মাসের ১৭ তারিখে বর্তমান সরকার ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা করছে বলে সংবাদকর্মীদের জানিয়েছিলেন তারানা।  
ব্যবহারকারীদের পোস্টের দায়ভার নেটওয়ার্কিং সাইটটি বহন করবে না শর্তে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের সাথে এমন একটি চুক্তি করার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছিলো ফেসবুক।
চলতি মাসে
 প্রকাশিত ফেসবুকের গ্লোবাল গভর্নমেন্ট রিকোয়েস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী, এ বছরের শুরু থেকে জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসে ব্যবহারকারীদের ব্যাপারে তথ্য জানতে চেয়ে বাংলাদেশ 
সরকারের করা সকল আবেদন ফেসবুক প্রত্যাখান করেছে। 
২০১৩ সাল থেকে অর্ধবার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ শুরুর পর থেকে বাংলাদেশ সরকারের কাছে কোনো তথ্য সরবরাহ করেনি ফেসবুক। এই সময়ে ৩৭ জন ব্যবহারকারি সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়ে ১৬ বার অনুরোধ জানিয়েছিলো সরকার।
বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের জন্য কতগুলো কন্টেন্টে প্রবেশ সীমাবদ্ধতা রয়েছে বা সরকারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানায়নি ফেসবুক। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগের এই বিশাল মাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে বৈশ্বিকভাবে ২০ হাজার ৫৬৮ টি পোস্ট এবং স্থানীয় আইন ভঙ্গকারী অন্যান্য কিছু কন্টেন্ট এ বছরের প্রথম অর্ধে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

আজ জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নোয়াখালীর 'ইত্যাদি'

আজ জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নোয়াখালীর 'ইত্যাদি'
ittadi program
জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছে নোয়াখালীর মাইজদীতে। বরাবরের মতো শেকড় সন্ধানী ইত্যাদির এবারের পর্বেও রয়েছে কয়েকটি হৃদয়ছোঁয়া প্রতিবেদন।
দ্বীপজেলা ভোলার লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুর রশিদের ওপর রয়েছে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এবারের বিদেশি প্রতিবেদনে রয়েছে অবৈধভাবে অমানুষ দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রলোভন ও প্রতারণার শিকার হয়ে যারা পাচার হয়ে যায় তাদের দুর্দশার করুণ চিত্রের ওপর বাংলাদেশ, তুরস্ক ও গ্রিসের সীমান্ত এলাকায় ধারণকৃত একটি তথ্যবহুল অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
ফেরিতে যানবাহন এবং যাত্রী পারাপার প্রায় সবার কাছেই একটি পরিচিত দৃশ্য হলেও এবারের ইত্যাদিতে দেখা যাবে ফেরিতে করে রেল পারাপারের দৃশ্য। কোলাহলমুক্ত, বনভূমি পরিবেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দ্বীপ ‘নিঝুম দ্বীপ’-এর ওপর রয়েছে একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন। রয়েছে বগুড়ার একটি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম ইকবালের প্রকৃতি ও পাখিপ্রেমের ওপর সচেতনতামূলক প্রতিবেদন।
এবারের ইত্যাদিতে মূল গান রয়েছে একটি। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় নোয়াখালীকে নিয়ে গানটি গেয়েছেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রবি চৌধুরী। গানটিতে তার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় একদল শিল্পী। গানটির সংগীতায়োজন করেছেন বিনোদ রায়।
নোয়াখালীর অত্যন্ত জনপ্রিয় তিনটি গানের অংশবিশেষের সমন্বয়ে তৈরি একটি গানের সঙ্গে স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পীর অংশগ্রহণে রয়েছে জমজমাট নৃত্য। গানগুলোর কথা লিখেছেন বিমলেন্দু মজুমদার ও মোহাম্মদ হাশেম, সুর করেছেন মোহাম্মদ হাশেম ও রমানাথ সেন, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী, নৃত্য পরিচালনা করেছেন বানী সাহা ও সজল মজুমদার। নোয়াখালীকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত হাজার হাজার দর্শকের মাঝখান থেকে ৬ জনকে নির্বাচন করা হয় এবারের দর্শক পর্বের জন্য।
নির্বাচিত এ দর্শকদের সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বে অংশ নিয়েছেন বৃহত্তর নোয়াখালীর গুণী শিল্পী জনপ্রিয় অভিনেতা ও নির্মাতা মাহফুজ আহমেদ এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী তারিন। নিয়মিত পর্ব হিসেবে এবারও রয়েছে যথারীতি মামা-ভাগ্নে, নানি-নাতি ও চিঠিপত্র বিভাগ। রয়েছে বিভিন্ন সমসাময়িক ঘটনা নিয়ে বেশ কিছু সরস অথচ তীক্ষ্ণ নাট্যাংশ।
সব শ্রেণী-পেশার মানুষের প্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদির আগামী পর্ব একযোগে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচার হবে আজ রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর এবং পুনঃপ্রচার করা হবে আগামী ৬ই ডিসেম্বর, রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর। ‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। স্পন্সর করেছে যথারীতি কেয়া কস্‌মেটিকস্‌ লিমিটেড।

জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে বা ভুল থাকলে অথবা নতুন করতে গেলে কি করবেন?(তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখুন)

 জাতীয় পরিচয়পত্র হারালে বা ভুল থাকলে অথবা নতুন করতে গেলে কি করবেন?(তথ্যগুলো সংগ্রহ করে রাখুন)
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন? এছাড়াও অনেককেই জাতীয় পরিচয়পত্রের বিভিন্ন ভুলভ্রান্তি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার যারা নতুন পরিচয়পত্র করতে চান তারাও এ বিষয়ে অনেকে অজ্ঞ। কিভাবে করব, কোথায় করব, কি কি লাগবে ইত্যাদি বিষয় জানেন না। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে আশা করি সবাই উপকার পাবেন।
পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী ও অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ এবং ঠিকানা সংশোধন কিংবা বদল করতে হতে পারে। এ জন্য প্রার্থীকে সাদা কাগজে ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’- এর পরিচালকেরকাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্প কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও করা যায়।
ফরম পূরণ করে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর সেখান থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত) দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তারিখ উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের সাত দিনের মধ্যে কাউন্টার থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র নিতে হবে।
নাম সংশোধনঃ কেউ পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা, স্বামী কিংবা মাতার নাম সংশোধন করতে চাইলে তাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে-
১। এসএসসি বা সমমান সনদ
২। নাগরিকত্ব সনদ
৩। জন্মনিবন্ধন সনদ
৪। চাকরির প্রমাণপত্র
৫। পাসপোর্ট
৬। নিকাহনামা
৭। পিতা, স্বামী কিংবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি।
আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির যার যেটি আছে, শুধু সেটি দিলেই চলবে। যেমন, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির কম, তাকে এসএসসি বা সমমানের সনদের ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ যদি চাকরি না করেন, তাকে চাকরির প্রমাণপত্র দিতে হবে না। আবার পাসপোর্ট না থাকলে তা দেয়ার দরকার নেই।
নাম পরিবর্তনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর নিচে হলে দেয়ার দরকার নেই), বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট এবং জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন প্রকল্পের কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ হাজির হতে হবে।
স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়াঃ
বিয়ের পর কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম যুক্ত করতে চাইলে তাকে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর বিবাহবিচ্ছেদের কারণে স্বামীর নাম বাদ দিতে চাইলে আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তনঃ
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সনদ অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা মাতার পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা বা মাতা বা উভয়ে মৃত হলে দিতে হবে ভাই বা বোনের পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।
জন্মতারিখ সংশোধনঃ
যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের, তাদের আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়। অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শন কিংবা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হতে পারে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের কম, তাদের জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের তারিখে পাওয়া সার্ভিস বুক বা এমপিওর কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের কপি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা প্রকল্প পরিচালক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দরকার হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।
ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়, একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে। তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ, টেলিফোন বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।
বিবিধ সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না। পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।
হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
যারা এখনো পরিচয়পত্র ওঠাননিঃ
ঢাকা সিটি করপোরেশনের যেসব বাসিন্দা (ডেমরা, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, শ্যামপুর থানা ছাড়া) ২০০৭-০৮ সালে পরিচয়পত্রের জন্য সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছেন, কিন্তু সেটি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে গিয়ে আর আনেননি, তারা প্রকল্প কার্যালয়ে গিয়ে মূল প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে সেই পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। ডিসিসির বাইরে ঢাকা জেলার অন্যান্য উপজেলা বা থানার বাসিন্দা কিংবা দেশের অন্য কোনো জেলার বাসিন্দারা পরিচয়পত্র নির্দিষ্ট সময়ে না উঠিয়ে থাকলে, তাঁদের প্রাপ্তি রসিদ সংশ্লিষ্ট উপজেলা, থানা বা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মন্তব্যসহ প্রাপ্তি রসিদ জমা দিয়ে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। তাঁদের মূল প্রাপ্তি রসিদ প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র গ্রহণ করতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে তাঁদের পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
অভিবাসীরা যেভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেনঃ
অভিবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার সুযোগ আছে। এ জন্য তাঁদের অবশ্যই দেশে আসতে হবে। তাঁদের থাকতে হবে পাসপোর্ট। আর তাতে বাংলাদেশে আসার সিল (অ্যারাইভাল সিল) থাকতে হবে। কারও যদি পাসপোর্ট না থাকে, তবে তাঁকে এমন কোনো কাগজ দেখাতে হবে, যেটা প্রমাণ করে যে তিনি বিদেশে ছিলেন। পাসপোর্ট বা সেই প্রমাণপত্র নিয়ে তাঁকে যেতে হবে তাঁর থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া এবং ভোটার হওয়ার আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। সেখানে নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আবেদনকারীকে ফরম ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র নিয়ে আসতে হবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। সেই দপ্তর থেকে সব কাগজপত্র ডাকযোগে পাঠিয়ে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীনে থাকা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের দপ্তরে। তবে জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কাগজপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আবেদনকারী সেগুলো হাতে হাতে নিয়ে আসতে পারেন প্রকল্পের কার্যালয়ে। এখানে আবেদনকারীর ছবি তোলা হবে, নেওয়া হবে হাতের ছাপ ও চোখের (আইরিশ) স্ক্যান। এসব কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর আবেদনকারীকে প্রাপ্তি রসিদ দেওয়া হবে। তাতে আবেদনকারীকে ১৫ দিন পর আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্পের দপ্তর থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হবে। তখন অবশ্যই প্রাপ্তি রসিদ আবেদনকারীর সঙ্গে থাকতে হবে।
নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে হলেঃ
বাংলাদেশে কারও বয়স ১৮ বছর হলেই কেবল তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। দেশের প্রতিটি উপজেলায় সার্ভার স্টেশন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। এসব স্টেশনে ভোটার তালিকা তৈরি ও বিতরণের কাজ করা হবে। এগুলোয় কার্যক্রম শুরু হলে যখন যার বয়স ১৮ বছর হবে, তখন তিনি ভোটার তালিকায় নাম ওঠাতে পারবেন। এখন ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া মাত্রই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির সুযোগ থাকছে তাদেরই, যাদের চিকিৎসা, পড়াশোনা বা কাজের জন্য বিদেশে যেতে হবে। এ জাতীয় কোনো প্রয়োজনীয়তার প্রমাণ দেখাতে হবে।
যোগাযোগঃ
ভোটার তালিকাসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানতে হলে যোগাযোগ করতে হবে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্পের আগারগাঁওয়ের ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলার কার্যালয়ে।

ফেসবুক বন্ধের কারণ জানিয়ে তারানা হালিমের 'খোলা চিঠি'

ফেসবুক বন্ধের কারণ জানিয়ে তারানা হালিমের 'খোলা চিঠি'
দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধের প্রতিক্রিয়া লিখেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এমপি। গণমাধ্যমের উদ্দেশ্য তার স্বাক্ষরিত ওই লেখায় তিনি শুধুমাত্র মন্ত্রী হিসেবে না, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে ওই ব্যবস্থা গ্রহণের প্রেক্ষাপট ও যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন।
তিন পৃষ্ঠার ওই চিঠিতে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম লিখেছেন, ‘প্রতিমন্ত্রীর জায়গা থেকে লিখছি না”, লিখছি এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে- যে দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালোবাসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই কিন্তু- চাঁদে কারো মুখ দেখার গুজবে প্রাণ হারিয়েছে বহু মানুষ, আবার একটি পোস্টের কারণে (সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে) বৌদ্ধ বিহারে চলেছে হামলা- আমরা সব ভুলে গেছি।'
ফান্সে সন্ত্রাসী হামলার পরে ইন্টারনেট বন্ধের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'বহু দেশ আজকের দিন পর্যন্ত সে দেশগুলোর মানুষের নিরাপত্তার জন্য “ইন্টারনেট” পর্যন্তও সাময়িক বন্ধ রেখেছে। সেদেশের নাগরিকেরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে নিয়েছে, “টু” শব্দটি করেনি। হয়তো তারা ভাবছেন- “সামাজিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো দূর্ঘটনা ঘটার আগে “সাময়িক বন্ধ” রাখলে এই মানুষগুলোর জীবন (FRANCE এর) বাঁচানো যেত কি?'
প্রতিমন্ত্রী গণমাধ্যমের আরেকটি আলোচিত ঘটনা উল্লেখ করে নৈতিক অবস্থানের উদাহরণ দিয়ে লিখেছেন, 'আরেকটি ঘটনা বলি, পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া এক চিত্রগ্রাহক একটি ছবি তুললেন ক্ষুধার্ত এক শিশু এবং তার মুখোমুখি একটি শকুনের। ছবি হিসাবে অসাধারণ। তার সামনে ২টি বিকল্প ছিল- হয় তিনি ছবিটি তুলবেন, নয়তো শিশুটিকে দ্রুত তুলে নিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে যাবেন। তার কাছে প্রথম বিকল্পটি আকর্ষণীয় মনে হলো। তিনি তুললেন অসাধারণ ছবিটি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে শিশুটি মারা গেল। চিত্রগ্রাহক পেলেন “পুলিৎজার পুরস্কার”। কর্মের এক বিরল স্বীকৃতি। কিন্তু বিবেক তাকে তাড়া করলো সর্বক্ষণ- “যদি তখন ছবি না তুলে শিশুটিকে তিনি নিয়ে যেতেন নিকটবর্তী অস্থায়ী চিকিৎসাকেন্দ্রে, অন্তত বাঁচাবার চেষ্টা তো করতে পারতেন”! অনুশোচনায় আত্মহত্যা করলেন তিনি। আমরা বড় বেশি কঠিন, কঠোর হয়ে গেছি- তাই মানুষের জীবন বাঁচানোর চেষ্টাকারীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়। ধন্যবাদ সকলকে যারা মানুষের জীবন বাঁচানোর প্রচেষ্টাকে ব্যঙ্গ করেন, তিরস্কার করেন। এ জন্যই হয়ত মানুষের জায়গায় আসছে রোবট। রোবট হবার পথ থেকে খুব দূরে কি আমরা?'
প্রতিমন্ত্রী তারানা গণমাধ্যমকে তার বক্তব্যের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট বুঝে লেখার পরামর্শ দিয়ে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন। তার বক্তব্য যেনো খন্ডাংশ আকারে গণমাধ্যমে প্রকাশ না পায় তাও অনুরোধ করেন তিনি।  ফেসবুকসহ কিছু সামাজিক যোগাযোগ সাইট বন্ধ করা হয়েছে তার যৌক্তিকতা চারটি পয়েন্টে তিনি যা লিখেছেন, তা নিম্নরুপ-
প্রথমতঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অস্থায়ীভাবে, সাময়িক সময়ের জন্য জননিরাপত্তার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে, সরকারের জনজীবনের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্বের অংশ হিসাবে (আবারো উল্লেখ করছি) সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়েছে।
দ্বিতীয়তঃ লক্ষ্য করবেন এবার শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের রায়ের আগে বা পরে দেশে বড় ধরণের কোন নাশকতা ঘটেনি। ধর্মযাজকের উপর হামলাকারী গ্রেফতার হয়েছে। বিশিষ্টজনদের প্রাণনাশের হুমকিদাতাও গ্রেফতার হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন নাশকতার জন্য কতজন পরিকল্পনাকারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য এবার গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।
তৃতীয়তঃ না, “মাথা ব্যথার জন্য আমরা মাথা কেটে ফেলিনি”- কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সঙ্কেত ও সরকারের নির্দেশনা পেলে এসব মাধ্যম খুলে দেয়া হবে। সরকারের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা বিধান করা। যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম খুলে দেবার জন্য একটি প্রাণহাণিও ঘটে তখন কিন্তু জনগণ সরকারকেই দোষারোপ করেন, করবেন। তাহলে জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকার সাময়িক সহযোগিতা চাইলে তা দিতে আমরা কুণ্ঠিত হব কেন?
চতুর্থতঃ বিকল্প ব্যবস্থা কি নেয়া যেত না? আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে প্রায় সাড়ে চার মাস। এর মধ্যে সিম/রিম নিবন্ধন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের কার্যক্রম জোরদার করা, ব্যান্ডউইথের দাম কমানো, টেলিটককে সক্ষম করা, বায়োমেট্রিক্স চালু করা, ডাক বিভাগের জন্য E-Cash transfer সম্প্রসারণ ও ১১৮টি যানবাহন ক্রয় প্রক্রিয়া, এমএনপি চালুর জন্য প্রক্রিয়া শুরুসহ দায়িত্ব পাবার ৩ দিনের মাথায় “প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলা” করার জন্যও কাজ শুরু করেছি।
প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে তিনি খুব অল্পসময় পেয়েছেন উল্লেখ করে তারানা হালিম লিখেছেন,  প্রযুক্তি দিয়ে প্রযুক্তিকে মোকাবিলার জন্য আমি প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নেবার পর ইন্টারনেট সেফটি সলিউশন আমদানি করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি, যার মাধ্যমে দেশের বাইরের আপত্তিকর কনটেন্ট ফিল্টার্ড হয়ে দেশে প্রবেশ করবে, জনগণের ও নারীদের নিরাপত্তা বাড়বে।  আইএসপি ও ইন্টারনেট ব্যবহার সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য যাচাই বাছাই চলছে বলেও জানান তিনি।
তার নেওয়া পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন হলে সুফল আসবে উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'এই কাজগুলো কিন্তু চলছে। ৩ মাসের খুব বেশি সময় নয়, অচিরেই এর ফল পাবেন।'
বর্তমান প্রেক্ষাপটে যারা প্রক্সি বা ভিপিএন দিয়ে বিকল্পপথে ফেসবুক ব্যবহার করছেন, 'তাদের নিরাপত্তা বিষয়ে সাবধান করে তারানা লিখেছেন, যারা ভিন্ন পথে এসব মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের নিজেদের ID হ্যাক হতে পারে- এই সতর্কতাও দেয়া প্রয়োজন।'
সেইসাথে যারা ফেসবুক ব্যবহার করছেন না তাদের ধন্যবাদ দিয়ে তারানা লিখেছেন, 'যারা জনস্বার্থে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার বন্ধ রেখে সাময়িক অসুবিধা মেনে নিয়ে নাশকতাকারীদের খুঁজে বের করতে, নাগরিকের জীবন বাঁচাতে সরকারকে সহযোগিতা করছেন তাদের এই দেশপ্রেমের জন্য অকুণ্ঠ সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। '
অনেকেই ফেসবুক বন্ধ হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এবং প্রতিমন্ত্রীকে গালি দিচ্ছেন, সে বিষয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত না বরং তিনি তার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, 'যারা আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও তিরস্কার করছেন তাদের কাছে আমি জীবন বাঁচাবার চেষ্টা করার জন্য, রাষ্ট্রের একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে জননিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা পালনে গর্বিত হয়েও ক্ষমাপ্রার্থী। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আমাদের সকলের দায়িত্ব জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই কাজটি সততা ও নিষ্ঠার সাথে করার জন্য যারা আমাকে প্রবল তিরস্কার করেছেন তা আমি নতমস্তকে গ্রহণ করলাম, কারণ হয়তো এ কারণে আজ কোথাও এক মায়ের সন্তান হাসিমুখে তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে- অক্ষত। এ প্রাপ্তিটুকুও আমার জন্য কম নয়। কম নয় কারো জন্যই।'
বিএনপি নেতা সালাউদ্ধিন কাদের চৌধুরী ও জামায়ান নেতা আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ার আগে থেকেই সর্তকতা হিসেবে ১৮ নভেম্বর দুপুর থেকে ফেসবুকসহ কিছু সামাজিক গণমাধ্যম বন্ধের নির্দেশ দেয় সরকার।